মুহাম্মাদের আশতিনামা
মুহাম্মাদের আশতীনামা | |
---|---|
সিনাই পর্বতের সন্ন্যাসীদের প্রতি নবী মুহাম্মদের চুক্তিপত্র | |
![]() | |
Ascribed to | আলী (লিপিকার), মুহাম্মদ (প্রণেতা) ৬২৩ খ্রিস্টাব্দ |
পুথি | সেন্ট ক্যাথারিন মঠ ও সিমোনোপেত্রা মঠ-এ সংরক্ষিত প্রতিলিপি |
প্রথম মুদ্রিত সংস্করণ | শুয়াইর, না‘উম। (১৯১৬) তারীখ সিনা আল-কাদিম ওয়াল-হাদীস ওয়া জুঘরাফিয়াতুহা…, কায়রো। |
মুহাম্মাদের আশতীনামা (Āshtīnāmeh) নামে পরিচিত এই দলিলটি নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রদত্ত একটি চুক্তিপত্র, যা যিশুর অনুসারীদের জন্য নিরাপত্তা ও কিছু বিশেষাধিকার প্রদান করে। এটি সিনাই উপদ্বীপের সেন্ট ক্যাথারিন মঠ-এর খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছিল। এই চুক্তিপত্রে মুহাম্মদের (সা.) হাতের ছাপ দ্বারা সিলমোহর করা হয়েছে বলে বলা হয়।[১]
Āshtīnāmeh (ফার্সি উচ্চারণ: [ɒʃtinɒme]) [আশতিনামা] একটি ফারসি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ "মিলনের পত্র" বা "সমঝোতা-পত্র", যা সাধারণত কোনো সন্ধি বা চুক্তির দলিল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
সিনাই পর্বতের সন্ন্যাসীদের মতে, নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রায়ই সেন্ট ক্যাথারিন মঠে আসতেন এবং সেখানে অবস্থানকারী খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও আলাপচারিতা হতো।[৩]
এই আশতীনামার একাধিক প্রত্যয়িত (সত্যায়িত) অনুলিপি এখনো সেন্ট ক্যাথারিন মঠের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে কয়েকটিতে ইসলামী বিচারকদের সাক্ষরও রয়েছে, যা দলিলটির ঐতিহাসিক বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। সন্ন্যাসীরা দাবি করেন, ১৫১৭ সালের দিকে ওসমানীয়দের মিশর জয় (Ottoman–Mamluk War 1516–17) চলাকালে ওসমানীয় সৈন্যরা মূল দলিলটি মঠ থেকে নিয়ে সুলতান সেলিম প্রথমের আদেশে ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদে সংরক্ষণের জন্য স্থানান্তর করে।[১][৪] এরপর মঠের জন্য একটি প্রতিলিপি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়।[১] অন্যান্য নথিপত্র থেকেও জানা যায়, পরবর্তী শাসকেরা এই চুক্তি নবায়ন করেছেন।[৫]
ওসমানীয় শাসনামলে (১৫১৭–১৭৯৮) মিশরের গভর্নর বা পাশা প্রতিবছর সেন্ট ক্যাথারিন মঠের সুরক্ষা ও অধিকার নবায়ন করে ঘোষণা করতেন।[১]
১৯১৬ সালে না‘উম শুয়াইর (Na‘um Shuqayr) তাঁর ‘‘তারীখ সিনা আল-কাদিম’’ (Tārīkh Sīnā al-Qadīm)—অর্থাৎ ‘‘প্রাচীন সিনাইয়ের ইতিহাস’’—গ্রন্থে আশতীনামার আরবি পাঠ প্রথম প্রকাশ করেন। পরে ১৯১৮ সালে জার্মান গবেষক বার্নহার্ড মোরিৎস (Bernhard Moritz) বাইত্রাগে সুর গিশিখটে দেস সিনাই-ক্লস্টার্স (Beiträge zur Geschichte des Sinai-Klosters) শিরোনামে আরবি ও জার্মান অনুবাদ একত্রে প্রকাশ করেন।
এছাড়া ১৬৩০ সালে গ্যাব্রিয়েল সিওনিতা (Gabriel Sionita) যে দলিল প্রকাশ করেন তার নাম ছিল তেস্তামেনতুম এত্ পাকসিওনেস ইন্তার মোহাম্মেদেম এত্ খ্রিস্তিয়ানে ফিদেই কুলতোরেস (Testamentum et pactiones inter Mohammedem et Christianae fidei cultores)—অর্থাৎ “মুহাম্মদ (সা.) এবং খ্রিস্টবিশ্বাসীদের মধ্যে গৃহীত চুক্তি ও দলিল”। তবে এটি আশতীনামার প্রতিলিপি নয়; বরং এটি একটি পৃথক চুক্তিপত্র।
