গাইবান্ধা জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৫°১৫′ উত্তর ৮৯°৩০′ পূর্ব / ২৫.২৫০° উত্তর ৮৯.৫০০° পূর্ব / 25.250; 89.500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাইবান্ধা
জেলা
গাইবান্ধা জেলা
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে:কাদিরবক্স মন্ডল মসজিদ,ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার, জামালপুর শাহী মসজিদ, ফুলছড়ি ঘাট, পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠ
বাংলাদেশে গাইবান্ধা জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে গাইবান্ধা জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°১৫′ উত্তর ৮৯°৩০′ পূর্ব / ২৫.২৫০° উত্তর ৮৯.৫০০° পূর্ব / 25.250; 89.500 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
গাইবান্ধা জেলা১৯৮৪
সরকার
 • জেলা প্রশাসককাজী নাহিদ রাসুল
আয়তন
 • মোট২,১৭৯.২৭ বর্গকিমি (৮৪১.৪২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)[১]
 • মোট২৫,৫৬,৭৬০
 • জনঘনত্ব১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৮৪.৩%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৭০০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৩২
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

গাইবান্ধা জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগ এর একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। প্রশাসন গাইবান্ধা জেলা ১৮৫৮ সালের ২৭ আগস্ট বৃহত্তর রংপুর জেলার অধীনে ভবানীগঞ্জ নামে একটি মহকুমা গঠিত হয়। ১৮৭৫ সালে ভবানীগঞ্জ নদীগর্ভে বিলীন হলে মহকুমা সদর দপ্তর গাইবান্ধায় স্থানান্তরিত হয়। এ এলাকা এক সময় বাহরবন্দ পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯২৩ সালে গাইবান্ধা শহরটি মিউনিসিপ্যালিটিতে রূপান্তর হয়। ১৯৬০ সালে মিউনিসিপ্যালিটি বিলুপ্ত হয়ে গাইবান্ধা টাউন কমিটি গঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে শহর এলাকা গাইবান্ধা পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। গাইবান্ধা জেলা গঠিত হয় ১৯৮৪ সালে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কথিত আছে আজ থেকে প্রায় ৫২০০ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় বিরাট রাজার রাজধানী ছিল। বিরাট রাজার প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার গাভী ছিল। সেই গাভী বাধার স্থান হিসাবে গাইবান্ধা নামটি এসেছে বলে কিংবদন্তি রয়েছে। ১৯৮৪ ইং সালের ১৫ আগস্ট, বুধবা্র, ২রা ফাল্গুন ১৩৯০ বাংলা ,১২ ই জমাদিউল আউয়াল ১৪০৪ হিজরী সনে গাইবান্ধা জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২]

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

গাইবান্ধা জেলার উত্তরে কুড়িগ্রাম জেলারংপুর জেলা, দক্ষিণে বগুড়া জেলা, পূর্বে জামালপুর জেলাকুড়িগ্রাম জেলাব্রহ্মপুত্র নদ, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলা, জয়পুরহাট জেলারংপুর জেলা

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ[সম্পাদনা]

গাইবান্ধা জেলা সংসদীয় আসনঃ ৫টি; ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ৮১ টি; মৌজাঃ ১০৮২টি; গ্রামের সংখ্যাঃ ১২৫০ টি; এছাড়াও ৪টি পৌরসভা ( গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ, ও পলাশবাড়ী)‌ নিয়ে গঠিত।

গাইবান্ধা জেলা সাতটি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হচ্ছে:

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলার মোট জনসংখ্যা ২৫,৬২,২৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,৩৮,৬২১ জন এবং মহিলা ১৩,১৭,৯৪৪ জন।[৩]

মুসলিম ২২০৫৫৩৯, হিন্দু ১৬৭৮৯৭, বৌদ্ধ ৫০, খ্রিস্টান ২৯২০ এবং অন্যান্য ২৮৪৯। এ উপজেলায় সাঁওতাল, ওরাও প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।


শিক্ষা[সম্পাদনা]

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪২.৮%; পুরুষ ৪৬.৩%, মহিলা ৩৯.৫%।

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৬৬টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৪টি, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি, বেসরকারি মাধ্যমিক ৩৬১টি বেসরকারি কলেজ ৪৮টি, সরকারি কলেজ ৮টি, কমিউনিটি স্কুল ৯০টি, কিন্ডার গার্টেন ১৯৬টি, দাখিল ও তদুর্ধ্ব মাদ্রাসার ২১৩টি, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ২৪১টি, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভিটিআই) ১টি, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (পিটিআই) ১টি, এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এটিআই) ১টি, ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি) ১টি, বিপিএড কলেজ ১টি, বিএড কলেজ ১টি, আইন কলেজ ১টি, হোমিও কলেজ ১টি, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ১টি।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৮৫), জুমার বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৩), সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৪), পলাশবাড়ী এস এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১১), গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১২), গাইবান্ধা ইসলামিয়া হাই স্কুল (১৯১৪), হরিপুর বিএসএম বালিকা বিদ্যালয় (১৯১৪), খোর্দ কোমরপুর হাই স্কুল (১৯১৫), শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৬), বামনডাঙ্গা এম এন হাই স্কুল (১৯১৭), তুলশীঘাট কাশীনাথ হাই স্কুল (১৯১৭), বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ (১৯১৭), পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭), বেলকা এম.সি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), সাদুল্লাপুর বহুমূখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), কামদিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২১), চাপাদহ বি. এল উচ্চ বিদ্যালয়(১৯১৯), কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২০), রওশনবাগ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৬), কাটগড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৭), ভরতখালী হাই স্কুল (১৯২৯)।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

গাইবান্ধা জেলায় কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান ১,৬৩,৫২৯টি, ক্ষুদ্র শিল্প ২,১২৩ টি, মাঝারি শিল্প ৫টি, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান ১ টি।[৪]

এই জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কোচাশহর ইউনিয়ন কুটির শিল্পে খুবই উন্নত। এখানে ১৯৬০-এর দশক থেকে সুয়েটার, মুজা, মাফলার ইত্যাদি তৈরী করা হয়। তবে গাইবান্ধা অঞ্চলের মানুষের গড় আয় দৈনিক মাএ ৩৭৫ টাকা।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা[সম্পাদনা]

১. জেনারেল হাসপাতাল: ০১টি

২. উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ০৬টি

৩. বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক: ৪৬টি

৪. পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংখ্যা: ৫৪টি

৫. ইপিআই কভারেজ: ৯৯%

৬. স্যানিটেশন কাভারেজ: ৮৯%

৭. মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র: ০৩ টি

৮. টিবিক্লিনিক: ০১ টি

৯. নার্সিং কলেজ: ০৩টি

১০. পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র: ০১টি


নদ ও নদী[সম্পাদনা]


পত্র-পত্রিকা[সম্পাদনা]

  • দৈনিক পত্রিকা:

৫টি (দৈনিক ঘাঘট, মাধুকর, আজকের জনগণ, জনসংকেত ও গাইবান্ধার দর্পন)

  • সাপ্তাহিক পত্রিকা:

১০টি (অবিরাম, গণমানুষের খবর, গাইবান্ধার কথা, জনসেনা, পলাশবাড়ী, নুরজাহান, গণ উত্তোরণ, গাইবান্ধার বুকে, চলমান জবাব ও আমাদের গাইবান্ধা)

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]


উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৬ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Gaibandha.gov.bd নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩১ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  5. গোবিন্দোগঞ্জ
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]