ইসলামি অর্থনীতির ইতিহাস
নবম থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মর্ধবর্তী সময়ে মুসলিম বিশ্বে অর্থনীতি ক্ষেত্রে বহু নতুন ধারণা ও কৌশলের উদ্ভব ঘটে। যেমন- হাওয়ালা(حِوالة)[১](তহবিলের অনানুষ্ঠানিক হস্তান্তর ব্যবস্থা), ইসলামী ট্রাস্ট যেটি ওয়াকফ(وقف) [২] নামে পরিচিত, এবং মুফাওয়াদা(مفاوضة)।[৩] অর্থ,সম্পত্তি,কর,দান এবং পঞ্চস্তম্ভ সম্বন্ধে বিশেষ ইসলামী ধারণা
- যাকাত (নির্দিষ্ট ধন-সম্পত্তির কর আদায়, যেমন ফসল, গৃহপালিত পশু, স্বর্ণ-রোপা, নগদ অর্থ ইত্যাদি। এটি প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় ধন-সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।)
- গরর/গারার(غرر) (অজানা বস্তুর ক্রয়-বিক্রয়; "যা নেই তার বিক্রয়" যেমন যে মাছ এখনো ধরা হয়নি বা যে ফসল এখনো কাটা হয়নি। এছাড়া সকল প্রকার বিমা/বীমা গারারের আওতাভুক্ত। গারার ইসলামে অবৈধ। কারণ এর মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকায় প্রতারিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। তাই এটা হারাম বা অবৈধ।)[৪][৫]
- রিবা (বাংলায় যেটিকে আমরা সুদ বলি সেটিই আরবিতে হলো রিবা । সুদের বহু প্রকার আছে। সুদের অন্যতম একটি প্রকার হলো "কাউকে ঋণ দিয়ে মূলধনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা"। সকল প্রকার সুদ ইসলামে হারাম বা অবৈধ।)[৬]
এই ধারণাগুলি শরীয়াহ (ইসলামী আইন) ও ফিকহের (আইনশাস্ত্র)-এর অন্যান্য ধারণাগুলির মতো ইসলাম বিশেষজ্ঞদের দ্বারা উসূল অবলম্বনের মাধ্যমে মৌলিক উৎস কুরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াস থেকে গৃহীত। কখনও কখনও অমৌলিক উৎস যেমন- ইসতিহসান(استحسان), উর্ফ(عرف), ইসতিসহাব(استصحاب), আকল(عقل) ইত্যাদিগুলি কাজে লাগানো হয়েছে। তদুপরি শরিয়াহ (ইসলামী আইন) ধর্মনিরপেক্ষ "চুক্তি ও টর্ট"[৭][৮] আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে।
পরিচ্ছেদসমূহ
প্রাথমিক ইসলামী অর্থনীতি[সম্পাদনা]
স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
হাওয়ালা এজেন্সি[সম্পাদনা]
ওয়াকফ ট্রাস্ট[সম্পাদনা]
ওয়াকফ ট্রাস্ট হলো ইসলামি আইন অনুসারে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা সম্পত্তি।[৯] প্রত্যেক ওয়াকফ ট্রাস্টে একজন ওয়াকফি(প্রতিষ্ঠাতা), মুতাবিলিস (ট্রাস্টি), কাযি (বিচারক) দরকার।[৯]
ক্লাসিক্যাল মুসলিম বাণিজ্য[সম্পাদনা]
খলিফাদের শাসনামলে অর্থনীতি[সম্পাদনা]
বাণিজ্য[সম্পাদনা]
মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বে কৃষি[সম্পাদনা]
ইসলামী পুঁজিবাদ[সম্পাদনা]
ইসলামী সমাজতন্ত্র[সম্পাদনা]
শিল্পোন্নয়ন[সম্পাদনা]
শ্রম শক্তি[সম্পাদনা]
নগরায়ন[সম্পাদনা]
ঐতিহ্যবাহী ইসলামী অর্থনৈতিক চিন্তাধারা[সম্পাদনা]
প্রাথমিক ইসলামী অর্থনৈতিক চিন্তাবিদগণ[সম্পাদনা]
রিবা বা সুদ[সম্পাদনা]
ইবনে খালদুন[সম্পাদনা]
প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগ[সম্পাদনা]
সমসাময়িক অর্থনীতি[সম্পাদনা]
ভূমি সংস্কার[সম্পাদনা]
ইসলামী শেয়ার সূচক[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "হাওয়ালা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে, জেনে নিন"।
- ↑ "ওয়াকফ কি এবং তা করার ইসলামসম্মত বিধান কি?"। মাওলানা মিরাজ রহমান।
- ↑ "সুদি বিনিয়োগের আদর্শ বিকল্প: বাইয়ে মুশারাকা"। মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব।
- ↑ [১]
- ↑ "বাইয়ুল গারার"।
- ↑ [২]
- ↑ [৩][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ Gaudiosi, Monica M. (এপ্রিল ১৯৮৮), "The Influence of the Islamic Law of Waqf on the Development of the Trust in England: The Case of Merton College", University of Pennsylvania Law Review, University of Pennsylvania Law Review, Vol. 136, No. 4, 136 (4): 1231–1261, doi:10.2307/3312162, জেস্টোর 3312162