গোপালগঞ্জ জেলা
গোপালগঞ্জ জেলা | |
---|---|
জেলা | |
![]() বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′ উত্তর ৮৯°৪৮′ পূর্ব / ২৩.২০০° উত্তর ৮৯.৮০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ১,৪৬৮.৭৪ বর্গকিমি (৫৬৭.০৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১১,৭২,৪১৫ |
• জনঘনত্ব | ৮০০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৮.১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৩৫ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
নামকরণের ইতিহাস[সম্পাদনা]
অনেক দিন আগে গোপালগঞ্জ জেলা রাজগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল। তখন ছিল ব্রিটিশ রাজত্ব।গোপালগঞ্জ অঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রাণি রাসমনির দায়িত্বে ছিল।তিনি এক জেলে কন্যা ছিলেন। তিনি একদিন এক ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন।তখন ছিল সিপাই মিউটিনির সময়। পরবর্তীতে তারই পুরষ্কার স্বরূপ ইংরেজরা তাকে সম্পূর্ণ মাকিমপুরে অঞ্চল দিয়ে দেন। রানী রাসমনির নাতি ছিলেন গোপাল। সেই গোপালের নামানুসারে রাজগঞ্জের নাম হয় গোপালগঞ্জ।
ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে মধুমতি নদী বিধৌত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ১৩টি জেলার একটির নাম গোপালগঞ্জ। এই জেলা ২৩°৩৬' উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°৫১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর গড় উচ্চতা ৪৬ ফুট। এ জেলার পূর্বে মাদারীপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা, বাগেরহাট জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা ও মাগুরা জেলা এবং উত্তরে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত। এ জেলার পূর্ব সীমানার খাটরা গ্রামের অধিবাসী হিন্দু ধর্মালম্বীরাই এ অঞ্চলে প্রথমে বসতি স্থাপন করে। ধারণা করা হয়, এটি বল্লাল সেনের আমলের (১১০৯-১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) ঘটনা। এর আয়তন ১৪৮৯ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। নারী-পুরুষের অনুপাত প্রায় সমান সমান। মুসলমান ৭৩.৬২%, হিন্দু ২৫.১৩%, খ্রিষ্টান ১.২০% এবং অন্যান্য ০.০২%। শিক্ষার গড় হার ৫৮.১% ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান ফসল ধান, পাট, আঁখ ও বাদাম। বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদির মধ্যে রয়েছে চিনা, কাউন, আউশ ধান। জেলার প্রধান রপ্তানি ফসল পাট ও তরমুজ। প্রাচীন নির্দেশনাদির মধ্যে আছে চন্দ্রভর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ), বহলতলী মসজিদ (১৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ), সেন্ট মথুরনাথ এজি চার্চ, শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী হরিমন্দির, ননী ক্ষীরের নবরত্ন মন্দির, কোর্ট মসজিদ, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি ইত্যাদি।[২]
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ[সম্পাদনা]
গোপালগঞ্জ জেলা পাঁচটি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , গোপালগঞ্জ।
- শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ গোপালগঞ্জ।
- শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গোপালগঞ্জ।
- সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ , গোপালগঞ্জ।
- সরকারি এস কে কলেজ রামদিয়া, কাশিয়ানী।
- নিজড়া সপ্তপল্লি বি, কে, উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ।
- ফুকরা মদন মোহন একাডেমি(ফুকরা এম. এম. একাডেমি), কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ।
- ৮৮ নং দক্ষিণ ফুকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুকরা, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ।
- হাজী লালমিয়া সিটি কলেজ, গোপালগঞ্জ।
- জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা ,গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা টুঙ্গিপাড়া।
- ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, বোড়াশি, গোপালগঞ্জ সদর
- টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, গোপালগঞ্জ
- পিটিআই, ঘোনাপাড়া, গোপালগঞ্জ
- টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন, ঘোনাপাড়া, গোপালগঞ্জ
- কোর্ট মসজিদ মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর
- বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন, গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
- সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ,টুঙ্গিপাড়া
- মুকসুদপুর সরকারি কলেজ, মুকসুদপুর
- এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদর
- স্বর্ণকলি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
- বীণাপাণি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
- যুগশিখা স্কুল
- ভাটিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটিয়াপাড়া, গোবরা, গোপালগঞ্জ
- রাতইল আইডিয়াল কলেজ, রাতইল, কাশিয়ানী।
- উজানী বি.কে.বি. ইউনিয়ন মহাবিদ্যালয়, মুকসুদপুর।
- এম এ খালেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কাশিয়ানী।
- রাজপাট কলেজ, কাশিয়ানী।
- জয়নগর ইয়ার আলী খান ডিগ্রী কলেজ জয়নগর, কাশিয়ানী।
- গোয়ালগ্রাম কামিল মাদ্রাসা গোয়ালগ্রাম, কাশিয়ানী।
- কাশিয়ানী জি সি উচ্চবিদ্যালয়, কাশিয়ানী।
- পাইককান্দি পঞ্চপল্লী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর।
- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ
- বড়ফা এ.জি.এম স্কুল এন্ড কলেজ
- বাথানডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় বাথানডাঙ্গা, কাশিয়ানী।