আশতীনামার উৎপত্তি ও প্রচলন নিয়ে বিভিন্ন কাহিনি ও মত প্রচলিত আছে। ইউরোপীয় পর্যটকদের বিবরণ থেকেই মূলত এই দলিলটি ব্যাপক পরিচিতি পায়।[১] তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: ফরাসি নাইট গ্রেফিন আফাগার্ট (Griffin Affagart; মৃত্যু আনুমানিক ১৫৫৭), ফরাসি পর্যটক জ্যাঁ দে থেভেনো (Jean de Thévenot; মৃত্যু ১৬৬৭), এবং ইংরেজ বিশপ রিচার্ড পিকক (Richard Peacocke)।[১] পিকক আশতীনামার একটি ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশ করেছিলেন।
দলিল
[সম্পাদনা]আন্টন এফ. হাদ্দাদ কর্তৃক আশতীনামার ইংরেজি অনুবাদ
[সম্পাদনা]এটি একটি পত্র, যা মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ, আল্লাহর রাসূল, নবী এবং বিশ্বস্ত বার্তাবাহক কর্তৃক প্রেরিত, যিনি সমগ্র মানবজাতির প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত — যাতে মানুষ পরবর্তীকালে আল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো অজুহাত না দেখাতে পারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। এই পত্রটি ইসলামের অনুসারীদের উদ্দেশ্যে রচিত, যা নাসারাবাদের (খ্রিস্টধর্মের) অনুসারীদের জন্য পূর্ব-পশ্চিম, দূর-নিকট, আরব ও অনারব, পরিচিত-অপরিচিত সকলের প্রতি এক অঙ্গীকার।
এই পত্রে তাদের জন্য একটি শপথ অন্তর্ভুক্ত আছে, এবং কেউ যদি এ পত্রের আদেশ অমান্য করে, তবে সে আল্লাহর শপথ লঙ্ঘনকারী, তাঁর অঙ্গীকারকে প্রত্যাখ্যানকারী, তাঁর কর্তৃত্ব অস্বীকারকারী, তাঁর ধর্মকে তুচ্ছকারী এবং তাঁর অভিশাপের যোগ্য সাব্যস্ত হবে — সে যেই হোক না কেন, সুলতান হোক বা সাধারণ মুসলমান।
যেখানেই সন্ন্যাসী, ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি ও তীর্থযাত্রীরা একত্রিত হন — পাহাড়ে, উপত্যকায়, গুহায়, জনাকীর্ণ স্থানে, সমতলে, গির্জায় বা উপাসনালয়ে — আমি নিজে, আমার বন্ধু ও সহচরদের মাধ্যমে তাদের রক্ষা করব এবং তাদের সম্পদ ও চরিত্রের নিরাপত্তা দেব। কারণ তারা আমার প্রজাদের অন্তর্ভুক্ত এবং আমার সুরক্ষায় রয়েছে।
আমি তাদেরকে অন্যদের ওপর আরোপিত কর প্রদানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিচ্ছি। তারা স্বেচ্ছায় যা দান করতে চায়, শুধুমাত্র সেটিই দিতে পারবে — তাদেরকে লাঞ্ছিত, বিরক্ত, জবরদস্তি বা বাধ্য করা যাবে না। তাদের বিচারপতিদের অপসারণ বা কাজে বাধা দেওয়া যাবে না; সন্ন্যাসীদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া যাবে না; নির্জনবাসীদের কুঠুরিতে অবস্থানে ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না।
তাদের তীর্থযাত্রীদের আক্রমণ করা যাবে না, গির্জা বা উপাসনালয় ধ্বংস, লুট বা অপবিত্র করা যাবে না, এবং এসব স্থান থেকে কিছু নিয়ে ইসলামের ঘরে নেওয়া যাবে না। যে কেউ এমন কিছু করে, সে আল্লাহর শপথ ভঙ্গকারী এবং আল্লাহর রাসূলের অবাধ্য।
তাদের বিচারপতি, সন্ন্যাসী ও ইবাদতনিরতদের ওপর কোনো জিজিয়া (poll-tax), জরিমানা, কর বা অন্যায় আরোপ করা যাবে না। আমি তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করব, তারা যেখানে থাকুক না কেন — স্থল বা জলপথে, পূর্ব বা পশ্চিমে, উত্তর বা দক্ষিণে — তারা আমার সুরক্ষার আওতায় এবং আমার নিরাপত্তা অঙ্গীকারের অন্তর্ভুক্ত।
