বিষয়বস্তুতে চলুন

আরবের গোত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আরব উপজাতিরা (আরবি: القبائل العربية) হাজার হাজার বছর ধরে আরব উপদ্বীপে বসবাস করে আসছে। তারা ঐতিহ্যগতভাবে নিজেদের বংশপরিচয় দুই মূল পূর্বপুরুষের একজনের সঙ্গে যুক্ত করে থাকেন—আদনানকাহতান। আদনানের বংশধরেরা পশ্চিম, উত্তর, পূর্ব ও মধ্য আরব থেকে উদ্ভূত, আর কাহতানের বংশধরেরা দক্ষিণ আরব থেকে।[] এছাড়াও, আব্রাহামীয় ধর্মবিশ্বাস—বিশেষত ইসলামের মতে—আরবরা নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর বংশধর।

৬০০ খ্রিষ্টাব্দে আরব উপদ্বীপের একটি মানচিত্রে বিভিন্ন আরব গোত্র এবং তাদের বসতি অঞ্চলের অবস্থান দেখানো হয়েছে। এই সময়ে লাখমিদরা (হলুদ রঙে চিহ্নিত) পারস্যের সাসানিয়ান সাম্রাজ্যের অধীনস্থ এক আরব রাজতন্ত্র গঠন করেছিল, আর ঘাসানিদরা (লাল রঙে চিহ্নিত) রোমান সাম্রাজ্যের অধীনস্থ এক আরব রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গবেষক হ্যারল্ড ডিকসন একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন, যাতে ১৯১৪ সালে পশ্চিম এশিয়ায় আরব গোত্রসমূহের উপস্থিতি ও বিস্তার দেখানো হয়েছে।

৭ম শতক থেকে ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি অনেক আরব গোত্রের সদস্য ইসলামি বিজয়ের সময় বিজিত অঞ্চলে বসতি স্থাপন শুরু করেন। এসব অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল লেভান্ত,[] মেসোপটেমিয়া,[] মিশর,[] খুজেস্তান,[] মাঘরেব[] এবং সুদান।[] এই অভিবাসন ও বসতি স্থাপনের ফলে আরবিকরণ নামক একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার জনসংখ্যাগত পরিবর্তনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে আরব জনসংখ্যা আরব উপদ্বীপের সীমানা ছাড়িয়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।[]

বর্তমানে এসব অঞ্চল একত্রে আরব বিশ্ব নামে পরিচিত, তবে খুজেস্তান এর ব্যতিক্রম; যদিও সেখানে উল্লেখযোগ্য আরব সংখ্যালঘু বসবাস করে, অঞ্চলটি মূলত ইরানি সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত। আরব গোত্রগুলোর এই অভিবাসন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর জনসংখ্যাকে জাতিগত, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জিনগতভাবে আরবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।[]

বংশগত ঐতিহ্য

[সম্পাদনা]

চতুর্দশ শতাব্দীর আরব বংশতালিকাবিদদের মধ্যে সাধারণ ঐক্যমত্য হল যে আরবরা তিন ধরণের:

  • আল-আরাব আল-বাইদা (আরবি: العرب البائدة), অর্থাৎ "বিলুপ্ত আরবরা", ছিলেন প্রাক-ইসলামিক আরবের প্রাচীন কিছু গোত্রের একটি গোষ্ঠী। এই গোত্রগুলোর মধ্যে ছিল আদ, সামুদ, তাসম ও জাতিস, থালাক (যার মধ্যে বানু আস-সামাইদার কিছু শাখাও ছিল), এবং আরও কিছু গোত্র। বলা হয়, জাতিস ও তাসম গোত্রকে গণহত্যার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল।[১০] কুরআনে উল্লেখ রয়েছে, আদ ও সামুদ জাতির পতন ঘটেছিল তাদের নৈতিক অধঃপতনের কারণে। সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে এমন কিছু শিলালিপি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে 'ইরাম' শহরের উল্লেখ আছে—এই শহরটি আদ জাতির এক গুরুত্বপূর্ণ নগর ছিল।
  • আল-আরাব আল-আরিবা (আরবি: العرب العاربة), অর্থাৎ "বিশুদ্ধ আরবরা", কাহতানীয় আরবদের বংশধর ছিলেন।[১১][১২]
  • আল-আরাব আল-মুস্তারিবা (আরবি: العرب المستعربة), অর্থাৎ "আরবীকৃত আরবরা", আদনানি আরব নামেও পরিচিত। তারা ছিলেন পিতামহ ইব্রাহিম (আ.)-এর জ্যেষ্ঠপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর বংশধর।
আদনানীদের একটি বংশতালিকা, যেখানে মুহাম্মদের পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পিতৃপুরুষ আদনান পর্যন্ত চিত্রিত করা হয়েছে ।

হাওয়াজিন গোত্র ও কুরাইশ গোত্রকে আদনানি আরব হিসেবে গণ্য করা হয়। মা'আদের আগের বংশপরিচয় অনেকটাই বাইবেলীয় বংশানুক্রমের ওপর নির্ভর করে, তাই আদনানি আরবদের এই অংশের সঠিকতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।[১৩] ধারণা করা হয়, আদনানিদের পূর্বপুরুষ ছিলেন ইসমাইল (আ.)—যিনি আদনানের মাধ্যমে এই বংশের সূচনা করেন—তবে প্রচলিত আদনানি বংশানুক্রম বাইবেলীয় বংশতালিকার সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। আরব ঐতিহ্য অনুযায়ী, আদনানিদের “আরবীকৃত” বলা হয়, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে ইসমাইল (আ.) আরামায়িক ও মিশরীয় ভাষায় কথা বলতেন এবং পরে তিনি একটি কাহতানীয় ইয়ামেনি নারীকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে আরবি ভাষা শিখেছিলেন। অতএব, আদনানিরা ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধর। তবে আধুনিক ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বংশানুক্রমে অভ্যন্তরীণ সামঞ্জস্যের অভাব রয়েছে এবং এটি যথেষ্ট প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।[১৪]

প্রাক-ইসলামিক ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সবচেয়ে প্রাচীন পরিচিত কার্যকলাপ

[সম্পাদনা]

খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৬০০০ সালে আরবের গোত্রগুলো যাযাবর পশুপালন ও কৃষিকাজে নিয়োজিত ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ১২০০ সালের দিকে তারা বসতি ও শিবিরের একটি জটিল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। তখন আরব উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন রাজ্য গঠিত হতে শুরু করে এবং সেগুলো ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হয়। প্রাচীন আরব গোত্রগুলোর উদ্ভব বেদুইনদের মধ্য থেকেই হয়েছে।[১৫] এই জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস ছিল কারাভান থেকে কর আদায় এবং অ-বেদুইন বসতিগুলো থেকে খাজনা সংগ্রহ। এছাড়া পোষ মানানো উটের সাহায্যে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমেও তারা আয় করত।[১৬] তবে পানির সংকট ও স্থায়ী চারণভূমির অভাবে তাদের নিয়মিতভাবে স্থান পরিবর্তন করতে হতো।

পরিচয়, বসতি এবং ভাষা

[সম্পাদনা]

নবতীয় ও কেদারীয়রা ছিল আরব উপজাতির দুটি শাখা, যারা উর্বর ক্রিসেন্ট এলাকার প্রান্তে বাস করত এবং খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকের দিকে দক্ষিণ লেভান্ট অঞ্চলে সম্প্রসারিত হয়, যার ফলে ইদোমীয়দের সেখান থেকে সরে যেতে হয়। তাদের লিখিত ভাষা প্রধানত আরামেয় ছিল, তবে ধারণা করা হয় যে তারা মুখে প্রাচীন আরবির একটি উপভাষায় কথা বলত, যা ছিল প্রাচীন উত্তর আরবীয় ভাষাসমূহের একটি শাখা। প্রাচীনতম এই ভাষার সাক্ষ্য মেলে ১ম শতকের কিছু লেখায়, এবং এই সময়কালেই নবতীয় লিপি ধীরে ধীরে আরবি লিপিতে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। এ বিষয়ে সাক্ষ্য পাওয়া যায় সাফাইতিক শিলালিপিতে (যা ১ম শতক খ্রিষ্টপূর্বে শুরু হয়) এবং নবতীয় লেখায় পাওয়া বহু আরবি ব্যক্তিনামে। খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতক থেকে কারইয়াত আল-ফাও এলাকা থেকে প্রাপ্ত কয়েকটি শিলালিপি একটি উপভাষা নির্দেশ করে, যা আর প্রোটো-আরবি নয়, বরং প্রাক-শাস্ত্রীয় আরবি হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়াও, সুমাতার হারাবেসি এলাকা থেকে আবিষ্কৃত সিরিয়াক ভাষায় লেখা পাঁচটি শিলালিপিতে আরবদের উল্লেখ পাওয়া যায়, যার একটি ২য় শতক খ্রিষ্টাব্দের।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ঘাসানিদ, লাখমিদ ও কিন্দিতেরা ছিলেন প্রাক-ইসলামি যুগে ইয়েমেন থেকে উত্তরের দিকে আরবদের শেষ বড় অভিবাসনের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান গোত্রসমূহ। এই অভিবাসনের মাধ্যমে ঘাসানিদরা সিরিয়ায় আরবদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করে। তারা মূলত হাওরান অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে এবং সেখান থেকে আধুনিক লেবানন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও জর্দান এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ইহুদি উপজাতিদের সাথে মিথস্ক্রিয়া

[সম্পাদনা]

