নোয়াখালী জেলা

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৫′০.০০০″ উত্তর ৯১°১০′০.০১২″ পূর্ব / ২২.৭৫০০০০০০° উত্তর ৯১.১৬৬৬৭০০০° পূর্ব / 22.75000000; 91.16667000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নোয়াখালী
জেলা
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: বজরা শাহী মসজিদ, নলুয়া মিয়া বাড়ি জামে মসজিদ, নিঝুম দ্বীপ, নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রমজান মিয়া জামে মসজিদ, নোয়াখালী জলপ্রপাত
বাংলাদেশে নোয়াখালী জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে নোয়াখালী জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৫′০.০০০″ উত্তর ৯১°১০′০.০১২″ পূর্ব / ২২.৭৫০০০০০০° উত্তর ৯১.১৬৬৬৭০০০° পূর্ব / 22.75000000; 91.16667000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
প্রতিষ্ঠাকাল১৮২১
সরকার
 • জেলা প্রশাসকদেওয়ান মাহবুবুর রহমান
আয়তন
 • মোট৪,২০২.৭০ বর্গকিমি (১,৬২২.৬৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)[১]
 • মোট৩৬,২৫,২৫২
 • জনঘনত্ব৮৬০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
 ৯৮৪
সাক্ষরতার হার
 • মোট৭৫.৩৬%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৮০১ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ৭৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[২][৩] এর পূর্বনাম ছিল ভুলুয়া। উপজেলার সংখ্যানুসারে নোয়াখালী বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[৪] নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা, যার নিজের নামে কোন শহর নেই।

আয়তন ও অবস্থান[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২.৭০ বর্গ কিলোমিটার।[৫][৬] বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°০৭' থেকে ২৩°০৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৩' থেকে ৯১°২৭' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে নোয়াখালী জেলার অবস্থান।[৫] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলাচাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে মেঘনা নদীবঙ্গোপসাগর, পূর্বে চট্টগ্রাম জেলাফেনী জেলা, পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলাভোলা জেলা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠাকাল[সম্পাদনা]

বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত।

নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় থেকেই। জেলা প্রথা প্রবর্তনের পূর্বে এটি বর্তমান কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুরলক্ষ্মীপপুরের সমন্বয়ে গঠিত সমতট জনপদের অংশ ছিলো। ১৭৭২ সালে কোম্পানীর গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্ত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এ ১৪টির মধ্যেও ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা (বর্তমান কুমিল্লা) নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর (বর্তমান ভোলা), হাতিয়া, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপমীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা। ১৮২১ সাল পর্যন্ত ভুলুয়া (বর্তমান নোয়াখালী) ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে, ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলকে ত্রিপুরা জেলা হতে আলাদা করা হয়। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়।

নামকরণ[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর জলে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় নোয়া (নতুন) খাল বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে নোয়াখালী হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।[৭]

সাধারণ ইতিহাস[সম্পাদনা]

নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা ১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের ওয়াহাবি আন্দোলন ও ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নির্মম নির্যাতন নেমে আসে, যা নোয়াখালী দাঙ্গা নামে পরিচিত। এই সময় মহাত্মা গান্ধী দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি সরজমিনে দেখার জন্য নোয়াখালী জেলা ভ্রমণ করেন। বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ নামক স্থানে গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম রয়েছে, যা গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত।

নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভূক্ত একটি বিশাল জেলা হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়। তখন এ জেলায় উপজেলা ছিল ছয়টি। পরবর্তীতে আরো তিনটি উপজেলার সৃষ্টি করা হয়। হাতিয়া উপজেলার কিছু অংশ জেলার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও বৃহত্তর অংশ (মূল হাতিয়া) এর চতুর্দিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা।[৭]

নোয়াখালীর শহর[সম্পাদনা]

নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোল একর জায়গা জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো আকৃতিতে তৈরী হয় সরকারি সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হত মূলতঃ শহরের জলাধার হিসেবে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিল। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকবাহিনী নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। ১১ মে পাকবাহিনী হাতিয়া শহর আক্রমণ করে। তারা এ উপজেলার আফাজিয়া বাজারে ৬ জনকে এবং ওছখালি বাজারে ২ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ১৫ জুন জেলার সোনাপুর আহমদিয়া মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ জুন পাকবাহিনী সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকার শ্রীপুর গ্রামে ৭০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে হত্যা করে। ৪ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঞ্ছারাম রোডের স্লুইসগেটের পূর্বপাশে পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াইয়ে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তীতে এ উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি খণ্ড লড়াইয়ে সদর বিএলএফ কমান্ডার অহিদুর রহমান অদুদসহ ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা কবিরহাট উপজেলার রাজাকার জলিলের বাড়িতে হামলা করলে জলিলসহ তার কয়েকজন সহযোগী নিহত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা সেনবাগ উপজেলার ডোমনাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে। উক্ত লড়াইয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।[৫] নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর।

মোহাম্মদ রুহুল আমিন (১৯৩৫ - ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এর মধ্যে একজন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন৷ একদিন সবার অলক্ষ্যে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে পড়েন নৌঘাঁটি থেকে৷ পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তিনি চলে যান ত্রিপুরা৷ যোগ দেন ২ নং সেক্টরে৷ মেজর খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে ২ নং সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
  • গণকবর: ১টি (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৪নং স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকা)
  • স্মৃতিস্তম্ভ: ৩টি (বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী, সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর এবং নোয়াখালী জেলা সদরের পিটিআই প্রাঙ্গণ)
  • বধ্যভূমি: ১টি (কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ডোবা)[৫]

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ[সম্পাদনা]

নোয়াখালী ৯টি উপজেলা, ১০টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৯৩টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।[৮]

উপজেলাসমূহ[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:[৯]

ক্রম নং উপজেলা আয়তন[৫]
(বর্গ কিলোমিটারে)
প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ
০১ কবিরহাট ১৬০.৪৩ কবিরহাট পৌরসভা (১টি): কবিরহাট
ইউনিয়ন (৭টি): নরোত্তমপুর, সুন্দলপুর, ধানসিঁড়ি, ঘোষবাগ, চাপরাশিরহাট, ধানশালিক এবং বাটইয়া
০২ কোম্পানীগঞ্জ ৩৮৬ কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভা (১টি): বসুরহাট
ইউনিয়ন (৮টি): সিরাজপুর, চর পার্বতী, চর হাজারী, চর কাঁকড়া, চর ফকিরা, রামপুর, মুছাপুর এবং চর এলাহী
০৩ চাটখিল ১৩৩.৮৯ চাটখিল পৌরসভা (১টি): চাটখিল
ইউনিয়ন (৯টি): সাহাপুর, রামনারায়ণপুর, পরকোট, বদলকোট, মোহাম্মদপুর, পাঁচগাঁও, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ, নোয়াখলা এবং খিলপাড়া
০৪ নোয়াখালী সদর ৩৩৬.২১ সুধারাম পৌরসভা (১টি): নোয়াখালী
ইউনিয়ন (১৩টি): চর মটুয়া, দাদপু্র, নোয়ান্নই, কাদির হানিফ, বিনোদপুর, নোয়াখালী, ধর্মপুর, এওজবালিয়া, কালাদরপ, অশ্বদিয়া, নিয়াজপুর, পূর্ব চর মটুয়া এবং আণ্ডারচর
০৫ বেগমগঞ্জ ২৩৭.৮২ বেগমগঞ্জ পৌরসভা (১টি): চৌমুহনী
ইউনিয়ন (১৬টি): আমানউল্যাপুর, গোপালপুর, জিরতলী, আলাইয়ারপুর, ছয়ানী, রাজগঞ্জ, একলাশপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, নরোত্তমপুর, দুর্গাপুর, কুতুবপুর, রসুলপুর, হাজীপুর, শরীফপুর এবং কাদিরপুর
০৬ সুবর্ণচর ৫৭৬.১৪ সুবর্ণচর ইউনিয়ন (৮টি): চর জব্বর, চর বাটা, চর ক্লার্ক, চর ওয়াপদা, চর জুবলী, চর আমানউল্যা, পূর্ব চর বাটা এবং মোহাম্মদপুর
০৭ সেনবাগ ১৫৯.৩৬ সেনবাগ পৌরসভা (১টি): সেনবাগ
ইউনিয়ন (৯টি): ছাতারপাইয়া, কেশারপাড়, ডুমুরুয়া, কাদরা, অর্জুনতলা, কাবিলপুর, মোহাম্মদপুর, বিজবাগ এবং নবীপুর
০৮ সোনাইমুড়ি ১৭০.৪২ সোনাইমুড়ি পৌরসভা (১টি): সোনাইমুড়ি
ইউনিয়ন (১০টি): জয়াগ, নদনা, চাষীরহাট, বারগাঁও, অম্বরনগর, নাটেশ্বর, বজরা, সোনাপুর, দেওটি এবং আমিশাপাড়া
০৯ হাতিয়া ২১০০ হাতিয়া পৌরসভা (১টি): হাতিয়া
ইউনিয়ন (১১টি): হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বর (ভাসানচর ব্যতীত), চর কিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা এবং নিঝুমদ্বীপ
ভাসানচর ইউনিয়ন (১টির অংশ): চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর ভাসানচর

