বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ
![]() | |
নীতিবাক্য | "হে প্রভু, আমাকে জ্ঞান দাও" |
---|---|
ইআইআইএন | ১১৯২৫১ |
ধরন | বেসরকারি |
স্থাপিত | ১৯৭৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | জিয়াউর রহমান |
অধ্যক্ষ | কর্নেল মোঃ মাসুদ রানা, পিএসসি, পিএইচডি |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৭৭ |
শিক্ষার্থী | ৬১৩০ (জানুয়ারি, ২০২৪ এর হিসাবানুসারে) |
ঠিকানা | বগুড়া সেনানিবাস, মাঝিড়া, শাহজাহানপুর , বগুড়া , |
স্কুল কোড | ৪৩৫০ |
কলেজ কোড | ৪৫০০ |
বার্ষিকী | প্রতিভা |
ওয়েবসাইট | bcpsc |
![]() |
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ হলো বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার বগুড়া সেনানিবাস এর অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সেনানিবাসে কর্মরত সেনাসদস্যদের সন্তান-সন্ততি ও পোষ্যদের যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানের জন্য অন্যান্য সেনানিবাসের মতো বগুড়া সেনানিবাসে ১৯৭৯ সালে ‘ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর।[১]
প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চেয়ারম্যান ছিলেন মেজর জেনারেল আমজাদ আহমেদ চৌধুরী, পিএসসি, যিনি প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক সময়কালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ছিলেন মি. শিবেন্দ্রনাথ ভৌমিক। জনাব ভৌমিকের পরে, মোঃ আব্দুল হান্নান (ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক) আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮০ সালে অধ্যক্ষ হিসাবে নিযুক্ত হন।
প্রথমদিকে প্রতিষ্ঠানটিতে শুধুমাত্র ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। পরবর্তীতে এটি ১৯৮১ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতি লাভ করে এবং দশম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম ১৯৮৩ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা ১৯৮৪ সালে চালু করা হয় এবং এটি প্রথম ১৯৮৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। একই বছর বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুদান প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য।[২]
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বিখ্যাত এবং স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে শ্রেণি কার্যক্রমকে প্রভাতি ও দিবা দুই শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে। নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রভাতি শাখায় এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিকে দিবা শাখার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সকাল ৮:০০ থেকে ১০:৫০ পর্যন্ত প্রভাতি শাখা এবং ১১:০০ থেকে ৩:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত দিবা শাখার ক্লাস পরিচালিত হয়। এছাড়া কলেজ শাখায় একটি শিফটেই সকাল ৯:১০ থেকে দুপুর ১:৫০ পর্যন্ত ক্লাস পরিচালিত হয়। প্রতিটি শাখা, শ্রেণি ও ফরম যথাক্রমে উপাধ্যক্ষ, ইনচার্জ ও শ্রেণিশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। সময়োপযোগী পাঠদান ও শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমকে ফলপ্রসূ করতে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষসমূহকে সম্পূর্ণ মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষে পরিণত করা হয়েছে। এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে হাই ডেফিনিশন সাউন্ড সিস্টেম। ফলে একযোগে সকল শ্রেণীকক্ষে যেকোনো নোটিশ প্রদানসহ বিশেষ অবস্থায় শ্রেণীকক্ষে প্রাত্যহিক সমাবেশ আয়োজন করা যায়।
উল্লেখ্য, স্কুল এবং কলেজ শাখায় বাংলা মাধ্যমে পাঠদানের পাশাপাশি বর্তমানে নার্সারি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমেও পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সমগ্র প্রতিষ্ঠানে ১৭৭ জন শিক্ষকমণ্ডলী প্রভাতি, দিবা এবং কলেজ শাখায় দায়িত্বরত রয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কাজ পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক বিভাগে ১৬৮ জন স্টাফ-কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়া সমগ্র প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে পরিচালনা পর্ষদ। ১১ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও বগুড়া এরিয়ার কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হক, এনডিসি, পিএসসি বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এছাড়া ১১১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাজু আহমেদ, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এম ফিল প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং কর্নেল মোঃ মাসুদ রানা, পিএসসি, পিএইচডি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। এঁদের পাশাপাশি দুজন অভিভাবক প্রতিনিধি ও দুজন শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]
