বিষয়বস্তুতে চলুন

লক্ষ্মীপুর জেলা

লক্ষ্মীপুর
জেলা
লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা মহাসড়কের উত্তর তেমুহনি, তিতা খান জামে মসজিদ, বাঁধের কাছে মজু চৌধুরীর হাট, মেঘনা নদী হায়দারগাং ঘাটে, চর আলেকজান্ডারে সূর্যাস্ত
বাংলাদেশে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৭′০″ উত্তর ৯০°৪৯′৩০″ পূর্ব / ২২.৯৫০০০° উত্তর ৯০.৮২৫০০° পূর্ব / 22.95000; 90.82500 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
শহর
সদরদপ্তরলক্ষ্মীপুর
প্রতিষ্ঠাকাল২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ (নোয়াখালী থেকে বিভক্ত হয়)
আসন৪টি
সরকার
  জেলা প্রশাসকসুফিয়া আক্তার রুমী
আয়তন
  মোট১,৪৫৬ বর্গকিমি (৫৬২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
  মোট১৯,৩৭,৯৪৮(২,০২২)[]
সাক্ষরতার হার
  মোট৬১.৪০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৭০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ৫১
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

লক্ষ্মীপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি মেঘনা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। এ জেলাটি সয়াবিন, নারিকেল এবং সুপারির জন্য বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশের একটি বি শ্রেণীভুক্ত জেলা।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠাকাল

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর নামে সর্বপ্রথম থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬০ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ৫নং বাঞ্ছানগর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। পরে এই পৌরসভাটির বিস্তৃতি ঘটে। রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নিয়ে ১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই লক্ষ্মীপুর মহকুমা এবং একই এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় লক্ষ্মীপুর জেলা।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলার নামকরণ নিয়ে কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে।

লক্ষ্মী, হিন্দু ধর্মানুসারে ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দুর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্নী) এবং পুর হল শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্ছানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর নামে একটি মৌজা ছিল। আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা।

আবার অন্যমতে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা আরাকান পলায়নের সময় ১৬২০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ধাপা ও শ্রীপুর হয়ে ৯ মে লক্ষ্মীদাহ পরগনা ত্যাগ করে ভুলুয়া দুর্গের ৮ মাইলের মধ্যে আসেন। ১২ মে ভুলুয়া দুর্গ জয় করতে না পেরে আরাকান চলে যান। সেই লক্ষ্মীদাহ পরগনা থেকে লক্ষ্মীপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ ধারণ করেন। লক্ষ্মীপুর শহরের পূর্ব পাশে শাহ সুজার নামানুসারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় সুজা বাদশা সড়ক। বিখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানাউল্লাহ নূরী সুজা বাদশা সড়ক নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থও রচনা করেছেন।

১৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে মগ ও ফিরিঙ্গীদের মিলিত বাহিনী ভুলুয়া, ভবানীগঞ্জ ও ইসলামাবাদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। স্যার যদুনাথ সরকার এ সংক্রান্ত বর্ণনায় লিখেছেন, ইসলামাবাদ চাটগাঁ শহর নয়। ভুলুয়ার পশ্চিমে একটি দুর্গ সমৃদ্ধ শহর। ঐতিহাসিক ড. বোরাহ ইসলামাবাদকে লক্ষ্মীপুর বলে ধারণা করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজার অংশ মেঘনা পাড়ের দুর্গ সমৃদ্ধ কামানখোলাই ইসলামাবাদ নামের মগ ও ফিরিঙ্গীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল।

শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার রাজপুরুষ যোগীবংশ নামক গবেষণামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তার পূর্বপুরুষরা ১৬২৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তার বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।[]

সাধারণ ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মীপুর ভুলুয়া রাজ্যের অধীন ছিল। মুঘল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লক্ষ্মীপুরে একটি সামরিক স্থাপনা ছিল। ষোড়শ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপন্ন হত এবং বাইরে রপ্তানি হত। লবণের কারণে এখানে লবণ বিপ্লব ঘটে। স্বদেশী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরবাসী স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধী এ অঞ্চল ভ্রমণ করেন। তিনি তখন প্রায়ই কাফিলাতলি আখড়া ও রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ীতে অবস্থান করতেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২৬ সালের জুন মাসে লক্ষ্মীপুর সফরে আসেন।[]

