উম্মে কুলসুম বিনতে আলী
উম্মে কুলসুম বিনতে আলী | |
---|---|
أُمّ كُلْثُوم ٱبْنَت عَلِيّ | |
জন্ম | ৪ ফেব্রুয়ারি ৬২৭ (১৮ রবিউল আউয়াল ৬ হিজরি) |
মৃত্যু | দামেস্ক, উমাইয়া সাম্রাজ্য |
সমাধি | সায়্যিদাহ জয়নব মসজিদ, দামেস্ক, বা বাব সাঘীর, দামেস্ক, সিরিয়া |
পরিচিতির কারণ | ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নাতনী |
দাম্পত্য সঙ্গী | উমর ইবনুল খাত্তাব, আওন, মুহাম্মাদ, আব্দুল্লাহ |
সন্তান | যায়েদ, রুকাইয়া বিনতে উমর |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | |
পরিবার | House of Muhammad |
জয়নব আল-সুগরা (আরবি: زَيْنَب ٱلصُّغْرَىٰ, অনুবাদ 'ছোট জয়নব'), এছাড়াও তার উপনাম উম্মে কুলসুম বিনতে আলী হিসাবে পরিচিত (আরবি: أُمّ كُلْثُوم ٱبْنَت عَلِيّ), হচ্ছেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নাতনী এবং হযরত আলী (রা.) এর মেয়ে। তিনি হযরত উমর (রা.) কে বিয়ে করেছেন কিনা তা সুন্নী ও শিয়ার মধ্যে বিতর্কিত বিষয়।[১] তাকে তার বড় বোন, যয়নব আল-কুবরার থেকে আলাদা করার জন্য তাকে 'ছোট' উপাধি দেওয়া হয়ে ছিল।[২]
ইসলাম |
---|
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
পরিবার
[সম্পাদনা]তিনি হযরত আলী (রা.) এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মেয়ে হযরত ফাতিমা (রা.) এর চতুর্থ সন্তান হিসাবে ৬ হিজরির কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার ভাইবোনরা হলেন হাসান, হোসাইন এবং জায়নব আল-কুবরা।[৪]:১৮ মুহাম্মাদ তাকে 'উম্মে কুলসুম' উপনাম দিয়েছিলেন, কারণ তিনি তার খালা উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মাদ এর
সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।[৫]
কারবালার যুদ্ধ
[সম্পাদনা]তিনি কারবালার যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল, এই সময় তাঁর কানের দুল আক্রমণকারী সৈনিকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।[৬][৭] এরপরে, উম্মে কুলসুম তার ভাই হোসেইনকে ত্যাগ করার জন্য কুফার লোকদের সমালোচনা করেন, যিনি এই যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন।[৮]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]আবদুল্লাহর জীবদ্দশায় উম্মে কুলসুম এবং তার ছেলে জায়েদ একই সময়ে মারা গিয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ৮০ জন লোক তাদের জানাজা অংশগ্রহণ করেছিলেন,[৪]:২৯৯ যেখানে সা'দ ইবনুল আ'স জানাজার ইমামতি করেছেন এবং জামাতে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এবং আবু হুরাইরাহও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।[৯]
উম্মে কুলসুমকে সিরিয়ার দামেস্কের বাব সাগীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দামেস্কের আরভুইয়া গ্রামে উম্মে কুলসুমের মাজারটি অবস্থিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ফাতিমিয়রা বিশ্বাস করেন যে তিনি "ছোট যয়নব" (যয়নব দ্য ইয়ঙ্গার) নামেও পরিচিত ছিলেন এবং তাকে দামেস্কের সায়্যিদাহ জায়নব মসজিদে সমাধিস্থ করা হয়েছে; যদিও বড় যয়নব তার জীবনের শেষ মুহূর্ত কায়রোতে বসবাস করেছিলেন[১০] এবং কায়রোর যয়নব মসজিদে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Shams ad-Din al-Dhahabi. Siyar A`lam al-Nubala'. (2001). Volume 3: Kibar al-Tabi'in, p. 501. Beirut: Resalah Publishing House.[অনির্ভরযোগ্য উৎস?]
- ↑ Al-Shaykh al-Mufid. Kitab al-Irshad. Volume 1, p. 354.[যাচাই করার জন্য উদ্ধৃতি প্রয়োজন]
- ↑ Shams ad-Din al-Dhahabi. Siyar A`lam al-Nubala'. (2001). Volume 3: Kibar al-Tabi'in, p. 500. Beirut: Resalah Publishing House.
- ↑ ক খ Muhammad ibn Saad. Kitab al-Tabaqat al-Kabir Volume 8. Translated by Bewley, A. (1995). The Women of Madina. London: Ta-Ha Publishers.
- ↑ Abbas al-Qumi. Al-Kuna wal al-Alqab. (1989). Volume 1 (5th edition), p. 228.
- ↑ al-Qurashi, Baqir Shareef। The Life of Imam Husain (as)। পৃষ্ঠা 1502।
- ↑ Muzaffari। Tarikh। পৃষ্ঠা 208।
- ↑ al-Majlisi, Allamah Muhammad Baqir (১৬৯৪–১৬৯৮)। Bihar al-Anwar, Volume 45।
- ↑ Nasa'i 3:21:1980.
- ↑ "Balaghatun Nisa", by Abul Fazl Ahmad bin Abi Tahir