বিষয়বস্তুতে চলুন

সূরা সাবা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সূরা আস সাবা
শ্রেণীমাক্কী
নামের অর্থ(রানী সাবা/শেবা),
অবতীর্ণ হওয়ার সময়কোন নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়াত থেকে এর নাযিলের সঠিক সময়-কাল জানা যায় না। তবে বর্ণনাধারা থেকে অনুভূত হয়, সেটি ছিল মক্কার মাঝামাঝি যুগ অথবা প্রাথমিক যুগ।
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম৩৪
আয়াতের সংখ্যা৫৪
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা আহযাব
পরবর্তী সূরা →সূরা ফাতির
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা সাবা, (আরবি: سورة سبإ, (রানী সাবা/শেবা), মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৩৪ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ৫৪ টি এবং রুকুর সংখ্যা ৬টি। এই সূরায় হযরত দাউদ ও তার পুত্র হযরত সোলাইমান এর জীবনের নানা-দিক সম্পর্কে বিবরণ পাওয়া যায়।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

১৫ আয়াতের বাক্য لَقَدْ كَانَ لِسَبَإٍ فِي مَسْكَنِهِمْ آيَةٌ থেকে গৃহীত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, এটি এমন একটি সূরা যেখানে ‘সাবা’—এর কথা বলা হয়েছে।[]

সাবা, বর্তমানের ইয়ামেন ছিল সবুজ আর ফলে ভরা উদ্যানের সমাহার। কিন্তু তারা নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাই। অকৃতজ্ঞ হওয়ার কারণে সাবা রাজ্যকে বন্যাকবলিত করেন। তাদের অর্থনীতি পানির গর্ভে ডুবে যায়। তখন মক্কার ক্বাবা ঘরকে কেন্দ্র করে আরবদের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে থাকে। পরবর্তীতে ইয়ামেনের রাজা ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্বাবা ঘর ধ্বংস করার জন্য হাতীর বাহিনী নিয়ে যাত্রা করে। এবং আমরা সূরা ফিলে জানতে পারি, কিরুপে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি দিয়ে তাদেরকে চিবানো তৃণলতার মত অবস্থা করা হয়। মক্কাবাসীকে এবং সমগ্র মানবজাতীকে সাবার বাসীন্দাদের উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিতে বলা হয়, কি কারণে তাদের রিযক্ সংকুচিত হয়েছিল।

বিশেষত্ব

[সম্পাদনা]

কোনো ব্যক্তি এই সূরা ১০ বার পাঠ করলে দুনিয়ার সকল বলা মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ইসলাম.net.bd"www.islam.net.bd। ২০১৯-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৮ 
  2. "নামকরণ"http://www.banglatafheem.com। ১৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৫  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]