মুবাহালার ঘটনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুবাহালা ঘটনা (আরবি: مُبَاهَلَة, রোমানাইজড: মুবাহালা, অর্থ: "পারস্পরিক অভিশাপ") ছিল খ্রিস্টানদের সাথে মুসলিমদের মধ্যে একটি ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক সমাধানের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা, যা আনুমানিক ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে আল্লাহর অভিশাপকে আহ্বান জানিয়ে মিথ্যাবাদীদের শনাক্ত করার জন্য করা হয়েছিল। এই বিতর্ক আরব উপদ্বীপের মদিনায় অবস্থিত ইসলামী নবী মুহাম্মদ এবং দক্ষিণ আরবের নাজরান শহর থেকে আসা একটি খ্রিস্টান প্রতিনিধি দলের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। মুহাম্মদ সম্ভবত তখনই এই সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যখন যিশু খ্রিস্টের সত্যিকারের প্রকৃতি, তিনি মানবিক না ঐশ্বরিক, তা নিয়ে তাদের আলোচনা একটি অচলাবস্থায় পৌঁছেছিল।[২]

খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল এই চ্যালেঞ্জ থেকে সরে আসে এবং তাৎক্ষণিকভাবে একটি শান্তি চুক্তি করে। তবে বেশিরভাগ ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে, মুহাম্মদ তার পরিবারকে নিয়ে মুবাহালার জন্য উপস্থিত হলে খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়। ইসলামের কেন্দ্রীয় ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের কিছু আয়াত, বিশেষ করে ৩:৬১ আয়াতের সাথে এই ঘটনার যোগসূত্র আছে। শিয়া মুসলমানদের জন্য এই ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মুহাম্মদ তার কন্যা ফাতিমা, জামাতা আলী, এবং তাদের দুই পুত্র হাসান ও হোসেনকে নিয়ে সেখানে এসেছিলেন। শিয়া বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এই চরিত্রগুলো। এই ঘটনা নিশ্চয়ই নবী হিসেবে মুহাম্মদের দাবীর অংশীদার হিসেবে তাদের ধর্মীয় মর্যাদা উন্নীত করেছিল।[৩]

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

'মুবাহালা' (مُبَاهَلَة) শব্দটি মূল ক্রিয়াপদ 'বাহালা' থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ 'অভিশাপ দেওয়া'।  'আল-বাহল' বিশেষ্যের অর্থ 'অভিশাপ' বা 'পানির অভাব' হতে পারে। 'মুবাহালা' শব্দটির অর্থ 'কে মিথ্যাবাদী বা অসততার সাথে জড়িত তার উপর থেকে করুণা প্রত্যাহার করা'ও হতে পারে।  মুবাহালা (আক্ষরিক অর্থে 'পারস্পরিক অভিশাপ') কাজের মধ্যে রয়েছে একটি শর্তসাপেক্ষ অভিশাপ দেওয়া, উদাহরণস্বরূপ, "যদি আমি... তাহলে আমাকে অভিশপ্ত করা হোক," এটির সাথে থাকবে একটি শুদ্ধিকরণের শপথ। ইসলামী আইনশাস্ত্রে (ফিকহ) বিরোধ সমাধানের চূড়ান্ত উপায় হিসেবে  মুবাহালা আইনসিদ্ধ একটি পন্থা হিসেবে অবশিষ্ট রয়েছে।[৩]

ঘটনা[সম্পাদনা]

ইসলামের উত্থানের সাথে সাথে, মুহাম্মদ (সা.) ৯ম হিজরী সালের (৬৩১-৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) দিকে আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চিঠি লেখেন এবং তাদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এরকম একটি চিঠি নাজরানের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশপদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে  ৮, ৯ বা ১০ হিজরীতে একদল নাজরানি খ্রিস্টান মদিনায় মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে সাক্ষাতের জন্য আসেন, সম্ভবত তাঁর নবুয়তের দাবী নিশ্চিত করার জন্য। সাসানীয় সাম্রাজ্যের সাথে তাদের দুর্বল সম্পর্কের কারণে, দক্ষিণের এই খ্রিস্টানদের সম্ভবত মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে স্বাধীনভাবে আলোচনা করার সুযোগ ছিল। একটি বিবরণ অনুসারে, প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুল মাসিহ, আবু আল-হারিস ইবনে আলকামা এবং সাইয়্যেদ ইবনে আল-হারিস। সেখানে অবশেষে একটি শান্তি চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় খ্রিস্টানরা বার্ষিক কর (জিজিয়া) দিতে সম্মত হয়, কিন্তু তাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার বা মুসলমানদের সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। এছাড়া তাদের নিজস্ব বিষয়ে কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ন ছিল। মুসলিম ইতিহাসে এটি সম্ভবত এই ধরনের প্রথম চুক্তি ছিল, তবে এটি মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে অন্যান্য স্থানের খ্রিস্টানদের আচরণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। খলিফা উমর (রাঃ) এর শাসনকাল (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) না হওয়া পর্যন্ত নাজরানের খ্রিস্টানদের আরব উপদ্বীপ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।[৪]

