ইসলাম ও জৈনধর্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইসলামজৈনধর্মের ভারতীয় উপমহাদেশে মিথস্ক্রিয়া শুরু হয় বারবার ইসলামী আক্রমণের পর, এবং পরবর্তীতে দ্বাদশ শতাব্দী থেকে এই অঞ্চল ইসলামিক বিজয় ও শাসনের আওতায় আসে। দিল্লির সুলতানি শাসন, এবং পরবর্তীকালে তুর্কি-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত মুঘলদের শাসনামলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম, উত্তর, ও মধ্যাঞ্চলের বিস্তৃত অংশ মুসলিম শাসনে আসে।

জৈনধর্ম এবং ইসলামের মধ্যে আলাদা আলাদা ধর্মতাত্ত্বিক ভিত্তি রয়েছে,[১] যার ফলে তাদের মিথস্ক্রিয়া ছিল মিশ্র প্রকৃতির। এই সম্পর্কের মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে শুরু করে পারস্পরিক সমঝোতা - দুই-ই দেখা গেছে। মুসলিম বিজয়ের সময় এবং পরবর্তীকালে জৈন সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রমও ছিল, যেমন সম্রাট আকবর (১৫৪২ - ১৬০৫)।[২][৩] জৈন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে, তিনি পাখি মুক্ত করে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন এবং জৈন উৎসব 'পর্যুষণ' এর সময় পশু হত্যা নিষিদ্ধ করেছিলেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. von Glasenapp 1925, পৃ. 241-242।
  2. Dundas 2002, পৃ. 145-146, 124, 220-221।
  3. von Glasenapp 1925, পৃ. 74–75।
  4. Dundas 2002, পৃ. 146।