ইছামতি নদী (পাবনা)
ইছামতি নদী | |
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
অঞ্চল | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | পাবনা জেলা |
উৎস | পদ্মা নদী |
- স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৭′০৯″ উত্তর ৮৯°১৫′১২″ পূর্ব / ২৩.৯৫২৫৬৫৯° উত্তর ৮৯.২৫৩৩২৩১° পূর্ব |
মোহনা | মরা হুরাসাগর নদী |
- স্থানাঙ্ক | ২৪°০৫′৩৭″ উত্তর ৮৯°৩৭′০১″ পূর্ব / ২৪.০৯৩৭১৬৯° উত্তর ৮৯.৬১৬৯৭১১° পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) |
ইছামতি নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাবনা জেলার একটি নদী।[১] নদীটির দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১২০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ইছামতি নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ০৯।[২]
প্রবাহ
[সম্পাদনা]ইছামতি নদীটি পাবনা জেলার পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে প্রবহমান পদ্মা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই জেলার বেড়া উপজেলার পৌরসভা এলাকা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে মরা হুরাসাগর নদীতে নিপতিত হয়েছে। আত্রাই নদী (পাবনা) হচ্ছে এর একমাত্র শাখানদী। মৌসুমি প্রকৃতির এই নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে না। শুকনো মৌসুমে নদীটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। সেসময় নদীর অঙ্গনজুড়ে পাম্প দিয়ে সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করা হয়। তবে বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। নদীটির কোথাও ভাঙনপ্রবণতা পরিলক্ষিত হয় না।[২]
খনন
[সম্পাদনা]নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর উদ্যোগে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যায়ে খাল সহ প্রায় ১১০ কিলোমিটার নদী খননের প্রকল্প গ্রহন করা হয়।[৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ম ইনামুল হক, বাংলাদেশের নদনদী, অনুশীলন ঢাকা, জুলাই ২০১৭, পৃষ্ঠা ১৪১।
- ↑ ক খ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৯৩। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ প্রতিনিধি, পাবনা (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)। "ইছামতি নদীর প্রাণ ফেরাতে দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প"। বিভিনিউজ২৪ডটকম। ঢাকা: শ্যামল বাংলা মিডিয়া লিমিটেড। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২৫।