মুবাহালা[সম্পাদনা]

মদিনায় মুহাম্মদ (সা.) এবং খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল সম্ভবত যীশুর প্রকৃতি, মানবিক নাকি ঐশ্বরিক, নিয়েও বিতর্ক করেছিলেন। যদিও প্রতিনিধি দল শেষ পর্যন্ত যিশু মানব ছিলেন এমন ইসলামিক বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, যা কুরআনের ৩:৫৯ আয়াতে প্রতিফলিত হয়েছে। এ আয়াতে যীশুর অলৌকিক জন্ম স্বীকার করা হয়েছে কিন্তু খ্রিস্টানদের তাঁর ঐশ্বরিকতা বিশ্বাস প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে যীশুর দৃষ্টান্ত আদমের দৃষ্টান্তের মতো। তিনি তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে বললেন, 'হও'। অতঃপর সে হয়ে গেল।"  প্রকৃতপক্ষে, এই এবং তৃতীয় সূরার (আল ইমরান) কিছু অন্যান্য আয়াত, সম্ভবত এমনকি এর প্রথম সত্তর থেকে আশিটি আয়াত, এই উপলক্ষেই মুহাম্মদ (সা.) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল বলে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৩:৬১ আয়াত, কখনও কখনও মুবাহালার আয়াত হিসেবে পরিচিত, যা মুহাম্মদকে তার বিরোধীদের মুবাহালায় আহ্বান করার নির্দেশ দেয়, সম্ভবত বিতর্ক যখন একটি স্থবির অবস্থায় পৌঁছেছিল।[৫]

...এবং যে তোমার সাথে এ বিষয়ে তর্ক করে, তথ্য জ্ঞান লাভের পরেও, তাকে বলো, 'এসো! আমরা ডেকে নিই আমাদের ছেলেদেরকে এবং তোমাদের ছেলেদেরকে, আমাদের নারীদেরকে এবং তোমাদের নারীদেরকে, আমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের নিজেদেরকে। অতঃপর আমরা মিনতি করি এবং মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ প্রার্থনা করি।"

পরবর্তী আয়াত ৩:৬৩-এ বলা হয়েছে, "আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে ভালো করেই চেনেন।" এটিকে ইসলামিক তাওহীদ বিশ্বাস, অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়ে খ্রিস্টান প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে পরবর্তী প্রত্যাখ্যান হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।[৬]

অংশগ্রহণকারী[সম্পাদনা]

মদিনার মুবাহলা মসজিদ, বর্তমান সৌদি আরব

কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল মুবাহালায় অংশগ্রহণ করে নি। বরং তারা মুহাম্মদ (সা.)-এর সাথে একটি শান্তি চুক্তিতে উপনীত হয়। সম্ভবত তারা মনে করেছিলো যে মুহাম্মদ (সা.) তার দাবিতে সত্যবাদী, অথবা তারা মুসলমানদের সামরিক শক্তি দেখে ভীত হয়ে পড়েছিলো। এই ঘটনাটি সুন্নি মুফাসসির (কুরআনের ব্যাখ্যাকারী) মুকাতিল ইবনে সুলায়মান (মৃত্যু ৭৬৭ খ্রি.) এবং সুন্নি ইতিহাসবিদ ইবনে সা'দ (মৃত্যু ৮৪৫ খ্রি.) তাঁর 'তাবাকাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। মুকাতিল কর্তৃক উদ্ধৃত একটি রেওয়ায়েতে আছে যে, মুহাম্মদ (সা.) সেই সময় কল্পনা করেছিলেন যে তিনি যদি মুবাহালায় অংশ নিতেন, তাহলে সাথে থাকতেন তাঁর কন্যা ফাতিমা, জামাতা আলী এবং তাদের দুই পুত্র হাসান ও হুসাইন। ইবনে সা'দ লিখেছেন, পরবর্তীতে প্রতিনিধি দলের দুই নেতা মদিনায় ফিরে এসে ইসলাম গ্রহণ করেন, যা সম্ভবত মুবাহালায় তাদের অংশ নিতে অস্বীকৃতির ব্যাখ্যা দেয়।[৭]