চিত্তাকর্ষক স্থান[সম্পাদনা]
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
- চন্দ্রা ভর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
- কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
- হরিনাহাটি জমিদার বাড়ি,
- দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ি,
- বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত),
- সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
- উজানীর জমিদার বাড়ি,
- শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
- জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
- ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
- ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী,
- ধর্মরায়ের বাড়ি,
- দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
- মধুমতি নদী,
- বিলরুট ক্যানেল,
- হিরন্যকান্দী আমগাছ,
- আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
- শুকদেবের আশ্রম,
- খানার পাড় দীঘি,
- উলপুর জমিদার বাড়ি,
- এস.এম.মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- হেমায়েত বাহিনী জাদুঘর(কোটালিপাড়া)
- ৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ),
- রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
- সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।
- পাগল সেবাশ্রম, কদমবাড়ি।
- গওহরডাঙ্গা মাদরাসা( টুঙ্গিপাড়া)
- বাঘিয়ার বিল(টুঙ্গিপাড়া)।
- হোগলাডাঙ্গা বড় মসজিদ।
- ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি,
- ভেন্নাবাড়ী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ সদর।
- সুকতাইল মঠবাড়ি
- বাটিকামারী জমিদার বাড়ি
- শেখ রাসেল শিশুপার্ক, টুুুঙ্গিপাড়া
- শেখ কামাল স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জ
- লেকপাড়, গোপালগঞ্জ শহর
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- শেখ লুৎফুর রহমান - মুজিব পিতা, সেরেস্তাদার, ব্রিটিশ ভারতের গোপালগঞ্জ দেওয়ানী আদালতের নথি সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা।
- সায়েরা খাতুন, বঙ্গবন্ধুর জননী।
- জামিল উদ্দিন আহমেদ, বীর উত্তম
- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি
- শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ভাই
- মুজিবুর রহমান হাওলাদার (রাজনীতিবিদ)
- শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধুর প্রথম ছেলে
- শেখ জামাল, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় ছেলে
- শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান
- রমেশচন্দ্র মজুমদার, বাঙালি ইতিহাসবিদ
- শামসুল হক ফরিদপুরী, লেখক, ইসলামী চিন্তাবিদ
- সুধীরলাল চক্রবর্তী, সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার
- শেখ মুজিবুর রহমান, জাতির জনক
- নির্মল সেন, সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা ও মুক্তিযোদ্ধা
- শেখ হাসিনা - বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
- শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় মেয়ে
- সুকান্ত ভট্টাচার্য, কবি
- শহীদ উল্লা খন্দকার, সরকারি কর্মকর্তা
- কাজী আব্দুর রশীদ, রাজনিতিবিদ
- রকিবুল হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক
- শেখ ফজলুল হক মনি, যুবলীগের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান
- শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও এম.পি
- শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
- ফারুক খান, সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও এম.পি.
- মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (চিকিৎসক)
- মথুরানাথ বসু, বিশিষ্ট খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারক
- আবদুস সামাদ, কৃতি ফুটবলার
- সোহরাব হোসেন, কৃতি ফুটবলার
- এম এ সাঈদ সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার
- ফিরোজা বেগম সংগীত শিল্পী
- কাজী হায়াৎ পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক এবং অভিনেতা
- শাকিব খান, অভিনেতা, প্রযোজক, চলচ্চিত্রকার
- কাজী মারুফ, অভিনেতা, প্রযোজক
- জয়া আহসান(অভিনেত্রী)
- শারফুদ্দিন আহমেদ:-প্রখ্যাত চিকিৎসক।
- এস এম ইমদাদুল হক, বীর উত্তম
- মোক্তার আলী, বীর প্রতীক
- বেনজির আহমেদ, মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ
- চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, ধারাভাষ্যকার
- ইলিয়াস আলী, মোহামেডান ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক
- কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মন্ত্রী
- হেমায়েত উদ্দীন, বীর বিক্রম, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তম ফরিদপুর অঞ্চলের হেমায়েত বাহিনীর প্রধান
- এম ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষাবিদ।
- স্যামসন এইচ চৌধুরী, স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান
- কাজী এবাদত, বিচারপতি
- মোঃ আব্দুল্লাহ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
- সালমা খাতুন, মহিলা ক্রিকেটার।
- মনিরুল ইসলাম, ডিআইজি, গোয়েন্দা পুলিশ।
- মেহেরাব হোসেন অপি, বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান
- মারজুক রাসেল, গীতিকার।
- নরেন বিশ্বাস, লেখক, গবেষক, আবৃত্তি শিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধা।
- হাবিবুর রহমান , ডিআইজি,ঢাকা রেঞ্জ
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে গোপালগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ বাংলাপিডিয়া
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |