বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহাম্মাদের প্রথম ওহী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইসলাম ধর্মে, মুহাম্মদের প্রথম ওহির সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সাধারণভাবে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, এটি ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ঘটেছিল। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সময়ে মুহাম্মদ ধারাবাহিকভাবে কিছু অতিন্দ্রিয় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন, যেখানে তাঁকে আল্লাহর বার্তাবাহক হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ দায়িত্ব সম্পর্কে জানানো হয়। এরপর তিনি একাকীত্ব খুঁজে নিতে মক্কার কাছে জাবাল আল-নূর পর্বতের হিরা গুহায় নির্জনে অবস্থান শুরু করেন। সেখানে অবস্থানকালেই তাঁর কাছে ফেরেশতা জিবরাইল উপস্থিত হন এবং তাঁকে কোরআনের প্রাথমিক অংশ অবতীর্ণ করেন।[] এভাবেই চল্লিশ বছর বয়সে মুহাম্মদের নবুয়তের জীবন শুরু হয়, এবং তিনি "নবীদের সীলমোহর" রূপে আত্মপ্রকাশ করেন।

ওহির তারিখ

[সম্পাদনা]

ওহির সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এই বিষয়ে মতভেদ রয়েছে।

প্রথম ওহির সময় ক্যালেন্ডারের অবস্থা

[সম্পাদনা]

ক্যালেন্ডারের মাসগুলোকে ঋতুভিত্তিক ঘূর্ণনের হাত থেকে রক্ষা করতে অধিমাস পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো। এর মাধ্যমে মাঝে মাঝে একটি অতিরিক্ত মাস সংযুক্ত করা হতো, যা সাধারণত হজের সময় ঘোষণা করা হতো। এই অধিমাস ideally ১৯ বছরে সাতবার অন্তর্ভুক্ত করা হতো। বলা হয়, এই পদ্ধতি ৪১২ খ্রিষ্টাব্দে চালু হয় এবং এটি ইহুদিদের কাছ থেকে গৃহীত হয়েছিল; ইহুদি সমাজে এই পদ্ধতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নাসী বলা হতো।[]

আরবরা এই পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং নাসী শব্দটি পুরো ব্যবস্থাটিকেই বোঝাতে শুরু করে। এটি ইহুদি অনুশীলনের অনুরূপ ছিল, যেখানে বছরের শুরু (মুহাররম) বসন্ত ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করা হতো।[] ৬৩০ ও ৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে নাসী অধিমাস ঘোষণা করেছিল (ইব্রাহিমের জন্ম ও মৃত্যু এবং তাঁর মৃত্যুর সকালে সূর্যগ্রহণের সময়কাল থেকে তা প্রমাণিত)। তবে ৬৩২ সালে আর কোনো অধিমাস ঘোষণা করা হয়নি। সে সময় বসন্ত বিষুব দিনটি ছিল প্রায় ১৯ মার্চ।

প্রথম ওহির তারিখ নির্ধারণ

[সম্পাদনা]

ইসলামি পণ্ডিত সফিউর রহমান মুবারকপুরী-এর মতে, এই ঘটনা ঘটেছিল সোমবার, রমজান মাসের ২১ তারিখে, সূর্যোদয়ের ঠিক আগে (১০ আগস্ট ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ)। তখন মুহাম্মদের বয়স ছিল ৪০ চাঁন্দ্র বছর, ৬ মাস ও ১২ দিন (সূর্য বছর অনুযায়ী ৩৯ বছর, ৩ মাস ও ২২ দিন)।[]

অন্য সূত্রগুলো স্থির (অধিমাসবিহীন) ক্যালেন্ডারকে পেছনে গণনা করে হিসাব করে যে, ওহির ঘটনা ঘটেছিল রবিবার থেকে সোমবার রাত, ১৩ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।

সারসংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

মুহাম্মদের জীবনী অনুযায়ী, মক্কার কাছে একটি পাহাড়ি গুহায় (হিরা গুহা) ধ্যানরত অবস্থায়, যেখানে তিনি প্রায়ই নিজ সম্প্রদায়ের কুকর্ম নিয়ে ভাবতে যেতেন, সেখানে ফেরেশতা জিবরাইল তাঁর কাছে উপস্থিত হন এবং তাঁকে আদেশ করেন: “পড়ো!” মুহাম্মদ উত্তরে বলেন, “আমি পড়তে পারি না!” এরপর জিবরাইল তাঁকে জোরে ধরে এমনভাবে চেপে ধরেন যে তিনি আর সহ্য করতে পারেন না। এই ঘটনা আরও দুইবার ঘটে। এরপর জিবরাইল তাঁকে কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরার প্রথম কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ করেন:

“পড়ো, তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন,
একটি ঝুলন্ত বস্তু থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
পড়ো, আর তোমার প্রভু পরম দয়ালু—
যিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন,
মানুষকে তিনি শিখিয়েছেন যা সে জানত না।” (বুখারি ৪৯৫৩)[]

ওহির পূর্ববর্তী সময়

[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ মক্কায় জন্মগ্রহণ ও বড় হন। যখন তাঁর বয়স প্রায় ৪০, তখন তিনি অনেক সময় নির্জনে প্রার্থনা ও সৃষ্টিজগত নিয়ে চিন্তাভাবনায় কাটাতেন।[][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] তিনি তখন ইসলাম-পূর্ব আরবে বিদ্যমান ঐশী নির্দেশনার অভাব, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অবিচার, ব্যাপক বৈষম্য, গোত্রীয় সংঘাত ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।[] তাঁর চারপাশের নৈতিক অবক্ষয় এবং সত্য ধর্মের সন্ধান তাঁকে মাঝে মাঝে হিরা নামক একটি গুহায় (যা মক্কার উত্তরদিকে তিন মাইল দূরে) ধ্যানের জন্য নির্জনে অবস্থান করতে উদ্বুদ্ধ করে।[] ইসলামি ঐতিহ্য অনুযায়ী, এই সময়ে মুহাম্মদ এমন কিছু স্বপ্ন দেখতেন, যেগুলোর ছিল গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য এবং সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হতো; এটিকেই তাঁর ওহির সূচনা ধরা হয়।[][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]

প্রথম ওহি

[সম্পাদনা]
হিরা গুহার প্রবেশপথ

ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, ধ্যানের এক পর্বে, ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে, ফেরেশতা জিবরাইল তাঁর কাছে আগমন করেন এবং বলেন, “পড়ো।” মুহাম্মদ বলেন, “আমি পড়তে পারি না।” এরপর জিবরাইল তাঁকে জোরে চেপে ধরেন এবং তিনি আর সহ্য করতে পারেন না। এই ঘটনা আরও দুইবার ঘটে। তারপর জিবরাইল মুহাম্মদকে নিম্নোক্ত আয়াতগুলো পাঠ করতে বলেন:[][১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫]

"তোমার প্রতিপালকের নামে পড়ো, যিনি সৃষ্টি করেছেন
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ঝুলন্ত বস্তু থেকে।
পড়ো, আর তোমার প্রভু পরম দয়ালু—
যিনি কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন,
যিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানত না।"[কুরআন ৯৬:১–৫][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ওহির পর

[সম্পাদনা]

এই নতুন অভিজ্ঞতায় বিস্মিত হয়ে মুহাম্মদ বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি ভেবেছিলেন, সম্ভবত কোনো জিন (অশরীরী) তাঁকে আচ্ছন্ন করেছে। তিনি বলেন, “ধ্বংস আমার — আমি কি কবি, না কি জিনে ধরেছে?” কিন্তু তাঁর স্ত্রী খাদিজা তাঁকে সান্ত্বনা দেন এবং বলেন, “না, আল্লাহর কসম, আল্লাহ আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না।” খাদিজা তাঁকে নিয়ে তাঁর নেস্টোরীয় খ্রিস্টান চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফালের কাছে যান। ইসলামি ঐতিহ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ যা বলেছিলেন তা শুনে ওয়ারাকা তাঁর নবুয়তের সত্যতা স্বীকার করেন[][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন][১৬] এবং মুহাম্মদকে বোঝান যে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই ওহি।[১৭] ওয়ারাকা বলেন, “হে আমার ভাতিজা! তুমি কী দেখেছ?” মুহাম্মদ যা ঘটেছিল তা বললে, ওয়ারাকা বলেন, “এটি নামূস (অর্থাৎ জিবরাইল), যাকে আল্লাহ মূসার কাছে পাঠিয়েছিলেন। হায়! যদি আমি তখন যুবক হতাম, যদি আমি জীবিত থাকতাম যেদিন তোমার জাতি তোমাকে ত্যাগ করবে।” মুহাম্মদ জিজ্ঞেস করেন, “তারা কি আমাকে বহিষ্কার করবে?” ওয়ারাকা বলেন, “হ্যাঁ, কারণ যারাই তোমার মতো বার্তা নিয়ে এসেছে, তারাই শত্রুতার সম্মুখীন হয়েছে। আমি যদি তখন জীবিত থাকি, তবে তোমাকে দৃঢ়ভাবে সহায়তা করব।” কয়েক দিন পর ওয়ারাকা মৃত্যুবরণ করেন।[১৮]

