মুহাম্মাদ
মুহাম্মাদ | |
---|---|
مُحَمَّد | |
![]() | |
অন্য নাম |
|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | আনু. ৫৭০ খ্রি. (৫৩ হিজরিপূর্ব)[৩] |
মৃত্যু | ৮ জুন ৬৩২ মদিনা, হেজাজ, আরব | খ্রি. (১১ হিজরি; বয়স ৬১–৬২)
সমাধিস্থল | ২৪°২৮′০৩″ উত্তর ৩৯°৩৬′৪১″ পূর্ব / ২৪.৪৬৭৫০° উত্তর ৩৯.৬১১৩৯° পূর্ব |
ধর্ম | ইসলাম |
আদি নিবাস | মক্কা |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ দেখুন |
সন্তান | মুহাম্মাদের সন্তানগণ দেখুন |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | আরব |
যে জন্য পরিচিত | ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক |
অন্য নাম |
|
আত্মীয় |
|
আরবি নাম | |
ব্যক্তিগত (ইসম) | মুহাম্মাদ مُحَمَّد |
পৈত্রিক (নাসাব) | ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদ মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ٱبْن عَبْد ٱللَّٰه بْن عَبْد ٱلْمُطَّلِب بْن هَاشِم بْن عَبْد مَنَاف بْن قُصَيّ بْن كِلَاب |
ডাকনাম (কুনিয়া) | আবুল কাসিম أَبُو ٱلْقَاسِم |
উপাধি (লাক্বাব) | খাতামুন্নাবিয়্যিন (সর্বশেষ প্রেরিত নবি) خَاتَم ٱلنَّبِيِّين |
ইসলাম |
---|
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
![]() |
মুহাম্মাদ |
---|
বিষয়ের ধারাবাহিকের একটি অংশ |
![]() |
মুহাম্মাদ[ক] (আরবি: مُحَمَّد, প্রতিবর্ণীকৃত: মুহাম্মাদ; আনু. ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ – ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ)[খ] একজন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন।[গ] পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী, তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন নবি যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবিদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন।[৪][৫][৬] মুসলিমগণ বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মাদ ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবি ও রাসুল এবং কুরআন ও মুহাম্মাদের জীবনাদর্শ হলো ইসলাম ধর্মের মূলভিত্তি।
মুহাম্মাদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।[৭] তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং মাতার নাম আমিনা বিনতে ওহাব। মুহাম্মাদের জন্মের পূর্বেই তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা মৃত্যুবরণ করেন। এভাবে তিনি পরিপূর্ণ এতিম হয়ে যান।[৮][৯] এতিম মুহাম্মাদ তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব এবং পরে তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন।[১০] তিনি শৈশবে মেষপালক ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যে নিযুক্ত হন। তিনি ২৫ বছর বয়সে খাদিজাকে বিয়ে করেন। ইসলামের আগমনের পূর্ব থেকে তিনি মূর্তি পূজা এবং পৌত্তলিক রীতিনীতি বর্জন করে চলতেন। পরবর্তী জীবনে, তিনি মাঝে মাঝে নূর পর্বতের হেরা নামক গুহায় রাত্রি যাপন করতেন এবং একাগ্রচিত্তে ধ্যানমগ্ন থাকতেন।[১১][১২] মুহাম্মাদ পড়তে পারতেন না এবং লিখতে জানতেন না।[১৩][১৪]
আনুমানিক ৬১০ খ্রিস্টাব্দে, হেরা গুহায় অবস্থানকালে জিবরাইল নামক ফেরেশতা মুহাম্মাদের কাছে আসেন[৭] এবং তাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহি বা বাণী পৌঁছে দেন।[১৫] তখন মুহাম্মাদের বয়স ছিল ৪০ বছর। প্রথম তিন বছর তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার করেন।[১৬][১৭] ৬১৩ খ্রিস্টাব্দে[১৫] মুহাম্মাদ সর্বসমক্ষে এসব বাণী প্রচার করা শুরু করেন।[১৮] তিনি ঘোষণা করেন, "আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ (ইসলাম) হলো জীবনের একমাত্র সঠিক পথ (দ্বীন)[১৯] এবং ইসলামের অন্যান্য নবিদের মতোই তিনি আল্লাহর একজন নবি ও রাসুল।"[৫][২০][২১]
মুহাম্মাদের অনুসারীর সংখ্যা প্রথমদিকে খুবই কম ছিল। মক্কার বহুঈশ্বরবাদী কুরাইশদের পক্ষ থেকে তিনি ১৩ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হন। ক্রমাগত নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে ৬১৫ খ্রিস্টাব্দে তার কিছু অনুসারী আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া) চলে যান। পরবর্তীতে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে কুরাইশ বংশের নেতৃবৃন্দ তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে তিনি ও তার অনুসারীরা মক্কা থেকে মদিনায় (তৎকালীন নাম ইয়াসরিব) চলে যান। এই ঘটনাকে হিজরত বলা হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা হয়। মদিনায় মুহাম্মাদ সকল গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং একটি চুক্তির মাধ্যমে মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠা করেন। ৬২৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে, মক্কার গোত্রগুলোর সাথে আট বছরব্যাপী আন্তঃবৈরিতার পর, মুহাম্মাদ দশ হাজার মুসলিম সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে মক্কা শহরের দিকে অগ্রসর হন। তিনি প্রায় বিনা রক্তপাতেই মক্কা নগরী জয় করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে বিদায় হজ থেকে ফেরার কয়েক মাস পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল।[২২][২৩]
মুহাম্মাদ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহর কাছ থেকে যে বাণীগুলো লাভ করেন সেগুলো কুরআনের আয়াত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুসলিমদের নিকট এটি আল্লাহর অবিকৃত বাণী হিসেবে পরিগণিত হয়, যার ওপর ভিত্তি করে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। কুরআনের পাশাপাশি মুহাম্মাদের নিজস্ব জীবনাদর্শ ও নির্দেশনা (সুন্নাহ), যা হাদিস ও সিরাত গ্রন্থে বর্ণিত আছে, সেগুলোকেও ইসলামি আইনের উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
নাম ও উপাধি
মুসলিম সমাজে মুহাম্মাদকে অসংখ্য নাম ও উপাধি দেওয়া হয়েছে।[২৪] এই নামগুলোকে কুরআনে প্রদত্ত নাম, হাদিসে বর্ণিত নাম, পবিত্র গ্রন্থে উল্লেখিত নাম এবং আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের (আসমাউল হুসনা) সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম - এইভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। উসমানীয় পণ্ডিত মুস্তাকিমজাদে সুলাইমান সাদেদ্দিন (১৭১৯–১৭৮৮) তার মিরাতুস সাফা ফি নুহবেতি এসমাইল মোস্তফা গ্রন্থে মুহাম্মাদের ৯৯টি নাম ব্যাখ্যা করেছেন।[২৫][২৬]
মুহাম্মাদের পুরো নাম আবুল কাসিম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আব্দ মানাফ আল কুরাইশি (আরবি: محمد بن عبد الله بن عبد المطلب بن هاشم بن عبد مناف القرشي)। সংক্ষেপে তাকে আবুল কাসিম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব আল হাশিমি বলেও ডাকা হয়। এই নামের বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: "কুরাইশ গোত্রের আব্দুল মানাফের পুত্র হাশিম, হাশিমের পুত্র আব্দুল মুত্তালিব, আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র আব্দুল্লাহ এবং আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদ"।[২৭] এছাড়াও সমাজে তিনি আল-আমিন (বিশ্বস্ত, সত্যবাদী) উপাধিতে পরিচিত ছিলেন এবং মুহাম্মাদুল আমিন নামেও ডাকা হতো।[২৭]
মুহাম্মাদ নামটি আরবি শব্দ হামদ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "প্রশংসা"।[২৮] মুহাম্মাদ অর্থ "প্রশংসিত", "যিনি প্রশংসার যোগ্য"।[২৭] মুসলিমরা মুহাম্মাদকে মুস্তাফা, মাহমুদ এবং আহমদ নামেও সম্বোধন করে থাকেন। মুস্তাফা অর্থ "নির্বাচিত" এবং আহমদ অর্থ "অধিক প্রশংসিত"। তার কুনিয়া ছিল আবু'ল-কাসিম, অর্থাৎ "কাসিমের পিতা"। আরব সমাজে কুনিয়া সাধারণত প্রথম সন্তানের নামের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।[২৯] মুহাম্মাদ নিজেও নিজেকে আবু'ল-বানাত (কন্যাদের পিতা) বলতেন, কারণ তার সাত সন্তানের মধ্যে চারজন ছিল কন্যা।[৩০][৩১]
কুরআন অনুসারে, মুহাম্মাদের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী তাওরাত ও ইঞ্জিলে করা হয়েছিল। এ বিষয়ে একটি হাদিসে মুহাম্মাদ বলেন, "কুরআনে আমার নাম মুহাম্মাদ, ইঞ্জিলে আহমদ এবং তাওরাতে আহয়েদ।"[৩২][৩৩][৩৪]
জার্মান প্রাচ্যবিদ ভলকার পপ প্রস্তাব করেছেন যে মুহাম্মাদ এবং চতুর্থ খলিফা আলি নাম দুটি প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তি-নাম হিসেবে নয়, বরং উপাধি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।[৩৫]
কুরআন

মুহাম্মাদ নামের বাংলা অর্থ "প্রশংসনীয়" এবং এই নামটি কুরআনে মোট চারবার উল্লেখ করা হয়েছে।[৩৬] কুরআনে মুহাম্মাদকে বিভিন্ন উপাধিতে সম্বোধন করা হয়েছে। এসব উপাধির মধ্যে রয়েছে: আহমাদ, [কুরআন ৬১:০৬] নবি, রাসুল, আল্লাহর বান্দা (আবদ), সুসংবাদদাতা (বশির),[কুরআন ২:১১৯] সাক্ষী (শাহিদ),[কুরআন ৩৩:৪৫] মঙ্গলবার্তা প্রদানকারী (মুবাশশির), সতর্ককারী (নাজির),[কুরআন ১১:২] উপদেশদাতা (মুজাক্কির),[কুরআন ৮৮:২১] আহ্বানকারী (দাঈ),[কুরআন ১২:১০৮] আলোকিত ব্যক্তি (নূর),[কুরআন ৫:১৫] এবং আলো-প্রদায়ক প্রদীপ (সিরাজ মুনির)।[কুরআন ৩৩:৪৬]
তথ্যের উৎস
কুরআন


কুরআন হলো ইসলামের মূল ও প্রধান ধর্মগ্রন্থ। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, এটি আল্লাহর বাণী, যা প্রধান ফেরেশতা জিব্রাইলের মাধ্যমে ২৩ বছরের সময়কালে মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়েছে।[৩৭][৩৮][৩৯] কুরআনে একজন একক "আল্লাহর রাসুল" কে সম্বোধন করা হয়েছে, যাকে কিছু আয়াতে মুহাম্মাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআনে মুহাম্মাদের জীবনের কিছু ঘটনা সরাসরি এবং কিছু পরোক্ষভাবে উল্লেখিত হয়েছে, যেমন হিজরত, বদরের যুদ্ধ, উহুদের যুদ্ধ, খন্দকের যুদ্ধ, খায়বারের যুদ্ধ এবং মক্কা বিজয়। বিশেষ করে সূরা আহযাবে মুহাম্মাদের জীবনী, তার স্ত্রীদের এবং সাহাবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিবরণ রয়েছে, যেখানে খন্দকের যুদ্ধের বর্ণনাও আছে।[৪০]
তবে, কুরআন মুহাম্মাদের জীবনকালের নির্দিষ্ট ঘটনাবলী বা তাদের সময়রেখা সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে কম তথ্য দেয়।[৪১][৪২] অধিকাংশ আয়াত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নির্দিষ্ট করে না এবং মুহাম্মাদের একজন ব্যতীত আর কোনো সাহাবির নামও কুরআনে উল্লেখ নেই। ফলে কুরআনের উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত জীবনী রচনা কঠিন। ধারণা করা হয়, কুরআন মুহাম্মাদের জীবদ্দশাতেই রচিত হয়েছিল। বার্মিংহাম কুরআন পাণ্ডুলিপি রেডিওকার্বন বিশ্লেষণ অনুযায়ী মুহাম্মাদের জীবনকালেই লেখা হয়েছিল, যা কুরআনের উৎপত্তি নিয়ে পশ্চিমা পুনর্বিবেচনাবাদী তত্ত্বগুলোর বিপরীতে প্রমাণ উপস্থাপন করে।[৪৩][৪৪]
প্রারম্ভিক জীবনী

মুহাম্মাদের জীবন সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্যসূত্র পাওয়া যায় হিজরি দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীতে (খ্রিস্টীয় অষ্টম ও নবম শতাব্দী) রচিত মুসলিম ঐতিহাসিক রচনাবলীতে।[৪৫] এই সময়ের লেখাগুলো মুহাম্মাদের জীবনের বিস্তারিত বিবরণ সংরক্ষণ করেছে, যা তার জীবনচরিতের অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করে।[৪৬]
এই প্রাচীনতম জীবনীগ্রন্থগুলোর অন্যতম হলো ইবনে ইসহাকের সিরাতে রাসুলুল্লাহ, যা আনুমানিক ৭৬৭ খ্রিষ্টাব্দে (১৫০ হিজরি) রচিত হয়েছিল। যদিও এর মূল পাঠ বিলুপ্ত হয়েছে, ইবনে হিশাম তার সংকলনে ইবনে ইসহাকের রচনার সংরক্ষিত অংশ উপস্থাপন করেছেন। আল-তাবারির লেখায়ও এর কিছু অংশ সংরক্ষিত রয়েছে।[৪৭][৪৮] তবে ইবনে হিশাম তার ভূমিকায় উল্লেখ করেন, তিনি ইবনে ইসহাকের পাঠ থেকে এমন বিষয়সমূহ বাদ দিয়েছেন যা "নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে বিচলিত করতে পারে"।[৪৯]
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক উৎস হলো আল-ওয়াকিদি কর্তৃক মুহাম্মাদের বিভিন্ন অভিযানের ইতিহাস এবং তার শিষ্য ইবনে সা'দ আল-বাগদাদি কর্তৃক সংকলিত কিতাবুল তাবাকাত আল-কাবীর।[৪৫] অনেক পণ্ডিত এই প্রাথমিক জীবনীগুলোকে মোটামুটি নির্ভরযোগ্য মনে করেন, যদিও তাদের সম্পূর্ণ নির্ভুলতা নিশ্চিত করা যায় না।[৪৭] সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আইনসংক্রান্ত রেওয়ায়াতগুলো প্রায়ই পরিবর্তন বা উদ্ভাবনের শিকার হতো, তবে ঐতিহাসিক ঘটনাসংক্রান্ত রেওয়ায়াতগুলো মূল ঘটনার ধারা মোটামুটি অনুসরণ করেছে, যদিও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।
হাদিস

ইসলামি অনুশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো হাদিস। এখানে নবি মুহাম্মাদের কথা, কাজ এবং অনুমোদিত রীতিনীতির বিবরণ সংরক্ষিত রয়েছে। সর্বপ্রথম সংকলিত হাদিসগ্রন্থ হলো মুয়াত্তা ইমাম মালিক, যার সংকলক ছিলেন মালিক ইবনে আনাস। এতে মুহাম্মাদের বাণী, সাহাবিদের মতামত এবং মদিনার প্রচলিত রেওয়ায়েত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মুয়াত্তা কেবল একটি হাদিসগ্রন্থ নয়; এটি সে যুগের ইসলামি বিধান ও সামাজিক রীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবেও বিবেচিত হয়।[৫০]
হাদিস সাহিত্যের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ হলো সহিহ বুখারী। ইমাম বুখারী বহু বছর অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এই সংকলন সম্পাদন করেন। এতে কেবল সেই হাদিসগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেগুলোর সনদ শুদ্ধ এবং বর্ণনাকারীরা বিশ্বস্ত বলে স্বীকৃত। সহিহ বুখারীতে ইমান, নামাজ, রোজা, হজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, নীতিশাস্ত্র এবং দৈনন্দিন জীবনের নানাবিধ বিষয়ে হাদিস লিপিবদ্ধ রয়েছে।[৫১] অন্যান্য উল্লেখযোগ্য হাদিসগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সহিহ মুসলিম, সুনানে নাসাই, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি এবং সুনানে ইবনে মাজাহ। এই ছয়টি গ্রন্থ সম্মিলিতভাবে সিহাহ সিত্তাহ নামে পরিচিত এবং সুন্নি মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হাদিস সংকলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
কিছু পশ্চিমা গবেষক হাদিসকে ঐতিহাসিক উৎস হিসেবে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করেন। উইলফার্ড মেডেলুংয়ের মতো পণ্ডিতেরা হাদিস প্রত্যাখ্যান না করে বরং সেগুলোকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করেন।[৫২] অন্যদিকে, মুসলিম পণ্ডিতেরা জীবনীগ্রন্থের তুলনায় হাদিসগ্রন্থকেই অধিক নির্ভরযোগ্য মনে করেন, কারণ হাদিসে পরম্পরাগত সনদ (ইসনাদ) ব্যবস্থার অনুসরণ করা হয়, যা জীবনীগ্রন্থে সাধারণত অনুপস্থিত।[৫৩]
মৌখিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
মুহাম্মাদ ও তার সমসাময়িকদের জীবনের তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে হাদিস ও সিরাতকে গণ্য করা হয়। তবে লক্ষণীয় যে, এসব তথ্য মুহাম্মাদের মৃত্যুর ১৫০ থেকে ২০০ বছর পর লিখিত আকারে সংকলিত হয়। এর আগে, এসব ঘটনা মৌখিকভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রচলিত ছিল।[৫৪] এই দীর্ঘ সময় ধরে মৌখিক প্রচলনের ফলে হাদিস ও সিরাতে বর্ণিত ঘটনাগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে ঐতিহাসিক ও গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।[৫৫][৫৬] বহু তথ্যই নিরপেক্ষ বহিঃসূত্র দ্বারা নিশ্চিত নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে উৎসগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিরোধও দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ধরে মৌখিকভাবে প্রচারিত হওয়ার কারণে অনেক ঘটনা বিকৃত হয়েছে বা রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেরিয়ে কিছু বিবরণ ইতিহাসের মূল সত্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত হয়ে পড়েছে।[৫৬][৫৭][৫৮] অনেক গবেষকের মতে, হাদিস ও সিরাতের মতো প্রাথমিক উৎসগুলোতে পরবর্তীকালে এমন কিছু কাহিনি সংযোজিত হয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে মুহাম্মাদের জীবনের প্রত্যক্ষ সংযোগ নেই।[৫৯][৬০] ধারণা করা হয়, এসব বিবরণ পরবর্তীকালের সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে যুক্ত করা হয়েছে, যা মূল ইতিহাসে বিকৃতি ঘটাতে পারে।[৫৯][৬১] ফিলিস্তিনি অধ্যাপক সামি আলদীব এই প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, খায়বারের যুদ্ধ এবং বনু কুরাইজা গোত্রের অবরোধের মতো ঘটনাগুলো মুহাম্মাদের জীবনে সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, এই ধরনের বিবরণ ইহুদি ধর্মগ্রন্থেও বিদ্যমান। ঐসব গ্রন্থে বলা হয়েছে, ইহুদিরা এমন ব্যক্তিদের হত্যা করেছিল যারা ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল না। আলদীবের বিশ্লেষণে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এই ধরনের মিল ঘটনাগুলোর উৎস নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং এও বোঝায় যে, পরবর্তী সময়ে মুহাম্মাদের জীবনের বর্ণনায় পূর্ববর্তী ধর্মীয় কাহিনির ছাপ পড়তে পারে।[৬২]
হাদিস ও সিরাতের মতো ঐতিহ্যবাহী রচনার বাইরে ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাস, এর উত্থানের সময়কাল এবং ভৌগোলিক উৎপত্তি ও বিস্তারের স্থান নিয়ে গবেষকদের মধ্যে নানা মতপার্থক্য রয়েছে। প্রচলিত বর্ণনায় ইসলামের সূচনা মক্কাকেন্দ্রিক বলে ধরা হলেও, সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় বিকল্প ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উঠে এসেছে, যার মধ্যে পেত্রা বিশেষভাবে আলোচিত।[৬৩] এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পেত্রা, তার উত্তরাঞ্চল, কুফা এবং হিরা যা বর্তমান দক্ষিণ ইরাকে অবস্থিত অঞ্চল। বিভিন্ন উৎস যেমন বাইজেন্টাইন ইতিহাসলিপি, খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের দলিল, প্রাচীন মুদ্রা, আব্বাসীয় যুগের হাদিস ও ঐতিহাসিক গ্রন্থ, হিরা ও মদিনার মতো পুরনো শহরের নাম, মুহাম্মাদ ও প্রাথমিক ইসলামের ভৌগোলিক অবস্থানকে দক্ষিণ ইরাকের সাথে সংযুক্ত করে। এছাড়াও, কিছু গবেষক মনে করেন যে, মুহাম্মাদের জীবনী একাধিক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের জীবনের উপাদান একত্রে মিলিয়ে গঠিত হতে পারে।[৬৪][৬৫][৬৬][৬৭]
প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার
ইসলামি বিশ্বে এমন কিছু নথিপত্র সংরক্ষিত রয়েছে, যা মুহাম্মাদের জীবনের বিবরণ তুলে ধরে এবং সময়ে সময়ে তা প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। তবে এসব নথিপত্রের প্রামাণ্যতা এখনো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। রেডিওকার্বন ডেটিং ও জিনগত বংশতালিকা বিশ্লেষণের মতো পদ্ধতির মাধ্যমে এগুলোর প্রামাণ্যতা যাচাই করার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।[৬৮] এই নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে "মদিনার সনদ", যা মুহাম্মাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক চুক্তির দলিল হিসেবে বিবেচিত; আশতীনামা, যা তার দ্বারা প্রদত্ত একটি সুরক্ষা-ঘোষণাপত্র হিসেবে গণ্য হয়; এবং এমন কিছু চিঠিপত্র, যা তার সময়কার বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও গভর্নরদের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।[৬৮] এছাড়াও মুহাম্মাদের চুল, দাড়ি, পরিধেয় জামা, জুতা ও অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্রকেও এসব ঐতিহাসিক দলিলের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ঐতিহাসিকতা
মুহাম্মাদের জীবন ও ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাস শুধু মুসলিম উৎসেই নয়, বরং অন্যান্য উৎসেও পাওয়া যায়। ৬৩৩ খ্রিষ্টাব্দের পর রচিত ইহুদি ও খ্রিস্টান লেখকদের গ্রিক, সিরীয়, আর্মেনীয় ও হিব্রু ভাষার লেখাতেও এ বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এসব বাইরের উৎস মুসলিম বর্ণনার তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভিন্নতা তুলে ধরে, বিশেষ করে ঘটনার কালক্রম এবং মুহাম্মাদের ইহুদি ও ফিলিস্তিন-সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে।[৬৯] উল্লেখ্য যে, মুহাম্মাদ নবি হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে তার জীবন নিয়ে বাইজেন্টাইন বা সিরীয় উৎসগুলোতে তেমন কোনো তথ্য নেই।[৭০] ইতিহাসবিদ সেবাস্টিয়ান পল ব্রকের মতে, সিরীয় ও বাইজেন্টাইন উৎসগুলোতে মুহাম্মাদের জন্য নবি উপাধি খুব কম ব্যবহার হয়েছে; আর রাসুল উপাধি তো আরও বিরল।[৭১] বরং, ওইসব লেখায় মুহাম্মাদকে "প্রথম আরব রাজা" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সময়কার সিরীয় লেখাগুলো ইসলামি বিজয়কে "মুসলিম বিজয়" নয়, বরং "আরব বিজয়" হিসেবে উল্লেখ করেছে।[৭২][৭৩]

ডকট্রিনা ইয়াকবি (ইয়াকুবের শিক্ষা) নামে একটি গ্রীক ভাষার রচনা আছে, যা ধারণা করা হয় ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে, অর্থাৎ মুহাম্মাদের মৃত্যুর দুই বছর পর লেখা হয়েছিল। এই রচনায় ক্যান্ডিডেটাস (Candidatus) নামের একজন ব্যক্তির মৃত্যু এবং আরব উপদ্বীপে এক নতুন নবির আবির্ভাবের উল্লেখ পাওয়া যায়।[৭৪][৭৫] এই রচনাটি কার্থেজে রচিত হয়েছিল। তবে বিকল্প এক মত অনুসারে, এটি ৬৩৪ থেকে ৬৪০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ফিলিস্তিনে লেখা হয়ে থাকতে পারে।[৭৬] প্যাট্রিসিয়া ক্রোন এবং মাইকেল কুক মনে করেন যে, ডকট্রিনা ইয়াকবি মূলত ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে কার্থেজে রচিত হয় এবং সেই সময়ের কাছাকাছি কোনো এক সময়ে এটি লিখিত আকারে সংকলিত হয়। তাদের মতে, রচনাটির উৎপত্তি ৬৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে হয়েছে—এমন ধারণা অনেক পরের এবং ততটা গ্রহণযোগ্য নয়।[৭৬]
“ | ক্যান্ডিডেটাস যখন সারাসেনদের (অর্থাৎ আরবদের) হাতে নিহত হন, তখন আমি কায়সেরিয়ায় (বর্তমান তুরস্ক) অবস্থান করছিলাম এবং সেখান থেকে নৌকাযোগে সিকামিনার (বর্তমান ইসরায়েল) উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে মানুষ বলাবলি করছিল, "ক্যান্ডিডেটাসকে হত্যা করা হয়েছে।" আমরা ইহুদিরা এতে আনন্দিত হয়েছিলাম। সেই সময় একটি কথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল—একজন নবি সারাসেনদের মধ্যে আবির্ভূত হয়েছেন, যিনি অভিষিক্ত মসিহর আগমনের ঘোষণা দিচ্ছেন। | ” |
— ডকট্রিনা ইয়াকবি, অ্যাকাডেমিয়া[৭৪] |
গবেষকদের মতে, ডকট্রিনা ইয়াকবিতে উল্লেখিত ক্যান্ডিডেটাস সম্ভবত বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ফিলিস্তিন অঞ্চলের সেনাপতি সার্জিয়াস। ধারণা করা হয়, রচনায় বর্ণিত ঘটনাটি ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে গাজা শহরের নিকটে সংঘটিত "দাসিনের যুদ্ধ"—যেখানে রাশিদুন খিলাফতের বাহিনীর সঙ্গে বাইজেন্টাইন সেনাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল।[৭৭] মুহাম্মাদের মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পর সংঘটিত এই যুদ্ধে, আমর ইবনুল আসের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী বাইজেন্টাইন (পূর্ব রোমান) সেনাদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। যুদ্ধে বাইজেন্টাইন সেনাপতি সার্জিয়াস তার অশ্বারোহী বাহিনীর সঙ্গে নিহত হন।[৭৮] গ্রন্থটিতে এ কথাও উল্লেখ রয়েছে যে, পূর্ব রোমানদের নিপীড়নে অতিষ্ঠ এবং ঐ অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাসকারী ইহুদিরা মুসলিমদের বিজয়কে স্বাগত জানায়। তারা বাইজেন্টাইন সেনাপতি সার্জিয়াসের মৃত্যুতে প্রকাশ্যে আনন্দ প্রকাশ করে।[৭৮][৭৯] মুহাম্মাদ সম্পর্কে সপ্তম শতাব্দীর শুরুর দিকের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিবরণ পাওয়া যায় আর্মেনীয় বিশপ সেবেওসের লেখায়, যিনি ব্যাগ্রাতুনি রাজবংশের সদস্য ছিলেন। তিনি এমন এক সময়ে এই বিবরণ রচনা করেন, যখন আরবদের হঠাৎ উত্থানের স্মৃতি তখনো মানুষের মনে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান ছিল। সেবেওস তার লেখায় মুহাম্মাদের নাম উল্লেখ করেন এবং তাকে একজন বণিক হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে, মুহাম্মাদের জীবন ঐশ্বরিক বাণী লাভের মাধ্যমে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়।[৮০] সেবেওস ছিলেন প্রথম অমুসলিম লেখক, যিনি মুসলিমদের কর্মকাণ্ড নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন এবং ইসলামের উত্থান ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন।[৮১]
“ | ঐ সময়ে ইসমাইলিদের মধ্যে মুহাম্মাদ নামের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, যিনি ঈশ্বরের আদেশে ধর্মপ্রচারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তাদের ইব্রাহিমের ঈশ্বরকে চেনার শিক্ষা দেন, বিশেষ করে যা মূসার ইতিহাসের মাধ্যমে জানা যায়। ঈশ্বরের আহ্বানে তারা একত্রিত হয়ে একই ধর্মে ঐক্যবদ্ধ হন। পূর্বের রীতিনীতি ও সংস্কৃতি পরিত্যাগ করে তারা ইব্রাহিমের প্রতি প্রকাশিত সত্য ঈশ্বরের উপাসনায় মনোনিবেশ করেন। মুহাম্মাদ তাদের নির্দেশ দেন—মৃত প্রাণীর মাংস ভক্ষণ না করা, মদ্যপান পরিহার, মিথ্যাচার ও ব্যভিচার থেকে বিরত থাকা। তিনি বলেন, "ঈশ্বর এই দেশ ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের জন্য চিরন্তনভাবে প্রতিশ্রুত করেছেন। যেমন তিনি ইসরায়েলকে ভালোবেসেছিলেন, তেমনি এই প্রতিশ্রুতি আজ পূর্ণ হচ্ছে। এখন তোমরাই ইব্রাহিমের উত্তরসূরি, ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি তোমাদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই ঈশ্বরকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসো এবং ইব্রাহিমকে যে দেশ প্রদান করা হয়েছিল, তা জয় করতে এগিয়ে চলো। যুদ্ধে কেউ তোমার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে না, কারণ ঈশ্বর তোমার সঙ্গে আছেন।" | ” |
— সেবেওস, দ্য আর্মেনিয়ান হিস্টোরি[৮২] হ্যাগারিজম: ইসলামি বিশ্বের বিকাশ[৮৩] |
স্কটিশ ইতিহাসবিদ ও লেখক অ্যান্ড্রু মার তার বিখ্যাত গ্রন্থ A History of the World (বিশ্ব ইতিহাস)-এ মুহাম্মাদের ঐতিহাসিকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বই অবলম্বনে বিবিসি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে, যার শিরোনাম ছিল Andrew Marr's History of the World (অ্যান্ড্রু মারের ইতিহাসের দৃষ্টিভঙ্গি)।[৮৪]
মুহাম্মাদের ঐতিহাসিকতা সম্পর্কে অ্যান্ড্রু মার নিম্নলিখিত মন্তব্য করেছেন:
“ | মুহাম্মাদের জীবন সম্পর্কে তার সমসাময়িক সময়ের উৎস থেকে খুব অল্প তথ্যই পাওয়া যায়। (...) তার যুগে রচিত কিছু খ্রিস্টান লেখায় এই আরব নেতার কয়েকটি উল্লেখ রয়েছে, যা তার অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রায় কোনো সন্দেহ রাখে না। তবুও, এই বিষয়ে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। | ” |
— অ্যান্ড্রু মার, এ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড[৮৫] |
যদিও অনেক ইহুদি নবি এবং এমনকি যিশু খ্রিস্টের ঐতিহাসিকতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে অধিকাংশ পণ্ডিত ও ইতিহাসবিদ মুহাম্মাদকে একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহণ করেন।[৮৬][৮৭][৮৮]
বংশধারা

প্রচলিত ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, মুহাম্মাদ ইব্রাহিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাইলের বংশধর। তার বংশপরম্পরা আদনানি আরবদের মধ্য দিয়ে কুরাইশ গোত্রে পৌঁছায় এবং নির্দিষ্টভাবে সেই গোত্রের হাশিমী শাখা থেকে তিনি আগত।[৮৯] মুহাম্মাদের পূর্বপুরুষদের বংশক্রম ধারাবাহিকভাবে: মুহাম্মাদ, আব্দুল্লাহ, আব্দুল মুত্তালিব (শায়বা), হাশিম, আবদ মানাফ (মুগিরা), কুসাই, কিলাব, মুররাহ, কা'ব, লুয়াই, গালিব, ফিহর, মালিক, নাদর (কুরাইশ), কিনানাহ (কিনানা উপজাতি), হুজাইমা, মুদরিকা (আমির), ইলিয়াস, মুদার, নিজার, মা'আদ, আদনান।[৯০][৯১][৯২][৯৩][৯৪]
কিছু হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মাদ নিজেই তার বংশধারাকে ইব্রাহিম নবির সাথে সংযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন,
“ | আল্লাহ ইব্রাহিমের সন্তানাদির মধ্য থেকে ইসমাইলকে, ইসমাইলের সন্তানাদির মধ্যে থেকে কিনানাহকে মনোনীত করেন। কিনানাহর বংশধারার মধ্য থেকে কুরাইশকে, কুরাইশ থেকে বনু হাশিমকে এবং বনু হাশিম থেকে আমাকে মনোনীত করেন। | ” |
— সহিহ মুসলিম, তিরমিজি, [৯৫][৯৬][৯৭] |
মুসলিম ঐতিহ্য অনুযায়ী, মক্কা বিজয়ের পর কাবাঘর থেকে মূর্তি অপসারণ করার সময় কাবার ভেতর থেকে ইব্রাহিম ও তার পুত্র ইসমাইলের দুটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়, যেগুলোর হাতে ছিল তীর জাতীয় কাঠের চিহ্ন, যা প্রাচীন আরবরা ভাগ্য নির্ধারণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহার করত।[৯৮] মুহাম্মাদ এ দৃশ্য দেখে বলেন, ইব্রাহিম ও ইসমাইল কখনোই এমন কাজ করেননি। তিনি তাদের এইভাবে উপস্থাপন এবং মূর্তিপূজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি ভ্রান্ত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।[৯৯] আরেকটি হাদিসে বর্ণিত আছে, মুহাম্মাদ যখন তার নাতি হাসান ও হুসাইনের জন্য দোয়া করেছিলেন, তখন তিনি উল্লেখ করেন যে, ইব্রাহিমও পূর্বে তার পুত্র ইসমাইল ও ইসহাকের জন্য একই দোয়া করেছিলেন।[১০০]
কিছু সংশোধনবাদী গবেষকের মতে, কুরাইশ নামটি নবি মুহাম্মাদের বংশধরদের গোত্রের নাম ছিল না। বরং এটি খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর পারস্য সম্রাট কুরুশের নাম থেকে উদ্ভূত, যিনি হাখমানেশি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সম্রাট কুরুশ ব্যাবিলনীয় বন্দিদশা থেকে ইহুদিদের মুক্তি দিয়েছিলেন এবং ইহুদিদের মাঝে তিনি একজন শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হন।[১০১] ঐতিহাসিক তথ্যমতে, মুহাম্মাদের বংশ কুরাইশ গোত্রের উত্পত্তি প্রাচীন আরব জাতি নবতাঈদের একটি শাখা থেকে হয়েছে। নবতাঈরা মূলত আরব উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বসবাস করত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও লিপি ছিল। তবে নবতাঈদের প্রকৃত বংশগত উৎস নিয়ে গবেষকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে এবং এ নিয়ে বিতর্ক এখনো চলমান।[১০২] কিছু গবেষকের মতে, নবতাঈরা মূলত আদি আরব বংশোদ্ভূত ছিল। তবে পরবর্তীকালে পারস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ ও মিশ্রণের ফলে তাদের বংশধারা ও ভাষায় পরিবর্তন আসে।[১০২]
জন্ম তারিখ

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, ইসলামের ইতিহাসে "ফিলবর্ষ" বা "হস্তিবর্ষ" নামে পরিচিত সময়ে মুহাম্মাদ মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।[১০৩] ঐতিহ্য অনুযায়ী, এই বছরেই আবিসিনিয়ার আকসুম রাজ্যের অধীনস্থ ইয়েমেনের শাসক আবরাহা কাবাঘর আক্রমণের উদ্দেশ্যে বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে অভিযান চালান, যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।[১০৪][১০৫] মুহাম্মাদের সঠিক জন্মতারিখ নির্ভরযোগ্যভাবে জানা যায় না। প্রাচীন হিসাবের ভিত্তিতে বিভিন্ন উৎসে বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত মোহাম্মদ হামিদুল্লাহের মতে, তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭ জুন ৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে।[১০৩] আবার কিছু উৎসে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।[১০৬][১০৭] মিশরীয় জ্যোতির্বিদ মাহমুদ পাশা আল-ফালাকী তার গবেষণায় জন্মতারিখ ২০ এপ্রিল ৫৭১ খ্রিস্টাব্দ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।[১০৮] তবে ব্রিটিশ লেখক শেরার্ড বেমন্ট বার্নাবি আল-ফালাকীর হিসাবের কিছু ত্রুটি শনাক্ত করেছেন।[১০৯]
ইসলামি উৎসগুলোর অধিকাংশে উল্লেখ রয়েছে যে, মুহাম্মাদ ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে হস্তিবর্ষে ১২ রবিউল আউয়াল (২০ এপ্রিল), সোমবার রাতে জন্মগ্রহণ করেন।[১১০] ধারণা করা হয়, এই তারিখটি হস্তিবাহিনীর ঘটনার প্রায় ৫২ দিন পরের ঘটনা।[১০৮][১১১] সিরাত ও ইসলামি ইতিহাসবিদরা এ বিষয়ে একমত যে, মুহাম্মাদ রবিউল আউয়াল মাসের একটি সোমবার, ভোরবেলা সূর্য ওঠার কিছুক্ষণ আগে জন্মগ্রহণ করেন। তবে মাসের ঠিক কোন তারিখে তিনি জন্মেছিলেন, সে নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।[১০৮] এই মতভেদের কারণ হিসেবে মৌখিক বর্ণনার ভিন্নতা, চন্দ্র ও সৌর ক্যালেন্ডারের পার্থক্য[১১২][১১৩] এবং নাসি প্রথা—যেখানে আরবরা বছরকে কখনও ১২ মাসের বদলে ১০ মাসে গণনা করত—উল্লেখ করা হয়।[১১১]
গবেষক লরেন্স কনরাড প্রাথমিক যুগে লেখা সিরাতগ্রন্থগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, এসব লেখায় মুহাম্মাদের জন্মতারিখ নিয়ে ৮৫ বছরের ব্যবধানে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। কনরাড এই পরিবর্তনশীলতাকে "গল্পের প্রবাহিততা বা বিবর্তন এখনও চলছে"—এভাবে বর্ণনা করেছেন।[১১৪][১১৫]
প্রাক-ইসলামি আরব
সাধারণ ভৌগোলিক অবস্থা

ইসলাম-পূর্ব আরব উপদ্বীপে মরুভূমির কঠিন পরিবেশে টিকে থাকার জন্য মানুষকে একসাথে বসবাস করতে হতো। এই পরিবেশে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। ফলে, রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে, যা তাদের সামাজিক সংগঠনের প্রধান ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।[১১৬] স্থানীয় আরবরা দু’রকম জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল—তাদের কেউ ছিল যাযাবর, আবার কেউ স্থায়ীভাবে বসবাস করত।[১১৭] যাযাবররা পানি ও চারণভূমির সন্ধানে দলবদ্ধভাবে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেত। অন্যদিকে, যারা একটি স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাস করত, তারা প্রধানত বাণিজ্য ও কৃষিকাজে নিয়োজিত ছিল। যাযাবরদের জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ ছিল কাফেলা বা ওয়াহাতে আক্রমণ করা এবং তারা একে কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করত না।[১১৮][১১৯][১২০]
খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দ থেকেই মসলা বাণিজ্যের মাধ্যমে দক্ষিণ আরবে কয়েকটি সমৃদ্ধ ও উন্নত রাজ্যের উত্থান ঘটে। শুরুতে এই বাণিজ্য পথগুলো মূলত উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূল বরাবর স্থলপথে বিস্তৃত ছিল। তবে ৭ম শতাব্দীর পর থেকে ব্যবসায়ীরা ক্রমশ লোহিত সাগর হয়ে সমুদ্রপথে বাণিজ্য করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এর ফলে স্থলপথের গুরুত্ব কমে যায় এবং দক্ষিণ আরবের বহু সমৃদ্ধ অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।[১২১] ধান্য ও জলপাই তেলের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের পাশাপাশি, উল ও চামড়ার বাণিজ্যের উপর নির্ভর করে স্থানীয় পর্যায়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম গড়ে ওঠে। এইসব কার্যক্রমের ভিত্তিতে মক্কা ও মদিনা (যা তখন ইয়াসরিব নামে পরিচিত ছিল) এর মতো কয়েকটি শহর টিকে ছিল। অপরদিকে, উপদ্বীপের মরুভূমি অঞ্চলগুলো ছিল অত্যন্ত দরিদ্র। সেখানকার বেদুঈন গোষ্ঠীগুলো যাযাবর জীবনধারা অনুসরণ করত এবং সীমিত সম্পদের দখল নেওয়ার জন্য পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকত। এই সমাজব্যবস্থায় প্রধান ভিত্তি ছিল বংশ বা গোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্য[১২১]

ইসলামের আবির্ভাবের আগে মধ্যপ্রাচ্যে দুইটি প্রধান শক্তি প্রভাব বিস্তার করত—বাইজেন্টাইন (রোমান) সাম্রাজ্য এবং সাসানি (পারস্য) সাম্রাজ্য। এই দুই শক্তির মধ্যে শতাব্দীব্যাপী রোমান-পারস্য যুদ্ধ অঞ্চলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, যা পুরো অঞ্চলকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাদের প্রভাবাধীন এলাকায় কিছু অনুগত সামন্ত রাজ্য গড়ে ওঠে। পারস্যদের পক্ষ থেকে লাখমিদ এবং বাইজেন্টাইনদের পক্ষ থেকে ঘাসানিদ এ ধরনের রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। আরব উপদ্বীপের ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত শুষ্ক এবং মাটি ছিল আগ্নেয় প্রকৃতির, যার ফলে মরুদ্যান বা পানির উৎস ছাড়া অন্য কোথাও কৃষিকাজ করা প্রায় অসম্ভব ছিল। মরুভূমির বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট গ্রাম ও শহরই ছিল এই অঞ্চলের সাধারণ দৃশ্য। মক্কা ও মদিনা (তৎকালীন ইয়াসরিব) ছিল এসব শহরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মদিনা একটি ক্রমশ প্রসারিত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠছিল, আর মক্কা ছিল একটি প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এটি ছিল নানা গোষ্ঠীর মিলনস্থল এবং হজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।[১২২] মুহাম্মাদের জীবনের শুরুর দিকে, তিনি যেই কুরাইশ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, সেই গোত্রটি পশ্চিম আরবে একটি প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হয়।[১২৩][১২৪] কুরাইশরা পশ্চিম আরবের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে কাবা ঘরের সঙ্গে যুক্ত করে এবং মক্কাকে একটি পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এর মাধ্যমে তারা একটি সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়ে তোলে এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে।[১২৪]
অজ্ঞতার যুগ
ইসলামি সাহিত্যে, ইসলাম-পূর্ব আরব সমাজকে আইয়ামে জাহেলিয়া অর্থাৎ "অজ্ঞতার যুগ" নামে অভিহিত করা হয়।[১২৫] এই শব্দটি ইসলামি যুগে প্রচলিত হয় এবং কুরআন ও হাদিসে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, ইসলাম আসার আগে আরবদের ধর্মীয় বিশ্বাস, চিন্তাধারা, আচরণ, সামাজিক জীবন ও নৈতিকতার যে অবস্থা ছিল, তা ছিল বিভ্রান্তিকর ও পাপপূর্ণ। এই ধারণাটি ইসলামি যুগের মূল্যবোধ ও শিক্ষার সঙ্গে পূর্ববর্তী যুগের পার্থক্য স্পষ্ট করতে ব্যবহৃত হয়েছে।[১২৫] জাহেলিয়া যুগের কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ব্যভিচার, পরকীয়া, চুরি, মূর্তিপূজা, অন্যায় ও সহিংসতা। সে সময় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লাগাতার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলত। ডাকাতি এবং দাসপ্রথা ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষ করে নারীদের প্রতি ছিল চরম অবমাননাকর আচরণ। নারীকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো এবং অনেক সময় পণ্যের মতো ক্রয়-বিক্রয় করা হতো। মেয়ে সন্তানকে অপমানজনক বলে মনে করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে কন্যাসন্তান জন্মানোর পরই তাকে জীবন্ত কবর দেয়ার ঘটনাও ঘটত।[১২৬]
ইসলামি ইতিহাসগ্রন্থ অনুযায়ী, জাহেলিয়া যুগের কবিতায় নারীর উপস্থিতি থাকলেও, সমাজজীবনে তাদের প্রকৃত মর্যাদা প্রতিফলিত হতো না। সমাজে নারীকে হীন ও অবমূল্যায়িত হিসেবে দেখা হতো। সীমাহীন বহুবিবাহ তখন সাধারণ ছিল। পতিতাবৃত্তি একটি স্বীকৃত পেশায় পরিণত হয়েছিল এবং অনেক দাস-মালিক তাদের নারীদাসীদের এ কাজে বাধ্য করত। নারীদের পিতার সম্পত্তিতে কিংবা স্বামীর উত্তরাধিকারে কোনো অধিকার ছিল না। এমনকি সন্তানরা চাইলে বাবার মৃত্যুর পর সৎ মাকে বিয়েও করতে পারত। বিবাহবিচ্ছেদ ছিল শুধুমাত্র পুরুষদের অধিকার এবং তারা ইচ্ছেমতো স্ত্রীকে তালাক দিতে পারত। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মধ্যে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করলে সেটিকে লজ্জার বিষয় মনে করা হতো এবং অনেক সময় তাদের হত্যা করা হতো।[১২৬] ইসলামি সমাজে জাহেলিয়া যুগের একটি নিষ্ঠুর রীতি হিসেবে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার ঘটনা গভীরভাবে স্মরণ করা হয়।[১২৭] কুরআনের সূরা তাকভীরের ৮ম ও ৯ম আয়াতে কন্যা শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এই ঘটনার সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে,
“ | যখন জীবন্ত পুঁতে-ফেলা কন্যা-শিশুকে জিজ্ঞেস করা হবে, কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে? | ” |
— সূরা তাকভীর, আয়াত ৮-৯, [১২৮] |
জাহেলিয়া যুগে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার প্রথা পুরো আরব সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল না, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘটত। বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট গোত্রের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যেত, অন্যদিকে অনেক গোত্রে এটি ছিল খুবই বিরল। সাধারণত শহর অঞ্চলের তুলনায় মরুভূমি ও গ্রামাঞ্চলে এই প্রথার ঘটনা বেশি ঘটত। মুহাম্মাদের গোত্র কুরাইশদের মধ্যেও এই প্রথা ছিল বলে জানা যায়, কিন্তু সেটি ব্যাপক ছিল না।[১২৭] আরেকটি দিক হলো, বলি দেওয়া বা অন্য কোনো কারণে শিশু হত্যার ঘটনা শুধু আরবদের মধ্যেই ছিল না; এ ধরনের আচরণ অন্য জাতিগুলোর মধ্যেও দেখা যেত।[১২৯]
উপাসনা ও ধর্মীয় গোষ্ঠী

