বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ
অবস্থান

, ,
৬৪৪০
তথ্য
ধরনউচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৯; ৫৫ বছর আগে (1969)
প্রতিষ্ঠাতাঅধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস
কর্তৃপক্ষমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষপ্রফেসর ড. মোঃ একরামুল হক
শিক্ষার্থীর সংখ্যা৪০০০+
ভাষাবাংলা
ওয়েবসাইটhttps://bcsscollege.edu.bd

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ বাংলাদেশের নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ।

অবস্থান[সম্পাদনা]

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬৯ সালে এদেশে পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দূর্বার গণ আন্দোলন হয়েছিল। সেই সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰক ড. সামসুজ্জোহা বাঙ্গালির স্বাধিকার আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার স্বার্থ ও জীবনরর্ৰাথে অকুতো ভয়ে এগিয়ে এসেছিলেন এবং প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৯ সালের ভিতরে শহীদ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিৰক। বাংলাদেশের শত সহস্র শহীদের মধ্যে যে গুটিকয় ব্যক্তি প্রতীকে পরিণত হয়েছেন ত্যাগের, সাহসের ও মহত্ত্বের মহীমায় তারমধ্যে একজন হলেন শহীদ ড. সামসুজ্জোহা।

১৯৬৫ সাল। অত্র এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য এবছরের ২৫ শে জুলাই একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অত্র এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুর্ব হয় অর্থ সংগ্রহ ও কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি নির্বাচন কাজ। এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিগণ অর্থ সংগ্রহ ও জমি সংগ্রহের কাজে এগিয়ে আসেন। অতঃপর কলেজের নামকরণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করা হয় বিভিন্ন মহল হতে। এলাকাবাসী কলেজটির নাম শাহমখদুম কলেজ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব করেন। এভাবে সময় অতিবাহিত হয় প্রায় চারবছর, আসে ১৯৬৯ সাল, আসে ১৮ই ফেব্র্বয়ারী।

১৮ ফেব্র্বয়ারী আমাদের জাতীয় ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৬৯ সালের ঐ দিনে ড. জোহাকে হত্যার সাথে সাথে যে গণঅভ্যূত্থান ঘটে, তারই পরিণতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, অতপর স্বাধীন বাংলাদেশ| শহীদ ড. সামসুজ্জোহার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ও তার স্মৃতিকে অমৱান করার লৰ্যে তৎকালীন রাজশাহী অঞ্চলের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ১৯৯৬ এ আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য জনাব অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সাহেবের প্রস্তাবনায় অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনতার সমর্থনে ১৪/০৩/১৯৬৯ তারিখে প্রস্তাবিত শাহমখদুম নাম পরিবর্তন করে কলেজটির নামকরণ করা হয় বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা কলেজ এবং এ নাম পরিবর্তন ২৩/০৬/১৯৬৯ তারিখের কলেজ গভর্নিং বডির সভায় সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়। অতপর রাজশাহী শিৰাবোর্ড হতে স্বীকৃতি প্রাপ্তির মাধ্যমে ০১ লা জুলাই ১৯৬৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে শিৰার্থী ভর্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে মোট তিনটি সুবিশাল ভবন রয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য, ভবনগুলোতে মোট কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি; যার মধ্যে ৫৬টি ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া একটি কক্ষ গ্রন্থাগার এবং একটি কক্ষ সততা স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

শিক্ষক ও প্রশাশন[সম্পাদনা]

কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ হলেন প্রফেসর ড. মোঃ একরামুল হক। শিক্ষকসংখ্যা : ৯০ প্রদর্শক : ৫ শরীরচর্চা শিক্ষক : ১ গ্রন্থাগারিক : ১ সহকারি গ্রন্থাগারিক : ১ কর্মচারী সংখ্যা : ১৫

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের পাঠ দান অব্যাহত আছে।

শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]

একাদশ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০০০ জন। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য পোশাকের নির্ধারিত রঙ সাদা ও কালো। তবে, শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটসের নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে থাকে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে কাব স্কাউটিং চালু আছে।


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]