ইবাদাত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইবাদাত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো আনুগত্য, দাসত্ব, গোলামী, বন্দেগি ইত্যাদি। সুতরাং ইবাদাত মানে হচ্ছে বন্দেগি বা গোলামী করা। ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ-কর্মে আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়। আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেন- وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ অর্থাৎ আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমারই ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। (সূরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬)

ইবাদাত আরবি আবদ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো আনুগত্য, দাসত্ব, গোলামী, বন্দেগি ইত্যাদি। সুতরাং ইবাদাত মানে হচ্ছে বন্দেগি বা গোলামী করা। ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ-কর্মে আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।[১] আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেন- وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ অর্থাৎ আমি জিন ও মানবজাতিকে কেবল আমারই ইবাদত ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। (সূরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬)[২][৩]

ইবাদতের মূলনীতি[সম্পাদনা]

ইবাদত হলো সম্পূর্ণরূপে কুরআন-সুন্নাহ নির্ভর বিষয়। আল্লাহ কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তাঁর দাসত্ব তথা ইবাদত পছন্দ করেন, তা কেবল কুরআন ও রাসুলুল্লাহ সুন্নাহ ব্যতীত অন্য কোনো মাধ্যমে জানা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ইবাদাতের ক্ষেত্রে নব-উদ্ভাবন বা মনগড়া পদ্ধতির কোনো অবকাশ নেই। কেননা কীভাবে ইবাদত করলে আল্লাহ খুশি ও সন্তুষ্ট হবেন তা কুরআন ও সুন্নাহর মাধ্যমেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে পরিপূর্ণরূপে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ অনুসরণই হলো ইবাদতের মূলনীতি।

ইবাদত[সম্পাদনা]

ইবাদাত (عبادات) হলো ইবাদাহ এর বহুবচন। [৪] ইবাদাহ একাধিক অর্থ থাকলেও এটি ইসলামে উপাসনা পরিচালনার বিধি[৫] বা সমস্ত মুসলমানের নির্ধারিত বয়সের পরে ধর্মীয় উপাসনা কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামী আইনশাস্ত্র (ফিকাহ) মেনে তাদের দেহ ও মন পরিচালিত কার

ইসলাম ধর্মে ইবাদত এর পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। এই পাঁচটি বিষয়ের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।[৬]

  • কালেমা শাহাদাত: কালেমা শাহাদাত বলতে বুঝানো হয়েছে কালেমায়ে শাহাদাত মুখে বলা (সাক্ষ্য দেওয়া) ও অন্তরে বিশ্বাস করা (বিশ্বাস)৷ এই বিশ্বাসকে বলা হয় "ঈমান"৷[৬]
  • সালাত: নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদাত। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।[৬]
  • যাকাত: মুসলমানদের নির্ধারিত সীমার অধিক সম্পত্তি অর্জিত হলে তা হিজরি সনের ১ বছর ধরে সংরক্ষিত থাকলে মোট সম্পত্তির ২.৫ শতাংশ (২.৫%) বা ১/৪০ অংশ গরীব-দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করাই হলো যাকাত। [৬]
  • রোজা: সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ।[৬]
  • হজ্জ: শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ্জ্ব সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। আরবি জিলহজ্জ্ব মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজ্জ্বের জন্য নির্ধরিত সময়।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ইসলাম ও নৈতিকশিক্ষা"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "ইবাদাতের মর্মকথা"জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  3. Tariq al-Jamil (২০০৯)। "Ibadah"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন। John L. Esposito। The Oxford Encyclopedia of the Islamic World। Oxford: Oxford University Press। 
  4. Wehr, Hans। "Mawrid Reader. Hans Wehr, A Dictionary of Modern Written Arabic, 4th ed. (hw4)"ejtaal.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৯ 
  5. Bowker, John। "The Concise Oxford Dictionary of World Religions"oxfordreference.com। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  6. "Ibadah - Oxford Islamic Studies Online"www.oxfordislamicstudies.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]