করতোয়া নিম্ন নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
করতোয়া নদী
মহাস্থানগড়ের কাছে করতোয়া নদী
মহাস্থানগড়ের কাছে করতোয়া নদী
মহাস্থানগড়ের কাছে করতোয়া নদী
দেশ বাংলাদেশ
অঞ্চল রাজশাহী বিভাগ
জেলাসমূহ রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলা, বগুড়া জেলা, গাইবান্ধা জেলা
উৎস দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী
মোহনা বাঙালি নদী
দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার (৭৬ মাইল)

করতোয়া নদী বা করতোয়া নিম্ন নদী বা নিম্ন করতোয়া নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়াগাইবান্ধা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বন্যাপ্রবণ নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক করতোয়া (নীলফামারী) নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১৪।[১]

প্রবাহ[সম্পাদনা]

করতোয়া নিম্ন নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নে প্রবহমান দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদী ক্রমান্বয়ে মিঠাপুকুর, নবাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শাজাহানপুরশেরপুর উপজেলায় পৌঁছেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বগুড়া জেলার উক্ত উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে বাঙালি নদীতে নিপতিত হয়েছে।[১]

তীরবর্তী স্থাপনা[সম্পাদনা]

এই নদীর তীরে যেসব শহর গড়ে উঠেছে সেগুলো হচ্ছে বগুড়া পৌরসভা, শেরপুর পৌরসভা, শিবগঞ্জ পৌরসভা, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এবং ঘোড়াঘাট পৌরসভা এবং মহাস্থানগড় এলাকা। এই নদীতে ব্যারাজ বা রেগুলেটর এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই।[১]

অববাহিকার প্রকল্প[সম্পাদনা]

এই নদী অববাহিকার প্রকল্প হচ্ছে ইছামতি গজারিয়া উপপ্রকল্প, নুরুলার বিল নিষ্কাশন প্রকল্প, নালেয়া নদী প্রকল্প, গাংনাই নদী ব্যবস্থাপনা এবং শাওরা বিল নিষ্কাশন প্রকল্প।[১]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৯৬। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]