সুচিত্রা সেন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রমা দাশগুপ্ত
বিমল রায়ের দেবদাস (১৯৫৫) ছবিতে পারু চরিত্রে সুচিত্রা সেন
জন্ম
রমা দাশগুপ্ত

(১৯৩১-০৪-০৬)৬ এপ্রিল ১৯৩১
মৃত্যু১৭ জানুয়ারি ২০১৪(2014-01-17) (বয়স ৮২)[১]
জাতীয়তাভারতীয়
কর্মজীবন১৯৫৩–১৯৭৯
উল্লেখযোগ্য কর্ম
সাত পাকে বাঁধা
সপ্তপদী
শাপমোচন
হারানো সুর
দ্বীপ জ্বেলে যাই
দাম্পত্য সঙ্গীদিবানাথ সেন
সন্তানমুনমুন সেন
পুরস্কারপদ্মশ্রী, বঙ্গবিভূষণ
স্বাক্ষর

সুচিত্রা সেন (৬ এপ্রিল ১৯৩১ – ১৭ জানুয়ারি ২০১৪) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন।[২] তার জন্মগত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

১৯৬৩ সালে সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন "সেরা অভিনেত্রীর জন্য রোপ্য পুরস্কার" জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।[৩] ১৯৭২ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে।[৪] শোনা যায়, ২০০৫ সালে তাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল; কিন্তু সুচিত্রা সেন জনসমক্ষে আসতে চান না বলে এই পুরস্কার গ্রহণ করেননি।[৫] ২০১২ সালে তাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা বঙ্গবিভূষণ প্রদান করা হয়।[৬]

ব্যক্তিগত জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্গত সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার অন্তর্গত সেন ভাঙ্গাবাড়ী) গ্রাম সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক নিবাস। পাবনা জেলার সদর পাবনায় সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৭][৮] তার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন গৃহবধূ। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। পাবনা শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।[৯]

১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়।[১০] তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। ১৯৫২ সালে সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত হন।[১১]

চলচ্চিত্র জীবন[সম্পাদনা]

বাংলা চলচ্চিত্র হারানো সুরে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন

১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি।[১২]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

সুচিত্রা সেনই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি।[১২] ১৯৫৫ সালের দেবদাস ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সাথে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে তার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর দাদাসাহেব সম্মাননা প্রদান করে ভারত সরকার। চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। সম্মাননা নিতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চাননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।[১৩]

অন্তরীণ জীবন[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের কলকাতা বইমেলায় সেনের প্রতি স্মৃতিটুকু থাক শ্রদ্ধাঞ্জলি। ২৯ জানুয়ারী ২০১৪।

১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন। [১] ২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হন, কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লি যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণে তাকে পুরস্কার দেওয়া হয় নি।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

কলকাতার রবীন্দ্র সদনে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি।১৯ জানুয়ারী ২০১৪।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়।[১৪][১৫] তিন সপ্তাহ আগে ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।[১৬] পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শেষকৃত্যে গান স্যালুট দেবার কথা ঘোষণা করেন।[১৬] ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী-পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠান।[১৭]

পরিবার[সম্পাদনা]

তার মেয়ে মুনমুন সেন এবং নাতনী রিয়া সেনরাইমা সেন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

চলচ্চিত্রের তালিকা[সম্পাদনা]

সাল চলচ্চিত্র মুক্তির তারিখ নামভূমিকা পরিচালক নায়ক মন্তব্য
১৯৫২ শেষ কোথায় অমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি মুক্তি পায়নি
১৯৫৩ সাত নম্বর কয়েদী ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ অরুণা সুকুমার দাশগুপ্ত সমর রায় মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি
১৯৫৩ সাড়ে চুয়াত্তর ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ রমলা নির্মল দে উত্তম কুমার
১৯৫৩ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ১১ ডিসেম্বর ১৯৫৩ বিষ্ণুপ্রিয়া দেবকী বসু বসন্ত চৌধুরী
১৯৫৩ কাজরী ১০ এপ্রিল ১৯৫৩ নীরেন লাহিড়ী নায়ক নেই
১৯৫৪ অ্যাটম বম্ব ১ জানুয়ারি ১৯৫৪ তারু মুখোপাধ্যায় রবীন মজুমদার এক্সট্রা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ছবির প্রধান নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
১৯৫৪ ওরা থাকে ওধারে ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ প্রমীলা সুকুমার দাশগুপ্ত উত্তম কুমার
১৯৫৪ ঢুলি ৩ জুন ১৯৫৪ মিনতি পিনাকী মুখোপাধ্যায় প্রশান্ত কুমার
১৯৫৪ মরণের পরে ২৫ জুন ১৯৫৪ তনিমা সতীশ দাশগুপ্ত উত্তম কুমার
১৯৫৪ সদানন্দের মেলা ১৬ জুলাই ১৯৫৪ শীলা সুকুমার দাশগুপ্ত উত্তম কুমার
১৯৫৪ অন্নপূর্ণার মন্দির ৬ আগস্ট ১৯৫৪ সতী নরেশ মিত্র উত্তম কুমার
১৯৫৪ অগ্নিপরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ তাপসী অগ্রদূত উত্তম কুমার
১৯৫৪ গৃহপ্রবেশ ১২ নভেম্বর ১৯৫৪ অজয় কর উত্তম কুমার
১৯৫৪ বলয়গ্রাস ১৭ ডিসেম্বর ১৯৫৪ মণিমালা পিনাকী মুখোপাধ্যায়
১৯৫৫ সাঁঝের প্রদীপ ২৮ জানুয়ারি ১৯৫৫ রাজু সুধাংশু মুখোপাধ্যায় উত্তম কুমার
১৯৫৫ দেবদাস ১ জানুয়ারি ১৯৫৫ পার্বতী (পারু) বিমল রায় দিলীপ কুমার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস "দেবদাস" অবলম্বনে নির্মিত প্রথম হিন্দি ছবি
১৯৫৫ সাজঘর ১১ মার্চ ১৯৫৫ অজয় কর বিকাশ রায়
১৯৫৫ শাপমোচন ২৭ মে ১৯৫৫ মাধুরী সুধীর মুখোপাধ্যায় উত্তম কুমার
১৯৫৫ মেজ বৌ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ দেবনারায়ণ গুপ্ত বিকাশ রায়
১৯৫৫ ভালোবাসা ৬ অক্টোবর ১৯৫৫ দেবকী বসু বসন্ত চৌধুরী
১৯৫৫ সবার উপরে ১ ডিসেম্বর ১৯৫৫ রিতা অগ্রদূত উত্তম কুমার
১৯৫৬ সাগরিকা ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ সাগরিকা অগ্রগামী উত্তম কুমার
১৯৫৬ শুভরাত্রি ৩০ মার্চ ১৯৫৬ শান্তি সুশীল মজুমদার বসন্ত চৌধুরী
১৯৫৬ একটি রাত ১১ মে ১৯৫৬ সান্ত্বনা চিত্ত বসু উত্তম কুমার
১৯৫৬ ত্রিযামা ২৮ জুন ১৯৫৬ স্বরুপা অগ্রদূত উত্তম কুমার
১৯৫৬ শিল্পী ৩০ নভেম্বর ১৯৫৬ অঞ্জনা অগ্রগামী উত্তম কুমার
১৯৫৬ আমার বৌ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬ খগেন রায় বিকাশ রায়
১৯৫৭ হারানো সুর ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ ডঃ রমা ব্যানার্জি অজয় কর উত্তম কুমার
১৯৫৭ চন্দ্রনাথ ১৫ নভেম্বর ১৯৫৭ সরযূ কার্তিক চট্টোপাধ্যায় উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস "চন্দ্রনাথ" অবলম্বনে
১৯৫৭ পথে হল দেরী ৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭ মল্লিকা ব্যানার্জি অগ্রদূত উত্তম কুমার
১৯৫৭ জীবন তৃষ্ণা ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭ শকুন্তলা অসিত সেন উত্তম কুমার
১৯৫৭ মুসাফির শকুন্তলা বর্মা হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় শেখর হিন্দি ছবি
