বিষয়বস্তুতে চলুন

উম্মে কুলসুম বিনতে আলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উম্মে কুলসুম বিনতে আলী
أُمّ كُلْثُوم ٱبْنَت عَلِيّ
জন্ম৪ ফেব্রুয়ারি ৬২৭
(১৮ রবিউল আউয়ালহিজরি)
মদিনা, আল-হেজাজ
(বর্তমানে সৌদি আরব)
মৃত্যু
সমাধিসায়্যিদাহ জয়নব মসজিদ, দামেস্ক, বা বাব সাঘীর, দামেস্ক, সিরিয়া
পরিচিতির কারণইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নাতনী
দাম্পত্য সঙ্গীউমর ইবনুল খাত্তাব, আওন, মুহাম্মাদ, আব্দুল্লাহ
সন্তানযায়েদ, রুকাইয়া বিনতে উমর
পিতা-মাতা
আত্মীয়
পরিবারHouse of Muhammad

জয়নব আল-সুগরা (আরবি: زَيْنَب ٱلصُّغْرَىٰ, অনুবাদ'ছোট জয়নব'), এছাড়াও তার উপনাম উম্মে কুলসুম বিনতে আলী হিসাবে পরিচিত (আরবি: أُمّ كُلْثُوم ٱبْنَت عَلِيّ), হচ্ছেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নাতনী এবং হযরত আলী (রা.) এর মেয়ে। তিনি হযরত উমর (রা.) কে বিয়ে করেছেন কিনা তা সুন্নী ও শিয়ার মধ্যে বিতর্কিত বিষয়।[] তাকে তার বড় বোন, যয়নব আল-কুবরার থেকে আলাদা করার জন্য তাকে 'ছোট' উপাধি দেওয়া হয়ে ছিল।[]

পরিবার

[সম্পাদনা]

তিনি হযরত আলী (রা.) এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মেয়ে হযরত ফাতিমা (রা.) এর চতুর্থ সন্তান হিসাবে ৬ হিজরির কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার ভাইবোনরা হলেন হাসান, হোসাইন এবং জায়নব আল-কুবরা[]:১৮ মুহাম্মাদ তাকে 'উম্মে কুলসুম' উপনাম দিয়েছিলেন, কারণ তিনি তার খালা উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মাদ এর

সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।[]

কারবালার যুদ্ধ

[সম্পাদনা]

তিনি কারবালার যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল, এই সময় তাঁর কানের দুল আক্রমণকারী সৈনিকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।[][] এরপরে, উম্মে কুলসুম তার ভাই হোসেইনকে ত্যাগ করার জন্য কুফার লোকদের সমালোচনা করেন, যিনি এই যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]
বাব আল-সাগীরে উম্মে কুলসুম বিনতে আলীর সমাধি

আবদুল্লাহর জীবদ্দশায় উম্মে কুলসুম এবং তার ছেলে জায়েদ একই সময়ে মারা গিয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ৮০ জন লোক তাদের জানাজা অংশগ্রহণ করেছিলেন,[]:২৯৯ যেখানে সা'দ ইবনুল আ'স জানাজার ইমামতি করেছেন এবং জামাতে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এবং আবু হুরাইরাহও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।[]

উম্মে কুলসুমকে সিরিয়ার দামেস্কের বাব সাগীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দামেস্কের আরভুইয়া গ্রামে উম্মে কুলসুমের মাজারটি অবস্থিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ফাতিমিয়রা বিশ্বাস করেন যে তিনি "ছোট যয়নব" (যয়নব দ্য ইয়ঙ্গার) নামেও পরিচিত ছিলেন এবং তাকে দামেস্কের সায়্যিদাহ জায়নব মসজিদে সমাধিস্থ করা হয়েছে; যদিও বড় যয়নব তার জীবনের শেষ মুহূর্ত কায়রোতে বসবাস করেছিলেন[১০] এবং কায়রোর যয়নব মসজিদে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Shams ad-Din al-Dhahabi. Siyar A`lam al-Nubala'. (2001). Volume 3: Kibar al-Tabi'in, p. 501. Beirut: Resalah Publishing House.[অনির্ভরযোগ্য উৎস?]
  2. Al-Shaykh al-Mufid. Kitab al-Irshad. Volume 1, p. 354.[যাচাই করার জন্য উদ্ধৃতি প্রয়োজন]
  3. Shams ad-Din al-Dhahabi. Siyar A`lam al-Nubala'. (2001). Volume 3: Kibar al-Tabi'in, p. 500. Beirut: Resalah Publishing House.
  4. Muhammad ibn Saad. Kitab al-Tabaqat al-Kabir Volume 8. Translated by Bewley, A. (1995). The Women of Madina. London: Ta-Ha Publishers.
  5. Abbas al-Qumi. Al-Kuna wal al-Alqab. (1989). Volume 1 (5th edition), p. 228.
  6. al-Qurashi, Baqir Shareef। The Life of Imam Husain (as)। পৃষ্ঠা 1502। 
  7. Muzaffari। Tarikh। পৃষ্ঠা 208। 
  8. al-Majlisi, Allamah Muhammad Baqir (১৬৯৪–১৬৯৮)। Bihar al-Anwar, Volume 45 
  9. Nasa'i 3:21:1980.
  10. "Balaghatun Nisa", by Abul Fazl Ahmad bin Abi Tahir