খ্রিষ্টীয় ৪র্থ শতকের দিকে প্রাক-ইসলামিক আরবে একটি উল্লেখযোগ্য ইহুদি উপস্থিতির বিকাশ ঘটে, যখন বহু ইহুদি গোত্র ও বংশ রেড সি উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। চতুর্থ শতকের মধ্যভাগ থেকে শেষ ভাগ পর্যন্ত হিমিয়ার রাজ্য ইহুদধর্ম গ্রহণ করে, ফলে এই ধর্ম আরও বিস্তৃতভাবে অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। জার্মান প্রাচ্যবিদ ফের্দিনান্ড ভুস্টেনফেল্ড বিশ্বাস করতেন যে ইহুদিরা উত্তর হেজাজে একটি রাষ্ট্র গঠন করেছিল।[১৭] কুরআনে পশ্চিম আরবের প্রধান শহরগুলোতে প্রাথমিক মুসলিম গোত্র ও ইহুদি গোত্রগুলোর মুখোমুখি হওয়ার বিবরণ পাওয়া যায়, যেখানে বনু কুরাইজা ও বনু নাদিরের মতো কিছু গোত্রকে ঐ অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রভাবসম্পন্ন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরবের গোত্রসমূহের তালিকা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Retso, Jan (২০১৩-০৭-০৪)। The Arabs in Antiquity: Their History from the Assyrians to the Umayyads (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 978-1-136-87282-2। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  2. Bierwirth, Henry Christian (১৯৯৪)। Like Fish in the Sea: The Lebanese Diaspora in Côte D'Ivoire, Ca. 1925-1990 (ইংরেজি ভাষায়)। University of Wisconsin--Madison। পৃষ্ঠা 42। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  3. Lane-Pool, Stanley (২০১৪-০৬-২৩)। Mohammadan Dyn:Orientalism V 2 (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 109। আইএসবিএন 978-1-317-85394-7। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১ 
  4. al-Sharkawi, Muhammad (২০১৬-১১-২৫)। History and Development of the Arabic Language (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 180। আইএসবিএন 978-1-317-58864-1। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  5. Arjomand, Saïd Amir (২০১৪-০৫-১৯)। Social Theory and Regional Studies in the Global Age (ইংরেজি ভাষায়)। SUNY Press। পৃষ্ঠা 411। আইএসবিএন 978-1-4384-5161-9। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  6. O'Connell, Monique; Dursteler, Eric R. (২০১৬-০৫-২৩)। The Mediterranean World: From the Fall of Rome to the Rise of Napoleon (ইংরেজি ভাষায়)। JHU Press। পৃষ্ঠা 52। আইএসবিএন 978-1-4214-1901-5। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  7. Inc, IBP (২০১৭-০৬-১৫)। Sudan (Republic of Sudan) Country Study Guide Volume 1 Strategic Information and Developments (ইংরেজি ভাষায়)। Lulu.com। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 978-1-4387-8540-0। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  8. Jenkins, Everett Jr. (২০১৫-০৫-০৭)। The Muslim Diaspora (Volume 1, 570-1500): A Comprehensive Chronology of the Spread of Islam in Asia, Africa, Europe and the Americas (ইংরেজি ভাষায়)। McFarland। পৃষ্ঠা 205। আইএসবিএন 978-1-4766-0888-4। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  9. Nebel, Almut (জুন ২০০২)। "Genetic Evidence for the Expansion of Arabian Tribes into the Southern Levant and North Africa"American Journal of Human Genetics70 (6): 1594–1596। ডিওআই:10.1086/340669পিএমআইডি 11992266পিএমসি 379148অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  10. ?abar? (১৯৮৭-০১-০১)। The History of al-Tabari Vol. 4: The Ancient Kingdoms (ইংরেজি ভাষায়)। SUNY Press। পৃষ্ঠা 152। আইএসবিএন 978-0-88706-181-3। ২০২২-০৮-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৫ 
  11. Reuven Firestone (১৯৯০)। Journeys in Holy Lands: The Evolution of the Abraham-Ishmael Legends in Islamic Exegesis। SUNY Press। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 9780791403310। ২০১৬-০৬-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৭ 
  12. Göran Larsson (২০০৩)। Ibn García's Shuʻūbiyya Letter: Ethnic and Theological Tensions in Medieval al-Andalus। BRILL। পৃষ্ঠা 170। আইএসবিএন 9004127402। ২০২২-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৯ 
  13. in general: W. Caskel, Ġamharat an-Nasab, das genealogische Werk des Hišām Ibn Muḥammad al-Kalbī, Leiden 1966.
  14. Parolin, Gianluca P. (২০০৯)। Citizenship in the Arab World: Kin, Religion and Nation-State। Amsterdam University Press। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 978-9089640451  "The ‘arabicised or arabicising Arabs’, on the contrary, are believed to be the descendants of Ishmael through Adnan, but in this case the genealogy does not match the Biblical line exactly. The label ‘arabicised’ is due to the belief that Ishmael spoke Aramaic and Egyptian until he married a Yemeni woman and learnt Arabic. Both genealogical lines go back to Sem, son of Noah, but only Adnanites can claim Abraham as their ascendant, and the lineage of Mohammed, the Seal of Prophets (khatim al-anbiya'), can therefore be traced back to Abraham. Contemporary historiography unveiled the lack of inner coherence of this genealogical system and demonstrated that it finds insufficient matching evidence; the distinction between Qahtanites and Adnanites is even believed to be a product of the Umayyad Age, when the war of factions (al-niza al-hizbi) was raging in the young Islamic Empire."
  15. Chatty, Dawn (২০০৯)। Culture Summary: BedouinHuman Relations Area Files। ২০২০-০৪-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১ 
  16. Beckerleg, Susan। "Hidden History, Secret Present: The Origins and Status of African Palestinians"। London School of Hygiene and Tropical Medicine। ২০২০-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২১  Translated by Salah Al Zaroo.
  17. Wolfensohn, Israel. "Tarikh Al-Yahood Fi Belad Al-Arab". Al-Nafezah Publication. Cairo. 2006. page 68