বিষয়বস্তুতে চলুন

রাণীনগর উপজেলা

(রানীনগর উপজেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রাণীনগর
উপজেলা
রক্তদহ বিল পর্যটন এলাকার প্রবেশ পথ
রক্তদহ বিল পর্যটন এলাকার প্রবেশ পথ
মানচিত্রে রাণীনগর উপজেলা
মানচিত্রে রাণীনগর উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৪′১০″ উত্তর ৮৮°৫৮′২৮″ পূর্ব / ২৪.৭৩৬১১° উত্তর ৮৮.৯৭৪৪৪° পূর্ব / 24.73611; 88.97444 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলানওগাঁ জেলা
সরকার
  উপজেলা নির্বাহী অফিসারমোঃ রাকিবুল হাসান
আয়তন
  মোট২৫৮.৩৩ বর্গকিমি (৯৯.৭৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)[]
  মোট১,৯২,২১৪
  জনঘনত্ব৭৪০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৭০.৪৪%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৬৪ ৮৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

রাণীনগর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

রাণীনগর উপজেলা নওগাঁ জেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমানায় অবস্থিত।রাণীনগর উপজেলার আয়তন ২৫৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে নওগাঁ সদর উপজেলাবগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা, দক্ষিণে আত্রাই উপজেলা, পূর্বে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলানাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা, পশ্চিমে মান্দা উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

[সম্পাদনা]

রাণীনগর থানা, সদর উপজেলার একটি মৌজা নিয়ে গঠিত। সদর-এর আয়তন ০.১ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার অন্তর্গত গ্রামের সংখ্যা ১৬৯টি এবং মৌজা ১৯১টি।

ইউনিয়ন সমূহ

ভৌগোলিক উপাত্ত

[সম্পাদনা]

রাণীনগর উপজেলার প্রধান নদী ছোট যমুনা, এছাড়া পূর্ব সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী নাগর নদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পতিসর কাঁচারী বাড়ীতে থাকা অবস্থাই যে নদীকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে" কবিতাটি লিখেছিলেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

“রানীনগর” নামকরণ সম্পর্কে প্রচলিত আছে যে, তেরোশ পুকুর আর বারোশ গারির (ছোট পুকুর) অবস্হান ছিল এই অঞ্চলে। এগার’শ - বার’শ শতাব্দীর পাল বংশের পরাক্রমশালী জমিদার খট্রেশ্বর রাজার প্রভাবশালিনী রাণীর সন্মার্থে মৌজার নাম “রানীনগর” আর রাজার নামে নামকরণ হয় “খট্রেশ্বর পরগনা”। ইংরেজ সেটেলমেন্ট রেকর্ডেও এই অঞ্চলের পরগনার নাম “খট্রেশ্বর” এবং মৌজার নাম “রানীনগর” উল্লেখ করা হয়।

আবার অন্য তথ্যমতে, ছাতিয়ানগ্রামের জমিদার কন্যা নাটোরের রাণী ভবানি শংকর যাত্রা বিরতিতে বর্তমান রানীনগর বাজারে বিশ্রাম নিয়েছিলেন, সেই থেকে এর নাম “রানীনগর”।

এটি ১৮৫৬ সালে “রানীনগর” থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, উপজেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে, এবং উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৮৩ সালের ১লা আগস্ট।

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]

উপজেলার মোট জনসংখ্যা (জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী) ১,৯২,২২৬ জন, পুরুষ ৯৩৬৩৫ জন, মহিলা ৯৮৫৭৯ জন, খানা ৫২২১২টি, খানার সাইজ ৩.৬৩, শিক্ষার হার ৭০.৪৪, পুরুষ শিক্ষার হার ৭৩.৭৬, মহিলা শিক্ষার হার ৭২.৪৬।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]
আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়

উপজেলার শিক্ষার হার ৪৭.৭%।[] পুরুষ ৫৩.৬% মহিলা ৪১.৪%। উপজেলায় রয়েছে ৪টি কলেজ, ১৬টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাদ্রাসা, বিভিন্ন এনজিও (NGO) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৫ টি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ১৮টি।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

[সম্পাদনা]

আলমগীর কবির (রাজনীতিবিদ) – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ; নওগাঁ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। • ইসরাফিল আলম – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ; নওগাঁ-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সাথেও জড়িত ছিলেন। • আনোয়ার হোসেন হেলাল – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ; সাবেক সংসদ সদস্য, নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসন থেকে নির্বাচিত।

উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা

[সম্পাদনা]

বিবিধ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে রাণী নগর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]