যারা পর্বতে ইবাদত করে বা পবিত্র ভূমিতে চাষাবাদ করে, তাদের ওপর কোনো কর বা দশমাংশ আরোপ করা যাবে না। কেউ তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না। বরং ফসলের মৌসুমে তাদের জন্য প্রত্যেক ‘আরদাব’ গম (প্রায় ৫.৫ বুশেল) থেকে একটি ‘কাদা’ প্রদান করা উচিত, যা তাদের আহার্যের সংস্থান। কেউ বলতে পারবে না “এটা বেশি,” বা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু দাবি করতে পারবে না।
যাদের সম্পদ আছে, যেমন ধনী ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী, তাদের কাছ থেকে বার্ষিক সর্বোচ্চ বারো দিরহাম হারে জিজিয়া আদায় করা যাবে।[ক]
তাদেরকে জোরপূর্বক কোথাও পাঠানো যাবে না, যুদ্ধ করতে বাধ্য করা যাবে না, বা অস্ত্র বহনে বাধ্য করা যাবে না। বরং মুসলমানদের দায়িত্ব তাদের রক্ষা করা। তাদের সঙ্গে তর্ক বা বিতর্ক করা যাবে না; বরং কোরআনের এই আদেশ অনুযায়ী আচরণ করতে হবে: “আহলে কিতাবের সঙ্গে তর্ক করো না, তবে উত্তমভাবে।” এইভাবে তারা সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে জীবনযাপন করবে এবং ইসলামের প্রচারকগণ তাদের কষ্ট না দিয়ে বরং রক্ষা করবেন, তারা যেখানেই থাকুন না কেন।
যদি কোনো খ্রিস্টান নারী মুসলমান পুরুষকে বিয়ে করে, তবে তার সম্মতি ছাড়া বিয়ে হবে না এবং তাকে গির্জায় প্রার্থনা করতে বাধা দেওয়া যাবে না। তাদের গির্জাগুলিকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের গির্জা নির্মাণ বা কনভেন্ট সংস্কারে বাধা দেওয়া যাবে না।
তাদেরকে অস্ত্র বা পাথর বহনে বাধ্য করা যাবে না; বরং মুসলমানদের উচিত তাদের রক্ষা করা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষে যুদ্ধ করা। ইসলামী জাতির প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য এই শপথ অমান্য না করা এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা মান্য রাখা ফরজ।[৬]
প্রামাণিকতা
[সম্পাদনা]আধুনিক যুগের বহু প্রারম্ভিক গবেষক ‘‘মুহাম্মাদের আশতীনামা’’-কে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফ্রান্সিসকুস কোয়ারেসমিয়ুস (Franciscus Quaresmius), বালথাসার দ্য মঁকোনি (Balthasar de Monconys), এবং কারা মুস্তাফা পাশা (Kara Mustafa Pasha)।[৭][৮]
আধুনিক যুগের মুসলিম গবেষক জন অ্যান্ড্রু মোরো (John Andrew Morrow)–ও আশতীনামার সত্যতা মেনে নিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই চুক্তিপত্রটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ইসলামি উৎসে অবিকৃতভাবে হুবহু (verbatim) পুনরায় উদ্ধৃত হয়েছে—এমনকি এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন খলিফা ও সুলতানদের আমলেও।[৯][১০][১১]
তবে ১৯শ শতক থেকে কিছু গবেষক আশতীনামার নির্দিষ্ট কিছু দিক, বিশেষ করে সাক্ষীদের তালিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন।[১২] অনেকে আরও উল্লেখ করেন, ইসলামের প্রাচীন সাহিত্যগুলোতে এমন কোনো চুক্তিপত্রের উল্লেখ নেই, যা এই দলিলের প্রামাণ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।[১৩]
তবে এটিও লক্ষ্য করা যায় যে, আশতীনামার মতো অন্যান্য চুক্তিপত্রও নিকটপ্রাচ্যে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়কে দেওয়া হয়েছিল। এর একটি উদাহরণ হলো—মুহাম্মদের (সা.) একটি চিঠি, যা তিনি নাজরান অঞ্চলের খ্রিস্টানদের উদ্দেশে পাঠিয়েছিলেন বলে বলা হয়। এই চিঠিটি ৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের একটি মঠে প্রথম আবিষ্কৃত হয় এবং তার পাঠ সংরক্ষিত আছে ‘‘সীরতের ইতিহাস’’ (Chronicle of Seert) নামক গ্রন্থে।[১]
আধুনিক প্রভাব
[সম্পাদনা]অনেকে মনে করেন, ‘‘মুহাম্মাদের আশতীনামা’’ মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর উৎস। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৯ সালে মার্কিন পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এ অধ্যাপক মুকতাদির খান (Muqtedar Khan)[১৪] এই দলিলটির পূর্ণ অনুবাদ প্রকাশ করেন। তিনি মন্তব্য করেন:
যারা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চায়, তারা দ্বন্দ্ব ও মতপার্থক্যের দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়। কিন্তু মুহাম্মদের খ্রিস্টানদের প্রতি প্রদত্ত এই অঙ্গীকারের মতো দলিল সামনে আনা হলে তা সেতুবন্ধনের কাজ করে। এটি মুসলমানদের সম্প্রদায়ভিত্তিক অসহিষ্ণুতা থেকে ঊর্ধ্বে উঠতে অনুপ্রাণিত করে এবং ইসলামের প্রতি ভয় পোষণকারী খ্রিস্টানদের হৃদয়ে সদিচ্ছার জন্ম দেয়।[১৪]
এই আশতীনামা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে দ্য কোভেন্যান্টস ইনিশিয়েটিভ (The Covenants Initiative) নামক একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, যা সমস্ত মুসলমানকে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক চুক্তিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানায়।[১৫]
মুহাম্মদের আশতীনামা শুধুমাত্র মুসলিম-খ্রিস্টান সম্পর্কেই নয়, বরং দুই ধর্মের বিশ্বাস ও সহাবস্থানের কথা তুলে ধরে। তিনি ইসলামি অঞ্চলে খ্রিস্টান গির্জার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। আধুনিক ব্যাখ্যায় এই সহনশীলতার ব্যপ্তি অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও প্রসারিত হয়েছে, যেমন ইহুদি ও হিন্দুদের প্রতিও।
কোরআন ২:২৫৬ — "ধর্ম নিয়ে কোনো জবরদস্তি নেই..."[১৬]
২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিতর্কিত আসিয়া বিবি ধর্ম অবমাননা মামলার চূড়ান্ত রায়ে আশতীনামার উল্লেখ করা হয়। আদালতের মতে, নুরিনের (আসিয়া বিবি) বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করেছিলেন, তিনি নবী মুহাম্মদের এই ঐতিহাসিক আশতীনামা লঙ্ঘন করেছেন—যেটি সপ্তম শতকে খ্রিস্টানদের সঙ্গে করা একটি চুক্তি, যা আজও প্রাসঙ্গিক।[১৭]
২০১৯ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট-এ এক বক্তৃতায় এই আশতীনামার কথা উল্লেখ করেন।[১৮]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]সূত্র
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ১৯০২ সালের হিসাবে প্রতি বছর প্রায় $০.৪৫ (মার্কিন ডলার)।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Ratliff, "The monastery of Saint Catherine at Mount Sinai and the Christian communities of the Caliphate."
- ↑ Dehghani, Mohammad: 'Āshtīnāmeh' va 'Tovāreh', do loghat-e mahjur-e Fārsi dar kuh-e sinā ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ১১, ২০১৪ তারিখে. প্রকাশিত 'আয়েন্দে' সাময়িকীতে। ১৩৬৮ হিজরি শামসি, পৃ. ৫৮৪।
- ↑ "Mohammed and the Holy Monastery of Sinai"। ২০১৩-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০৯।
- ↑ Lafontaine-Dosogne, "Le Monastère du Sinaï: creuset de culture chrétiene (Xe–XIIIe siècle)", পৃষ্ঠা ১০৫।
- ↑ Atiya, "The Monastery of St. Catherine and the Mount Sinai Expedition", পৃষ্ঠা ৫৭৮।
- ↑ The Oath of the Prophet Mohammed to the Followers of the Nazarene (Haddad) – উইকিসংকলন-এর মাধ্যমে।
- ↑ Morrow, John Andrew (২০২১)। The Islamic Interfaith Initiative: no fear shall be upon them। Newcastle-upon-Tyne। পৃষ্ঠা 335। আইএসবিএন 978-1-5275-7482-3। ওসিএলসি 1277138744।
- ↑ "Dr. John Andrew Morrow"। Muhammad (pbuh) - Prophet of Islam। ২০১৫-০১-২৭। ২০২২-১০-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-০৯।
- ↑ Morrow, John Andrew (২০১৯-১০-১৬)। "The Covenants of the Prophet Muhammad Continue to Cause Controversy"। Maydan (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০৪।
- ↑ Andrew Morrow, John, সম্পাদক (২০১৭)। Islām and the People of the Book Volumes 1-3: Critical Studies on the Covenants of The Prophet (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge: Cambridge Scholars Publishing। আইএসবিএন 978-1-5275-9876-8।
- ↑ Andrew Morrow, John (২০১৩)। The Covenants of the Prophet Muhammad with the Christians of the World (ইংরেজি ভাষায়)। New York: Angelico Press। আইএসবিএন 978-1597314657।
- ↑ Ratliff, "The monastery of Saint Catherine at Mount Sinai and the Christian communities of the Caliphate", টীকা ৯। Ratliff এখানে Mouton-এর “Les musulmans à Sainte-Catherine au Moyen Âge”, পৃষ্ঠা ১৭৭ উদ্ধৃত করেছেন।
- ↑ Sanni, Amidu Olalekan. (2015). The Covenants of the Prophet Muḥammad with the Christians of the World. Journal of Muslim Minority Affairs, 35(4), 589–592. doi:10.1080/13602004.2015.1112122
- ↑ ক খ Khan, Muqtedar (৩০ ডিসেম্বর ২০০৯), "Muhammad's promise to Christians", The Washington Post, ১৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১২
- ↑ "covenantsoftheprophet.org"। covenantsoftheprophet.org। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Exclusive: Ashtiname of Muhammad (PBUH). defence.pk. প্রবেশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ Asif Aqeel (৩১ অক্টোবর ২০১৮)। "Pakistan Frees Asia Bibi from Blasphemy Death Sentence"। Christianity Today। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮।
- ↑ Insaf.pk (২২ ডিসেম্বর ২০১৮)। "PM Imran Khan Speech at 100 Days Performance of Punjab government"। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- র্যাটলিফ, ব্র্যান্ডি। "মাউন্ট সাইনাইয়ের সেন্ট ক্যাথারিন মঠ এবং খিলাফত আমলের খ্রিস্টান সম্প্রদায়।" Sinaiticus. The bulletin of the Saint Catherine Foundation (২০০৮) (সংরক্ষিত সংস্করণ).
- আতিয়া, আজিজ সুরিয়াল। "সেন্ট ক্যাথারিন মঠ এবং মাউন্ট সাইনাই অভিযাত্রা।" Proceedings of the American Philosophical Society ৯৬.৫ (১৯৫২)। পৃষ্ঠা ৫৭৮–৮৬।
- লাফঁতেন-দোসোন, জ্যাকলিন। "সাইনাই মঠ: খ্রিস্টীয় সংস্কৃতির এক পটভূমি (১০ম-১৩শ শতক)।" East and West in the Crusader states, খণ্ড ১। লুভাঁ: পিটার্স, ১৯৯৬। পৃষ্ঠা ১০৩–১২৯।
আরও পাঠ্য
[সম্পাদনা]প্রাথমিক উৎস
[সম্পাদনা]- আশতীনামার আরবি সংস্করণ
- জন অ্যান্ড্রু মোরো। The Covenants of the Prophet Muhammad with the Christians of the World। কেটারিং, ওহাইও: অ্যাঞ্জেলিকো প্রেস, ২০১৩।
- মুহাম্মদ আমারাহ। আল-ইসলাম ওয়াল-আখার। মাকতাবাহ আশ-শারক আদ-দাওলিয়্যাহ, ২০০২।
- বার্নহার্ড মোরিৎজ। Beiträge zur Geschichte des Sinai-Klosters im Mittelalter nach arabischen Quellen। বার্লিন: ১৯১৮।
- নাঊম শুখায়র। তারীখ সিনা আল-কাদিম ওয়াল হাদীথ...। কায়রো: ১৯১৬।
- ইংরেজি, ফরাসি ও জার্মান অনুবাদ
- থেভেনো, জঁ দ্য। Relation d’un voyage fait au Levant। প্যারিস: ১৬৬৫।
- রিচার্ড পোকক। Description of the East খণ্ড ১। লন্ডন: ১৭৪৩। পৃষ্ঠা ২৬৮–৭০।
- ফ্রান্সিস অ্যারান্ডেল। Illustrations of Jerusalem and Mount Sinai। লন্ডন: ১৮৩৭।
- জন ড্যাভেনপোর্ট। An Apology for Mohammed and the Koran। লন্ডন: ১৮৬৯।
- নাওফাল এফেন্দি। (তুর্কি থেকে আরবিতে অনুবাদ, ১৯০২-এর আগে)
- হাদ্দাদ, আন্তন এফ., অনুবাদক। The Oath of the Prophet Mohammed to the Followers of the Nazarene। নিউ ইয়র্ক: ১৯০২।
- হেইঞ্জ স্ক্রোবুচা। Sinai। লন্ডন: ১৯৬৬।
- জোসেফ হবস। Mount Sinai। অস্টিন: ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস প্রেস, ১৯৯৫। পৃষ্ঠা ১৫৮–৬১।
দ্বিতীয়িক উৎস
[সম্পাদনা]- আতিয়া, আজিজ সুরিয়াল। The Arabic Manuscripts of Mount Sinai। বাল্টিমোর: জনস হপকিন্স প্রেস, ১৯৫৫।
- হবস, জে. Mount Sinai। অস্টিন: ১৯৯৫।
- সোতিরিউ, জি. ও এম. Icones du Mont Sinaï। অ্যাথেন্স: ১৯৫৬–৫৮।
- ভ্রিওনিস, এস। The History of the Greek Patriarchate of Jerusalem... Byzantine and Modern Greek Studies ৭ (১৯৮১)। পৃষ্ঠা ২৯–৫৩।