প্রতিষ্ঠানের সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য রয়েছে বিতর্ক, সাধারণ জ্ঞান, গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান ক্লাব, ভাষা ও সাহিত্য ক্লাব, তায়কোয়ান্দো, হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন, উপস্থিত বক্তৃতা, নাচ, গান, আবৃত্তি, দাবা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্লাব। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থী এগুলোর যেকোনো একটি ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার টিফিনের পরবর্তী দুইটি পিরিয়ডে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাব অনুযায়ী আলাদা আলাদা 'হবি সোসাইটি' ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও টেবিল টেনিস দল। এই দলগুলো প্রতিবছর বিভিন্ন আন্তঃক্যান্টনমেন্ট ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণ করে। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয়ে আন্ত: হাউজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে মোট ৪টি হাউজে বিভক্ত করা হয়, যথা-
- শের ই বাংলা হাউজ
- শহীদুল্লাহ হাউজ
- নজরুল হাউজ
- জাহাঙ্গীর হাউজ
এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসি, স্কাউট ও গার্ল গাইডসের মতো সংগঠনগুলোর শাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এই সকল সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখায় বিএনসিসি এবং স্কুল শাখায় স্কাউট ও গার্ল গাইডের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েক বার অত্র প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি ও স্কাউট দল বিদেশের মাটিতে এই দেশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেছে। এ যাবৎকালে প্রতিষ্ঠানের স্কাউট শাখা হতে একাধিক শিক্ষার্থী মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে পিএস (প্রেসিডেন্ট'স স্কাউট) অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।
বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]
বর্তমানে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর কলেজ শাখায় (একাদশ ও দ্বাদশ) ৩টি বিভাগ রয়েছে। সেগুলো হলো:
এছাড়া স্কুল শাখায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে ২টি বিভাগ রয়েছে।[১] সেগুলো হলো:
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রফল ১৪.৫ একর। ক্যাম্পাসে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শাখা মিলিয়ে মোট ৩ টি ভবন রয়েছে, যেগুলো যথাক্রমে শিক্ষাভবন-১, ২ ও ৩ নামে পরিচিত। প্রতিটি ভবনের সামনে রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ এবং প্রতিটি ভবনে একটি করে মোট তিনটি পাঠাগার ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিভিন্ন গবেষণাগার রয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনার জন্য রয়েছে প্রশাসনিক ভবন। প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটক প্রতিষ্ঠানের পূর্ব দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানের গাড়িগুলো পার্কিং-এর জন্য রয়েছে পৃথক গ্যারেজ। এছাড়াও রয়েছে মসজিদ, ক্যান্টিন , অডিটোরিয়াম, শহিদ মিনার, অভিভাবক বিশ্রামাগার ও বাস্কেটবল গ্রাউণ্ড। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসটি সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি একটি পরিচ্ছন্ন ও ধূমপানমুক্ত ক্যাম্পাস। প্রতিদিন দক্ষ পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা ক্লাসরুম, ভবনের করিডোর, ওয়াশ রুম, খেলার মাঠ ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য স্থান পরিষ্কার করা হয়। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কাষ্ঠল ও বনজ বৃক্ষের মাঝে নারকেল, পাম, কাঁঠাল, বড়ই, মেহগনি, কামরাঙ্গা, আমলকী, হরিতকি , তেঁতুল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । এছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড আকারে নানা প্রজাতির ফুলের বাগান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মালিগণ পরম যত্নের সঙ্গে ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাগানগুলোর পরিচর্যা করেন। ২০২০ সালে মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট ও জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট-এর সকল মেজর ইউনিটের মাঝে ফুল বাগান প্রতিযোগিতায় বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ১ম স্থান অধিকার করে।
সাফল্য
[সম্পাদনা]২০২১ সালে সার্বিক মান বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজসমূহের মধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা ‘১ম রানারআপ’ হিসেবে ২য় স্থান অর্জন করে ও কলেজ শাখা সার্বিক মান বিবেচনায় ৯ম স্থান অর্জন করে। বিগত ২০২০ ও ২০১৯ সালে স্কুল শাখা ‘শ্রেষ্ঠ স্কুল’ হিসেবে ১ম স্থান অর্জন করে ও কলেজ শাখা ‘প্রথম রানারআপ’ হিসেবে ২য় স্থান অর্জন করে।[৩] এছাড়াও স্কুল শাখা ২০০৬ সালে ২য় স্থান, ২০০৭ সালে ১ম স্থান, ২০১১ সালে ১ম স্থান, ২০১২ সালে ২য় স্থান, ২০১৩ সালে ১ম স্থান, ২০১৪ সালে ২য় স্থান, ২০১৫ সালে ৩য় স্থান, ২০১৬ সালে ২য় স্থান, ২০১৭ সালে ২য় স্থান, ২০১৮ সালে ২য় স্থান এবং কলেজ শাখা ২০১০ সালে ২য় স্থান, ২০১১ সালে ১ম স্থান, ২০১২ সালে ২য় স্থান, ২০১৩ সালে ৩য় স্থান অর্জন করে। বর্তমানে আন্তঃক্যান্টনমেন্ট সহ উপজেলা, জেলা, বিভাগ এমনকি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ২০২২ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখা 'আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট সংসদীয় বিতর্ক' প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ ট্রফি অর্জন করে এবং চূড়ান্ত ফলাফলে ১ম স্থান অধিকার করে। ২০১৯ সালে চ্যানেল আই-এ প্রচারিত ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ প্রতিযোগিতার ৩য় বর্ষের ‘সেরা বাংলাবিদ’ নির্বাচিত শাজেদুর রহমান শাহেদ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।[৪]
২০২১ সালে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত 'আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল ডিবেট ফেস্টিভ্যাল' -এর 'ওয়ার্ল্ড কুইজ প্রতিযোগিতা'য় ১ম ও ২য় স্থান অধিকার করে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী, ওমর জাফর এবং স্নেহা মাহজাবিন। ৩৬টি দেশের ৪০০ জন প্রতিযোগীর মাঝে ওমর জাফর ১ম এবং স্নেহা মাহজাবিন ২য় স্থান অধিকার করে।[৫]
২০২২ সালে নাসা কর্তৃক আয়োজিত 'আন্তর্জাতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা' (নাসা আন্তর্জাতিক স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার আওতাভুক্ত)-এ সমগ্র বাংলাদেশের মাঝে ১ম স্থান অর্জন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ লাভ করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জাবীর জারিফ আখতার।[৬] ২০২৪ সালে 'দুরন্ত' টিভিতে প্রচারিত স্কুলভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা 'সবজান্তা'য় বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থী। ফাইনালে হলিক্রস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে এই গৌরব অর্জন করে তারা।[৭]
বিগত বছরগুলোতে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক বার ‘রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড’-এ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় যথাক্রমে ৯২.১৮% ও ৮২.২৬% এ+ সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।[৮][৯] এছাড়া প্রতিবছর অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শিক্ষার্থী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইত্যাদি ক্ষেত্রে, এমনকি বিদেশেও পড়াশোনা ও চাকরির সুযোগ পেয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট"।
- ↑ "বিসিপিএসসির সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত"। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।
- ↑ "দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ"। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস।
- ↑ "৩য় বর্ষের সেরা বাংলাবিদ সাজেদুর রহমান শাহেদ"। চ্যানেল আই।
- ↑ "আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল ডিবেট ফেস্টিভ্যাল কুইজে বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থীর ১ম ও ২য় স্থান অর্জন"। দ্য ডেইলি স্টার।
- ↑ "১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জাবির-জারিফ আখতারের কৃতিত্ব"। দ্য ডেইলি স্টার।
- ↑ "কুইজ শো 'সবজান্তা'র বিজয়ী বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
- ↑ "এসএসসি ফলাফল: সারাদেশে পিছিয়ে থাকলেও বগুড়ায় এগিয়ে ছেলেরা"। ঢাকা ট্রিবিউন বাংলা।
- ↑ "এসএসসি ফলাফল: এক স্কুলের ৩৭১ শিক্ষার্থীর ৩৪২ জনই পেলেন জিপিএ-৫"। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস।