খুলনা জেলা

স্থানাঙ্ক: ২২°২১′ উত্তর ৮৯°১৮′ পূর্ব / ২২.৩৫০° উত্তর ৮৯.৩০০° পূর্ব / 22.350; 89.300
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খুলনা জেলা
জেলা
ডাকনাম: জাহানাবাদ
নীতিবাক্য: বাঘের গর্জন, সমৃদ্ধি ও অর্জন
বাংলাদেশে খুলনা জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে খুলনা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°২১′ উত্তর ৮৯°১৮′ পূর্ব / ২২.৩৫০° উত্তর ৮৯.৩০০° পূর্ব / 22.350; 89.300 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
প্রতিষ্ঠা১৮৮২
সরকার
 • জেলা প্রশাসকমোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার
আয়তন
 • মোট৪,৩৯৪.৪৫ বর্গকিমি (১,৬৯৬.৭১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১ [১])
 • মোট৩৫,৪৫,০০০
 • জনঘনত্ব৮১০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৭৯.৯%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৯০০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৪৭
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

খুলনা জেলা (জাহানাবাদ নামেও পরিচিত) হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থানগত কারণে এটি বাংলাদেশের একটি বিশেষ শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] এটি খুলনা বিভাগে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক ঘটনা প্রায় ৬০০ বছর আগে পীর খানজাহান এই জেলায় এসেছিলেন ধর্ম প্রচারের জন্য। তিনি প্রথমে সুন্দরবন এলাকা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার বসতি স্থাপন করেন এবং বাগেরহাটের আশেপাশের এলাকায় তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। স্বদেশী আন্দোলনের প্রচারের জন্য মহাত্মা গান্ধী ১৯২৬ সালে খালিশপুরে আসেন।

প্রশাসন জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮২ সালে।১২ ডিসেম্বর ১৮৮৪ খুলনা পৌরসভা ঘোষণা করা হয় সালে এবং ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয় । খুলনাকে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৬ আগস্ট ১৯৯০ সালে‌।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

খুলনা জেলার উত্তরে যশোরনড়াইল জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে বাগেরহাট জেলা এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলা রয়েছে।[৩] এর আয়তন ৪৩৯৪.৪৫ কিমি²।

উপজেলা সমূহ[সম্পাদনা]

খুলনা জেলার উপজেলাগুলি হল -

ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু[সম্পাদনা]

খুলনা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে। এই জেলার জলবায়ু নাতিষীতোষ্ণ। খুলনা জেলায় জনসংখ্যা ২৩৭৮৯৭১; পুরুষ ১২৪৪২২৬, মহিলা ১১৩৪৭৪৫। মুসলিম ১৮২১১১৯, হিন্দু ৫৪০৬৯৩, বৌদ্ধ ১৫৮১৮, খ্রিস্টান ২৮৯ এবং অন্যান্য ১০৫২।

নদ-নদী[সম্পাদনা]

খুলনা জেলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে রূপসা নদী, ভৈরব নদ, শিবসা নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, পশুর নদী, আঠারোবাঁকি নদী, ভদ্রা নদী, বুড়িভদ্রা নদী, শৈলমারী নদী, কাজিবাছা নদী, ডাকাতিয়া নদী, শাকবাড়িয়া নদী, কাঁকরী নদী, ঝপঝপিয়া নদী, তেলিগঙ্গা-ঘেংরাইল নদী, অর্পণগাছিয়া নদী, কুঙ্গা নদী, মারজাত নদী, মানকি নদী, বল নদী, নলুয়া নদী, ঘনরাজ নদী।[৪][৫][৬]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

খুলনা, যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন। এই বোর্ডে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গৃহীত হয়ে থাকে।

খুলনায় একটি প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য রয়েছেঃ

খুলনা জেলায় শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৭.৮১%; পুরুষ ৬৩.২৬%, মহিলা ৫১.৮৩%। বিশ্ববিদ্যালয় ৬, মেডিকেল কলেজ ১, হোমিওপ্যাথিক কলেজ ১, কলেজ ২৭, আর্ট কলেজ ১, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৬, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫০।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

মূলত কৃষির পাশাপাশি শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠেছে এখানে। এখানে রয়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র, জুট মিল, লবণ ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশের বাসমতী 'বাংলামতি' ধান উৎপাদন প্রভৃতি।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৩৪.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ৬.২২%, শিল্প ৩.৫১%, ব্যবসা ১৯.৬০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.১৭%, চাকরি ১৮.২৭%, নির্মাণ ১.৯৯%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭৮% এবং অন্যান্য ৯.৩৫%।

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

জারি, সারি, কীর্তন, গাজীর গান, হালুই গান, মনসার ভাসান, ভাটি পূজার গান উল্লেখযোগ্য। কাবাডি, গোল্লললাছুট, হাডুডু, ঘোড়দৌড়, কানামাছি, লাঠিখেলা, কুস্তি, ডাংগুটি, নৌকাবাইচ, বাঘবন্দি, জোড়-বিজোড় প্রভৃতি খেলা এ অঞ্চলে এখনও প্রচলিত। বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠীর নাট্যচর্চাও এখানে পরিলক্ষিত হয়।

পর্যটন স্থান[সম্পাদনা]

স্থানীয় পত্র-পত্রিকা[সম্পাদনা]

খুলনা থেকে যে সমস্ত প্রত্রিকা প্রকাশিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ ডেইলী ট্রিবিউন, দৈনিক জন্মভূমি, দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক প্রবাহ, দৈনিক অনির্বাণ, দৈনিক জনবার্তা, দৈনিক তথ্য, দৈনিক রাজপথের দাবী, দৈনিক সত্যখবর, দৈনিক হিযবুল্লা, দৈনিক পাঠকের কাগজ, দৈনিক যুগের সাথী, দৈনিক কালান্তর, দৈনিক বিশ্ববার্তা, ডেইলী মেইল। খুলনাপিডিয়া, বর্তমান সাময়িকী: পুরুষোত্তমদ্যুতি, শিকড়, সাহিত্য পত্রিকা পদাতিক। সাপ্তাহিক: খুলনা, জনভেরী, পদধ্বনি, রূপসা, ছায়াপথ, গণবাণী। অবলুপ্ত সাময়িকী: আগামী, ইত্যাদি, দেশকাল।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আদমশুমারী" (পিডিএফ)। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬ 
  2. "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  3. Sandipak Mallik (২০১২)। "Khulna District"। Sirajul Islam and Ahmed A. Jamal। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh। ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৪ 
  4. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  5. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 

বহিসংযোগ[সম্পাদনা]

  1. খুলনা জেলার তথ্য বাতায়ন।