রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী বিভাগ | |
---|---|
বিভাগ | |
রাজশাহী বিভাগ এর মানচিত্র | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°০০′ উত্তর ৮৯°০০′ পূর্ব / ২৫.০০০° উত্তর ৮৯.০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপিত | ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দ |
সদর দপ্তর | রাজশাহী |
সরকার | |
• বিভাগীয় কমিশনার | ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির |
আয়তন | |
• মোট | ১৮,১৫৩.০৮ বর্গকিমি (৭,০০৮.৯৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২ আদমশূমারী) | |
• মোট | ২,৩৩,৫৩,১১৯ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৩০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | BD-E |
রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের পর এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জনবহুল বিভাগ। এবং আয়তনে চতুর্থ বৃহত্তম বিভাগ। ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ১১৯ জন। এবং আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার। রাজশাহী বিভাগটি একটি প্রাচীন এলাকা হওয়ার সুবাদে এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রত্নস্থান দেখা যায়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগে ১৩৪ টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। এরমধ্যে বৃহত্তর রাজশাহীর বর্তমান নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া এই বিভাগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আম ও পান চাষ হয়। মিঠা পানির মাছ চাষে প্রথম সারির বিভাগ রাজশাহী। এছাড়া গবাদি পশুর চাহিদার সবচেয়ে বড় অবদান রাখে রাজশাহী বিভাগ। রাজশাহী বিভাগে আয়তনে সবচেয়ে বড় জেলা নওগাঁ। এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় বগুড়া জেলা। রাজশাহী ও বগুড়া শহর বাংলাদেশের প্রথম সারির শহর। রাজশাহী শহরে দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রধান কার্যালয় অবস্থিত যেমন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পোস্টাল একাডেমী, বাংলাদেশ স্টাডিজ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল সদর দপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ এডাকেমী, ইত্যাদি। রাজশাহী বিভাগে আটটি জেলা, ৬৭টি উপজেলা, ৫৯টি পৌরসভার এবং ৫৬৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।[১] রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া এবং পাবনা রাজশাহী বিভাগের চারটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র এবং বড় শহর। নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট প্রধান কৃষি এলাকা। রাজশাহী হল এ বিভাগের রাজধানী।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৮২৯ সালে উত্তরবঙ্গের বিশাল অংশ নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত হয়েছিল। সে সময় এর সদর দপ্তর ছিল ভারতের মুর্শিদাবাদ। ৮টি জেলা নিয়ে এই বিভাগটি গঠিত হয়েছিল। জেলাগুলো ছিলঃ মুর্শিদাবাদ, মালদহ, জলপাইগুড়ি, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা ও রাজশাহী। কয়েক বছর পর বিভাগীয় সদর দপ্তর বর্তমান রাজশাহী শহরের রামপুর-বোয়ালিয়া মৌজায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে বিভাগীয় সদর দপ্তর ভারতের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সালের পাক-ভারত বিভাজনের পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বিভাগে পরিণত করা হয় রাজশাহীকে এবং এই বিভাগের সদর দফতর রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো ছিলঃ কুষ্টিয়া, খুলনা, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, যশোর, রংপুর ও রাজশাহী। ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিভাগের খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর এবং ঢাকা বিভাগের বরিশাল জেলা কর্তন করে খুলনা বিভাগ গঠন করা হয়। ফলে রাজশাহী বিভাগের জেলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ এবং জেলগুলো ছিলঃ দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহী। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, ৫ টি জেলা নিয়ে রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে এই বিভাগের প্রতিটি জেলার মহকুমা জেলাতে পরিণত হয়। তখন এই বিভাগের মোট জেলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। যে ৫ জেলাকে ভেঙে যে নতুন জেলাগুলো হয়ঃ
- বগুড়া (বগুড়া ও জয়পুরহাট)
- পাবনা (পাবনা ও সিরাজগঞ্জ )
- রাজশাহী (রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
- দিনাজপুর (দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও)
- রংপুর (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট)
২০১০ সালে রংপুর অঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে রংপুর বিভাগ গঠন করা হয় এবং রাজশাহী অঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে বর্তমান রাজশাহী বিভাগ পুনঃগঠিত হয়।
নদ-নদী
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত রাজশাহী বিভাগেও নদ-নদীর অভাব নেই। রাজশাহী বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীসমূহ হচ্ছে পদ্মা, যমুনা, মহানন্দা, আত্রাই, ইছামতি, করতোয়া, বড়াল, তুলসীগঙ্গা, পুনর্ভবা, গুমানি, নাগর, বাঙ্গালী প্রধান। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট নদ-নদী রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]উচ্চ শিক্ষার জন্য বর্তমানে রাজশাহী বিভাগে সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১টি আর্মি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হল
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় [২]
- রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
- ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নাটোর
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
এছাড়াও এই বিভাগে পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। কলেজগুলো হল
- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী
- পাবনা মেডিকেল কলেজ, পাবনা
- শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া
- শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ
- নওগাঁ মেডিকেল কলেজ , নওগাঁ
- বগুড়া সেনানিবাসে, আর্মি মেডিকেল কলেজ, বগুড়া নামে সামরিক মেডিকেল কলেজ আছে।
উল্লেখযোগ্য কলেজ সমূহ—
- আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজ
- বিনোদপুর কলেজ
- এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
- নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
- নবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
- সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
- শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
- নবাবগঞ্জ সিটি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
- শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজ
- নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী,
- রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী
- রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ, রাজশাহী
- নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজ,নাটোর
- রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজ,নাটোর
- গোলে আফরোজ সরকারি কলেজ, সিংড়া, নাটোর
- সরকারি আজিজুল হক কলেজ , বগুড়া
- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজ, বনপাড়া,নাটোর
- সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ, বগুড়া
- শহীদ নাজমুল হক সরকারি কলেজ, নলডাঙ্গা, নাটোর
- নওগাঁ সরকারি কলেজ
- আব্দুলপুর সরকারি কলেজ, লালপুর, নাটোর
- সরকারি বি এম সি মহিলা কলেজ, নওগাঁ
- জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ, জয়পুরহাট
- জয়পুরহাট সরকারি কলেজ
- বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ, গুরুদাসপুর,নাটোর
- সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ
- সরকারি আকবর আলী কলেজ, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ
- বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ
- কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজ,বাগাতিপাড়া,নাটোর
- বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ,বাগাতিপাড়া,নাটোর
- বড়াইগ্রাম সরকারি ডিগ্রি কলেজ,বড়াইগ্রাম,নাটোর
- দিঘাপতিয়া এম কে কলেজ,নাটোর
পলিটেকনিক সমূহ—
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- নাটোর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট
- ইম্পেরিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
ভৌগোলিক অবস্থান
[সম্পাদনা]এই বিভাগের দক্ষিণে খুলনা বিভাগ, উত্তরে রংপুর বিভাগ ও ভারত, পশ্চিমে ভারত, পূর্বে ঢাকা বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগ অবস্থিত।
প্রশাসনিক জেলাসমূহ
[সম্পাদনা]৮টি জেলা নিয়ে এই বিভাগটি গঠিত; এগুলো হলো:
নাম | প্রশাসনিক কেন্দ্র | এলাকা (কিমি ²) | জনসংখ্যা (২০১১ জনগণনা) |
---|---|---|---|
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ১,৭০২.৫৬ | ১৬,৪৭,৫২১ |
জয়পুরহাট জেলা | জয়পুরহাট | ৯৬৫.৪৪ | ৯,৫০,৪৪১ |
নওগাঁ জেলা | নওগাঁ | ৩,৪৩৫.৬৭ | ২৬,০০,১৫৮ |
নাটোর জেলা | নাটোর | ১,৯০৫.০৫ | ১৮,২১,৩৩৬ |
পাবনা জেলা | পাবনা | ২,৩৭১.৫০ | ২৮,৬০,৫৪০ |
বগুড়া জেলা | বগুড়া | ২,৮৯৮.২৫ | ৩৫,৩৯,২৯৪ |
রাজশাহী জেলা | রাজশাহী | ২,৪০৭.০১ | ২৩,৭৭,৩১৪ |
সিরাজগঞ্জ জেলা | সিরাজগঞ্জ | ২,৪৯৭.৯২ | ৩৫,৪৪,০৮০ |
মোট জেলা | ০৮টি | ১৮,১৫৩.০৮ | ১,৮৪,৮৪,৮৫৮ |
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- আবদুল হামিদ খান ভাসানী
- মুহাম্মদ মনসুর আলী
- মাওলানা আব্দুল রশিদ তর্কবাগীশ
- এম এ মতিন
- সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
- মোহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন
- আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান
- এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
- মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ১৪ দলের মুখপাত্র।
- অধ্যাপক ড .আবু সাইয়িদ (এম.এন.এ), সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- আলহাজ্ব এডভোকেট শামসুল হক টুকু (এমপি), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- আব্দুল জলিল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- মির্জা আব্দুল জলিল সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগ
- আব্দুল করিম খন্দকার (একে খন্দকার), মুক্তিযুদ্ধের উপ সেনাপ্রধান, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান
- অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাসিবুর রশীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য
- সুচিত্রা সেন অভিনেত্রী
- বাপ্পি লাহিড়ী সঙ্গীতশিল্পী
- যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী গণিত সম্রাট
- রজনী কান্ত সেন কবি
- আলী রাজ অভিনেতা
- জাহিদ হাসান অভিনেতা
- হৈমন্তী শুক্লা গায়িকা
- মহাদেব সাহা কবি
- ছবি বিশ্বাস
- ফজলে লোহানী
- ফতেহ লোহানী
- তৌকির আহমেদ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
- আব্দুল্লাহ আল মুতি বিজ্ঞানী
- আবদুল খালেক (শিক্ষাবিদ)
- কে জি মুস্তফা - সাংবাদিক কলামিষ্ট, ভাষা সৈনিক (একুশে পদক প্রাপ্ত)
- আবু হেনা মোস্তফা কামাল - শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক, গীতিকার (একুশে পদক প্রাপ্ত)
- মুন্সি কবির উদ্দিন আহমেদ - শহীদ মু্ক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক (স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত)
- শেখ সাত্তার আলফা - জয় বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা
- আরিফুর রহমান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান কার্টুনিস্ট, চিত্রশিল্পী।
- আলম খান: গীতিকার ও সুরকার।
- মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ- বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের অন্যতম মুসলমান বাঙালী চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক
- খাজা ইউনুস আলী
- আবু হাসান শাহরিয়ার
- ইবনে মিজান
- কে এম আব্দুস সালাম, সচিব।
- মকবুলা মনজুর, লেখক।
- মলয় ভৌমিক:নাট্যকআর।
- রফিকুল ইসলাম সেখ
- কবির বিন আনোয়ার, সচিব।
- দেওয়ান নজরুল
- এইচ টি ইমাম
- সাইফুল আজম
- মোহাম্মদ নাসিম
- জিয়াউর রহমান
- খালেদা জিয়া
- তারেক রহমান
- জেমস্
- জুনাইদ আহমেদ পলক
- ফরিদা পারভিন
- লতিফুল ইসলাম শিবলী
- আমজাদ খান চৌধুরী
- আবু হেনা রনি
- রাণী ভবানী
- মনজুর আলম বেগ
- মনতাজুর রহমান আকবর
- খালেদ মাসুদ পাইলট
- মুশফিকুর রহিম
- জাহিদ হাসান
- আরিফুর রহমান
- চঞ্চল চৌধুরী
- অপু বিশ্বাস
- মাহিয়া মাহী
- তাইজুল ইসলাম
- সাব্বির রহমান
- বিদ্যা সিনহা সাহা মীম
- তানভীর শাকিল জয়
শস্য, খাবার ও পণ্য
[সম্পাদনা]রাজশাহী সাধারনত ফলের জন্য সুপরিচিত, বিশেষ করে আম ও লিচু। এছাড়াও রাজশাহীতে অনেক ধরনের শস্য এবং সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে, এর মধ্যে আলু, গাজর, পটল, পেঁয়াজ, আখ, কলা, ধান, গম ও মরিচ প্রভৃতি অন্যতম। বগুড়া জেলার দই ও ক্ষীর পুরো বাংলাদেশে বিখ্যাত। বাংলাদেশে জয়পুরহাট খাদ্য সংরক্ষণ এলাকা হিসাবে সুপরিচিত। বাংলাদেশের মধ্যে বগুড়ার লাল মরিচ বিখ্যাত।এছাড়া কাহালুর কল্যাণপুর গ্রাম মরিচ চাষের এবং নাটোর গম,আখ,রসুন চাষের জন্য বিখ্যাত।নাটোরএর কাঁচাগোল্লা দেশ ও দেশের বাহিরে বিখ্যাত।
বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার শান্তাহারএ আছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম খাদ্য সংরক্ষণ গুদাম(সাইলো)।
- জেলা ভিত্তিক কৃষজ উৎপাদন
- রাজশাহী জেলা →আম,লিচু,ধান,পাট
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা →আম, লিচু,ধান,গম,সবজি
- বগুড়া জেলা→দই,ক্ষীর, কটকটি,মরিচ,আলু,গম,সরিষা,ধান,কলা,
পেঁপে,মাছ।
- পাবনা জেলা→(পেঁয়াজ), ডাল,গম,পেয়ারা,কাঁঠাল, মাছ
- নাটোর জেলা →আখ,গম,রসুন,পাট,মাছ,ধনিয়া,মরিচ,বেগুন,আম,লিচু,ডাগন,ধান,তরমু,কলা,ভুট্টা,সবজি ইত্যাদি।
- নওগাঁ জেলা →আম, মাছ, সবজি,ধান, পাট, ভুট্টা, গম, পাট
- সিরাজগঞ্জ →গম,ধান,ভুট্টা, মাছ,তিল,গরুর দুধ
- জয়পুরহাট জেলা →আলু,গম,তুলা,পাট,সবজি
দর্শনীয় স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]রাজশাহী বিভাগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হবার কারণে রাজশাহী অঞ্চলে ভ্রমনের জন্য অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
অন্তর্ভুক্ত দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
- বঙ্গবন্ধু সেতু (সিরাজগঞ্জ)
- চাইনা বাধ (সিরাজগঞ্জ)
- তাহেরপুর রাজবাড়ী, তাহেরপুর শহরে অবস্থিত।
- সোমপুর বিহার, একটি বৃহত্তম বৌদ্ধ মন্দির।
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাংলার সুপ্রাচিন জাদুঘর।
- হার্ডিঞ্জ ব্রীজ, পাকশী, পাবনা।
- লালন শাহ সেতু, পাকশী, পাবনা।
- তাড়াশ ভবন, পাবনা।
- মহাস্থানগড়, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন, বাংলার প্রাচীনতম রাজধানী
- ভাসু বিহার, বগুড়া
- খেরুয়া মসজিদ, বগুড়া
- গোকুল মেধ, বগুড়া
- মহাস্থানগড় জাদুঘর
- নবাব প্যালেস, বগুড়া
- শীলাদেবীর ঘাট, বগুড়া
- পুঠিয়া রাজবাড়ি, পুরনো জমিদার বাড়ি।
- বাঘা মসজিদ, রাজশাহী জেলার বাঘা থানায় অবস্থিত।
- উত্তরা গণভবন, নাটোরের দীঘাপতিয়ায় অবস্থিত রাজবাড়ি।
- কুসুম্বা মসজিদ, নওগাঁ।
- ছোট সোনা মসজিদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
- চলন বিল, বৃহত্তম বিল যা নাটোর এবং পাবনা পর্যন্ত বিস্তৃত।
- পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
- গোবিন্দ ভিটা, শিবগঞ্জ, বগুড়া।
- হালতি বিল নাটোরের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল, যা নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি পর্যটন স্থান, বর্ষা মৌসুমে এখানে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা, তাই এই বিলটা এখন মিনি কক্সবাজার নামে ও পরিচিত।
- নাটোর রাজবাড়ী বিশাল আয়তনে ঘেরা একটি রাজবাড়ি যা আর্ধবঙ্গেশ্বরি রাণী ভবানী দ্বারাও পরিচালিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ জাতীয় তথ্য বাতায়ন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ রুয়েট অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ মে ২০১৪ তারিখে
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বাংলাপিডিয়ায় রাজশাহী বিভাগ
- রাজশাহী বিভাগের সরকারী ওয়েবসাইট জাতীয় তথ্য বাতায়ন।