ইসলামি পুনর্জাগরণবাদ আন্দোলনসমূহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইসলামি পুনর্জাগরণবাদ আন্দোলনগুলো সাধারণত অনেকভাবে সামাজিক বিষয়াবলীর সাথে অন্তর্ভুক্ত যা সমগ্র মুসলিম সমাজকে (উম্মাহ্) প্রভাবিত করে মুসলিম বিশ্বে বিস্তার লাভ করেছে এবং করে যাচ্ছে৷ ধর্ম ও জীবনপদ্ধতিকে অবিকৃত রেখে যতটা উদার আধুনিকতাবাদী সংস্কারমূলক হওয়া সম্ভব, এসব আন্দোলন শুরুতে তার প্রচেষ্টা করেছিল। একইসাথে বিকৃতির চেষ্টারত কার্যক্রম, সংস্কৃতিক অগ্রাসনের বিরুদ্ধেও ছিলো এগুলো। কীভাবে পুনর্জাগরণবাদ আন্দোলনগুলোর সূচনা ঘটে তা নিয়ে প্রধানত ২ টি ধারণা বেশি প্রচলিত। কোন কোন ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব বৃদ্ধির কারনে এটির সূচনা দেখা যায়। আবার, ধর্মের মধ্যে নতুন আবিষ্কার, পাশ্চাত্যপন্থী রেনেসাঁ প্রভাবিত মুসলিম আধুনিকতাবাদ; ভ্রান্ত আকিদা নিয়ে প্রগতী/সংস্কার প্রচেষ্টাগুলোর উত্থানের কারনে শুরুতে একটি বিরুদ্ধ মত হিসেবেও এর সূচনা হতে দেখা যায়।

উসমানীয় সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব বৃদ্ধির কারনে আরব অঞ্চলে ওয়াহাবী আন্দোলন এর সূচনা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মুঘল ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ রূপ দিয়েছিল শাহ ওয়ালীউল্লাহ এর মতবাদ ও 'তরিকা-ই-মুহম্মদীয়া' আন্দোলনের। মনে করা হয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব বৃদ্ধির কারনেই উদ্ভব ঘটেছিল 'ফরায়েজী', 'তাইয়ুনী' এবং 'আহলে হাদিস' আন্দোলনের। ফরাসি ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব বৃদ্ধির কারনে উত্তর আফ্রিকায় 'ফুলানি' এবং 'সানুসিয়া আন্দোলন' এর সূচনা ঘটেছিল। ওলন্দাজ সাম্রাজ্যবাদের প্রভাব বৃদ্ধির কারনে ইন্দোনেশিয়ায় 'পাদুরি' এবং 'মুহম্মদীয়া' আন্দোলনের সূচনা ঘটেছিল।

২য় ধারণা অনুসারে, ওয়াহাবীবাদ ও ইসলামি পুনর্জাগরণবাদ (তাজদিদুল ইসলাম) আন্দোলনদুটির সূচনা হয়েছিল বলা হয়। দুটিরই উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের পুনর্জাগরণ এবং উভয়েরই শ্লোগান ছিল ‘ইসলাম বিপন্ন’। ওয়াহাবী মতবাদের প্রত্যক্ষ প্রভাবে 'ফরায়েজী' আন্দোলনের উদ্ভব ঘটেছিল এবং তিতুমীরের আন্দোলন ছিল 'তরিকাই-ই-মুহম্মদিয়া' এর একটি সরাসরি সম্প্রসারণ।

বৈশ্বিক এই আন্দোলনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও অভীষ্ট লক্ষ্যের যথেষ্ট ঐক্য এবং অনুভূতির অভিন্নতা দেখা গিয়েছিল।

সুফিবাদ সম্পর্কিত[সম্পাদনা]

সুফিবাদ বা তাসাউফ , (আরবি: الْتَّصَوُّف‎, ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য: صُوفِيّ‎, সুফি, مُتَصَوِّف‎ মুতাসাউইফ) যাকে বিভিন্নভাবে ইসলামী আধ্যাত্মবাদ, ইসলামের অন্তর্নিহিত রূপ, ইসলামের অন্তর্গত আধ্যাত্মিকতার অদৃশ্য অনুভূতি হিসেবেও সংজ্ঞায়িত করা হয়, তা হল ইসলামে আধ্যাত্মবাদ, যা নির্দিষ্ট মুল্যবোধ, আচার-প্রথা চর্চা, মূলনীতি দ্বারা বিশেষায়িত, যা ইসলামের ইতিহাসের খুব প্রাথমিক দিকে শুরু হয়েছিল, এবং এটি ইসলামের আধ্যাত্মিক চর্চার "প্রধান অভিব্যক্তি ও কেন্দ্রীয় স্বচ্ছতা"কে তুলে ধরে। [১][২] সুফিবাদের চর্চাকারীদের "সুফি" বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে (আরবি বহুবচন: صُوفِيَّةসুফিয়াহ; صُوفِيُّونসুফিয়ুন; مُتَصَوُّفََةমুতাসায়িফাহ; مُتَصَوُّفُونমুতাসায়িফুন)।[৩] ইসলামে তাসাউফের আরেকটি সমার্থক ধারণা হল তাজকিয়া (تزكية)।

ঐতিহাসিকভাবে, সুফিগণ প্রায়শই বিভিন্ন তরিকা বা ধারার অনুসারী - এমন কিছু ধর্মসভা যা কোন মহান শিক্ষাগুরুকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাদের ওয়ালী বলে আখ্যায়িত করা হয়, এবং তারা আনুসারীদের সঙ্গে ইসলামী নবী মুহাম্মাদ(স)-এর সরাসরি সংযোগ বা সিলসিলা স্থাপন করেন।[৪] এই তরিকাগুলো জাওয়াবিয়া, খানকা বা তেক্কে নামক কোন নির্দিষ্ট স্থানে মজলিস নামক আধ্যাত্মিক বৈঠকে মিলিত হয়[৫] তারা ইহসানের (ইবাদতের পূর্নাঙ্গতা) জন্য সংগ্রাম করে, যা একটি হাদীসে বিস্তারিত বর্নিত আছে: "ইহসান হল এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর যে, তুমি তাকে দেখছো, অথবা তুমি তাকে না দেখলেও নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখছেন।"[৬] সূফিগণ মুহাম্মদ -কে আল-ইনসান আল-কামিল (প্রথম ব্যক্তি যিনি আল্লাহর নৈতিকতাকে পরিপূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করেছেন) বলে আখ্যায়িত করে থাকে,[৭] এবং তাকে নেতা ও প্রধান আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখে।

সকল সূফি তরিকা মুহাম্মদ এর কাছ থেকে পাওয়া তাদের অধিকাংশ অনুশাসন তার চাচাতো ভাই ও জামাতা আলীর বরাতে গ্রহণ করে থাকে, এবং তাকে উল্লেখযোগ্য আলাদা ও বিশেষ ব্যক্তি মনে করে।

যদিও প্রাচীন ও আধুনিক সূফিদের সিংহভাগই ছিল সুন্নি ইসলামের অনুসারী, মধ্যযুগের শেষভাগে শিয়া ইসলাম পরিমন্ডলের ভেতরেও কিছু সুফি ধারার বিকাশ ঘটে।[৩] যদিও সুফিগণ কট্টর রীতিনীতির বিরোধী, তারপরও তারা ইসলামী আইন কঠোরভাবে মেনে চলে এবং তারা ইসলামী ফিকহ ও ধর্মতত্ত্বের বিভিন্ন ধারার অন্তর্ভুক্ত। [৮]

সুফিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তাদের সন্ন্যাসবাদ, বিশেষত যিকির নামক আল্লাহকে স্বরণের চর্চার সাথে তাদের ঐকান্তিক সম্পর্ক, যা তারা প্রায়সময় সালাতের পর করে থাকে।[৯] প্রারম্ভিক উমাইয়া খিলাফতের (৬৬১-৭৫০) জাগতিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াস্বরুপ তারা মুসলিমের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য হারে অনুসারী লাভ করে[১০] এবং এক সহস্রবছর সময়ের মধ্যে বহু মহাদেশ ও সংস্কৃতিতে তারা বিস্তৃতিলাভ করে, প্রাথমিকভাবে আরবি ভাষায় এবং পরবর্তীতে ফারসি, তুর্কি ও উর্দু ভাষায় অন্যান্যদের মাঝে তাদের বিশ্বাসের প্রচার ও প্রসার করে। [১১] সুফিগণ তাদের ধর্মপ্রচার ও শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে মুসলিম সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।[১২] উইলিয়াম চিট্টিকের মতে, "বিস্তৃত পরিসর হতে দেখলে, সুফিবাদকে ইসলামী বিশ্বাস ও চর্চার অন্দরসজ্জা ও প্রগাঢ়তার কার্যক্রম হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে।"[১৩]

আধুনিক সময়ে সুফি তরিকাগুলোর সংখ্যা ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়া এবং সুফিবাদের কিছু দিক নিয়ে আধুনিকতাবাদী চিন্তাবিদ ও রক্ষণশীল সালাফিবাদীদের সমালোচনা সত্ত্বেও, সুফিবাদ ইসলামী বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, এবং পাশাপাশি পাশ্চাত্যের আধ্যাত্মিকতার বিভিন্ন রূপকেও প্রভাবিত করেছে।

ওয়াহাবীবাদ সম্পর্কিত[সম্পাদনা]

ওয়াহাবী আন্দোলন (আরবীঃ وهابية ওয়াহাবিয়াহ) হচ্ছে একটি ইসলামী সংস্কারমূলক আন্দোলন [১৪][১৫] যা অর্থোডক্স, ধর্মের দিক থেকে অতিচরমপন্থী,"[১৬] বিশুদ্ধবাদী,"[১৭][১৮] একেশ্বরবাদীর উপাসনার জন্য ইসলামী পূনর্জাগরণ,[১৯] চরমপন্থী আন্দোলন[২০] ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ইবনে তাইমিয়া এবং আহমাদ ইবনে হানবাল এর শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে[২১] এই মতবাদে বিশ্বাসীরা ইসলামের মূলধারা থেকে বিচ্যুতদেরকে কোরআন ও হাদিসের বর্ণিত পথে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, বলা হয়। বিশ্বের ওয়াহাবী মতবাদে বিশ্বাসীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে[২২] বাস করে। সৌদি আরবের ২২.৯%, কাতারের ৪৬.৮৭%,[২২] আমিরাতের[২২] ৪৪.৮%, বাহরাইনের ৫.৭%, কুয়েতের[২২] ২.১৭% জনগণ ওয়াহাবী পন্থী। সৌদি আরবের ওয়াহাবী পন্থী লোকের বেশীর ভাগ নজদ অঞ্চলে বাস করে।[২২] সৌদি আরব, কাতার,[২৩] শারজাহ এবং রাস আল খাইমাহ তে ইসলামের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্করণটি হল ওয়াহাবী মতবাদ।

সালাফিবাদ সম্পর্কিত[সম্পাদনা]

সালাফিবাদ আন্দোলনকে বিপক্ষ দলগুলো ওয়াহাবিবাদও বলে থাকে। কারণ এই আন্দোলনে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাবের বিশেষ অবদান আছে। এই আন্দোলন মাজারকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা করে থাকে। ইসলামের আক্ষরিক, কঠোর ও বিশুদ্ধ চর্চা এবং বিশেষত সালাফ তথা ইসলামের প্রথম যুগের চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করে থাকে। এটি অন্যতম প্রভাবশালী ও দ্রুত বর্ধনশীল একটি ইসলামি মতাদর্শ ও আন্দোলন ।[২৪][২৫][২৬][২৭] অধিকাংশ সালাফী হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী। তাদের অনেকে নির্দিষ্ট কোন মাযহাব এর অনুসরণ করে না। শারয়ী বিষয়ে সালাফিদের সাথে অন্যান্য মতালম্বি মুসলিমদের মতপার্থক্য রয়েছে। তারা শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী ইত্যাদিকে ইসলামে যোগ হওয়া নতুন কর্মকাণ্ড বা আবিষ্কার হিসেবে বিশ্বাস করে এবং এগুলো উৎযাপন করে না।

২০১৫ সালে মিশরে মিশরীয় সরকার সালাফিদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।[২৮]

আধুনিকতাবাদ সম্পর্কিত[সম্পাদনা]

ইসলামী আধুনিকতাবাদ একটি সমসাময়ীক ইসলামি আন্দোলন এবং দর্শন যা আধুনিক সালাফিবাদ নামেও পরিচিত।[২৯][৩০][৩১][৩২][৩৩] এটি- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, যুক্তিবাদ, সমতা ও প্রগতির মত আধুনিক পশ্চিমা মূল্যবোধের সাথে ইসলামী বিশ্বাসের সমন্বয় করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবেও পরিচিত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Compare: Nasr, Seyyed Hossein (২০০৭)। Chittick, William C., সম্পাদক। The Essential Seyyed Hossein Nasr। The perennial philosophy series। Bloomington, Indiana: World Wisdom, Inc। পৃষ্ঠা 74। আইএসবিএন 9781933316383। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৪Sufism is the esoteric or inward dimension of Islam [...] Islamic esoterism is, however [...] not exhausted by Sufism [...] but the main manifestation and the most important and central crystallization of Islamic esotericism is to be found in Sufism. 
  2. Shah, Idries (১৯৬৪–২০১৪)। The SufisISF Publishing। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 978-1784790035According to Idries Shah, Sufism is as old as Adam and is the essence of all religions, monotheistic or not. See Perennial philosophy 
  3. Massington, L., Radtke, B., Chittick, W. C., Jong, F. de, Lewisohn, L., Zarcone, Th., Ernst, C, Aubin, Françoise and J.O. Hunwick, “Taṣawwuf”, in: Encyclopaedia of Islam, Second Edition, edited by: P. Bearman, Th. Bianquis, C.E. Bosworth, E. van Donzel, W.P. Heinrichs.
  4. Editors, The (২০১৪-০২-০৪)। "tariqa | Islam"। Britannica.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৫ 
  5. Glassé 2008, পৃ. 499।
  6. Bin Jamil Zeno, Muhammad (১৯৯৬)। The Pillars of Islam & Iman। Darussalam। পৃষ্ঠা 19–। আইএসবিএন 978-9960-897-12-7 
  7. Fitzpatrick ও Walker 2014, পৃ. 446।
  8. Schimmel, Annemarie (২০১৪-১১-২৫)। "Sufism | Islam"। Britannica.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-২৬Opposed to the dry casuistry of the lawyer-divines, the mystics nevertheless scrupulously observed the commands of the divine law. [...] the mystics belonged to all schools of Islamic law and theology of the times. 
  9. A Prayer for Spiritual Elevation and Protection (2007) by Muhyiddin Ibn 'Arabi, Suha Taji-Farouki
  10. G. R Hawting (২০০২)। The First Dynasty of Islam: The Umayyad Caliphate 661-750। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-0-203-13700-0 
  11. Sells 1996, পৃ. 1।
  12. Schimmel, Annemarie (২০১৪-১১-২৫)। "Sufism"। Britannica.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-২৬ 
  13. Chittick 2007, পৃ. 22।
  14. "Wahhabi"। GlobalSecurity.org। ২০০৫-০৪-২৭। ২০০৫-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১০ 
  15. although most Sunnis dispute this and tend to disassociate themselves with adherents to the Wahhabi Ideology.(source: http://www.sunnah.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে, Wahhabism: Understanding the Roots and Role Models of Islamic Extremism, by Zubair Qamar, condensed and edited by ASFA staff)
  16. Our good name: a company's fight to defend its honor J. Phillip London, C.A.C.I., Inc – 2008, "wahhabism is considered in particular an ultra-conservative orientation".
  17. Kampeas, Ron। "Fundamentalist Wahhabism Comes to U.S."। Belief.net, Associate Press। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  18. "Wahhābī"Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১২ 
  19. Commins, David। The Wahhabi Mission and Saudi Arabia। I.B. Tauris। পৃষ্ঠা vi। 
  20. http://www.sunnah.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে, Wahhabism: Understanding the Roots and Role Models of Islamic Extremism, by Zubair Qamar, condensed and edited by ASFA staff
  21. "Wahhābī"Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১২ 
  22. "Demography of Religion in the Gulf"Mehrdad Izady। ২০১৩। 
  23. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  24. Barby Grant। "Center wins NEH grant to study Salafism"। Arizona State University। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪It also reveals that Salafism was cited in 2010 as the fastest growing Islamic movement on the planet. 
  25. Simon Shuster (৩ আগস্ট ২০১৩)। "Comment: Underground Islam in Russia"Slate। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪It is the fastest-growing movement within the fastest-growing religion in the world. 
  26. CHRISTIAN CARYL (সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২)। "The Salafi Moment"FP। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪Though solid numbers are hard to come by, they're routinely described as the fastest-growing movement in modern-day Islam. 
  27. "Uproar in Germany Over Salafi Drive to Hand Out Millions of Qurans"AFP। ২০১২-০৪-১৬। ১৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪The service [German domestic intelligence service] said in its most recent annual report dating from 2010 that Salafism was the fastest growing Islamic movement in the world… 
  28. "Egypt bans Salafi books from mosques"muslimvillage.com। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৮, ২০১৫ 
  29. "SE Asian Muslims caught between iPad and Salafism - The Nation"। ৩১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  30. Salafism Modernist Salafism from the 20th Century to the Present
  31. Kjeilen, Tore। "Salafism - LookLex Encyclopaedia"i-cias.com। ৩১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০ 
  32. Salafism ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১৫ তারিখে Tony Blair Faith Foundation
  33. "The split between Qatar and the GCC won't be permanent"। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