ইসলাম-পূর্ব আরবের প্রতিটি গোত্রই একটি নির্দিষ্ট দেবতা বা দেবীকে তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে মানত। এসব দেব-দেবীর অস্তিত্ব পবিত্র গাছ, পাথর, ঝরনা বা কূপের সঙ্গে জড়িত ছিল। আরব সংস্কৃতি ও পুরাণে, এই দেব-দেবীদের প্রতীক হিসেবে তৈরি মূর্তিগুলোকে পবিত্র মনে করা হতো এবং সেগুলোকেই পূজার প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো।[১৩০] ইসলাম-পূর্ব আরব উপদ্বীপে অনেক পবিত্র স্থান ছিল, যেখানে ঘনক্ষেত্রাকৃতির মন্দির বা দেবালয় তৈরি করা হয়েছিল। আরবরা হারাম বা নিষিদ্ধ মাসগুলোতে এসব পবিত্র স্থানে যেত এবং সেখানে উপাসনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করত।[১৩১]
মক্কার কাবা এক সময় ৩৬০টি মূর্তির আবাসস্থল ছিল, যেগুলো বিভিন্ন আরব গোত্রের রক্ষাকর্তা দেবতা হিসেবে পূজিত হতো।[১৩০] লাত, মানাত ও উজ্জা নামে তিন দেবীকে প্রধান দেবতা ইলাহর কন্যা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সেই সময়কার অধিকাংশ আরবই বহুদেববাদ ও মূর্তিপূজায় বিশ্বাস করত।[১৩২] যদিও কিছু গোত্র আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাসী ছিল, তবুও পরকাল বা কিয়ামতের ধারণা তাদের মধ্যে বিস্তৃত ছিল না।[১৩২] অধিকাংশ মূর্তিপূজক এসব মূর্তিকে সরাসরি ঈশ্বর হিসেবে মানত না; বরং তারা বিশ্বাস করত, এই মূর্তিগুলো ঈশ্বরের নিকট পৌঁছানোর একেকটি মাধ্যম।[১৩২] হারাম মাস বা পবিত্র মাসগুলোতে, যখন যুদ্ধ নিষিদ্ধ ছিল, তখন আরবের বিভিন্ন গোত্র মেলা ও উৎসবে অংশগ্রহণ করত।[১৩৩] তারা নিজ নিজ গোত্রের উপাস্য দেবতার উদ্দেশে প্রার্থনা ও সিজদা করত, শ্রদ্ধা নিবেদন করত, দেবতার নামে কুরবানি দিত এবং দান করত। এরপর প্রতিটি গোত্র কাবা ঘর তাওয়াফ করত, যা সাধারণত উলঙ্গ অবস্থায় সম্পন্ন হতো।[১৩৪] এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে তারা দেবতাদের উপহার প্রদান করত, সুগন্ধি ব্যবহার করত এবং কেউ কেউ আগেভাগে উপবাস করত।[১৩৪] এ সময় বদনজর থেকে রক্ষা পাওয়ার বিশ্বাসে তাবিজ ও কবজ ব্যবহারের চলও ছিল ব্যাপক।[১৩৪]
আরব উপদ্বীপে তখনকার বহুঈশ্বরবাদী ও মূর্তিপূজার রীতিনীতির পাশাপাশি খ্রিস্টান, ইহুদি ও মাজুসদের মতো একঈশ্বরবাদী বিশ্বাসে বিশ্বাসী বিভিন্ন সম্প্রদায়ও বসবাস করত।[১৩৫] শক্তিশালী ইহুদি গোষ্ঠীগুলো দক্ষিণের ইয়েমেন ও উত্তর-পশ্চিমের মদিনাসহ কৃষিভিত্তিক মরুদ্যান শহরগুলোতে বসতি স্থাপন করেছিল। খ্রিস্টানরাও ইয়েমেন ও পূর্ব আরবে নিজেদের উপস্থিতি ও প্রভাব বিস্তারে সক্রিয় ছিল। যদিও একঈশ্বরবাদী ধর্মগুলো কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল, তবুও ঐতিহ্যগত বহুঈশ্বরবাদ তখনও আরব সমাজে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।[১২১] মুহাম্মাদের আবির্ভাবের সময় আরব উপদ্বীপ ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে গভীর বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।[১২১]
আরব উপদ্বীপে হানিফ নামে একটি একেশ্বরবাদী সম্প্রদায় বিদ্যমান ছিল, যারা মূর্তিপূজা ও বহুঈশ্বরবাদ থেকে বিরত থেকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করত।[১৩৬] অনেক সময় তাদের ভুল করে খ্রিস্টান বা ইহুদি হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।[১৩৭] ইসলামি দৃষ্টিকোণে, হানিফরা ছিলেন সেইসব ব্যক্তি, যারা ইসলাম-পূর্ব যুগে ইব্রাহিমের প্রচারিত একেশ্বরবাদী ধর্মের অনুসরণ করতেন।[১৩৮] কুরআনের একাধিক আয়াতে হানিফ শব্দের উল্লেখ রয়েছে, যেখানে হানিফদের ধর্মকে মুশরিক ও মূর্তিপূজকদের ধর্মের বিপরীতে এবং ইব্রাহিমের সত্য ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সূরা বাকারার ১৩৫ নং আয়াতে এ সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে—
“ | তারা বলে, "তোমরা ইহুদী বা নাসারা (খ্রিস্টান) হয়ে যাও তাহলে সঠিক পথ পাবে।" বলো, "বরং একনিষ্ঠ হয়ে ইব্রাহিমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্গত ছিলেন না"। | ” |
— সূরা বাকারা, আয়াত ১৩৫, [১৩৯] |
ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, মুহাম্মাদ একজন হানিফ ছিলেন, অর্থাৎ তিনি একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন এবং মূর্তিপূজাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। একইসঙ্গে, তাকে ইব্রাহিমের পুত্র ইসমাইলের বংশধর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১৪০][১৪১][১৪২]
নবি আগমনের প্রত্যাশা
ধর্মীয় প্রচলিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ইসলাম-পূর্ব যুগে কিছু হানিফ আরব কবি ছিলেন, যাদের অনেকেই অলৌকিক বা রহস্যময় ক্ষমতার অধিকারী বলে বিবেচিত হতেন। তাদের কবিতায় একজন নবির আগমনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। যদিও কুরআনে ভবিষ্যদ্বাণী বা ঐ ধরনের আধ্যাত্মিক অনুশীলনকে সমর্থন করা হয়নি, তবুও সে সময়কার আরব সমাজে এই কবিগণের বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হতো।[১৪৩]
কুরআনের সূরা সাফের ৬নং আয়াত অনুসারে, নবি ঈসা বনী ইসরাঈলকে সম্বোধন করে বলেছিলেন—
“ | স্মরণ কর, যখন মরিয়মের পুত্র ইসা বলেছিল, "হে বনী ইসরাঈল! আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহর রসূল, আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি একজন রাসুলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমাদ।" অতঃপর সে [অর্থাৎ ইসা যার সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়ে ছিলেন সেই নবি] যখন তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আসল, তখন তারা বলল, "এটা তো স্পষ্ট যাদু।" | ” |
— সূরা আস-সাফ, আয়াত ৬, [১৪৪] |
একটি প্রচলিত মত অনুযায়ী, মুহাম্মাদের নাম বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে ভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়েছে। এক হাদিসে বলা হয়েছে: “আমার নাম কুরআনে মুহাম্মাদ, ইঞ্জিলে আহমদ এবং তাওরাতে আহ্যদ।”[১৪৫] তবে বর্তমানের ইঞ্জিলসমূহে এই নামগুলোর সরাসরি উল্লেখ পাওয়া যায় না। যদিও, কিছু ইসলামি পণ্ডিতের মতে যোহন রচিত ইঞ্জিলে ব্যবহৃত পারাক্লিত শব্দটি মূলত মুহাম্মাদকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।[১৪৬] অন্যদিকে, খ্রিস্টধর্মে পারাক্লিতকে সাধারণত “পবিত্র আত্মা” হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।[১৪৭] যোহন ইঞ্জিলের ১৪তম অধ্যায়ে যিশু কর্তৃক “সত্যের আত্মা” নামে এক পারাক্লিতের আগমন সম্পর্কে বলা হয়েছে—
“ | আমি পিতার কাছে অনুরোধ করব, আর তিনি তোমাদের জন্য আরেকজন সহায়ক পাঠাবেন, যিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন। তিনি হচ্ছেন "সত্যের আত্মা"। পৃথিবী তাকে গ্রহণ করতে পারবে না, কারণ তারা তাকে দেখে না বা চেনে না। কিন্তু তোমরা তাকে চেন, কারণ তিনি এখনই তোমাদের সঙ্গে রয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও তোমাদের মধ্যে বাস করবেন। | ” |
— যোহন ইঞ্জিল, ১৪তম অধ্যায় : ১৬-১৭, [১৪৮][১৪৯] |
সপ্তদশ শতাব্দীর খ্যাতনামা উসমানীয় পর্যটক এভলিয়া চেলেবি[১৫০][১৫১] তার বিখ্যাত ভ্রমণবৃত্তান্ত সেয়াহাতনামাতে উল্লেখ করেছেন যে তিনি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে নাকুরা শহরের উপকণ্ঠে প্রেরিত পিতরের সমাধির কাছে একটি প্রাচীন ইঞ্জিলের পাণ্ডুলিপি খুঁজে পান।[১৫২] প্রেরিত পিতর ছিলেন যিশুর একজন ঘনিষ্ঠ শিষ্য ও প্রধান হাওয়ারী। চেলেবির ভাষ্যমতে, ওই পাণ্ডুলিপিতে মুহাম্মাদের আগমনের সুসংবাদ উল্লেখ ছিল এবং তিনি দাবি করেন যে এটি প্রেরিত পিতর স্বয়ং রচনা করেছিলেন।[১৫০][১৫৩][১৫৪] তবে পরবর্তী সময়ে এই পাণ্ডুলিপিটির আর কোনো নিদর্শন বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মক্কার জীবন
মক্কায় মুহাম্মাদের জীবনের ঘটনাপঞ্জি | ||
---|---|---|
মক্কায় মুহাম্মদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং স্থান | ||
তারিখ | বয়স | ঘটনা |
আনু. ৫৭০ | – | তার পিতা আবদুল্লাহর মৃত্যু |
আনু. ৫৭০ | ০ | সম্ভাব্য জন্ম তারিখ: ১২ বা ১৭ রবিউল আউয়াল: মক্কা, আরব |
আনু. ৫৭৭ | ৬ | তার মাতা আমিনার মৃত্যু |
আনু. ৫৮৩ | ১২–১৩ | তার দাদা তাকে সিরিয়ায় স্থানান্তরিত করেন |
আনু. ৫৯৫ | ২৪–২৫ | খাদিজার সাথে পরিচিত হন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন |
আনু. ৫৯৯ | ২৮–২৯ | তার প্রথম কন্যা জয়নাবের জন্মের পর পরই জন্ম নেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা |
৬১০ | ৪০ | মক্কার নিকটে অবস্থিত "আলোর পর্বত" খ্যাত জাবালে নূর নামক পর্বতের হেরা গুহায় কুরআনের ওহি (ঐশীবাণী) অবতরণ শুরু হয়। ৪০ বছর বয়সে ফেরেশতা জিবরাইল উক্ত পর্বতে মুহাম্মাদকে আল্লাহর রাসুল বলে সম্বোধন করেন |
মক্কায় গোপনে অনুসারী জড়ো করতে শুরু করেন | ||
আনু. ৬১৩ | ৪৩ | মক্কাবাসীর নিকট ইসলামের বার্তা প্রকাশ্যে প্রচার করতে শুরু করেন। |
আনু. ৬১৪ | ৪৩–৪৪ | মুসলিমদের উপর প্রচন্ড অত্যাচার শুরু হয় |
আনু. ৬১৫ | ৪৪–৪৫ | একদল মুসলিমের আবিসিনিয়ায় হিজরত |
আনু. ৬১৬ | ৪৫–৪৬ | বনু হাশিম গোত্রের বয়কট শুরু হয় |
৬১৯ | ৪৯ | বনু হাশিম গোত্রের বয়কট শেষ হয় |
শোকের বছর: খাদিজা (তার স্ত্রী) এবং আবু তালিব (তার চাচা) মারা যান | ||
আনু. ৬২০ | ৪৯–৫০ | লাইলাতুল মেরাজ (আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য স্বর্গে আরোহণের ঘটনা) |
৬২২ | ৫১–৫২ | মদিনায় হিজরত |
শৈশব ও কৈশোর

মুহাম্মাদের পিতা ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব এবং মাতা ছিলেন আমিনা, যিনি কুরাইশ গোত্রের ওয়াহাব ইবনে আবদ মানাফের কন্যা। মুহাম্মাদের জন্মের প্রায় পাঁচ বা ছয় মাস আগে তার পিতা আবদুল্লাহ মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর মুহাম্মাদের দায়িত্ব নেন তার দাদা আবদুল মুত্তালিব। তিনিই তার নাম রাখেন মুহাম্মাদ। ইতিহাসবিদদের মতে, স্বামীর মৃত্যুর কারণে শোকাহত ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরায় মাতা আমিনা শিশুকে সম্পূর্ণভাবে স্তন্যদান করতে পারেননি। তাই কিছুদিনের জন্য মুহাম্মাদকে স্তন্যদান করেন তার চাচা আবু লাহাবের দাসী সুওয়াইবা।[১৫৫] তৎকালীন আরব সমাজে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মক্কার শিশুদের কয়েক বছরের জন্য মরুভূমির বেদুঈন পরিবারের কাছে পাঠানো হতো। এটি করা হতো যাতে শিশুরা বিশুদ্ধ প্রকৃতির পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে এবং আরবি ভাষা শুদ্ধভাবে রপ্ত করতে পারে। এ সময় শিশুদের লালন-পালন ও স্তন্যদানের দায়িত্ব পালন করতেন কোনো বেদুঈন স্তন্যদাত্রী।[১৫৬][১৫৭] মুহাম্মাদের পিতা মারা যাওয়ায় অনেক স্তন্যদানকারী মহিলা মনে করেন, অনাথ শিশুর পরিবার থেকে তারা উপযুক্ত পুরস্কার বা সম্মাননা পাবেন না। এই কারণে কেউই মুহাম্মাদকে গ্রহণ করতে রাজি হননি।[১৫৬] তবে বনু সা'দ গোত্রের হালিমা নামের এক মহিলা, যিনি মক্কায় স্তন্যপানরত শিশু খুঁজতে এসেছিলেন, কোনো শিশু না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুহাম্মাদকে গ্রহণ করেন।[১০৮][১১১][১৫৬][১৫৮][১৫৯] এরপর মুহাম্মাদ হালিমা ও তার স্বামী হারিসের কাছে বড় হতে থাকেন এবং সেখানে দুই বা তিন বছর বয়স পর্যন্ত অবস্থান করেন।[১৬০] যখন মুহাম্মাদ স্তন্যপান ছাড়েন, তখন হালিমা তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন। তবে কিছুদিন পর তার শারীরিক অসুস্থতার আশঙ্কায় আমিনা আবার মুহাম্মাদকে হালিমার কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি আরও এক থেকে দুই বছর হালিমার পরিবারে অবস্থান করেন এবং সেখানেই লালিত-পালিত হন।

মুহাম্মাদ জন্মের পর প্রায় চার বছর পর্যন্ত তার দুধমা হালিমা সাদিয়ার কাছে ছিলেন। তার মা আমিনাও এই সময়ে তার দেখাশোনা করতেন। চার বছর বয়সে তিনি মায়ের কাছে ফিরে আসেন এবং ছয় বছর বয়স পর্যন্ত তার স্নেহ ও যত্নে বেড়ে ওঠেন।[১০৮] ছয় বছর বয়সে, মুহাম্মাদ তার মা আমিনা এবং ধাত্রী উম্মে আইমানের সাথে তার বাবার সমাধি দেখতে এবং কিছু আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করতে মদিনায় যাত্রা করেন।[১৬১] মদিনায় তিনি তার মায়ের আত্মীয় বনু নাজ্জার গোত্রের কাছে এক মাসের জন্য অবস্থান করেন। এরপর মক্কায় ফেরার পথে আবওয়া গ্রামে পৌঁছালে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন[১৬১] এবং সেখানেই খুব অল্প বয়সে মারা যান। তাকে সেখানেই সমাহিত করা হয়।[১৬২] ধাত্রী উম্মে আইমান মুহাম্মাদকে মক্কায় নিয়ে এসে তার দাদা আবদুল মুত্তালিবের কাছে হস্তান্তর করেন।
ছয় বছর থেকে আট বছর বয়স পর্যন্ত, তার দাদা আবদুল মুত্তালিব তার দেখাশোনা করেন। আবদুল মুত্তালিব বয়সের দিক থেকে আশি বছরেরও বেশি বয়স্ক এক বৃদ্ধ ছিলেন। মুহাম্মাদের আট বছর বয়সে, তার দাদাও অসুস্থ হয়ে মারা যান। মারা যাওয়ার আগে, তিনি তার পুত্র আবু তালিবকে তাকে লালনপালনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিছু উৎস বলে যে, আবদুল মুত্তালিব চেয়েছিলেন যে তার দুই পুত্র আবু তালিব এবং যুবায়েরের মধ্যে কুরা (ভাগ্য নির্ধারণের জন্য লটারি) টেনে মুহাম্মাদের লালনপালনের দায়িত্ব কার হবে তা নির্ধারণ করা হোক এবং কুরা আবু তালিবের পক্ষে এসেছিল।[১০৮] ফলস্বরূপ, মুহাম্মাদ তার বনু হাশিম গোত্রের নবনির্বাচিত নেতা চাচা আবু তালিবের অভিভাবকত্বে আশ্রয় লাভ করেন।[১৬৩]

কথিত আছে, মুহাম্মাদ যখন প্রায় ১২ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তার চাচা আবু তালিব ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া যান এবং তাকেও সাথে নিয়ে যান। এই ভ্রমণে তিনি বাইজেন্টাইন শাসিত বুসরা শহরে বহিরা নামে একজন খ্রিস্টান সন্ন্যাসীর সাথে পরিচিত হন।[১৬৪] ঐতিহ্য অনুসারে, বহিরা শিশু মুহাম্মাদকে পর্যবেক্ষণ এবং তার সাথে কথোপকথন করার পর তার চাচা আবু তালিবকে জানান যে তিনিই হবেন শেষ নবি।[১৬৫] এরপর তিনি শিশু মুহাম্মাদকে ইহুদি ও বাইজেন্টাইনদের হাত থেকে রক্ষা করার এবং শামে (তৎকালীন সিরিয়ার নাম) না যাওয়ার পরামর্শ দেন। এই কাহিনীর বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে, যা একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আধুনিক ঐতিহাসিকরা এবং মধ্যযুগের কিছু মুসলিম পণ্ডিত, যেমন ইমাম আয-যাহাবি, বহিরা ও মুহাম্মাদের মধ্যে সাক্ষাতের সমস্ত বর্ণনাকে কাল্পনিক হিসেবে বিবেচনা করেছেন।[১৬৪] পরবর্তী বছরগুলোতে, মুহাম্মাদ ১৭ বছর বয়সে তার অন্য চাচা যুবায়ের ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সাথে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইয়েমেনে যান। ধারণা করা হয় যে এই ভ্রমণগুলো মুহাম্মাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং মানসিক ভিত্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
এছাড়াও তার যৌবনে তিনি তার চাচাদের সাথে কুরাইশ ও কায়েস গোত্রের মধ্যে সংঘটিত ফিজার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধগুলোতে তিনি তলোয়ার হাতে লড়াই না করে শত্রুশিবির থেকে উড়ে আসা তীর ঢাল দিয়ে ঠেকাতেন এবং তীর সংগ্রহ করে তার চাচাদের হাতে তুলে দিতেন।[১৬৬] ফিজার যুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ১৭ বছর বয়সে মুহাম্মাদ হিলফুল ফুজুল নামের একটি শান্তি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন।[১৬৭]
ব্যবসায়িক জীবন ও খাদিজার সাথে বিবাহ
মুহাম্মাদের যৌবনকাল সম্পর্কে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক তথ্য সীমিত। এই সময়ের অনেক ঘটনার বর্ণনা খণ্ডিত এবং পরবর্তীকালের কিংবদন্তি ও লোককথার সঙ্গে মিশে গেছে, ফলে ইতিহাসের প্রকৃত তথ্য নির্ধারণ করা কঠিন।[১৬৮][১৬৯] তবে অধিকাংশ ইতিহাসবিদ মনে করেন যে, তিনি একজন দক্ষ ও সৎ ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ভারত মহাসাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত বাণিজ্যিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।[১৭০][১৭১][১৭২] ব্যবসায়িক জীবনে প্রবেশের আগে মুহাম্মাদ কিছু সময় তার চাচা আবু তালিবের আর্থিক সহায়তার জন্য পশুপালনে নিয়োজিত ছিলেন। পরিণত বয়সে তিনি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ব্যবসার প্রতি তার আগ্রহ ও দক্ষতা তাকে মক্কার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নারী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ করে দেয়।[১৭৩] ৫৯৪–৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদ খাদিজার ব্যবসায় অংশীদার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং তার মূলধন ব্যবহার করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।[১৭৪] মুহাম্মাদ তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সততা, নির্ভরযোগ্যতা ও উচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখার জন্য মক্কার সমাজে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেন।[১৭৫][১৭৬] তার চরিত্রের এই গুণাবলির কারণে মক্কার অধিবাসীরা তাকে আল-আমিন (الامين), অর্থাৎ "বিশ্বস্ত" উপাধিতে ভূষিত করে।[১৭৭][১৭৮] তিনি এতটাই নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচিত ছিলেন যে, নানা সময়ে সমাজে উদ্ভূত বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসায় তাকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হতো।[১৭৯][১৮০][১৮১]
ব্যবসায়িক লেনদেনের কয়েকটি অংশীদারিত্বের পর খাদিজা মুহাম্মাদের সততা, বিশ্বস্ততা ও চরিত্রে মুগ্ধ হন এবং তাকে অত্যন্ত পছন্দ করতে শুরু করেন। তিনি তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নফিসা বিনতে উমাইয়ার মাধ্যমে মুহাম্মাদের কাছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। মুহাম্মাদ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং নিজের চাচাদের নিয়ে খাদিজার অভিভাবকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান।[১৮২] খাদিজার অভিভাবকেরা প্রস্তাবটি সম্মতির সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের সময় মুহাম্মাদের বয়স ছিল আনুমানিক ২৩ থেকে ২৫ বছর[১৮৩][১৮৪][১৮৫] এবং খাদিজার বয়স ছিল প্রায় ৪০ বছর।[১৮৪][১৮৫] যদিও কিছু উৎসে দাবি করা হয়েছে যে, বিবাহের সময় খাদিজার বয়স ছিল ২০-এর শেষ দিকে বা ৩০-এর শুরুর দিকে,[১৮৬] তবে অধিকাংশ ইসলামি পণ্ডিত এই তথ্যগুলোকে ঐতিহাসিকভাবে দুর্বল ও নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাবে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না।[১৮৫]
ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, মুহাম্মাদ তার যৌবনে মক্কার প্রচলিত পৌত্তলিক বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি কোনো আগ্রহ দেখাননি, যদিও সে সময় এটি সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।[১৮৭] তবে তিনি অন্যদের এই রীতিপ্রথা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিরোধিতাও করেননি।[১৮৮][১৮৯] মক্কার সমাজে শিরক (বহু ইশ্বরের উপাসনা), মূর্তিপূজা, নৈতিক বিপর্যয় এবং সামাজিক অনাচার তখন সাধারণ জীবনের অংশ ছিল, যা মুহাম্মাদের কাছে অসহনীয় বলে বিবেচিত হতো।[১৯০][১৯১] এই নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অবক্ষয় তাকে গভীরভাবে বিচলিত করত।[১৯২][১৯৩] আত্মিক প্রশান্তি ও ন্যায়ের পথের সন্ধানে তিনি প্রায়ই নগরের কোলাহল থেকে সরে নির্জন স্থানে ধ্যান ও গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হতেন।[১৯৪][১৯৫] এই ধ্যানচর্চাই পরবর্তীকালে তার আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার ভিত্তি রচনা করে।[১৯৬][১৯৭]
নিম্নোক্ত কুরআনের আয়াতগুলো ইসলাম-পূর্ব মুহাম্মাদের অবস্থা আলোকপাত করে:[১৯৮][১৯৯]
“ | আমার নির্দেশের মূল শিক্ষাকে তোমার কাছে আমি ওহি যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী, ইমান কী, কিন্তু আমি একে (অর্থাৎ ওহি যোগে প্রেরিত কুরআনকে) করেছি আলো, যার সাহায্যে আমার বান্দাদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা আমি সঠিক পথে পরিচালিত করি। তুমি নিশ্চিতই (মানুষদেরকে) সঠিক পথের দিকে নির্দেশ করছ। | ” |
— সূরা শূরা, আয়াত ৫২ |
“ | তিনি তোমাকে পেলেন পথ সম্পর্কে অনবহিত, অতঃপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন। | ” |
— সূরা দুহা, আয়াত ৭ |
কাবা মধ্যস্থতা

মুহাম্মাদের ৩৫ বছর বয়সে, মক্কায় ঘন ঘন বন্যার কারণে কাবার কিছু অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর, তিনি কাবার মেরামতের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে জানা যায়।[২০০]
এই ঘটনার পর কুরাইশ গোত্র কাবা ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।[২০১] কিন্তু তাদের এই কাজের ফলে দেবতাগণ রুষ্ট হবেন এমন আশঙ্কা দেখা দেয়।[২০১] আরবদের মধ্যে ইব্রাহিমের আমল থেকেই কাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জ্ঞাপন একটি পবিত্র কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হম।[২০২] অবশেষে কুরাইশ গোত্রের এক প্রধান ব্যক্তি হাতে কোদাল নিয়ে এগিয়ে এসে বলেন, "হে দেবী! ভয় পেয়ো না! আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভালোর জন্য!" এবং কাবা ভাঙতে শুরু করেন।[২০১] মক্কার জনগণ সেই রাতে সতর্ক অবস্থায় ছিল এবং তাদের পবিত্র মন্দিরে হস্তক্ষেপ করার জন্য ঈশ্বরের শাস্তি নেমে আসবে কিনা তা ভেবে আতঙ্কিত ছিল। পরদিন সকালে, যখন তারা দেখতে পেল যে ব্যক্তিটি হাতুড়ি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন তারা এটিকে "ঈশ্বরের অনুগ্রহের নিদর্শন" হিসেবে ব্যাখ্যা করে।[২০১] এরপর কাবা ইব্রাহিমের স্থাপিত ভিত্তি পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয় এবং পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়। জেদ্দা উপকূলে একটি জাহাজ ভেঙে গিয়েছিল এবং সেই জাহাজে স্থাপত্যবিদ্যায় পারদর্শী একজন কারিগর ছিলেন। সেই জাহাজের মেরামতের সরঞ্জামও কিনে কাবার নির্মাণে ব্যবহার করা হয়।[২০২][২০৩]
ইবনে ইশাকের সংগ্রহিত একটি বর্ণনা অনুসারে, পুনর্নির্মাণ প্রায় সম্পূর্ণ হলে, কাবার হাজরে আসওয়াদ পাথরটি স্থাপন করার সম্মান কোন গোত্র পাবে তা নিয়ে গোত্রপ্রধানদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। সেখানকার এক বয়স্ক ব্যক্তি প্রস্তাব দেন যে কাবা অবস্থিত এলাকায়, অর্থাৎ মসজিদুল হারামে প্রবেশকারী পরবর্তী ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া হোক এবং তাকে হাকেম নিযুক্ত করা হোক। পরবর্তীতে মসজিদে প্রবেশকারী ব্যক্তি ছিলেন মুহাম্মাদ। সকলে অধীর আগ্রহের সাথে মুহাম্মাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রইল। মুহাম্মাদ কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর একটি চাদর আনার নির্দেশ দেন অথবা নিজের পোশাক খুলে চাদর হিসেবে ব্যবহার করেন। এরপর তিনি পাথরটি চাদরের মাঝখানে রাখেন এবং প্রতিটি গোত্রের গোত্রপ্রধানকে চাদরের এক প্রান্ত ধরে তুলতে বলেন। তারপর তিনি পাথরটি হাতে নিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করলেন।[২০১][২০৩] এই ঘটনা এবং আহল আল-কিসাতে বর্ণিত ঘটনার কারণে মুহাম্মাদের আবৃত পোশাক বা চাদর (আবা) পরবর্তীকালে কবি ও লেখকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়ে ওঠে।[২০৪]
প্রথম ওহী ও কুরআনের সূচনা

সিরাতের বর্ণনা অনুসারে, যখন মুহাম্মাদ ৪০ বছর বয়সের কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন তিনি প্রায়শই জনসমাগম থেকে দূরে সরে গিয়ে একাকীত্বে সময় কাটাতে শুরু করেন।[২০৫] এই অবস্থা প্রায় ১-২ বছর ধরে চলতে থাকে। মুহাম্মাদ মক্কা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে নূর পর্বতের হেরা গুহায় তার দাদা আবদুল মুত্তালিবের মতো প্রতি বছর কয়েক সপ্তাহ ধরে একা একা থেকে ইতিকাফ (ধ্যান) করতেন।[২০৬] ইসলামি শিক্ষা অনুসারে, ৬১০ খ্রিস্টাব্দে, রমজান মাসের একটি রাতে (কদর রাত) তিনি হেরা গুহায় চাদর জড়িয়ে ধ্যানে মগ্ন থাকাকালীন আল্লাহর নিকট হতে ফেরেশতা জিবরাইলের মাধ্যমে প্রথম ঐশ্বরিক বাণী (ওহী) লাভ করেন।[২০৭] ফেরেশতা তার কাছে এগিয়ে এসে বললেন, "পড়ুন!" কিন্তু মুহাম্মাদ নিরক্ষরতা স্বীকার করে বললেন যে তিনি পড়তে জানেন না। এরপর জিবরাইল মুহাম্মাদের আরও কাছে এসে তার কথাটি পুনরাবৃত্তি করেন; মুহাম্মাদও পুনরায় বললেন যে তিনি পড়তে জানেন না। এই ঘটনাটি আরও একবার ঘটে। অবশেষে জিবরাইল নিজেই আয়াতগুলো পড়ে শোনান এবং মুহাম্মাদ সেগুলো মুখস্থ করতে সক্ষম হন।[২০৮][২০৯] জিবরাইল যে আয়াতগুলো পড়ে শুনিয়েছিলেন, সেগুলো কুরআনের ৯৬তম সূরা সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর পূর্বাবধি মুহাম্মাদ যে ঐশ্বরিক বাণীগুলো (ওহী) লাভ করেছিলেন, সেগুলোই কুরআনের সকল সূরা ও আয়াত গঠন করে। ইসলামে বিশ্বাস, ইবাদত, শরিয়ত, নীতিশাস্ত্র, তাসাউফের মতো অনুশীলন ও বিষয়গুলোর ভিত্তি হিসেবে কুরআনকে ব্যবহার করা হয়।[১০৬][১০৭][২১০][২১১][২১২][২১৩]
“ | পড়ুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট-বাঁধা রক্তপিন্ড হতে। পাঠ করুন, আর আপনার রব মহা মহিমান্বিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে তা শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না। | ” |
— সূরা আলাক্ব, আয়াত ১-৫, [২১৪] |
প্রচলিত রিওয়ায়েত অনুযায়ী, মুহাম্মাদ প্রথম ঐশ্বরিক বাণী (ওহী) লাভ করার পর ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তখন ফেরেশতা জিবরাইল তার কাছে এসে বলেন যে, তিনি আল্লাহর রাসুল হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।[২১৫][২১৬] এরপর মুহাম্মাদ ঘরে ফিরে স্ত্রী খাদিজাকে ঘটনার বিবরণ জানান। খাদিজা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পর তাকে তার চাচাতো ভাই ও খ্রিস্টান পাদ্রী ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের কাছে নিয়ে যান।[২১৭] ওয়ারাকা মুহাম্মাদকে সান্ত্বনা দেন এবং তাকে শেষ নবি হিসেবে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, শিয়া ঐতিহ্য মুহাম্মাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করে। তাদের মতে, জিবরাইলের আবির্ভাবে মুহাম্মাদ ন্যূনতম বিস্মিত বা ভীত হননি, বরং তিনি যেন তার আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন, এমনভাবে তাকে স্বাগত জানান।[২১৮]

প্রথম ঐশ্বরিক বাণীর পর, মুহাম্মাদ এক দীর্ঘ সময় ধরে কোন নতুন বাণী লাভ করেননি। এই সময়কালকে ফাতরাতুল ওহী (ওহী বন্ধ) বলা হয়। এই সময়ে তিনি ধ্যান, প্রার্থনা এবং উপাসনায় মনোনিবেশ করেন। তবে, এই বিরতি তাকে উদ্বিগ্ন ও ভীত করে তোলে।[২১৯] এই অবস্থার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে দুঃখিত ও হতাশ বোধ করেন। কিন্তু কিছুদিন পরে, যখন ঐশ্বরিক বাণী পুনরায় শুরু হয়, তখন তিনি স্বস্তি পান এবং নির্দ্বিধায় মানুষকে সত্যের দিকে আহ্বান জানানোর নির্দেশ লাভ করেন। এই বিষয়ে কুরআনে বেশ কিছু আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, যেমন:[২২০][২২১]
“ | ওহে বস্ত্র আবৃত (ব্যক্তি)! উঠুন, সতর্ক করুন। আর আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন। | ” |
— সূরা মুদ্দাস্সির, আয়াত ১-৩ |
“ | আপনার প্রতিপালক আপনাকে কক্ষনো পরিত্যাগ করেননি, আর তিনি অসন্তুষ্টও নন। | ” |
— সূরা দুহা, আয়াত ৩ |
ইসলাম প্রচার, ধর্মগ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া

“ | সুতরাং তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা কর এবং ইবাদাত কর। | ” |
— সূরা নাজম, আয়াত ৬২ |
ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, মুহাম্মাদের আহ্বানে প্রথম সাড়া দেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন তার স্ত্রী খাদিজা, যখন তিনি প্রথম ওহী লাভ করে ঘরে ফিরে আসেন। তারপর তাকে অনুসরণ করেন তার চাচা আবু তালিবের পুত্র আলি, মুক্ত দাস যায়েদ ইবনে হারেসা এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকর।[২২২] এরপর তিন বছর ধরে মুহাম্মাদ কেবল তার আত্মীয়স্বজন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছেই ইসলামের প্রচার করেন।[২২৩] এরপর, বিশ্বাস অনুসারে, কুরআনে সূরা হিজরের ৯৪ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি সাফা পাহাড়ে উঠে সমগ্র মক্কার জনগণকে উন্মুক্তভাবে ইসলাম গ্রহণের ও মুসলিম হওয়ার আহ্বান জানান।
“ | কাজেই আপনাকে যে বিষয়ের হুকুম দেয়া হয়েছে তা জোরে শোরে প্রকাশ্যে প্রচার করুন, আর মুশরিকদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। | ” |
— সূরা হিজর, আয়াত ৯৪ |
কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ছিল বেশিরভাগই নেতিবাচক। এই কারণে প্রথম মুসলিমদেরকে ভারী অপমান ও নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছিল মক্কার অবিশ্বাসীদের কাছ থেকে, যারা মুহাম্মাদের নবুয়ত প্রাপ্তির বিষয়টিকে প্রথমে সন্দেহের চোখে দেখেছিল। শুরুতে, মুহাম্মাদ মক্কার নেতাদের কাছ থেকে তেমন কোনো বিরোধিতার সম্মুখীন হননি। তারা ইসলাম প্রচারের ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন।[২২৪] কিন্তু কিছুদিন পরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। কারণ মুহাম্মাদের এই একত্ববাদী বিশ্বাসের প্রচার মক্কার অভিজাতদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। তারা মনে করেছিল যে এতে তাদের সামাজিক অবস্থান বিপন্ন হতে পারে।[২২৫] বিশেষ করে কাবা থেকে মূর্তি সরিয়ে ফেলার বিষয়টি তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়, কারণ এটি ধারণা করা হয়েছিল যে এটি তীর্থকেন্দ্রিক বাণিজ্যকে ব্যাহত করবে এবং বহুঈশ্বরবাদী ও পৌত্তলিক রীতিনীতির অবসান ঘটাবে।[২২৬] এই সময়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের অধিকাংশই তাদের ধর্ম গ্রহণের ব্যপারটি গোপন করতে বাধ্য হয়েছিল।
মুহাম্মাদ কেবল মক্কার বহুঈশ্বরবাদী, পৌত্তলিক ও অবিশ্বাসীদেরই নয়, ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরও তাদের ধর্মের মূলনীতি বিকৃত হয়েছে উল্লেখ করে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান।[২২৭] এই এক ঈশ্বরবাদী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কেউ কেউ তার আহ্বান গ্রহণ করেছিলেন, আবার কেউ কেউ তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। প্রথম দিকে, মুহাম্মাদ কুরাইশ নেতাদের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হননি। কিন্তু যখন তিনি মূর্তিপূজা-অর্চনার সমালোচনা করে কুরআনের আয়াত পাঠ করতে শুরু করেন এবং পৌত্তলিক (মূর্তিপূজারী) পূজা-অর্চনাকারীদের জাহান্নামে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন, তখন কুরাইশরা তার প্রচারকে একটি বড় বিপদ হিসাবে দেখতে শুরু করে এবং তার একঈশ্বরবাদী বিশ্বাসের প্রতি আহ্বান বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে শুরু করে। মুহাম্মাদের দিন দিন অনুসারী বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাদের পৌত্তলিক বহুঈশ্বরবাদী বিশ্বাস ও আচরণের নিরলসভাবে সমালোচনা করছে দেখে কুরাইশরা তাকে হেয় করতে ও অপমান করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সহিংসতার আশ্রয় নেয়।[২২৪] মক্কী সূরাগুলো বিশ্লেষণ করলে এই প্রতিক্রিয়া এবং সহিংসতার প্রতিফলন দেখা যায়। মুহাম্মাদের ইসলাম প্রচার বন্ধ করার জন্য মক্কার অবিশ্বাসীরা তার চাচা আবু তালিবের সাথে মোট তিনবার সাক্ষাৎ করে। প্রথম সাক্ষাতে, আবু তালিব সৌজন্যতার সাথে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিলেন।[২২৮] দ্বিতীয়বার যখন কুরাইশরা তাকে চূড়ান্ত হুমকি দিয়েছিল,
“ | আমাদের মধ্যে বয়সে, সম্মানে ও পদমর্যাদায় আপনি বিশেষ স্থানের অধিকারী। আমরা চেয়েছিলাম যে, আপনি আপনার ভাতিজাকে বিরত রাখবেন। কিন্তু আপনি তাকে বিরত রাখেননি। স্রষ্টার কসম! আমরা আর এ ব্যক্তির ব্যাপারে ধৈর্য রাখতে পারছি না। কেননা এ ব্যক্তি আমাদের বাপ-দাদাদের গালি দিচ্ছে, আমাদের জ্ঞানীদের বোকা বলছে, আমাদের উপাস্যদের দোষারোপ করছে। এক্ষণে হয় আপনি তাকে বিরত রাখুন, নয়তো আমরা তাকে ও আপনাকে এ ব্যাপারে একই পর্যায়ে নামাবো। যতক্ষণ না আমাদের দু’পক্ষের একটি পক্ষ ধ্বংস হয়। | ” |
তখন তিনি তার ভাতিজা মুহাম্মাদকে ডেকে এনে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছিলেন,
“ | হে ভাতিজা! তোমার বংশের নেতারা আমার কাছে এসেছিলেন এবং তারা এই এই কথা বলেছেন।... অতএব তুমি আমার উপরে এমন বোঝা চাপিয়ো না, যা বহন করার ক্ষমতা আমার নেই। | ” |
মুহাম্মাদ তখন কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিলেন যে-
“ | হে চাচাজী! যদি তারা আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চন্দ্র এনে দেয় একত্ববাদের এই দাওয়াত বন্ধ করার বিনিময়ে, আমি তা কখনোই পরিত্যাগ করব না। যতক্ষণ না আল্লাহ এই দাওয়াতকে বিজয়ী করেন অথবা আমি তাতে ধ্বংস হয়ে যাই। | ” |
মুহাম্মাদ যখন অশ্রুসিক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন, আবু তালিব তাকে ডেকে বললেন, "যাও ভাতিজা! তুমি যা খুশী প্রচার কর। আল্লাহর কসম! কোন কিছুর বিনিময়ে আমি তোমাকে ওদের হাতে তুলে দেব না।" তৃতীয়বার যখন কুরাইশরা এসেছিল, তখন তারা আবু তালিবকে তার ভাতিজাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, আবু তালিব তীব্রভাবে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই সময়ে, কিছু কুরাইশেরা ব্যক্তিগতভাবে মুহাম্মাদের সাথে দেখা করে তাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে এবং তাকে অর্থ, পদ ও নারীর প্রস্তাব দেয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।[২২৮]
এই সময়ে, মক্কার দুই শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হামযা (মুহাম্মাদের চাচা) ও উমরের পরপর এবং কিছুটা আকস্মিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করা মুসলমানদের মনোবল ও সাহস বৃদ্ধি করে; এর ফলে তারা কাবায় গিয়ে প্রকাশ্যে নামাজ আদায় করে। মুহাম্মাদের চাচা আবু লাহাব ব্যতীত তার অন্যান্য আত্মীয়দের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া এবং মক্কার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণ, বহুঈশ্বরবাদী ও পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসীদের প্রতিক্রিয়া আরও বৃদ্ধি করে এবং মুসলিমদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তীব্রতর করে।[২২৮] এ সময় মক্কার মুশরিকরা আহলে কিতাবদের পরামর্শে মুহাম্মাদের সত্যতা যাচাই করতে তিনটি প্রশ্ন করে — কাহাফের যুবকরা, দুনিয়া ভ্রমণকারী ব্যক্তি ও আত্মার প্রকৃতি সম্পর্কে — এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী প্রাপ্ত হয়ে তাদের বিস্তারিত উত্তর দেন, যা সূরা কাহফ ও অন্যান্য সূরার মাধ্যমে বর্ণিত হয়।[২২৯] ৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে, মুহাম্মাদ তার কিছু অনুসারীকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য আবিসিনিয়ার আকসুম রাজ্যে হিজরত করতে পাঠান, যেখানে তারা খ্রিস্টান সম্রাট নাজাশি আসামাহ ইবনে আবজারের সুরক্ষায় একটি ছোট মুসলিম গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে।[২৩০] ইসলামের ইতিহাসে প্রথম হিজরত হিসেবে খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা মুহাম্মাদের আফ্রিকার সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।[২২৮]

দুই দফায় আবিসিনিয়ায় হিজরতকারীরা কিছু সময় পর মুহাম্মাদ ও মক্কাবাসীর মধ্যে মীমাংসা এবং সকলের ইসলাম গ্রহণের খবর পান। এই খবর শুনে হিজরতকারীদের কিছু অংশ মক্কায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কথিত আছে, মক্কার নিকটে পৌঁছালে তারা একটি কাফেলাকে কি ঘটেছে জিজ্ঞাসা করে। কাফেলা জানায়, মুহাম্মাদ প্রথমে তাদের দেবতাদের প্রশংসা করেছিলেন এবং কুরাইশরা তার কথা মেনে চলেছিল। কিন্তু পরে তিনি দেবতাদের নিন্দা করেন এবং কুরাইশরা আবার তার বিরোধিতা শুরু করে। ইবনে সা'দ কর্তৃক বর্ণিত এই ঘটনাটি ইতিহাসে "গারানিক ঘটনা" নামে পরিচিত। তবে ইসলামি বেশিরভাগ সূত্রগুলো বিভিন্ন কারণে বিষয়টির অস্তিত্ব অস্বীকার করে। যেমন, হাদিসের সনদে এর একটি ধারাবাহিকতাও না পাওয়া।[২৩১] এর পরিবর্তে, মুসলিম প্রসিদ্ধ উৎসগুলো বর্ণনা করে যে, মুহাম্মাদ মক্কায় সূরা নাজম পাঠ করলে উমাইয়া ইবনে খালফ ব্যতীত উপস্থিত মুসলিম ও অমুসলিম সকলেই সিজদা করে।[২৩২][২৩৩]
হামযা ও উমরের ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে মুসলিমদের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায়, কুরাইশরা তাদের দমন করার জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য কুরাইশরা বনু হাশিম ও মুত্তালিব গোত্রের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং তাদের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করে। কুরাইশরা তাদের সাথে কথা বলা ও লেনদেন করা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বয়কটের শর্তাবলী লিখে কাবার দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়।[২২৮] এর প্রতিক্রিয়ায়, মুহাম্মাদের চাচা আবু তালিব তাকে ও তার অনুসারীদের নিজের মহল্লায় নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেন। মক্কার মুশরিকদের সাথে যোগদানকারী আবু লাহাব ও তার পুত্ররা ব্যতীত মুহাম্মাদের সকল আত্মীয় ৬১৬ থেকে ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেখানেই বন্দিদশায় বসবাস করতে বাধ্য হয়। এই সমস্ত ঘটনার পরও মুহাম্মাদের নবুয়তের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় ছিল এবং তিনি আল্লাহর একত্ববাদের প্রচার করে যেতে থাকেন। এই পরিস্থিতি থেকে সাহস নিয়ে তিনি ধর্মীয় ক্ষেত্রে তার ইসলাম প্রচার মক্কার বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেন।
হিজরতের পূর্ববর্তী শেষ বছরগুলো

৬১৯ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশদের বনু হাশিম গোত্রের উপর আরোপিত বৃহৎ বয়কট সমাপ্ত হয়। বয়কটের অল্প কিছুদিন পর, মুহাম্মাদের চাচা আবু তালিব এবং তার স্ত্রী খাদিজা তিন দিনের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেন।[২৩৪] তার সবচেয়ে বড় সমর্থক এই দুজন প্রিয়জনের মৃত্যু মুহাম্মাদকে অত্যন্ত দুঃখিত করে।[২৩৪] খাদিজা ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং আবু তালিব ছিলেন মক্কার অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে তাকে সর্বদা রক্ষাকারী।[২৩৪] হাদিস অনুসারে, আবু তালিব মারা যাওয়ার পরে, কুরাইশরা মুহাম্মাদের উপর নির্যাতন আরও তীব্র করে তোলে। তারা তাকে গালি দিত, তাকে নোংরা জিনিস ছুঁড়ে মারত এবং এমনকি তাকে হত্যার চেষ্টা করত। উল্লেখ্য, খাদিজা ও আবু তালিবের মৃত্যুবরণ করা এই বছরটিকে দুঃখের বছর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
আবু তালিবের মৃত্যুর পর বনু হাশিম গোত্রের নেতৃত্ব মুহাম্মাদের চাচা ও বড় শত্রু আবু লাহাবের হাতে চলে যায়।[২৩৫] এরপর থেকে মুহাম্মাদ আরব উপজাতিদের কাছে নিজেকে নবি হিসেবে প্রচার করার এবং তাদের আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে আহ্বান জানানোর জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলা ও বাজারে চেষ্টা করতে শুরু করেন।[২৩৬] এই ভ্রমণগুলোতে মুহাম্মাদকে অনুসরণ করে আবু লাহাব লোকজনকে বলতেন যে, তিনি "বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তার কথা শোনা উচিত নয় এবং তাকে উপেক্ষা করা উচিত।"[২৩৫] অল্প কিছুদিন পর, আবু লাহাব মক্কার মুশরিকদের সহায়তায় গোত্রের মুহাম্মাদের উপর প্রদত্ত সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নেয়।[২৩৬] এই ঘটনা মুহাম্মাদকে মারাত্মক বিপদে ফেলে দেয় কারণ গোত্রের সুরক্ষা প্রত্যাহারের অর্থ ছিল যে, তাকে হত্যা করলে তার জন্য কোন রক্তপাতের প্রতিশোধ নেওয়া হবে না।
উল্লেখিত ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে মুহাম্মাদ আরবের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর তায়েফ যাত্রা করেন এবং সেখানে একজন গোত্রীয় সুরক্ষাদাতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তায়েফে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং তাকে আরও বেশি শারীরিক বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। তার পালিত পুত্র যায়েদ ইবনে হারেসার সাথে তাকে পাথর নিক্ষেপ করে ভয়াবহ রকমভাবে আহত করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।[২৩৭][২৩৮] অবশেষে মুহাম্মাদ মক্কায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। মুহাম্মাদ যখন মক্কায় ফিরছিলেন, তখন তায়েফের ঘটনাবলীর খবর আবু জাহেলের নিকট পৌঁছেছিল। সে বলল, "তারা তাকে তায়েফে প্রবেশ করতে দেয়নি, তাই আমরাও তাকে মক্কায় প্রবেশ করতে দেবো না।" পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে, মুহাম্মাদ একজন চলতি ঘোড়সওয়ারকে তার মায়ের গোত্রের সদস্য আখনাস ইবনে শুরায়কের কাছে বার্তা পৌঁছানোর অনুরোধ করেন। মুহাম্মাদ চেয়েছিলেন আখনাস তাকে নিরাপদে মক্কায় ঢোকার সুরক্ষা দেবেন। কিন্তু আখনাস তা প্রত্যাখ্যান করেন, এই বলে যে তিনি কেবল কুরাইশদের একজন মিত্র। এরপর মুহাম্মাদ সুহাইল ইবনে আমরের কাছে বার্তা প্রেরণ করেন, যিনি গোত্রীয় মর্যাদার কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরিশেষে, মুহাম্মাদ বনু নওফালের প্রধান মুতইম ইবনে আদির কাছে সুরক্ষার অনুরোধ পাঠান। মুতইম সম্মত হন এবং নিজেকে অস্ত্রসজ্জিত করে সকালে তার ছেলে ও ভাইপোদের সাথে মুহাম্মাদকে শহরে নিয়ে আসার জন্য রওনা দেন। আবু জাহেল তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করে যে মুতইম কেবল তাকে সুরক্ষা দিচ্ছেন, নাকি ইতোমধ্যে তিনি তার ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। মুতইম জবাবে বললেন, "অবশ্যই তাকে সুরক্ষা দিচ্ছি।" এরপর আবু জাহেল বলল, "তুমি যাকে রক্ষা করবে, আমরাও তাকে রক্ষা করব।" এভাবে মুহাম্মাদ নিরাপদে তার নিজ শহরে পুনঃপ্রবেশ করতে সক্ষম হন।[২৩৯]
আকাবার শপথ
আকাবার শপথ ছিল মুহাম্মাদ এবং কিছু ইয়াসরিববাসীর মধ্যে সম্পাদিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যা ইসলামের রাজনৈতিক ও সামরিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি করে।[২৪০] প্রথম শপথটি সংঘটিত হয় মুহাম্মাদের নবুয়তের দ্বাদশ বছরে (৬২১ খ্রিস্টাব্দে),[২৪১] যখন ইয়াসরিব (বর্তমান মদিনা) থেকে আগত দশজন খাযরাজ ও দুজন আউস গোত্রের প্রতিনিধি হজের মৌসুমে মিনার কাছে আকাবা নামক স্থানে গোপনে মুহাম্মাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।[২৪২] এই সাক্ষাতে তারা ইসলামের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এবং একটি নৈতিক চুক্তিতে আবদ্ধ হন,[২৪৩] যা পরবর্তীতে "আকাবার প্রথম শপথ" নামে পরিচিতি পায়। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল: আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছু শরিক না করা, চুরি ও ব্যভিচার না করা, সন্তান হত্যা না করা, মিথ্যা অপবাদ না দেওয়া এবং সৎ বিষয়ে মুহাম্মাদের অবাধ্য না হওয়া।[২৪৪][২৪০][২৪১] মুহাম্মাদ তাদের জানান, এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে তাদের প্রতিদান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত থাকবে, আর কেউ কোনো ভুল করে শাস্তি পেলে তা তার জন্য কাফফারা হবে, কিন্তু গোপন পাপ হলে তার বিচার হবে আল্লাহর ইচ্ছাধীন।[২৪০] শপথের পর মুহাম্মাদ ইসলাম প্রচার ও শিক্ষাদানের জন্য মক্কার তরুণ সাহাবি মুসআব ইবনে উমাইরকে ইয়াসরিবে পাঠান।[২৪৫] তিনি ইয়াসরিবের ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি আসাদ ইবনে জুরারার আতিথ্য গ্রহণ করে ইসলামের দাওয়াত দেয়া শুরু করেন এবং তার প্রচেষ্টায় সাদ ইবনে মুয়াজ ও উসাইদ ইবনে হুযাইরসহ বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করেন।[২৪২][২৪৫] অল্প সময়েই ইয়াসরিবে ইসলামের ব্যাপক বিস্তার ঘটে।[২৪৬]
পরবর্তী বছর, অর্থাৎ নবুয়তের ত্রয়োদশ বছরে (৬২২ খ্রিস্টাব্দে), হজের মৌসুমে ইয়াসরিব থেকে তেহাত্তরজন পুরুষ ও দুজন নারী আকাবায় মুহাম্মাদের সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাৎ করেন।[২৪৭][২৪৮][২৪২] এই সাক্ষাৎ ইতিহাসে "আকাবার দ্বিতীয় শপথ" নামে পরিচিত।[২৪৯] এবারকার চুক্তি ছিল আরও গভীর ও সামরিক প্রতিশ্রুতিমূলক।[২৪১] মুহাম্মাদ তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নেন যে, তারা তাকে রক্ষা করবে যেমন নিজেদের পরিবার ও সম্পদকে রক্ষা করে, শান্তিকালে এবং সংকটে তার আদেশ মান্য করবে, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলবে এবং আল্লাহর ব্যাপারে কাউকে ভয় করবে না।[২৪৭] প্রতিদানে মুহাম্মাদ তাদের জানিয়ে দেন যে, যদি তারা শর্তসমূহ পূরণ করে, তবে তাদের জন্য প্রতিদান হবে জান্নাত।[২৫০][২৫১] এই প্রতিশ্রুতির পর উপস্থিত তেহাত্তরজন পুরুষ মুহাম্মাদের হাতে একে একে বাইয়াত গ্রহণ করেন।[২৪৭] মুহাম্মাদ তাদের মধ্য থেকে বারোজন নেতাকে নাকিব (গোত্রপ্রধান বা প্রতিনিধি) হিসেবে মনোনীত করেন, যারা তাদের গোত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন।[২৪৮][২৫২][২৪১] দ্বিতীয় শপথে নারীরাও অংশ নেন, যদিও তাদের সঙ্গে হাত মেলানো ছাড়াই শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হয়।[২৫৩][২৪২]
মুহাম্মাদ এই সুযোগকে নিজের এবং তার অনুসারীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় লাভের পথ হিসেবে গ্রহণ করেন। ইয়াসরিবের আরব জনগোষ্ঠী ইতিমধ্যেই একেশ্বরবাদী ধারণার সঙ্গে কিছুটা পরিচিত ছিল, কারণ সেখানে বহুদিন ধরে একটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করছিল।[২৫৪] তাছাড়া ইয়াসরিবের কিছু অধিবাসী মনে করতেন যে মুহাম্মাদ ও তার নতুন ধর্মের মাধ্যমে তারা মক্কার উপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারবে। কেননা, কাবা তীর্থকেন্দ্র হওয়ায় মক্কা যে সামাজিক মর্যাদা ও প্রভাব ভোগ করত, তা ইয়াসরিববাসীদের মধ্যে ঈর্ষার উদ্রেক করেছিল।[২৫৫][২৫৬] এ শপথের সংবাদ কুরাইশদের কানে পৌঁছালে তারা ক্ষুব্ধ হয়, কিন্তু ইয়াসরিববাসীরা মুহাম্মাদকে রক্ষার অঙ্গীকারে অটল থাকে। এই দুই শপথ মদিনায় ইসলামের ভিত্তি সুদৃঢ় করে এবং মুহাম্মাদের হিজরতের পথ প্রস্তুত করে, যা পরবর্তীতে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।[২৪০]
মদিনায় হিজরত
আকাবার প্রতিশ্রুতির পর মুহাম্মাদ ইয়াসরিবকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচনা করেন এবং তার অনুসারীদের সেখানে হিজরত করার নির্দেশ দেন।[২৫৭] এর আগেও মুসলিমরা মক্কার নির্যাতন থেকে বাঁচতে হাবশায় আশ্রয় নিয়েছিল। তবে এবার ইয়াসরিবগামী হিজরত ঠেকাতে কুরাইশরা আরও সক্রিয় ও সতর্ক হয়ে ওঠে। এই সময়ের মধ্যে, মক্কার মুসলমানরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে মদিনায় হিজরত করতে শুরু করে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মক্কার অধিকাংশ মুসলমান মদিনায় স্থানান্তরিত হয়। শহরে শুধুমাত্র মুহাম্মাদ এবং আবু বকর ও তাদের পরিবার, আলি এবং তার মা এবং কিছু বয়স্ক মুসলমান এবং যারা মক্কাবাসীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে বন্দি ছিল তারা অবশিষ্ট ছিল।[২৫৮] মুহাম্মাদ এই কঠিন ও দীর্ঘ যাত্রার জন্য তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকরকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন এবং তাকে দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি তার চাচাতো ভাই আলিকে তার অপরিশোধিত ঋণ পরিশোধ করার জন্য এবং তার কাছে থাকা কিছু আমানত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য পিছনে রেখে যেতে চেয়েছিলেন।
মক্কার কুরাইশরা যখন দেখতে পেল যে তারা মুহাম্মাদকে তার একঈশ্বরবাদী প্রচারণা থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং মদিনায় অবস্থিত মুসলমানরা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তখন তারা আশঙ্কা করতে শুরু করল যে এই পরিস্থিতি তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই উদ্বেগের ভিত্তিতে তারা দারুন-নদওয়া নামক একটি সভায় মিলিত হয় এবং এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে।[২৫৯] আলোচনায় তারা উল্লেখ করে যে ইসলাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী পৌত্তলিক রীতিনীতি ও ব্যবস্থার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। সর্বোপরি, তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে মুহাম্মাদকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। এই কাজের জন্য বিভিন্ন গোত্র থেকে কয়েকজন শক্তিশালী তরুণ যুবককে নির্বাচিত করা হয়।
মুহাম্মাদ সেই রাতে যখন মক্কার কুরাইশদের হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার খবর পেলেন, তখন তিনি তার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। আলি তখন মুহাম্মাদের পোশাক পরে তার বিছানায় শুয়ে পড়েন। এতে করে হত্যাকারীরা ভেবেছিল যে মুহাম্মাদ এখনও ঘরেই আছেন।[২৬০] কিন্তু যখন হত্যাকারীরা সত্যিটা জানতে পারল, তখন মুহাম্মাদ ইতিমধ্যেই আবু বকরের সাথে মক্কা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মুহাম্মাদের চাচাতো ভাই আলি এই ষড়যন্ত্র থেকে জীবিত রক্ষা পান। তবে মুহাম্মাদের নির্দেশাবলী পালন করার জন্য তিনি কিছুদিনের জন্য মক্কায় অবস্থান করেন।[২৬১] পরে আলি তার মা ফাতিমা বিনতে আসাদ, মুহাম্মাদের কন্যারা, স্ত্রী সাওদা বিনতে জামআ, ধাত্রী উম্মে আইমান এবং বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে পড়া অন্যান্য মুসলমানদের সাথে যাত্রা শুরু করেন।[২৬১]

মক্কার মুশরিকরা যখন মুহাম্মাদকে তার বাড়িতে খুঁজে না পেয়ে এবং এরপর আবু বকরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও কোন ফলাফল না পেয়ে হতাশ হলো, তখন তারা চারপাশের সব এলাকা নিয়ন্ত্রণ ও তল্লাশি করতে শুরু করলো। তারা মুহাম্মাদ ও আবু বকরের মাথার দাম ঘোষণা করে চারদিকে প্রচারক পাঠালো।[২৫৮] এই সময় মুহাম্মাদ এবং আবু বকর শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাওর পর্বতের একটি গুহায় তিন দিন লুকিয়ে ছিলেন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তারা কৃষ্ণ সাগরের দিকে তুলনামূলক নিরাপদ পথে যাত্রা শুরু করেন।[২৫৮] মদিনায় নিরাপদে পৌঁছাতে তারা প্রধান ও ব্যস্ত রাস্তার পরিবর্তে বিকল্প পথ বেছে নেন এবং পাহাড়ি গিরিপথ ও মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাত্রা করেন। তবুও, মদিনায় পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত মক্কার মুশরিকদের তল্লাশি থেকে মুক্তি পেতে তাদের অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয় এবং মাঝে মাঝে প্রাণের ঝুঁকিও নিতে হয়।
মুহাম্মাদ এবং আবু বকর তাদের যাত্রার শেষ পর্যায়ে মদিনার কাছে কুবা নামক একটি গ্রামে পৌঁছান। সেখানে মুহাম্মাদকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং তিনি পূর্বে ইসলাম গ্রহণকারী কুলসুম ইবনে হিদমের বাড়িতে অতিথি হিসেবে অবস্থান করেন। কিছু তথ্য অনুসারে, মুহাম্মাদ সেখানে চার দিন এবং অন্য তথ্য অনুসারে দশ দিন অবস্থান করেন।[২৬২] এই সময়ের মধ্যে, তিনি কুবায় নিজেও নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণ করে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে মসজিদে কুবা নামে পরিচিত এই মসজিদটি ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। এই সময়ে আলি এবং তার সাথে থাকা মুসলমানরাও কুবায় পৌঁছান। এরপর মুহাম্মাদ ও অন্যরা সকলে একসাথে কুবা থেকে যাত্রা শুরু করেন এবং অবশেষে ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর মদিনায় পৌঁছান।[২৫৮]
মদিনার জীবন
৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদ যখন মদিনায় পৌঁছান, তখন সেখানকার মুসলিমরা তাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। প্রত্যেকেই চেয়েছিল মুহাম্মাদ যেন তাদের বাড়িতে অতিথি হিসেবে থাকেন। শেষ পর্যন্ত, মুহাম্মাদের উট যেখানে গিয়ে বসে পড়ে, তার কাছাকাছি বাস করা আবু আইয়ুব আনসারির বাড়িতে তিনি অবস্থান গ্রহণ করেন।[২৬৩] মদিনায় পৌঁছে মুহাম্মাদ একটি মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে, তিনি তার পরিবারের জন্য মসজিদের পাশে ঘর তৈরি করেন। মসজিদের এক পাশে গৃহহীনদের থাকার জন্য সুফফাহ নামে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করা হয়। সেখানে বসবাসকারী লোকদের আসহাবুস সুফফাহ বলা হতো। এই মসজিদটি পরে মসজিদে নববি নামে পরিচিত হয় এবং মুহাম্মাদের মদিনা-জীবনের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে নির্মিত অনেক মসজিদের জন্য এটি একটি আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়।[২৬৪]
মদিনার সনদ এবং মদিনা শহর রাষ্ট্র
মদিনা (যার আসল নাম ইয়াসরিব ছিল, মুসলমানরা শহরটিকে মদিনাতুন নবি এবং পরে সংক্ষেপে মদিনা বলে অভিহিত করেছিল) জনসংখ্যা ছিল মুহাজির নামে পরিচিত মক্কার অভিবাসী, আনসার নামে পরিচিত স্থানীয় জনগোষ্ঠী (বিশেষ করে ইয়েমেন বংশোদ্ভূত বনু আউস এবং বনু খাযরাজ গোত্র) এবং বনু কুরাইজা, বনু কায়নুকা ও বনু নাদির নামে পরিচিত ইহুদি গোত্র থেকে। তাদের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করা বেশ কঠিন ছিল। খায়বারের মতো মদিনার সীমানা সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী ইহুদিরা ধনী ব্যক্তি ছিলেন বলে তারা আশেপাশের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। আউস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে শেষবার ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত ঐতিহ্যবাহী শত্রুতা পুনরায় জাগরিত হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। এছাড়াও, আনসার ও মুহাজিরদের একত্রিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ছিল।
মুহাম্মাদ এই সকল শ্রেণীকে একত্রিত ও সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যে ছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অত্যন্ত দরিদ্র অভিবাসীদের অবস্থার উন্নতি করা। মুহাম্মাদ মুহাজিরদের স্থানীয় জনগণের সাথে ভ্রাতৃত্ব ঘোষণা করে তাদের সাহায্য করার ব্যবস্থা করেছিলেন। ইহুদিদের সাথে তার মতবিরোধ মিটিয়ে তিনি আশেপাশে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন শ্রেণীর অধিকার ও কর্তব্য নির্ধারণ করে ৪৭ ধারার "মদিনা সংবিধান" গ্রহণ করা হয়। এই সংবিধান মূলত এলাকার গোত্রীয় বিষয়গুলোকে সমাধান করে মদিনায় একটি বহু-ধর্মীয় ইসলামি রাষ্ট্র, অর্থাৎ মদিনা শহর রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করে;[২৬৫] এবং মুহাম্মাদ এই শাসনের প্রধান নির্বাচিত হন।
যদিও বেশিরভাগ পশ্চিমা ও মুসলিম পণ্ডিত মদিনার সংবিধানের লেখার বাস্তবতা সম্পর্কে একমত, এর প্রকৃতি - একটি চুক্তি নাকি মুহাম্মাদের একতরফা ঘোষণা, নথির সংখ্যা, প্রাথমিক পক্ষ, এবং লেখার নির্দিষ্ট সময়কাল - নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে।[২৬৬] জার্মান ধর্মতত্ত্ববিদ এবং প্রাচ্যবিদ জুলিয়াস ওয়েলহাউসেন ৪৭টি ধারার একটি সংস্করণ প্রস্তাব করেছিলেন, যা বেশিরভাগ পরবর্তী গবেষক অনুসরণ করেছেন। ভারতীয় পণ্ডিত মোহাম্মদ হামিদুল্লাহ ৫২টি ধারার সংস্করণ প্রস্তাব করেছিলেন, ওয়েলহাউসেনের ৪৭টি ধারা গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু কিছু ধারাকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছিলেন।[২৬৭] ইসরায়েলি পণ্ডিত মাইকেল লেকার ৬৪টি ধারার সংস্করণ প্রস্তাব করেছিলেন। ব্রিটিশ পণ্ডিত রবার্ট বি. সার্জেন্ট ৮টি আলাদা অংশ এবং মোট ৭০টি ধারার সংস্করণ প্রস্তাব করেছিলেন।
মুসলিম পণ্ডিতদের বর্ণনা অনুসারে, বিসমিল্লাহ-এর সাথে শুরু হওয়া দলিলের প্রথম ধারাটি নিম্নরূপ:[২৬৭]
“ | এই দলিলটি নবি মুহাম্মাদ কর্তৃক কুরাইশ ও ইয়াসরিবের মুমিনদের জন্য, তাদের অনুসারীদের জন্য, যারা পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগদান করেছিল এবং তাদের সাথে জিহাদ করেছিল তাদের জন্য প্রণীত। | ” |
— মদিনার সনদ, ধারা ১ |
মদিনার সনদ, ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রণীত একটি ঐতিহাসিক দলিল যা মদিনার বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি ও সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা করে। এর ২৫নং ধারাটি বেশ আকর্ষণীয়, কারণ এতে ইহুদি গোষ্ঠীগুলোকে উম্মাহের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং উভয় সম্প্রদায়ের জন্য নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।[২৬৭] ওয়াশবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এল. আলি খান এই দলিলকে একটি "সামাজিক চুক্তি" হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা একটি সনদের উপর ভিত্তি করে তৈরি। খানের মতে, এই দলিলটি "এক ঈশ্বরের আধিপত্যের অধীনে বসবাসকারী বিভিন্ন গোষ্ঠী দ্বারা গঠিত একক সম্প্রদায়ের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।"[২৬৮] মদিনার সংবিধানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মুসলমানদের মধ্যকার সম্পর্কের পুনর্নির্ধারণ। এই দলিলের মাধ্যমে মুসলমানরা রক্তের সম্পর্কের চেয়ে তাদের বিশ্বাসকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করে।[২৬৯] গোষ্ঠী পরিচয় বিভিন্ন গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করার জন্য এখনও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে নতুন করে গঠিত উম্মাহের জন্য প্রধান সংযোগকারী শক্তি ছিল ধর্ম।[২৭০] কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন উম্মাহ নামক এই নতুন সম্প্রদায়কে একটি নতুন গোষ্ঠীর সাথে তুলনা করা যেতে পারে, তবে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো এটি রক্তের সম্পর্কের পরিবর্তে ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি।[২৭০] এই বৈশিষ্ট্যটি গোষ্ঠী-ভিত্তিক সমাজে গঠিত ইসলাম পূর্ব আরবের রীতিনীতির সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। মদিনার এই ছোট মুসলিম গোষ্ঠীটির পরবর্তীতে একটি বিশাল মুসলিম সম্প্রদায় ও সাম্রাজ্যে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল।[২৭১]
মদিনার সংবিধান, যা মিসাক-ই-মদিনা নামেও পরিচিত, ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল এবং মদিনার বিভিন্ন ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সহাবস্থান প্রতিষ্ঠার জন্য নীতি নির্ধারণ করে। এই সংবিধানে অমুসলিমদের অধিকার বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ধর্মীয় সহনশীলতা ও ন্যায়বিচারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মদিনার সংবিধান অনুসারে মদিনায় বসবাসকারী অমুসলিমদের নিম্নলিখিত অধিকার ছিল:[২৭২]
- ধর্মীয় স্বাধীনতা: অমুসলিমদের তাদের নিজস্ব ধর্ম পালন করার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন, ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ ও সংরক্ষণ এবং ধর্মীয় নেতা নির্বাচনের অধিকার ছিল। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য তাদের কখনোই হয়রানি করা হতো না।
- রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা: মদিনার রাষ্ট্র অমুসলিমদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিত। বাইরের আক্রমণ থেকে মদিনা রক্ষা করার জন্য অমুসলিমদেরও সাহায্য করতে হতো।
- রাজনৈতিক অধিকার: অমুসলিমদের মদিনার রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণের অধিকার ছিল। তাদের নিজস্ব বিষয়ে স্বায়ত্তশাসন করার অধিকার ছিল। মুসলিমদের সাথে তাদের সমান অধিকার ছিল।
- অর্থনৈতিক অধিকার: অমুসলিমদের তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। তাদের সম্পত্তির মালিকানা ও উত্তরাধিকারের অধিকার ছিল। মুসলিমদের সাথে তাদের সমান অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ছিল।
- সামাজিক অধিকার: অমুসলিমদের মদিনার সমাজে সম্মানের সাথে বসবাস করার অধিকার ছিল। তাদের মুসলিমদের সাথে সমান সামাজিক ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল।

প্রথম জনগণনা এবং যুদ্ধের দিকে
মদিনায় শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পর মুহাম্মাদ একটি জনশুমারি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ মক্কার কাফেরদের সাথে যুদ্ধ এখন সময়ের ব্যাপার ছিল এবং এর জন্য মুসলমানদের সংখ্যার সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন ছিল।[২৭৪] সাহাবীদের সাথে আলোচনার পর মুহাম্মাদ তাদের মধ্যে কয়েকজনকে দায়িত্ব দেন এবং মুসলমানদের নাম ও সংখ্যা জানতে চান।[২৭৫] বিভিন্ন বর্ণনামতে এই সংখ্যা ৫০০ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে বলা হয়েছে।[২৭৪] তবে ধারণা করা হয় মুসলমানদের মোট সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০০ জন, যার মধ্যে ৬০০-৭০০ জন ছিল পুরুষ এবং ৫০০ জন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য সক্ষম।[২৭৪][২৭৫]
এই সময়ে, বিশ্বাস অনুযায়ী, সূরা হজের ৩৯ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ হয় যার মাধ্যমে মুসলমানদের যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হয়। মুহাম্মাদ এবং অন্যান্য মুসলমানদের হিজরতের পূর্বে ১২ বছরের সময়কালে যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এর আরেকটি কারণ ছিল মুসলমানদের পর্যাপ্ত সামরিক শক্তির অভাব। হিজরতের প্রথম বা দ্বিতীয় বছরে, বিশ্বাস অনুযায়ী, কেবলমাত্র মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত কুরআন আয়াতের মাধ্যমে যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়:[২৭৬][২৭৭]
“ | যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে, যাদেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কারণ তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দানে সক্ষম। | ” |
— সূরা হজ, আয়াত ৩৯ |
সশস্ত্র সংঘাতের সূচনা: বদর যুদ্ধ


বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ সশস্ত্র সংঘর্ষ, যা সংঘটিত হয় ২ হিজরি সনের ১৭ রমজান, অর্থাৎ ১৩ মার্চ ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে।[২৭৮] যুদ্ধস্থল ছিল হেজাজ অঞ্চলের বদর নামক একটি জলাধারসংলগ্ন এলাকা, যা মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক পথের মোহনায় অবস্থিত। এ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মুহাম্মাদ, আর কুরাইশদের নেতৃত্বে ছিলেন আমর ইবনে হিশাম (আবু জাহল)। যুদ্ধটি বদর আল-কুবরা এবং ইয়াওমুল ফুরকান নামেও পরিচিত, যা সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারক দিন হিসেবে স্মরণীয়।
বদর যুদ্ধের সূচনা ঘটে একটি বাণিজ্য কাফেলাকে লক্ষ্য করে পরিচালিত অভিযানের মাধ্যমে। সিরিয়া থেকে ফেরার পথে কুরাইশদের একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্য কাফেলা, যা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল, মুসলিমদের কাছে ন্যায্য প্রতিকারের একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।[২৭৯] কারণ, ওই কাফেলায় থাকা বিপুল সম্পদের একটি বড় অংশ ছিল সেই মুসলিমদের মালিকানাধীন, যাদের কুরাইশরা মক্কায় নিপীড়নের মাধ্যমে বসতভিটা ও সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছিল এবং যারা বাধ্য হয়ে মদিনায় হিজরত করেছিলেন।[২৮০] কাফেলার গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মুহাম্মাদ গোয়েন্দা পাঠান এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রাপ্তির পর তিনি সাহাবিদের উদ্দেশ্যে অভিযানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।[২৭৯] যেহেতু এটি সরাসরি যুদ্ধের জন্য ডাকা কোনো অভিযান ছিল না, বরং একটি সম্ভাব্য কাফেলা আটকানোর উদ্যোগ, তাই অনেক সাহাবি এতে অংশ নেননি এবং তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি।[২৮১]
আবু সুফিয়ান গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে মুসলিম অভিযানের খবর পেয়ে কাফেলার প্রতি সম্ভাব্য হুমকি শনাক্ত করেন। কৌশলে তিনি কাফেলার গতি পরিবর্তন করে নিরাপদ বিকল্প পথে চলতে থাকেন এবং দ্রুত এক দূতের মাধ্যমে মক্কায় বার্তা পাঠান। সংবাদ পেয়ে কুরাইশ নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং এক বিশাল বাহিনী গঠন করেন, যাতে ছিল আনুমানিক এক হাজার যোদ্ধা, ২০০টি ঘোড়া, ৬০০ ধাতব বর্ম ও বিপুল রসদ। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। পরে জানা যায় কাফেলা নিরাপদেই গন্তব্যে পৌঁছে গেছে এবং কিছু গোত্র যেমন: বনু জুহরাহ, বনু আদি যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ায়। কিন্তু কুরাইশ বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য, বিশেষ করে অভিজাত নেতৃবৃন্দ, সম্মান রক্ষার অজুহাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকেন। অন্যদিকে, মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৩১৩ জন। তাদের অধিকাংশই ছিলেন দরিদ্র ও অস্ত্রবিহীন। বাহিনীর কাঠামো গোত্রভিত্তিকভাবে বিন্যস্ত করা হয়। মুহাজিরদের নেতৃত্বে ছিলেন আলি ইবন আবি তালিব, আনসারদের পক্ষে ছিলেন সাদ ইবনে মুয়াজ, আর সামগ্রিক নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন মুহাম্মাদ নিজে। পুরো বাহিনীর কাছে ছিল মাত্র দুটি ঘোড়া এবং প্রায় সত্তরটি উট, যা যোদ্ধারা পালাক্রমে ব্যবহার করতেন।
যুদ্ধের সূচনা হয় আরব যুদ্ধপ্রথার রীতি অনুসারে একক দ্বৈরথের (মুবারাজা) মাধ্যমে।[২৮২] কুরাইশদের পক্ষ থেকে উতবা, শায়বা ও আল-ওয়ালিদ এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে হামযা, আলি ও উবাইদা অংশ নেন। এই দ্বৈরথে কুরাইশ যোদ্ধারা নিহত হন।[২৮১] এরপর পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হলে মুসলিমরা দ্রুত কৌশলগত অগ্রগতি অর্জন করেন। কুরাইশদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আমর ইবনে হিশাম নিহত হন এবং তাদের সৈন্যদের মধ্যে ভয় ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে কুরাইশদের ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বন্দি হন। মুসলিমদের নিহত হন ১৪ জন, যাদের মধ্যে ৬ জন মুহাজির এবং ৮ জন আনসার ছিলেন। যুদ্ধশেষে বন্দিদের মধ্যে দু'জনকে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের প্রতিশোধ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।[২৮১] বন্দিদের মধ্যে যারা সম্পদশালী ছিলেন, তাদের মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। যারা মুক্তিপণ দিতে পারেননি কিন্তু লেখাপড়া জানতেন, তাদের মদিনার দশজন নিরক্ষর মুসলিমকে পাঠদানের শর্তে মুক্তি দেয়া হয়। আর অন্যদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হয় অথবা অভিভাবকের জিম্মায় ফেরত পাঠানো হয়।
বদর যুদ্ধ মুসলিমদের জন্য প্রথম সামরিক বিজয় ছিল।[২৭৮] এই যুদ্ধ ইসলামি রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশকে রাজনৈতিকভাবে বৈধতা দেয়, মুসলিমদের আত্মবিশ্বাস ও ঐক্য দৃঢ় করে এবং মদিনা ও আশপাশের অঞ্চলে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে, যুদ্ধলব্ধ গনিমত মুসলিম সমাজে অর্থনৈতিক স্বস্তি আনে এবং ইসলামি যুদ্ধনীতির ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্রও প্রকাশ পায়।[২৮১]
উহুদের যুদ্ধ


উহুদের যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় সামরিক সংঘর্ষ, যা ৬২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ (৩ হিজরির ৭ শাওয়াল) শনিবার মদিনার উত্তরে উহুদ পর্বতের পাদদেশে সংঘটিত হয়।[২৮৩][২৮৪] এই যুদ্ধ বদরের যুদ্ধের প্রতিশোধে মক্কার কুরাইশদের পরিকল্পিত আক্রমণের প্রেক্ষিতে সংঘটিত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল মুসলিম শক্তিকে চূর্ণ করে তাদের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রভাব খর্ব করা। বদরে মুসলিমদের বিজয় কুরাইশদের জন্য এক বিরাট পরাজয় ছিল। যুদ্ধের পর নিহত নেতাদের আত্মীয়স্বজনদের চাপে কুরাইশদের নেতৃত্ব প্রতিশোধের প্রস্তুতি শুরু করে। আবু সুফিয়ান ইবনে হার্বের নেতৃত্বে কুরাইশ বাহিনী তিন হাজার সৈন্য, ২০০ উট ও ১০০ অশ্বারোহী নিয়ে মদিনার দিকে অগ্রসর হয়।[২৮৫] তাদের সঙ্গে কুরাইশ নারীরাও ছিল, যারা গান ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সেনাদের উজ্জীবিত করত।
মদিনা থেকে প্রায় এক হাজার মুসলিম যুদ্ধে অংশ নিতে রওনা হন।[২৮৪] কিন্তু আবদুল্লাহ ইবনে উবাই বিশ্বাসঘাতকতা করে তিনশ সৈন্য নিয়ে মাঝপথে ফিরে গেলে বাহিনীর শক্তি সাতশতে নেমে আসে। মুহাম্মাদ কৌশলগতভাবে উহুদের ঢালু অঞ্চলে পেছনে পাহাড় রেখে সৈন্য মোতায়েন করেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ টিলায় পঞ্চাশজন তীরন্দাজকে নিযুক্ত করেন।[২৮৪] তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল, যুদ্ধের পরিস্থিতি যাই হোক, মুহাম্মাদের নির্দেশ ছাড়া তারা যেন অবস্থান না ছাড়ে।[২৮৪] প্রথম পর্যায়ে মুসলিম বাহিনী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং কুরাইশ বাহিনী পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। কিন্তু বিজয়ের সম্ভাবনায় বিভ্রান্ত হয়ে তীরন্দাজদের অধিকাংশ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহে টিলা ত্যাগ করেন। এই ভুলের সুযোগ নিয়ে কুরাইশ সেনাপতি খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ তার অশ্বারোহী বাহিনীসহ পিছন দিক থেকে আক্রমণ চালান, ফলে মুসলিম বাহিনীর পেছনভাগ ভেঙে পড়ে।[২৮৩] এই আক্রমণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। মুহাম্মাদের চাচা হামযা ইবনে আবদুল মুত্তালিব যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন। তার মরদেহ বিকৃত করা হয় এবং তার কলিজা কেটে ফেলার ঘটনাও ইতিহাসে উল্লেখিত। মুহাম্মাদ স্বয়ং আহত হন এবং তার মৃত্যুর গুজবে মুসলিম বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে। একপর্যায়ে মুসলিমরা উহুদের ঢালে আশ্রয় নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কুরাইশরা ময়দান ছেড়ে চলে যায়, তবে তারা মদিনার ওপর চূড়ান্ত আক্রমণ চালায়নি।
যুদ্ধে ৪৪-৪৫ জন কুরাইশ এবং প্রায় ৭০ জন মুসলিম নিহত হন, যাদের অধিকাংশই আনসার গোত্রভুক্ত।[২৮৪] যুদ্ধশেষে নিহত মুসলিমদের উহুদের ময়দানেই দাফন করা হয়। এই যুদ্ধ মুসলিমদের জন্য এক কঠোর শিক্ষা ছিল। কুরআনে সূরা আল-ইমরানের ১৫২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের মোড় ঘুরে যাওয়ার কারণ ছিল কিছু তীরন্দাজের অবাধ্যতা ও পার্থিব লোভ। এই ব্যর্থতা ইমানের পরীক্ষা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হয়।
উহুদের যুদ্ধে সামরিকভাবে কুরাইশরা আংশিক বিজয়ী হলেও, তারা তাদের মূল লক্ষ্য মুহাম্মাদ ও ইসলামি আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করতে ব্যর্থ হয়।[২৮৩] অপরদিকে, মুসলিমদের জন্য এটি ছিল পুনর্গঠনের এক উপলক্ষ, যা তাদের শৃঙ্খলা, কৌশল ও ইমান আরও দৃঢ় করে। এ যুদ্ধেই খালিদ ইবনুল ওয়ালিদের কৌশলী নেতৃত্ব প্রথমবার প্রকাশ পায়, যিনি পরবর্তীতে ইসলামি ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপতিতে পরিণত হন। মক্কার বাহিনীর নেতা আবু সুফিয়ান এই যুদ্ধকে বদর যুদ্ধের প্রতিশোধ হিসেবে ঘোষণা করে।[২৮৫]
আল-রাজির অভিযান এবং বির মাউনার হত্যাকাণ্ড
৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষদিকে, উহুদের যুদ্ধের কিছু মাস পর ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে দুটি সাহাবি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল। দুটি দলই প্রতারণার শিকার হয়ে শত্রুর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়।[২৮৬] এই ঘটনাগুলো ইসলামের ইতিহাসে "আল-রাজির অভিযান" এবং "বির মাউনার হত্যাকাণ্ড" নামে পরিচিত।
আদাল ও কারাহ গোত্রের কিছু লোক মদিনায় এসে মুহাম্মাদের কাছে অনুরোধ জানায়, যেন তিনি ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার জন্য কয়েকজন সাহাবিকে তাদের সঙ্গে পাঠান। তারা দাবি করে, তাদের গোত্র ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী। মুহাম্মাদ বিশ্বাস করে ছয়জন সাহাবিকে পাঠান, অন্য বর্ণনায় এ সংখ্যা দশজনও বলা হয়েছে।[২৮৭] এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন আসিম ইবনে সাবিত।[২৮৬] তারা যখন আল-রাজি নামক স্থানে পৌঁছান, তখন হঠাৎ একদল সশস্ত্র লোক তাদের ওপর হামলা চালায়। জানা যায়, এ হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিশোধ। বনু লাহিয়ান গোত্র তাদের নেতা খালিদ ইবনে সুফিয়ানের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালায়। অধিকাংশ সাহাবি তখনই নিহত হন এবং যাদের জীবিত ধরা হয়, তাদের মক্কায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। বন্দিদের মধ্যে খুবাইব ইবনে আদি মৃত্যুর আগে নামাজ পড়ে নিহত হন। তার এই কর্ম মুসলিমদের মধ্যে মৃত্যুর আগে নামাজ পড়ার রীতি চালু করে।[২৮৬]
একই বছরে আরেকটি ঘটনা ঘটে যখন বনু আমির গোত্রের নেতা আবু বারা মুহাম্মাদের কাছে অনুরোধ করেন যেন তিনি তার গোত্রে ইসলাম প্রচারের জন্য কিছু সাহাবিকে পাঠান। আবু বারা ইসলামে দীক্ষিত না হলেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন।[২৮৮][২৮৯] মুহাম্মাদ এই আশ্বাসে প্রায় সত্তরজন কুরআন ও শরিয়তের জ্ঞানসম্পন্ন সাহাবিকে পাঠান, যাদের অধিকাংশ ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। নেতৃত্বে ছিলেন মুনযির ইবনে আমর। তারা বির মাউনা নামক স্থানে পৌঁছে অবস্থান নেন।[২৯০] প্রতিনিধি হারাম ইবনে মিলহান মুহাম্মাদের একটি চিঠি নিয়ে গোত্রপ্রধান আমির ইবনে তুফায়েলের কাছে যান। কিন্তু আমির তাকে হত্যা করে এবং পাশের কয়েকটি গোত্রকে প্ররোচিত করে সাহাবিদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এই হামলায় প্রায় সবাই নিহত হন।[২৮৮] কেবল কা’ব ইবনে যায়েদ গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে যান এবং আমর ইবনে উমাইয়া বন্দি হন। পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।[২৮৮]
এই দুটি ঘটনাই ইসলাম প্রচারের ইতিহাসে নিষ্ঠুরতা ও প্রতারণার দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। সাহাবিদের এই আত্মত্যাগ মুসলিম সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং পরবর্তীতে ইসলামি আন্দোলনের পথে আরও দৃঢ় সংকল্প গড়ে তোলে।
খন্দকের যুদ্ধ
খন্দকের যুদ্ধ, যা গাযওয়াতুল আহযাব নামেও পরিচিত, ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা যুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত।[২৯১] এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় হিজরি পঞ্চম বর্ষের শাওয়াল মাসে (মার্চ ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার উপকণ্ঠে।[২৯২][২৯৩][২৯৪][২৯৫] এটি ছিল ইসলামি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গঠিত বৃহৎ শত্রুজোটের মোকাবিলায় মুসলিমদের একটি প্রতিরোধমূলক যুদ্ধ।[২৯৬] এই যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে ইহুদি গোত্র বনু নাদিরের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। মদিনা থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা খায়বারে গিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব পোষণ করে এবং কুরাইশ, বনু গাতাফান, কিনানা, বনু আসাদ, বনু সুলাইমসহ আরও কিছু আরব গোত্রকে একত্রিত করে একটি সামরিক জোট গঠন করে।[২৯১] এই জোটকে ইসলামি সূত্রে আহযাব বা "বিভিন্ন দল" বলা হয়।[২৯৫] একে সমর্থন জানায় মদিনার অভ্যন্তরে অবস্থানরত ইহুদি গোত্র বনু কুরাইজাও, যারা মদিনার সংবিধানের অধীনে মুসলিমদের সঙ্গে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল।[২৯১]
মোট প্রায় দশ হাজার সৈন্য নিয়ে আহযাব বাহিনী মদিনার দিকে অগ্রসর হয়। অপরদিকে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজার। এমন অসম পরিস্থিতিতে সরাসরি যুদ্ধ অবাস্তব হওয়ায় মুহাম্মাদ সাহাবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান আল-ফারসি প্রস্তাব দেন শহরের উত্তরে পরিখা খননের, যা আরবদের কাছে একেবারে অচেনা কৌশল ছিল। এই প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং পরিখা খননের মাধ্যমে মুসলিমরা শহরের সেই দিককে সুরক্ষিত করেন, যেখান থেকে শত্রুদের প্রবেশের সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি। পরিখা খননের কাজ ছিল দারুণ কষ্টসাধ্য। প্রচণ্ড ঠান্ডা, দুর্ভিক্ষ ও শত্রুর আগমনের আতঙ্ক সত্ত্বেও সাহাবিরা দিনরাত পরিশ্রম করে খন্দক খনন করেন। মুহাম্মাদ নিজেও শ্রমে অংশগ্রহণ করেন, সাহাবাদের সঙ্গে কাঁধে মাটি বহন করেন, কবিতা আবৃত্তি করেন এবং তাদের মনোবল চাঙ্গা করেন। যুদ্ধে পরিখা খনন পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য পরবর্তীতে ইতিহাসে এটি "খন্দক বা পরিখার যুদ্ধ" নামে পরিচিতি পায়।
পরিখা খনন সম্পন্ন হওয়ার পর মিত্রবাহিনী মদিনায় এসে পড়ে এবং তারা পরিখা পার হতে না পেরে শহর অবরোধ করে। এই অবরোধ স্থায়ী হয় প্রায় তিন সপ্তাহ। মুসলিমরা তখন খাদ্যাভাবে ভোগেন, রাতে পাহারায় থাকেন এবং শীত ও অনিশ্চয়তার ভেতরে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন। এই সময়ই বনু কুরাইজা চুক্তি ভেঙে আহযাবদের পক্ষ নেয়, ফলে মুসলিমদের দক্ষিণ দিক থেকেও আক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে মুসলিমরা শহরের প্রতিরক্ষা অটুট রাখেন। আহযাব বাহিনীর মধ্যে নেতৃত্বসংকট, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতা দেখা দেয়। এক রাতে প্রবল শীত ও ঝড়ো বাতাসে তাদের শিবির অস্থির হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মিত্রবাহিনী যুদ্ধ ছাড়াই পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়।[২৯৭][২৯৮] মুসলিমদের দৃষ্টিতে, এই বিজয় ছিল ঐশী সহায়তার প্রতিফলন। অবরোধের অবসান ঘটলে মুহাম্মাদ বনু কুরাইজার দিকে অগ্রসর হন এবং বনু কুরাইজা অবরোধ করেন। এই গোত্র আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের বিচার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাদ ইবনে মুয়াজকে, যিনি রায় দেন যে, যুদ্ধে অংশ নেওয়া পুরুষদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, আর নারী ও শিশুদের বন্দি করা হবে। মুসলিমরা এই রায় কার্যকর করে।[২৯২][২৯৩][২৯৪]
খন্দকের যুদ্ধ ছিল একটি কৌশলগত বিজয়। এখানে কোনো বৃহৎ রক্তক্ষয় হয়নি, বরং মুসলিমরা প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধনীতি, কৌশলগত স্থিরতা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেন। এই যুদ্ধের পর মদিনার ওপর আর কোনো বাহ্যিক আক্রমণ সংঘটিত হয়নি।
হুদাইবিয়ার সন্ধি
খন্দকের যুদ্ধের পর মদিনাভিত্তিক মুসলিম সম্প্রদায় রাজনৈতিকভাবে আরও সুসংহত হয়ে ওঠে এবং কুরাইশদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ সাময়িকভাবে প্রশমিত হয়।[২৯৯] এই প্রেক্ষাপটে মুহাম্মাদ একটি স্বপ্ন দেখেন, যাতে তিনি তার অনুসারীদের সঙ্গে কাবাঘর তাওয়াফ করছেন।[৩০০] স্বপ্নটি তার কাছে ঐশী বার্তা হিসেবে প্রতিভাত হয় এবং তিনি ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।[২৯৯] ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রায় দেড় হাজার অনুসারী ও কিছু গোত্রীয় মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন।[২৯৯][৩০১] তীর্থযাত্রীদের মতো তারা ইহরাম পরিধান করেন এবং কুরবানির পশু সঙ্গে রাখেন, যা তাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের প্রকাশ ছিল।[৩০২] তবে কুরাইশরা এই যাত্রাকে সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে এবং মুহাম্মাদকে বাধা দেওয়ার জন্য সৈন্য প্রেরণ করে।[৩০৩] উত্তেজনা এড়াতে তিনি প্রচলিত পথ পরিহার করে মক্কার সীমানায় অবস্থিত হুদাইবিয়া নামক স্থানে অবস্থান নেন।[৩০৩][৩০১] এখানে তাঁবু স্থাপন করে তিনি কুরাইশদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং উসমান ইবনে আফফানকে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠান। কিন্তু তার নিরাপত্তা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়লে মুহাম্মাদ ঘোষণা দেন, যদি উসমানের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তবে এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার অনুসারীরা তাকে প্রাণ দিয়ে রক্ষার শপথ করে, যা বাইয়াতে রিদওয়ান নামে পরিচিত।[৩০৪] পরে জানা যায়, উসমান নিরাপদে রয়েছেন। তখন কুরাইশরা নিজেদের পক্ষ থেকে সুহাইল ইবনে আমরকে আলোচনার জন্য প্রেরণ করে।[৩০৫]
দীর্ঘ আলোচনার পর দুই পক্ষ একটি শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয়, যা "হুদাইবিয়ার সন্ধি" নামে পরিচিত। এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষ দশ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।[৩০৬] শর্তানুযায়ী, মুসলিমদের সে বছর ওমরাহ না করেই মদিনায় ফিরে যেতে হবে, তবে পরের বছর তারা তিন দিন মক্কায় অবস্থান করে তীর্থযাত্রা সম্পন্ন করতে পারবে। সঙ্গে শুধু সংবরণী তরবারি বহন করা যাবে।[৩০৬] আরও শর্ত ছিল, মক্কা থেকে কেউ ইসলাম গ্রহণ করে মদিনায় গেলে তাকে ফেরত পাঠাতে হবে, কিন্তু মুসলিমদের মধ্যে কেউ মক্কায় আশ্রয় নিলে তাকে ফেরত দেওয়া হবে না।[৩০৬] চুক্তিপত্র রচনার সময় আলী ইবনে আবি তালিব “মুহাম্মাদ, আল্লাহর রাসুল” লিখতে গেলে সুহাইল তাতে আপত্তি জানান, কারণ তিনি মুহাম্মাদের নবুওয়তে বিশ্বাস করতেন না।[৩০৭] ফলে শুধু “মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ” লিখে চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই সুহাইলের ছেলে আবু জন্দাল ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম শিবিরে আশ্রয় চাইলে, চুক্তির শর্তানুযায়ী তাকে তার পিতার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।[৩০৪] এতে মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিলেও মুহাম্মাদের নির্দেশে তারা কুরবানি সম্পন্ন করেন এবং মাথা মুণ্ডন করে হজযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।[৩০৮]
চুক্তি বাস্তবায়নের পরে কিছু নতুন জটিলতা দেখা দেয়।[৩০৯] মক্কা থেকে চলে আসা মুসলিম নারীদের কুরাইশদের কাছে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কুরআনের সূরা মুমতাহিনার ১০ নং আয়াতের মাধ্যমে নির্দেশ আসে যে, মুমিন নারীদের অবিশ্বাসীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।[৩০৪][৩১০][৩১১] অন্যদিকে যেসব মুসলিমদের চুক্তির শর্তে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে কিছু মুসলিম উপকূলবর্তী অঞ্চলে গিয়ে একটি গেরিলা দল গঠন করে এবং মক্কার বাণিজ্য কাফেলায় আক্রমণ শুরু করে।[৩১২] এতে বিব্রত কুরাইশরা মুহাম্মাদের কাছে অনুরোধ জানায় যাতে তিনি এদের পুনরায় মদিনায় আশ্রয় প্রদান করেন।[৩১২] দীর্ঘমেয়াদে হুদাইবিয়ার সন্ধি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এক কৌশলগত সাফল্যে পরিণত হয়।[৩১৩] এই চুক্তির মাধ্যমে কুরাইশরা মুহাম্মাদকে রাজনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং তার অনুসারীদের কাবায় তীর্থযাত্রার অধিকার স্বীকার করে। ফলে ইসলাম অন্যান্য গোত্রের মধ্যে অধিক গ্রহণযোগ্যতা পায়।[৩১৪] চুক্তির পরপরই মুহাম্মাদ খায়বার অভিযানে সাফল্য অর্জন করেন এবং তার প্রভাব ও কর্তৃত্ব আরব উপদ্বীপে আরও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে।[৩১৫] ইতিহাসবিদদের দৃষ্টিতে হুদাইবিয়ার সন্ধি ছিল সংঘাত পরিহার করে কূটনৈতিক দূরদর্শিতার মাধ্যমে ইসলামের অগ্রগতির একটি মাইলফলক, যা শেষপর্যন্ত মক্কা বিজয়ের পথ সুগম করে দেয়।[৩১৬]
ইসলামে আমন্ত্রণপত্র
৬২৮ খ্রিস্টাব্দে হুদাইবিয়ার সন্ধি সম্পন্ন হওয়ার পর, মুহাম্মাদ আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রের শাসকদের কাছে ইসলামে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠান। এই চিঠিগুলো ছিল ইসলামের বাণী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিষয়ে কুরআনে বেশ কিছু আয়াত রয়েছে। যেমন:
বলুন, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহর রসূল, (সেই আল্লাহর) যিনি আকাশসমূহ আর পৃথিবীর রাজত্বের মালিক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তিনিই জীবিত করেন আর মৃত্যু আনেন। কাজেই তোমরা ইমান আন আল্লাহর প্রতি ও তার প্রেরিত সেই উম্মী বার্তাবাহকের প্রতি যে নিজে আল্লাহর প্রতি ও তার যাবতীয় বাণীর প্রতি বিশ্বাস করে, তোমরা তার অনুসরণ কর যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার। [সূরা আরাফ, আয়াত ১৫৮][৩১৭] |
হে রসূল! আপনার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর, যদি না কর তাহলে আপনি তার বার্তা পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করলে না। মানুষের অনিষ্ট হতে আল্লাহ্ই আপনাকে রক্ষা করবেন, আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে কক্ষনো সৎপথ প্রদর্শন করবেন না। [সূরা মায়িদাহ, আয়াত ৬৭][৩১৮] |
আমি আপনাকে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। [সূরা সাবা, আয়াত ২৮][৩১৯] |
ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, মুহাম্মাদের মদিনা জীবনে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের চিঠি পাঠানোর বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে। চিঠি প্রাপকদের মধ্যে রয়েছে পূর্ব রোমান (বাইজেন্টাইন) সম্রাট হেরাক্লিয়াস (৬১০-৬৪১), সাসানি সম্রাট দ্বিতীয় খসরু (৫৯০-৬২৮), আবিসিনিয়ার রাজা নাজাশি, মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার পিতৃপতি মুকাওকিস, সিরিয়ায় শাসনকারী আরব বংশোদ্ভূত খ্রিস্টান গাসানীরা, ইয়েমেন, ওমান, বাহরাইন সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের শাসক।[৩২০] এই চিঠিগুলোর সত্যতা নিয়ে শিক্ষাবিদদের মধ্যে বিতর্ক থাকলেও,[৩২১] কতিপয় পক্ষ এগুলোকে ভুয়া বলে দাবি করলেও,[৩২২] জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও ইসলামি সাহিত্যের অধ্যাপক ইরফান শহীদ মনে করেন যে মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রেরিত এই চিঠিগুলোকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দেওয়া অন্যায়। তিনি বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াস (৬১০-৬৪১) কে লেখা চিঠিটির ঐতিহাসিকতা প্রমাণ করার জন্য সাম্প্রতিক গবেষণা উল্লেখ করেছেন।[৩২৩]
ইসলামি ইতিহাস অনুসারে, ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে, নবি মুহাম্মাদ বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের কাছে একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে তিনি সম্রাটকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানান। চিঠিটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য দাহিয়া কালবী নামে একজন সাহাবিকে দূত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।[৩২৪] ঐ সময়ে, সম্রাট হেরাক্লিয়াস সাসানির রাজা দ্বিতীয় খসরুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে জেরুজালেমে ধর্মীয় পরিদর্শনে ছিলেন।[৩২৪] দাহিয়া কালবীর মূল দায়িত্ব ছিল চিঠিটি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বুসরা প্রদেশের গভর্নরের কাছে হস্তান্তর করা। কিন্তু সম্রাটের ফিলিস্তিনে উপস্থিতির খবর পেয়ে তাকে সম্রাটের সামনে উপস্থিত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।[৩২৫] ইতিহাসে বলা হয়েছে যে দাহিয়া কালবী সরাসরি সম্রাট হেরাক্লিয়াসের সাথে দেখা করেছিলেন। ঐ সময়ে, মক্কার কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান ব্যবসার জন্য গাজায় অবস্থান করছিলেন। সম্রাটের আদেশে তিনিও এই সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন। হেরাক্লিয়াস নবি মুহাম্মাদের চিঠিটি সম্মানের সাথে গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তিনি আরও জানতে আগ্রহী ছিলেন। তবে, তিনি স্পষ্টভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি। নবি মুহাম্মাদের বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের কাছে চিঠি পাঠানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি ইসলামের প্রসারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে নবি মুহাম্মাদ শুধুমাত্র আরবের একজন নেতা ছিলেন না, বরং তিনি একজন বিশ্ব নেতা হিসেবে তার ভূমিকা পালন করছিলেন।[৩২৫] মুসলিম ঐতিহাসিকদের দ্বারা সংগ্রহ করা চিঠির নিম্নলিখিত অনুবাদ:
রহমান ও রহিম আল্লাহর নামে।
আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, মুহাম্মাদের পক্ষ হতে, রোমের সম্রাট হেরাক্লিয়াসের উদ্দেশ্যে...
যারা হেদায়েতের পথ অনুসরণ করে তাদের জন্য সালাম! আমি আপনাকে ইসলামে দাওয়াত জানাচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ করুন, যাতে আপনি মুক্তি পেতে পারেন এবং আল্লাহ আপনাকে এর দ্বিগুণ প্রতিদান দেবেন। যদি আপনি আমার এই দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আপনার সমস্ত প্রজার পাপ আপনার কাঁধে বইতে হবে।
বলুন, "হে আহলে কিতাব! এমন এক কথার দিকে আসো, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই, তা এই যে, আমরা আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো ইবাদাত করব না এবং কোন কিছুকে তার শরীক করব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাদের মধ্যে কেউ কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ করব না। তারপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলে দাও, তোমরা এ বিষয়ে সাক্ষী থাক যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৬৪)
ইরফান শহীদ দাবি করেন যে, বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসকে পাঠানো মুহাম্মাদের চিঠির চারপাশে তৈরি করা ইতিবাচক উপাখ্যানগুলো খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য।[৩২৩] অন্যদিকে, ইসলামি গবেষক মোহাম্মদ হামিদুল্লাহ এই চিঠির সত্যতা সমর্থন করেন এবং পরবর্তীতে একটি রচনায় মূল চিঠি বলে দাবি করা লেখাটিকে পুনর্গঠন করেন।[৩২৭]
এছাড়াও, এই চিঠিগুলো অন্যান্য শাসকদের কাছেও পাঠানো হয়েছিল। কিছু শাসক, যেমন মিশরের শাসক, এই চিঠিগুলোকে সহনশীলতার সাথে গ্রহণ করেছিলেন, অন্যদিকে সাসানি সাম্রাজ্যের শাসকের মতো কিছু শাসক সহিংসভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।[৩২০][৩২৮]
খায়বারের যুদ্ধ