অন্যদিকে ভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, মুহাম্মদ (সা.) মুবাহালা উপলক্ষে আগমন করেন এবং তাঁর সাথে ছিল তাঁর পরিবার, যেমনটি মুবাহালার আয়াত তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলো। তাঁর আগমনের স্থানটি সম্ভবত মদিনার বাকি কবরস্থানের 'খাতিব আহমার' (লাল টিলা), যাকে পরবর্তীতে 'জাবাল আল-মুবাহালা' (মুবাহালার পাহাড়) নামকরণ করা হয়।  তাঁর সাথে যারা ছিলেন তাদেরকে প্রায়শই আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শিয়া-পন্থী ইতিহাসবিদ ইবনে ইসহাক (মৃত্যু ৭৬৭ খ্রি.) তাঁর 'আল-সিরাত আল-নববিয়্যা' গ্রন্থে, সুন্নি মুফাসসির ফখরুদ্দিন আল-রাজি (মৃত্যু ১২১০ খ্রি.) তাঁর 'তাফসির' গ্রন্থে, সুন্নি হাদিস সংগ্রাহক মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ (মৃত্যু ৮৭৫ খ্রি.) তাঁর বিখ্যাত 'সহিহ মুসলিম' গ্রন্থে,  সুন্নি হাদিস সংগ্রাহক হাকিম আল-নিশাপুরী (মৃত্যু ১০১৪ খ্রি.)  তাঁর 'আল-মুসতাদরাক' গ্রন্থে এবং বিশিষ্ট সুন্নি মুফাসসির ইবনে কাসির (মৃত্যু ১৩৭৩ খ্রি.) এ সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। তাফসিরের গ্রন্থগুলোতে এটিই অধিকাংশের মত বলে মনে হয়। উইলফার্ড ম্যাডেলাং নামক ইসলাম বিষয়ক একজন পণ্ডিত যুক্তি দেখান যে,  মুবাহালার আয়াতে 'আমাদের পুত্র' (আবনাআনা) বলতে অবশ্যই মুহাম্মদ (সা)-এর নাতিদেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা হলেন হাসান ও হুসাইন। তিনি আরও বলেন, সেক্ষেত্রে তাদের বাবা-মা অর্থাৎ আলী এবং ফাতিমাকেও ঐ ঘটনায় অন্তর্ভুক্ত করা যুক্তিসঙ্গত।[৮]

আহলে-কিসা[সম্পাদনা]

কিছু মুবাহালা-সংক্রান্ত বর্ণনায় আরও বলা হয় যে, মুহাম্মদ, আলী, ফাতিমা, হাসান এবং হুসাইন মুহাম্মদের চাদরের নিচে দাঁড়িয়েছিলেন, এবং এই পাঁচজন আহলে-কিসা (আক্ষরিক অর্থে 'চাদরের লোক') নামে পরিচিত হয়েছেন। শিয়া এবং কিছু সুন্নি সূত্র (যেমন প্রামাণ্য হাদিস সংকলন সহীহ মুসলিম, সুনান আল-তিরমিযী এবং মুসনাদ আহমাদ ইবনে হাম্বল) অনুসারে, মুবাহালায় একই উপলক্ষে, মুহাম্মাদ সম্ভবত তার আহলে-বাইত ('বাড়ির লোক') হিসাবে আলী, ফাতিমা, হাসান এবং হুসাইনকে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। অন্যদিকে, অনেকে মত দিয়েছেন যে এই বক্তব্যগুলি সম্ভবত পরবর্তী সংযোজন ছিল। যাইহোক, মুহাম্মাদ কর্তৃক মুবাহালা অনুষ্ঠানে তার সাক্ষী ও গ্যারান্টার হিসেবে এই চারজনকে অন্তর্ভুক্ত করা অবশ্যই সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের ধর্মীয় মর্যাদা উন্নীত করেছিল।[৯]

শিয়া ইসলামে গুরুত্ব[সম্পাদনা]

কুরআনের 3:61 আয়াত, যা মুবাহালার আয়াত নামেও পরিচিত, ইরাকে অবস্থিত কারবালায় হোসেনের মাজারে খোদাই করা হয়েছে।

মুহাম্মদ (সা.) যে মুবাহালায় উপরের চারজনের সাথে ছিলেন সেটাও শিয়া মত। শিয়া সূত্রগুলো এই ব্যাপারে একমত যে, মুবাহালা আয়াতে 'আমাদের পুত্র' (আবনাআনা) বলতে হাসান ও হুসাইন, 'আমাদের নারী' (নিসাআনা) বলতে ফাতিমা এবং 'আমাদের নিজেদের' (আনফুসানা) বলতে হযরত আলী (রা.)-কে বোঝানো হয়েছে। অপরদিকে, সুন্নি ব্যাখ্যাকারী আল-তাবারি (মৃত্যু ৯২৩) এর বেশিরভাগ বর্ণনায় এই বিষয়ে কোন উল্লেখ নেই, তবে অন্যান্য কিছু সুন্নি লেখক শিয়া বর্ণনার সাথে একমত পোষণ করেন।

শিয়া পণ্ডিতরা প্রায়শই মুবাহালা আয়াত উল্লেখ করে আহলে আল-কিসার বিশেষ মর্যাদা সমর্থন করেন। বিশেষত, যদি আয়াতে 'আমাদের নিজেদের' শব্দটি হযরত আলী (রা.) এবং মুহাম্মাদ (সা.)-কে নির্দেশ করে, যেমনটা শিয়া লেখকরা যুক্তি দেখান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই হযরত আলী (রা.) মুহাম্মাদ (সা.)-এর মতই একই মর্যাদার অধিকারী হবেন। একইভাবে, শিয়া ব্যাখ্যাকার মুহাম্মদ হুসাইন তাবাতাবা'ই (মৃত্যু ১৯৮১) যুক্তি দেখান যে, এই চারজনের অংশগ্রহণ এবং অন্যান্য মুসলমানদের বাদ দেওয়া, নবুয়তের দাবিতে মুহাম্মাদ (সা.)-এর সাথে তাদের অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। নতুবা মুবাহালা আয়াত মিথ্যাবাদীকেই শুধু লক্ষ্য করে এলে তাদের অংশগ্রহণের কোন নেতিবাচক পরিণতি হওয়ার কথা ছিল না।

ঈদ-উল-মুবাহালা[সম্পাদনা]

ঈদ-উল-মুবাহালা (عِيْد ٱلْمُبَاهَلَة) শিয়া সম্প্রদায় কর্তৃক নাজরানি খ্রিস্টানদের সাথে মুবাহালার ঘটনাটির স্মরণে উদযাপিত একটি ধর্মীয় দিবস। এটি ইসলামি ক্যালেন্ডারের যিলহজ্জ মাসের ২১ অথবা ২৪ তারিখে পালিত হয়। তবে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে এর সমতুল্য তারিখ বছরের পর বছর পরিবর্তিত হয়, কারণ ইসলামী ক্যালেন্ডার চন্দ্রভিত্তিক এবং গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সৌরভিত্তিক। যিলহজ্জ মাসের ২৪ তারিখের সমতুল্য গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের তারিখ কয়েক বছরের জন্য নীচে দেখানো হলো:

Islamic year 1440 1441 1442 1443 1445
Eid of mubahala 14 August 2020 3 August 2021 23 July 2022 12 July 2023 1 July 2024[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Badruddīn, Amir al-Hussein bin (20th Dhul Hijjah 1429 AH)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. Berjak 2006, পৃ. 419।
  3. Schmucker 2012
  4. Shahid
  5. Osman 2015, পৃ. 110।
  6. Nickel 2006, পৃ. 179।
  7. al-Hasan 1977, পৃ. 370।
  8. Madelung 1997, পৃ. 16।
  9. Lalani 2006, পৃ. 29।
  10. "Islamic Calendar in Iran 1444, 2022-2023"IslamicCal.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২৩