প্রথম ওহির পর কিছু সময়ের জন্য ওহি বন্ধ থাকে। এরপর ফের একবার জিবরাইল তাঁর কাছে আসেন। এই বিরতির সময় মুহাম্মদ এতটাই বিমর্ষ হয়ে পড়েন যে তিনি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পাহাড়ে ওঠেন। তখন তিনি আকাশ থেকে একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পান এবং জিবরাইলকে আকাশ ও মাটির মধ্যবর্তী স্থানে বসা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ওহি পুনরায় শুরু হয়, যার সূচনা হয় ৭৪ নম্বর সূরার আয়াত দিয়ে।

আল-তাবারীইবনে হিশাম বর্ণনা করেন যে মুহাম্মদ প্রথম ওহিতে বিস্মিত হয়ে হিরা গুহা ত্যাগ করেন, কিন্তু পরে আবার ফিরে গিয়ে ধ্যান অব্যাহত রাখেন এবং পরবর্তীতে মক্কায় ফিরে আসেন। তাবারী ও ইবনে ইসহাক লেখেন, মুহাম্মদ জুবাইর-কে বলেছিলেন:[১৮]

"আমি যখন পাহাড়ের মাঝামাঝি ছিলাম, তখন আকাশ থেকে একটি কণ্ঠস্বর শুনলাম: 'হে মুহাম্মদ! তুমি আল্লাহর রসূল এবং আমি জিবরাইল।' আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি, জিবরাইল মানুষের রূপে দিগন্ত জুড়ে দাঁড়িয়ে বলছেন, 'হে মুহাম্মদ! তুমি আল্লাহর রসূল এবং আমি জিবরাইল।' আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম, না এগোতে পারলাম, না পেছাতে পারলাম। আমি মুখ ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু যেদিকেই তাকালাম, তাঁকে আগের অবস্থাতেই দেখতে পেলাম।"

মুহাম্মদের প্রথম ও দ্বিতীয় ওহির মধ্যে কত সময় বিরতি ছিল, সে বিষয়ে জীবনীকারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইবনে ইসহাক বলেন, প্রথম ওহির তিন বছর পর তিনি জনসমক্ষে প্রচার শুরু করেন। বুখারি মনে করেন, ৭৪ নম্বর সূরাই দ্বিতীয় ওহি, তবে ৬৮ নম্বর সূরারও দ্বিতীয় ওহি হওয়ার শক্ত দাবি রয়েছে।[১৯]

খ্রিস্টীয় প্রভাব

[সম্পাদনা]

পল নিউনকির্শেন বলেন, মুহাম্মদের প্রথম ওহি ইসায়া ৪০:৬ অনুসারে নির্মিত হয়েছিল:[২০] তিনি মত দেন, এই বিবরণ মুহাম্মদের মৃত্যুর বহু বছর পর মুসলমানদের কল্পনায় গঠিত হয়েছিল এবং এটি ঐতিহাসিক বাস্তবতার পরিবর্তে একটি গঠিত স্মৃতিচিত্র।

একটি কণ্ঠ বলল: "প্রচার করো!"

তিনি বললেন: "আমি কী প্রচার করব?"[২১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Weir, T.H.; Watt, W. Montgomery (২০১২-০৪-২৪)। "Ḥirāʾ"। Bearman, P.; Bianquis, Th.; Bosworth, C.E.; van Donzel, E.; Heinrichs, W.P.। Encyclopaedia of Islam (2nd সংস্করণ)। Brill Online। ২০১৩-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. Bab. Talmud, Sanhedrin, p. 11a: "the intercalation of the year may only be done with the approval of the nasī."
  3. Peters, F E (১৯৯৪)। Muhammad and the origins of Islam। New York। পৃষ্ঠা 252। আইএসবিএন 0-7914-1875-8। ২০২৩-০৪-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২The Hajj fell on March 10, in the intercalated year 632 A.D., the vernal equinox in the Julian calendar then in use, and if the traditionalists were correct, in that year it coincided with the Passover and Easter tides. With intercalation, which annually tied the Hajj to the spring season, that must not have been a rare occurrence, but Muhammad's abolition of the practice ensured that that coincidence would not soon happen again: henceforward the Hajj would occur according to the lunar cycle and thus annually retrogress, along with all other Muslim festivals, eleven days against the solar calendar. 
  4. Mubārakpūrī, Ṣafī R. (১৯৯৮)। When the Moon Split (A Biography of the Prophet Muhammad)। Riyadh: Darussalam। পৃষ্ঠা 32। 
  5. "Sahih al-Bukhari 4953 - Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet (pbuh)) - كتاب التفسير - Sunnah.com - Sayings and Teachings of Prophet Muhammad (صلى الله عليه و سلم)"sunnah.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-০৮ 
  6. শিবলী নোমানী. সীরাতুন্নবী. খণ্ড ১, লাহোর
  7. Husayn Haykal, Muhammad (২০০৮)। The Life of MuhammadSelangor: Islamic Book Trust। পৃষ্ঠা 79–80। আইএসবিএন 978-983-9154-17-7 
  8. Bogle, Emory C. (১৯৯৮)। Islam: Origin and Belief। Texas University Press। পৃষ্ঠা 6আইএসবিএন 0-292-70862-9 
  9. মুহাম্মদ মুস্তফা আল-আজমী (২০০৩), The History of The Qur'anic Text: From Revelation to Compilation: A Comparative Study with the Old and New Testaments, পৃ. ২৫, ৪৭–৪৮। ইউকে ইসলামিক অ্যাকাডেমি। আইএসবিএন ৯৭৮-১৮৭২৫৩১৬৫৬
  10. Brown (2003), পৃ. ৭২–৭৩।
  11. Sell (1913), পৃ. ২৯।
  12. "Bukhari volume 1, book 1, number 3"। ২০১৩-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-২৫ 
  13. সহিহ বুখারি ৩৩৯২; গ্রন্থসূত্র: বই ৬০, হাদিস ৬৬। ইউএসসি-এমএসএ ওয়েব (ইংরেজি) সূত্র: খণ্ড ৪, বই ৫৫, হাদিস ৬০৫।
  14. সহিহ মুসলিম ১৬০ (ক); গ্রন্থসূত্র: বই ১, হাদিস ৩১০; ইউএসসি-এমএসএ ওয়েব (ইংরেজি) সূত্র: বই ১, হাদিস ৩০১।
  15. ইবনে ইসহাক, সীরাত রাসূল আল্লাহ, পৃ. ১০৬।
  16. Sell (1913), পৃ. ৩০।
  17. Juan E. Campo (২০০৯)। "Muhammad"Encyclopedia of Islam। New York। পৃষ্ঠা 492। আইএসবিএন 978-0-8160-5454-1। ২০২৩-০৪-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০১ 
  18. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; tabari নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  19. Bennett, Clinton (১৯৯৮)। In Search of Muhammadবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন। Cassell। পৃষ্ঠা 41আইএসবিএন 0826435769 
  20. Neuenkirchen, Paul (২০১৬-১১-১১)। "The Death of a Prophet. The End of Muhammad's Life and the Beginnings of Islam, written by Stephen J. Shoemaker"Studia Islamica111 (2): 317–323। আইএসএসএন 0585-5292ডিওআই:10.1163/19585705-12341344 
  21. Neuenkirchen, Paul (১১ নভেম্বর ২০১৬)। "Stephen Shoemaker, The Death of a Prophet. The End of Muhammad's Life and The Beginnings of Islam (Studia Islamica 2016) (Review)"Academia.edu