হুদাইবিয়ার সন্ধির মাধ্যমে কুরাইশদের সঙ্গে একটি সাময়িক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, মুসলিম সম্প্রদায় তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশল পুনর্গঠনের সুযোগ পায়।[৩২৯] এই প্রেক্ষাপটে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে খায়বার অভিযানের সূচনা ঘটে।[৩৩০]
খায়বার ছিল মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইহুদি অধ্যুষিত জনপদ, যেখানে বনু নাদিরসহ বহুসংখ্যক ইহুদি গোত্র বসবাস করত।[৩৩১][৩৩২] বনু নাদিরের নেতারা মদিনায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে একাধিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল এবং খন্দকের যুদ্ধে কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্রকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংগঠিত করেছিল।[৩৩৩][৩৩৪] হুদাইবিয়ার শান্তিচুক্তির পর এই ইহুদি গোত্রগুলো ফের একত্রিত হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে। খায়বারের শাসকেরা বনু গাতাফান, বনু ফুযারা ও ফাদাকের মতো আরব গোত্রদের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক যৌথ প্রতিরক্ষা জোট গঠন করে।[৩৩৫][৩৩৬] এই পরিস্থিতিতে মুহাম্মাদ প্রায় ১,৪০০ মুসলিম সেনা নিয়ে ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে (৭ হিজরির শুরুতে) খায়বার অভিমুখে রওনা হন।[৩৩৭] খায়বারের দুর্গগুলো একে একে মুসলিমদের দখলে চলে আসে।[৩৩৮][৩৩৫] দুর্গগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম ও সুসজ্জিত ছিল আল-কামুস।[৩৩৮] এখানে প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হন মুসলিমরা।[৩৩৯] একাধিক সাহাবি যেমন আবু বকর ও উমর ব্যর্থ হওয়ার পর মুহাম্মাদ ঘোষণা দেন, “আগামীকাল আমি পতাকা দেব এমন একজনকে, যিনি আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালোবাসেন, আর আল্লাহ ও তার রাসুল তাকে ভালোবাসেন।”[৩৪০] পরদিন মুহাম্মাদ আলি ইবনে আবি তালিবকে সেই ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত করেন।[৩৪১] আলি মারহাব নামক খ্যাতিমান ইহুদি যোদ্ধাকে পরাজিত করে আল-কামুস দুর্গ জয় করেন।[৩৪২][৩৪৩]
এই অভিযানে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু সংঘবদ্ধতা, কৌশল ও দৃঢ় মনোবলের কারণে তারা পরপর সব দুর্গ দখলে নিতে সক্ষম হয়।[৩৩৮] খায়বারের ইহুদি বাসিন্দারা অবশেষে আত্মসমর্পণ করে।[৩৪৪] একটি চুক্তির মাধ্যমে কিছু শর্ত যেমন উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক মুসলিমদের দেয়ার বিনিময়ে তাদেরকে নিজেদের জমিতে অবস্থান ও চাষাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়।[৩৪৫] পরবর্তীতে এই শর্তসাপেক্ষ বসবাস জিম্মি ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামি আইনে স্বীকৃতি লাভ করে।[৩৪৬] এই বিজয়ে মুসলিমরা বিপুল সম্পদ ও অস্ত্রশস্ত্র লাভ করে, যা পরবর্তীতে ইসলামের সামরিক ও রাজনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৩৪৭] যুদ্ধের পর মুহাম্মাদের মর্যাদা আরবজুড়ে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেক বেদুইন গোত্র ইসলামের শক্তি ও ভবিষ্যৎ উপলব্ধি করে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করে।[৩৪৬] খায়বার যুদ্ধের মাধ্যমেই মুসলিম শক্তির এমন একমাত্রিক অবস্থান সৃষ্টি হয়, যা অল্পকাল পরেই মক্কা বিজয়ের পথকে সুগম করে।[৩৪৬]
মু'তার যুদ্ধ
মু'তার যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে (১ জমাদিউল আউয়াল, ৮ হিজরি), বর্তমান জর্ডানের মু'তা অঞ্চলে।[৩৪৮] এটি ছিল মুসলিম ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং তাদের আরব মিত্র ঘাসানিদদের মধ্যে প্রথম বড় সংঘর্ষ। যুদ্ধের কারণ ছিল ইসলামের একজন দূতকে ঘাসানিদ শাসক শুরাহবিল ইবনে আমর কর্তৃক হত্যা, যা কূটনৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়।[৩৪৯]
মুহাম্মাদ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ৩,০০০ সৈন্য প্রেরণ করেন।[৩৪৯] সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন যায়েদ ইবনে হারেসা, জাফর ইবনে আবি তালিব ও আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা।[৩৫০] যুদ্ধের ময়দানে এই তিনজনই নিহত হন। পরে খালিদ বিন ওয়ালিদ সেনাপতির দায়িত্ব নিয়ে[৩৫১] মুসলিম বাহিনীকে সংগঠিতভাবে পশ্চাদপসরণ করান।[৩৫২] খালিদের সাহসী নেতৃত্বে বাহিনী মদিনায় নিরাপদে ফিরে আসে। তার সাহসিকতার জন্য মুহাম্মাদ তাকে সাইফুল্লাহ বা “আল্লাহর তরবারি” উপাধি দেন।[৩৫০] যুদ্ধটি কৌশলগতভাবে বাইজেন্টাইনদের বিজয় হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ মুসলিম বাহিনী প্রধান লক্ষ্য পূরণ না করেই ময়দান ত্যাগ করে। তবে মুসলিম সেনারা অত্যন্ত সাহস ও শৃঙ্খলার সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং বিপরীত পরিস্থিতিতেও নিজেদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। মু'তার যুদ্ধে মোট ১২ জন[৩৫৩][৩৫০] বা তার অধিক মুসলিম নিহত হন।[৩৫৪] যুদ্ধে নিহত তিনজন মুসলিম সেনানায়কের কবর জর্ডানের আল-মাজার গ্রামে অবস্থিত, যেখানে পরবর্তীকালে তাদের স্মরণে একটি মাজার নির্মাণ করা হয়েছে।[৩৫২]
কিছু লোক মুসলিম বাহিনীর এই প্রত্যাবর্তনকে কাপুরুষতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করে।[৩৫০] তবে মুহাম্মাদ এই সমালোচনাকে অন্যায় বলে অভিহিত করেন এবং যোদ্ধাদের পক্ষ নিয়ে বলেন, তারা কখনো পিছু হটে পালিয়ে যায়নি; বরং সঠিক সময়ে আবার শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য কৌশলগতভাবে ফিরে এসেছে।[৩৫০] এই আশ্বাস বাস্তবায়িত হয় ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে, মুহাম্মাদের মৃত্যুর ঠিক আগে। তিনি তার পালকপুত্র ও সাহাবি উসামা ইবনে যায়িদকে একটি সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নিযুক্ত করেন।[৩৫৫] এই বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয় সিরিয়ার বালকা অঞ্চলে অভিযান চালাতে, যেখানে আগে মু'তার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই অভিযানে মুসলিম বাহিনী সফলভাবে বাইজেন্টাইন ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং আক্রমণ চালায়। এটিই ছিল ইসলামী ইতিহাসে বাইজেন্টাইন অঞ্চলে পরিচালিত প্রথম বিজয়ী অভিযান, যা পরবর্তীতে সিরিয়া ও মিশরের মুসলিম বিজয়ের পথ খুলে দেয়।
মক্কা বিজয়
মক্কা বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও রাজনৈতিক ঘটনা, যা সংঘটিত হয় ৮ হিজরি সনের ২০ রমজান (১০ জানুয়ারি ৬৩০ খ্রিস্টাব্দ)। [৩৫৬][৩৫৭] এর মূল পটভূমি গঠিত হয়েছিল হুদাইবিয়া চুক্তি ভঙ্গের মাধ্যমে।[৩৫৮] চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ গোত্রগুলোর মধ্যে শান্তি বজায় রাখার কথা ছিল। কিন্তু কুরাইশদের মিত্র বনু বকর গোত্র, মুসলিমদের মিত্র গোত্র বনু খুজাআর ওপর আকস্মিক হামলা চালায় এবং কুরাইশরা তাদের অস্ত্র ও গোপনে সহায়তা করে।[৩৫৯][৩৫৮] এতে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হয়। খুজাআ গোত্রের প্রতিনিধি দল মদিনায় এসে মুহাম্মাদের কাছে বিচারের আবেদন করে। তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে মক্কায় অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেন।[৩৫৮]
অভিযানের পরিকল্পনা ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। মদিনায় অবস্থানরত মুহাম্মাদ তার ঘনিষ্ঠ সাহাবিদের কাছ থেকেও উদ্দেশ্য গোপন রাখেন। তিনি মক্কার দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে ভিন্ন দিকে একটি সামান্য বাহিনী পাঠান যাতে দিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।[৩৬০] মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার, যার মধ্যে ছিলেন মুহাজির, আনসার এবং আশেপাশের গোত্রীয় মিত্রগণ।[৩৬১][৩৬২] মুসলিম বাহিনী ধীরে ধীরে মক্কার দিকে অগ্রসর হয়। মক্কার উপকণ্ঠে পৌঁছে পড়লে মুসলিম বাহিনী চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরে প্রবেশ করে। যদিও মক্কা বিজয় প্রায় সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ছিল, তবে একটি অংশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খালিদ ইবনুল ওয়ালিদের নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনীর একটি দল শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে অগ্রসর হলে কুরাইশের কিছু যোদ্ধা আমর ইবনে হিশামের নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সংক্ষিপ্ত এই সংঘর্ষে কুরাইশদের বারো জন এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে দুইজন নিহত হয়।[৩৬৩][৩৬৪] পরবর্তীতে কুরাইশ বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পিছু হটে যায় এবং মক্কা সম্পূর্ণরূপে মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে আসে। মক্কা বিজয় ছিল প্রায় রক্তপাতহীন। মক্কায় প্রবেশের পর মুহাম্মাদ কাবায় প্রবেশ করে তাওয়াফ করেন ও কাবার চারপাশের তিন শতাধিক মূর্তি ভেঙে ফেলেন এবং কুরআনের আয়াত উচ্চারণ করেন: "সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে।"[৩৬০][৩৬৫][৩৬৬] এরপর তিনি বিলাল ইবনে রাবাহকে নির্দেশ দেন কাবার ছাদে উঠে আযান দেওয়ার জন্য। এই ঘটনাটি ইসলামি ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে।[৩৬৭][৩৬৮]
বিজয়ের পর মুহাম্মাদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল সংগ্রামে লিপ্ত ব্যক্তিদেরও ক্ষমা করা হয়।[৩৬৯][৩৭০] বহু কুরাইশ নেতা, যারা আগে ইসলামের ঘোর বিরোধী ছিলেন, এই সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন আবু সুফিয়ান ইবনে হার্ব, তার স্ত্রী হিন্দ বিনতে উতবা, ইকরিমা ইবনে আবি জাহল, সুহাইল ইবনে আমর, সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া, উসমান আবু কুহাফাসহ অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ।[৩৭১][৩৭০] মক্কা বিজয়ের ফলে কুরাইশদের রাজনৈতিক প্রভাবের অবসান ঘটে এবং ইসলাম আরব উপদ্বীপজুড়ে এক নতুন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩৭২][৩৭১] ইসলামী রাষ্ট্রের কেন্দ্র মদিনা থাকলেও মক্কা হয়ে ওঠে ধর্মীয় প্রাণকেন্দ্র।[৩৭৩][৩৭৪] এই বিজয় ইসলামের অহিংস, ক্ষমাশীল ও নীতিনিষ্ঠ রূপকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে।[৩৬৯] বিজয়টি আল-ফাতহুল আজিম বা "মহাবিজয়" নামে পরিচিত।[৩৬১]
-
মুহাম্মাদ এবং মুসলিম বাহিনীর মক্কা অভিমুখে অগ্রযাত্রা, সিয়ার-ই-নবি, আনুমানিক ১৫৯৫ খ্রিস্টাব্দ।
-
-
মুহাম্মাদ মক্কা বিজয়ের পর কাবা ঘরে প্রবেশ করেন এবং সকল মূর্তি ধ্বংস করে দেন।
তাবুক অভিযান
তাবুক অভিযান ছিল ইসলামের ইতিহাসে মুহাম্মাদের শেষ সামরিক অভিযান, যা ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে (৯ হিজরির রজব মাস) তাবুকে সংঘটিত হয়।[৩৭৫][৩৭৬][৩৭৭] এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল রোমান সাম্রাজ্যের সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে, যখন খবর আসে যে তারা আরব সীমান্তে বিশাল বাহিনী জড়ো করছে।[৩৭৫] অভিযানের প্রস্তুতি ছিল কঠিন ও ব্যয়বহুল। প্রচণ্ড গরম, খাদ্য ও পানি সংকট, রসদের ঘাটতি এবং দীর্ঘ দূরত্বের কারণে এটি গাযওয়াতুল উসরা বা "কষ্টের অভিযান" নামে পরিচিতি পায়।[৩৭৮] কুরআনে এই অভিযানে অবহেলা ও পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিদের তীব্রভাবে ভর্ৎসনা করা হয়েছে এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রশংসা করা হয়েছে।[৩৭৯]
মুহাম্মাদ এই অভিযানে প্রায় ত্রিশ হাজার সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরের তাবুক অঞ্চলের দিকে রওনা দেন।[৩৭৬] সাধারণত তিনি যুদ্ধের গন্তব্য গোপন রাখতেন, কিন্তু এ যাত্রায় তিনি স্পষ্টভাবে রোমানদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন। মুসলিমদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া এবং দানের মাধ্যমে বাহিনী সজ্জিত করা হয়।[৩৮০] উসমান ইবন আফফান বিপুল পরিমাণ উট, রসদ ও অর্থ দান করেন; আবু বকর, উমর ও অন্যান্য সাহাবিরাও যথাসাধ্য সহযোগিতা করেন। দারিদ্র্যপীড়িত সাহাবিরাও অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে অংশগ্রহণের চেষ্টা করেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ইতিহাসে আল-বাক্কাউন (অশ্রুবর্ষণকারী) নামে পরিচিত। তাবুকে পৌঁছেও কোনো যুদ্ধ হয়নি।[৩৭৫] রোমান বাহিনী মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়িয়ে চলে যায়।[৩৭৬] মুসলিমদের এই প্রস্তুতি ও কৌশলগত শক্তির প্রভাবে তাবুক সংলগ্ন খ্রিষ্টান রাজ্যসমূহ, যেমন আইলা ও দুমাত আল-জান্দাল, মুহাম্মাদের সঙ্গে সন্ধিচুক্তি করে এবং জিজিয়া প্রদান করে ইসলামী রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব মেনে নেয়। যুদ্ধ ছাড়াই অর্জিত এই বিজয় ইসলামী রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক মর্যাদাকে সুদৃঢ় করে তোলে।[৩৭৬]
মুহাম্মাদ তাবুকে প্রায় বিশ দিন অবস্থান করেন, অতঃপর মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন।[৩৭৭] এই অভিযানে অংশ নেয়া মুসলিমদের আত্মত্যাগ ও আস্থা এবং অভিযানে অংশ না নেয়া মুসলিমদের কপটতা ও দুর্বলতা প্রকাশিত হওয়ায় একে আল-ফাদিহা অর্থাৎ "উন্মোচনকারী অভিযান" বলেও অভিহিত করা হয়।[৩৮১]
আরব বিজয়
মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মাদ হাওয়াজিন গোত্রের নেতৃত্বাধীন একটি মিত্রজোটের সামরিক হুমকির মুখে পড়েন। হাওয়াজিন ছিল ঐতিহাসিকভাবে মক্কার প্রতিপক্ষ এবং মুসলিমদের নিকট মক্কার পতনের পর তারা নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব গ্রহণ করে।[৩৮২] তারা ধারণা করেছিল যে মুসলিম বাহিনী বিজয়ের পর দুর্বল ও ছত্রভঙ্গ থাকবে। এই প্রেক্ষাপটে, মুহাম্মাদ হুনাইন নামক স্থানে হাওয়াজিন ও তাদের মিত্র বনু সাকিফ গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। সংঘটিত যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী শুরুতে বিভ্রান্ত হলেও পরে সংগঠিত হয়ে প্রতিপক্ষকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে।[৩৮৩]
তাবুক অভিযান সরাসরি কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই সমাপ্ত হলেও, এটি ছিল একটি কৌশলগত বিজয়। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় মুসলিম বাহিনীর শক্তি প্রদর্শন এবং স্থানীয় গোত্রগুলোর আত্মসমর্পণ ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বিস্তারের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে। এই অভিযানের পরবর্তী সময়ে আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল ও গোত্র মুহাম্মাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে শুরু করে।[৩৮৪] তাবুকের সফল অভিযান ইসলামের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করে এবং মুসলিম শাসনের অধীনে আরব ভূখণ্ড একীভূত হওয়ার পথ সুগম করে তোলে।[৩৮৫][৩৮৬]
মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মাদ আরব উপদ্বীপে ইসলামি একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাপক ধর্মীয় সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন।[৩৮৭] তিনি পূর্ব আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে অবশিষ্ট সব মূর্তি ধ্বংসের নির্দেশ দেন, যাতে মূর্তিপূজার চিহ্ন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয় এবং ইসলামি বিশ্বাসের ভিত্তিতে সমাজ পুনর্গঠিত হয়।[৩৮৮] এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পশ্চিম আরবের অন্যতম শক্তিশালী শহর তাইফ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাইফ ছিল পৌরাণিক দেবী লাতের প্রধান উপাসনাকেন্দ্র এবং দীর্ঘদিন ধরে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক। তায়েফবাসীরা মুসলিমদের কাছে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে মুহাম্মাদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তারা যতক্ষণ না ইসলাম গ্রহণ করবে এবং স্বেচ্ছায় লাতের মন্দির ধ্বংস করবে, ততক্ষণ তাদের আত্মসমর্পণ গ্রহণযোগ্য হবে না। শেষ পর্যন্ত তায়েফের নেতৃবৃন্দ ইসলাম গ্রহণে সম্মত হন এবং নিজেরাই লাতের বিখ্যাত মূর্তি ধ্বংস করেন।[৩৮৯] এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম আরবের ধর্মীয় প্রতিরোধের অবসান ঘটে।[৩৯০][৩৯১][৩৯২]
তাবুক অভিযানের এক বছর পর, ৯ হিজরিতে তাইফের শক্তিশালী গোত্র বনু সাকিফ মুহাম্মাদের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করে এবং ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ নিয়ে প্রতিনিধি দল পাঠায়। এই সময়ে আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন বেদুঈন গোত্রও ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ শুরু করে। অনেকেই তা করেন মুসলিম বাহিনীর ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি ও প্রভাবের কারণে; কেউ কেউ আবার তা করেন মুসলিম শাসনের নিরাপত্তা লাভ এবং যুদ্ধের সম্পদে অংশীদার হওয়ার আশায়। তবে বেদুঈনরা সাধারণত ইসলামের ধর্মীয় নীতিমালা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে অপরিচিত ছিল এবং নিজেদের গোত্রীয় স্বায়ত্তশাসন, ঐতিহ্য ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে আগ্রহী ছিল। মুহাম্মাদ স্পষ্ট করেন যে, ইসলামি রাষ্ট্রের আওতায় আসতে হলে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ও ধর্মীয় শর্ত মানতে হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল: মদিনাভিত্তিক ইসলামি নেতৃত্বকে স্বীকৃতি প্রদান, মুসলিম ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে আক্রমণ থেকে বিরত থাকা এবং নিয়মিত যাকাত প্রদানের মাধ্যমে ইসলামি অর্থব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করা। এই চুক্তিভিত্তিক আনুগত্যের মাধ্যমে মুহাম্মাদ ধীরে ধীরে গোত্রভিত্তিক সমাজকে কেন্দ্রীয় ইসলামি রাষ্ট্রের কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করেন। এই পর্যায়ে পুরো আরব উপদ্বীপ কার্যত ইসলামি রাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় একীভূত হয়, যা পরবর্তী সময়ে খিলাফতের প্রশাসনিক ভিত্তি নির্মাণে সহায়ক হয়।[৩৯৩]
বিদায়ী ভাষণ ও মৃত্যু

কিছু ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, মুহাম্মাদকে বিষ প্রদান করে হত্যা করা হয়েছিল।[৩৯৪] ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে, খায়বারের বিজয়ের পর, খায়বারের এক ইহুদি নারী, যার নাম ছিলো জয়নব, তার নিহত আত্মীয়দের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুহাম্মাদকে বিষাক্ত খাসির মাংস পরিবেশন করে। মুহাম্মাদ প্রথম খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই বুঝতে পারেন যে মাংসটি বিষাক্ত এবং তিনি তার সাহাবীদের সতর্ক করেন। তবে, সাহাবী বিশর ইবনে বেরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জয়নব পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করে ক্ষমা পান, তবুও মুহাম্মাদ দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনার কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।[৩৯৫]
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে (৯ই জিলহজ), মুহাম্মাদ তার বিদায়ী হজ পালন করেন। এই হজের সময়, তিনি আরাফাত পর্বতের রহমত পাহাড়ে ১০০,০০০ এরও বেশি মুসলমানের সমাবেশে বিদায়ী ভাষণ প্রদান করেন। হজ থেকে মদিনায় ফিরে আসার পর, মুহাম্মাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার জীবনের শেষ মুহূর্তে তার স্ত্রী আয়িশা এবং তার কন্যারা তার পাশে ছিলেন। বর্ণনা অনুসারে, তিনি মুসলিমদের উদ্দেশ্যে তার শেষ বাণীতে বলেছিলেন, "তোমাদের হাতে থাকা দাসদের প্রতি সদয় আচরণ করো, নামাজের প্রতি মনোযোগ দাও এবং নিয়মিত আদায় করো।"[৩৯৬] তিনি আয়িশার কোলে মাথা রেখে শাহাদাহ পাঠ করেন। তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা শেষ বাক্যটি ছিল আল্লাহুম্মা আর-রাফিকুল আলা... (যার অর্থ "সর্বোচ্চ বন্ধুর জন্য!"[৩৯৭])। ৮ই জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদ মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।[৩৯৮] তাকে মসজিদে নববির পাশে, আয়িশার ঘরের পাশে সমাহিত করা হয়।
মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর, সাহাবীরা তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকরকে নতুন নেতা (খলিফা) হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। মসজিদে নববিতে তার হাতে বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) গ্রহণ করে তাকে প্রথম খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৩৯৯] কিছুদিন পর, বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে ইরতিদাদের (ধর্মত্যাগ) ঘটনা ঘটতে থাকে। খলিফা আবু বকর সৈন্য নিয়ে এই বিদ্রোহী গোত্রগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালান এবং রিদ্দা যুদ্ধ নামে পরিচিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়।[৪০০]
সমাধি

হযরত মুহাম্মাদকে যেখানে তার মৃত্যু হয়েছিল, তার স্ত্রী আয়েশার ঘরেই তাকে দাফন করা হয়।[৪০১][৪০২] উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ প্রথমের শাসনামলে মসজিদে নববি সম্প্রসারণ করা হয় এবং মুহাম্মাদের সমাধি (রওজা মোবারক) স্থানটিকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৪০৩] ত্রয়োদশ শতকে মামলুক সুলতান মনসুর কালাউন নবি মুহাম্মাদের সমাধির উপর সবুজ গম্বুজটি নির্মাণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ষোড়শ শতকে উসমানীয় সুলতান সুলতান সুলাইমান গম্বুজটির রঙ সবুজে পরিবর্তন করেন।[৪০৪] নবি মুহাম্মাদের কবরের ঠিক পাশে তার সাহাবী এবং প্রথম দুই খলিফা আবু বকর ও উমর ইবনুল খাত্তাব-কে দাফন করা হয়েছে।[৪০১][৪০৫][৪০৬]
১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে সৌদ বিন আবদুল-আজিজ মদিনা দখল করলে মুহাম্মাদের সমাধি থেকে সোনা ও রত্ন খচিত সাজসজ্জা সরিয়ে ফেলা হয়।[৪০৭] সৌদের অনুসারী ওয়াহাবিরা মদিনার প্রায় সকল গম্বুজ ভেঙ্গে দেয় (মুহাম্মাদের সমাধি গম্বুজ ব্যতীত) যাতে মানুষ সেগুলোর পূজা না করে।[৪০৭] সেই হামলায় নিছক ভাগ্যের জোরে নবি মুহাম্মাদের রওজা মোবারক রক্ষা পায়।[৪০৮] ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে আবার যখন সৌদি মিলিশিয়ারা মদিনা পুনর্দখল করে, তখন তারা শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়।[৪০৯] ওয়াহাবি ইসলামি ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কবর চিহ্নিত না করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে।[৪০৮] যদিও সৌদিরা এই রীতিটি অনুসরণ করে না, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক হাজী এই রীতি পালন করতে মদিনায় আসে এবং অনেক হাজী এখনও সমাধিতে আয়াত পাঠ করতে থাকেন।[৪১০]
অলৌকিকত্ব
মুহাম্মাদকে আদরিত করা বাক্যের সংখ্যার মতো, মুজিজা বা অলৌকিক ঘটনার সংখ্যাও শতাব্দী ধরে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সূরা ইসরার ১ম আয়াতে উল্লেখিত ইসরা ও মিরাজ ঘটনাটি, যা সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে ঘটেনি, বাদ দিলে, কুরআনে সরাসরি মুহাম্মাদের ব্যক্তিগতভাবে করা কোন মুজিজার উল্লেখ নেই। তবে কিছু আয়াতের ব্যাখ্যা এবং হাদিস থেকে কিছু মুজিজার কথা জানা যায়।[৪১১] বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাদিসের বর্ণনা থেকে মুহাম্মাদের সাথে সম্পর্কিত প্রচুর সংখ্যক মুজিজার কথা জানা যায়। তবে, এসব হাদিস থেকে বর্ণিত অসংখ্য মুজিজার বর্ণনা কিছু ইসলামি গোষ্ঠী দ্বারা সন্দেহের সাথে দেখা হয়। অন্যদিকে, কিছু ইসলামি পণ্ডিত মনে করেন, মুহাম্মাদ অন্য নবিদের মতো স্পষ্ট মুজিজা দেখাননি, বরং তার একমাত্র মুজিজা হলো কুরআন, যা অনন্য এবং সকল ত্রুটি থেকে মুক্ত।[৪১২]
জন্মের রাতের অলৌকিক ঘটনা
ইসলামি তথ্যসূত্র অনুসারে, মুহাম্মাদের জন্মের পূর্বে সূর্যোদয়ের আগে কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল: কাবার বড় বড় মূর্তি নিজে থেকেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল; সাসানি সাম্রাজ্যের শাসক প্রথম খসরু পারস্যের রাজধানীতে অবস্থিত তার প্রাসাদের স্তম্ভগুলো ভেঙে পড়েছিল; হাজার বছর ধরে জ্বলন্ত জরাথুস্ট্রীয়দের পবিত্র আগুন নিভে গিয়েছিল; পারস্যের অগ্নিপূজারীদের পবিত্র মনে করা সাওয়া সরোবর মাটিতে ধসে গিয়েছিল; শতাব্দী ধরে শুকনো সেমাওয়া সরোবর পানিতে ভরে উঠেছিল; সেই রাতে আকাশে একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্র উদিত হয়েছিল, এমনকি কিছু ইহুদি পণ্ডিত এই নক্ষত্রের মাধ্যমে মুহাম্মাদের জন্মের সংবাদ পেয়েছিলেন।[৪১৩][৪১৪]
চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা

চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার মুজিজা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশ্বাস, যা মুহাম্মাদের প্রদর্শিত অন্যতম মহান মুজিজা হিসেবে বিবেচিত। কুরআনের সূরা ক্বামারের প্রথম আয়াত এবং সংশ্লিষ্ট হাদিসসমূহের ভিত্তিতে এই বিশ্বাস প্রচলিত। কুরআনে বলা হয়েছে,
“ | কিয়ামত আসন্ন। চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। | ” |
— সূরা ক্বামার, আয়াত ১, [৪১৫] |
অনেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, মুহাম্মাদ একবার একদল মক্কাবাসীর কাছে চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখান।[৪১৬] তিনি তার আঙুল দিয়ে ইশারা করলে চাঁদ দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার চাঁদ একত্রিত হয়ে যায়।[৪১৭]
এক রাতে, মক্কার কিছু মূর্তিপূজক মুহাম্মাদের কাছে এসে তাকে চাঁদকে দুই ভাগ করার জন্য অনুরোধ করল। তারা বলেছিল যে যদি তিনি এটি করতে পারেন, তাহলে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে।[৪১৬] মুহাম্মাদ সারা রাত ভাবলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন। এরপর তিনি তার তর্জনী চাঁদের দিকে তুলে ধরলেন এবং চাঁদকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দিলেন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য চাঁদ দুই টুকরো হয়ে আকাশে ঝুলন্ত ছিল, তারপর আবার একত্রিত হয়ে গেল। এই অলৌকিক ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখার পরও, মক্কার মূর্তিপূজকরা এটিকে জাদু বা বর্ম বলে অভিহিত করে মুহাম্মাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে অস্বীকৃতি জানায়।[৪১৮]
পূর্ণিমা চাঁদ দুই টুকরো হয়ে, এক টুকরো মক্কার একটি পাহাড়ের পেছনে এবং অন্য টুকরো পাহাড়ের সামনে নেমে আসার পর আবার আকাশে মিলিত হওয়ার ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আলেম, হাদিস সমালোচক এবং ইসলামি দার্শনিকদের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাখ্যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছে। কিছু গবেষক মনে করেন, এই ঘটনার বর্ণনা যে হাদিসগুলোতে পাওয়া যায়, সেগুলো দুর্বল, অবিশ্বস্ত এবং বানোয়াট।[৪১৯][৪২০] অন্যদিকে, ইসলামি দার্শনিকদের মতামত হলো কুরআনের সূরা ক্বামারের আয়াতগুলো রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ আসলে চাঁদ দুই টুকরো হওয়ার ঘটনাটি ঘটেনি। কিছু লোক মনে করেন, এটি একটি দৃষ্টিভ্রম ছিল। আবার কিছু তাফসিরকারী মনে করেন, আয়াতে বর্ণিত বিভাজনটি ভবিষ্যতে কিয়ামতের সময় ঘটবে।
ইসরা ও মিরাজের ঘটনা

মুহাম্মাদেরহিজরতের দেড় বছর আগে ইসরা ও মিরাজের ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হয়।[৪২২] মুসলিমরা সাধারণত ইসরা কে মক্কা থেকে জেরুসালেম পর্যন্ত মুহাম্মাদের ভ্রমণ এবং মেরাজকে জেরুসালেম থেকে সপ্ত আসমান পর্যন্ত তার উর্ধ্বারোহণ হিসেবে বিশ্বাস করেন। এই ঘটনা অনুসারে, এক রাতে মুহাম্মাদ জিবরাইলের সঙ্গে বোরাক নামক এক বাহনে চড়ে মসজিদুল আকসায় যান। সেখানে তিনি ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি সিদরাতুল মুনতাহা (সপ্তম আসমানের সর্বোচ্চ স্তর) পর্যন্ত আরোহণ করেন। সেখানে তিনি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন, জান্নাত ও জাহান্নাম অবলোকন করেন এবং তারপর নিজগৃহে ফিরে আসেন। সুন্নি বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ভ্রমণের সময়, অন্যান্য বিধানের পাশাপাশি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল। সুন্নি বিশ্বাস অনুযায়ী, মুহাম্মাদ এই ভ্রমণটি শরীর ও রুহ দিয়ে করেছিলেন। অন্যদিকে, শিয়া বিশ্বাস অনুযায়ী এই ভ্রমণ নবি মুহাম্মাদ শুধুমাত্র রুহ দিয়ে করেছিলেন।[৪২৩]

বর্ণনা অনুসারে, মুহাম্মাদ মেরাজ থেকে ফিরে এসে মক্কার লোকদের কাছে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তার বন্ধু আবু বকর তাকে বিশ্বাস করলেও, কুরাইশরা তাকে মিথ্যাবাদী বলে অভিযুক্ত করে। তারা তাকে যদি সত্যিই মেরাজে গিয়ে থাকেন তবে মসজিদুল আকসা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে বলেন। তখন আল্লাহর ইচ্ছায় মসজিদুল আকসার দৃশ্য মুহাম্মাদের চোখের সামনে এসে উপস্থাপিত হয়। তিনি মসজিদের দরজা, জানালা এবং অন্যান্য বিশদ বিবরণ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। এমনকি, তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে কুরাইশদের বলেন যে, মিরাজের সময় তিনি যে কুরাইশি ব্যবসায়ীদের কাফেলা দেখেছিলেন, তারা পরের দিন নির্দিষ্ট সময়ে এসে পৌঁছাবে। কুরাইশিরা অবাক হয়ে দেখে যে, ঠিক মুহাম্মাদ যে সময় বলেছিলেন, ঠিক সেই সময়ই কাফেলাটি এসে পৌঁছায়। অন্য কিছু বর্ণনা অনুসারে, কাফেলাটি আসলে এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু, আল্লাহ্ তাআলার বিশেষ ইচ্ছায় সূর্যোদয় এক ঘন্টা দেরিতে ঘটে এবং মুহাম্মাদের ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক প্রমাণিত হয়। এই ঘটনা মুহাম্মাদের নবুয়তের সত্যতার আরও একটি প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। মেরাজের মাধ্যমে আল্লাহ তার প্রিয় নবিকে বিশেষ সম্মান এবং মর্যাদা দান করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।[৪২৪]
কুরআনের সূরা ইসরার ১ম আয়াতে মেরাজের বিস্ময়কর ঘটনার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে-[৪২৫]
“ | পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। | ” |
— সূরা ইসরা, আয়াত ১ |
এই আয়াতটি মেরাজের ঘটনার বর্ণনা করে, যেখানে মুহাম্মাদকে এক রাতে মক্কার কাবা ঘর থেকে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই অলৌকিক ভ্রমণে, তিনি আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শন দেখেছিলেন।[৪২৬]
মেরাজের বিবরণ হাদিস এবং সিরাতের বইগুলোতে পাওয়া যায়। বলা হয়েছে যে, মুহাম্মাদ ঘুমিয়ে ছিলেন এবং ফেরেশতা জিবরাইল তাকে বোরাক নামক একটি উড়ন্ত জীবের উপরে করে আল-আকসা মসজিদে নিয়ে যান। সেখানে তিনি অনেক নবি-রাসুলের সাথে সালাত আদায় করেন। এরপর তাকে জান্নাত, জাহান্নাম এবং সিদরাতুল মুনতাহা দেখানো হয়। ইসলামি বিশ্বাসানুসারে সিদরাতুল মুনতাহা হলো সপ্তম আকাশে একটি গাছ, যেখানে সৃষ্টির জ্ঞানের সীমা শেষ হয়।
ইসলামি বিশ্বে এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো নবি মুহাম্মাদ কি এই ভ্রমণের সময় আল্লাহকে দেখেছিলেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। মুহাম্মাদের স্ত্রী আয়িশা এবং সাহাবী ইবনে মাসউদ ও আবু হুরায়রার মতে, মুহাম্মাদ আল্লাহকে দেখেননি। তবে, ইবনে আব্বাস, আল-গাজ্জালি, আল-তাফতাজানি, ইমাম রব্বানি, আবু হানিফা, ইমাম আশআরি এবং সাইদ নুরসির মত বিখ্যাত ব্যক্তিরা মনে করেন যে মুহাম্মাদ মেরাজে আল্লাহকে দেখেছিলেন।[৪২৭]
এই ঘটনাগুলোর তারিখ নিয়েও বর্ণনাভেদ রয়েছে। ইবনে সাদের মতে, হিজরতের ১৮ মাস আগে রমজান মাসের ২৭ তারিখে কাবার কাছ থেকে মুহাম্মাদ সপ্ত আসমানে উন্নীত হন। অন্যদিকে, হিজরতের আগে রবিউস সানি মাসের ১৭ তারিখে মক্কা থেকে জেরুসালেম যাত্রাটি (ইসরা) সংঘটিত হয়।[৪২৮] সুতরাং, পরবর্তীতে এই দুটি ঘটনাকে একীভূত করা হয়েছে। ইবনে হিশামের বিবরণ অনুসারে, প্রথমে ইসরা এবং তারপরে মেরাজের ঘটনা ঘটে। আবার তিনি এই ঘটনাগুলোকে হযরত খাদিজা এবং আবু তালিবের মৃত্যুর আগে ঘটেছিল বলে বর্ণনা করেছেন। বিপরীতে আত-তাবারি, মুহাম্মাদের নবুয়তের শুরুর দিকে মক্কা থেকে "নিম্ন আসমানে" আরোহণের বিবরণটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
বিবাহ ও সন্তান
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, মুহাম্মাদ ১১ জন স্ত্রীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং তার দুইজন উপপত্নী ছিলেন।[৪২৯] ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, রায়হানা বিনতে জায়েদ এবং মারিয়া আল-কিবতিয়া দু'জন ছিলেন উপপত্নী। মুহাম্মাদের দুটি বিবাহ মক্কায় এবং বাকি ১১টি বিবাহ মদিনায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৪৩০] মদিনায়, মসজিদে নববির দেয়ালের সাথে সংযুক্ত ঘরগুলো তার স্ত্রীদের জন্য নির্মিত হয়েছিল। মুসলিমরা কুরআনের সূরা আহযাবের ৬নং আয়াতের ভিত্তিতে মুহাম্মাদের স্ত্রীদের "আমাদের মা" হিসেবে উল্লেখ করে। সূরা আহযাবে বলা হয়েছে,[৪৩১]
“ | মুহাম্মাদ মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ, আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধানে মুমিন ও মুহাজিরদের (দ্বীনী সম্পর্ক) অপেক্ষা আত্মীয়-স্বজনগণ পরস্পর পরস্পরের নিকট ঘনিষ্ঠতর। তবে তোমরা তোমাদের বন্ধু বান্ধবদের সাথে ভাল কিছু করতে চাও, করতে পার। (আল্লাহর) কিতাবে এটাই লিখিত। | ” |
— সূরা আহযাব, আয়াত ৬ |
ইসলামি ব্যাখ্যা অনুসারে, মুহাম্মাদের একাধিক বিবাহের পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন কাবিলার মধ্যে বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা; যুদ্ধে পরাজিত শত্রুদের কন্যাদের সাথে বিবাহের মাধ্যমে তাদের ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করা; বিভিন্ন কাবিলার সাথে বিবাহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অবস্থান ও শক্তি বৃদ্ধি করা; সুরক্ষাহীন নারীদের জীবনে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রদান করা; বিভিন্ন ধর্মীয় বিধি ও রীতিনীতি ব্যক্তিগতভাবে অনুসরণ করে অন্যদের কাছে তা প্রদর্শন করা। কুরআনের সূরা আহযাবের ৫০ ও ৫২ নম্বর আয়াত ও সূরা নিসার ৩ নম্বর আয়াতে একাধিক বিবাহের ব্যাপারে মুসলিমদের জন্য সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।[৪৩২][৪৩৩][৪৩৪] এই আয়াতগুলো অনুসারে, একজন পুরুষ সর্বোচ্চ চারজন নারীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। যখন এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়েছিল তখন মুহাম্মাদের চারজনের বেশি স্ত্রী ছিলেন। কুরআনের বিশেষ বিধান অনুসারে তার বিদ্যমান বিবাহগুলো বহাল থাকে, তবে নতুন করে আর বিবাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।[৪৩৫]
বিখ্যাত ইসকটিশ ইতিহাসবিদ ও ধর্মতত্ত্ববিদ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট মনে করেন, মুহাম্মাদের সকল বিবাহ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ও জোরদার করার নীতির উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল এবং এগুলো সমসাময়িক আরব রীতিনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।[৪৩৬]
মুহাম্মাদের চারিত্রিক মাধুর্য ও বিশ্বস্ততার কথা শুনে মক্কার সম্মানিত ব্যবসায়ী ধনী ও বিধবা খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ তাকে নিজের ব্যাবসায়িক প্রতিনিধি হিসেবে সিরিয়ায় পাঠানোর প্রস্তাব দেন।[৪৩৭] মুহাম্মাদ প্রস্তাবে রাজি হলে নিজের ক্রীতদাস মাইসারাকেও তার সঙ্গে পাঠান। এ বাণিজ্যিক সফরে মুহাম্মাদ দ্বিগুণ মুনাফা অর্জন করেন। সফর থেকে ফেরার পর মুহাম্মাদের সততা, বিচক্ষণতা ও মাইসারার বর্ণনা শুনে খাদিজা তাকে বিয়ে করার মনস্থ করেন। মুহাম্মাদের কাছে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তিনি সম্মত হন এবং চাচাদের তা অবগত করেন। মুহাম্মাদের চাচা হামযা ইবনে আবদুল মুত্তালিব খাদিজার পরিবারের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যান। উভয় পরিবারের সম্মমিতে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিশুদ্ধ মতে বিয়ের সময় মুহাম্মাদের বয়স ২৫ বছর এবং খাদিজার বয়স ৪০ বছর ছিল।[৪৩৮] এই বিবাহ ২৫ বছর স্থায়ী হয় এবং এটি একটি সুখী দাম্পত্য জীবন ছিল। এই সময়ের মধ্যে মুহাম্মাদ অন্য কোন নারীকে বিবাহ করেননি। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দে খাদিজার মৃত্যুর পর মুহাম্মাদ প্রায় ২.৫ বছর বিধব থাকেন।[৪৩৯] এরপর সাহাবী উসমান ইবনে মাজউনের স্ত্রী হাওলা বিনতে হাকিম মুহাম্মাদকে সাবধানে ঘরের কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সাওদা বিনতে জামআর সাথে বিবাহের পরামর্শ দেন। সাওদা তার স্বামীর মৃত্যুর পর পাঁচ সন্তানকে নিয়ে একা ছিলেন। মুহাম্মাদ এই পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং ৬২১ খ্রিষ্টাব্দে সাওদার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪৪০] তখন মুহাম্মাদের বয়স ছিল ৫০ বছর এবং সাওদার বয়সও মুহাম্মাদের চেয়ে বেশি, ৫০-এর কোঠায় ছিল বলে ধারণা করা হয়। ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় হিজরত করার পর মুহাম্মাদ তার বাগদত্তা আয়িশার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[৪৪১][৪৪২] এর আগ পর্যন্ত, সাওদা তিন বছর ধরে মুহাম্মাদের একমাত্র স্ত্রী ছিলেন। মুহাম্মাদের একাধিক বিবাহের জীবন ৫৪ বছর বয়সে, ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে আয়িশার সাথে বিবাহের পর শুরু হয়।[৪৪২]
মুহাম্মাদ ও তার প্রথম স্ত্রী খাদিজার ঘরে মোট ৬ সন্তান ছিল।[৪৪৩][৪৪৪] এর মধ্যে কাসিম ও আব্দুল্লাহ নামের দুই পুত্র ছোটবেলায় মারা যান। আর চার কন্যার নাম ছিল জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা। মুহাম্মাদের আবুল কাসেম (কাসেমের পিতা) উপাধিটি তার প্রথম পুত্র কাসেমের নামের উপর ভিত্তি করে তৈরি। খাদিজার মৃত্যুর পর মুহাম্মাদের আরও বেশ কয়েকটি বিবাহ হয়েছিল।[৪৪৩] কিন্তু মারিয়ার গর্ভজাত ইব্রাহিম ছাড়া অন্য স্ত্রীদের থেকে তার কোন সন্তান ছিল না। ইব্রাহিমও দুই বছর বয়সে মারা যায়।[৪৪৩]
ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, আয়িশা যখন মুহাম্মাদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তখন তার বয়স ৬ বা ৭ বছর ছিল।[৪৪৫] তাদের বৈবাহিক জীবন শুরু হয় যখন আয়িশা ৯ বা ১০ বছর বয়সে পৌঁছান।[৪৪১] ঐতিহ্যবাহী বর্ণনা অনুযায়ী, এই বিয়ের সময় আয়িশা কুমারী ছিলেন। তবে, আয়িশার বয়স নিয়ে বিতর্ক বিদ্যমান। কিছু আধুনিক মুসলিম লেখক আয়িশার বড় বোন আসমার সাথে বয়সের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে হাদিসের ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের ধারণা অনুযায়ী, আয়িশা বিবাহের সময় ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। তুর্কি ইসলামি পণ্ডিত ইয়াশার নুরি ওজতুর্ক মনে করেন আয়েশার বয়স ছিল ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।[৪৪৬] তুর্কি ধর্মতত্ত্ববিদ ও সাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী সুলেমান আতেশ মনে করেন আয়িশা বিংশতির কোঠায় পা রাখার পর বিবাহিত হয়েছিলেন। ধর্মতত্ত্ববিদ আহমেদ তেকিন ও মুস্তাফা ইসলামোগলু আয়িশার বয়সের ব্যাপারে আরবি সংখ্যা ব্যবহারের রীতিনীতির উপর আলোকপাত করে বলেছেন যে, উল্লেখিত বয়স ১৬ এবং ১৯ বছর হিসেবে ব্যাখ্যা করা উচিত।[৪৪৭]
মুহাম্মাদের সবচেয়ে ছোট কন্যা ফাতিমা (ফাতিমা আল-জোহরা নামেও পরিচিত) ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের একজন।[৪৪৮] তিনি ছিলেন নবি মুহাম্মাদের একমাত্র কন্যা যার বংশধর টিকে ছিল এবং ইসলামের নবিবংশের ধারক। ফাতিমা আলেভি ও শিয়া মতাদর্শে বিশেষভাবে সম্মানিত এবং "দ্বিতীয় মরিয়ম" হিসেবে পরিচিত।[৪৪৯] ইসলামি রীতিনীতি অনুযায়ী, শরীফ ও সৈয়দদের বংশধারা ফাতিমা ও আলির মাধ্যমে মুহাম্মাদের সাথে সম্পর্কিত।[৪৫০]
মুহাম্মাদের মৃত্যুর পর তার নয়জন স্ত্রী বেঁচে ছিলেন এবং কেউই আর বিবাহ করেননি। কুরআনের সূরা আহযাবের ৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "পয়গম্বর মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয়। তার স্ত্রীরা মুমিনদের মা।"[৪৩১] এই আয়াতের কারণে তাদের পুনর্বিবাহকে সমর্থন করা হয়নি এবং তারা বিবাহিত হননি।[৪৫১]
সাক্ষরতা

মুহাম্মাদের সাক্ষরতা বা পড়তে ও লিখতে পারার দক্ষতা সম্পর্কে ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিভঙ্গি হলো তিনি সাক্ষর ছিলেন না। মুহাম্মাদের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি বিশেষণ হলো উম্মি, যার একটি অর্থ হলো "যিনি জন্মগত অবস্থায় আছেন, যিনি পড়তে বা লিখতে শেখেননি"।[৪৫২][৪৫৩] আরেকটি মতামত অনুযায়ী, উম্মি অর্থ "এমন একজন ব্যক্তি যিনি আহলে কিতাব (ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বোঝায়) হিসেবে পরিচিত ধর্মসমূহের কোনো একটিরও অন্তর্ভুক্ত নন"।[৪৫৩]
মুহাম্মাদ লেখাপড়া জানতেন না এই ধারণাটি কুরআনের কিছু আয়াত এবং হাদিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সূরা আনকাবূতের ৪৮ নম্বর আয়াত এবং সূরা আরাফের ১৫৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে মুহাম্মাদ পূর্বে কোন বই পড়েননি এবং তিনি ছিলেন একজন উম্মি।[৪৫৪] এছাড়াও, জিবরাইল যখন প্রথম ওহি নিয়ে আসেন তখন তিনি মুহাম্মাদকে "পড়ুন" বলে নির্দেশ দেন এবং মুহাম্মাদ বলেন "আমি পড়তে জানি না"। সূরা জুমুআর ২ নম্বর আয়াতেও বলা হয়েছে যে মুহাম্মাদ নিরক্ষরদের নিকট রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন।[৪৫৫]
মুসলিমরা মনে করেন মুহাম্মাদের নিরক্ষরতাই প্রমাণ করে যে কুরআন তার রচনা হতে পারে না, বরং এটি ঐশ্বরিক উৎস থেকে এসেছে তার স্পষ্টতম প্রমাণ।
“ | আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি, আর আপনি নিজ হাতে কোন কিতাব লেখেননি, এমন হলে মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষণ করত। | ” |
— সূরা আনকাবূত, আয়াত ৪৮ |
কিছু বিকল্প মতামত অনুসারে, প্রাচীন আরবদের মধ্যে কবি, কাহিনীকার, হানিফ এবং ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মীয় পণ্ডিতদের সমন্বয়ে গঠিত একটি পুরনো ধর্মীয় জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিল। সম্ভবত পৌরাণিক সংস্কৃতির জ্ঞানও সমাজের বিস্তৃত জনগোষ্ঠীর কাছে পরিচিত ছিল। মুহাম্মাদ যে সমাজে বাস করতেন সেই সমাজও লিখিত বা মৌখিক বর্ণনার মাধ্যমে তৈরি জ্ঞানের ভাণ্ডারের অধিকারী ছিল বলে ধারণা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মুহাম্মাদের প্রথম স্ত্রী খাদিজার চাচাতো ভাই ওয়ারাকাহ ইবনে নওফেল ছিলেন একজন খ্রিস্টান পাদ্রী। তিনি সিরীয় ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাওরাত, যাবুর ও ইঞ্জিল সম্বলিত কিতাব-ই-মুকাদ্দাসে জ্ঞানী ছিলেন। ধারণা করা হয় যে ওয়ারাকাহ তার কিছু ধর্মীয় জ্ঞান মুহাম্মাদকে শিখিয়েছিলেন এবং এই জ্ঞানগুলোই কুরআনে ইহুদি ও খ্রিস্টান সংস্কৃতি সম্পর্কিত ধর্মীয় বর্ণনার উৎস হিসেবে কাজ করেছিল। এছাড়াও, দীর্ঘদিন ধরে একজন প্রভাবশালী ও ধনী মহিলা হিসেবে খাদিজার লেখাপড়া জানার বিষয়টিও ধারণা করা হয়।[৪৫৬] তবে, ইসলামি পণ্ডিত এবং কুরআন নিজেই এই দাবিগুলোর তীব্র বিরোধিতা করে।
অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক
মক্কায় ধর্ম প্রচারের সময় মুহাম্মাদ খ্রিস্টান ও ইহুদিদের আহলে কিতাব হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তাদের ধর্মীয় শিক্ষার মূলনীতির সাথে ইসলামের মিল খুঁজে পেয়ে তিনি তাদেরকে স্বাভাবিক মিত্র মনে করেছিলেন এবং তাদের সমর্থন পাবেন বলে আশা করেছিলেন। মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মদিনার সনদ প্রণয়ন করেন যার আওতায় বনু কায়নুকা, বনু নাদির এবং বনু কুরাইজা সহ বিভিন্ন ইহুদি গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৪৫৭]
হিজরতের পূর্বে ও পরে অনেক মদিনাবাসী মক্কার অভিবাসীদের বিশ্বাস গ্রহণ করে, কিন্তু অধিকাংশ ইহুদি ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের অস্বীকৃতির মূল কারণ ছিল মুহাম্মাদকে পয়গম্বর (নবি) হিসেবে স্বীকার না করা। স্কটিশ ইতিহাসবিদ ও প্রাচ্যবিদ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াটের মতে, ইহুদি ধর্মে একজন ইহুদি-নয় এমন ব্যক্তির পয়গম্বরত্ব স্বীকার করা সহজ ব্যাপার নয়।[৪৫৮] আমেরিকান ইহুদি ইতিহাসবিদ মার্ক আর. কোহেনের মতে, মুহাম্মাদের বাণী ইহুদিদের কাছে অপরিচিত ছিল।[৪৫৯] মুহাম্মাদ যদিও বলেছিলেন যে তার শিক্ষা পূর্ববর্তী পয়গম্বরদের শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, ওয়াটের মতে ইহুদিরা কুরআনকে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় গ্রন্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে করেনি।[৪৫৮]
ঐতিহ্যবাহী সিরাত বর্ণনা অনুসারে আমরা জানতে পারি যে, পূর্বে বনু নাদির ও বনু কায়নুকা গোষ্ঠীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং বনু কুরাইজা গোষ্ঠী চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে অবরুদ্ধ হয়েছিল। এরপর বনু কুরাইজার পুরুষদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং নারী ও শিশুদের দাস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং তাদের সম্পত্তি মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।[৪৬০] এই বিষয়ে আমাদের জ্ঞান এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এই দাবিটি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন ইহুদি বংশোদ্ভূত আরব ইতিহাসবিদ ইবনে ইসহাক। ভারতীয় পণ্ডিত বারাকাত আহমদ তার মুহাম্মাদ অ্যান্ড দ্য জিউস: এ রি-এক্সামিনেশন (মুহাম্মাদ ও ইহুদিরা: পুনর্বিবেচনা) গ্রন্থে বলেছেন যে, মদিনায় ৬০০ থেকে ৯০০ মানুষের হত্যাকাণ্ড একটি গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারত এবং প্রদত্ত সংখ্যাগুলো ইহুদি হিসাব অনুসারে মুহাম্মাদের পূর্বে সংঘটিত গণহত্যার উপর ভিত্তি করে তৈরি।[৪৬১] বারাকাত আহমদ আরও বলেন যে, এই গোষ্ঠীগুলোর শুধুমাত্র একটি অংশকে হত্যা করা হয়েছিল এবং বাকিদের দাস হিসেবে বন্দি করা হয়েছিল।[৪৬২][৪৬৩] ওয়ালিদ এন. আরফাত বলেছেন যে, ইবনে ইসহাক মুহাম্মাদের থেকে প্রায় ১০০ বছর পর এই ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছিলেন এবং ইহুদি উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।[৪৬৪] আরফাত আরও উল্লেখ করেছেন যে, ইবনে ইসহাককে তার সমসাময়িক বিখ্যাত ইমাম মালিক ইবনে আনাস একজন নির্ভরযোগ্য ইতিহাসবিদ হিসেবে বিবেচনা করেননি।[৪৬৪] এই বর্ণনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক বিদ্যমান। কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন যে, এই ঘটনাগুলো বানানো বা অতিরঞ্জিত। তারা যুক্তি দেখান যে, ইবনে ইসহাক একজন নির্ভরযোগ্য ইতিহাসবিদ ছিলেন না এবং তার বর্ণনাগুলো পক্ষপাতদুষ্ট। অন্যদিকে, কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন যে, এই ঘটনাগুলো সত্য এবং এগুলো ইসলামের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঐতিহ্যবাহী সিরাত বর্ণনা অনুসারে মুহাম্মাদের সময়ে মদিনায় ইহুদি গোষ্ঠীগুলোর সাথে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক বিদ্যমান এবং এগুলো সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
ইসলামি অধ্যয়নের সংশোধনবাদী ধারার মতো গবেষকরা এই কাহিনীগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। হাদিস ও সিরাতের উৎসগুলোতে মুহাম্মাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কাহিনীগুলো পরবর্তী সময়ে তার জীবনীতে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে প্রায়শই বলা হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে সম্পর্ক ইসলামের প্রাথমিক যুগে বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। ইহুদিদের মুমিন হিসেবে অভিহিত করা হতো এবং তারা উম্মতের অংশ ছিল।[৪৬৫] উদাহরণস্বরূপ, মদিনার ইহুদি গোষ্ঠী বনু কুরাইজার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা সহ কিছু ইহুদি-বিরোধী বর্ণনা মুহাম্মাদের অনেক পরে (১০০-১৫০ বছর পরে) ইসলামের ইহুদি ধর্ম থেকে পৃথক হওয়ার সময় তৈরি হয়েছিল।[৪৬৬]
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত সুইস আইনজীবী সামি আলদীব এই বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে, খায়বারের যুদ্ধ এবং কুরাইজা গণহত্যার মতো ঘটনাগুলো ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থেও উল্লেখ রয়েছে, তবে এই উৎস অনুসারে, ইহুদিরা ইহুদি-নয় এমন ব্যক্তিদের হত্যা করেছিল।[৪৬৭] তুর্কি ধর্মতত্ত্ববিদ মুস্তাফা ইসলামোগলু মনে করেন যে, খ্রিস্টাব্দ ৭৩-৭৪ খ্রিষ্টাব্দে ইসরায়েলের দক্ষিণে মাসাদায় রোমানদের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইহুদিদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, ইহুদি বংশোদ্ভূত ইবনে ইসহাক কর্তৃক "বনু কুরাইজা গণহত্যা" হিসেবে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।[৪৬৮][৪৬৯] ইসলামোগলু মাসাদায় নিহত ইহুদিদের মোট সংখ্যা (৯১০-৯৫০ এর মধ্যে) মুহাম্মাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া এই ঘটনায় মোট নিহত ইহুদির সংখ্যার সাথে তুলনা করে সমালোচনা করেছেন।[৪৬৮]
মুহাম্মাদ মদিনায় তার ১০ বছরের জীবনে মক্কাবাসীদের সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রায় ১০০টি সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই অভিযানগুলো ছিল প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক, অভিযানমূলক অথবা কেবলমাত্র মানসিক চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে। ইসলামি সাহিত্যে, মুহাম্মাদ যেসব অভিযানে স্বয়ং সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেগুলোকে গাজওয়া এবং যেসব অভিযানে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ না করে অন্য কাউকে সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন সেগুলোকে সরিয়া বলা হয়েছে।[৪৭০][৪৭১]
চিত্রায়ন ও শারীরিক গঠন

মুহাম্মাদের চিত্রায়ন ইসলামে একটি বিতর্কিত বিষয়। মৌখিক ও লিখিত বর্ণনা সকল ইসলামি ঐতিহ্য দ্বারা সহজেই গ্রহণযোগ্য হলেও, চিত্রায়নের ক্ষেত্রে মতবিরোধ দেখা যায়।[৪৭২] কুরআন স্পষ্টভাবে মুহাম্মাদের ছবি আঁকা বা তৈরি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে না। তবে, কিছু হাদিস রয়েছে যেখানে মুসলিমদের মুহাম্মাদের চিত্র তৈরি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।[৪৭৩] সকলেই একমত যে, মুহাম্মাদের চেহারার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কোনো প্রামাণিক চিত্রকলার ঐতিহ্য নেই। তবে, প্রাথমিক সিরাত গ্রন্থগুলোতে মুহাম্মাদের প্রতিকৃতি অঙ্কিত হয়েছে এবং তার চেহারার বর্ণনা সম্পর্কে কিছু লিখিত বিবরণ রয়েছে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য।
অনেক চিত্রকর্মে নবি মুহাম্মাদকে কেবলমাত্র তার মুখ সাদা রঙে ঢেকে রাখা অথবা আলোর শিখার মতো প্রতীকীভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিশেষ করে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে নির্মিত চিত্রকর্মগুলোতে তার মুখও দেখানো হয়েছে।[৪৭৪][৪৭৫] বর্তমান ইরানে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছাড়া,[৪৭৬] মুহাম্মাদের চিত্রায়ন বেশ বিরল এবং ইসলামের ইতিহাসে কোনও সম্প্রদায় বা যুগে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি।[৪৭৭][৪৭৮] তবে, এটি প্রায়শই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ফার্সি এবং অন্যান্য মিনিয়েচার চিত্রকর্মের বইগুলোতে দেখা যায়।[৪৭৯] ইসলামে সাধারণ ধর্মীয় শিল্পের প্রধান হাতিয়ার অতীতেও এবং বর্তমানেও হলো ক্যালিওগ্রাফী। উসমানীয় সাম্রাজ্যে হিলিয়া শিল্পের বিকাশ ঘটে, যা মুহাম্মাদের সম্পর্কে লেখা বিষয়বস্তুকে সুন্দরভাবে চিত্রিত করার মাধ্যমে প্রকাশ করে।[৪৭৮][৪৭৯]
মুহাম্মাদের প্রাচীনতম চিত্রগুলো ১৩-শতকের আনাতোলীয় সেলজুক ও ইলখানিদ ইরানি ক্ষুদ্র চিত্রকর্মে (মিনিয়েচার) পাওয়া যায়। এগুলো সাধারণত সাহিত্যিক রচনায় ব্যবহৃত হতো যেখানে মুহাম্মাদের জীবন ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে।[৪৮০] ইরানে যখন মঙ্গোল শাসকরা ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন ইসলামি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা উপস্থাপনে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়গুলো মুহাম্মাদের ছবিসহ দৃশ্যমান চিত্রকলার ব্যবহার শুরু করে।[৪৮১] মঙ্গোল অভিজাতদের ধর্মান্তরিত হওয়ার পূর্বে ইসলামি শিল্পে এমন বাস্তবধর্মী চিত্ররীতি চোখে পড়েনি। এর ফলে ইসলামের চিত্রকলায় বিমূর্ততা থেকে সরে আসার প্রবণতা তৈরি হয়। এসময়ে মসজিদ, কার্পেট, রেশম, সিরামিক এবং বইয়ের চিত্রায়নে, এমনকি কাচ এবং ধাতব শিল্পকর্মেও মানুষের চিত্রায়ন দেখা যায়।[৪৮১] পারস্য অঞ্চলে, ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে ক্ষমতায় আসা সাফাভিদদের আগমনের আগ পর্যন্ত এই বাস্তবতাবাদী চিত্রণশৈলী অব্যাহত থাকে।[৪৮১] শিয়া মতবাদকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা করা সাফাভিদরা মুহাম্মাদের মুখমণ্ডল আলোর বলয় দিয়ে ঢেকে দিয়ে তার বৈশিষ্ট্যগুলো অস্পষ্ট করে দেয়। তার সত্তার দীপ্তি প্রকাশের জন্য তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।[৪৮২] একইসাথে পূর্বেকার কিছু চিত্র বিকৃত করাও হয়।[৪৮১] পরবর্তীতে উসমানীয় শাসনাধীন অঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকাতেও চিত্র তৈরি অব্যাহত থাকে, কিন্তু মসজিদগুলো কখনোই মুহাম্মাদের ছবি দিয়ে সাজানো হতো না।[৪৮৩] ইলখানাত যুগ থেকে সাফাভিদ যুগ পর্যন্ত রাতের ভ্রমণ বা মেরাজের সচিত্র বর্ণনাগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৪৮৪] ঊনবিংশ-শতাব্দীতে ইরানে ছাপানো এবং সচিত্র মেরাজের বইয়ের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। কমিক বইয়ের কায়দায় নিরক্ষর জনগণ ও শিশুদের লক্ষ্য করে এগুলোতে মুহাম্মাদের মুখাবয়ব আবরণ দিয়ে দেখানো হতো। মূলত ছাপাখানার আবির্ভাবের কল্যাণে এগুলো ছিল "ছাপানো পাণ্ডুলিপি"।[৪৮৪] বর্তমানে, বিশেষ করে তুরস্ক ও ইরানে, মুহাম্মাদের লক্ষ লক্ষ ঐতিহাসিক ও আধুনিক চিত্র রয়েছে। এগুলো পোস্টার, পোস্টকার্ড এমনকি কফি টেবিলসহ বই আকারেও প্রকাশিত হয়। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের অন্য অংশে এরকম চিত্র বিরল। অনেক দেশের মুসলিমরা এই ধরণের চিত্র সামনে পেলে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হতে পারেন।[৪৮০][৪৮৩]

ইবনে সাদের কিতাবুত-তাবাকাতুল-কবির নামক গ্রন্থটি অন্যতম প্রাচীন উৎস, যেখানে মুহাম্মাদের শারীরিক বর্ণনার বহু মৌখিক চিত্র রয়েছে। মুহাম্মাদের চাচাতো ভাই এবং জামাতা আলীর বর্ণনা অনুসারে:[৪৮৫]
“ | নবি মুহাম্মাদ বেশি দীর্ঘ কিংবা বেশি খাটো ছিলেন না। তার হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল। তার মাথা ছিল কিছুটা বড় এবং হাত-পায়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। বুক হতে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। যখন পথ চলতেন মনে হতো যেন কোন উঁচু স্থান হতে নিচে অবতরণ করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তার পূর্বে কিংবা পরে আমি তার মতো (অনুপম আকর্ষণীয়) আর কাউকে দেখিনি। | ” |
আনাস ইবনে মালিক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,[৪৮৬]
“ | নবি মুহাম্মাদ খুব দীর্ঘ ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি ধবধবে সাদা কিংবা বাদামী বর্ণেরও ছিলেন না। তার চুল একেবারে কুঁকড়ানো ছিল না, আবার একদম সোজাও ছিল না। ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তা’আলা তাকে নবুওয়াত দান করেন। এরপর মক্কায় ১০ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর কাটান। আল্লাহ তা’আলা ৬০ বছর বয়সে তাকে ওফাত দান করেন। ওফাতকালে তার মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না। | ” |
সাহাবি আবু হুরাইরাহ বর্ণনা করেছেন:[৪৮৭]
“ | নবি মুহাম্মাদ রুপো দিয়ে তৈরি যেন উজ্জ্বল সাদা ছিলেন; তার চুল হালকা ঢেউ খেলানো। তার কপাল প্রশস্ত ছিল এবং তার ভ্রু চাঁদের মতো, ঘন ছিল। তার দুই ভ্রুর মাঝখান উন্মুক্ত, বিশুদ্ধ রুপোর মতো। তার চোখ অত্যন্ত সুন্দর, মণি কালো। তার চোখের পাপড়ি এত ঘন ছিল যে একে অপরের সাথে স্পর্শ করত। যখন তিনি হাসতেন, তার দাঁত বজ্রপাতের মতো ঝলমল করত। তার দুই ঠোঁটও অতুলনীয় সুন্দর ছিল। তার দাড়ি ঘন ছিল। তার ঘাড় অত্যন্ত সুন্দর ছিল, না লম্বা না খাটো। তার ঘাড়ের সূর্য ও বাতাসে পোড়া অংশ সোনালী রুপোর ইব্রিকের মতো রুপোর সাদা ও সোনার লালচে ভাব ফুটিয়ে তুলত। তার বুক প্রশস্ত ছিল; তার বুকের সমতলতা আয়না ও সাদা চাঁদকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তার কাঁধ প্রশস্ত ছিল। তার হাত ও বাহু মোটা ছিল। তার হাতের তালু রেশমের চেয়েও নরম ছিল। | ” |
ইসলামি পণ্ডিতদের বেশিরভাগই মতামত দিয়েছেন যে মুহাম্মাদের সাধারণত লম্বা চুল ছিল। তাদের মতে, তার চুলের দৈর্ঘ্য কানের লতি থেকে কাঁধের মধ্যে থাকত। এমনকি, তিনি মাঝে মাঝে তার চুল বেঁধে রাখতেন এবং বিনুনিও করতেন।[৪৮৮] সাধারণভাবে জানা যায় যে মুহাম্মাদের চুল লম্বা ছিল, কখনো কখনো তিনি কাঁধ পর্যন্ত লম্বা করে রাখতেন, কখনো দুই ভাগ করে রাখতেন, আবার কখনো ধুলোবালি থেকে রক্ষা করার জন্য বা ভ্রমণে বের হওয়ার সময় বিনুনি করে রাখতেন।[৪৮৯]
উত্তরাধিকার ও অনুসরণ
রিওয়ায়েত সংগ্রহ
মুহাম্মাদের বক্তব্য, কর্ম এবং আচরণকে হাদিস বলা হয় এবং এই হাদিস থেকে উদ্ভূত ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিগুলোকে সুন্নাহ বলা হয়। প্রথম দিকে, এই হাদিসের সংখ্যা কয়েকশ বা কয়েক হাজার (প্রথম ১০০ বছরের মধ্যে ১০০০ টি) এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তবে তিন শতাব্দীর মধ্যে এই সংখ্যা লক্ষাধিকে পৌঁছেছে।[৪৯০]
শিয়া মুসলিমরা মুহাম্মাদের বক্তব্যের পাশাপাশি, তাদের ইমামদের (যাদেরকে তারা নির্দোষ বলে মনে করে) বক্তব্যকেও হাদিস হিসেবে গ্রহণ করে। অন্যদিকে, সুন্নিরা সমস্ত সাহাবিকে নির্ভরযোগ্য মনে করে, শিয়াদের মতে, সাহাবি এবং সাহাবিদের দেখা ব্যক্তিদের (তাবিয়ীন) একের পর এক বিশ্লেষণ করা হয় এবং ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় আলী বা আহলে বাইতের পক্ষে না থাকা বা তাদের বিরোধীদের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয় না এবং তাদের থেকে আসা রিওয়ায়েতগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়। সুন্নি হাদিস গ্রন্থগুলো মুহাম্মাদের মৃত্যুর ২০০-৩০০ বছর পরে এবং শিয়া হাদিস গ্রন্থগুলো ৪০০-৫০০ বছর পরে লেখা হয়েছিল।[৪৯১] হাদিসকে কুরআনের পরে ইসলামের দ্বিতীয় উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়; তবে, ইতিহাসে এবং বর্তমানে "অবিশ্বস্ত" হওয়ার কারণে হাদিস থেকে দূরে থাকা, অনেক হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করা বা সমস্ত হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করা মুসলিমও বিদ্যমান।
ইসলামি ঐতিহ্যে মুহাম্মাদের স্থান
আল্লাহর একত্ববাদ (ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়) প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের পর, মুহাম্মাদের নবুয়তের প্রতি বিশ্বাস ইসলামের মূল ভিত্তি। প্রত্যেক মুসলিম শাহাদত পাঠে ঘোষণা করে: "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।" শাহাদত হলো ইসলামের মূল বিশ্বাস বা নীতি। ইসলামি বিশ্বাস অনুসারে, একজন নবজাতকের কানে শাহাদতই প্রথম পাঠ করা উচিত; শিশুদেরকে শাহাদত শেখানো হয় এবং মৃত্যুর সময় শাহাদত পাঠ করা হয়। মুসলিমরা নামাজের আহ্বানে (আযান) এবং নামাজে শাহাদত পুনরাবৃত্তি করে। ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে ইচ্ছুক অমুসলিমদেরকেও এই শাহাদত পাঠ করেই ইসলামে প্রবেশ করতে হয়।[৪৯২]
ইসলামি বিশ্বাস অনুসারে, মুহাম্মাদ হলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ রাসুল।[৪৯৩][৪৯৪] কুরআন স্পষ্টভাবে এই ধারণাকে নিশ্চিত করে। কুরআনে মোট চারবার মুহাম্মাদ নাম উল্লেখ রয়েছে এবং সূরা মুহাম্মাদ নামে আলাদা সূরাও অবতীর্ণ হয়েছে। কুরআনের সূরা আহযাবের ৪০নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“ | মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যেকার কোন পুরুষের পিতা নয়, কিন্তু (সে) আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নবি। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞাতা। | ” |
— সূরা আহযাব, আয়াত ৪০ |
সূরা মুহাম্মাদের ২নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“ | আর যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে আর মুহাম্মাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে- কারণ তা তাদের প্রতিপালকের প্রেরিত সত্য- তিনি তাদের মন্দ কাজগুলো মুছে দেবেন, আর তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটাবেন। | ” |
— সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত ২ |
সূরা আল-ইমরানের ১৪৪নং আয়াতে বলা হয়েছে,
“ | মুহাম্মাদ হচ্ছে একজন রসূল মাত্র, তার পূর্বে আরও অনেক রসূল গত হয়েছে; কাজেই যদি সে মারা যায় কিংবা নিহত হয়, তবে কি তোমরা উল্টাদিকে ঘুরে দাঁড়াবে? এবং যে ব্যক্তি উল্টাদিকে ফিরে দাঁড়ায় সে আল্লাহর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না এবং আল্লাহ কৃতজ্ঞদেরকে অতিশীঘ্র বিনিময় প্রদান করবেন। | ” |
— সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৪৪ |
সূরা আল-ফাতহের ২৯নং আয়াত উল্লেখিত হয়েছে,
“ | মুহাম্মাদ আল্লাহর রসুল। আর যে সব লোক তার সঙ্গে আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, নিজেদের পরস্পরের প্রতি দয়াশীল। তাদেরকে তুমি দেখবে রুকু ও সিজদায় অবনত অবস্থায়, তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধানে নিয়োজিত। তাদের চিহ্ন হল, তাদের মুখমণ্ডলে সেজদা্র প্রভাব পরিস্ফুট হয়ে আছে। তাদের এমন দৃষ্টান্তের কথা তাওরাতে আছে, তাদের দৃষ্টান্ত ইঞ্জিলেও আছে। (তারা) যেন একটা চারাগাছ তার কচিপাতা বের করে, তারপর তা শক্ত হয়, অতঃপর তা কান্ডের উপর মজবুত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়- যা চাষীকে আনন্দ দেয়। (এভাবে আল্লাহ মুমিনদেরকে দুর্বল অবস্থা থেকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে দেন) যাতে কাফিরদের অন্তর গোস্বায় জ্বলে যায়। তাদের মধ্য থেকে যারা ইমান আনে আর সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। | ” |
— সূরা আল-ফাতহ, আয়াত ২৯ |
মুসলিম ঐতিহ্য অনুসারে, নবি মুহাম্মাদের সাথে বিভিন্ন মুজিজা বা অলৌকিক ঘটনার সম্পর্ক জড়িয়ে আছে।[৪৯৫] এর মধ্যে রয়েছে চাঁদকে দুই ভাগ করা। অনেক মুসলিম ভাষ্যকার এবং কিছু পশ্চিমা পণ্ডিত কুরআনের সূরা ক্বামারের ১-২নং আয়াতকে এইভাবে ব্যাখ্যা করেন যে, যখন কুরাইশরা মুহাম্মাদের অনুসারীদের উপর নির্যাতন চালাতে শুরু করে, তখন তিনি তাদের সামনে চাঁদকে দুই ভাগ করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনাটি মুহাম্মাদের নবুয়তের প্রমাণ হিসেবে দেখা হয়।[৪৯৬][৪৯৭] তবে, পশ্চিমা ইসলামি ইতিহাসবিদ ডেনিস গ্রিল মনে করেন যে, কুরআনে স্পষ্টভাবে মুহাম্মাদের মুজিজা করার কথা বলা হয়নি। বরং, কুরআনকেই মুহাম্মাদের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজিজা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি যুক্তি দেন যে, কুরআন একটি অলৌকিক বই যা মুহাম্মাদের উপর ঈশ্বরের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল। কুরআনের ভাষা, শৈলী এবং বিষয়বস্তু এতটাই অসাধারণ যে এটি মানুষের রচনা হতে পারে না।
ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, মুহাম্মাদ যখন তায়েফের জনগণের কাছে ইসলামের প্রচার করতে গিয়েছিলেন, তখন তাকে তীব্র নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তায়েফের লোকেরা তাকে পাথর ছুঁড়ে এবং ধাওয়া করে তাকে শহর থেকে বের করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় মুহাম্মাদ গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন এবং তার পায়ের রক্ত বয়ে চলেছিল। ঐতিহ্য আরও বর্ণনা করে যে, এই ঘটনার পর মুহাম্মাদের সাথে ফেরেশতা জিবরাইল দেখা করেছিলেন এবং তায়েফের লোকদের উপর আল্লাহর আযাব নামানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জিবরাইল বলেছিলেন, "আপনি যদি চান, তাহলে আমি এই পাহাড়ের দুই অংশ একত্রিত করে তাদের উপর চাপিয়ে দেব।" কিন্তু মুহাম্মাদ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং তায়েফের লোকদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও হেদায়েতের প্রার্থনা করেছিলেন।[৪৯৮] তিনি বলেছিলেন, "না, আমি তাদের ধ্বংস চাই না। বরং আমি আশা করি তাদের বংশধরদের মধ্যে এমন লোক জন্মগ্রহণ করবে যারা আল্লাহ ও তার রাসুলে বিশ্বাস করবে।"
সুন্নাহ হলো নবি মুহাম্মাদের জীবন, কর্ম এবং উক্তির সমষ্টি। হাদিস নামে পরিচিত বর্ণনাগুলোতে এগুলো সংরক্ষিত আছে। ধর্মীয় রীতিনীতি, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, মৃতদেহের দাফন থেকে শুরু করে মানুষ ও আল্লাহর মধ্যকার ভালোবাসা, রহস্যময় বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত সহ বিস্তৃত কর্মকাণ্ড ও বিশ্বাসের সমাহার এতে অন্তর্ভুক্ত। ধার্মিক মুসলমানদের জন্য সুন্নাহ হলো অনুসরণের এক আদর্শ। এটি মুসলিম সংস্কৃতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। মুহাম্মাদ মুসলমানদের "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক" (আরবী: السّلامُ عَلَيْكُمْ - আসসালামু আলাইকুম) বলে সালাম বিনিময় করতে শিখিয়েছিলেন, যা বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়মকানুন ও বিবরণ, রোজা এবং বার্ষিক হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি রীতিনীতির অনেক বিবরণ কুরআনে নয়, বরং কেবল সুন্নাতেই পাওয়া যায়।[৪৯৯]
মুসলিমরা প্রথাগতভাবে বিভিন্ন উপায়ে মুহাম্মাদের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে আসছে। তার জীবন, শেফা'আত (পক্ষপাত) এবং মু'জিযার (মুজেজা) সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলো জনপ্রিয় মুসলিম চিন্তাভাবনা ও কবিতাকে প্রভাবিত করেছে। মিশরীয় সুফি আল-বুসিরির (১২১১-১২৯৪) মুহাম্মাদের প্রতি উৎসর্গীকৃত আরবি কবিতাগুলোর মধ্যে, কাসিদা-ই-বুরদা বিশেষভাবে পরিচিত এবং এর নিরাময়কারী, আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।[৫০০] কুরআনে মুহাম্মাদকে "জগতের জন্য রহমত" হিসেবে উল্লেখ করে সূরা আম্বিয়ার ১০৭নং আয়াতে বলা হয়েছে,[৫০১][৫০২]
“ | আর আমি তো আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি। | ” |
— সূরা আম্বিয়া, আয়াত ১০৭ |
পূর্বের দেশগুলোতে বৃষ্টির সাথে রহমতের সম্পর্ক স্থাপন, যেমন বৃষ্টি মৃতপ্রায় জমি কে পুনরুজ্জীবিত করে, তেমনি মুহাম্মাদকে একটি বৃষ্টির মেঘ হিসেবে কল্পনা করা হয় যা আশীর্বাদ বিতরণ করে, জমি ভেজায় এবং মৃত হৃদয়কে পুনরুজ্জীবিত করে (উদাহরণস্বরূপ, আল-লাতিফ)।[৫০২] মুহাম্মাদের জন্মদিন মুসলিম বিশ্বে একটি বড় উৎসব হিসেবে পালিত হয়, তবে ওয়াহাবি-প্রধান সৌদি আরব বাদ দিয়ে, যেখানে এই ধরনের উদযাপন উৎসাহিত করা হয় না।[৫০৩] মুসলিমরা যখন মুহাম্মাদের নাম উল্লেখ করে বা লেখে, তখন তারা সাধারণত আরবি ভাষায় "صلى الله عليه وسلم" (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিব্যক্তিটি ব্যবহার করে যার অর্থ "আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করুন এবং তাকে শান্তি দান করুন"।[৫০৪]
তাসাউফ
ইসলামের প্রাথমিক যুগের শেষ দিক থেকে, বিশেষত প্রথম শতাব্দীর পরবর্তী সময় থেকে তাসাউফ বা ইসলামি আধ্যাত্মবাদ ইসলামি শরীয়াহ আইনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।[৫০৫] সুফি নামে পরিচিত ইসলামি মরমী সাধকগণ, যারা কুরআনের গূঢ় অর্থ এবং মুহাম্মাদের অভ্যন্তরীণ প্রকৃতি খুঁজতেন, তারা মুহাম্মাদকে শুধু একজন নবি হিসেবে নয়, একজন নিখুঁত মানুষ হিসেবেও দেখতেন। সকল সুফি আধ্যাত্মিক ধারা তাদের আধ্যাত্মিক উৎসকে মুহাম্মাদ পর্যন্ত নির্দেশ করে।[৫০৬] ইসলামের সাথে সুফিবাদের গভীর যোগসূত্রের ক্ষেত্রে মুহাম্মাদ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন। সুফিগণ কুরআনকে বহির্মুখী ও অভ্যন্তরীণ অর্থের ধারক হিসেবে দেখেন এবং মুহাম্মাদকে এই অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের মূর্ত প্রতীক মনে করেন। সমস্ত সুফি ধারা একমত যে, তাদের আধ্যাত্মিক পথের উৎস সরাসরি মুহাম্মাদ থেকে এসেছে।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
খ্রিস্টান ও ইউরোপীয় বিশ্ব
মুহাম্মাদ সম্পর্কে প্রাপ্ত প্রাচীনতম নথিভুক্ত খ্রিস্টান ধারণাগুলো পাওয়া যায় বাইজেন্টাইন (পূর্ব রোমান) সাম্রাজ্যের উৎসগুলোতে। এই নথিগুলো ইঙ্গিত করে যে, ইহুদি ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মাবলম্বীই মুহাম্মাদকে একজন মিথ্যা নবি হিসেবে বিবেচনা করত।[৫০৭]
মুহাম্মাদ সম্পর্কে আরেকটি গ্রিক উৎস হলো নবম শতাব্দীর লেখক থিওফেনসের লেখা। সবচেয়ে প্রাচীন সিরীয় (প্রাচীন আরামীয় ভাষার একটি উপভাষা) উৎস পাওয়া যায় সপ্তম শতাব্দীর লেখক জন বার পেনকায়ের রচনায়।[৫০৮]
ইরানি অধ্যাপক সাইয়্যেদ হোসাইন নাসরের মতে, ঐ সময়ের ইউরোপীয় সাহিত্যে মুহাম্মাদ সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিই বেশি দেখা যেত। মধ্যযুগীয় ইউরোপের কিছু শিক্ষিত সম্প্রদায় (বিশেষ করে লাতিন ভাষাভাষী পণ্ডিতরা) মুহাম্মাদ সম্পর্কে বেশ বিস্তারিত জীবনী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু তারা এই জীবনীগুলোকে খ্রিস্টান দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং মুহাম্মাদকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে দেখেছিলেন যিনি ধর্মের ছদ্মবেশে মানুষকে (সারাসেন) প্রতারিত করে তাদের নিজের প্রতি আনুগত করেছিলেন।[৫০৯] সে সময়ের জনপ্রিয় ইউরোপীয় সাহিত্যে মুহাম্মাদকে মুসলমানদের পূজিত দেবতা বা মূর্তিপূজক ঈশ্বর হিসেবে চিত্রিত করা হতো।[৫০৯]

ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে সিরীয় পাদ্রী প্রেসবিটার থমাস কর্তৃক লিখিত ঐতিহাসিক নথি অনুসারে, ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সাম্রাজ্য এবং মুহাম্মাদের আরব সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং এই যুদ্ধে আরবরা রোমানদের পরাজিত করে।[৫১০] ইতিহাসবিদরা এই যুদ্ধকে দাসিনের যুদ্ধ নামে অভিহিত করেছেন।[৫১১] এই নথিগুলোতে স্পষ্টভাবে "মুহাম্মাদের আরব" বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাইজেন্টাইনদের পরাজয়ের কথাও বর্ণিত হয়েছে। এর পূর্বে, ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে, মুহাম্মাদের প্রেরিত একটি মুসলিম সেনাবাহিনী সম্রাট হেরাক্লিয়াস কর্তৃক প্রেরিত একটি বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং মু'তার যুদ্ধ নামে পরিচিত এই যুদ্ধে কোন স্পষ্ট ফলাফল না আসলেও মুসলিমরা পরাজিত হয়নি।
৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে লেখা একটি সিরীয় নথিতে মুহাম্মাদের সেনাবাহিনীর বিজয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে মুহাম্মাদের সেনাবাহিনী বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে এবং গালীল থেকে বাল্খ পর্যন্ত সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। জার্নালে আরও বলা হয়েছে যে মুসলিম সেনারা বাইজেন্টাইন সৈন্যদের হত্যা করেছে এবং ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে গাবিতায় পরবর্তী যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে।[৫১২] গাবিতা অঞ্চলটি ইয়ারমুক নদীর তীরে অবস্থিত এবং বিখ্যাত জার্মান পণ্ডিত ও ধর্মতত্ত্ববিদ থিওডোর নোলডেকে বলেছেন যে এই যুদ্ধের তারিখ ও স্থান ইয়ারমুক যুদ্ধের তারিখ ও স্থানের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।[৫১৩] খালিদ বিন ওয়ালিদ এই যুদ্ধে মুসলিম সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এই যুদ্ধে মুসলিম আরবদের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।
পরবর্তী যুগগুলোতে, মুহাম্মাদকে একজন ধর্মদ্রোহী হিসেবে দেখা শুরু হয়েছিল। ১৩শ শতাব্দীতে ইতালীয় পণ্ডিত ব্রুনেত্তো লাতিনি তার বিখ্যাত রচনা Li livres dou tresor গ্রন্থে মুহাম্মাদকে একজন প্রাক্তন রোমান ক্যাথলিক সন্ন্যাসী এবং কার্ডিনাল হিসেবে চিত্রিত করেন।[৫০৯] ১৩০০-এর দশকে ইতালীয় কবি ও রাজনীতিবিদ দান্তে তার মহাকাব্য ইনফার্নোতে (দান্তের ইলাহি কবিতা - ২৮তম ক্যান্টো), মুহাম্মাদ এবং আলীকে "বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং ধর্মদ্রোহী" হিসেবে বিবেচনা করে জাহান্নামে স্থান দেন, যেখানে তাদেরকে শয়তানেরা বারবার আহত করে।[৫০৯]
জার্মান দার্শনিক গটফ্রিড লাইবনেিজ মুহাম্মাদকে "প্রাকৃতিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত না হওয়ার" জন্য প্রশংসা করেছিলেন।[৫১৪] ফরাসি ইতিহাসবিদ হেনরি দে বোল্যাভিলিয়ার তার ভি দে মাহোমেদ (মুহাম্মাদের জীবন) গ্রন্থে, যা তার মৃত্যুর পর ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল, মুহাম্মাদকে "দক্ষ রাজনৈতিক নেতা এবং ন্যায়পরায়ণ আইন প্রণেতা" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[৫১৪] তিনি তাকে ঈশ্বরের একজন রাসুল হিসেবে চিত্রিত করেছেন যিনি ঈশ্বরের একত্ববাদের (তাওহীদ) জ্ঞান পূর্ব দিকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে পশ্চিমে স্পেন পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে, ঈশ্বরের বিরোধী পূর্বের খ্রিস্টানদের বিস্মিত করতে এবং পূর্বকে রোমান ও পারস্যদের স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত করার জন্য ঐশ্বরিক বাণী লাভ করেছিলেন।[৫১৫]

ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট মুহাম্মাদ এবং ইসলামের প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। তিনি তাকে একজন অনুকরণীয় আইন প্রণেতা এবং মহান ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।[৫১৬]
বিশ্বখ্যাত রাশিয়ান লেখক লিও তলস্তয় তার কিছু বইয়ে (ইতিরাজ) স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তিনি ইসলামের নবি মুহাম্মাদের প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি মনে করতেন মুহাম্মাদ এবং তিনি যে ইসলাম ধর্ম এনেছিলেন তা খ্রিস্টধর্মের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তলস্তয় এই দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে তার জীবনের শেষ দিকে মুহাম্মাদ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন এবং এতে তিনি তার কিছু অল্প পরিচিত উক্তি উল্লেখ করেছিলেন।[৫১৭]
আমেরিকান জ্যোতির্পদার্থবিদ ও লেখক মাইকেল এইচ. হার্ট প্রায় ৩০ বছরের গবেষণার পর ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে দ্য ১০০: এ র্যাঙ্কিং অফ দ্য মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল পারসনস ইন হিস্ট্রি (বাংলায় অনূদিত শিরোনাম: মাইকেল এইচ. হার্টের সেরা ১০০) নামক একটি বই রচনা করেন। এই বইটিতে তিনি বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকা তৈরি করেছিলেন এবং তালিকার শীর্ষে রেখেছিলেন নবি হযরত মুহাম্মাদকে। এই মতামতের জন্য হার্ট ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার সম্মুখীন হন।[৫১৮]
“ | বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে মুহাম্মাদকে স্থান দেয়ায় কিছু পাঠক হতবাক হতে পারেন, আবার অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কিন্তু তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ইতিহাসে ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ উভয় ক্ষেত্রেই অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছিলেন। | ” |
— মাইকেল এইচ. হার্ট, ১০০: ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রেঙ্কিং, কেন? বই, ২০০৯। |
আধুনিক ইতিহাসবিদ
উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট এবং রিচার্ড বেলের মতো কিছু আধুনিক লেখক মুহাম্মাদ যে ইচ্ছাকৃতভাবে তার অনুসারীদের প্রতারণা করেছিলেন এই ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা মনে করেন মুহাম্মাদ "নিঃসন্দেহে একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন এবং সম্পূর্ণ ভালো উদ্দেশ্যে কাজ করেছিলেন"। তারা যুক্তি দেন যে, মুহাম্মাদ তার দাবির জন্য যেকোনো প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ছিলেন, যা তার আন্তরিকতার প্রমাণ।[৫১৯] তবে ওয়াট আরও বলেন যে, ভালো উদ্দেশ্য সবসময় সঠিকতা বহন করে না। তার মতে, "আধুনিক পরিভাষায় বলতে গেলে, মুহাম্মাদ সম্ভবত তার নিজস্ব অবচেতন মনকে ঐশ্বরিক বার্তার সাথে মিশ্রিত করে ফেলেছিলেন।"[৫১৯] উল্লেখ্য, উইলিয়াম এম. ওয়াট নিজে একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজক হলেও তিনি বলেছেন "মুহাম্মাদ ঈশ্বরের রাসুল"।[৫২০]
মন্টগোমারি ওয়াট এবং ইতিহাসবিদ বারনার্ড লুইস মনে করেন, মুহাম্মাদকে কেবল একজন স্বার্থপর প্রতারক হিসেবে দেখা ইসলামের বিকাশকে বোঝার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে।[৫২১][৫২২] আলফোর্ড টি. ওয়েলচ মনে করেন, মুহাম্মাদ যে কাজটি করেছিলেন তার প্রতি অটুট বিশ্বাসের কারণেই তিনি এতটা কার্যকর এবং সফল হতে পেরেছিলেন।[৫০৯]
অন্যান্য ধর্ম
বাহাই ধর্মাবলম্বীরা মুহাম্মাদকে তাদের অনেক নবিদের একজন হিসেবে বিশ্বাস করেন। তারা মনে করেন মুহাম্মাদ ছিলেন নবিদের চক্রের শেষ নবি, কিন্তু তার শিক্ষার স্থান ও গুরুত্বকে বাহাই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বাহাউল্লাহর শিক্ষা দখল করে নিয়েছে।[৫২৩][৫২৪]
সমালোচনা
মুহাম্মাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা ৭ম শতাব্দীতেই শুরু হয়েছিল যখন তিনি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসের প্রচার শুরু করেন এবং তখনকার পৌত্তলিক আরবরা তার নিন্দা ও কটূ সমালোচনা করে। আরবের ইহুদি গোষ্ঠীগুলো তাকে হা-মেশুগা (হিব্রু: מְשֻׁגָּע, "পাগল" বা "জ্বীনগ্রস্থ") বলে ডাকত কারণ তাদের মতে তিনি তানাখের বর্ণনা ও ব্যক্তিত্বগুলোকে অনুসরণ করেছিলেন, ইহুদি বিশ্বাসকে "অবমূল্যায়িত" করেছিলেন এবং কোনো অলৌকিক কাজ দেখাননি বা তানাখে যিহোভার নির্বাচিত সত্যিকারের নবি ও মিথ্যা নবিদের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য বর্ণিত ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করার আগেই নিজেকে "শেষ নবি" ঘোষণা করেছিলেন।[৫২৫]
মধ্যযুগ জুড়ে, বিভিন্ন পশ্চিমা এবং বাইজেন্টাইন খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ববিদেরা মুহাম্মাদকে একজন বিপথগামী এবং দুঃখজনক মিথ্যা নবি, এমনকি ডেজাল বা দাজ্জাল (খ্রিস্টধর্মের শেষ সময়ের বিরোধী) বলে অভিহিত করেছিলেন। খ্রিস্টান জগতে, মুহাম্মাদকে প্রায়শই একজন বিধর্মী এবং দানবদের দ্বারা আচ্ছন্ন আত্মা হিসেবে দেখা হতো। টমাস আকুইনাসের মতো কিছু সমালোচক মুহাম্মাদের পরকালে যৌন সুখের প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেছিলেন।[৫২৬]
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচিত হয়ে আসছে। এই সমালোচনাগুলো প্রায়শই নবি মুহাম্মাদের নবুয়ত, নৈতিকতা, দাসপ্রথা, শত্রুদের প্রতি আচরণ, বৈবাহিক জীবন, ধর্মীয় বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিক অবস্থার উপর কেন্দ্রীভূত হয়।[৫২৭]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে মুহাম্মাদ
চলচ্চিত্র

মুহাম্মাদের জীবন বা ইসলাম ধর্মের উপর দুটি বড় ধরনের চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। প্রথমটি হলো সিরীয়-আমেরিকান পরিচালক মুস্তফা আক্কাদের পরিচালিত ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের দ্য মেসেজ।[৫২৮] এই চলচ্চিত্রে মুহাম্মাদের মুখ বা শরীর কখনো দেখানো হয়নি, বরং ইসলাম ধর্মের উত্থান ও বিস্তারের উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।[৫২৯] "প্রথম" হিসেবে এর বিশেষত্বের কারণে এটি সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছিল।[৫৩০] চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ দৃশ্য লিবিয়াতে এবং কিছু দৃশ্য মরক্কোতে ধারণ করা হয়েছিল এবং এটি ১২টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল।[৫৩০]
দ্বিতীয়টি হলো ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদির পরিচালিত এবং ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত মুহাম্মাদ: দ্য ম্যাসেঞ্জার অব গড।[৫৩১] এই চলচ্চিত্রে মুহাম্মাদের ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শৈশবকাল দেখানো হয়েছে এবং মুহাম্মাদের মুখ না দেখালেও তার শরীর, হাত, পা এবং চুল দেখানো হয়েছে।[৫৩২] ৫-৬ বছর ধরে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি কিছু সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হলেও অনেকের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল; এমনকি কিছু সুন্নি প্রধান দেশে এটি প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিছু সুন্নি মুসলিম পরিচালক মাজিদিকে শিয়া দৃষ্টিকোণ থেকে চলচ্চিত্র তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন; যা মাজিদি অস্বীকার করেছিলেন।[৫৩৩]
সাহিত্য
বাংলা ছাড়াও বিশ্বের অসংখ্য ভাষায় মুহাম্মাদের জীবন নিয়ে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম রচিত হয়েছে। বিখ্যাত রুশ লেখক লিও টলস্টয় তার ইতিরাজ মুহাম্মাদের প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন এবং তার সম্পর্কে তার ইতিবাচক মতামত লিপিবদ্ধ করেছেন। লিও টলস্টয় তার জীবনের শেষ বছরগুলোতে মুহাম্মাদের কিছু অল্প পরিচিত উক্তি (হাদিস) সংগ্রহ করে একটি বই আকারে প্রকাশ করেছিলেন।[৫৩৪]
আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং লেখক মাইকেল এইচ. হার্ট ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত মাইকেল এইচ. হার্টের সেরা ১০০ (ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকা) বইতে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জীবনী লিপিবদ্ধ করেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা সফল বলে বিবেচিত এবং কখনও কখনও তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া মাইকেল এইচ. হার্টের তালিকার ১ নম্বরে মুহাম্মাদ রয়েছেন।[৫৩৫]
সঙ্গীত
বহিঃস্থ ভিডিও | |
---|---|
![]() |
মুহাম্মাদ এবং ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করে রচিত সঙ্গীতের ক্ষেত্রে লেবাননের বংশোদ্ভূত সুইডিশ সঙ্গীতশিল্পী মেহের জেইনের গানগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ও অন্যতম জনপ্রিয়। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত ইয়া নাবী সালাম আলাইকা (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে পয়গম্বর) এবং ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মুহাম্মাদ, আল্লাহর শান্তি ও আশীর্বাদ তার উপর বর্ষিত হোক) গানগুলো এর উদাহরণ।
ঘটনাপঞ্জি
মক্কার বছর[৫৩৬][৫৩৭][৫৩৮][৫৩৯] | মদিনার বছর[৫৩৬][৫৩৭][৫৩৮][৫৩৯] | ||||
---|---|---|---|---|---|
বছর | বয়স | ঘটনা | বছর | বয়স | ঘটনা |
আনু. ৫৭০ | - | পিতা আবদুল্লাহর মৃত্যু | ৬২২ | ৫২ | মদিনায় আগমন এবং মসজিদে নববির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন |
আনু. ৫৭০ | - | হস্তিবর্ষ | মদিনায় মদিনার সনদ নামে সংবিধান প্রণয়ন | ||
আনু. ৫৭০ | - | মক্কা নগরীতে তার জন্ম | সাসানীয় সাম্রাজ্যের দখলকৃত সিরিয়া ও মিশর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য কর্তৃক পুনর্দখল | ||
৫৭৪ | ৪ | দুধমা হালিমার নিকট হতে পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তন | ৬২২-৬২৩ | ৫২-৫৩ | মুহাজির এবং আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন |
৫৭৬ | ৬ | মাতা আমিনার মৃত্যু | ৬২৩ | ৫৩ | মদিনা নগর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচন |
৫৭৮ | ৮ | দাদা আবদুল মুত্তালিবের মৃত্যু | মসজিদ আল-আকসা (জেরুজালেম) থেকে কাবায় (মক্কা) মুসলমানদের কিবলা পরিবর্তন | ||
আনু. ৫৮৩ | ১২-১৩ | চাচা আবু তালিবের সাথে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সিরিয়া গমন | ৬২৪ | ৫৪ | বদরের যুদ্ধ |
৫৮৭ | ১৭ | চাচা যুবায়েরের সাথে ইয়েমেন গমন | ৬২৪ | কন্যা রুকাইয়াহর মৃত্যু | |
৫৮৮ | ১৮ | চাচাদের সাথে ফিজার যুদ্ধে অংশগ্রহণ | ৬২৪ | বাগদত্তা আয়িশার সাথে তার বিবাহ | |
৫৯০ | ২০ | হিলফুল ফুজুল সামাজিক সংঘ গঠন | ৬২৪ | মদিনায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের বিরোধীতা ও ষড়যন্ত্রের সূচনা | |
৫৯৪ | ২৪ | খাদিজার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি হিসেবে বুসরা গমন | ৬২৪ | বনু কাইনুকা অভিযান | |
৫৯৫ | ২৫ | খাদিজার সাথে সাক্ষাৎ, খাদিজার বৈবাহিক প্রস্তাব এবং বিবাহ | ৬২৫ | ৫৫ | চাচা হামযার মৃত্যু |
৫৯৮ | ২৭-২৮ | তার প্রথম সন্তান কাসিমের জন্ম, পিতা হিসেবে আবুল কাসিম (কাসিমের পিতা) উপাধি লাভ এবং শিশুবয়সেই প্রথম সন্তানের মৃত্যু | নাতি হাসান ইবনে আলীর জন্ম | ||
৫৯৯ | ২৮-২৯ | প্রথম কন্যাসন্তান জয়নবের জন্ম | আল-রাজির অভিযান এবং বির মাউনার হত্যাকাণ্ড | ||
৬০২ | ৩২ | কন্যাসন্তান রুকাইয়াহর জন্ম | বনু নাদির অভিযান | ||
৬০৫ | ৩৫ | কাবা ঘরের পুনর্নির্মাণের সময় হাজরে আসওয়াদ পাথরটির স্থাপন বিষয়ে বিরোধের মীমাংসায় মধ্যস্থতা করা | ৬২৬ | ৫৬ | দ্বিতীয় নাতি হুসাইন ইবনে আলীর জন্ম |
আনু. ৬০৭ | ৩৭ | কন্যাসন্তান উম্মে কুলসুমের জন্ম | ৬২৭ | ৫৭ | খন্দকের যুদ্ধ |
আনু. ৬০৯ | ৩৯ | কনিষ্ঠ কন্যা ফাতিমার জন্ম | খন্দকের যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজার শাস্তি | ||
৬১০ | ৪০ | হেরা গুহায় অবস্থানকালে প্রথম ওহি প্রাপ্তি | ৬২৮ | ৫৮ | হুদাইবিয়ার সন্ধি |
৬১১ | ৪১ | দ্বিতীয় পুত্রসন্তান আব্দুল্লাহর জন্ম এবং এক বছর বয়স হওয়ার আগেই তার মৃত্যু | ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি লিখে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের শাসকদের কাছে পত্র প্রেরণ | ||
৬১৩ | ৪৩ | প্রকাশ্যে মক্কাবাসীর নিকট আল্লাহর একত্ববাদের প্রচার | খায়বারের যুদ্ধ | ||
৬১৪ | ৪৪-৪৫ | মক্কায় মুসলিমদের উপর তীব্র নিপীড়নের সূচনা | খায়বার বিজয়ের পর একজন ইহুদি মহিলা কর্তৃক বিষ প্রয়োগের চেষ্টা | ||
৬১৫ | ৪৫ | আবিসিনিয়ায় একদল মুসলিমের অভিবাসন | নিনেভের যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাইজেন্টাইন-সাসানিদের যুদ্ধের সমাপ্তি | ||
৬১৬ | ৪৬ | হামযা এবং উমরের ইসলাম গ্রহণ | ৬২৯ | ৫৯ | কন্যা জয়নবের মৃত্যু |
সাসানীয় সাম্রাজ্যের শাসক দ্বিতীয় খসরুর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের অধীনস্থ সিরিয়া এবং মিশর দখল | খালিদ বিন ওয়ালিদ এবং আমর ইবনুল আসের ইসলাম গ্রহণ | ||||
বনু হাশিম গোত্রের বিরুদ্ধে অবরোধের সূচনা | মু'তার যুদ্ধ (বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে প্রথম যুদ্ধ) | ||||
৬১৯ | ৪৯ | বনু হাশিম গোত্রের বিরুদ্ধে অবরোধের সমাপ্তি | ৬৩০ | ৬০ | মক্কা বিজয়, কাবা থেকে সকল মূর্তির অপসারণ |
স্ত্রী খাদিজা এবং চাচা আবু তালিবের মৃত্যু (দুঃখের বছর) | আরবে ব্যাপক অভিযান এবং ইসলামের দ্রুত প্রসার | ||||
৬২০ | ৫০ | ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে তায়েফ গমন, তার উপর তায়েফবাসীর নিপীড়ন ও পাথর নিক্ষেপ এবং মক্কায় পুনরায় ফিরে আসা | কন্যা উম্মে কুলসুমের মৃত্যু | ||
ইসরা ও মিরাজের ঘটনা | স্ত্রী মারিয়া থেকে পুত্র ইব্রাহিমের জন্ম এবং ১-২ বছর বয়সে তার মৃত্যু | ||||
আকাবার প্রথম শপথ | তাবুকের যুদ্ধ | ||||
আনু. ৬২১ | ৫১ | সাওদা বিনতে জামআর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ | আনু. ৬২৮-৬৩১ | ৫৮-৬১ | দাহিয়া কালবীর মাধ্যমে বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের কাছে ইসলামের আমন্ত্রণ পত্র প্রেরণ |
৬২১ | ৫১ | আকাবার দ্বিতীয় শপথ | ৬৩২ | ৬১-৬২ | মক্কায় বিদায় হজ পালন এবং এক লক্ষেরও অধিক মুসলিমের সামনে বিদায় হজের ভাষণে শেষবারের মতো সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান |
৬২২ | ৫২ | মদিনায় হিজরত | ৬২-৬৩ | শারীরিক অসুস্থতা এবং মদিনায় মৃত্যুবরণ |
আরও দেখুন
পাদটীকা
- ↑ পূর্ণ নাম: আবুল কাসিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم)
- ↑ গোল্ডম্যান ১৯৯৫, পৃষ্ঠা ৬৩, প্রভাবশালী ইসলামি রীতি অনুসারে ৮ জুন ৬৩২ খ্রিস্টাব্দকে নির্দেশ করে। অনেক পূর্ববর্তী (প্রধানত অ-ইসলামি) রীতি তাকে মুসলিমদের ফিলিস্তিন বিজয়ের সময়েও জীবিত বলে উল্লেখ করে।
- ↑ ওয়েলচ, মুসালি এবং নিউবি (২০০৯) অনুসারে ইসলামি বিশ্বকোষে লেখা: "ইসলামের নবি ছিলেন একজন ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারক যিনি বিশ্বের অন্যতম মহান সভ্যতার জন্ম দিয়েছেন। একটি আধুনিক, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, মুহাম্মাদ ছিলেন ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি বিশ্বাসের দৃষ্টিকোণ থেকে, তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসুল (রাসুল আল্লাহ), যাকে প্রথমে আরবদের এবং তারপর সমগ্র মানবজাতির জন্য "সতর্ককারী" হিসাবে ডাকা হয়েছিল।"
তথ্যসূত্র
- ↑ "Why send durood on prophet(saws)." [নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি দরুদ পাঠের কারণ কী] (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১২।
- ↑ "What does the Muslim phrase, "Peace Be Upon Him" mean?" [মুসলিমদের ব্যবহৃত "তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক" বাক্যটির অর্থ কী?] (ইংরেজি ভাষায়)। ইনোভেটআস ইনক.। ১১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ কনরাড, লরেন্স আই. (১৯৮৭)। "Abraha and Muhammad: Some Observations on Chronology and Literary Topoi in Early Arabic Historical Tradition." [আবরাহা ও মুহাম্মাদ: প্রাচীন আরবি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে কালানুক্রমিক ধারাবাহিকতা ও সাহিত্যিক টোপোই নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ]। স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বুলেটিন। ৫০ (২): ২২৫–৪০। এসটুসিআইডি 162350288। ডিওআই:10.1017/S0041977X00049016।
- ↑ ওয়েলচ, মুসাল্লি এবং নিউবাই ২০০৯।
- ↑ ক খ এস্পোসিটো ২০০২, পৃ. ৪-৫।
- ↑ এস্পোসিটো ১৯৯৮, পৃ. ৯,১২।
- ↑ ক খ কনরাড ১৯৮৭।
- ↑ রডিনসন ২০২১, পৃ. ৩৮, ৪১–৩।
- ↑ রজার্স ২০১২, পৃ. ২২।
- ↑ ওয়াট ১৯৭৪, পৃ. ৭।
- ↑ "Why Did Prophet Muhammad Often Visit Cave of Hira'?" [নবি মুহাম্মাদ হেরা গুহায় নিয়মিত যেতেন কেন?]। আবাউট ইসলাম (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১১।
- ↑ আহমেদ, উজাইর (২০২২-০২-২২)। "Cave of Hira | Also Known as Jabal Al-Hira | The First Revelation" [হেরা গুহা | জাবাল আল-হেরা নামেও পরিচিত | প্রথম ওহির স্থল]। দ্য পিলগ্রিম (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১১।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (২০১২-০৯-১৫)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১০। আইএসবিএন 978-0-19-906716-9।
- ↑ "উম্মি বা নিরক্ষর দ্বারা উদ্দেশ্য"। www.hadithbd.com। ২০২৫-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৯।
- ↑ ক খ হাওয়ার্থ, স্টিফেন। Knights Templar [নাইট টেম্পলার]। ১৯৮৫. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮২৬৪-৮০৩৪-৭ পৃ. ১৯৯
- ↑ "তিন বছর গোপনে ইসলাম প্রচার"। www.kalerkantho.com। ২০২১-০৩-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৯।
- ↑ "তিন বছর গোপনে প্রচার (ثَلَاثُ سَنَوَاتٍ مِنْ الدَّعْوَةِ السِّرِّيَّةِ):"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৯।
- ↑ মুহাম্মাদ মুস্তফা আল-আজামি (২০০৩), The History of the Qur'anic Text: From Revelation to Compilation – A Comparative Study with the Old and New Testaments. [কুরআন পাঠ্যের ইতিহাস: ওহী থেকে সংকলন পর্যন্ত — পুরাতন ও নতুন নিয়মের সঙ্গে একটি তুলনামূলক অধ্যয়ন], পৃ. ২৬–২৭। ইউকে ইসলামি একাডেমী। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৭২৫৩১-৬৫-৬.
- ↑ আহমদ ২০০৯।
- ↑ পিটার্স ২০০৩, পৃ. ৯।
- ↑ বুহল ও ওয়েলচ ১৯৯৩।
- ↑ হোল্ট, ল্যাম্বটন এবং লুইস ১৯৭৭, পৃ. ৫৭।
- ↑ ল্যাপিডাস ২০০২, পৃ. ৩১-৩২।
- ↑ "Resulullah efendimizin isimleri" [রাসুলুল্লাহের নামসমূহ] (ইংরেজি ভাষায়)। dinimizislam.com। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট, নিকোলাই সিনাই। "Muhammad – Prophet of Islam" [মুহাম্মাদ – ইসলামের নবি] (ইংরেজি ভাষায়)। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ডায়ান, মরগান (২০০৯)। Essential Islam: A Comprehensive Guide to Belief and Practice [ইসলামের মূল বিষয়: বিশ্বাস ও কর্মের একটি ব্যাপক নির্দেশিকা]। পৃষ্ঠা ১০১। আইএসবিএন 978-0-313-36025-1। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ গ কান্দেমির, এম. ইয়াসার। "MUHAMMED" [মুহাম্মাদ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলাম আনসিক্লোপেডিসি। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Muhammet Kelimesinin Kökeni ve Anlamı" [মুহাম্মাদ শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ] (তুর্কি ভাষায়)। etimolojiturkce.com। ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ বোজকুর্ট, নেবি। "KÜNYE" [লেখক পরিচিতি] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলাম আনসিক্লোপেডিসি। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ আলফ্রেড গুইলিয়াম। The Life Of Muhammad, by Ibn Ishaq [মুহাম্মাদের জীবন – ইবন ইসহাক রচিত] (English ভাষায়)। পৃষ্ঠা ৮০–৮১।
- ↑ ইবনে সা'দ। Kitab Al Tabaqat Al Kabir by Ibn Sad - 3 Volume [ইবনে সা'দের "আল-তাবাকাত আল-কবীর" (৩ খণ্ডে)]। পৃষ্ঠা ১৩৩।
- ↑ ইবুল-মেহাসিন ইউসুফ খ. ইসমাইল খ. ইউসুফ শাফি নেভানি (২০০৫)। Hüccetüllah ale’l-Âlemîn fî Mu'cizati Seyyidi'l-Mürselin [আল্লাহর নিদর্শন সমগ্র জগতের জন্য: সর্বশেষ নবির মু'জিজা] (আরবি ভাষায়)। দারুল-কুতুবিল-ইলমিয়্যে। পৃষ্ঠা ১০৮, ১১২। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ নুরেদ্দিন আলী বিন ইব্রাহিম বিন আহমেদ এল-হালেবি (২০১৩)। Es-Siretü'l-Halebiyye [হালাবীর জীবনী] (আরবি ভাষায়)। দারুল-কুতুবিল-ইলমিয়্যে। পৃষ্ঠা ১:৩৫৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ El-Envaru'l-Muhammediyye Mine'l-Mevahibü'l-Ledünni [মহানবি মুহাম্মাদের আলোকিত জ্ঞানের ঝর্ণা: অলৌকিক অনুপ্রেরণা থেকে প্রাপ্ত দান] (আরবি ভাষায়)। ফাজিলেট নেশরিয়াত। ২০১৮। পৃষ্ঠা ১৪৩। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত।
- ↑ ভলকার পপ, শিলালিপি এবং সংখ্যাগত প্রমাণ অনুসারে ইসলামের প্রাথমিক ইতিহাস, ইন: কার্ল-হেইঞ্জ ওহলিগ (সম্পাদনা), দ্য ডার্ক বিগিনিংস: ইসলামের উত্থান এবং প্রাথমিক ইতিহাসের উপর নতুন গবেষণা, বার্লিন ২০০৫, পৃষ্ঠা ১৬–১২৩।
- ↑ জিন-লুই ডেক্লেস, Names of the Prophet [নবির নাম], কুরআনের এনসাইক্লোপিডিয়া
- ↑ নাসর, সৈয়দ হোসেন (২০০৭)। "[কুরআন]"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন। ৫ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ Living Religions: An Encyclopaedia of the World's Faiths [জীবন্ত ধর্ম: বিশ্বের বিশ্বাসের বিশ্বকোষ], মেরি প্যাট ফিশার, ১৯৯৭, পৃ. ৩৩৮, আই.বি. টরিস পাবলিশার্স।
- ↑ কুরআন ১৭:১০৬
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (৪ জানুয়ারি ২০২৪)। "Muhammad [মুহাম্মাদ]"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ বেনেট ১৯৯৮, পৃ. ১৮–১৯।
- ↑ পিটার্স ১৯৯৪, পৃ. ২৬১।
- ↑ বোরা, ফজিয়া (২০১৫-০৭-২২)। "Discovery of 'oldest' Qur'an fragments could resolve enigmatic history of holy text" ["প্রাচীনতম" কুরআনের খণ্ড আবিষ্কার পবিত্র গ্রন্থের রহস্যময় ইতিহাস উন্মোচন করতে পারে]। দ্য কনভারসেশন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৪।
- ↑ লম্বার্ড, জোসেফ ই.বি. (২৪ জুলাই ২০১৫)। "New Light on the History of the Quranic Text?" [নতুন আলোকপাতে কুরআনের ইতিহাস?]। হাফিংটন পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২১।
- ↑ ক খ ওয়াট ১৯৫৩, পৃ. ১১।
- ↑ রিভস, মিনু (২০০৩)। Muhammad in Europe: A Thousand Years of Western Myth-Making [ইউরোপে মুহাম্মাদ: পশ্চিমা পৌরাণিক কাহিনীর এক হাজার বছর]। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 6–7। আইএসবিএন 0814775640।
- ↑ ক খ নিগোসিয়ান ২০০৪, পৃ. ৬।
- ↑ ডোনার, ফ্রেড (১৯৯৮)। Narratives of Islamic Origins: The Beginnings of Islamic Historical Writing [ইসলামের উৎপত্তির বর্ণনা: ইসলামি ঐতিহাসিক লেখার সূচনা]। ডারউইন প্রেস। পৃষ্ঠা 132। আইএসবিএন 0878501274।
- ↑ হল্যান্ড, টম (২০১২)। In the Shadow of the Sword [তরবারির ছায়ায়]। ডাবলডে। পৃষ্ঠা ৪২। আইএসবিএন 978-0-7481-1951-6।
- ↑ লুইস, বার্নার্ড (১৯৯৩)। Islam and the West। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 33–34। আইএসবিএন 978-0195090611।
- ↑ জনাথন, এসি ব্রাউন (২০০৭)। The Canonization of al-Bukhārī and Muslim: The Formation and Function of the Sunnī Ḥadīth Canon। ব্রিল পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা 9। আইএসবিএন 978-90-04-15839-9। ১৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ মাদেলুং ১৯৯৭, পৃ. ১১, ১৯–২০।
- ↑ আরডিক ২০১২, পৃ. ৯৯।
- ↑ রবিনসন, চেজ এফ. (২০১৫)। History and Religion [ইতিহাস এবং ধর্ম] (পিডিএফ)। লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস। পৃষ্ঠা ১৩০। ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ফ্রেড এম ডোনার (৩১ জানুয়ারি ২০১৯)। "Islam's Origins: Myth and Material Evidence" [ইসলামের উৎপত্তি: রহস্য এবং বস্তুগত প্রমাণ] (প্রকাশিত হয় এপ্রিল ৩, ২০১৯)। সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১।
- ↑ ক খ কনরাড, লরেন্স আই. (১৯৮৭)। "Abraha and Muhammad: Some Observations Apropos of Chronology and Literary" [আব্রাহা এবং মুহাম্মাদ: কালক্রম এবং সাহিত্যিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণ]। স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বুলেটিন (ইংরেজি ভাষায়): ২২৫–২৪০। আইএসএসএন 1474-0699। ডিওআই:10.1017/S0041977X00049016। ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Uluslararası Hz. Ömer Sempozyumu" [আন্তর্জাতিক হযরত ওমর সিম্পোজিয়াম] (পিডিএফ)। কুমহুরিয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদ। ২০১৮। জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ গুঙ্গর, শায়মা। "Tarihî Olaydan Menkıbeye, Menkıbeden Şahesere (Kerbelâ Olayı ve Hadikatü's-Süeda)" [ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে কিংবদন্তি, কিংবদন্তি থেকে মহাকাব্য: কারবালার ঘটনা ও হাদিকাতুস সুয়াদা] (পিডিএফ)। ১৯ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ নিগোসিয়ান, সলোমন আলেকজান্ডার (২০০৪)। Islam: Its History, Teaching, and Practices [ইসলাম: ইতিহাস, শিক্ষা এবং অনুশীলন] (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬। আইএসবিএন 978-0-253-34315-4। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ বেয়ারম্যান, পেরি জে. (১৯৯৭)। The Encyclopaedia of Islam, New Edition: Index of Subjects [ইসলামের বিশ্বকোষ, নতুন সংস্করণ: বিষয়বস্তুর সূচি] (ইংরেজি ভাষায়)। ই.জে. ব্রিল। পৃষ্ঠা ৬৬০–৬৬৩। আইএসবিএন 978-90-04-10422-8। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ কুক, মাইকেল (১৯৮৩)। Muhammad [মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬২। আইএসবিএন 978-0-19-287605-8। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Muhammet Yaşadı Mı? | Prof. Dr. Sami Aldeeb ve Furkan Er" ["মুহাম্মাদ কি জীবিত ছিলেন?" | প্রফেসর ডঃ সামি আলদিব এবং ফুরকান এর]। www.nonteizm.com। মে ২৭, ২০২১। জুন ২২, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৮, ২০২৩।
- ↑ এন্ডারসন, মার্ক (২৮ অক্টোবর ২০১৮)। "Is Mecca Really the Birthplace of Islam?" [মক্কা কি সত্যিই ইসলামের জন্মস্থান?]। জুইমার সেন্টার ফর মুসলিম স্টাডিজ। ১৩ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ আল-তামিমি, আয়মেন জাওয়াদ (২৯ আগস্ট ২০১৯)। "The Byzantine-Arabic Chronicle: Full Translation and Analysis" [বাইজেন্টাইন এবং আরবদের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ও বিশ্লেষণ] (ইংরেজি ভাষায়)। aymennjawad.org। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Arşivlenmiş kopya" [আর্কাইভ কপি]। ২৫ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Arşivlenmiş kopya" [আর্কাইভ কপি]। এপ্রিল ২৩, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৬, ২০২১।
- ↑ "Mekke Nerede???" [মক্কা কোথায়?]। ইউটিউব। ২৬ মে ২০২১: ইলিয়াস ওজকান। ২৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ "Birmingham Qur'an manuscript dated among oldest in the world" [বার্মিংহাম কুরআনের পাণ্ডুলিপি বিশ্বের প্রাচীনতম]। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০১।
- ↑ নিগোসিয়ান, সলোমন এ. (২৯ জানুয়ারি ২০০৪)। Islam: Its History, Teaching, and Practices [ইসলাম: ইতিহাস, শিক্ষা এবং অনুশীলন] (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬। আইএসবিএন 978-0-253-11074-9। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ নেভো, নেহুদা ডি.; কোরেন, জুডিথ (২০০০)। The Quest for the Historical Muhammad [ঐতিহাসিক মুহাম্মাদের অনুসন্ধান] (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক: প্রমিথিউস বুকস। পৃষ্ঠা ৪২০–৪৪৩।
- ↑ জুইনবল, জি. এইচ. এ. (১৯৮২)। Studies on the First Century of Islamic Society [ইসলামি সমাজের প্রথম শতাব্দীর উপর গবেষণা] (ইংরেজি ভাষায়)। সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২০। আইএসবিএন 978-0-8093-1062-3। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ জুইনবল, জি. এইচ. এ. (১৯৮২)। Studies on the First Century of Islamic Society [ইসলামি সমাজের প্রথম শতাব্দীর উপর গবেষণা] (ইংরেজি ভাষায়)। সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 978-0-8093-1062-3। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ নেভো, নেহুদা ডি.; কোরেন, জুডিথ (২০০০)। The Quest for the Historical Muhammad [ঐতিহাসিক মুহাম্মাদের অনুসন্ধান] (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক: প্রমিথিউস বুকস। পৃষ্ঠা ৪৩২।
- ↑ ক খ ডিউস, এ. জে. (২০২১)। "Doctrina Jacobi: Jacob and Justus" [জ্যাকোবের শিক্ষা: জ্যাকোব ও জাস্টাস]। academia.edu। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ অ্যান্টনি, শন ডব্লিউ. (১ নভেম্বর ২০১৪)। "Muḥammad, the Keys to Paradise, and the Doctrina Jacobi: A Late Antique Puzzle" [মুহাম্মাদ, স্বর্গের চাবি এবং ডকট্রিনা জ্যাকোবি: একটি প্রাচীন রহস্য]। ডের ইসলাম (ইংরেজি ভাষায়) (২): ২৪৩–২৬৫। আইএসএসএন 1613-0928। ডিওআই:10.1515/islam-2014-0010। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ ক্রোন, প্যাট্রিসিয়া; কুক, মাইকেল (২১ এপ্রিল ১৯৭৭)। Hagarism: The Making of the Islamic World [হ্যাগারিজম: ইসলামি বিশ্বের গঠন] (ইংরেজি ভাষায়)। সিইউপি আর্কাইভ। আইএসবিএন 978-0-521-21133-8। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Muhammed diye biri yaşamış mıdır? | Doç. Dr. Zafer Duygu" [মুহাম্মাদ নামে কি কেউ ছিলেন? | ডঃ জাফের দুইগ্যু]। ইউটিউব। ডিনি সেভাপ্লার। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২। ৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ কায়েগি, ওয়াল্টার এমিল (১৯৯২)। Byzantium and the Early Islamic Conquests [বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং প্রাথমিক ইসলামি বিজয়] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৯০–৯৩। আইএসবিএন 978-0-521-41172-1। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ কায়েগি, ওয়াল্টার এমিল (১৯৯২)। Byzantium and the Early Islamic Conquests [বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং প্রাথমিক ইসলামি বিজয়] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১১০। আইএসবিএন 978-0-521-41172-1। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ থমসন, রবার্ট ডব্লিউ.; হাওয়ার্ড-জনস্টন, জেমস (১৯৯৯)। The Armenian History Attributed to Sebeos [সেবেওসের নামে পরিচিত আর্মেনীয় ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। লিভারপুল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৩৮। আইএসবিএন 978-0-85323-564-4। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ হয়ল্যান্ড, রবার্ট জি. (১০ জানুয়ারি ২০১৪)। Seeing Islam as Others Saw It: A Survey and Evaluation of Christian, Jewish and Zoroastrian Writings on Early Islam [অন্যদের দৃষ্টিতে ইসলাম: প্রাথমিক ইসলামের উপর খ্রিস্টান, ইহুদি ও জরথুস্ট্রীয় লেখার একটি সমীক্ষা ও মূল্যায়ন] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডারউইন প্রেস। পৃষ্ঠা ১২৮। আইএসবিএন 978-1-61813-131-7। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ থমসন, রবার্ট ডব্লিউ. (১৯৯৯)। The Armenian History Attributed to Sebeos [সেবেওসের নামে পরিচিত আর্মেনীয় ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। লিভারপুল ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৯৫–৯৬। আইএসবিএন 978-0-85323-564-4। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক্রোন, প্যাট্রিসিয়া; কুক, এম. এ.; কুক, মাইকেল (২১ এপ্রিল ১৯৭৭)। Hagarism: The Making of the Islamic World [হ্যাগারিজম: ইসলামি বিশ্বের বিকাশ] (ইংরেজি ভাষায়)। সিইউপি আর্কাইভ। পৃষ্ঠা ৬–৭। আইএসবিএন 978-0-521-21133-8। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "BBC One - Andrew Marr's History of the World, Original Series" [বিবিসি ওয়ান - অ্যান্ড্রু মারের বিশ্ব ইতিহাস, মূল ধারাবাহিক]। বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০১।
- ↑ মার, এন্ড্রু (২০১৮)। Büyük Dünya Tarihi [বৃহত্তর বিশ্বের ইতিহাস] (তুর্কি ভাষায়)। ইয়াকামোজ পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১৯৯। আইএসবিএন 978-605-297-160-4। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Dinlerin İnsan Ürünü Olduğunun Kanıtı Var mı? – Celâl Şengör" [ধর্মগুলো কি মানুষের তৈরি? – সেলাল শেঙ্গোর]। ইউটিউব। বিলিমনিডিয়ার। ৬ অক্টোবর ২০২২। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Öteki Gündem – Göbeklitepe Sırları" [অন্যদিকের গল্প - গোবেক্লিটেপের রহস্য]। ইউটিউব। হ্যাবার্টর্ক টিভি। ২২ নভেম্বর ২০১৭। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Celâl Şengör, Mehmet Önal ve Ahmet Arslan, Teke Tek Bilim'de son kazılar ışığında Harran'ı anlattı" [সেলজুক শেঙ্গোর, মেহমেত ওনাল এবং আহমেত আরসলান, "টেক টেক বিলিম" অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক খননকার্যের আলোকে হারান শহর সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।]। ইউটিউব। হ্যাবার্টর্ক টিভি। ২৩ মে ২০২২। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ এভসি, কাসিম। "KUREYŞ (Benî Kureyş)" [কুরাইশ (বনী কুরাইশ)] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৩ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইবনে হিশাম, সীরা, খন্ড ১, পৃ. ১-৩
- ↑ ইবনে সা'দ, তাবাকাত, ১ম খন্ড, পৃ. ৫৫-৫৬
- ↑ বেলাজুরি, এনসাবুল-এসরাফ, ভলিউম ১, পৃ. ১২
- ↑ তাবারী, ইতিহাস, ২য় খন্ড, পৃ. ১৭২-১৮০
- ↑ সুরুক, সালিহ (২০২০)। Kâinatın Efendisi Peygamberimizin Hayatı [বিশ্বজগতের রহমত আমাদের নবির জীবন] (তুর্কি ভাষায়)। জেনারেশন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ৪০। আইএসবিএন 978-975-269-894-9। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইবনে-ই সাদ, তবাকাত, খন্ড ১, পৃ. ২০
- ↑ মুসলিম, সহিহ-ই মুসলিম, খণ্ড ৭, পৃ. ৫৮
- ↑ "Sayings and Teachings of Prophet Muhammad" [নবি মুহাম্মাদের বাণী ও উপদেশ]। sunnah.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-০৭।
- ↑ কিং, জি. আর. ডি. (২০০৪)। "The Paintings of the Pre-Islamic Kaʿba" [ইসলাম-পূর্ব কাবার চিত্রাঙ্কনসমূহ]। মুকারনাস। ২১: ২১৯–২২৯। আইএসএসএন 0732-2992।
- ↑ হেইস, জেফ্রি। "Muhammad's Return to Mecca: Battles, Cleansing the Kaaba and the Last Sermon | Middle East And North Africa — Facts and Details" [মুহাম্মাদের মক্কায় প্রত্যাবর্তন: যুদ্ধ, কাবা পরিশোধন ও বিদায় হজের ভাষণ | মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা — তথ্য ও বিশ্লেষণ]। africame.factsanddetails.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-০৬।
- ↑ হারমান, ওমর ফারুক। "İSMÂİL" [ইসমাইল] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Quraish or Qorash (Q 106): From the Perspectives of Qur'an and Bible" [কুরাইশ বা কোরেশ (সূরা ১০৬): কুরআন এবং বাইবেলের দৃষ্টিকোণ থেকে]।
- ↑ ক খ অ্যাগিরাকা, আহমেত। "NABATÎLER" [নাবাতী] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ হামিদুল্লাহ, মুহাম্মাদ (ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯)। "The Nasi', the Hijrah Calendar and the Need of Preparing a New Concordance for the Hijrah and Gregorian Eras: Why the Existing Western Concordances are Not to be Relied Upon" [নাসি, হিজরি ক্যালেন্ডার এবং হিজরি ও গ্রেগরিয়ান যুগের জন্য একটি নতুন সমন্বয় প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তা: কেন বিদ্যমান পাশ্চাত্য সমন্বয়গুলো নির্ভরযোগ্য নয়] (পিডিএফ)। দ্য ইসলামি রিভিউ অ্যান্ড আরব অ্যাফেয়ার্স: ৬–১২। ৫ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ হজাহ আমিনা আদিল (২০০২)। Muhammad, the Messenger of Islam: His Life & Prophecy [মুহাম্মাদ, ইসলামের নবি: তার জীবন ও নবুয়ত] (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসসিএ। আইএসবিএন 978-1-930409-11-8। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Ebrehe'nin Ordusu – Prof. Dr. Yaşar Nuri Öztürk" [ইব্রাহিমের সৈন্য - অধ্যাপক ড. ইয়াসার নুরি ওজটুর্ক]। www.hakikat.com। ১৩ জুলাই ২০১৩। ১৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ কনরাড, লরেন্স আই. (১৯৮৭)। "Abraha and Muhammad: Some Observations Apropos of Chronology and Literary Topoi in the Early Arabic Historical Tradition 1" [আব্রাহা এবং মুহাম্মাদ: ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষার্ধের আরব ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে কালক্রম এবং সাহিত্যিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণ]। স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বুলেটিন (২): ২২৫–৪০। ডিওআই:10.1017/S0041977X00049016। ২১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ ক খ শেরার্ড বিউমন্ট বার্নাবি (১৯০১)। Elements of the Jewish and Muhammadan Calendars: With Rules and Tables and Explanatory Notes on the Julian and Gregorian Calendars [ইহুদি ও ইসলামি ক্যালেন্ডারের মৌলিক বিষয়সমূহ: জুলিয়ান ও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নিয়ম, সারণী এবং ব্যাখ্যা সহ]। জি. বেল। পৃষ্ঠা ৪৬৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ইউসেল, ইরফান (২০১২)। Peygamberimizin Hayatı [আমাদের নবির জীবন] (পিডিএফ)। ধর্ম বিষয়ক প্রকাশনার সভাপতিত্ব। পৃষ্ঠা ৭–৩৮। আইএসবিএন 9789751901880। ২০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ বার্নাবি, শেরার্ড বেমন্ট (১৯০১)। Elements of the Jewish and Muhammadan Calendars: With Rules and Tables and Explanatory Notes on the Julian and Gregorian Calendars [ইহুদি ও ইসলামি পঞ্জিকার উপাদানসমূহ: জুলিয়ান এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নিয়ম, সারণী এবং ব্যাখ্যামূলক টীকা সহ]। লন্ডন: জি. বেল। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Peygamberimizin Doğumu" [আমাদের নবির জন্ম]। kalbinsesi.com। ১৯ অক্টোবর ২০১৩। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গ "MUHAMMED" [মুহাম্মাদ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ উন্ভার, মুস্তাফা (১ জুন ২০১৬)। "Nesî Ayeti ve Modern Nesî Uygulamaları" [নেসি আয়াত এবং আধুনিক নেসির প্রয়োগ]। ধর্মীয় বিজ্ঞান জার্নাল। পৃষ্ঠা ৪৩–৬৮। আইএসএসএন 1300-8498। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ফায়দা, মুস্তাফা। "NESÎ" [নেসি] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ লরেন্স কনরাড (জুন ১৯৮৭)। "Abraha and Muhammad: Some Observations Apropos of Chronology and Literary topoi in the Early Arabic Historical Tradition" [আবরাহা এবং মুহাম্মাদ: প্রারম্ভিক আরব ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে কালক্রম এবং সাহিত্যিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণ]। স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের বুলেটিন। পৃষ্ঠা ২৩৯। ডিওআই:10.1017/S0041977X00049016। ১১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "History and Religion" [ইতিহাস এবং ধর্ম] (পিডিএফ)। ওয়াল্টার ডি গ্রুটার জিএমবিএইচ। ২০১৫। ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৬০)। Muhammad at Mecca [মক্কার মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্ল্যারেন্ডন প্রেস। পৃষ্ঠা ১৬–১৮। আইএসবিএন 978-0-19-577277-7। ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইয়েলদিয, হাক্কি দুরসুন। "ARABİSTAN" [আরবদের দেশ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ রু, লয়্যাল ডি. (২০০৫)। Religion is Not About God: How Spiritual Traditions Nurture Our Biological Nature and What to Expect When They Fail [ধর্ম ঈশ্বর সম্পর্কিত নয়: কীভাবে আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য আমাদের জৈবিক প্রকৃতিকে লালন করে এবং সেগুলো ব্যর্থ হলে কী আশা করা যায়] (ইংরেজি ভাষায়)। রাটগার্স ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২২৪। আইএসবিএন 978-0-8135-3511-1। ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ এস্পোসিটো, জন এল. (২৮ এপ্রিল ২০১৬)। Islam: The Straight Path [ইসলাম: সরল পথ] (পঞ্চম সংস্করণ হালনাগাদ করা হয়েছে)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৪–৫। আইএসবিএন 978-0-19-063215-1। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ কারা, জাহিদ (২০১৫)। "İslam Öncesi Arap Yarımadası'nda Bir Kültür Merkezi: Cüreş" [ইসলাম পূর্ব আরব উপদ্বীপে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র: জুরাশ]। গবেষণা : dergipark.org.tr। হিট ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অফ থিওলজি জার্নাল। ১২ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ Tarih Kitabı [ইতিহাসের বই] (তুর্কি ভাষায়)। আলফা প্রিন্টিং পাবলিশিং ডিস্ট্রিবিউশন। ২০০০। পৃষ্ঠা ৭৯। আইএসবিএন 978-605-171-364-9। ১২ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৬০)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্ল্যারেন্ডন প্রেস। পৃষ্ঠা ১–২। আইএসবিএন 978-0-19-577277-7। ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ জনসন, স্কট ফিটজেরাল্ড (২০১২)। The Oxford Handbook of Late Antiquity [অক্সফোর্ড প্রাচীনতম ইতিহাসের নির্দেশ-পুস্তক] (ইংরেজি ভাষায়)। ওইউপি ইউএসএ। পৃষ্ঠা ২৮৬–২৮৭। আইএসবিএন 978-0-19-533693-1। ২১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ জনসন, স্কট ফিটজেরাল্ড (২০১২)। The Oxford Handbook of Late Antiquity [অক্সফোর্ড প্রাচীনতম ইতিহাসের নির্দেশ-পুস্তক] (ইংরেজি ভাষায়)। ওইউপি ইউএসএ। পৃষ্ঠা ৩০১। আইএসবিএন 978-0-19-533693-1। ২১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ ফায়দা, মোস্তফা। "CÂHİLİYE" [অজ্ঞতার যুগ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ আকতান, আলী (২০১১)। İslam Tarihi: Başlangıcından Emevîlerin Sonuna Kadar [ইসলামের ইতিহাস: সূচনা থেকে উমাইয়া রাজবংশের সমাপ্তি পর্যন্ত] (তুর্কি ভাষায়)। নোবেল একাডেমিক পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৫৪। আইএসবিএন 978-605-133-101-0। ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ ডেমিরকান, আদনান (২০০৪)। "Câhiliyye Araplarında Kız Çocuklarını Gömerek Öldürme Âdeti" [জাহিলী যুগে আরবদের মধ্যে কন্যা সন্তান জীবন্ত কবর দেয়ার প্রথা]। dergipark.org.tr। ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "সূরা আত-তাকভীর, আয়াত ৮-৯"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-০৭।
- ↑ "আর্কাইভ কপি"। ৩ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২২।
- ↑ ক খ গুচ, আহমেত। "PUT" [মূর্তি] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ডিন্ডি, এমরাহ (২০১৭)। "Câhiliye Arap Hac Ritüellerinin Kur'an'daki Menâsikle Diyalektik İlişkisi" [ইসলাম-পূর্ব আরবের হজের রীতিনীতিসমূহ এবং কুরআনে বর্ণিত ধর্মীয় আচারের দ্বন্দ্বাত্মক সম্পর্ক] (পিডিএফ)। রিপাবলিক জার্নাল অফ থিওলজি। ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২২।
- ↑ ক খ গ আইটাক, বেডরেটিন। "Cahiliye Çağı İnançları" [অজ্ঞতার যুগের বিশ্বাস]। acikders.ankara.edu.tr। ২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ সরিক, মুরত (২০১৩)। "Cahiliye Döneminde Arap Yarımadası Panayırları" [জাহিলিয়া যুগে আরব উপদ্বীপের মেলা]। dergipark.org.tr। সুলেমান ডেমিরেল ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অফ থিওলজি জার্নাল। ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ইভগিন, হায়রেটিন। "Put ve Putperestlik'in Mitolojik Boyutu" [মূর্তি এবং মূর্তিপূজার পৌরাণিক দিক] (পিডিএফ)। web.archive.org। সাংস্কৃতিক মহাবিশ্ব। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ এস্পোসিটো, জন এল. (৬ এপ্রিল ২০০০)। The Oxford History of Islam [ইসলামের অক্সফোর্ড ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-988041-6। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ উয়েবারওয়েগ, ফ্রেডরিক। History of Philosophy, Vol. 1: From Thales to the Present Time [দর্শনের ইতিহাস, খণ্ড ১: থেলিস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত] (ইংরেজি ভাষায়)। চার্লস স্ক্রিবনা'স সন। পৃষ্ঠা ৪০৯। আইএসবিএন 978-1-4400-4322-2। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ রুবিন, উরি, "হানিফ", এনসাইক্লোপিডিয়া অফ কুরআন, সাধারণ সম্পাদক: জোহানা পিঙ্ক, ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবেশের তারিখ: আগস্ট ১২, ২০২৩।
- ↑ কুজগুন, শাবান। "HANÎF" [হানিফ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৩৫"। www.hadithbd.com। ২০২৫-০৫-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-০৮।
- ↑ কোচলার, হ্যান্স (১৯৮২)। The Concept of Monotheism in Islam and Christianity [ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মে ঈশ্বরের একত্ববাদের ধারণা] (ইংরেজি ভাষায়)। আন্তর্জাতিক অগ্রগতি সংস্থা। পৃষ্ঠা ২৯। আইএসবিএন 978-3-7003-0339-8। ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ জ্যাকবস, লুইস (১৯৯৫)। The Jewish Religion: A Companion [ইহুদি ধর্ম: একটি সঙ্গী]। ইন্টারনেট আর্কাইভ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৭২। আইএসবিএন 978-0-19-826463-7। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ টার্নার, কলিন (২০০৬)। Islam: The Basics [ইসলাম: মূল বিষয়]। ইন্টারনেট আর্কাইভ। রাউটলেজ। পৃষ্ঠা ১৬। আইএসবিএন 978-0-415-34105-9। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ চেটকিন, মোহাম্মদ (২০১৮)। "Cahiliyye Dönemi Şiir ve Nesrinde Nübüvvet" [প্রাক-ইসলামি আরবদের যুগের কবিতা ও গদ্যে নবুয়ত]। dergipark.org.tr। ওরিয়েন্টাল সায়েন্টিফিক রিসার্চের জার্নাল। ১৪ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "(61:6) As-Saff | (৬১:৬) আস-সাফ এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১১।
- ↑ El-Envaru'l-Muhammediyye Mine'l-Mevahibü'l-Ledünni [মুহাম্মাদের নূর: ঈশ্বরের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত অলৌকিক দানের আলো] (আরবি ভাষায়)। ফাজিলেট পাবলিকেশন্স। ২০১৮। পৃষ্ঠা ১৪৩। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ সাইদ নুরসি (২০১০)। Mektûbat [চিঠিপত্র]। ইস্তাম্বুল: এনভার নেশরিয়াত। পৃষ্ঠা ১৬৫।
- ↑ অ্যালিসন, গ্রেগ (১৯ এপ্রিল ২০১১)। Historical Theology: An Introduction to Christian Doctrine [ঐতিহাসিক ধর্মতত্ত্ব: খ্রিস্টান ধর্মীয় নীতির ভূমিকা] (ইংরেজি ভাষায়)। জোন্ডারভান একাডেমিক। পৃষ্ঠা ৪৩১। আইএসবিএন 978-0-310-41041-6। ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "İncil: Yuhanna 14:15-17" [ইনজিল: যোহন ১৪:১৫-১৭]। incil.info। ২৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "CATHOLIC ENCYCLOPEDIA: Paraclete" [ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া: পারাক্লিত]। newadvent.org। ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গোরদুক, ইউনুস এমরে (২০২০)। "Kitâb-ı Mukaddes Metinlerinde Hz. Peygamber'in Müjdelenmesi Konusunda Bir İnceleme: Mu'cizât-ı Ahmediye Risalesi Perspektifinden (II)" [কিতাব-ই মুকাদ্দাস মতিনগুলোতে মুহাম্মাদের মুজদেলা (ভবিষ্যদ্বাণী) : মু'জিযাত-ই আহমদিয়া রিসালার দৃষ্টিকোণ থেকে (দ্বিতীয় পর্ব)]। কাটরে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান স্টাডিজ জার্নাল। পৃষ্ঠা ৪৮। ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওজতুর্ক বিটিক, বাসাক (২০১১)। "Evliyâ Çelebi Seyahatnâmesinde Cadı, Obur, Büyücü Anlatıları ve Kurgudaki İşlevleri" [ইভলিয়া চেলেবি স্যাহাটনামায় ডাইনি, দানব, জাদুকরের বর্ণনা এবং কল্পকাহিনীতে তাদের ভূমিকা]। মিলি ফোকলোর। ১৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "ŞEM'UN-U SAFÂ" [উত্তরের আলো] (তুর্কি ভাষায়)। সোরুললার রিসালে। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ সাইদ নুরসী, চিঠিপত্র, পৃ. ১৭১, এনভার নেশরিয়াত, ইস্তাম্বুল: ২০১০।
- ↑ ইভলিয়া চেলেবি (২০১১)। কাহরামান, সৈয়দ আলী; দাগলি, ইউসেল, সম্পাদকগণ। Günümüz Türkçesiyle Evliya Çelebi Seyahatnâmesi [আধুনিক তুর্কি ভাষায় এভলিয়া চেলেবির ভ্রমণ কাহিনী] (তুর্কি ভাষায়)। ইস্তাম্বুল: ইয়াপি ক্রেডি পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১৪০–১৪১। আইএসবিএন 978-975-08-1859-2। ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওজতুর্ক, লেভেন্ট। "SÜVEYBE" [সওয়াইবা] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১৫ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গ এরতুর্ক, হেতিস নুর (২০১৮)। "Hz. Peygamber'in Sütanneleri ve Sütanneye Verilmesi" [হযরত মুহাম্মাদের দুধমা এবং দুধমায়ের কাছে পাঠানো]। dergipark.org.tr। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ সাহিন উটকু, নিহাল (২০২০)। "Antik ve Orta Çağ'da Sütannelik: Başkasının Sütünün Biyolojik, Ekonomik ve Kültürel Kodları" [প্রাচীন এবং মধ্যযুগে স্তন্যদান: অন্যের দুধের জৈবিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য]। কাদেম জার্নাল অফ উইমেনস স্টাডিজ। পৃষ্ঠা ৮৬, ৮৯। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওয়াট, ডব্লিউ মন্টগোমারি (১৯৭১)। "Encyclopaedia of Islam – Ḥalīma Bint Abī Ḏh̲u'ayb" [ইসলামের বিশ্বকোষ - হালিমা বিনতে আবি সুয়ায়েব]। ব্রিল। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ সুরুক, সালিহ (২০২০)। Peygamberimizin Hayatı [আমাদের নবির জীবন] (তুর্কি ভাষায়)। জেনারেশন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ৫৪–৬৮। আইএসবিএন 978-975-269-894-9। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ পিটারসন, ড্যানিয়েল সি. (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। Muhammad, Prophet of God [মুহাম্মাদ, ঈশ্বরের প্রেরিত পয়গম্বর] (ইংরেজি ভাষায়)। এরডম্যান্স পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৩৮। আইএসবিএন 978-0-8028-0754-0। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ পিটার্স, এফ. ই. (৬ এপ্রিল ১৯৯৪)। Muhammad and the Origins of Islam [মুহাম্মাদ এবং ইসলামের উৎপত্তি] (ইংরেজি ভাষায়)। স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক প্রেস। আইএসবিএন 978-0-7914-1876-5। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ শুকরুল্লাহ এফেন্দী (২০১০)। Behcetü't Tevarih [ইতিহাসের বাগান]। আলমাজ, হাসান কর্তৃক অনূদিত। মোস্তার পাবলিকেশন্স। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৬১)। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৭। আইএসবিএন 978-0-19-881078-0। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ আবেল, এ.। "Baḥīrā – Encyclopaedia of Islam" [বহীরা - ইসলামের বিশ্বকোষ]। ব্রিল। ১৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইবনে রশিদ, মা'মার; হালিম, এম. এ. এস. আবদেল (১৬ মে ২০১৪)। The Expeditions: An Early Biography of Muhammad [অভিযান: মুহাম্মাদের একটি প্রাথমিক জীবনী] (ইংরেজি ভাষায়)। এনউয়াইইউ প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8147-6963-8। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ আলগুল, হুসেইন। "FİCÂR" [ফিজার] (ইংরেজি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ লেখা (২০২৪-০২-২৪)। "হিলফুল ফুজুলের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসায়িক নিরাপত্তা"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-০৪।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৬১)। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮। আইএসবিএন 978-0-19-881078-0। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ রমাদান, তারিক (২০০৭)। In the Footsteps of the Prophet: Lessons from the Life of Muhammad [নবির পদাঙ্ক অনুসরণে: মুহাম্মাদের জীবন থেকে শিক্ষা]। Internet Archive। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৯। আইএসবিএন 978-0-19-530880-8। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ম্যাকনিল, উইলিয়াম এইচ. (২০১৬)। Berkshire Encyclopedia of World History [বিশ্ব ইতিহাসের বার্কশায়ার বিশ্বকোষ] (ইংরেজি ভাষায়)। বার্কশায়ার পাবলিশিং গ্রুপ। পৃষ্ঠা ১০২৫। আইএসবিএন 978-0-19-062271-8। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ আল-মুবারকপুরি, সাফি-উর-রহমান (১৯৭৬)। "Early Life of the Prophet" [নবি মুহাম্মাদের প্রারম্ভিক জীবন]। Ar-Raheeq Al-Makhtum (The Sealed Nectar) [আল-রাহীকুল-মাখতুম: মোড়কবদ্ধ অমৃত]। দারুসসালাম। আইএসবিএন 978-1-59144-070-3।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম উৎসের ভিত্তিতে তার জীবন] (২য় সংস্করণ)। ইনার ট্র্যাডিশনস। আইএসবিএন 9780946621255।
- ↑ "MUHAMMED" [মুহাম্মাদ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইউসেল ২০১২, পৃ. ৯, ৩৮
- ↑ হিশাম, ইবনে (১৯৫৫)। The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন] (ইংরেজি ভাষায়)। গুইলিয়াম, আলফ্রেড কর্তৃক অনূদিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৭–১৮। আইএসবিএন 9780195778281।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট (১৯৫৩)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৬। আইএসবিএন 9780199067169।
- ↑ ইসহাক, ইবনে (১৯৫৫)। হিশাম, ইবনে, সম্পাদক। The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন] (ইংরেজি ভাষায়)। গুইলিয়াম, আলফ্রেড কর্তৃক অনূদিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন 9780195778281।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম উৎসের ভিত্তিতে তার জীবন] (২য় সংস্করণ)। ইনার ট্র্যাডিশনস। পৃষ্ঠা ৪৫। আইএসবিএন 9780946621255।
- ↑ এস্পোসিটো, জন এল. (১৯৯৮)। Islam: The Straight Path [ইসলাম: সরল পথ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬। আইএসবিএন 978-0-19-511233-7। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ হিশাম, ইবনে (১৯৫৫)। The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন] (ইংরেজি ভাষায়)। গুইলিয়াম, আলফ্রেড কর্তৃক অনূদিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৯–২০। আইএসবিএন 9780195778281।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট (১৯৫৩)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩২–৩৩। আইএসবিএন 9780199067169।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৯১)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাথমিক সূত্রের উপর ভিত্তি করে তার জীবন] (ইংরেজি ভাষায়)। ইসলামি টেক্সটস সোসাইটি। আইএসবিএন 978-0-946621-25-5। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইবনে ইসহাক, মুস্তাদরেক এল-হাকিম, ভলিউম ৩, পৃ. ১৮২
- ↑ ক খ ইবনে সা'দ, তাবাকাতুল কুবরা, ভলিউম ৮, পৃ. ১৩
- ↑ ক খ গ কান্দেমির, এম. ইয়াসার। "HATİCE" [খাদিজা] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ সেহান, আহমেত এমিন (৪ মে ২০২১)। "Hz. Hatice, Hz. Muhammed ile Kaç Yaşında Evlendi?" [হযরত খাদিজা হযরত মুহাম্মাদের সাথে কত বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন?] (তুর্কি ভাষায়)। সুরমেলী নিউজ। ৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Peygamberimiz Hz. Muhammed'in, gençken putlarla bir ilgisi olmuş mudur?" [আমাদের নবি হযরত মুহাম্মাদ যখন যুবক ছিলেন তখন মূর্তির প্রতি কিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন?]। প্রশ্ন সহ ইসলাম। ২ আগস্ট ২০১৪। ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট (১৯৫৩)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৪৫। আইএসবিএন 9780199067169।
- ↑ ইসহাক, ইবনে (১৯৫৫)। The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন] (ইংরেজি ভাষায়)। গুইলিয়াম, আলফ্রেড কর্তৃক অনূদিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১২৮। আইএসবিএন 9780195778281।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট (১৯৫৩)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৩–২৪। আইএসবিএন 9780199067169।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম উৎসের ভিত্তিতে তার জীবন]। ইসলামিক টেক্সটস সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৬০–৬১। আইএসবিএন 9780946621255।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম উৎসের ভিত্তিতে তার জীবন]। ইসলামিক টেক্সটস সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৬২। আইএসবিএন 9780946621255।
- ↑ আল-মুবারকপুরি, সাফি-উর-রহমান (২০০২)। Ar-Raheeq Al-Makhtum (The Sealed Nectar) [আল-রাহীকুল-মাখতুম: মোড়কবদ্ধ অমৃত]। দারুসসালাম। পৃষ্ঠা ৩৫। আইএসবিএন 978-1-59144-070-3।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম উৎসের ভিত্তিতে তার জীবন]। ইসলামিক টেক্সটস সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৭১। আইএসবিএন 9780946621255।
- ↑ আল-মুবারকপুরি, সাফি-উর-রহমান (২০০২)। Ar-Raheeq Al-Makhtum (The Sealed Nectar) [আল-রাহীকুল-মাখতুম: মোড়কবদ্ধ অমৃত]। দারুসসালাম। পৃষ্ঠা ২৮। আইএসবিএন 978-1-59144-070-3।
- ↑ লিংস, মার্টিন (১৯৮৩)। Muhammad: His Life Based on the Earliest Sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম উৎসের ভিত্তিতে তার জীবন]। ইসলামিক টেক্সটস সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৭১–৭২। আইএসবিএন 9780946621255।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট (১৯৫৩)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫০। আইএসবিএন 9780199067169।
- ↑ "(42:52) Ash-Shura | (৪২:৫২) আশ-শূরা এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১২।
- ↑ "(93:7) Ad-Dhuha | (৯৩:৭) আদ-দুহা এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১২।
- ↑ পিটার্স, এফ.ই. (ফ্রান্সিস ই.) (২০০৩)। Islam, a guide for Jews and Christians [ইসলাম: ইহুদি ও খ্রিস্টানদের জন্য একটি নির্দেশিকা]। ইন্টারনেট আর্কাইভ। প্রিন্সটন, এনজে: প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-11553-5।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ গ্লুব, স্যার জন ব্যাগট (২০০১)। The Life and Times of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন ও সময়কাল] (ইংরেজি ভাষায়)। কুপার স্কয়ার প্রেস। পৃষ্ঠা ৭৯–৮১। আইএসবিএন 978-0-8154-1176-5। ১৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ "Peygamber Efendimizin Kâbe Hakemliği" [কাবায় মধ্যস্থতাকারী পয়গম্বর] (তুর্কি ভাষায়)। ইসলাম ও ইহসান। ৮ মে ২০১৮। ১৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ জোমিয়ার, জে.; ওয়েনসিঙ্ক, এ.জে. (১৯৯০)। "Ka'ba" [কাবা]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৩১৯। ২৮ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ উলুদাগ, সুলেমান। "ABÂ" [আবা (চাদর)] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ বোগল, এমরি সি. (১৯৯৮)। Islam: Origin and Belief [ইসলাম: উৎপত্তি ও বিশ্বাস] (ইংরেজি ভাষায়)। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস প্রেস। পৃষ্ঠা ৬। আইএসবিএন 978-0-292-70862-4। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ হারেন, জন হেনরি; পোল্যান্ড, অ্যাডিসন বি. (১৯৯২)। Famous Men of the Middle Ages [মধ্যযুগের বিখ্যাত পুরুষগণ] (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রীনলিফ প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৩। আইএসবিএন 978-1-882514-05-2। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ পিটারসন, ড্যানিয়েল সি. (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। Muhammad, Prophet of God [মুহাম্মাদ, আল্লাহর নবি] (ইংরেজি ভাষায়)। ডব্লিউ. বি. এরডম্যান্স পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৫১। আইএসবিএন 978-0-8028-0754-0। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক্লেইন, এফ. এ. (১৯০৬)। The Religion of Islám [ইসলাম ধর্ম] (ইংরেজি ভাষায়)। কে. পল, ট্রেঞ্চ, ট্রুবনার। পৃষ্ঠা ৭। আইএসবিএন 978-90-90-00408-2। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওয়েনসিঙ্ক, এ. জে.; রিপিন, এ. (২০০২)। "Waḥy" [ওহী]। ইসলাম এনসাইক্লোপিডিয়া। ব্রিল। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ Encyclopedia of World History [বিশ্ব ইতিহাসের বিশ্বকোষ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ১৯৯৮। পৃষ্ঠা ৪৫২। আইএসবিএন 978-0-19-860223-1। ১৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ওয়েল, গুস্তাভ; স্যান্ডার্স, ফ্রাঙ্ক কে.; ডনিং, হ্যারি ডব্লিউ. (১৮৯৫)। "An Introduction to the Quran" [কুরআনের সাথে পরিচয়]। বাইবেলের বিশ্ব। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস: ১৮২। জেস্টোর 3135387। ডিওআই:10.1086/471621। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ বুহল, এফ.; ওয়েলচ, এ. টি. (১৯৯৩)। "Muḥammad" [মুহাম্মাদ]। ইসলাম এনসাইক্লোপিডিয়া। ব্রিল একাডেমিক পাবলিশার্স: ৩৬০–৩৭৬। আইএসবিএন 90-04-09419-9।
- ↑ ওয়েল, গুস্তাভ; স্যান্ডার্স, ফ্রাঙ্ক কে.; ডনিং, হ্যারি ডব্লিউ. (১৮৯৫)। "An Introduction to the Quran" [কুরআনের সাথে পরিচয়] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য বাইবিক্যাল ওয়ার্ল্ড: ১৮৪। আইএসএসএন 0190-3578। ডিওআই:10.1086/471621। ১১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "(৯৬) আল-আলাক | (96) Al-Alaq | سورة العلق-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৩।
- ↑ "İlk vahyin gelişi nasıl gerçekleşmiştir?" [প্রথম ঐশ্বরিক বাণীর আগমন কিভাবে ঘটেছিল?] (তুর্কি ভাষায়)। প্রশ্ন সহ ইসলাম। ১ জুন ২০০৬। ১৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ গুনেল, ফুয়াত। "HİRA" [হিরা] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ব্রাউন, ড্যানিয়েল ডব্লিউ. (২০০৩)। A New Introduction to Islam [ইসলামের সাথে একটি নতুন পরিচয়] (ইংরেজি ভাষায়)। উইলি। পৃষ্ঠা ৭৩। আইএসবিএন 978-0-631-21604-9। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ বোগল, এমরি সি. (১৯৯৮)। Islam: Origin and Belief [ইসলাম: উৎপত্তি ও বিশ্বাস] (ইংরেজি ভাষায়)। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস প্রেস। পৃষ্ঠা ৭। আইএসবিএন 978-0-292-70862-4। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "Fetret'ul-vahiy hakkında bilgi verir misiniz?" [আপনি ফেত্রাতু'ল-ওয়াহী সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেন?]। sorusorcevapbul.com। ১৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "(৭৪) আল-মুদ্দাসসির | (74) Al-Muddathir | سورة المدثر-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৩।
- ↑ "(৯৩) আদ-দুহা | (93) Ad-Dhuha | سورة الضحى-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৩।
- ↑ "İlk Müslümanlar Kimlerdir? İlk Müslümanların İsimleri" [প্রথম মুসলিমরা কারা? প্রথম মুসলিমদের নাম] (তুর্কি ভাষায়)। হুরিয়েত। ১১ মে ২০২০। ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "İslam'da Gizli Davet Dönemi" [ইসলামে গোপনীয় দাওয়াতের যুগ] (তুর্কি ভাষায়)। ইসলাম ও ইহসান। ১৪ মে ২০১৮। ৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ লুইস, বার্নার্ড (২০০২)। Arabs in History [ইতিহাসে আরব জাতি] (ইংরেজি ভাষায়)। ওইউপি অক্সফোর্ড। পৃষ্ঠা ৩৫–৩৬। আইএসবিএন 978-0-19-280310-8। ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ Tarih Kitabı [ইতিহাস বই] (তুর্কি ভাষায়)। আলফা প্রিন্টিং পাবলিশিং ডিস্ট্রিবিউশন। ২০১৯। পৃষ্ঠা ৭৯। আইএসবিএন 978-605-171-364-9। ১২ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ গর্ডন, ম্যাথু (৩০ মে ২০০৫)। The Rise of Islam [ইসলামের উত্থান] (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রীনউড পাবলিশিং গ্রুপ। পৃষ্ঠা ১২০–১২১। আইএসবিএন 978-0-313-32522-9। ১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ পিটার্স, এফ. ই. (২০০৩)। Islam: A Guide for Jews and Christians [ইসলাম: ইহুদী ও খ্রিস্টানদের জন্য একটি নির্দেশিকা]। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৯। আইএসবিএন 0-691-11553-2। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ ফায়দা, মোস্তফা। "MUHAMMED" [মুহাম্মাদ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ইবনে কাসির, ইসমাঈল। আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া (আরবি ভাষায়)। দার আল-কুতুব আল-ইলমিয়্যা।
ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে কুরাইশরা মুহাম্মাদের নবুয়ত পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ইহুদি পণ্ডিতদের পরামর্শ নেয়। তাদের বলা হয় মুহাম্মাদকে তিনটি প্রশ্ন করতে: অতীতে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকদের (আসহাবে কাহাফ) ঘটনা, এক মহান ভ্রমণকারীর (জুলকারনাইন) কাহিনী এবং আত্মার প্রকৃতি সম্পর্কে।
- ↑ ইবনে ইসহাক, মুহাম্মাদ (১৯৫৫)। সিরাত রসূলুল্লাহ। আলফ্রেড গিয়োম (ইংরেজিতে) কর্তৃক অনূদিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৪৬–১৫০।
মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ায় মুহাম্মাদ (সা.) তাদের কিছু অনুসারীকে আবিসিনিয়ার নাজাশির আশ্রয়ে হিজরত করতে নির্দেশ দেন, যেখানে তারা নিরাপদে জীবনযাপন শুরু করে।
- ↑ সেররাহোগলু, ইসমাইল। "GARÂNÎK" [অভিশপ্ত বাণী] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ "সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) | হাদিস: ৪৮৬৩ [ ]"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১০।
- ↑ "সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) | হাদিস: ১০৭০ [ ]"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১০।
- ↑ ক খ গ কুকুকাশচি, মোস্তফা সাবরি। "SENETÜ'l-HÜZN" [দুঃখের বছর] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ কাপর, মেহমেত আলী। "EBÛ LEHEB" [আবু লাহাব] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ ক খ মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (১৯৯৫)। Sirat Rasul Allah [নবি মুহাম্মাদের জীবনী] (ইংরেজি ভাষায়)। গুইলাম, এ. কর্তৃক অনূদিত। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৯৪–১৯৫।
- ↑ আদিল, হজাহ আমিনা (২০০২)। Muhammad, the Messenger of Islam: His Life & Prophecy [মুহাম্মাদ, ইসলামের রাসুল: তার জীবন ও ভবিষ্যদ্বাণী] (ইংরেজি ভাষায়)। ISCA। পৃষ্ঠা ১৪৫–১৪৬। আইএসবিএন 978-1-930409-11-8। ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ মোমেন, মুজন (১৯৮৫), পৃ. ৪
- ↑ কুকুকাশচি, মোস্তফা সাবরি। "MUT'İM b. ADÎ" [মুত'ইম ইবনে আদী] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ ইমরান খান; শাহ রফি উদ্দিন হামদানি। "The First Pledge of Al-'Aqabah" [আকাবার প্রথম বাইআত]। muhammadencyclopedia.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "Al-Aqabah" [আল-আকাবা]। ইনফর্মড কমেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৩-১৩। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "THE FIRST AQABAH PLEDGE" [আকাবার প্রথম বাইআত]। IslamBasics.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ "Pledge of Aqabah" [আকাবার শপথ]। cyberistan.org। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ ইবনে হিশাম, সিরাতে রাসুলুল্লাহ, খণ্ড ১, পৃ. ৪৫৪
- ↑ ক খ হাকাম, আল (২০২১-০৩-১৯)। "What is bai'at?" [বাইআত কী?]। www.alhakam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ গামাল, আহমেদ (২০১৯-০৪-২৯)। "Why did the Prophet (saw) send Musab ibn Umayr to Medina?" [নবি (সা.) মুসআব ইবনে উমাইরকে মদিনায় কেন পাঠিয়েছিলেন?]। www.islamiqate.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ ক খ গ "The Second `Aqabah Pledge" [আকাবার দ্বিতীয় বাইআত]। islamestic.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-১০-০৭। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ ক খ কাপর, এম. আলী। "Hz. Peygamber Döneminde Bey'at" [হযরত মুহাম্মাদের যুগে বাইআত (ইসলাম গ্রহণের প্রতিজ্ঞা)]। dergipark.org.tr। ১০ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ তিয়ান, ই. (২৪ এপ্রিল ২০১২)। "Bayʿa" [বাইআত]। ইসলামের বিশ্বকোষ, দ্বিতীয় সংস্করণ (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিল। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ শাওকি আবু খলিল (২০০৪)। Atlas of the Prophet's Biography: Places, Nations, Landmarks [নবির জীবনীচিত্র বিবরণ: স্থান, জাতি ও নিদর্শনসমূহ] (ইংরেজি ভাষায়)। দারুসসালাম। আইএসবিএন 978-9960-897-71-4।
- ↑ ওয়াট (১৯৭৪) পৃ. ৮৩
- ↑ ইমরান খান; শাহ রফি উদ্দিন হামদানি। "The Second Pledge of Al-Aqabah" [আল-আকাবার দ্বিতীয় বাইআত]। muhammadencyclopedia.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৩।
- ↑ গ্যাব্রিয়েল, রিচার্ড এ. (২০১৪-১০-২২)। Muhammad: Islam's First Great General [মুহাম্মাদ: ইসলামের প্রথম মহান সেনানায়ক] (ইংরেজি ভাষায়)। ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8061-8250-6।
- ↑ ওজদেমির, ওজনুর (২০২১)। "Hz. Peygamber Zamanında Medine'de Müslüman–Yahudi İlişkilerini Anlamak" [মদিনায় হযরত মুহাম্মাদের সময়ে মুসলিম-ইহুদি সম্পর্ক অনুধাবন]। acarindex.com (তুর্কি ভাষায়)। জার্নাল অফ সিরা স্টাডিজ। ১৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ পিটারসন, ড্যানিয়েল (২০০৭), পৃ. ৮৬-৮৯
- ↑ ওয়াট, ডব্লিউ মন্টগোমারি (১৯৭৪)। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক]। ইন্টারনেট আর্কাইভ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৩। আইএসবিএন 978-0-19-881078-0। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ খান, মুহাম্মাদ জাফরুল্লা (১৯৮০)। Muhammad, Seal of the Prophets [মুহাম্মাদ, নবিদের সীলমোহর] (ইংরেজি ভাষায়)। মজলিস খুদ্দামুল আহমদিয়া। পৃষ্ঠা ৭৩। আইএসবিএন 978-0-85525-992-1। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ওঙ্কল, আহমেত। "HİCRET" [হিজরত] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ আইরাংচি, ইলহামি (২৬ ডিসেম্বর ২০১৮)। "Hz. Peygamber'in Medine'ye Hicreti ve Bu Dönemde Uyguladığı Stratejiler Üzerine Bir Deneme" [হযরত মুহাম্মাদের মদিনায় হিজরত এবং এই সময়ে তার প্রয়োগ করা কৌশল সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ] (তুর্কি ভাষায়) (৬)। dergipark.org.tr। কলেমনাম: ৪৪–৭৭। আইএসএসএন 2651-3595। ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ চেঙ্গিজ, এরকান (২০২২)। Hz. Muhammed'e Yapılan Suikast ve Öldürme Teşebbüsleri [হযরত মুহাম্মাদের উপর আক্রমণ ও হত্যার প্রচেষ্টা]। কিতাপ দুনিয়া। ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ ফিগলালি, এথেম রুহি। "ALİ" [আলি] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ আলগুল, হুসেইন। "KUBÂ" [কুবা] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ আলগুল, হুসেইন। "EBÛ EYYÛB el-ENSÂRÎ" [আবু আইয়ুব আনসারি] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৭ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ বোজকুর্ট, নেবি; কুকুকাশচি, মোস্তফা সাবরি। "MESCİD-i NEBEVÎ" [মসজিদে নববি] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৫ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ওয়াট, ডব্লিউ মন্টগোমারি (১৯৫৬)। Muhammad at Medina [মদিনায় মুহাম্মাদ]। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের ডিজিটাল লাইব্রেরি। ক্ল্যারেন্ডন প্রেসে অক্সফোর্ড। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৮১)। Muhammad at Medina [মদিনায় মুহাম্মাদ] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২২৭। আইএসবিএন 978-0-19-577307-1। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ওজকান, মোস্তফা। "MEDİNE VESİKASI" [মদিনার সনদ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ খান, এল. আলী (২০০৬)। "The Medina Constitution" [মদিনার সংবিধান]। লিগ্যাল স্কলার একাডেমি। ২৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ উইলিয়ামস, জন অল্ডেন (১৯৭১)। Themes of Islamic Civilization [ইসলামি সভ্যতার রূপ] (ইংরেজি ভাষায়)। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। পৃষ্ঠা ১২। আইএসবিএন 978-0-520-04514-9। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ "Umma in the Constitution of Medina" [মদিনার সংবিধানে উম্মাহ]। জার্নাল অফ নিয়ার ইস্টার্ন স্টাডিজ। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস। ১৯৭৭: ৪৪।
- ↑ সার্জেন্ট, আর.বি. (১৯৬৪)। The Constitution of Medina [মদিনার সংবিধান]। ইসলামি ত্রৈমাসিক।
- ↑ আহমদ, বারাকাত (১৯৭৯)। Muhammad and the Jews: A Re-examination [মুহাম্মাদ এবং ইহুদি: একটি পুনঃপরীক্ষা] (ইংরেজি ভাষায়)। বিকাশ পাবলিশিং হাউস। পৃষ্ঠা ৪৬–৪৭। আইএসবিএন 978-0-7069-0804-6। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "হাদিস সম্ভার | হাদিস: ১১৯৪ [বিশেষ বিশেষ মসজিদের মাহাত্ম্য]"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ গ "İslam Tarihi'nde İlk Nüfus Sayımı" [ইসলামের ইতিহাসে প্রথম জনগণনা] (তুর্কি ভাষায়)। mehmetalkis.com। ২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ বোজকুর্ট, নেবি। "NÜFUS" [জনসংখ্যা] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Savaşa izin veren âyetler ile ilgili ayetler ve mealleri" [যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া আয়াত এবং তাদের অনুবাদ] (তুর্কি ভাষায়)। kuranvemeali.com। ২৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "(22:39) Al-Hajj | (২২:৩৯) আল-হজ এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ ডেমিরসি, আবদুর রহমান (২০১৬)। "Ensar Kimliğinin Oluşumuna Etki Eden Faktörler" [আনসারদের পরিচয় কীভাবে তৈরি হয়েছিল]। dergipark.org.tr। নিয়ার ইস্ট ইউনিভার্সিটি ইসলামি স্টাডিজ সেন্টার জার্নাল। পৃষ্ঠা ৩২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৬১)। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১১৯। আইএসবিএন 978-0-19-881078-0। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ বুহল, এফ.; ওয়েলচ, এ. টি. (১৯৯৩)। "Muḥammad" [মুহাম্মাদ]। ইসলাম এনসাইক্লোপিডিয়া। ব্রিল একাডেমিক পাবলিশার্স: ৩৬০–৩৭৬। আইএসবিএন 90-04-09419-9।
- ↑ ক খ গ ঘ ফায়দা, মোস্তফা। "BEDİR GAZVESİ" [বদর যুদ্ধ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ রাজউই, সৈয়দ আলী আসগর (২০১৫)। A Restatement of the History of Islam and Muslims [ইসলাম ও মুসলিমদের ইতিহাসের পুনর্বিবৃতি] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিয়েটস্পেস স্বাধীন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম। আইএসবিএন 978-1-5150-8784-7। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ চ্যাংডার, নারায়ণ (২০২৪-০২-১১)। THE BATTLE OF UHUD [উহুদের যুদ্ধ] (ইংরেজি ভাষায়)। চ্যাংডার আউটলাইন।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "UHUD GAZVESİ" [উহুদের যুদ্ধ] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ উগুরলু, নুর, Hz. Muhammed Sallallahu Aleyhi ve Sellem [মুহম্মাদ, যার উপর আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক], নোয়া পাবলিকেশন্স। (পৃষ্ঠা: ২০৫)
- ↑ ক খ গ رحيق المختوم [মোহারবদ্ধ সুধা: মহান নবির জীবনী] (ইংরেজি ভাষায়)। দারুসসালাম। ২০০২। পৃষ্ঠা ৩৫০–৩৫১। আইএসবিএন 978-9960-899-55-8।
- ↑ ইবন সা’দ, তাবাকাত, খ. ২, পৃ. ৬৬।
- ↑ ক খ গ رحيق المختوم [মোহারবদ্ধ সুধা: মহান নবির জীবনী] (ইংরেজি ভাষায়)। দারুসসালাম। ২০০২। পৃষ্ঠা ৩৫২। আইএসবিএন 978-9960-899-55-8।
- ↑ হাওয়ারি, মোসাব (২০১০)। The Journey of Prophecy; Days of Peace and War [নবুয়তের অভিযাত্রা: শান্তি ও যুদ্ধের দিনগুলো] (আরবি ভাষায়)। ইসলামিক বুক ট্রাস্ট। আইএসবিএন 9789957051648। উল্লেখ্য: বইটিতে মুহাম্মাদের যুদ্ধসমূহের একটি তালিকা রয়েছে, আরবি ও ইংরেজি অনুবাদ এখানে পাওয়া যাবে।
- ↑ তাবারি, The History of al-Tabari Vol. 7: The Foundation of the Community: Muhammad [আত-তাবারির ইতিহাস, খণ্ড ৭: সমাজের ভিত্তি স্থাপন: মুহাম্মাদ], পৃষ্ঠা ১৫১, ১৯৮৭, আইএসবিএন ০৮৮৭০৬৩৪৪৬
- ↑ ক খ গ "Battle of Khandaq" [খন্দকের যুদ্ধ]। al-islam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০১-৩০। ২০২৫-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৬।
- ↑ ক খ রজার্স ২০১২, পৃ. ১৪৮।
- ↑ ক খ ওয়াট ১৯৬১, পৃ. ১৬৯।
- ↑ ক খ হ্যাজলটন ২০১৪, পৃ. ২৫৯।
- ↑ ক খ "The Battle of Khandaq and its Lessons" [খন্দকের যুদ্ধ ও এর শিক্ষাসমূহ]। en.al-shia.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৫-২৫। ২০২৫-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৬।
- ↑ "The Battle of the Trench" [খন্দকের যুদ্ধ]। al-islam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১১-১০। ২০২৫-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৬।
- ↑ উস্তা, আলি (২০০৪)। Alternatif bir Kuran tefsiri [কুরআনের একটি বিকল্প ব্যাখ্যা] (তুর্কি ভাষায়)। ওজ ইয়াপিম অ্যান্ড হাভুজ ইয়াইনলারি। আইএসবিএন 978-3-9808611-6-8।
- ↑ ওয়াট ১৯৬১, পৃ. ১৬৮।
- ↑ ক খ গ "Pact of Al-Ḥudaybiyah | Treaty of Peace, Muhammad, Quraysh | Britannica" [হুদাইবিয়ার সন্ধি – শান্তিচুক্তি, মুহাম্মাদ ও কুরাইশ গোত্র | ব্রিটানিকা]। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ওয়াট ১৯৭১।
- ↑ ক খ ওয়াট ১৯৫৬, পৃ. ৪৬।
- ↑ "Al-Hudaibiyah Treaty (Dhul-Qa`dah 6 A.H.)" [হুদাইবিয়ার সন্ধি (৬ হিজরি, জ্বিলকদ মাস)]। ইসলামিস্টিক (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-১০-১২। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ "Hudaibiyah: A turning point in the history of Islam" [হুদাইবিয়া: ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়]। আরব নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১১-০৯। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ গ গোয়ের্কে ২০০০, পৃ. ২৪১।
- ↑ আলি ১৯৮১, পৃ. ৬১।
- ↑ ক খ গ ওয়াট ১৯৫৬, পৃ. ৪৭–৪৮।
- ↑ গুইলিয়াম ১৯৯৮, পৃ. ৫০৪।
- ↑ আলি ১৯৮১, পৃ. ৬১–৬২।
- ↑ উইলিয়াম মন্টগোমেরি ওয়াট (১৯৫৬)। Muhammad at Medina [মদিনায় মুহাম্মাদ]। ক্লারেনডন প্রেস। পৃষ্ঠা ৪৮। আইএসবিএন 0-19-577307-1।
- ↑ "সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত ১০"। www.hadithbd.com। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Surah Al-Mumtahanah - 10" [সূরা আল-মুমতাহিনা - ১০]। Quran.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ গোরকে, আন্দ্রেয়াস (২০০০)। The Biography of Muḥammad: The Issue of the Sources [মুহাম্মাদের জীবনী: উৎসের প্রশ্ন]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ২৪১। আইএসবিএন 9789004115132।
- ↑ ডনার, ফ্রেড এম. (১৯৭৯)। Muhammad’s Political Consolidation in Arabia up to the Conquest of Mecca: A Reassessment [মক্কা বিজয় পর্যন্ত আরব উপদ্বীপে মুহাম্মাদের রাজনৈতিক সংহতকরণ: একটি পুনর্মূল্যায়ন]। দ্য মুসলিম ওয়ার্ল্ড। পৃষ্ঠা ২৪১।
- ↑ ডনার, ফ্রেড এম. (২০১০)। Muhammad and the Believers: At the Origins of Islam [মুহাম্মাদ ও বিশ্বাসীগণ: ইসলামের সূচনালগ্নে]। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৪২–২৪৪। আইএসবিএন 9780674050976।
- ↑ "Muhammad - Prophet, Islam, Arabia | Britannica" [মুহাম্মাদ - নবি, ইসলাম, আরব | ব্রিটানিকা]। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৪-২৯। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ডনার, ফ্রেড এম. (২০১০)। Muhammad and the Believers: At the Origins of Islam [মুহাম্মাদ ও বিশ্বাসীগণ: ইসলামের সূচনালগ্নে]। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৪৫। আইএসবিএন 9780674050976।
- ↑ "(7:158) Al-A'raf | (৭:১৫৮) আল-আ'রাফ এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ "(5:67) Al-Ma'ida | (৫:৬৭) আল-মায়েদা এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ "(34:28) Saba | (৩৪:২৮) সাবা এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৫।
- ↑ ক খ আহমেদ সেভদেত পাশা, Son Peygamber Hz. Muhammed [সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মাদ], জাতীয় যুব ফাউন্ডেশন এবং আনাতোলিয়ান যুব সংঘ, আঙ্কারা, ২০১৮। (পৃষ্ঠা: ১২৯)
- ↑ এল-চেখের পাদটীকা (১৯৯৯) পড়ে: "এর সত্যতার বিরোধিতা করছে আর. বি. সেজেন্ট "প্রাথমিক আরবি গদ্য: উমাইয়া যুগের শেষ পর্যন্ত আরবি সাহিত্যে, সংস্করণ। এ.ই.এল. বিস্টন এট আল... (কেমব্রিজ, ১৯৮৩), পিপি। ১৪১-১৪২। সুহায়লা আলজাবুরীও দলিলের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন; "রিদলাত আল-নবি ইলা হিরাকল মালিক আল-এম,এইচ" আমদর্দ ইসলামাস ১ (১৯৭৮), নং ৩, পৃ. ১৫-৪৯"
- ↑ এল-চেখ, নাদিয়া মারিয়া (১৯৯৯)। "মুহাম্মাদ এবং হেরাক্লিয়াস: বৈধতার একটি অধ্যয়ন"। ইসলামি স্টুডিও। পৃ. ৫-২১
- ↑ ক খ ইরফান শহীদ, উমাইয়া যুগের শেষ পর্যন্ত আরবি সাহিত্য, আমেরিকান ওরিয়েন্টাল সোসাইটির জার্নাল, খণ্ড ১০৬, নং ৩, পৃ. ৫৩১
- ↑ ক খ গ "HERAKLEİOS" [হেরাক্লিয়াস] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ "DİHYE b. HALÎFE" [দাহিয়া কালবী] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "HERAKLİUS'UN İSLÂMA DÂVET EDİLMESİ" [হেরাক্লিয়াসের ইসলামে দাওয়াত]। প্রশ্ন সহ ইসলাম। ২১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ মুহাম্মাদ এবং হেরাক্লিয়াস: এ স্টাডি ইন লিজিটিমেসি, নাদিয়া মারিয়া এল-চেখ, স্টুডিয়া ইসলামিা, নং ৮৯ (১৯৯৯), পৃষ্ঠা ৫-২১।
- ↑ "Peygamber Efendimiz'in İslam'a Davet Mektupları" [ইসলামে দাওয়াতের নবির চিঠি] (তুর্কি ভাষায়)। গবেষণা: İslam ve İhsan। ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ জে. এম. বি. জোন্স (১৯৮৩)। এ. এফ. এল. বিস্টন, সম্পাদক। The Mag̱ẖāzī Literature [মাগাজি সাহিত্য]। উমাইয়া যুগের শেষ পর্যন্ত আরবি সাহিত্য। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪৪। ডিওআই:10.1017/CHOL9780521240154.017। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৫৬)। Muhammad at Medina [মদিনায় মুহাম্মাদ]। ক্ল্যারেন্ডন প্রেসে অক্সফোর্ড। পৃষ্ঠা ৩৩৯–৩৪৩। আইএসবিএন 0-19-577307-1।
- ↑ ওয়াট, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, "কুরাইজা, বনু".
- ↑ হকিন্স, ব্রুস, সম্পাদক (২০১৯-১২-০১), "Collaboration on Experiential Education (1827)" [অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষায় সহযোগিতা (১৮২৭)], Best Practices, আমেরিকান সোসাইটি অফ হেলথ-সিস্টেম ফার্মাসিস্ট, পৃষ্ঠা ১৯২এফ, আইএসবিএন 978-1-58528-656-0, ডিওআই:10.37573/9781585286560.059, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১১
- ↑ লিংস, মার্টিন। Muhammad: his life based on the earliest sources [মুহাম্মাদ: প্রাচীনতম সূত্রের ভিত্তিতে তার জীবন]। ইনার ট্র্যাডিশন্স ইন্টারন্যাশনাল, ১৯৮৩, পৃষ্ঠা ২১৫–২১৬।
- ↑ নাভিদ, সারমাদ (২০২৩-১১-১০)। "Muhammad (sa) and the 600 Jews of Madinah - A False Allegation" [মুহাম্মাদ ও মদিনার ৬০০ ইহুদি — একটি মিথ্যা অভিযোগ]। রিভিউ অফ রিলিজিয়ন্স (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ ভেচ্চিয়া ভালিয়েরি, ভি. । Khaybar [খাইবার] । এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম, ২য় সংস্করণ, সম্পাদনায় পি. বেয়ারম্যান প্রমুখ, ব্রিল, ১৯৬০–২০০৫।
- ↑ নোমানি, শিবলি। Sirat al-Nabi [সিরাতে নবি], খণ্ড ২, পাকিস্তান ঐতিহাসিক সমিতি, ১৯৭৯, পৃষ্ঠা ৩৬৮–৩৭০
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি। Muhammad at Medina [মদিনায় মুহাম্মাদ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৫৬, পৃষ্ঠা ৩৪১।
- ↑ ক খ গ আল-তাবরি, মুহাম্মাদ ইবনে জারীর। The History of al-Tabari: The Victory of Islam [আল-তাবরির ইতিহাস: ইসলামের বিজয়], খণ্ড ৮। সানি প্রেস, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ১১৭।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৬৪, পৃষ্ঠা ২১৮।
- ↑ হুসাইনি, সৈয়দ (২০০৯-০৫-১৫)। "Sahih Bukhari Volume 5, Book 57, Hadith Number 51." [সহিহ বুখারী, খণ্ড ৫, বই ৫৭, হাদিস নং ৫১]। হাদিস কালেকশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ আল-তাবরি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির। Muhammad ibn Jarir. The History of al-Tabari: The Victory of Islam [আল-তাবরির ইতিহাস: ইসলামের বিজয়], খণ্ড ৮। সানি প্রেস, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ১১৯–১২১।
- ↑ গিলোম, আলফ্রেড (অনুবাদক)। The Life of Muhammad: A Translation of Ibn Ishaq’s Sirat Rasul Allah [মুহাম্মাদের জীবন: ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুলুল্লাহের অনুবাদ], অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৫৫, “গাযওয়াহ খাইবার” অধ্যায়।
- ↑ হুসাইনি, সৈয়দ (২০০৯-০৭-০২)। "Sahih Muslim Book 19, Hadith Number 4450." [সহিহ মুসলিম, বই ১৯ (জিহাদ ও সারিয়াহ), হাদিস নং ৪৪৫০]। হাদিস কালেকশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ স্টিলম্যান, নরম্যান (১৯৭৯)। The Jews of Arab Lands: A History and Source Book [আরব ভূখণ্ডের ইহুদিরা: একটি ইতিহাস ও উৎসপুস্তক]। জিউইশ পাবলিকেশন সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৮–১৯। আইএসবিএন 0-8276-0198-0।
- ↑ আরস্লান্টাস, নুহ (২০০৮)। "Sürgünden Sonra Hayber Yahudileri" [নির্বাসনের পর খাইবারের ইহুদিরা]। বেলেটেন। ৭২ (২৬৪): 431–474। ডিওআই:10.37879/belleten.2008.431।
- ↑ ক খ গ বিয়ারম্যান, পি.; বিয়ানকুইস, টিএইচ.; বসওয়ার্থ, সি.ই.; ভ্যান ডোনজেল, ই.; হেনরিচস, ডব্লিউ.পি., সম্পাদকগণ (১৯৬০–২০০৫)। "Khaybar" [খায়বার]। এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম। ব্রিল।
- ↑ আল-মুবারকপুরি, সফিউর রহমান (২০০২)। The Sealed Nectar [আর-রাহিকুল মাখতুম (মুদ্রিত অমৃত)]। দারুসসালাম পাবলিশার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটরস। পৃষ্ঠা ৪৩৩। আইএসবিএন 978-1-59144-070-3।
- ↑ কায়েগি ১৯৯২, পৃ. ৭২।
- ↑ ক খ এল হারেইর ও এম'বে ২০১১, পৃ. ১৪২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ পাওয়ার্স ২০১৪, পৃ. ৫৮-৫৯।
- ↑ Jafar al-Tayyar [জাফর আত্-তায়্যার], আহলুল বাইত ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রকল্প
- ↑ ক খ বুহল ১৯৯৩, পৃ. ৭৫৬-৭৫৭।
- ↑ পিটারসন ২০০৭, পৃ. ১৪২।
- ↑ বলশাকভ (২০০২), p. ১৪৪.
- ↑ রাজভি, সৈয়দ আলী আসগর। A Restatement of the History of Islam & Muslims [ইসলাম ও মুসলিমদের ইতিহাসের পুনর্ব্যাখ্যা]। পৃষ্ঠা ২৮৩।
- ↑ শেখ, এফ. আর. (২০০১)। Chronology of Prophetic Events [নবিদের ঘটনাপুঞ্জের কালানুক্রমিক বিবরণ]। লন্ডন: তা-হা পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৩, ৭২, ১৩৪–১৩৬।
- ↑ গ্যাব্রিয়েল, রিচার্ড এ. (২০১৪), Muhammad: Islam's First Great General [মুহাম্মাদ: ইসলামের প্রথম মহান সেনানায়ক], ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, পৃষ্ঠা ১৬৭, ১৭৬, আইএসবিএন 9780806182506
- ↑ ক খ গ আল-মুবারকপুরি, সাফি-উর-রহমান (২০০৮)। The Sealed Nectar (Ar-Raheeq Al-Makhtum) [মোহরবন্দ সুগন্ধি : আর-রাহিকুল মাখতুম] (পিডিএফ)। আল-মদিনা আল-মুনাওয়ারাহ, সৌদি আরব: দারুসসালাম। পৃষ্ঠা ৪৫৮। আইএসবিএন 978-9960899558। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ মুহাম্মাদ ইবনে উমর আল-ওয়াকিদি (১৯৮৯)। Kitab al-Maghazi। ২। বৈরুত: মুয়াসসাসাত আল-আলামি। পৃষ্ঠা ৭৮২–৭৮৩।
- ↑ ক খ "The Conquest of Mecca and the Final Triumph" [মক্কা বিজয় ও চূড়ান্ত বিজয়]। answering-islam.org। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ "Conquest of Makkah" [মক্কা বিজয়]। muhammadencyclopedia.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "The Conquest of Makkah" [মক্কা বিজয়]। al-islam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-১১-১০। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Khalid ibn al-Walid (ra): The Legendary Military General" [খালিদ ইবনে আল-ওয়ালিদ (রা.): কিংবদন্তি সেনানায়ক]। ইয়াকিন ইনস্টিটিউট ফর ইসলামিক রিসার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Ramadan profiles: Khalid ibn al-Walid, the fearless warrior" [রমজানের প্রোফাইল: নির্ভীক যোদ্ধা খালিদ ইবনে আল-ওয়ালিদ]। আল আরাবিয়া ইংলিশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "The Biography: The Life of Muhammad" [জীবনী: মুহাম্মদের জীবনকাহিনি]। www.answering-islam.org। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "How Muhammad ﷺ Confronted Hate and Became The Most Influential Person in History" [মুহাম্মাদ ﷺ কীভাবে বিদ্বেষের মোকাবিলা করে ইতিহাসের সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠলেন]। ইয়াকিন ইনস্টিটিউট ফর ইসলামিক রিসার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Bilal ibn Rabah: The Voice of Resilience" [বিলাল ইবনে রাবাহ: প্রত্যয়ের কণ্ঠস্বর]। মুসলিম পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০২-২৯। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Bilal ibn Rabah (ra): The Voice of Certainty" [বিলাল ইবনে রাবাহ (রা.): দৃঢ় বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর]। ইয়াকিন ইনস্টিটিউট ফর ইসলামিক রিসার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ কোডিংয়েস্ট (২০২৩-০৫-০৯)। "Fatḥ Makkah: Tolerance Becomes Foundation of Triumph" [ফাতহ মক্কা: সহনশীলতাই বিজয়ের ভিত্তি]। ইসলামনওয়েব ইংলিশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ "Chapter 48: The Conquest of Makkah" [৪৮তম অধ্যায়: মক্কা বিজয়]। al-islam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১২-২৭। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ কোডিংয়েস্ট (২০২৪-০৩-৩০)। "The Conquest of Makkah: A Clear Victory from Allah" [মক্কা বিজয়: আল্লাহর পক্ষ থেকে এক স্পষ্ট বিজয়]। ইসলামনওয়েব ইংলিশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Islamic History of Khalifa Abu Bakr | Conquest of Makkah and After" [খলিফা আবু বকরের ইসলামি ইতিহাস: মক্কা বিজয় ও পরবর্তী সময়]। www.alim.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ কোডিংয়েস্ট (২০২৪-০৬-১৯)। "The Sacred Kaaba: A Journey Through Its History, Renovations, and Features" [পবিত্র কাবা: ইতিহাস, পুনর্নির্মাণ ও বৈশিষ্ট্যের এক ভ্রমণ]। ইসলামনওয়েব ইংলিশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Explanation of Hadeeth 'No Migration After the Conquest of Makkah'" ["মক্কার বিজয়ের পর আর কোনো হিজরত নেই" হাদীসের ব্যাখ্যা]। www.islamweb.net। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ ক খ গ জর্জ এফ. নাফজিগার; মার্ক ডব্লিউ. ওয়ালটন (২০০৩), Islam at War: A History [যুদ্ধে ইসলাম: একটি ইতিহাস], প্রেগার পাবলিশার্স, পৃষ্ঠা ১৩
- ↑ ক খ গ ঘ ওয়েলচ, আলফোর্ড টি.; মুসাল্লি, আহমদ এস. (২০০৯)। "Muḥammad" [মুহাম্মাদ]। এসপোসিতো, জন এল.। অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-530513-5।
- ↑ ক খ রিচার্ড এ. গ্যাব্রিয়েল (২০০৭), Muhammad: Islam's First Great General
[মুহাম্মাদ: ইসলামের প্রথম শ্রেষ্ঠ সামরিক নেতা], ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমা প্রেস, পৃষ্ঠা ১৯৭, আইএসবিএন 978-0-8061-3860-2
- ↑ আমির ইবনে মুহাম্মদ আল-মাদরি। The Battle of Tabuk: Lessons and Lessons [তাবুকের যুদ্ধ: শিক্ষা ও বার্তা]। পৃষ্ঠা ৯।
- ↑ "In the Battle of Tabuk, Where Was the Charitable One Tonight?" [তাবুকের যুদ্ধে, দানশীল ব্যক্তি আজ রাতে কোথায় ছিলেন?]। www.islamweb.net (আরবি ভাষায়)। ২০২১-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-০৮।
- ↑ মুইর, উইলিয়াম (১০ আগস্ট ২০০৩)। Life of Mahomet [মুহাম্মাদের জীবন]। কেসিঞ্জার পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৪৫৪। আইএসবিএন 978-0-7661-7741-3।
- ↑ আল-জারকানি; মুহাম্মাদ ইবনে আবদ আল-বাকি (১৯৯৬)। Al-Zarqani's Commentary on Divine Gifts of Muhammadan Excellence [আল-জারকানির ব্যাখ্যাগ্রন্থ: মুহাম্মাদী শ্রেষ্ঠত্বের ঐশী দানের ব্যাখ্যা]। চতুর্থ অংশ (প্রথম সংস্করণ)। দার আল-কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ। পৃষ্ঠা ৬৬। মে ১১, ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০২৫।
- ↑ ওয়াট ১৯৭৪। পৃষ্ঠা ২০৭।
- ↑ Muhammed [মুহাম্মাদ]। ইসলামের বিশ্বকোষ (সপ্তম সংস্করণ)। ওয়েলচ এ.টি। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ৩৬০–৩৭৬।
- ↑ Muhammed [মুহাম্মাদ]। ইসলামের বিশ্বকোষ (সপ্তম সংস্করণ)। ওয়েলচ এ.টি। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ৩৬০–৩৭৬।
- ↑ ওয়েলচ, আলফোর্ড টি.; মুসাল্লি, আহমদ এস. (২০০৯)। "Muḥammad" [মুহাম্মাদ]। এসপোসিতো, জন এল.। অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-530513-5।
- ↑ Tabuk [তাবুক]। ইসলামের বিশ্বকোষ। এমএ আল-বাখিত।
- ↑ "Ar-Raheeq Al-Makhtum (The Sealed Nectar)" [আর-রাহিকুল মাখতুম: সিলমোহরযুক্ত সুগন্ধি]। www.islamicstudies.info। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "The Conquest of Mecca and the Final Triumph" [মক্কা বিজয় ও চূড়ান্ত বিজয়]। answering-islam.org। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ "Muhammad – Divine?" [মুহাম্মাদ – কি তিনি দিব্য?]। কোরআন কন্ট্রাডিকশন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-১২। ২০২৫-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-১৫।
- ↑ The Life Of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবনী]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৮১–২৮৭।
- ↑ The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবনী]। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়। হায়কাল এমএইচ। ১৯৯৩।
- ↑ Ali İbn Abi-Talib'in Biyografisi [আলী ইবনে আবী তালিবের জীবনী]। আনসারিয়ান ইয়ানলারী, কুম, ইরান ইসলাম কুমহুরিয়েতি।
- ↑ লুইস ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ৪৩–৪৪।
- ↑ সাহীহে বুখারী, চিকিৎসা বিভাগ, জিদী অধ্যায়, সাহীহে মুসলিম, সলাম বিভাগ, জিদী চিকিৎসার ঘৃণ্যতা অধ্যায়, মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ১১৮, সুনানে তিরমিযী, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৬৫
- ↑ উগুরলু, নুর, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নূহ পাবলিকেশন্স।
- ↑ ইবনে সাদ তাবাকাত, পৃষ্ঠা ২৫৪
- ↑ কিলিক, মোস্তফা সেমিল (১৭ অক্টোবর ২০১২)। "En Yüce Dosta Doğru" [সর্বোচ্চ বন্ধুর দিকে]। হ্যাবেরিনিজ। ২৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৩।
- ↑ সুরুচ, সালিহ (২০০৫)। Peygamberimizin Hayatı [আমাদের নবির জীবন]। ইস্তাম্বুল: জেনারেশন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ৫৪–৬৮। আইএসবিএন 975-408-019-4।
- ↑ "EBÛ BEKİR" [আবু বকর] (তুর্কি ভাষায়)। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "Hz. Ebu Bekir'in halife seçilmesi nasıl olmuştur?" [হযরত আবু বকরের খলিফা নির্বাচন: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বিবরণ]। প্রশ্ন সহ ইসলাম। ২৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ ক খ লীলা আহমেদ ১৯৮৬। পৃষ্ঠা ৬৬৫।
- ↑ পিটার্স, এফ.ই. (১০ জানুয়ারি ২০০৯)। Islam: A Guide for Jews and Christians [ইসলাম: ইহুদী ও খ্রিস্টানদের জন্য একটি নির্দেশিকা] (ইংরেজি ভাষায়)। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-1-4008-2548-6। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ İslam'da Mimari Koruma: Mescid-i Nebevî Örneği [ইসলামে স্থাপত্য সংরক্ষণ: মসজিদে নববির উদাহরণ]। আরিফিন, সৈয়দ আহমদ ইস্কান্দার সৈয়দ। ২০০৫। পৃষ্ঠা ৮৮।
- ↑ "Peygamber Mescidi" [নবির মসজিদ]। ১১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ İsa [ইসা]। ইসলামের বিশ্বকোষ।
- ↑ আল-হাক্কানি, শায়খ আদিল (জুলাই ২০০২)। The Path to Spiritual Excellence [আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পথ] (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসসিএ। আইএসবিএন 978-1-930409-18-7। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ ওয়েস্টন, মার্ক (২৮ জুলাই ২০০৮)। Prophets and Princes: Saudi Arabia from Muhammad to the Present [নবি ও রাজপুত্র: মুহম্মাদ থেকে বর্তমান সময়ের সৌদি আরব] (ইংরেজি ভাষায়)। জন উইলি অ্যান্ড সন্স। আইএসবিএন 978-0-470-18257-4। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ বেহরেন্স-আবুসেফ, ডরিস; ভার্নোইট, স্টিফেন (২০০৬)। Islamic Art in the 19th Century: Tradition, Innovation, And Eclecticism [ইসলামি শিল্প: ঊনবিংশ শতাব্দীতে ঐতিহ্য, উদ্ভাবন এবং বৈচিত্র্য] (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-14442-2। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ কর্নেল, ভিনসেন্ট জে. (২০০৭)। Voices of Islam [ইসলামের কণ্ঠস্বর] (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রীনউড পাবলিশিং গ্রুপ। আইএসবিএন 978-0-275-98732-9। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক্লার্ক, ম্যালকম (১০ মার্চ ২০১১)। Islam For Dummies [ইসলামের সহজ ব্যাখ্যা] (ইংরেজি ভাষায়)। জন উইলি অ্যান্ড সন্স। আইএসবিএন 978-1-118-05396-6। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Peygamber Efendimizin Mucizeleri - Dinimiz İslam" [আমাদের নবির মুজিজা - আমাদের ধর্ম ইসলাম]। dinimizislam.com। ২৬ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২২।
- ↑ "Peygamberimizin Kur'an'dan başka mucizesi var mıdır? | Prof. Dr. Abdülaziz Bayındır" [আমাদের নবির কুরআনের বাইরে কি অন্য কোনো মুজেজা আছে? | প্রফেসর ড. আব্দুলআজিজ বায়িন্দির]। ইউটিউব। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ জোন, ইসলাম (২০২০-১২-২৪)। History Of Prophet Muhammad: Muhammad's Birth and Infancy, Muhammad's Teens and Marriage with Khadija, Declaration of Prophethood, The Hijra (Migration to Medina), Conquest of Mecca, Last Sermon, Death [নবি মুহাম্মাদের ইতিহাস: মুহাম্মাদের জন্ম ও শৈশব, মুহাম্মাদের বয়ঃসন্ধি এবং খাদিজা এর সাথে বিবাহ, নবুয়তের ঘোষণা, হিজরত {মদিনায় অভিবাসন}, মক্কা বিজয়, শেষ ভাষণ, মৃত্যু] (ইংরেজি ভাষায়)। স্বাধীনভাবে প্রকাশিত। আইএসবিএন 979-8-5857-1998-1।
- ↑ নুর উগুরলু, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নূহ পাবলিকেশন্স। (পৃষ্ঠা ১৩)
- ↑ "(৫৪) আল-কামার | (54) Al-Qamar | سورة القمر-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ ক খ "৬. চাঁদ দ্বিখন্ডিত করণের প্রস্তাব (اقتراح شق القمر)"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ "আর্কাইভ কপি"। ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ When The Moon Split [যখন চাঁদ বিদীর্ণ হয়েছিল] (ইংরেজি ভাষায়)। দারুসসালাম। ২০০২। আইএসবিএন 978-9960-897-28-8।
- ↑ "Kamer Suresi - İşte Kur'an" [সূরা ক্বামার: এটি কুরআন]। istekuran.com। ইস্তে কুরআন। ২ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৩।
- ↑ দুরমুস, মেহমেত (২১ জানুয়ারি ২০১০)। "Ayın Yarılması (Şakkul Kamer) diye bir mucize var mıdır?" [চাঁদ বিভক্তকরণ (শাক্কুল কামার)]। erdemyolu.com। এরডেম ইয়োলু। ১৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৩।
- ↑ জোনাথন এম. ব্লুম; শিলা ব্লেয়ার (২০০৯)। The Grove encyclopedia of Islamic art and architecture [ইসলামি শিল্প ও স্থাপত্যের গ্রোভ বিশ্বকোষ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 76। আইএসবিএন 978-0-19-530991-1। ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Peygamberimizin en büyük mucizelerinden olan İsra ve Mirac mucizesi ne zaman ve nasıl vuku bulmuştur?" [ইসরা ও মিরাজ মুজিজা: সময় ও বিবরণ]। প্রশ্ন সহ ইসলাম। ১ জুন ২০০৬। ২৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ মার্টিন, রিচার্ড সি. (২০০৪)। Encyclopedia of Islam and the Muslim World [ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের বিশ্বকোষ] (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যাকমিলান রেফারেন্স ইউএসএ। আইএসবিএন 978-0-02-865604-5। ৩০ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ বুটম্যান, এলিজাবেথ (২০১৭-১১-২২)। Isra Wal Miraj [ইসরা ও মিরাজ] (ইংরেজি ভাষায়)। স্বাধীনভাবে প্রকাশিত। আইএসবিএন 978-1-9733-6146-6।
- ↑ "(১৭) আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল) | (17) Al-Isra | سورة الإسراء-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ "আর মিরাজ সত্য, নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাতের বেলা আকসায় ভ্রমণ করানো হয়েছে। অতঃপর তাকে জাগ্রত অবস্থায় স্ব-শরীরে উর্ধ্ব আকাশে উত্থিত করা হয়েছে। সেখান থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারে আরো উর্ধ্বে নেয়া হয়েছে। সেখানে আল্লাহ স্বীয় ইচ্ছা অনুসারে তাকে সম্মান প্রদর্শন করেছেন এবং তাকে যা প্রত্যাদেশ করার ছিল তা করেছেন। তিনি যা দেখেছেন তার অন্তর তা মিথ্যা বলেনি। আল্লাহ তার উপর আখেরাতে এবং দুনিয়ার জগতে সালাত (দরুদ) ও সালাম নাযিল করুন"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ খলিফা, ডাঃ রাশাদ (২০১০-১২-৩১)। Quran, Hadith and Islam [কুরআন, হাদিস ও ইসলাম] (ইংরেজি ভাষায়)। ডঃ রাশাদ খলিফা পিএইচ.ডি.।
- ↑ "৮. ২. মিরাজের তারিখ"। www.hadithbd.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ রিজভী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ। Polygamy & Marriages of the Prophet Muhammad [নবি মুহাম্মাদের বিবাহ এবং একাধিক বিবাহ] (ইংরেজি ভাষায়)। আল-মা’আরিফ পাবলিকেশন্স। আইএসবিএন 978-0-920675-29-8।
- ↑ খান, সানিয়াসনাইন (২০১৪)। The Prophet Muhammad Storybook-2: Marriage, Prophethood and Early Days in Makkah [নবি মুহাম্মাদ ঘটনার বই - ২য় অংশ: বিবাহ, নবুওয়াত এবং মক্কায় প্রাথমিক জীবন] (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসবিএন 978-81-7898-855-9।
- ↑ ক খ "(33:6) Al-Ahzab | (৩৩:৬) আল-আহযাব এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ "(33:50) Al-Ahzab | (৩৩:৫০) আল-আহযাব এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ "(33:52) Al-Ahzab | (৩৩:৫২) আল-আহযাব এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ "(4:3) An-Nisa | (৪:৩) আন-নিসা এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৬।
- ↑ রিজভী, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ (১৯৯০)। Marriage & Morals in Islam [ইসলামে বিবাহ ও নীতিশাস্ত্র] (ইংরেজি ভাষায়)। ভ্যাঙ্কুভার ইসলামি এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন। আইএসবিএন 978-0-920675-10-6।
- ↑ ওয়াট, উইলিয়াম মন্টগোমারি (১৯৬১)। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক] (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-881078-0।
- ↑ হায়লামজ, রেসিট (২০০৭)। Khadija: The First Muslim and the Wife of the Prophet Muhammad [খাদিজা: ইসলামের প্রথম মুসলিম এবং নবি মুহাম্মাদের স্ত্রী] (ইংরেজি ভাষায়)। তুঘরা বুক্স। আইএসবিএন 978-1-59784-121-4।
- ↑ থমসন, জাহরা (২০১৮-০৯-১৯)। Khadija: The First Lady of Islam [খাদিজা: ইসলামের প্রথম নারী] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিয়েটস্পেস স্বাধীন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম। আইএসবিএন 978-1-7258-1779-1।
- ↑ হাশিমি, আব্দুল মুনিম (২০০৬)। The Days of Prophet Muhammad with His Wives [স্ত্রীদের সাথে নবি মুহাম্মাদের দিনগুলো] (ইংরেজি ভাষায়)। আন্তর্জাতিক ইসলামি পাবলিশিং হাউস। আইএসবিএন 978-9960-850-55-9।
- ↑ রিজভী, আল্লামা সাইয়্যেদ সাঈদ আখতার (২০১৫-১১-০৩)। The Life of Muhammad the Prophet [নবি মুহাম্মাদের জীবনী] (ইংরেজি ভাষায়)। ক্রিয়েটস্পেস স্বাধীন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম। আইএসবিএন 978-1-5191-0505-9।
- ↑ ক খ হায়লামজ, রিসিট (২০১৩-০৩-০১)। Aisha: The Wife, The Companion, The Scholar [আয়েশা: নবির প্রিয়তমা, সঙ্গী, জ্ঞানী] (ইংরেজি ভাষায়)। তুঘরা বুক্স। আইএসবিএন 978-1-59784-655-4।
- ↑ ক খ আহমদ, ফজল (১৯৯৯)। Aisha, the Truthful [আয়িশা, সত্যবাদী] (ইংরেজি ভাষায়)। শ. মুহাম্মাদ আশরাফ।