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি

[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুর শহরের রহমতখালি সেতুর কাছে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৭২ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। ২৫ অক্টোবর সদরের মীরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের এক সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর মেজরসহ ৭০ জন সৈন্য ও ৪১ জন রেঞ্জার নিহত হয়। রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর দীঘির পাড়ে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াই সংঘটিত হয়। এ লড়াইয়ে বহুসংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। পরবর্তীকালে পাকসেনারা ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করে রামগঞ্জ ক্যাম্পে এনে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রামগতি উপজেলার জমিদার হাটের বাঁকে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে কয়েকজন রাজাকারসহ ১৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।[]

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
  • গণকবর: ৪টি
  • বধ্যভূমি: ২টি
  • স্মৃতিস্তম্ভ ৩টি[]

অবস্থান ও সীমানা

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°৩০´ থেকে ২৩°১০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৮´ থেকে ৯০°০১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলার অবস্থান।[] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে চাঁদপুর জেলা, কুমিল্লা জেলা, দক্ষিণে ভোলা জেলানোয়াখালী জেলা, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, ভোলা জেলাবরিশাল জেলা। লক্ষ্মীপুর শহর রহমতখালি নদীর তীরে অবস্থিত।

আয়তন

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলার মোট আয়তন ১,৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার।[] আয়তনে এটি বৃহত্তর নোয়াখালীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলা ৫টি উপজেলা, ৬টি থানা, ৪টি পৌরসভা, ৫৮টি ইউনিয়ন, ৪৪৫টি মৌজা, ৫৩৬টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

লক্ষ্মীপুর জেলায় মোট ৫টি উপজেলা রয়েছে।

ক্রম নং উপজেলা আয়তন[]
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ
০১ কমলনগর ১৪৪.২৮ কমলনগর ইউনিয়ন (৯টি): চর কালকিনি, সাহেবেরহাট, চর লরেন্স, চর মার্টিন, চর ফলকন, পাটারীরহাট, হাজিরহাট, চর কাদিরা এবং তোরাবগঞ্জ
০২ রামগঞ্জ ১৬৯.৩১ রামগঞ্জ পৌরসভা (১টি): রামগঞ্জ
ইউনিয়ন (১০টি): কাঞ্চনপুর, নোয়াগাঁও, ভাদুর, ইছাপুর, চণ্ডিপুর, ৬ নং লামচর, দরবেশপুর, করপাড়া, ভোলাকোট এবং ভাটরা
০৩ রামগতি ২৯১.৮২ রামগতি পৌরসভা (১টি): রামগতি
ইউনিয়ন (৮টি): চর বাদাম, চর পোড়াগাছা, আলেকজান্ডার, চর আবদুল্যাহ, চর আলগী, চর রমিজ, বড়খেড়ী এবং চর গাজী
০৪ রায়পুর ২৪৭.৪০ রায়পুর পৌরসভা (১টি): রায়পুর
ইউনিয়ন (১০টি): উত্তর চর আবাবিল, উত্তর চর বংশী, চর মোহনা, সোনাপুর, চর পাতা, কেরোয়া, বামনী, দক্ষিণ চর বংশী, দক্ষিণ চর আবাবিল এবং রায়পুর
০৫ লক্ষ্মীপুর সদর ৫১৪.৭৮ লক্ষ্মীপুর সদর পৌরসভা (১টি): লক্ষ্মীপুর
ইউনিয়ন (১২টি): উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, চর রুহিতা, পার্বতীনগর, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি, শাকচর, ভবানীগঞ্জ, তেওয়ারীগঞ্জ, চর রমণীমোহন এবং টুমচর
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন (৯টি): বশিকপুর, দত্তপাড়া, উত্তর জয়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, হাজিরপাড়া, চর শাহী, দিঘলী, মান্দারী এবং কুশাখালী

সংসদীয় আসন

[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[] সংসদ সদস্য[][][][][১০] রাজনৈতিক দল
২৭৪ লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ উপজেলা শূণ্য
২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, চর রুহিতা, পার্বতীনগর, বশিকপুর, শাকচর, চর রমণীমোহনটুমচর ইউনিয়ন শূণ্য
২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, বাঙ্গাখাঁ, দত্তপাড়া, উত্তর জয়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, হাজিরপাড়া, চর শাহী, দিঘলী, মান্দারী, লাহারকান্দি, ভবানীগঞ্জ, কুশাখালীতেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন শূণ্য
২৭৭ লক্ষ্মীপুর-৪ কমলনগর উপজেলা এবং রামগতি উপজেলা শূণ্য

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর জেলার মোট জনসংখ্যা ১৭,২৯,১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৬,৮৬৮ জন এবং মহিলা ৮,৬২,৩২০ জন।[]

লক্ষ্মীপুর জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০১১
  1. ইসলাম (৯৩.৩১%)
  2. হিন্দু ধর্ম (৪.৬৬%)
  3. বৌদ্ধ ধর্ম (২%)
  4. খ্রিস্ট ধর্ম (০.০৩%)

ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩১% মুসলিম, ৪.৬৬% হিন্দু এবং ০.০৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।[]

উপজেলা ভিত্তিক জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা অনুযায়ী লক্ষীপুরের উপজেলাসমূহ
  1. লক্ষ্মীপুর সদর (৪২.০৫%)
  2. রামগঞ্জ (১৪.৭৪%)
  3. রায়পুর (১৪.২%)
  4. কমলনগর (১১.৫%)
  5. রামগতি (১৩.৪৭%)

শিক্ষা ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলার সাক্ষরতার হার ৬১.৪০%।[] এ জেলায় রয়েছে:[]

  • কামিল মাদরাসা ৮টি
  • আইন কলেজ ১টি
  • হোমিও কলেজ ১টি
  • ফাজিল মাদরাসা ১৯টি
  • কলেজ ২৮টি
  • আলিম মাদরাসা ২২টি
  • স্কুল এন্ড কলেজ ৪টি
  • দাখিল মাদরাসা ৮৫টি
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫৭টি
  • কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪টি
  • ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ১টি
  • নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪টি
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৪৯টি
  • ইবতেদায়ি মাদরাসা ৬১টি

যোগাযোগ ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক এবং কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া নদী মাতৃক জেলা হওয়ায় নদী পথেও লক্ষ্মীপুরের সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ ও পণ্য পরিবহন করা হয়।

নদ-নদী

[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান নদীগুলো হল মেঘনা নদী, ডাকাতিয়া নদী, কাটাখালী নদী, রহমতখালি নদী চন্দনা ও ভুলুয়া নদী। ঐতিহাসিক বরেন্দ্র খাল।

পত্র-পত্রিকা

[সম্পাদনা]
  • দৈনিক : লক্ষ্মীপুর কণ্ঠ (১৯৯৫) বর্তমানে বন্ধ আল-চিশত (১৯৯৫)
  • সাপ্তাহিক : নতুন সমাজ বর্তমানে বন্ধ, নতুন দেশ (১৯৭৩) বর্তমানে বন্ধ, সমবায় বার্তা (বাংলাদেশ বার্তা) বর্তমানে বন্ধ, ১৯৭৩), মুক্তিবাণী (১৯২৮) , অবলুপ্ত), গণমুখ (১৯৭৩, অবলুপ্ত), এলান (১৯৮২)বর্তমানে বন্ধ, নতুন পথ (১৯৮৭), দামামা (১৯৯২) বর্তমানে বন্ধ, আনন্দ আকাশ (১৯৯৫, অবলুপ্ত), রামগঞ্জ বার্তা (১৯৯১), রোজনামচা (অবলুপ্ত)।
  • পাক্ষিক : অবসর।
  • মাসিক : রেনেসাঁ, জাগরণ (২০০০), বাংলা আওয়াজ,।
  • ত্রৈমাসিক : রায়পুর দর্পণ (১৯৯৮)।
  • সাময়িকী : চেতনা (১৯৬৯), প্রচ্ছদ (১৯৮৪), ছায়াপথ, কবিতা বার্তা, রামগতি দর্পণ, লক্ষ্মীপুর বার্তা (১৯৮৯), অগ্রজ (১৯৯৯), বিচিত্রিতা (১৯৯৪), দূরদিগন্ত (২০০২), অশরীরী (২০০০), উল্কা (২০০৩), চন্দ্রাবতী (২০০৪), নাটাই(২০০৬), তাজিয়া(২০০৭), শব্দচাষ(২০০৮), আবীর আকাশ জার্নাল (২০০৯)

ঐতিহাসিক নিদর্শন

[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

[সম্পাদনা]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 3 4 "এক নজরে লক্ষ্মীপুর জেলা"www.lakshmipur.gov.bd। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮
  2. {{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.desh.tv/country-news/40423%7Cশিরোনাম=লক্ষ্মীপুরের জনসংখ্যা ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৮
  3. 1 2 3 "লক্ষ্মীপুর জেলার পটভূমি"www.lakshmipur.gov.bd। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮
  4. 1 2 3 4 5 6 "লক্ষ্মীপুর জেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮
  5. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd। ২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৯
  6. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  7. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  8. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  9. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  10. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]