হবিগঞ্জ জেলা
হবিগঞ্জ | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে হবিগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′৩০″ উত্তর ৯১°২৫′০″ পূর্ব / ২৪.৩৭৫০০° উত্তর ৯১.৪১৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক | ড. মোঃ ফরিদুর রহমান |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৩৬.৫৮ বর্গকিমি (১,০১৭.৯৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১৮,৩০,৫৫৮ |
• জনঘনত্ব | ৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৯.৩২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৩০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হবিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে হবিগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। এর আগে ১৮৭৪ সাল থেকে হবিগঞ্জ মহকুমা সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম বানিয়াচং এই হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এই গ্রামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় কমলারাণীর সাগরদিঘী অবস্থিত। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলাকে ভাটি অঞ্চলের রাজধানী বলা হয়।
নামকরণ ও ইতিহাস
[সম্পাদনা]হবিবগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ
[সম্পাদনা]সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রঃ) এর অনুসারী সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত খোয়াই, করাঙ্গী, সুতাং, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জ একটি ঐতিহাসিক জনপদের নাম । ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হবিব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ বা বাজার প্রতিষ্ঠা করেন । তাঁর নামানুসারে জায়গাটির নাম হয় হবিবগঞ্জ। কালক্রমে হবিবগঞ্জ থেকে তা হবিগঞ্জে পরিণত হয় ।
চাকলাপুঞ্জী
[সম্পাদনা]প্রাগৈতিহাসিক প্রতিবেদনসমূহ হতে জানা যায় যে, বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার সাথে লালমাই পাহাড় এবং সিলেট, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং মধুপুরের উচ্চতর এলাকাসমূহের সাথে যুক্ত ছিল। চাকলাপুঞ্জী চা বাগানের কাছে চান্দির মাজার নামক এলাকায় বালু নদী নামে পরিচিত একটি নদীর পাড়ে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তু, যেমন: জীবাশ্ম কাঠ, হস্তনির্মিত যুদ্ধাস্ত্র ইত্যাদি প্রমাণ করে যে, এখানে বহু আগে থেকেই প্রাচীন মানবের বসবাস ছিল।
মুগলদের সাথে বারো ভূইয়াদের যুদ্ধ
[সম্পাদনা]১৫ শতকে সিলেটের জমিদার আনোয়ার খান এবং বানিয়াচংয়ের জমিদার হোসেন খান (বারো ভূইয়াদের দলভূক্ত) এর সাথে যুদ্ধ হয় মুঘল সেনাবাহিনীর, যা বাহরাস্থান-ই-গায়েবী গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়।
পুটিজুরী দুর্গ
[সম্পাদনা]খাজা ওসমান (আফগান রাজা) বাকাই নগর দুর্গ ছেড়ে এসে গিরিপালের কাছে পুটিজুরী নামক দুর্গে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন একটি দুর্গ। যা প্রতিরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাজা ওসমানের ভাই দুর্গ ত্যাগ করলে মুঘল সেনারা সে সুযোগ গ্রহণ করে খাজা ওসমানের সেনাদলকে বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার দালাম্বপুর নামক স্থানে পরাজিত করে।
হবিগঞ্জ বাজার–শায়েস্তাগঞ্জ–বাল্লা রেলপথ
[সম্পাদনা]উপনবেশিক বৃটিশ শাসন আমলে তৎকালীন (অবিভক্ত বৃটিশ-ভারতের) আসাম প্রভেন্সির সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহুকুমায় রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বৃটিশ সরকার ১৯২৮ সালে হবিগঞ্জ বাজার-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ নির্মাণ করে গড়ে তুলে অবকাঠামো।[৩] ২০০৩ সালে এ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।[৩]
পৌরসভা অফিস ভবন
[সম্পাদনা]উপনবেশিক বৃটিশ শাসন আমলে তৎকালীন (অবিভক্ত বৃটিশ-ভারতের) আসাম প্রভেন্সির সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহুকুমায় মিউন্যিসিপ্যাল অফিস বিল্ডিং হবিগঞ্জ ফাউন্ডেশন স্থাপিত ও প্রতিষ্ঠত হয় ১৬ ডিসম্বর ১৯৪০ সালে। (পুরাতন পৌরসভা নামে পরিচিত) এটি হবিগঞ্জ সদর এর পুরাতন জজকোর্ট এলাকায় অবস্থিত।
তেলিয়াপাড়ার যুদ্ধ
[সম্পাদনা]৪ এপ্রিল, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তেলিয়াপাড়ায় ২য় ইষ্ট বেঙ্গলের সদরদপ্তরে সমবেত হন। চা বাগান পরিবেষ্টিত পাহাড়ী এ অঞ্চলে জেনারেল এম এ জি ওসমানী, লে: কর্ণেল আব্দুর রব, লে: কর্ণেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসাইন চৌধুরীসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেদিন। সেদিনের সভায় চারজন সিনিয়র অফিসারকে যুদ্ধকালীন কর্মক্ষেত্র ভাগ করে দেয়া হয়; সিলেট-বাহ্মণবাড়ীয়া এলাকায় মেজর শফিউল্লা, কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় মেজর খালেদ মোশাররফ, চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মেজর জিয়াউর রহমান এবং কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই সভাতেই মুক্তিবাহিনী সাংগঠনিক ভাবে পরিপুষ্ট হয়ে উঠে এবং জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্ব গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠককে স্মরণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এখানে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জ জেলা ২৩˚৫৭” হতে ২৪˚৪২” উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১˚১০” হতে ৯১˚৪০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত এবং আয়তন ২,৬৩৬.৫৮ বর্গ কিলোমিটার।[৪] হবিগঞ্জ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলা ও সিলেট জেলা এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জ জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৬টি পৌরসভা, ৭৮টি ইউনিয়ন, ১২৪১টি মৌজা, ২০৯৩টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
হবিগঞ্জ জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো:
সংসদীয় আসন
[সম্পাদনা]সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৬] | সংসদ সদস্য[৭][৮][৯][১০][১১] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৩৯ হবিগঞ্জ-১ | বাহুবল উপজেলা এবং নবীগঞ্জ উপজেলা | শূণ্য | |
২৪০ হবিগঞ্জ-২ | বানিয়াচং উপজেলা এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা | শূণ্য | |
২৪১ হবিগঞ্জ-৩ | লাখাই উপজেলা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা | শূণ্য | |
২৪২ হবিগঞ্জ-৪ | চুনারুঘাট উপজেলা এবং মাধবপুর উপজেলা | শূণ্য |
জনসংখ্যা ও ধর্ম
[সম্পাদনা]সর্বশেষ আদমশুমারী (২০২২) অনুযায়ী হবিগঞ্জের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৪,৪০,০০০ জন। এ জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯২৫ জন। পরিবারের সংখ্যা ৮ লক্ষাধিক।
বাংলাদেশে বসবাসরত ২৫,০০০ মণিপুরীর একটি বৃহৎ অংশ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ এবং গাজীপুর ইউনিয়নে বসবাস করে। এই সংখ্যা ৪,০০০ এর অধিক। এছাড়া প্রধান উপজাতি হিসেবে রয়েছে :- কর্মকার, ভৌমিক, খাসিয়া, বাউরি, সাওতাল, মুন্ডা, মৃধা, উড়ীয়া, তাঁতী, কন্দ, প্রদান, রিকিয়াশন কৈরী,গোয়ালা, পার্শী, তেলেঙ্গা, রেলিখাসিয়া, মনিপুরি, ত্রিপুরা, গড়, পাইনকা, বাড়াইক শবর, কেউট, বুনার্জী, নায়েক, বানিয়া, ঝরা, চৌহান, রুদ্রপাল, খাড়িয়া, রাউতিয়া, কানু ভূইয়া, তন্তবায়, কাঁহার, ছত্রী, অহির, রাজবংশী, শুক্লবদ্য, ভূমিজ, বিহারী, গঞ্জু, রবিদাস মহালী, বাক্তী, জংলী, তেলুগু, ভোজপুরী, উৎকোল, উরাং প্রভৃতি উপজাতি এ জেলার মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় বাস করে। এদের মোট জনসংখ্যা- ৮৪,০২০ জন ।
হবিগঞ্জ জেলায় ধর্মানুসারে জনসংখ্যার শতকরাঃ-
- ইসলাম - ৮০.২৩%
- হিন্দু - ১৬.১২%
- অন্যান্য -.৩.৬৫%
শিক্ষা ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জ এর সাক্ষরতার গড় হার প্রায় ৬৯.৩২%। এখানে রয়েছে:
- বিশ্ববিদ্যালয়- ১টি
- কলেজ - ৪৯টি (১০টি অনার্স কলেজ, ৬টি সরকারি কলেজ, ৪০টি বেসরকারি কলেজ, ২টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,একটি মেডিকেল কলেজ),
- বিদ্যালয় - ১৮৯টি (১৬টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ৯৯টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮৪টি জুনিয়র বিদ্যালয়),
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১,৪৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৭৩২টি সরকারি, ৭১১টি বেসরকারি),
- মাদ্রাসা - ৯৬টি
- অস্থায়ী বিদ্যালয় - ২৬টি।
- গ্রন্থাগার - ৪টি
বিশ্ববিদ্যালয় | স্থাপিত তারিখ | উপাচার্য |
---|---|---|
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | ১ এপ্রিল ২০১৯ | আবদুল বাসেত |
মেডিকেল কলেজ | স্থাপিত তারিখ | অধ্যক্ষ |
---|---|---|
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ | ২০১৭ | অধ্যাপক ডা. আবু সুফিয়ান |
কলেজ | স্থাপিত তারিখ | অধ্যক্ষ |
---|---|---|
বৃন্দাবন সরকারি কলেজ | ১৯৩১ | অধ্যাপক মোঃ ইলিয়াছ বকত চৌধুরী |
হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ | ১ নবেম্বর ১৯৮৫ | প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া |
আলেয়া জাহির কলেজ | ২০১১ | পার্থ প্রতিম দাশ |
কবির কলেজিয়েট একাডেমি | ২০০১ | জনাম মোহাম্মদ জমাল উদ্দিন |
অক্সব্রিজ কলেজ | ২০১৬ | |
শচীন্দ্র কলেজ | ১৯৯৮ | মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান |
শাহজালাল সরকারি কলেজ | ১৯৭০ | এ এন এম মফিজুল ইসলাম |
শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ | ১৯৭৩ | জনাব মোঃ আজিজুল হাছান চৌধুরী |
নবীগঞ্জ সরকারী কলেজ | ১৯৮৪ | সফর আলী |
আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ | ১৯৯৩ | মাহবুবুর রহমান |
বাহুবল কলেজ | ২০০৩ | মোহাম্মদ আবদুর রব |
আজমিরীগঞ্জ সরকারি কলেজ | ১৯৯৩ | সামসুল আলম |
পাহাড়পুর আদর্শ কলেজ | ১৯৯৯ | রন্টু কুমার দাশ |
জনাব আলী সরকারি কলেজ | ১৯৭৯ | সাফিউজ্জামান খান |
সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজ | ২০০০ | ছালামত আলী খান |
চুনারুঘাট সরকারি কলেজ | ১৯৭৩ | অসিত কুমার পাল |
লাখাই মুক্তিযুদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজ | ১৯৯৩ | মোঃ জাবেদ আলী |
ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ | ১৯৯৫ | ড.সজিদ সেন রায় |
আইডিয়েল উইমেন কলেজ | ২০১৬ | |
বানিয়াচং আইডিয়াল কলেজ | ২০১১ |
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ | স্থাপিত তারিখ | প্রাধান শিক্ষক |
---|---|---|
হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ | হাবিবুর রহমান | |
বানিয়াচং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ |
উচ্চ বিদ্যালয় | স্থাপিত তারিখ | প্রধান শিক্ষক |
---|---|---|
হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | ১৮৮৩ | আলফাজ উদ্দিন |
বি. কে. জি. সি. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯২৩ | আমিনা খাতুন |
আসেরা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬৩ | মোঃ আতিক উল্লাহ |
এবিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আজমিরীগঞ্জ। | ১৯৩০ | মো: আহসান মোস্তফা |
গংগানগর উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৯৮ | রুপা রাণী বসাক |
গাজীপুর হাই স্কুল | ১৯৬০ | মোঃ রফিক আলী |
নূরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৮৬ | মো:আমীর ফারুক তালুকদার |
পইল উচ্চ বিদ্যালয় | ১৮৮৫ | সুমন চন্দ্র দাশ |
মহারত্ন পাড়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় | ২০১২ | দিলীপ কুমার রায় |
মিরপুর ফয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬০ | মোঃ আরজু মিয়া |
মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৯৮ | সেবিকা রায় |
শিবপাশা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৮০ | |
বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৮৫ | |
মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬৮ | |
বানিয়াচং সরকারি মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় | ১৯৬৮ | |
- মাদ্রাসা
- জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, উমেদনগর
- বানিয়াচং সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা
- দারুন নাশাত, বানিয়াচং
- দারুল কুরআন, বানিয়াচং
- দারুস সুন্নাহ, বানিয়াচং
- বাগানবাড়ি মহিলা টাইটেল মাদ্রাসা, বানিয়াচং
কৃষি
[সম্পাদনা]- প্রধান ফসলঃ ধান, চা, গম, আলু, পাট, চীনাবাদাম, তাম্বুল এবং তৈল বীজ।
- চা বাগানঃ ২৪টি চা বাগান; মোট আয়তন ১৫,৭০৩.২৪ হেক্টর। [হবিগঞ্জ জেলা চায়ের জন্য বিখ্যাত]।
- রবার বাগানঃ ৩টি - রুপাইছড়া-বাহুবল রাবার বাগান (১৯৮১); মোট ২,০০০ একর (৮.১ বর্গমাইল) আয়তনের এই বাগানের অর্ধেক হবিগঞ্জ জেলায় ও অবশিষ্ট অংশ পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমংগল উপজেলায় অবস্থিত। শাহজীবাজার-চুনারুঘাট রাবার বাগান (১৯৭৮); মোট আয়তন ২,০০৪ একর (৮.১১ বর্গ কিলোমিটার), সাতগাঁও রবার বাগান (১৯৭১), মোট আয়তন ২০০ একর (০.৮১ বর্গমিটার)।
- প্রধান ফলঃ আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, নারকেল, পাতি লেবু, আনারস এবং কালোজাম।
- মৎস্যচাষ এবং খামারঃ গরুর খামার ১৪৮টি, পোল্ট্রি ৭৩৯টি এবং ফিশারি ৬৩৮টি।
- কৃষি আবাদী জমিঃ ১,৫৪,৯৫৩ হেক্টর (মোট জমির ৬০.২২%)।
- বনভূমিঃ ১১,৬৪৪ হেক্টর (মোট জমির ৪.৫৩%)।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]- শ্রমশক্তি
- পেশা ভিত্তিক জনগোষ্ঠী - কৃষি ৪২.২৬%, কৃষি শ্রমিক ২০.৫৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৪৫%, ব্যবসা ৮.২%, চাকরি ৪.৬৯%, শিল্প ১.৮%, মৎসজীবী ২.৭৩%, অন্যান্য ১৩.৪১%।
- হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ উপজেলাকে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলে গণ্য করা হয়।রেমিট্যান্স খাতেও সিলেট বিভাগে অন্যতম এ জেলা।
- শিল্প
- শিল্প-কারখানাঃ টেক্সটাইল মিল, সিরামিক কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করন কারখানা, ছাতা কারখানা, আটা কল, চাল কল, আইস ফ্যাক্টরী, সাবান কারখানা, শুকনো মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, বিস্কুট ফ্যাক্টরী।
- কুটির শিল্পঃ ওয়েভিং, বাঁশের কাজ, স্বর্ণকার, কর্মকার, কুমার, সেলাই এবং ওয়েল্ডিং।
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কঃ ২টি; হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।
- খনিজ
- প্রাপ্ত সম্পদঃ প্রাকৃতিক গ্যাস, সিলিকা বালি, খনিজ বালি।
- গ্যাস ক্ষেত্রঃ ৩টি; রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৬০), বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৯৮) এবং হবিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৬৩)। এই গ্যাস ক্ষেত্রগুলির আনুমানিক সর্বমোট মজুদ ৫.৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট।
- বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড মহাদেশের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম হিসেবেও বিবেচিত।
- বাণিজ্য
- রপ্তানী পণ্যঃ ধান, মাছ, চিংড়ি, ব্যাঙ-এর পা, শুকনো মাছ, চা, পান পাতা, গুড়, রবার, বাঁশ, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল এবং টেক্সটাইল।
জেলার মাথাপিছু আয় ৩৪৯০ ডলার।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর অঞ্চলে বেশ অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে স্টার সিরামিকস, প্রাণ আর এফ এল,কটন মিল,স্পিনিং মিল,ডেনিম মিল,টেক্সটাইল মিলস,গ্লাস,ম্যাটাডোর,শেভ্রন ইত্যাদিসহ দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানিভুক্ত গার্মেন্টস উল্লেখযোগ্য।দেশি বিদেশি অনেক কোম্পানি এখানে ইনভেস্ট করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে কয়েক দশক ধরে।এতে করে বাহিরের বিভাগের মানুষের যাতায়াত আনাগোনা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে,জেলার মানুষের আয় ও জীবনমানও উন্নত হয়েছে।আগামীর সময়ে শিল্পায়নে হবিগঞ্জ হয়ে উঠবে দেশের দ্বিতীয় গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ।
-বাজার এবং মেলা
- হাট এবং বাজার - ১২৬টি;
- মেলা - ২৩টি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নদনদী
[সম্পাদনা]- পথ
- পাকা রাস্তা - ৩২১ কিলোমিটার;
- আধা-পাকা - ২০৫ কিলোমিটার এবং
- কাঁচা রাস্তা - ১,৫৯২ কিলোমিটার;
- রেলওয়ে - ১৭০ কিলোমিটার।
- বাহন
- ঐতিহ্যবাহী পরিবহনঃ পালকি, গয়না নৌকা এবং গরুর গাড়ী।
এছাড়া সড়ক পথে এই জেলার সাথে দেশের অন্যান্য জেলার যোগাযোগ রয়েছে
★ বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব.৮০ কিলোমিটার।
★ রাজধানী ঢাকা থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব ১৬৪ কিলোমিটার।
★ বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে হবিগঞ্জের দূরত্ব ৩০৮ কিলোমিটার।
স্থলবন্দর
হবিগঞ্জ জেলায় স্থলবন্দর রয়েছে ১টি। যথা- বাল্লা স্থলবন্দর।
নৌ - থানা
হবিগঞ্জ জেলায় নৌ-থানা রয়েছে ২টি। যথা- মদনা ও মারকুলি।
নদনদী
হবিগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় প্রচুর নদী আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হলো :- কুশিয়ারা, খোয়াই, সুতাং, সাতাই, রত্না, শুটকী, কালনী, সোনাই, করাঙ্গী, ঝিংড়ী, ভেড়ামোহনা, বরাক, বিজনা, বলভদ্র প্রভৃতি।
হাওর
হবিগঞ্জ জেলায় হাওরের সংখ্যা ১৪ টি। হাওরের মোট আয়তন ১০৯৫.১৩ বর্গকিলোমিটার।
রেলপথ
[সম্পাদনা]সিলেট-আখাউড়া বর্তমানে এই রেললাইন দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
- রশিদপুর রেলওয়ে স্টেশন
- সাটিয়াজুড়ি রেলওয়ে স্টেশন
- লস্করপুর রেলওয়ে স্টেশন
- শায়েস্তাগঞ্জ জংশন
- সুতাং রেলওয়ে স্টেশন
- শাহজিবাজার রেলওয়ে স্টেশন
- ছাতিয়াইন রেলওয়ে স্টেশন
- নোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- ইটাখোলা রেলওয়ে স্টেশন
- তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- শাহপুর রেলওয়ে স্টেশন
- মনতলা রেলওয়ে স্টেশন
- কাশিমনগর রেলওয়ে স্টেশন
- হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন
শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ রেলপথ সেকশনে চারটি রেলওয়ে স্টেশন আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৮ সালে।
বি.দ্র.: শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ১৯০৩ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৮-২৯ সালে হবিগঞ্জ বাজার-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ সংযোগ ফাঁড়ি যোগাযোগ চালু হলে এটি জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ-চুনারুঘাট রেলপথ সেকশনে সাতটি রেলওয়ে স্টেশন আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৯ সালে।
চিত্তাকর্ষক স্থান
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জ জেলার অন্যতম কিছু দর্শনীয় স্থান হল:
হবিগঞ্জ সদর
[সম্পাদনা]- হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেলা আদালত, হবিগঞ্জ সদর
- আইনজীবী সমিতি (ঐতিহ্যবাহী বার কাউন্সিল), হবিগঞ্জ সদর
- মিউন্যিসিপ্যাল অফিস ভবন - হবিগঞ্জ সদর (স্থাপিত ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪০)
- হবিগঞ্জ বাজার-শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ, (স্থাপিত ১৯২৮-১৯২৯)
- হবিগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন - হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন - হবিগঞ্জ সদর
- বৃন্দাবন সরকারি কলেজ (স্থাপিত ১৯৩১), হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ (স্থাপিত ১৯৮৫), হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৮৪৩), হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়াম, হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম (আধুনিক স্টেডিয়াম), হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, হবিগঞ্জ সদর
- ধুলিয়াখাল রেলওয়ে স্টেশন - হবিগঞ্জ সদর
- হবিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, হবিগঞ্জ সদর
- জেলা কারাগার হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর
- রাধানন্দ জমিদার বাড়ি (হাতিরথান জমিদার বাড়ি), হবিগঞ্জ সদর
- পুলিশ লাইন হবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর
- মশাজানের দিঘী, হবিগঞ্জ সদর
- পাইকপাড়া রেলওয়ে স্টেশন - হবিগঞ্জ সদর
- উচাইল শংকরপাশা শাহী মসজিদ - হবিগঞ্জ সদর
- ফ্রিডম ওয়ার্ল্ড পার্ক - হবিগঞ্জ
শায়েস্তাগঞ্জ
[সম্পাদনা]- শায়েস্তাগঞ্জ জংশন রেলওয়ে স্টেশন - (স্থাপিত ১৯০৩), শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা
চুনারুঘাট
[সম্পাদনা]- রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য - চুনারুঘাট
- সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চুনারুঘাট উপজেলা
- রঘুনন্দন পাহাড়, চুনারুঘাট উপজেলা
- তরফ বিজয়ী বীর সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের মাকবারা
- বারকোটা রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- শাকির মোহাম্মদ রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- সুতং বাজার রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- চুনা পাথরের খনি সমূহ - চুনারুঘাট
- গ্রিনল্যান্ড পার্ক - চুনারুঘাট
- চুনারুঘাট রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- চা বাগান সমূহ - চুনারুঘাট উপজেলা
- আমু রোড রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- আসামপারা রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- বাল্লা রেলওয়ে স্টেশন - চুনারুঘাট
- বাল্লা স্থল বন্দর - (স্থাপিত ১৯৫১), চুনারুঘাট উপজেলা (বাংলাদেশ ২৩ নং সীমান্ত স্থল বন্দর)
- বাল্লা সীমান্ত ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট (গমন-আগমন), চুনারুঘাট উপজেলা
নবীগঞ্জ
[সম্পাদনা]- বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র - নবীগঞ্জ উপজেলা
- ইমাম বাড়ী চা বাগান, নবীগঞ্জ উপজেলা
বাহুবল
[সম্পাদনা]- আমতলী নেচার রিসোর্ট - বাহুবল
- দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট- পুটিজুরী,বাহুবল।
- আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জি - বাহুবল উপজেলা
- তুঙ্গনাথ শিববাড়ী ও কালীবাড়ী, বাহুবল উপজেলা
- ফয়েজাবাদ হিল বধ্যভূমি (বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭১) - বাহুবল উপজেলা
আজমিরীগঞ্জ
[সম্পাদনা]- চৌকি আদালত, আজমিরীগঞ্জ
- নদী বন্দর (নৌ-পথ, সুরমা এবং কুশিয়ারা নদী মিলিত হয়ে কালনী নদী নামে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীর সাথে সংযোগ স্থান), আজমিরীগঞ্জ উপজেলা
বানিয়াচং
[সম্পাদনা]- কমলারানীর সাগর দীঘি, বানিয়াচং
- বিথঙ্গলের আখড়া, বানিয়াচং উপজেলা
- রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, বানিয়াচং উপজেলা
- মহারত্ন জমিদার বাড়ি - বানিয়াচং
- দাড়া-গুটি - বানিয়াচং উপজেলা
- লক্ষ্মী বাওড় জলাবন (সোয়াম্প ফরেস্ট), বানিয়াচং উপজেলা
- কালারডুবা পর্যটন কেন্দ্র - বানিয়াচং উপজেলা
- শ্যাম বাউল গোস্বামীর আখড়া, বানিয়াচং উপজেলা
- মাকালকান্দি স্মৃতিসৌধ, বানিয়াচং উপজেলা
মাধবপুর
[সম্পাদনা]- তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ- মাধবপুর উপজেলা
- মাধবপুর রাবার ড্যাম, মাধবপুর উপজেলা
- আদাঐর জমিদার বাড়ি, মাধবপুর উপজেলা
লাখাই
[সম্পাদনা]- কৃষ্ণপুর বধ্যভূমি (বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ ১৯৭১), লাখাই উপজেলা
তথ্য ছবি
[সম্পাদনা]-
রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য চুনারুঘাট উপজেলা, জেলা হবিগঞ্জ
-
হবিগঞ্জ জেলার ঐতিয্যবাহী মশাজানের দিঘী
-
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রাকৃতিক উদ্যান
-
উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ, হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ
-
বৈষ্ণব ধর্ম-অবলম্বীদের জন্য একটি অন্যতম তীর্থস্থান বিথাঙ্গল আখড়া
-
তরফ বিজয়ী বীর সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের মাকবারা
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন–শাহ জালাল (রাঃ) এর প্রধান সেনাপতি।
- সৈয়দ সুলতান–মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি।
- বিপিন চন্দ্র পাল –ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা।
- তারাকিশোর চৌধুরী–বাংলার প্রথম এটর্নি জেনারেল।
- ঠাকুর দয়ানন্দ দেব–হিন্দু ধর্মগুরু।
- রামনাথ বিশ্বাস –বিখ্যাত ভূপর্যটক।
- মেজর জেনারেল এম এ রব–মুক্তিযুদ্ধের চীফ অব স্টাফ।
- দেওয়ান ফরিদ গাজী–রাজনীতিবিদ।
- মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী–১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ কোম্পানির অধিনায়ক ।
- সৈয়দ মুজতবা আলী–(আধুনিক বাংলা সাহিত্যিক ও রম্যলেখক।
- সৈয়দ মুর্তাজা আলী–(জাতীয় ইতিহাসবিদ ও বিভাগীয় কমিশনার)।
- সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন –বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি (২য়)।
- ডক্টর এম এ রশীদ–বুয়েটের প্রথম উপাচার্য।
- স্যার ফজলে হাসান আবেদ–সমাজসেবক, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা।
- অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য –শিক্ষাবিদ ও শহিদ বুদ্ধিজীবী।
- শাহ এ এম এস কিবরিয়া –সাবেক অর্থমন্ত্রী।
- হেমাঙ্গ বিশ্বাস–বিখ্যাত গণসঙ্গীতশিল্পী।
- মেজর জেনারেল সি আর দত্ত বীর উত্তম–মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার।
- সুবীর নন্দী–কণ্ঠশিল্পী।
- সিরাজুল হোসেন খান –রাজনীতিবিদ।
- নাজমা চৌধুরী–একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
- স্বামী নিখিলানন্দ–হিন্দু ধর্মগুরু।
- আফজাল চৌধুরী–কল্যাণব্রতের কবি।
- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান– অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান উপদেষ্টা; পরিবেশ বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত, আইনজীবী ও পরিবেশবিদ।
- মিরজা আবদুল হাই–কথাসাহিত্যিক।
- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম–সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
- এনামুল হক মোস্তফা শহীদ –রাজনীতিবিদ।
- শেখ ভানু–বিখ্যাত কবি।
- মাহবুবুর রব সাদী–সাব সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য।
- তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী–ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।
- জগৎজ্যোতি দাস–বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের দাস বাহিনীর প্রধান।
- আব্দুর রউফ চৌধুরী–দ্রোহী কথাসাহিত্যিক।
- আজিম–অভিনেতা।
- মৌলানা আছাদ আলী–রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
- মোস্তফা আলী–বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
- আব্দুল মান্নান চৌধুরী–সাবেক সংসদ সদস্য।
- সৈয়দ মহিবুল হাসান–রাজনীতিবিদ, তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।
- কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী–রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা।
- ওস্তাদ বাবর আলী খান–সঙ্গীতজ্ঞ।
- সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার
- সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন–সাবেক প্রধান বিচারপতি।
- সেগুফতা বখ্ত চৌধুরী–সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক।
- সফিকুল হক চৌধুরী –সমাজসেবক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।
- আবদুল মান্নান চৌধুরী–সাবেক সংসদ সদস্য, ইংল্যান্ডে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
- মাহবুবুর রব সাদী চৌধুরী–বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ।
- মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন–বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
- নাজমুল হোসেন–জাতীয় দলের ক্রিকেটার।
- সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের–প্রাক্তন সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
- সঞ্জীব চৌধুরী–সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক।
- জগলুল আহমেদ চৌধুরী –বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)–এর প্রধান সম্পাদক।
- মাহবুব আলী–বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
- আহমদ আবদুল কাদের–খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
- সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল
- আতিক উল্লাহ
- আব্দুল মোছাব্বির
- ইসমত আহমেদ চৌধুরী
- এম এ মোত্তালিব
- খলিলুর রহমান চৌধুরী
- গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ
- চৌধুরী আবদুল হাই
- জাকারিয়া খান চৌধুরী
- জুনাব আলী
- নাজমুল হাসান জাহেদ
- মুবিন চৌধুরী
- মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী
- শহীদ রমিজ উদ্দীন–বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- নিতাই চন্দ্র সূত্রধর–বস্ত্রপ্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক।
- আতফুল হাই শিবলী–রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপ-উপাচার্য।
- সামন্ত লাল সেন–বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন।
- সালেহ উদ্দিন–চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
- স্বামী গহনানন্দ–রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্দশ অধ্যক্ষ।
- মিরজা আবদুল হাই–কথাসাহিত্যিক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।
- ওস্তাদ বাবর আলী খান–বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ।
- নাজমা চৌধুরী–ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা।
- ব্যারিস্টার সুমন– হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) সাবেক সংসদ সদস্য।
- জাকের আলী অনিক–বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে হবিগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ "হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পদ লুট"। mzamin.com। ৩১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৫।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "ভৌগোলিক-পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ www.habiganj.gov.bd http://www.habiganj.gov.bd/bn/site/view/education_institute?institute_type=3। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৯।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)