- ↑ ক খ গ কান, তামাম (২০১৩-০৪-০২)। Untold: A History of the Wives of Prophet Muhammad [অনুল্লেখ্য: নবি মুহাম্মাদের স্ত্রীদের ইতিহাস] (ইংরেজি ভাষায়)। মঙ্কফিশ বুক পাবলিশিং। আইএসবিএন 978-1-939681-05-8।
- ↑ "রাসুল (সা.)-এর কতজন সন্তান ছিল"। www.kalerkantho.com। ২০২২-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৮।
- ↑ অ্যাবট, নাবিয়া (১৯৮৫)। Aishah: The Beloved of Mohammed [আয়েশা: মুহাম্মাদের প্রিয়তমা] (ইংরেজি ভাষায়)। আল সাকি। আইএসবিএন 978-0-86356-007-1।
- ↑ সেভিজোগলু, এম. হুলকি (১৯৯৮)। Yaşar Nuri Öztürk [ইয়াসার নুরি ওজতুর্ক] (তুর্কি ভাষায়)। হোয়াইট পাবলিকেশন্স। আইএসবিএন 978-975-8261-23-9।
- ↑ ইসলামাগলু, মোস্তফা (২০১১)। The Conquest of Heart [হৃদয় জয়] (ইংরেজি ভাষায়)। দুসুন ইয়াইংসিলিক। আইএসবিএন 978-605-4195-79-4।
- ↑ সিরিয়াতি, আলী (২০০৮-০৭-০১)। Fatimah: The Greatest Woman in Islamic History (sc) [ফাতিমা: ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী] (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। পিটি মিজান পাবলিক। আইএসবিএন 978-979-18258-0-1।
- ↑ "FÂTIMA" [ফাতিমা]। টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া (তুর্কি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৮।
- ↑ শামস, ডাঃ ইফতেখার আহমেদ (২০২৩-০৩-১৫)। Hazrat Fatimah Bint Muhammad: The Pure One [হযরত ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ : পবিত্র একজন] (ইংরেজি ভাষায়)। ডাঃ ইফতেখার আহমেদ শামস। আইএসবিএন 979-8-4454-5927-9।
- ↑ "স্ত্রীগণ (الأزواج المطهرات)"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৮।
- ↑ মুহাম্মাদ, লিডিয়া মাগ্রাস (২০২২-০৩-০৮)। Elijah Muhammad and Supreme Literacy: Lessons in Supreme Knowledge, Wisdom, and Understanding [ইলিয়াস মুহাম্মাদ এবং সর্বোচ্চ সাক্ষরতা: সর্বোচ্চ জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং বোঝার পাঠ] (ইংরেজি ভাষায়)। রোম্যান ও লিটলফিল্ড। আইএসবিএন 978-0-7618-7248-1।
- ↑ ক খ "উম্মি বা নিরক্ষর দ্বারা উদ্দেশ্য"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৮।
- ↑ "(29:48) Al-Ankabut | (২৯:৪৮) আল-আনকাবূত এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৮।
- ↑ "(৬২) আল-জুমু'আ | (62) Al-Jumu'a | سورة الجمعة-অনুবাদ/তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১৮।
- ↑ লেখা (২০২৩-০১-২৫)। "ইসলামে বিবি খাদিজা (রা.)–এর অবদান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০১।
- ↑ আহমদ (১৯৭৯), পৃ. ৪৬-৭
- ↑ ক খ ইসলামের কেমব্রিজ ইতিহাস, পৃষ্ঠা ৪৩-৪৪
- ↑ মার্ক আর. কোহেন, আন্ডার ক্রিসেন্ট অ্যান্ড ক্রস: মধ্যযুগে ইহুদি, পৃ. ২৩, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস
- ↑ "REYHÂNE bint ŞEM'ÛN - TDV İslâm Ansiklopedisi" [রায়হানা বিনতে শেম'উন - তুর্কীয় ইসলামি বিশ্বকোষ] (তুর্কি ভাষায়)। গবেষণা: টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "আর্কাইভ কপি"। ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২।
- ↑ বারাকাত আহমদ, «মুহাম্মাদ এবং ইহুদী। একটি পুনরায় পরীক্ষা. » ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইসলামি স্টাডিজ। ভিপিডি এলডিটি। ISBN 0 7069 0 804 X (IV02A2501)। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত। বার্নার্ড লুইস দ্বারা প্রস্তাবনা, পৃ. ৪০-৪৩
- ↑ নিময়, "বারাকাত আহমদের "মুহাম্মাদ এবং ইহুদি", পৃ. ৩২৫. নেমোয় আহমদের মুহাম্মাদ এবং ইহুদিদের উৎস করছেন।
- ↑ ক খ আরাফাত। "বনু কুরাইজা এবং মদিনার ইহুদীদের গল্পের উপর নতুন আলো" গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নাল। ১৯৭৬: ১০০-০৭।
- ↑ জি.আর. হাউটিং: দ্য আইডিয়া অফ আইডল্যাট্রি অ্যান্ড দ্য রাইজ অফ ইসলাম: ফ্রম পলিমিক টু হিস্ট্রি (১৯৯৯); ফ্রেড ডোনার: মুহাম্মাদ এবং বিশ্বাসী। ইসলামের মূলে (২০১০) পৃ. ৫৯
- ↑ ফ্রেড ডোনার: মুহাম্মাদ এবং বিশ্বাসী। ইসলামের উৎপত্তিস্থলে (২০১০), পৃ. ৬৮; হ্যান্স জানসেন: মুহাম্মাদ (২০০৫/৭, পৃ. ৩১১-৩১৭ (২০০৮ জার্মান সংস্করণ)
- ↑ "আর্কাইভ কপি"। ২২ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ "Masada Kalesi Katliamı nasıl "Beni Kureyza Katliamı" oldu?" [মাসদা দুর্গ হত্যাকাণ্ড কীভাবে "বনু কুরাইজা গণহত্যা" হয়ে উঠল?]। ইউটিউব। ১৬ মার্চ ২০২২। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ ম্যাগনেস, জোডি (২৭ মে ২০২০)। "The Remarkable Story of Masada: Guest Post by Jodi Magness" [মাসাদার অসাধারণ গল্প: জোডি ম্যাগনেসের লেখা অতিথি পোস্ট]। বার্ট এহরম্যান ব্লগ। বার্ট এহরম্যান ফাউন্ডেশন। ২৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২১।
- ↑ "GAZVE" [অভিযান] (তুর্কি ভাষায়)। গবেষণা: টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ১৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "SERİYYE" [ছোট সামরিক অভিযান] (তুর্কি ভাষায়)। গবেষণা: টিডিভি ইসলামিক এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ টি ডব্লিউ আর্নল্ড (জুন ১৯১৯)। "An Indian Picture of Muhammad and His Companions" [মুহাম্মাদ এবং তার সঙ্গীদের একটি ভারতীয় চিত্র]। The Burlington Magazine for Connoisseurs, Vol. 34, No. 195.: 249–252। জেস্টোর 860736।
- ↑ ইসলাম সম্পর্কে সকলের যা জানা দরকার, জন এল. এসপোসিটো - ২০১১ পৃ. ১৪; হাদিসের জন্য দেখুন সহিহ আল-বুখারী, হাদিসঃ ৭.৮৩৪, ৭.৮৩৮, ৭.৮৪০, ৭.৮৪৪, ৭.৮৪৬
- ↑ গ্রুবার (২০০৫), পৃ. ২৩৯, ২৪৭-২৫৩
- ↑ ব্রেন্ডন জানুয়ারি (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। The Arab Conquests of the Middle East [মধ্যপ্রাচ্যের আরব বিজয়]। একবিংশ শতাব্দীর বই। পৃষ্ঠা ৩৪। আইএসবিএন 978-0-8225-8744-6। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ ক্রিশ্চিয়ান গ্রুবার, সুনে হগবলে (১৭ জুলাই ২০১৩)। Visual Culture in the Modern Middle East: Rhetoric of the Image [আধুনিক মধ্যপ্রাচ্যে চাক্ষুষ সংস্কৃতি: প্রতীকের ভাষা]। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩–৩১। আইএসবিএন 978-0-253-00894-7।
- ↑ আর্নল্ড, টমাস ডব্লিউ. (২ ফেব্রুয়ারি ২০১১) [প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে]। Painting in Islam, a Study of the Place of Pictorial Art in Muslim Culture [ইসলামে চিত্রকলার অবস্থান: মুসলিম সংস্কৃতিতে চিত্রশিল্পের গবেষণা]। গর্গিয়াস প্রেস এলএলসি। পৃষ্ঠা ৯১। আইএসবিএন 978-1-931956-91-8।
- ↑ ক খ ডার্ক ভ্যান ডের প্লাস (১৯৮৭)। Effigies dei: essays on the history of religions [দেবতাদের মূর্তি: ধর্মের ইতিহাসের উপর প্রবন্ধ]। ব্রিল। পৃষ্ঠা ১২৪। আইএসবিএন 978-90-04-08655-5। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ আর্নস্ট, কার্ল ডব্লিউ. (আগস্ট ২০০৪)। Following Muhammad: Rethinking Islam in the Contemporary World [মুহাম্মাদের পথ অনুসরণ: সমসাময়িক বিশ্বে ইসলাম পুনর্বিবেচনা]। ইউএনসি প্রেস বই। পৃষ্ঠা ৭৮–৭৯। আইএসবিএন 978-0-8078-5577-5। ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ বক্কর, ফ্রিক এল. (২০০৯)। The Challenge of the Silver Screen: An Analysis of the Cinematic Portraits of Jesus, Rama, Buddha and Muhammad [রূপালী পর্দার চ্যালেঞ্জ: যীশু, রাম, বুদ্ধ এবং মুহাম্মাদের চলচ্চিত্রায়িত চিত্রকল্পের একটি বিশ্লেষণ] (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-16861-9। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ এলভারস্কোগ, জোহান (২০১০)। Buddhism and Islam on the Silk Road [বৌদ্ধধর্ম এবং ইসলাম: রেশমপথে তাদের মিলন]। ফিলাডেলফিয়া: ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8122-4237-9।
- ↑ গ্রুবার, খ্রিস্টান (২০১২)। "When Nubuvvat Encounters Valāyat: Safavid Paintings of the Prophet Mohammad's Mi'rāj, c. 1500–50" [নবুওয়াতের সাথে ওয়ালায়াতের সাক্ষাৎ: মহানবি মোহাম্মদের মিরাজের সফাভিদ চিত্রকর্ম, ১৫০০-১৫৫০ খ্রিস্টাব্দ]। গবেষণা: ইরানি শিয়া ধর্মের শিল্প ও বস্তুগত সংস্কৃতি। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ ""Why Islam does (not) ban images of the Prophet"" [ইসলাম পয়গম্বরের চিত্র নিষিদ্ধ করে (না) কেন?]। ৮ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ গ্রুবার, খ্রিস্টান; কোলবি, ফ্রেডরিক এস. (ফেব্রুয়ারি ২০১০)। The Prophet's Ascension: Cross-Cultural Encounters with the Islamic Mi'raj Tales [পয়গম্বরের মিরাজ: ইসলামি মিরাজ কাহিনীর সাথে সংস্কৃতি আদান-প্রদান] (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-253-35361-0। ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ ইবনে সাদ – কিতাব আল-তাবাকাত আল-কবীর, এস. মইনুল এবং এইচ.কে. গজানফর, কিতাব ভবন, নতুন দিল্লি, এন.ডি
- ↑ সুনেন-ই তিরমিজি অনুবাদ, অনুবাদ করেছেন: ওসমান জেকি মোল্লামেহমেতোগ্লু, ইউনুস এমরে পাবলিশিং হাউস, ইস্তাম্বুল, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২০১
- ↑ হুসেতু'ল ইসলাম ইমাম গাজালি, ইহইয়াউ উলুম'ইদ-দিন, ২. চিল্ট, চেভিরি: ডাঃ সিতকি গুল্লে, হুজুর ইয়ায়নেভি, ইস্তাম্বুল ১৯৯৮, পৃ. ৮২০
- ↑ "Peygamber Efendimiz'in Saçları Nasıldı?" [পয়গম্বরের চুল কেমন ছিল?]। ইসমাইলগা সম্প্রদায়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (তুর্কি ভাষায়)। ১৩ মার্চ ২০১৭। ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২২।
- ↑ "Hz. Muhammed (asv) saçlarını örmüş müdür? » Sorularla İslamiyet" ["হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কি তার চুল বিনুনি করেছিলেন?" - ইসলাম সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী]। প্রশ্ন সহ ইসলাম (তুর্কি ভাষায়)। ৩০ জুলাই ২০০৯। ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০২২।
- ↑ "আর্কাইভ কপি"। ২৭ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "আর্কাইভ কপি"। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ফারাহ ১৯৯৪। পৃষ্ঠা ১৩৫।
- ↑ এস্পোসিটো ১৯৯৮। পৃষ্ঠা ১২।
- ↑ "İslam Tarihi, Öğretimi ve Uygulamaları" [ইসলাম ইতিহাস, শিক্ষা এবং অনুশীলন]। ৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ Muʿd̲j̲iza [মুজিজা]। গবেষণা: ইসলামের বিশ্বকোষ। এজে ওয়েনসিক।
- ↑ Mucizeler [অলৌকিক ঘটনা]। গবেষণা: কুরআন বিশ্বকোষ। ডেনিস গ্রিল।
- ↑ Ay [চাঁদ]। গবেষণা: কুরআন বিশ্বকোষ। ড্যানিয়েল মার্টিন ভারিস্কো।
- ↑ "A Restatement of the History of Islam and Muslims" [ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাসের পুনর্বিন্যাস]। www.al-islam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ নভেম্বর ২০১৩। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ Muhammad [মুহাম্মাদ]। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। পৃষ্ঠা ৯।
- ↑ স্টেটকেভিচ, সুজান পিঙ্কনি (২০১০)। The Mantle Odes: Arabic Praise Poems to the Prophet Muhammad [মহামান্ত্রের কবিতা: নবি মুহাম্মাদের প্রশংসায় আরবি কবিতা] (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-253-35487-7। ১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "(21:107) Al-Anbiya | (২১:১০৭) আল-আম্বিয়া এর অনুবাদ ও তাফসীর"। www.hadithbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০২।
- ↑ ক খ Muhammed [মুহাম্মাদ]। গবেষণা: ইসলামের বিশ্বকোষ। ওয়েলচ এ.টি। ১৯৯৩। পৃষ্ঠা ৩৬০–৩৭৬।
- ↑ Muhammad [মুহাম্মাদ]। গবেষণা: সৈয়দ হোসেন নাসের। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। পৃষ্ঠা ১৩।
- ↑ Ann Goldman, Richard Hain, Stephen Liben 2006 [অ্যান গোল্ডম্যান, রিচার্ড হেইন, স্টিফেন লিবেন ২০০৬]। পৃষ্ঠা ২১২।
- ↑ Fikh [ফিকহ]। গবেষণা: ইসলামের বিশ্বকোষ। জে. শ্যাচ্ট।
- ↑ Muhammad [মুহাম্মাদ]। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। পৃষ্ঠা ১১–১২।
- ↑ কায়েগি, ওয়াল্টার এমিল (জুন ১৯৬৯)। "Initial Byzantine Reactions to the Arab Conquest" [আরব বিজয়ের প্রতি বাইজেন্টাইনদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া] (ইংরেজি ভাষায়)। গবেষণা: চার্চ ইতিহাস। পৃষ্ঠা ১৩৯–১৪৯। আইএসএসএন 0009-6407। ডিওআই:10.2307/3162702।
- ↑ কে. হিট্টি, ফিলিপ (১৯৭০)। History of the Arabs [আরবদের ইতিহাস]। পৃষ্ঠা 112।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ বুহল, এফ.; ওয়েলচ, এ. টি. (১৯৯৩)। "Muhammad" [মুহাম্মাদ]। ইসলাম এনসাইক্লোপিডিয়া। ব্রিল একাডেমিক পাবলিশার্স। পৃষ্ঠা ৩৬০–৩৭৬। আইএসবিএন 90-04-09419-9।
- ↑ ডব্লিউ. রাইট, ১৮৩৮, ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অর্জিত ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সিরিয়াক পাণ্ডুলিপির ক্যাটালগ, তৃতীয় খণ্ড, ট্রাস্টিদের আদেশ দ্বারা মুদ্রিত: লন্ডন, নং DCCCCXIII, পৃষ্ঠা ১০৪০-১০৪১।
- ↑ এ. পামার (এস. পি. ব্রক এবং আর জি হোয়ল্যান্ডের অবদান সহ), পশ্চিম-সিরীয় ইতিহাসে সপ্তম শতাব্দীর দুটি সপ্তম শতাব্দীর সিরিয়াক অ্যাপোক্যালিপটিক পাঠ্য সহ, ১৯৯৩, পৃ. ১৯; এছাড়াও দেখুন আর.জি. হোয়ল্যান্ড, ইসলামকে অন্যরা যেমন দেখেছে: খ্রিস্টানদের একটি সমীক্ষা এবং মূল্যায়ন, প্রারম্ভিক ইসলামের উপর ইহুদি এবং জরথুষ্ট্রিয়ান লেখা, ১৯৯৭, পৃ. ১২০।
- ↑ ডব্লিউ. রাইট, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে অধিগ্রহণ করা সিরিয়াক পান্ডুলিপির তালিকা, ১৮৭০, প্রথম খন্ড, ট্রাস্টিদের আদেশে মুদ্রিত: লন্ডন, নম্বর XCIV, পৃষ্ঠা ৬৫-৬৬। এই বইটি সম্প্রতি ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গোর্জিয়াস প্রেস পুনঃপ্রকাশ করেছে।
- ↑ নলডেকে, “প্রথম শতাব্দীতে আরবদের ইতিহাসের উপর। সিরিয়ান সোর্স থেকে”, জার্নাল অফ দ্য জার্মান ওরিয়েন্টাল সোসাইটি, ১৮৭৬, অপারেটিং সিস্টেম, পৃ. ৭৯-৮২।
- ↑ ক খ বুহল, এফ.; ওয়েলচ, এ.টি. (১৯৯৩)। "মুহাম্মাদ"। ইসলাম এনসাইক্লোপিডিয়া। ৭ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল পৃ. ৩৬০-৩৭৬।ISBN 978-90-04-09419-2
- ↑ ব্রকপপ, জোনাথন ই (2010)। মুহাম্মাদের কেমব্রিজ সঙ্গী। নিউ ইয়র্ক: কেমব্রিজ ইউপি। পৃ. ২৪০-২৪২। ISBN 978-0-521-71372-6
- ↑ টক অফ নেপোলিয়ন অ্যাট সেন্ট হেলেনা (১৯০৩), পৃ. ২৭৯–২৮০
- ↑ লেভ টলস্টয়, হার্জ। হযরত মুহাম্মাদ (ইসলামের নবি সম্পর্কে বিখ্যাত রাশিয়ান লেখকের হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থ), দ্য আদার ম্যান পাবলিকেশন্স, ২০১৩।
- ↑ মাইকেল এইচ. হার্ট, ১০০: ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রেঙ্কিং, কেন? বই, ২০০৯।
- ↑ ক খ ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৬১)। Muhammad : prophet and statesman [মুহাম্মাদ: নবি এবং রাষ্ট্রনায়ক]। লন্ডন। আইএসবিএন 0-19-881078-4। ওসিএলসি 6796252।
- ↑ "Muhammad" [মুহাম্মাদ]। নিউ ওয়ার্ল্ড এনসাইক্লোপিডিয়া। ২৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ ওয়াট, ইসলামের কেমব্রিজ ইতিহাস, পৃ. ৩৭
- ↑ লুইস, বার্নার্ড (১৯৯৩)। The Arabs in history [ইতিহাসে আরবরা] (ষষ্ঠ সংস্করণ)। অক্সফোর্ড। পৃষ্ঠা ৪৫। আইএসবিএন 1-4237-5741-6। ওসিএলসি 64584093। ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ স্মিথ, পিটার (২০০০)। A concise encyclopedia of the Baha'i faith [বাহাই বিশ্বাসের একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ]। অক্সফোর্ড: ওয়ানওয়ার্ল্ড। পৃষ্ঠা ২৫১। আইএসবিএন 1-85168-184-1। ওসিএলসি 42912735। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "A Bahá'í Approach to the Claim of Finality in Islam" [ইসলামে নবুওয়াতের সমাপ্তির দাবি সম্পর্কে একটি বহাই দৃষ্টিভঙ্গি]। bahai-library.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ The Jews of Arab lands : a history and source book [আরব ভূমির ইহুদিরা: একটি ইতিহাস ও তথ্যগ্রন্থ]। নরম্যান এ. স্টিলম্যান, মাজাল হলোকাস্ট সংগ্রহ (প্রথম সংস্করণ)। ফিলাডেলফিয়া: আমেরিকার ইহুদি প্রকাশনা সোসাইটি। ১৯৭৯। পৃষ্ঠা ২৩৬। আইএসবিএন 0-8276-0116-6। ওসিএলসি 5195353। ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ কার্টিস, মাইকেল (২০০৯)। Orientalism and Islam : European thinkers on Oriental despotism in the Middle East and India [প্রাচ্যবাদ এবং ইসলাম: মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে প্রাচ্যীয় স্বৈরাচার্য নিয়ে ইউরোপীয় চিন্তাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি]। কেমব্রিজ। পৃষ্ঠা ৩১। আইএসবিএন 978-0-511-57873-1। ওসিএলসি 667034000।
- ↑ স্পেলবার্গ, ডেনিস এ. (১৯৯৪)। Politics, gender, and the Islamic past : the Legacy of ʻAʼisha bint Abi Bakr [রাজনীতি, লিঙ্গ এবং ইসলামি অতীত: আয়িশা বিনতে আবু বকরের উত্তরাধিকার]। নিউ ইয়র্ক: কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৯–৪০। আইএসবিএন 0-231-07998-2। ওসিএলসি 30666482।
- ↑ "TRHaber - Çağrı filmi konusu ne, oyuncuları kimler? Çağrı filmi nerede çekildi?" [টিআরহাবার- কল সিনেমার বিষয় কী, অভিনেতা কারা? কল চলচ্চিত্রটি কোথায় চিত্রায়িত হয়েছিল?] (তুর্কি ভাষায়)। অক্টোবর ৩০, ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩০, ২০২২।
- ↑ "Çağrı" [আহ্বান]। বেয়াজপারদে। জুলাই ১, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩০, ২০২২।
- ↑ ক খ তুরস্কের সাক্ষাৎকার ২, মুস্তাফা আক্কাদের সাথে সাক্ষাৎকার, কুরে প্রকাশনা
- ↑ "Muhammad: The Messenger of God" [মুহাম্মাদ: দ্য ম্যাসেঞ্জার অব গড]। মাহদী পাকদেল, সারেহ বায়াত, মিনা সাদাতি। ২০১৫-০৮-২৭।
- ↑ "Peygamberin Yüzü Tartışmalarıyla Vizyona Giren Çağrı'ya Rakip Hz.Muhammed Filmi" ["পয়গম্বরের চেহারা" বিতর্কের মাঝে মুক্তি পাওয়া 'চাগরি'-এর প্রতিদ্বন্দ্বী "হযরত মুহাম্মাদ" চলচ্চিত্র] (তুর্কি ভাষায়)। ১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০২১।
- ↑ "Mecid Mecidi Muhammed: Allah'ın Elçisi Filmini Habertürk TV'ye Anlattı" [মেজদ মেসিদি হাবেরটুর্ক টিভিতে "মুহাম্মাদ: আল্লাহ'র রাসুল" চলচ্চিত্র সম্পর্কে আলোচনা করেছেন]। ইউটিউব। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ লেভ টলস্টয়, হার্জ। হযরত মুহাম্মাদ (ইসলামের নবি সম্পর্কে বিখ্যাত রাশিয়ান লেখকের হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থ), দ্য আদার ম্যান পাবলিকেশন্স, ২০১৩।
- ↑ মাইকেল এইচ. হার্ট, ১০০: ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা, ১৯৭৮.
- ↑ ক খ উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট, Hz. Muhammed Mekke'de [মক্কায় মুহাম্মাদ], আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মতত্ত্ব প্রকাশনা অনুষদ নং: ১৭৫, আঙ্কারা, ১৯৮৬।
- ↑ ক খ "Peygamber Efendimiz Hz. Muhammed'in (asv) kronolojik hayatı kısaca nasıldır? » Sorularla İslamiyet" [প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ইসলাম: হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবনী] (তুর্কি ভাষায়)। গবেষণা: সুরুলারলা ইসলামিয়েত। ১৭ নভেম্বর ২০০৯। ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ "Diyanet Dergi | Diyanet - Aylık Dergi - Aile - Çocuk - İlmi Dergi - Bülten" [ধর্মীয় বিষয়াবলির মাসিক পত্রিকা: পরিবার - শিশু - একাডেমিক জার্নাল - বুলেটিন]। গবেষণা: dergi.diyanet.gov.tr। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ "Hz. Peygamber Devri Kronolojisi" [হযরত মুহাম্মাদের জীবনকালের ঘটনাপ্রবাহ] (তুর্কি ভাষায়)। গবেষণা: হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)- শেষ নবি। ৩ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২২।
গ্রন্থপঞ্জি
- আদিল, হাজ্জা আমিনা (২০০২)। Muhammad, the Messenger of Islam: His Life & Prophecy [মুহাম্মাদ, ইসলামের বার্তাবাহক: তার জীবন ও ভবিষ্যদ্বাণী]। আইএসসিএ। আইএসবিএন 978-1-930409-11-8।
- আহমদ, আনিস (২০০৯)। "Dīn"
[দীন]। এসপোসিটো, জন এল.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত।
- আহমেদ, শাহাব (২০১৭)। Before Orthodoxy: The Satanic Verses in Early Islam [প্রথাগত মতবাদের পূর্বে: প্রারম্ভিক ইসলামে শয়তানীয় আয়াত]। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-674-04742-6।
- আল-বুখারি, মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল (১৯৯৭)। The Translation of the Meanings of Sahih Al-Bukhari: Arabic-English [সহিহ আল-বুখারির অর্থের অনুবাদ: আরবি-ইংরেজি]। খান, মুহাম্মাদ এম. কর্তৃক অনূদিত। দার-উস-সালাম। আইএসবিএন 978-9960-717-31-9।
- আল-তাবারি, আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনে জারির (১৯৯৭)। The History of al-Ṭabarī [আল-তাবারির ইতিহাস]। 8: The Victory of Islam: Muhammad at Medina A.D. 626-630/A.H. 5-8 [৮: ইসলামের বিজয়: মদিনায় মুহাম্মাদ – খ্রিস্টাব্দ ৬২৬-৬৩০ / হিজরি ৫-৮]। স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক প্রেস। আইএসবিএন 978-0-7914-3150-4।
- আল-তাবারি, মুহাম্মাদ ইবনে জারির (১৯৮৭)। The History of al-Tabari [আল-তাবারির ইতিহাস]। 6: Muhammad in Mecca [৬: মক্কায় মুহাম্মাদ]। স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক প্রেস। আইএসবিএন 978-0-88706-707-5।
- অ্যান্থনি, শন ডাব্লিউ. (২০২০)। Muhammad and the Empires of Faith: The Making of the Prophet of Islam [মুহাম্মাদ এবং বিশ্বাসের সাম্রাজ্যসমূহ: ইসলামের নবি গঠনের ইতিহাস]। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। আইএসবিএন 978-0-520-97452-4।
- আরদিচ, নুরুল্লাহ (২০১২)। Islam and the Politics of Secularism [ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনীতি]। রাউটলেজ। আইএসবিএন 978-1-136-48984-6।
- আরজোমান্দ, সাঈদ আমির (২০২২)। Messianism and Sociopolitical Revolution in Medieval Islam [মধ্যযুগীয় ইসলামে মেসিয়ানিজম ও সামাজিক-রাজনৈতিক বিপ্লব]। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। আইএসবিএন 978-0-520-38759-1।
- আর্মস্ট্রং, কারেন (২০০৭)। Muhammad: A Prophet for Our Time [মুহাম্মাদ: আমাদের সময়ের এক নবি]। হারপার কলিন্স। আইএসবিএন 978-0-06-115577-2।
- আর্মস্ট্রং, কারেন (২০১৩)। Muhammad: A Prophet for Our Time [মুহাম্মাদ: আমাদের সময়ের এক নবি]। হারপারকলিন্স। আইএসবিএন 9780062316837।
- বিয়ারম্যান, পেরি; বিয়াঙ্কি, থিয়েরি; বসওয়ার্থ, সি. এডমান্ড; ডনজেল, ই. জে. ভান, সম্পাদকগণ (২০০২)। "Encyclopaedia of Islam, Volume XI (V-Z) [ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, খণ্ড ১১ (ভি–জেড)]"। Encyclopaedia of Islam [ইসলামের বিশ্বকোষ]। XI (V–Z) [১১ (ভি–জেড)]। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-12756-2। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২৩।
- বিস্টন, এ. এফ. এল. (১৯৮৩)। Arabic Literature to the End of the Umayyad Period [উমাইয়া যুগের শেষ পর্যন্ত আরব সাহিত্য]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-24015-4।
- বেনেট, ক্লিনটন (১৯৯৮)। In search of Muhammad [মুহাম্মাদকে খোঁজার সন্ধানে]। কন্টিনিউয়াম। আইএসবিএন 978-0-304-70401-9।
- বোগল, এমরি সি. (১৯৯৮)। Islam: Origin and Belief [ইসলাম: উৎপত্তি ও বিশ্বাস]। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস প্রেস। আইএসবিএন 978-0-292-70862-4।
- বোরুপ, ইওর্ন; ফিবিগার, মারিয়ান্নে কভর্টরুপ; কুহলে, লেনে (২০১৯)। Religious Diversity in Asia [এশিয়ায় ধর্মীয় বৈচিত্র্য]। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-41581-2।
- ব্রোকআপ, জোনাথন ই. (২০১০)। The Cambridge Companion to Muhammad [মুহাম্মাদ সম্পর্কে ক্যামব্রিজ সঙ্গীগ্রন্থ]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-1-139-82838-3।
- ব্রাউন, ড্যানিয়েল ডাব্লিউ. (২০০৩)। A New Introduction to Islam [ইসলামের একটি নতুন পরিচিতি]। ওয়াইলি। আইএসবিএন 978-0-631-21604-9।
- ব্রাউন, জোনাথন এ. সি. (২০১১)। Muhammad: A Very Short Introduction [মুহাম্মাদ: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-955928-2।
- শেইখ, নাদিয়া মারিয়া এল (২০১৫)। Women, Islam, and Abbasid Identity [নারী, ইসলাম ও আব্বাসীয় পরিচয়]। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-674-73636-8।
- চিমিনো, রিচার্ড (ডিসেম্বর ২০০৫)। ""No God in Common": American Evangelical Discourse on Islam after 9/11" ["কোনো সাধারণ ঈশ্বর নেই": ৯/১১-পরবর্তী ইসলামের উপর আমেরিকান ইভানজেলিকাল ভাষ্য]। রিভিউ অব রিলিজিয়াস রিসার্চ। ৪৭ (২): ১৬২–১৭৪। জেস্টোর 3512048। ডিওআই:10.2307/3512048।
- কোল, ডাব্লিউ. ওয়েন (১৯৯৬)। Six World Faiths [ছয়টি বিশ্ব ধর্ম]। এ অ্যান্ড সি ব্ল্যাক। আইএসবিএন 978-0-8264-4964-1।
- কনরাড, লরেন্স আই. (১৯৮৭)। "Abraha and Muhammad: some observations apropos of chronology and literary topoi in the early Arabic historical tradition" [আবরাহা ও মুহাম্মাদ: প্রাচীন আরবি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে কালানুক্রম ও সাহিত্যিক রূপকের কিছু পর্যবেক্ষণ]। বুলেটিন অব দ্য স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ। ৫০ (২): ২২৫–২৪০। এসটুসিআইডি 162350288। ডিওআই:10.1017/S0041977X00049016।
- কার্টিস, মাইকেল (২০০৯)। Orientalism and Islam: European Thinkers on Oriental Despotism in the Middle East and India [ওরিয়েন্টালিজম ও ইসলাম: মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে প্রাচ্য স্বৈরতন্ত্র সম্পর্কে ইউরোপীয় চিন্তাবিদগণ]। নিউ ইয়র্ক: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩১। আইএসবিএন 978-0-521-76725-5।
- ডেমিং, ডেভিড (২০১৪)। Science and Technology in World History [বিশ্ব ইতিহাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি]। 2: প্রারম্ভিক খ্রিষ্টধর্ম, ইসলামের উত্থান এবং মধ্যযুগ। ম্যাকফারল্যান্ড। আইএসবিএন 978-0-7864-5642-0।
- ডিবল, রয় (১৯২৬)। Mohammed [মুহাম্মাদ]। ভাইকিং।
- ডনার, ফ্রেড (১৯৯৮)। Narratives of Islamic Origins: The Beginnings of Islamic Historical Writing [ইসলামি উৎসবৃত্তান্ত: ইসলামি ঐতিহাসিক রচনার সূচনা]। ডারউইন্স। আইএসবিএন 0878501274।
- এল-আজহারি, তায়েফ কামাল (২০১৯)। "Two Wives at the Same Time: Sawda and 'Aisha" [একসাথে দুই স্ত্রী: সওদা ও আয়েশা]। Queens, Eunuchs and Concubines in Islamic History, 661-1257 [ইসলামি ইতিহাসে রানী, খোজা ও উপপত্নীরা, ৬৬১–১২৫৭]। এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৪–২৫। আইএসবিএন 978-1-4744-2318-2।
- এসপোসিটো, জন (১৯৯৮)। Islam: The Straight Path [ইসলাম: সোজা পথ] (৩য় সংস্করণ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-511234-4।
- এসপোসিটো, জন (২০০২)। What Everyone Needs to Know About Islam
[ইসলাম সম্পর্কে যেটা সবাইকে জানা উচিত]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-515713-0।
- এসপোসিটো, জন, সম্পাদক (২০০৩)। The Oxford Dictionary of Islam [দ্য অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ইসলাম]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৯৮। আইএসবিএন 978-0-19-512558-0। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১২।
- এসপোসিটো, জন (২০১১)। What everyone needs to know about Islam [ইসলাম সম্পর্কে যেটা সবাইকে জানা উচিত] (২য় সংস্করণ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-979413-3।
- ফোঁতেন, পি. এফ. এম. (২০২২)। Imperialism in Medieval History I: Dualism in Byzantine History 476–638 and Dualism in Islam 572–732 [মধ্যযুগীয় ইতিহাসে সাম্রাজ্যবাদ I: বাইজেন্টাইন ইতিহাসে দ্বৈতবাদ ৪৭৬–৬৩৮ এবং ইসলামে দ্বৈতবাদ ৫৭২–৭৩২]। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-50234-5।
- ফরোয়ার্ড, মার্টিন (১৯৯৭)। Muhammad: A Short Biography [মুহাম্মাদ: একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী]। ওয়ানওয়ার্ল্ড। আইএসবিএন 978-1-85168-131-0।
- গ্যাব্রিয়েল, রিচার্ড এ. (২০০৭)। Muhammad: Islam's First Great General [মুহাম্মাদ: ইসলামের প্রথম মহান সেনানায়ক]। ইউনিভার্সিটি অফ ওকলাহোমা প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8061-3860-2।
- গ্যাব্রিয়েল, রিচার্ড এ. (২০১৪)। Muhammad: Islam's First Great General [মুহাম্মাদ: ইসলামের প্রথম মহান সেনানায়ক]। ইউনিভার্সিটি অফ ওকলাহোমা প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8061-8250-6।
- গিব, হ্যামিলটন আলেকজান্ডার রসকিন; লুইস, ব্রায়ান; ডনজেল, এমেরি জে. ভান; বসওয়ার্থ, ক্লিফোর্ড এডমান্ড (১৯৮৬)। The Encyclopaedia of Islam [দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম]। ১। ব্রিল।
- গিল, মোশে (১৯৯৭)। A History of Palestine, 634–1099 [প্যালেস্টাইনের ইতিহাস, ৬৩৪–১০৯৯]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-59984-9।
- গ্লাব, স্যার জন ব্যাগট (২০০১)। The Life and Times of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন ও সময়কাল]। কুপার স্কোয়ার। আইএসবিএন 978-0-8154-1176-5।
- গডার্ড, হিউ (২০০০)। "The First Age of Christian-Muslim Interaction (c. 830/215)" [খ্রিষ্টান-মুসলিম মিথস্ক্রিয়ার প্রথম যুগ (খ্রিঃ ৮৩০/হি. ২১৫)]। A History of Christian-Muslim Relations
[খ্রিষ্টান-মুসলিম সম্পর্কের ইতিহাস]। এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪–৪১। আইএসবিএন 978-1-56663-340-6।
- গোল্ডম্যান, এলিজাবেথ (১৯৯৫)। Believers: spiritual leaders of the world [বিশ্বাসীরা: বিশ্বের আধ্যাত্মিক নেতৃবৃন্দ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-508240-1।
- গর্ডন, ম্যাথিউ (২০০৫)। The Rise of Islam [ইসলামের উত্থান]। গ্রিনউড। আইএসবিএন 978-0-313-32522-9।
- গটহেইল, রিচার্ড; মন্টগোমারি, মেরি ডব্লিউ.; গ্রিমে, হিউবার্ট (১৯০৬)। "Mohammed" [মুহাম্মাদ]। দ্য জিউইশ এনসাইক্লোপিডিয়া। কোপেলম্যান ফাউন্ডেশন।
- হ্যাজলটন, লেসলি (২০১৪)। The First Muslim: The Story of Muhammad [প্রথম মুসলমান: মুহাম্মাদের কাহিনি]। পেঙ্গুইন। আইএসবিএন 978-1-59463-230-3।
- হজসন, মার্শাল জি. এস. (২০০৯)। The Venture of Islam [ইসলামের অভিযাত্রা]। 1: The Classical Age of Islam [১: ইসলামের শাস্ত্রীয় যুগ]। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস। আইএসবিএন 978-0-226-34686-1।
- হোল্ট, পি. এম.; ল্যাম্বটন, অ্যান কে. এস.; লুইস, বার্নার্ড (১৯৭৭)। The Cambridge History of Islam [ক্যামব্রিজ ইসলামের ইতিহাস] (পেপারব্যাক সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-29135-4।
- হোল্ট, পি. এম.; ল্যাম্বটন, অ্যান কে. এস.; লুইস, বার্নার্ড (১৯৭৭)। The Cambridge History of Islam [ক্যামব্রিজ ইসলামের ইতিহাস]। 1A, The Central Islamic Lands from Pre-Islamic Times to the First World War [১এ: ইসলাম-পূর্ব যুগ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত মধ্য ইসলামী অঞ্চলসমূহ]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-29135-4।
- হুরানি, আলবার্ট; রুথভেন, মালিস (২০০৩)। A History of the Arab Peoples [আরব জাতির ইতিহাস] (সংশোধিত সংস্করণ)। বেলন্যাপ। আইএসবিএন 978-0-674-01017-8।
- হাওয়ার্ড-জনস্টন, জেমস (২০১০)। Witnesses to a World Crisis: Historians and Histories of the Middle East in the Seventh Century [একটি বৈশ্বিক সংকটের সাক্ষী: সপ্তম শতকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও ইতিহাসবিদগণ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-157608-9।
- হাম্পফ্রিজ, আর. স্টিফেন (১৯৯১)। Islamic History: A Framework for Inquiry [ইসলামের ইতিহাস: অনুসন্ধানের একটি কাঠামো] (সংশোধিত সংস্করণ)। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-00856-1।
- ইবনে হিশাম, আবদুল মালিক; ইবনে ইসহাক, মুহাম্মাদ (১৯৭৮)। The Life of Muhammad: A Translation of Isḥāq's Sīrat Rasūl Allāh [মুহাম্মাদের জীবন: ইসহাকের সিরাত রসুল আল্লাহর অনুবাদ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-636034-8।
- ইবনে কাসির; গ্যাসিক, ট্রেভর লে (২০০০)। The Life of the Prophet Muhammad [নবি মুহাম্মাদের জীবন]। ১। গ্যাসিক, ট্রেভর লে কর্তৃক অনূদিত। রিডিং: গারনেট। আইএসবিএন 978-1-85964-142-2।
- ইবনে কাসির, ইসমাঈল ইবনে উমর (১৯৯৮)। The Life of the Prophet Muḥammad: A Translation of Al-Sīra Al-Nabawiyya [নবি মুহাম্মাদের জীবন: আল-সিরা আন-নবাবিয়্যার অনুবাদ]। সেন্টার ফর মুসলিম কন্ট্রিবিউশন টু সিভিলাইজেশন। আইএসবিএন 978-1-85964-040-1।
- আর্বিং, ওয়াশিংটন (১৯০৪)। Mahomet and His Successors [মুহাম্মাদ এবং তার উত্তরসূরিরা]। পি. এফ. কলিয়ার।
- জনসন, স্কট ফিটজেরাল্ড (২০১৫)। The Oxford Handbook of Late Antiquity [প্রাচীন যুগের অন্তিম পর্ব সংক্রান্ত অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-027753-6।
- ক্যাটজ, স্টিভেন (২০২২)। The Cambridge Companion to Antisemitism [বিরুদ্ধ-সেমিতবাদের ক্যামব্রিজ সঙ্গীগ্রন্থ]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-1-108-78765-9।
- কিস্টার, এম. জে. (২০২২)। Society and Religion from Jahiliyya to Islam [জাহেলিয়া যুগ থেকে ইসলামে সমাজ ও ধর্ম]। রাউটলেজ। আইএসবিএন 978-1-000-58502-5।
- ক্লেইন, এফ. এ. (১৯০৬)। The Religion of Islám [ইসলামের ধর্ম]। কে. পল, ট্রেঞ্চ, ট্রিউবনার। আইএসবিএন 978-90-90-00408-2।
- ক্লোপেনবোর্গ, রিয়া; হানেগ্রাফ, ভাউটার জে. (২০১৮)। Female Stereotypes in Religious Traditions [ধর্মীয় ঐতিহ্যে নারীদের রূপকল্প]। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-37888-9।
- ল্যাপিডাস, ইরা (২০০২)। A History of Islamic Societies [ইসলামি সমাজসমূহের ইতিহাস] (২য় সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-77933-3।
- ল্যাপিডাস, ইরা এম. (২০১২)। Islamic Societies to the Nineteenth Century: A Global History [উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামি সমাজসমূহ: একটি বৈশ্বিক ইতিহাস]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-51441-5।
- ল্যাসনার, জ্যাকব (২০১২)। Jews, Christians, and the Abode of Islam: Modern Scholarship, Medieval Realities [ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলামের আবাসভূমি: আধুনিক পাণ্ডিত্য ও মধ্যযুগীয় বাস্তবতা]। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস। আইএসবিএন 978-0-226-47107-5।
- লুইস, বার্নার্ড (২০০২) [১৯৯৩]। The Arabs in History [ইতিহাসে আরবগণ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-280310-8।
- লুইস, ডেভিড লেভারিং (২০০৯)। God's Crucible: Islam and the Making of Europe, 570-1215 [ঈশ্বরের ধাতুভাণ্ডার: ইসলাম ও ইউরোপ গঠনের ইতিহাস, ৫৭০–১২১৫]। ডব্লিউ. ডব্লিউ. নর্টন। আইএসবিএন 978-0-393-06790-3।
- লিন্ডেমান, আলবার্ট এস.; লেভি, রিচার্ড এস. (২০১০)। Antisemitism: A History [বিরুদ্ধ-সেমিতবাদ: একটি ইতিহাস]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-923503-2।
- মাডেলুং, উইলফার্ড (১৯৯৭)। The Succession to Muhammad: A Study of the Early Caliphate [মুহাম্মাদের উত্তরাধিকার: প্রারম্ভিক খেলাফতের একটি অধ্যয়ন]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-64696-3।
- মার্গোলিওথ, ডেভিড এস. (২০১০)। Mohammed and the Rise of Islam [মুহাম্মাদ ও ইসলামের উত্থান]। কোসিমো। আইএসবিএন 978-1-61640-503-8।
- মিলার, জুডিথ (২০১১)। God Has Ninety-Nine Names: Reporting from a Militant Middle East [আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম: সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রতিবেদন]। সাইমন অ্যান্ড শুস্টার। আইএসবিএন 978-1-4391-2941-8।
- মুইর, উইলিয়াম (১৮৬১)। The Life of Mahomet and History of Islam to the Era of the Hegira: With Introductory Chapters on the Original Sources for the Biography of Mahomet and on the Pre-Islamite History of Arabia [মুহাম্মাদের জীবন ও হিজরার যুগ পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাস: মুহাম্মাদের জীবনী ও ইসলাম-পূর্ব আরবের ইতিহাসবিষয়ক প্রাথমিক উৎস নিয়ে ভূমিকা সহ]। স্মিথ, এল্ডার অ্যান্ড কোম্পানি, ৬৫, কর্নহিল।
- মুরান্যি, মিকলোস (১৯৯৮)। The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন]। অ্যাশগেট। আইএসবিএন 978-0-86078-703-7।
- মরগান, ডায়ান (২০০৯)। Essential Islam: A Comprehensive Guide to Belief and Practice [প্রয়োজনীয় ইসলাম: বিশ্বাস ও অনুশীলনের একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা]। ব্লুমসবারি। আইএসবিএন 978-0-313-36026-8।
- মুইসে, মার্ক ডব্লিউ. (২০১৮)। Four Wise Men [চার জ্ঞানী পুরুষ]। লাটারওয়ার্থ। আইএসবিএন 978-0-7188-9522-8।
- মারে, আলেকজান্ডার (২০১১)। Suicide in the Middle Ages [মধ্যযুগে আত্মহত্যা]। 2: The Curse on Self-Murder [২: আত্মহত্যার অভিশাপ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-161399-9।
- নাগেল, টিলমান (২০২০)। Muhammad's Mission: Religion, Politics, and Power at the Birth of Islam [মুহাম্মাদের মিশন: ইসলামের সূচনায় ধর্ম, রাজনীতি ও ক্ষমতা]। ভল্টার ডে গ্রুইটার। আইএসবিএন 978-3-11-067498-9।
- নেটন, ইয়ান রিচার্ড (২০১৩)। Encyclopaedia of Islam [ইসলামের বিশ্বকোষ]। রাউটলেজ। আইএসবিএন 978-1-135-17960-1।
- নিগোসিয়ান, সলোমন এ. (২০০৪)। Islam: Its History, Teaching, and Practices [ইসলাম: এর ইতিহাস, শিক্ষাবলী ও চর্চা]। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-253-11074-9।
- পিটার্স, এফ. ই. (১৯৯৪)। Muhammad and the Origins of Islam [মুহাম্মাদ ও ইসলামের সূচনা]। স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক প্রেস। আইএসবিএন 978-1-4384-1597-0।
- পিটার্স, ফ্রান্সিস এডওয়ার্ড (২০০৩)। Islam: A Guide for Jews and Christians [ইসলাম: ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের জন্য একটি নির্দেশিকা]। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-11553-5।
- পিটার্স, ফ্রান্সিস এডওয়ার্ড (২০০৩b)। The Monotheists: Jews, Christians, and Muslims in Conflict and Competition
[একেশ্বরবাদীরা: ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতা]। ১। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 0-691-11460-9। ASIN: B0012385Z6।
- পিটার্স, ফ্রান্সিস এডওয়ার্ড (২০১০)। Jesus and Muhammad: Parallel Tracks, Parallel Lives [যিশু ও মুহাম্মাদ: সমান্তরাল পথ, সমান্তরাল জীবন]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-978004-4।
- পিটারসন, ড্যানিয়েল (২০০৭)। Muhammad, Prophet of God [মুহাম্মাদ, আল্লাহর নবি]। ডব্লিউ. এম. বি. এর্ডম্যানস। আইএসবিএন 978-0-8028-0754-0।
- ফিপস, উইলিয়াম ই. (২০১৬)। Muhammad and Jesus: A Comparison of the Prophets and Their Teachings [মুহাম্মাদ ও যিশু: নবিদের ও তাঁদের শিক্ষার তুলনা]। ব্লুমসবারি। আইএসবিএন 978-1-4742-8935-1।
- পাওয়ার্স, ডেভিড এস. (২০১৪)। Zayd [জাইদ]। ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া প্রেস। আইএসবিএন 978-0-8122-0995-2।
- কুইন, ফ্রেডেরিক (২০০৮)। "The Prophet as Antichrist and Arab Lucifer (Early Times to 1600)" [নবি: খ্রিস্টবিরোধী ও আরব শয়তান হিসেবে (প্রারম্ভিক যুগ থেকে ১৬০০ সাল পর্যন্ত)]। The Sum of All Heresies: The Image of Islam in Western Thought
[সমস্ত বিভ্রান্তির সমষ্টি: পশ্চিমা চিন্তাধারায় ইসলামের প্রতিচ্ছবি]। নিউ ইয়র্ক: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ১৭–৫৪। আইএসবিএন 978-0-19-532563-8।
- রামাদান, তারিক (২০০৭)। In the Footsteps of the Prophet: Lessons from the Life of Muhammad [নবির পদাঙ্ক অনুসরণে: মুহাম্মাদের জীবন থেকে নেওয়া শিক্ষা]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-530880-8।
- রাশিদ, মাআমার ইবনে (২০১৫)। The Expeditions: An Early Biography of Muḥammad [অভিযানসমূহ: মুহাম্মাদের একটি প্রারম্ভিক জীবনী]। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-1-4798-0047-6।
- রিভস, মিনু (২০০৩)। Muhammad in Europe: A Thousand Years of Western Myth-Making [ইউরোপে মুহাম্মাদ: পশ্চিমা মিথ নির্মাণের এক হাজার বছর]। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬–৭। আইএসবিএন 0814775640।
- রেইনল্ডস, গ্যাব্রিয়েল সাঈদ (২০২৩)। The Emergence of Islam: Classical Traditions in Contemporary Perspective [ইসলামের উদ্ভব: আধুনিক দৃষ্টিকোণে শাস্ত্রীয় ঐতিহ্য]। অগসবার্গ ফোর্ট্রেস। আইএসবিএন 978-1-5064-7388-8।
- রবিন, ক্রিশ্চিয়ান জে. (২০১২)। "Arabia and Ethiopia" [আরব ও ইথিওপিয়া]। In The Oxford Handbook of Late Antiquity [দি অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক অব লেট অ্যান্টিকুইটি]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-533693-1।
- রবিনসন, ডেভিড (২০০৪)। Muslim Societies in African History [আফ্রিকার ইতিহাসে মুসলিম সমাজসমূহ]। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-82627-3।
- রজার্স, রাস (২০১২)। The Generalship of Muhammad: Battles and Campaigns of the Prophet of Allah [মুহাম্মাদের সেনানায়কত্ব: আল্লাহর নবির যুদ্ধ ও অভিযানসমূহ]। ইউনিভার্সিটি প্রেস অফ ফ্লোরিডা। আইএসবিএন 978-0-8130-3766-0।
- রোডিনসন, মাকসিম (২০০২)। Muhammad: Prophet of Islam [মুহাম্মাদ: ইসলামের নবি]। টরিস পার্ক। আইএসবিএন 978-1-86064-827-4।
- রোডিনসন, মাকসিম (২০২১)। Muhammad [মুহাম্মাদ]। নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস। আইএসবিএন 978-1-68137-493-2।
- রোজমা, বারবারা (২০০৮)। The Legend of Sergius Baḥīrā: Eastern Christian Apologetics and Apocalyptic in Response to Islam [সার্জিয়াস বাহীরার কিংবদন্তি: ইসলামের প্রতি প্রতিক্রিয়ায় প্রাচ্য খ্রিষ্টান আপোলজেটিক ও প্রলয়বাদের ব্যাখ্যা]। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-474-4195-3।
- রোজেনওয়েইন, বারবারা এইচ., সম্পাদক (২০১৮)। Reading the Middle Ages: Sources from Europe, Byzantium, and the Islamic World [মধ্যযুগ পাঠ: ইউরোপ, বাইজান্টিয়াম ও ইসলামি বিশ্বের উৎস] (৩য় সংস্করণ)। ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো প্রেস। আইএসবিএন 978-1-4426-3673-6।
- রুবিন, উরি (২০২২)। The Life of Muhammad [মুহাম্মাদের জীবন]। টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস। আইএসবিএন 978-1-351-88676-5।
- সাল্লাবি, আলী মুহাম্মাদ মুহাম্মাদ (২০০৫)। The Noble Life of the Prophet [নবির মহৎ জীবন]। দারুসসালাম। আইএসবিএন 978-9960-9678-9-9।
- শাখট; লুইস; পেল্লা; মেনাজ, সম্পাদকগণ (১৯৯৮)। Encyclopaedia of Islam [ইসলামের বিশ্বকোষ]। III (H-Iram): [Fasc. 41-60, 60a] [৩ (হ–ইরাম): [ফ্যাস. ৪১–৬০, ৬০a] ]। ব্রিল। আইএসবিএন 978-90-04-08118-5।
- শ্রোডার, এরিক (২০০২)। Muhammad's People: An Anthology of Muslim Civilization [মুহাম্মাদের জাতি: মুসলিম সভ্যতার একটি সংকলন]। কুরিয়ার। আইএসবিএন 978-0-486-42502-3।
- সেলস, মাইকেল (২০০২)। "Ascension" [উর্ধ্বারোহণ]। জেইন ড্যামেন ম্যাকঅলিফ। কুরআনের বিশ্বকোষ। ১।
- শুমেকার, স্টিফেন জে. (২০২২)। "3 Radiocarbon Dating and the Origins of the Qur'an" [৩ রেডিওকার্বন তারিখনির্ধারণ ও কুরআনের উত্স]। Creating the Qur'an: A Historical-Critical Study [কুরআনের রচনাকর্ম: একটি ঐতিহাসিক-সমালোচনামূলক অধ্যয়ন]। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। পৃষ্ঠা ৭০–৯৫। আইএসবিএন 978-0-520-38903-8। জেস্টোর j.ctv2tbwqhq.7।
- স্পেলবার্গ, ডেনিস এ. (১৯৯৬)। Politics, Gender, and the Islamic Past: The Legacy of 'A'isha Bint Abi Bakr [রাজনীতি, লিঙ্গ ও ইসলামী অতীত: আয়িশা বিনতে আবি বকর এর উত্তরাধিকার]। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৯–৪০। আইএসবিএন 978-0-231-07999-0।
- স্টিলম্যান, নরম্যান এ. (১৯৭৯)। The Jews of Arab Lands: A History and Source Book [আরব ভূমির ইহুদিরা: একটি ইতিহাস ও উৎসগ্রন্থ]। জিউইশ পাবলিকেশন সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৩৬। আইএসবিএন 978-0-8276-0198-7।
- স্বরূপ, রাম (২০১১)। Understanding the Hadith: The Sacred Traditions of Islam [হাদীস বোঝা: ইসলামের পবিত্র বর্ণনা]। প্রোমিথিউস। আইএসবিএন 978-1-61592-243-7।
- তৌঘি, মালেক মুহাম্মাদ (১৯৯১)। Foundations of Muslim Images and Treatment of the World Beyond Islam [ইসলামের বাইরের জগত সম্পর্কে মুসলিম ভাবনা ও আচরণের ভিত্তি]। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইতিহাস বিভাগ।
- ওয়াকিদি, মুহাম্মাদ ইবনে উমর (২০১১)। The Life of Muḥammad: Al-Wāqidī's Kitāb Al-maghāzī [মুহাম্মাদের জীবন: আল-ওয়াকিদির কিতাব আল-মাগাজি]। রাউটলেজ। আইএসবিএন 978-0-415-57434-1।
- ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৫৩)। Muhammad at Mecca [মক্কায় মুহাম্মাদ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-577277-7। ASIN: B000IUA52A।
- ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৫৬)। Muhammad at Medina [মদিনায় মুহাম্মাদ]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-577307-1।
- ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৬১)। Muhammad: Prophet and Statesman [মুহাম্মাদ: নবি ও রাষ্ট্রনায়ক]। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 0-19-881078-4।
- ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৯৮)। "Encyclopaedia of Islam" [ইসলামের বিশ্বকোষ]। Badr [বদর]। ইসলামের বিশ্বকোষ। I (A–B): [Fasc. 1–22] [ ১ (আ–ব): [ফ্যাস. ১–২২] ] (২য় সংস্করণ)। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৮৬৭–৮৬৮। আইএসবিএন 978-90-04-08114-7।
- ওয়েলচ, অ্যালফোর্ড টি.; মুসাল্লি, আহমদ এস.; নিউবি, গর্ডন ডি. (২০০৯)। "Muḥammad" [মুহাম্মাদ]। এসপোসিটো, জন এল.। দি অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত।
- উইলিয়ামস, জন অলডেন, সম্পাদক (১৯৬১)। Islam [ইসলাম]। জর্জ ব্রাজিলার। আইএসবিএন 978-0-8076-0165-5।
- উইলিয়ামস, রেবেকা (২০১৩)। Muhammad and the Supernatural: Medieval Arab Views [মুহাম্মাদ ও অতিপ্রাকৃত: মধ্যযুগীয় আরব দৃষ্টিভঙ্গি]। রাউটলেজ। আইএসবিএন 978-1-135-94085-0।
- উইলিস, জন রালফ, সম্পাদক (২০১৩)। Slaves and Slavery in Muslim Africa: Islam and the Ideology of Enslavement [মুসলিম আফ্রিকায় দাস ও দাসপ্রথা: ইসলাম ও দাসত্বের মতাদর্শ]। ১। নিউ ইয়র্ক: রাউটলেজ। পৃষ্ঠা vii–xi, ৩–২৬। আইএসবিএন 978-0-7146-3142-4।
- জেইটলিন, আর্বিং এম. (২০০৭)। The Historical Muhammad [ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ]। পলিটি। আইএসবিএন 9780745654881।
আরও পড়ুন
বিশ্বকোষ
- আবেল, আরমাঁ (১৯৬০)। "Baḥīrā" [বহিরা]। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম। ১ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল।
- বুল, এফ.; ওয়েলচ, এ. টি. (১৯৯৩)। "Muḥammad" [মুহাম্মাদ]। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম। ৭ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল। পৃষ্ঠা ৩৬০–৩৭৬। আইএসবিএন 978-90-04-09419-2।
- "Muhammed"। টিডিবি ইসলাম আনসিক্লোপেদিসি (তুর্কি ভাষায়)। ইস্তাম্বুল: তুর্কিয়ে দিয়ানেত ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ। ১৯৮৮–২০১৬। পৃষ্ঠা ৪০৬–৪৭৯।
- মুসলিম, ইমাম আবুল-হুসাইন; আল-খাত্তাব, নাসিরুদ্দিন (২০০৭)। Sahih Muslim [সহিহ মুসলিম]। রিয়াদ: দার-উস-সালাম। আইএসবিএন 978-9960-9919-0-0।
- পিটার্স, এফ. ই. (২০২১)। Judaism, Christianity, and Islam: The Classical Texts and Their Interpretation [ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম: শাস্ত্রীয় পাঠ ও তাদের ব্যাখ্যা]। 1: From Convenant to Community [১: চুক্তি থেকে সম্প্রদায়ে]। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-691-22682-8।
- সা‘দ, মুহাম্মাদ ইবনে (১৯৭২)। Kitab Al-tabaqat Al-kabir [কিতাব আল-তাবাকাত আল-কাবির]। ২। পাকিস্তান হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি।
- ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৭১)। "Ḥalīma Bint Abī Ḏh̲uʾayb" [হালিমা বিনতে আবি জুয়াইব]। ইসলামের বিশ্বকোষ। ৩ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল।
- ওয়াট, ডব্লিউ. মন্টগোমারি (১৯৬০)। "Āmina" [আমিনা]। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম। ১ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল।
- ওয়েন্সিন্ক, এ. জে.; রিপেন, এ. (২০০২)। "Waḥy" [ওহি]। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম। ১১ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল।
- ওয়েন্সিন্ক, এ. জে.; জোমিয়ে, জে. (১৯৯০)। "Ka'ba" [কাবা]। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম। ৪ (২য় সংস্করণ)। ব্রিল।
অনলাইন
- "Muhammad | Prophet of Islam" [মুহাম্মাদ | ইসলামের নবি]। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)।
- "মুহাম্মাদ, হযরত (স.)"। বাংলাপিডিয়া।
- আলি, তারিক (২০২১-০৬-১৭)। "Winged Words" [ডানাওয়ালা বাণী]। লন্ডন রিভিউ অফ বুকস (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৩ (১২)। আইএসএসএন 0260-9592।
বহিঃসংযোগ
টেমপ্লেট:মুহাম্মাদ টেমপ্লেট:কুরআনে উল্লেখিত নবিগণ টেমপ্লেট:কুরআনে বর্ণিত ব্যক্তি ও নামসমূহ টেমপ্লেট:ইসলাম প্রসঙ্গসমূহ টেমপ্লেট:কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ টেমপ্লেট:ভালো নিবন্ধ
- মুহাম্মাদ
- মুহাম্মাদের জীবনী
- ৫৭০-এ জন্ম
- ৬৩২-এ মৃত্যু
- ইসলামের নবি
- ধর্ম প্রবর্তক
- আরব মুসলিম
- আরব রাজনীতিবিদ
- ইসলাম
- ইসলামি ব্যক্তিত্ব
- কুরাইশ
- মক্কার ব্যক্তি
- মদিনা
- আরব সেনাপতি
- আরব নবি
- কুরআনের নবি
- কূটনীতিবিদ
- ৬ষ্ঠ শতাব্দীর আরব ব্যক্তি
- ৭ম শতাব্দীর আরব ব্যক্তি
- ৭ম শতাব্দীর ইসলাম ধর্মীয় নেতা
- অলৌকিক ক্ষমতাধর
- ৫৭০-এর দশকে জন্ম
- যাকে দত্তক নেওয়া হয়েছে
- স্বর্গে জীবিত প্রবেশকারী
- ৭ম শতাব্দীর এশীয় ব্যক্তি