ইসলাম ও পর্দা প্রথা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পর্দা প্রথা হচ্ছে মুসলিম জনসমাজে প্রচলিত একটি প্রথা। এটি ইসলাম ধর্ম কর্তৃক সমর্থিত। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক ইসলাম প্রধান দেশে পর্দার প্রচলন রয়েছে। এটা পুরুষ ও নারী সবার জন্য ফরজ।

ইসলাম ও পর্দা প্রথা[সম্পাদনা]

ইসলাম পর্দা প্রথাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে। কুরআন ও হাদিসে এ সম্পর্কে বলা আছে।

কুরআন ও পর্দা প্রথা[সম্পাদনা]

আল কুরআনের অনেক সূরাতে আল্লাহ তায়ালা পর্দা প্রথার কথা প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে বলেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন'

"মুমিন মহিলাদের বলো, তারা যেন তাদের নজর সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে, সাধারণ প্রকাশ থাকা ব্যতীত তাদের আবরণ প্রকাশ যেন না করে, তাদের ঘাড় ও বক্ষদেশ যেন ওড়না দ্বারা ঢেকে রাখে, আর তাদের আবরণ যেন প্রকাশ না করে তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র কিংবা স্বামী-পুত্র, ভাই, ভাইপো, বোন, বোনপো কিংবা চাকরাণী যারা তাদের অধিকারভুক্ত কিংবা অনুগত, যৌন কামনা শুন্য পুরুষ কিংবা নারী - গোপন অঙ্গে অজ্ঞ বালক ব্যতীত অন্যদের সম্মুখে সজোরে পদ নিক্ষেপ না করে নিজেদের আবরণ প্রকাশের কারণে, হে মুমিনরা সার্বিকভাবে তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর, যাতে সফলকাম হতে পার

— কুরআন - সূরা নূর, আয়াত ৩১

হাদিস ও পর্দা প্রথা[সম্পাদনা]

অনেক হাদিসে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স.) পর্দা করার কথা বলেছেন।

পর্দা প্রথায় ব্যবহৃত পোশাক[সম্পাদনা]

পর্দা করতে মুসলিম নারীরা সাধারণত যেসম পোশাক ব্যবহার করে তা হলো:

ইত্যাদি। মুসলিম পুরুষদের পর্দার জন্য ব্যবহৃদ পোশাক -

  • সতর ঢাকা।
  • পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা।
  • চোখ অবনত করা।
  • পরনারী না দেখা।
  • স্কিন প্যান্ট ও শার্ট না পরা।
  • বুক বা সিনা খোলা না রাখা।

ইত্যাদি।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]