সংসদীয় আসন[সম্পাদনা]

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[১০] সংসদ সদস্য[১১][১২][১৩][১৪][১৫] রাজনৈতিক দল
২৬৮ নোয়াখালী-১ চাটখিল উপজেলা এবং সোনাইমুড়ি উপজেলা (বারগাঁও, অম্বরনগরনাটেশ্বর ইউনিয়ন ব্যতীত) এইচ এম ইব্রাহিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৬৯ নোয়াখালী-২ সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাঁও, অম্বরনগরনাটেশ্বর ইউনিয়ন এবং সেনবাগ উপজেলা মোরশেদ আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৭০ নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ উপজেলা মামুনুর রশীদ কিরন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৭১ নোয়াখালী-৪ নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং সুবর্ণচর উপজেলা মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৭২ নোয়াখালী-৫ কবিরহাট উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২৭৩ নোয়াখালী-৬ হাতিয়া উপজেলা মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নোয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৬,২৫,৪৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৫,৩৭,৮০৯ জন এবং মহিলা ১০,৮৭,৬৩৩ জন।[১]

নোয়াখালী জেলায় ধর্মবিশ্বাস-২০১১ | label1 = [[মুসলিম ধর্ম] | value1 = ৯৫.৪৩ | color1 = orange | label2 = হিন্দু ধর্ম | value2 = ৪.৫৩ | color2 = green | label3 = বৌদ্ধ ধর্ম | value3 = ০.৩ | color3 = yellow | label4 = খ্রিস্ট ধর্ম | value4 = ০.২ | color4 =purple }}

ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এ জেলার মোট জনসংখ্যার ৯৫.৪৩% মুসলিম, ৪.৫৩% হিন্দু এবং ০.০৫% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।[১৬]

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলার সাক্ষরতার হার ৭৫.৫২%।[৫] এ জেলায় রয়েছে:[১]

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : ১টি
  • মেডিকেল কলেজ : ১টি (সরকারি)
  • মেডিকেল ট্রেনিং স্কুল : ৫টি (১টি সরকারি)
  • নাসিং কলেজ : ৩টি (১টি সরকারি)
  • আইন কলেজ : টি (সরকারি)
  • টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট :২টি (১টি সরকারি)
  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ : ১টি (সরকারি)
  • পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট :১টি(বেসরকারি)
  • কলেজ : ৩৫টি (৮টি সরকারি)
  • মাদ্রাসা : ১৬১টি
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২৮৯টি (১২টি সরকারি)
  • কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ৫টি
  • কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র : ২টি
  • প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১২৪৩টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। আঞ্চলিক জিডিপির প্রায় ৪০% কৃষি খাত থেকে আসে এবং জেলার ৮০ ভাগ লোক এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট। কৃষির মধ্যে মূলত মৎস্য চাষ ও মৎস্য আহরণের সাথে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়িত। বছরজুড়ে নৌকা তৈরি ও মেরামত, মাছ ধরা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, শুটকি উৎপাদন, জাল মেরামত এর সাথে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ শ্রমজীবী জড়িত থাকে। নিম্নভূমি অঞ্চল হওয়াতে এই জেলায় প্রচুর মৎস্য চাষ হয়ে থাকে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ফসল উৎপাদন মূলত বছরে একবারই হয়। শীত মৌসুমে জেলার সর্বত্র বিশেষ করে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে রকমারি ফসলের চাষ হয়। এছাড়াও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ও দ্বীপগুলোতে গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন ব্যাপকতা লাভ করেছে।

নোয়াখালী জেলায় শিল্প কারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি, কিন্তু নোয়াখালী জেলার অনেক ব্যক্তি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন। নোয়াখালীর মানুষ মূলত কাজের জন্য দেশের বড় শহরগুলো এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে গমন করেন। জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স পাঠানো জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী জেলা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে।

জেলার মোট আয়ের অন্যান্য খাতে আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে অ-কৃষি শ্রম ৩.৪৩%, শিল্প ০.৮৪%, বাণিজ্য ১৪.৭৪%, পরিবহন খাত ৩.৮৩%, চাকুরি ১৬.১১%, নির্মাণখাত ১.৪৯%, রেমিট্যান্স ৭.৯৭% এবং অন্যান্য ১০.৫৮% অবদান রাখছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

সড়কপথ

নোয়াখালী জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-নোয়াখালী চার-লেন মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-নোয়াখালী চার-লেন মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া এ জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে।[১৭]

ধর্মীয় উপাসনালয়[সম্পাদনা]

নলুয়া মিঞা বাড়ি জামে মসজিদ, সেনবাগ

নোয়াখালী জেলায় ৪১৫৯টি মসজিদ, ৪৯৭টি ঈদগাহ, ৮৯২টি মন্দির, ৪টি বৌদ্ধ বিহার এবং ১টি ক্যাথলিক খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে।

নদ-নদী[সম্পাদনা]

নোয়াখালী জেলার প্রধান নদী মেঘনা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে ডাকাতিয়াছোট ফেনী নদী অন্যতম।[১৮]

জলবায়ু[সম্পাদনা]

বছরব্যাপী গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৩৩০২ মিলিমিটার।[৬]

প্রাকৃতিক দুর্যোগ[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালের পর থেকে নোয়াখালী জেলা বহুবার ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে নোয়াখালী জেলার অনেকে ছিলেন।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

জন্মস্থান: বাঘপাঁচড়া, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী। (১৯৩৫-১৯৭১)

মামলার অন্যতম আসামী ও শহীদ। জন্মস্থান: নোয়াখালী। (১৯৩৫-১৯৬৯)

নারী স্পিকার। জন্মস্থান: চাটখিল, নোয়াখালী। (১৯৬৬-বর্তমান)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. এক নজরে নোয়াখালী ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে, noakhali.gov.bd
  2. এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ব্রিটানিকা
  3. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "নোয়াখালী জেলা"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  4. "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০ 
  5. "নোয়াখালী জেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮ 
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮ 
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৮ 
  9. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৮ 
  10. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd 
  11. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯ 
  12. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  13. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  14. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  15. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  16. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; http://203.112.218.65:8008/WebTestApplication/userfiles/Image/PopCenZilz2011/Zila_Noakhali.pdf নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  17. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮ 
  18. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৮ 
  19. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

বাংলাপিডিয়ায় নোয়াখালী জেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন