হবিগঞ্জ জেলা
হবিগঞ্জ ꠢꠛꠤꠉꠂꠘ꠆ꠎ | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে হবিগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′৩০″ উত্তর ৯১°২৫′০″ পূর্ব / ২৪.৩৭৫০০° উত্তর ৯১.৪১৬৬৭° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°২২′৩০″ উত্তর ৯১°২৫′০″ পূর্ব / ২৪.৩৭৫০০° উত্তর ৯১.৪১৬৬৭° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৩৬.৫৮ বর্গকিমি (১,০১৭.৯৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১৮,৩০,৫৫৮ |
• জনঘনত্ব | ৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৩৩০–৩৩৭৪ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
হবিগঞ্জ জেলা (সিলেটী: ꠢꠛꠤꠉꠂꠘ꠆ꠎ ꠎꠦꠟꠣ) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে হবিগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জকে জেলায় রূপান্তর করা হয়। এর আগে ১৮৭৪ সাল থেকে হবিগঞ্জ মহকুমা সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
হবিগঞ্জ জেলা ২৩˚৫৭” হতে ২৪˚৪২” উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১˚১০” হতে ৯১˚৪০” পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত এবং আয়তনে ২,৬৩৬.৫৮ বর্গ কিলোমিটার।[৩] হবিগঞ্জ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলা এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ[সম্পাদনা]
হবিগঞ্জ জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৬টি পৌরসভা, ৭৮টি ইউনিয়ন, ১২৪১টি মৌজা, ২০৯৩টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহ[সম্পাদনা]
হবিগঞ্জ জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৩৯ হবিগঞ্জ-১ | বাহুবল উপজেলা এবং নবীগঞ্জ উপজেলা | গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৪০ হবিগঞ্জ-২ | বানিয়াচং উপজেলা এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা | আব্দুল মজিদ খান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৪১ হবিগঞ্জ-৩ | লাখাই উপজেলা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা | আবু জাহির | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৪২ হবিগঞ্জ-৪ | চুনারুঘাট উপজেলা এবং মাধবপুর উপজেলা | মাহবুব আলী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ইতিহাস[সম্পাদনা]
চাকলাপুঞ্জী[সম্পাদনা]
প্রাগৈতিহাসিক প্রতিবেদনসমূহ হতে জানা যায় বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার সাথে লালমাই পাহাড় এবং সিলেট, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং মধুপুরের উচ্চতর এলাকাসমূহের সাথে যুক্ত ছিল। চাকলাপুঞ্জী চা বাগানের কাছে চান্দির মাজার নামক এলাকায় বালু নদী নামে পরিচিত একটি নদী পাড়ে প্রাপ্ত ঐতিহাসিক সরঞ্জাম যেমন জীবাশ্ম কাঠ, হস্তনির্মিত যুদ্ধাস্ত্র ইত্যাদি দৃষ্টে এখানে প্রাচিন মানবের বসবাস ছিল প্রমাণিত হয়।
মুগলদের সাথে বারো ভূইয়াদের যুদ্ধ[সম্পাদনা]
১৫ শতকে সিলেটের জমিদার আনোয়ার খান এবং বানিয়াচংয়ের জমিদার হোসেন খান (বারো ভূইয়াদের দলভূক্ত) এর সাথে যুদ্ধ হয় মুঘল সেনাবাহিনীর, যা বাহরাস্থান-ই-গায়েবী গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়।
পুটিজুরী দুর্গ[সম্পাদনা]
খাজা ওসমান (আফগান রাজা) বাকাই নগর দুর্গ ছেড়ে এসে গিরিপালের কাছে পুটিজুরী নামক আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন একটি দুর্গ। যে প্রতিরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাজা ওসমানের ভাই দুর্গ ত্যাগ করলে মুগল সেনারা সে সুযোগ গ্রহণ করে খাজা ওসমানের সেনাদলকে বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার দালাম্বপুর নামক স্থানে পরাজিত করে।
তেলিয়াপাড়ার যুদ্ধ[সম্পাদনা]
৪ এপ্রিল, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা তেলিয়াপাড়ায় ২য় ইষ্ট বেঙ্গলের সদরদপ্তরে সমবেত হন। চা বাগান পরিবেষ্টিত পাহাড়ী এ অঞ্চলে জেনারেল এম এ জি ওসমানী, লে: কর্ণেল আব্দুর রব, লে: কর্ণেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসাইন চৌধুরীসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেদিন। সেদিনের সভায় চারজন সিনিয়র অফিসারকে যুদ্ধকালীন কর্মক্ষেত্র ভাগ করে দেয়া হয়; সিলেট-বাহ্মণবাড়ীয়া এলাকায় মেজর শফিউল্লা, কুমিল্লা-নোয়াখালী এলাকায় মেজর খালেদ মোশাররফ, চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মেজর জিয়াউর রহমান এবং কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই সভাতেই মুক্তিবাহিনী সাংগঠনিক ভাবে পরিপুষ্ট হয়ে উঠে এবং জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্ব গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠককে স্মরণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এখানে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
সর্বশেষ আদমশুমারী (২০১১) অনুযায়ী হবিগঞ্জের মোট জনসংখ্যা ২০৮৯০০১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০২৫৫৯১ জন ও নারী ১০৬৩৪১০। এ জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৭৯২ জন। বাংলাদেশে বসবাসরত ২৫০০০ মণিপুরীর একটি বৃহৎ অংশ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ এবং গাজীপুর ইউনিয়নে বসবাস করে। এই সংখ্যা ৪০০০ এর অধিক।
শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
হবিগঞ্জ এর সাক্ষরতার গড় হার ৪৫%। এখানে রয়েছে:
- কলেজ - ১৬টি (১টি অনার্স কলেজ, ৩টি সরকারি কলেজ, ১১টি বেসরকারি কলেজ, ১টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,একটি মেডিকেল কলেজ),
- বিদ্যালয় - ১১৯টি (৬টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ৯৯টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪টি জুনিয়র বিদ্যালয়),
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১,৪৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৭৩২টি সরকারি, ৭১১টি বেসরকারি),
- মাদ্রাসা - ৯৬টি
- অস্থায়ী বিদ্যালয় - ৬টি।
কৃষি[সম্পাদনা]
- প্রধান ফসলঃ ধান, চা, গম, আলু, পাট, চীনাবাদাম, তাম্বুল এবং তৈল বীজ।
- চা বাগানঃ ২৪টি চা বাগান; মোট আয়তন ১৫,৭০৩.২৪ হেক্টর।
- রবার বাগানঃ ৩টি - রুপাইছড়া-বাহুবল রাবার বাগান (১৯৮১); মোট ২,০০০ একর (৮.১ বর্গমাইল) আয়তনের এই বাগানের অর্ধেক হবিগঞ্জ জেলায় ও অবশিষ্ট অংশ পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমংগল উপজেলায় অবস্থিত। শাহজীবাজার-চুনারুঘাট রাবার বাগান (১৯৭৮); মোট আয়তন ২,০০৪ একর (৮.১১ বর্গ কিলোমিটার), সাতগাঁও রবার বাগান (১৯৭১), মোট আয়তন ২০০ একর (০.৮১ বর্গমিটার)।
- প্রধান ফলঃ আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, নারকেল, পাতি লেবু, আনারস এবং কালোজাম।
- মৎস্যচাষ এবং খামারঃ গরুর খামার ১৪৮টি, পোল্ট্রি ৭৩৯টি এবং ফিশারি ৬৩৮টি।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
- শ্রমশক্তি
- পেশা ভিত্তিক জনগোষ্ঠী - কৃষি ৪২.২৬%, কৃষি শ্রমিক ২০.৫৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৪৫%, ব্যবসা ৮.২%, চাকরি ৪.৬৯%, শিল্প ১.৭%, মত্সজীবী ২.৭৩%, অন্যান্য ১৩.৪২%।
- শিল্প
- শিল্প-কারখানাঃ টেক্সটাইল মিল, সিরামিক কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করন কারখানা, ছাতা কারখানা, আটা কল, চাল কল, আইস ফ্যাক্টরী, সাবান কারখানা, শুকনো মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, বিস্কুট ফ্যাক্টরী।
- কুটির শিল্পঃ ওয়েভিং, বাঁশের কাজ, স্বর্ণকার, কর্মকার, কুমার, সেলাই এবং ওয়েল্ডিং।
- খনিজ
- প্রাপ্ত সম্পদঃ প্রাকৃতিক গ্যাস, সিলিকা বালি, খনিজ বালি।
- গ্যাস ক্ষেত্রঃ ৩টি; রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৬০), বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৯৮) এবং হবিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৬৩)। এই গ্যাস ক্ষেত্রগুলির আনুমানিক সর্বমোট মজুদ ৫.৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট।
- বাণিজ্য
- রপ্তানী পন্যঃ ধান, মাছ, চিংড়ি, ব্যাঙ-এর পা, শুকনো মাছ, চা, পান পাতা, গুড়, রবার, বাঁশ, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল এবং টেক্সটাইল।
জেলার মাথাপিছু আয় ৩৪৯০ ডলার।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এই অঞ্চলে বেশ কিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে স্টার সিরামিকস, প্রাণ আর এফ এল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- সৈয়দ নাসির উদ্দীন - শাহ জালালের সঙ্গী ও তরফ বিজয়ী বীর;
- সৈয়দ সুলতান (১৫৫০-১৬৪৮) - মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি;
- শেখ ভানু (১৮৮৯-১৯১৯) - প্রখ্যাত সাধক;
- আহমদ আবদুল কাদের –– ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব (জ. ১৯৫৫)
- বিপিন চন্দ্র পাল (১৮৫৮-১৯৩২) - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব;
- মাহবুবুর রব সাদী -সাব সেক্টর কমান্ডার,সাবেক সংসদ সদস্য।
- তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, ইসলামি পন্ডিত ও রাজনীতিবিদ
- জগৎজ্যোতি দাস (১৯৪৯-১৯৭১) - বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের দাস বাহিনীর প্রধান;
- এম এ রশীদ - বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক মন্ত্রী;
- আব্দুর রউফ চৌধুরী (১৯২৯-১৯৯৬) - দ্রোহী কথাসাহিত্যিক;
- আজিম- (১৯৩৭-২০০৩) - অভিনেতা
- সিরাজুল হোসেন খান - রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য;
- মৌলানা আছাদ আলী - রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক;
- মোস্তফা আলী (১৯২১–২৬ জুলাই ১৯৭৫) বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক;
- আব্দুল মান্নান চৌধুরী সাবেক সংসদ সদস্য;
- সৈয়দ মহিবুল হাসান - রাজনীতিবিদ, তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য;
- ক্যাপ্টেন ডাঃ সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমদ (অবঃ) -মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধ;
- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - সাবেক অর্থমন্ত্রী, কূটনীতিক, পররাষ্ট্র সচিব এবং এসকাপের সাবেক নির্বাহী সচিব;
- কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী - রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা;
- দেওয়ান ফরিদ গাজী - মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও রাজনীতিবিদ;
- মেজর আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী - (১৯১৪-১৯৬৫) প্রতিষ্ঠাকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক, প্রশিক্ষন রেজিমেন্ট ,ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ,১৯৪৮ ইং ;
- মোহাম্মদ আবদুর রব - মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড, বাংলাদেশের প্রথম সেনাবাহিনী প্রধান;
- মেজর জেনারেল (অবঃ) সি আর দত্ত - মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সেক্টর কমান্ডার;
- সিরাজুল হোসেন খান - রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য;
- এনামুল হক মোস্তফা শহীদ - মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য;[১১]
- রামনাথ বিশ্বাস - ভূপর্যটক
- সৈয়দ এ. বি. মাহমুদ হোসেন - সাবেক প্রধান বিচারপতি;
- সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন - সাবেক প্রধান বিচারপতি;
- ফজলে হাসান আবেদ (১৯৩৬ - ২০১৯) - ব্র্যাক-এর প্রতিষ্ঠাতা;
- সেগুফতা বখ্ত চৌধুরী সাবেক গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক;
- আবদুল মান্নান চৌধুরী - সাবেক সংসদ সদস্য, ইংল্যান্ডে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক;
- মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন - বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর;
- নাজমুল হোসেন (জন্মঃ ১৯৮৭) - জাতীয় দলের ক্রিকেটার;
- অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য - শিক্ষাবিদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবী;
- হেমাঙ্গ বিশ্বাস - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব, কবি ও গায়ক;
- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান - আইনজীবি ও পরিবেশবিদ;
- সুবীর নন্দী - কন্ঠশিল্পী।
- সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের (১৯৫৫ - ২০০৯) - প্রাক্তন সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রাক্তন ইংরেজি সংবাদ পাঠক এবং রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী[১২]
- ড. মো. সালেহ উদ্দিন - সাবেক উপাচার্য,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- সঞ্জীব চৌধুরী (১৯৬৪ - ২০০৭) - সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক;
- মাহবুব আলী - বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
চিত্তাকর্ষক স্থান[সম্পাদনা]
হবিগঞ্জ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান:
হবিগঞ্জ জেলার ঐতিয্যবাহী মশাজানের দিঘী
উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ
বৈষ্ণব ধর্ম-অবলম্বীদের জন্য একটি অন্যতম তীর্থস্থান বিথাঙ্গল আখড়া
তরফ বিজয়ী বীর সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের মাকবারা
- তরফ বিজয়ী বীর সিপাহ্সালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের মাকবারা;
- মশাজানের দিঘী;
- কমলারানীর সাগর দীঘি - বানিয়াচং;
- সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান;
- বিতঙ্গল আখড়া - বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান (বানিয়াচং);
- বানিয়াচং রাজবাড়ি - বানিয়াচং;
- দ্বীল্লির আখড়া - বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান;
- শ্রীবাড়ি চা বাগান;
- রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য - চুনারুঘাট;
- তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ- মাধবপুর;
- ফয়েজাবাদ হিল বধ্যভূমি - বাহুবল;
- তেলিয়াপাড়া চা বাগান - মাধবপুর;
- বিবিয়ানা গ্যাস - নবীগঞ্জ;
- শংকরপাশা শাহী মসজিদ;
- মহারত্ন জমিদার বাড়ি - বানিয়াচং;
- দাড়া-গুটি - বানিয়াচং;
- রাধানন্দ জমিদার বাড়ি (হাতিরথান জমিদার বাড়ি);
- আদাঐর জমিদার বাড়ি;
- তুঙ্গনাথ শিববাড়ী ও কালীবাড়ী ;
যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
- পথ
- পাকা রাস্তা - ৩২১ কিলোমিটার;
- আধা-পাকা - ২০৫ কিলোমিটার এবং
- কাচা রাস্তা - ১,৫৯২ কিলোমিটার;
- রেলওয়ে - ১৭০ কিলোমিটার।
- বাহন
- ঐতিহ্যবাহী পরিবহনঃ পালকি, গয়না নৌকা এবং গরুর গাড়ী।
হাট-বাজার এবং মেলা[সম্পাদনা]
- হাট এবং বাজার - ১২৬টি;
- মেলা - ২৩টি।
ভাষা[সম্পাদনা]
সিলেটি
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে হবিগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "ভৌগলিক-পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (PDF)। web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "বিমান সচিব সৈয়দ জোবায়ের 'ক্লিনিক্যালি ডেড'"। bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিভ্রমণে হবিগঞ্জ জেলা সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |