বিষয়বস্তুতে চলুন

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২০০১; ২৪ বছর আগে (2001)
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যড. মো. কুদরত-ই-জাহান
অবস্থান,
সংক্ষিপ্ত নামববিপ্রবি
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থিত। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৮ তে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে।

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বগুড়া সদর উপজেলার উপশহর নামক স্থানে স্থাপিত অস্থায়ী কার্যালয় থেকে। হোল্ডিং নং: ১৭০৭-০১, রোড নং: ০১, উপশহর হাউজিং এস্টেট, বগুড়া

'বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১' অনুযায়ী বগুড়া জেলার জামালপুর নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন।

১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ব‌বিদ্যালয়‌ প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। আওয়ামী লীগের ওই মেয়াদের শেষ সময়ে এটা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে এক অদৃশ্য কারণে এটার সরকারি অনুমোদন বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সেটা যখন আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাইয়ের (ভেটিং) জন্য পাঠানো হয়, তখন দেখা যায়, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনই বগুড়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য আইন পাস হয়েছিল। তাতে বলা ছিল, সরকার গেজেট প্রকাশ করে যেদিন থেকে এটি কার্যকর করবে, সেদিন থেকে কার্যকর হবে। এ জন্য ২০০১ সালে পাস করা আইনটিই বলবৎ থাকে এবং ২০১৯ সালে আইনের যে খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটি রহিত করা হয়।

গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়, ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ক্ষমতাবলে সরকার ২২ মে থেকে এই আইনটি কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ করেছে।’

২০২৪ সালের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ চূড়ান্ত হয়।

এই বিদ্যাপীঠের ফলে উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ায় উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটানোর সু‌যোগ তৈ‌রি হ‌য়।[][][][]

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১"bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০২৩
  2. "আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে"প্রথম আলো। ১১ মে ২০২৩।
  3. "লক্ষ্মীপুর-বগুড়ায় হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ জানুয়ারি ২০২০। ২৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২০
  4. "লক্ষ্মীপুর-বগুড়ায় হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়"জাগোনিউজ২৪.কম। ২৭ জানুয়ারি ২০২০।
  5. "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে লক্ষ্মীপুর-বগুড়ায়"রাইজিংবিডি.কম। ২৭ জানুয়ারি ২০২০।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]