১৯৫৭ চম্পাকলি চম্পাকলি নন্দলাল জসবন্তলাল ভারত ভূষণ হিন্দি ছবি
১৯৫৮ রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ রাজলক্ষ্মী হরিদাস ভট্টাচার্য উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস "রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত" অবলম্বনে
১৯৫৮ সূর্যতোরণ ২১ নভেম্বর ১৯৫৮ অনিতা চ্যাটার্জি অগ্রদূত উত্তম কুমার
১৯৫৮ ইন্দ্রাণী ১০ অক্টোবর ১৯৫৮ ইন্দ্রাণী নীরেন লাহিড়ী উত্তম কুমার
১৯৫৯ দীপ জ্বেলে যাই ১ মে ১৯৫৯ রাধা মিত্র অসিত সেন বসন্ত চৌধুরী
১৯৫৯ চাওয়া পাওয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ মঞ্জু যাত্রিক উত্তম কুমার
১৯৬০ হসপিটাল ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ শর্বরী সুশীল মজুমদার অশোক কুমার
১৯৬০ স্মৃতিটুকু থাক ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ শোভা/উৎপলা যাত্রিক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় / বিকাশ রায় প্রথম বার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়
১৯৬০ বোম্বাই কা বাবু মায়া রাজ খোসলা দেব আনন্দ হিন্দি ছবি
১৯৬০ সরহদ শঙ্কর মুখার্জি দেব আনন্দ হিন্দি ছবি
১৯৬১ সপ্তপদী ২০ অক্টোবর ১৯৬১ রিনা ব্রাউন অজয় কর উত্তম কুমার
১৯৬২ বিপাশা ২৬ জানুয়ারি ১৯৬২ বিপাশা অগ্রদূত উত্তম কুমার
১৯৬৩ সাত পাকে বাঁধা ২২ মার্চ ১৯৬৩ অর্চনা অজয় কর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
১৯৬৩ উত্তর ফাল্গুনী ১১ অক্টোবর ১৯৬৩ দেবযানী / পান্নাবাঈ / সুপর্ণা অসিত সেন দিলীপ মুখোপাধ্যায় / বিকাশ রায় দ্বৈত চরিত্র
১৯৬৪ সন্ধ্যাদীপের শিখা ২ অক্টোবর ১৯৬৪ জয়ন্তী ব্যানার্জি হরিদাস ভট্টাচার্য দিলীপ মুখোপাধ্যায় / বিকাশ রায়
১৯৬৬ মমতা দেবযানী / পান্নাবাঈ / সুপর্ণা অসিত সেন ধর্মেন্দ্র / অশোক কুমার বাংলা চলচ্চিত্র "উত্তর ফাল্গুনী" এর হিন্দি সংস্করণ
১৯৬৭ গৃহদাহ ৫ মে ১৯৬৭ অচলা সুবোধ মিত্র উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস "গৃহদাহ" অবলম্বনে
১৯৬৯ কমললতা ২ অক্টোবর ১৯৬৯ কমললতা হরিসাধন দাশগুপ্ত উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস "কমললতা" অবলম্বনে
১৯৭০ মেঘ কালো ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ ডঃ নির্মাল্য রায় সুশীল মুখোপাধ্যায় বসন্ত চৌধুরী
১৯৭১ নবরাগ ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ নারায়ণী / রিনা বিজয় বসু উত্তম কুমার
১৯৭১ ফরিয়াদ ৫ নভেম্বর ১৯৭১ চাঁপা / রতনমালা বিজয় বসু উৎপল দত্ত
১৯৭২ আলো আমার আলো ১৭ মার্চ ১৯৭২ অতসী পিনাকী মুখোপাধ্যায় উত্তম কুমার
১৯৭২ হার মানা হার ১৯ ডিসেম্বর ১৯৭২ নীরা (নীরজা) সলিল সেন উত্তম কুমার
১৯৭৪ দেবী চৌধুরানী ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ প্রফুল্লমুখী দীনেন গুপ্ত রঞ্জিত মল্লিক
১৯৭৪ শ্রাবণ সন্ধ্যা ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৪ বীরেশ্বর বসু সমিত ভঞ্জ
১৯৭৫ প্রিয় বান্ধবী ৩ অক্টোবর ১৯৭৫ শ্রীমতী হীরেন নাগ উত্তম কুমার
১৯৭৫ আঁধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫ আরতি দেবী গুলজার সঞ্জীব কুমার হিন্দি ছবি
১৯৭৬ দত্তা ৩০ জুলাই ১৯৭৬ বিজয়া অজয় কর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস "দত্তা" অবলম্বনে
১৯৭৮ প্রণয় পাশা ৯ জুন ১৯৭৮ তাপসী মৈত্র মঙ্গল চক্রবর্তী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

বছর পুরস্কার/সম্মাননা ফলাফল চলচ্চিত্র
১৯৬৩ ৩য় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব - শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জয়ী সাত পাকে বাঁধা
১৯৬৬ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত মমতা
১৯৭২ পদ্মশ্রী চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য[৪]
১৯৭৬ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত আঁধি
২০১২ বঙ্গবিভূষণ চলচ্চিত্রে সারা জীবনের অবদানের জন্য

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Actress Suchitra Sen passes away"। Filmcircle.com। জানুয়ারি ২০, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানু ১৭, ২০১৪ 
  2. Sharma, Vijay Kaushik, Bela Rani (১৯৯৮)। Women's rights and world development। নতুন দিল্লি: Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 368। আইএসবিএন 8176250155 
  3. "Suchitra Sen, Bengal's sweetheart"। NDTV। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪। ২০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ 
  4. "Padma Awards Directory (1954-2013)" (পিডিএফ)Ministry of Home Affairs। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৪1972: 130: Smt Suchitra Sen 
  5. "Suchitra Sen awarded Banga-Bibhusan"Zee News India। মে ২০, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  6. Das, Mohua (মে ২০, ২০১২)। "The perils of a packed prize podium Ravi Shankar declines award"Telegraph, Kolkata। Calcutta, India। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  7. Deb, Alok Kumar। "APRIL BORN a few PERSONALITIES"। www.tripurainfo.com। ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০০৮ 
  8. "Garbo meets Sen Two women bound by beauty and mystery"Telegraph। Calcutta, India। ৮ জুলাই ২০০৮। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১২ 
  9. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  10. Chakraborty, Ajanta (১৮ জুন ২০১১)। "Actress Suchitra Sen's secrets out!"। TNN (Times of India) 
  11. Pal, Deepanjana (১৭ জানু ২০১৪)। "RIP Suchitra Sen. It is the end of a fairytale"। Firstpost। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ 
  12. "সুচিত্রা সেনের একঝলক চমক"প্রথম আলো। ২০১৪-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০৬ 
  13. প্রথম আলো
  14. "Veteran acctress Suchitra Sen dies in Kolkata hospital after massive heart attack"। Financial Express। ২০১২-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৭ 
  15. "Suchitra Sen suffers massive heart attack, passes away - Entertainment - DNA"। Dnaindia.com। ২০১৩-১০-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৭ 
  16. "BBC News - Suchitra Sen: Iconic Indian Bengali actress dies"। Bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১৭ 
  17. "Indian Leaders Condole the Sad Demise of Suchitra Sen"Biharprabha News। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]