কুষ্টিয়া জেলা
| কুষ্টিয়া | |
|---|---|
| জেলা | |
মানচিত্রে কুষ্টিয়া জেলা | |
| স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′১১″ উত্তর ৮৯°১৩′১২″ পূর্ব / ২৩.৯১৯৭২° উত্তর ৮৯.২২০০০° পূর্ব | |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
| সদরদপ্তর | কুষ্টিয়া |
| প্রতিষ্ঠা | ১৯৪৭ |
| জাতীয় সংসদ আসন | |
| সরকার | |
| • ধরন | জেলা পরিষদ |
| • প্রশাসক | মো. ইকবাল হোসেন |
| • প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা | মুকুল কুমার মৈত্র |
| আয়তন | |
| • মোট | ১,৬০৮.৮০ বর্গকিমি (৬২১.১৬ বর্গমাইল) |
| জনসংখ্যা (২০২২) | |
| • মোট | ২১,৪৯,৬৯২ |
| • জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৫০০/বর্গমাইল) |
| সাক্ষরতার হার | |
| • মোট | ৬৯.০১% |
| সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
| পোস্ট কোড | তালিকা
|
| প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৫০ |
| ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবেও পরিচিত।[১] এটিকে প্রখ্যাত কবি ও গল্পকারের দেশও বলা হয়। জেলার সদরদপ্তর কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। ভৌগলিক ভাবে এটি বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের কেন্দ্রস্থল।[২] এর উত্তর পাশে দিয়ে পদ্মা নদী এবং পশ্চিম পাশ দিয়ে মাথাভাঙ্গা ও ইছামতি নদী প্রবাহিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ও লালনের মাজার এখানকার অন্যতম আকর্ষণ।[৩]

১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের একটি জেলা হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় এটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত ছিল। ১৯৬০ সালে খুলনা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলে এটি খুলনা বিভাগের একটি জেলায় পরিণত হয়। ১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়া জেলাকে ভেঙে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা গঠিত হয়।
কুষ্টিয়া একটি কৃষি প্রধান জেলা হলেও এখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অকৃষিজ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা যায়। ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এর মোট আয়তন ১,৬০৮.৮০ কিমি২ (৬২১.১৬ মা২)। ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী এই জেলায় মোট ২১,৪৯,৬৯২ জন মানুষ বসবাস করে।
কুষ্টিয়া জেলা ২০১৪ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে 'জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক' ও সেরা জেলা প্রশাসক ক্যাটাগরিতে 'জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার' লাভ করে।[৪] ২০১৫ সালে 'শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল সেবা পুরস্কার' লাভ করে।[৫] এই জেলায় তৈরি তিলের খাজা (২০২৩) এবং কুমারখালীর বেডশিট (২০২৪) ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।[৬][৭]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৬৩ সালে নদিয়া জেলার একটি মহকুমা হিসেবে কুষ্টিয়া মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭১ সালে কুমারখালী থানা কুষ্টিয়া মহকুমার অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯১১ সালের নদীয়া জেলার পরিসংখ্যানে দেখা যায় কুষ্টিয়া মহকুমায় কুমারখালী, কুষ্টিয়া, দৌলতপুর ও মিরপুর থানা ছিল। ১৯২০ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় কুষ্টিয়া মহকুমায় উল্লেখিত থানা ছাড়াও ভেড়ামারা ও খোকসা থানা রয়েছে।
ব্রিটিশ শাসনামলে কুষ্টিয়া মহকুমার বিভিন্ন স্থানে রেলপথ স্থাপিত হলে কুষ্টিয়াকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী জেলার কয়েকটি মহুকুমা একত্র করে কুষ্টিয়া নামে একটি স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব হয়। পরিশেষে এবিষয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি।[৮]
ভারত বিভাজনের পূর্বে নদিয়া জেলা একটি মুসলিম অধ্যুষিত জেলা ছিল। ১৯৪১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী নদিয়া জেলার ৬১.২৫ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের সময় নদিয়া জেলা পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হওয়ার কথা থাকলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। ১৪ আগস্ট কৃষ্ণনগরে স্বাধীনতার জন্য জিলাপি বিতরণ ও পাকিস্তানের পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর বলা হয় যে ভাগাভাগি ভুল হয়েছে। এবার পুরো নদিয়া পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা মহকুমা পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। এইভাবে নদিয়া দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালের ১৮ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন গঠিত হয়। প্রথম জেলা প্রশাসক বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার নাম 'নদীয়া জেলা' নামকরণ করেছিলেন। অক্টোবর মাসে সৈয়দ মুর্তাজা আলী প্রশাসক নিয়োগ হলে তিনি 'কুষ্টিয়া জেলা' নামকরণ করেন।[৯][১০]
১৯৬৫ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জেলার নাম পরিবর্তন করে 'লালনশাহী' ও কুষ্টিয়া শহরের নাম 'লালননগর' নামকরণের চেষ্টা করেন। সাধারণ জনগণ এটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে এবং তীব্র প্রতিবাদ জানায়।[২]
ভূগোল
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। ভৌগলিক ভাবে এটি বঙ্গ অঞ্চলে অবস্থিত। এটি মরিবন্ড অঞ্চল অর্থাৎ গাঙ্গেয় অববাহিকার অন্তর্গত সমতলভূমি। এখানকার ৭৬ শতাংশ এলাকা উঁচু ও মাঝারি উঁচু ভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত।
কুষ্টিয়া জেলার জলবায়ু মৃদু। এখানে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে গ্রীষ্মকাল শুরু হয় এবং মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর বর্ষা শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। নভেম্বরে শীতকাল শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
কুষ্টিয়া জেলার সাথে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলা, ঢাকা বিভাগের রাজবাড়ী জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের নাটোর, পাবনা ও রাজশাহী জেলার সীমানা রয়েছে। এর পূর্বে রাজবাড়ী, পশ্চিমে মেহেরপুর, উত্তরে নাটোর, পাবনা ও রাজশাহী এবং দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা অবস্থিত। পশ্চিমে ভারতের সাথে ৪৬.৬৯ কিমি (২৯.০১ মা) সীমান্ত এলাকা রয়েছে যা সম্পূর্ণই দৌলতপুর উপজেলায় অবস্থিত। সীমান্ত এলাকায় কুষ্টিয়া জেলার সাথে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত রয়েছে।
পদ্মা নদী জেলার উত্তর পাশ দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এখানে ইছামতি (নিম্ন), কালীগঙ্গা, কুমার (নদ), গড়াই, চন্দনা, চড়ঘড়িয়া, ডাকুয়া, মাথাভাঙ্গা, সাগরখালী, সিরাজপুর হাওর ও হিশনা-ঝাঞ্চা নদী রয়েছে।
ইছামতি (নিম্ন) ও মাথাভাঙ্গা হলো আন্ত:সীমান্ত নদী। নদী দুইটিই পদ্মা থেকে উৎপত্তি হয়েছে। পদ্মার পরে গড়াই হলো জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী, এর উৎপত্তি হয়েছে পদ্মা থেকে কুষ্টিয়া শহরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত তালবাড়িয়া নামক স্থানে। মিলপাড়া ও ছেউড়িয়ার মধ্যবর্তী স্থানে গড়াই থেকে কালীগঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে। কালীগঙ্গার মতো সিরাজপুর-হাওর নদীও গড়াইয়ের শাখানদী। আলমডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা থেকে কুমার নদের উৎপত্তি হয়েছে। কুমারের একটি শাখা ও সাগরখালী নদী চাঁপাইগাছির বিলে পতিত হয়েছে।
| কুষ্টিয়া জেলার নদ-নদীর তালিকা | ||||
|---|---|---|---|---|
| নাম | উৎসমুখ | পতিত মুখ | কুষ্টিয়া জেলার অংশের দৈর্ঘ্য (কিমি)[১১] |
চিত্র |
| কালীগঙ্গা নদী | গড়াই | কুমার | ৩৫ | |
| কুমার নদ | মাথাভাঙ্গা | নবগঙ্গা | ১৫ | |
| গড়াই নদী | পদ্মা | মধুমতি | ৪০ | |
| চন্দনা নদী | হিশনা-ঝাঞ্চা | খাড়ারা বিল | ৪.৫ | |
| চড়ঘড়িয়া মরা নদী | কুমার | কুমার | ৪ | |
| ডাকুয়া নদী | গড়াই | কালীগঙ্গা | ২০ | |
| সাগরখালী নদী | হিসনা | চাঁপাইগাছির বিল | ২৫ | |
| পদ্মা নদী | গঙ্গা | - | ৮৫ | |
| মাথাভাঙ্গা নদী | গঙ্গা | - | - | |
| সিরাজপুর হাওর নদী | গড়াই | গড়াই | ৫ | |
| হিশনা-ঝাঞ্চা নদী | পদ্মা | সাগরখালী | ৫২ | |
প্রশাসন
[সম্পাদনা]
কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে। সদর উপজেলায় ২টি ও অন্যান্য উপজেলায় ১টি করে মোট ৭টি থানা রয়েছে। ২০২২ সালের গৃহগণনা অনুযায়ী এখানে ৬৬টি ইউনিয়ন, ৬৯৯টি মৌজা ও ৯৮৪টি গ্রাম রয়েছে।
এখানে মোট ৫টি পৌরসভা রয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে পৌরসভা রয়েছে।[১২] ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী পৌরসভা গুলোতে মোট ৫৭টি ওয়ার্ড রয়েছে ও ৩,১৮,৪৫৪ জন মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যার বিচারে কুষ্টিয়া হলো সবচেয়ে বড় পৌরসভা এবং খোকসা হলো সবচেয়ে ছোট পৌরসভা।
| কুষ্টিয়া জেলার প্রশাসনিক বিন্যাস | |||||
|---|---|---|---|---|---|
| উপজেলা | থানা | আয়তন (কিমি২) | জনসংখ্যা (২০২২) | সদরদপ্তর | উপজেলা তথ্য বাতায়ন |
| কুমারখালী | কুমারখালী | ২৫৮.১৮ | ৩,৭৩,৭৫২ | কুমারখালী | kumarkhali |
| কুষ্টিয়া সদর | কুষ্টিয়া মডেল | ৩১৮.২২ | ৫,৬০,৯৬৩ | কুষ্টিয়া | kushtiasadar |
| ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় | |||||
| খোকসা | খোকসা | ১০৪.৮৫ | ১,৪৩,৮৩২ | খোকসা | khoksa |
| দৌলতপুর | দৌলতপুর | ৪৬৮.৭৬ | ৪,৮২,৯৮১ | দৌলতপুর | daulatpur |
| ভেড়ামারা | ভেড়ামারা | ১৫৩.৭১ | ২,২৫,০৫৮ | ভেড়ামারা | bheramara |
| মিরপুর | মিরপুর | ৩০৫.০৬ | ৩,৬৩,১০৬ | মিরপুর | mirpur |
কুষ্টিয়া জেলার মোট আয়তন হলো ১,৬০৮.৮০ কিমি২ (৬২১.১৬ মা২)। উপজেলাগুলোর মধ্যে দৌলতপুর আয়তনে সবচেয়ে বড় উপজেলা যার আয়তন ৪৬৮.৭৬ কিমি২ (১৮০.৯৯ মা২) যা জেলার মোট আয়তনের ২৯.১৪%। আয়তনে সবচেয়ে ছোট উপজেলা হলো খোকসা যার আয়তন ১০৪.৮৫ কিমি২ (৪০.৪৮ মা২) যা জেলার মোট আয়তনের ৬.৫২%।
৫টি পৌর এলাকা ছাড়াও ২৯টি শহুরে এলাকা রয়েছে যা গ্রোথ সেন্টার বা বাজার নামে পরিচিত। সদর ও দৌলতপুর উপজেলায় ৬টি করে, ভেড়ামারা উপজেলায় ৪টি, খোকসা উপজেলায় ৩টি এবং কুমারখালী ও মিরপুর উপজেলায় ৫টি করে মোট ২৯টি গ্রোথ সেন্টার রয়েছে।
জেলা পুলিশ
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। এর প্রধান হলেন পুলিশ সুপার বা এসপি।[১৩] কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন হলো পুলিশ সুপারের প্রধান কার্যালয়। এটি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কমলাপুরে দাদাপুর সড়কের উত্তর পাশে অবস্থিত। এ. জামান নামক একজন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের প্রথম প্রধান ছিলেন যিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৫০ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেণ।[১৪]
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ৩টি (সদর, মিরপুর ও ভেড়ামারা) সার্কেলে বিভক্ত। কুষ্টিয়া মডেল, কুমারখালী ও খোকসা থানা সদর সার্কেল, মিরপুর ও ইবি থানা মিরপুর সার্কেল এবং ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানা ভেড়ামারা সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত।[১৫]
জেলা পুলিশের অধীনে মোট ৩টি পুলিশ ফাঁড়ি, ২৩টি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ও ১টি তথ্যকেন্দ্র রয়েছে।[১৫]
কর অঞ্চল
[সম্পাদনা]২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী 'আয়কর অনুবিভাগ সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম'-এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে কুষ্টিয়া কর অঞ্চলসহ আরও ৯টি কর অঞ্চল সৃষ্টি হয়।[১৬] এটি খুলনা কর অঞ্চলের কর সার্কেল-৯ (চুয়াডাঙ্গা), কর সার্কেল-১৮ (কুষ্টিয়া), কর সার্কেল-২১ (মেহেরপুর) ও কর সার্কেল-২২ (ভেড়ামারা) নিয়ে গঠন করা হয় এবং এগুলোকে নতুন করে ২২টি সার্কেলে বিভক্ত করার কথা বলা হয়।[১৭]
আড়ুয়াপাড়ার বাবর আলী রেলগেট সংলগ্ন চামড়াপট্টি এলাকায় কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের অস্থায়ী কার্যালয় অবস্থিত। ২০২৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের তথ্যানুযায়ী কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের অধীনে কুষ্টিয়া জেলায় ১৪টি, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫টি ও মেহেরপুর জেলায় ৩টি করে মোট ২২টি উপ কর কমিশনার সার্কেল রয়েছে। এগুলো আবার ৪টি পরিদর্শনী রেঞ্জে বিভক্ত।[১৮] মো: মাহিদুল ইসলাম নামক একজন কর্মকর্তা বর্তমানে কুষ্টিয়া অঞ্চলের কর কমিশনার।[১৯]
সামাজিক বন বিভাগ
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগ হলো বন অধিদপ্তরের একটি স্বতন্ত্র বিভাগ। এটি জাতীয় বন নীতি আইন-১৯৭৯ অনুযায়ী কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৮১–১৯৮২ সালে এই তিন জেলার স্থানীয় দারিদ্র্য জনগণকে সম্পৃক্ত করে বন বিভাগ অংশীদারিত্বমূলক সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে বন অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসের আওতায় এটিকে 'কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগ' নামকরণ করা হয়।[২০]
চৌড়হাস এলাকায় পিটিআই সড়কে কুষ্টিয়া সামাজিক বন বিভাগের প্রধান ও স্থায়ী কার্যালয় অবস্থিত। বন কর্মকর্তা মো: রেজাউল আলম হলেন এর বিভাগীয় প্রধান।[২১]
জনপরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]
|
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| [২২][২৩][২৪][২৫] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলায় মোট ৫,৬৫,৩৩৯টি পরিবার রয়েছে ও ২১,৪৯,৬৯২ জন মানুষ বসবাস করে। এর মধ্যে পুরুষ ১০,৫৫,৮৭৫ জন, নারী ১০,৯৩,৭২৪ জন ও হিজড়া ৯৩ জন।[২৪]
মোট জনসংখ্যার শতকরা ২১.২৬ শতাংশ (৪,৫৭,০১১ জন) মানুষ শহুরে এলাকায় বসবাস করে। মোট কর্মজীবী রয়েছেন ৬,৭১,৭৬৩ জন যাদের মধ্যে ৫,৯১,০৫১ পুরুষ ও ৮০৭১২ জন নারী। কর্মজীবীদের মধ্যে ২,৬৬,৬০৬ (৩৯.৬৯%) সেবামূলক, ৭৪,০৩৮ (১১.০২%) শিল্প ও ৩,৩১,১১৯ (৪৯.২৯%) জন কৃষিক্ষেত্রে কর্মরত রয়েছেন।[২৪]
| উপজেলা | উপজেলার জনসংখ্যা | শহুরে এলাকার জনসংখ্যা (২০২২) |
পৌরশহর | পৌর এলাকার জনসংখ্যা (২০২২) | ||
|---|---|---|---|---|---|---|
| ২০২২ | ২০১১ | ২০০১ | ||||
| কুমারখালী | ৩,৭৩,৭৫২ | ৩,২৮,৪৫৭ | ২,৯৭,৭২৮ | ৪৬,০৫৯ | কুমারখালী | ২৪,৪৬৮ |
| কুষ্টিয়া | ৫,৬০,৯৬৩ | ৫,০২,২৫৫ | ৪,২৩,৮১৮ | ২,৪৪,১৫২ | কুষ্টিয়া | ২,২১,৮০৬ |
| খোকসা | ১,৪৩,৮৩২ | ১,২৯,৫৫৫ | ১,১৪,১৮৮ | ৩০,৬৮৯ | খোকসা | ১৯,০৫২ |
| দৌলতপুর | ৪,৮২,৯৮১ | ৪,৫৬,৩৭২ | ৪,৪৩,৬৫৫ | ৩৬,৮৪২ | - | - |
| ভেড়ামারা | ২,২৫,০৫৮ | ২,০০,০৮৪ | ১,৭৫,৬৭৭ | ৫১,৪৬৬ | ভেড়ামারা | ২৬,৪১৫ |
| মিরপুর | ৩,৬৩,১০৬ | ৩,৩০,১১৫ | ২,৮৫,০৮৯ | ৪৭,৮০৩ | মিরপুর | ২৬,৭১৩ |
ধর্ম
[সম্পাদনা]২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌরসভায় বসবাসকারী ২১,৪৯,৬৯২ জন মানুষের মধ্যে ২০,৯০,৬২২ জন ইসলাম, ৫৮,৭৭১ জন হিন্দু, ২৪৬ জন খ্রিস্ট, ৩৯ জন বৌদ্ধ ও ১৪ জন অন্যান্য ধর্মের অনুসারী ছিলেন।[২৪]
২০১১ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলায় বসবাসকারী ১৯,৪৬,৮৩৮ জন মানুষের মধ্যে ১৮,৮৮,৭৪৪ জন ইসলাম, ৫৬,৭৯২ জন হিন্দু, ২২৫ জন খ্রিস্ট, ৭১ জন বৌদ্ধ ও ১,০০৬ জন অন্যান্য ধর্মের অনুসারী ছিলেন।[২৫]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]
২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার সাক্ষরতার হার ৬৯.০১% (৭ বছর এবং তার বেশি বয়সী)। তন্মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭০.১৯% এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ৬৭.৮৮%। শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই জেনারেল শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে থাকে।
উচ্চশিক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেলায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।[২৬] এছাড়াও ৮টি সরকারি মহাবিদ্যালয়সহ মোট ৪২টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে।[২৭] ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সদর উপজেলার ইবি থানায় অবস্থিত। এটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।[২৮] উচ্চশিক্ষার জন্য জনপ্রিয় একটি মহাবিদ্যালয় হলো কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ। এটি ১৯৪৭ সালে যাত্রা শুরু করে, যা জেলার সবচেয়ে পুরোনো মহাবিদ্যালয়। এটি ছাড়াও উচ্চশিক্ষার জন্য ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ভেড়ামারা সরকারি কলেজ ও ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ ব্যাপকভাবে পরিচিত।
কুমারখালী এম.এন. পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় জেলার সবচেয়ে পুরাতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এটি ১৮৫৬ সালে কুমারখালী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[২৯] ১৮৬৩ সালে কুমারখালী বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যা বাংলাদেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে গণ্য হয়[৩০]। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৬১ সালে সরকারি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া জিলা স্কুল বর্তমানে জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[৩১][৩২]
কৃষি
[সম্পাদনা]কুষ্টিয়া জেলা কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-১১ অর্থাৎ উচ্চ গঙ্গা প্লাবনভূমির অন্তর্গত।[৩৩] গঙ্গাবাহিত পলি মাটির কারণে ধান এখানকার প্রধান ফসল। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় কুষ্টিয়া জেলায় মোট ১,১৫৩.৮৩ বর্গকিলোমিটার (১,১৫,৩৮৩ হেক্টর) আবাদযোগ্য জমি রয়েছে।[৩৪]
এখানে উৎপন্ন কিছু অর্থকরী ফসলের মধ্যে তামাক, পান ও পাট উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের তামাক চাষের যে ৩টি অঞ্চল রয়েছে তার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান শীর্ষে। দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি তামাক উৎপাদন হয়ে থাকে। তামাক চাষের জন্য কৃষকেরা তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়ে থাকে।[৩৫][৩৬] অনেক আগে থেকেই পান চাষের জন্য কুষ্টিয়া জেলার খ্যাতি রয়েছে। পান সারাদেশে উৎপাদিত হলেও কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলায় উৎপন্ন পানের চাহিদা বেশি। কুষ্টিয়া জেলায় উৎপন্ন বিভিন্ন ধরণের পানের মধ্যে বাংলা পান ও মিঠা পান জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। মিঠা পান বাইরের দেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। ভৌগলিক অবস্থান ও উপকরণের সহজলভ্যতার কারণে কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলায় বেশি পান উৎপন্ন হয়ে থাকে। বর্তমানে পান চাষ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৩৭][৩৮]
ঔপনিবেশিক আমলে যখন কুষ্টিয়া অঞ্চল নদিয়া জেলাধীন ছিল তখন এটি জেলার সবচেয়ে উর্বর অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হতো। তখন ধান, আখ, পাটসহ অন্যান্য শস্য জাতীয় ফসল এই অঞ্চলে তুলনামূলক ভালো উৎপাদন হতো।[৩৯] ১৯৪৯ সালে 'বেঙ্গল ইন ম্যাপস' গ্রন্থ প্রকাশিত হয় যেখনে পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিষয়ের মানচিত্র দেখানো হয়েছে। যেখানে দেখা যায় কুষ্টিয়া অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাষযোগ্য জমি রয়েছে। প্রায় ৮০–১০০ শতাংশ জমিতে ধানের চাষ হতো। উৎপাদিত ধানের মধ্যে আমন ও আউশ ধান বেশি উৎপাদন হতো। এখানে উৎপাদিত অন্যান্য শস্যের মধ্যে গম, যব, ছোলা, বাজরা, খেসারি ও মসুর বেশি উৎপাদন হতো। পূর্ববঙ্গে পাট উৎপাদন বেশি হলেও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তুলনামূলক পাট কম উৎপাদন হতো। এখানে তৃণভূমি তুলনামূলক কম এবং আমগাছ, বাঁশঝাড় ও বনভূমি তুলনামূলক বেশি ছিল।[৪০]
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- শিলাইদহ কুঠিবাড়ি
- লালন শাহের মাজার
- লালন শাহ সেতু
- হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
- হরিপুর সেতু
- ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
- স্বস্তিপুর শাহী মসজিদ
- কুষ্টিয়া পৌর ভবন
- কামরুল ইসলাম সিদ্দিক পৌর শিশু পার্ক
- কুষ্টিয়া পৌর জাদুঘর
- টেগর লজ
- পরিমল থিয়েটার
- কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি
- লালন মিউজিয়াম
- মোহিনী মিল
- শিলাইদহ কাছারি বাড়ি
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা
- কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর
- গড়াই রেল সেতু
- তালবাড়িয়া বিল
- চাঁপাইগাছির বিল
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- মোঃ রেজাউল করিম, সম্পাদক (২০২৩)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ঢাকা: গতিধারা। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৩৪৬০৮-১-৩।
- ড. মুহাম্মদ এমদাদ হাসনায়েন; ড. সারিয়া সুলতানা (২০২০)। ধর্মীয় ইতিহাস স্থাপত্যে কুষ্টিয়া। ঢাকা: কন্ঠধ্বনি প্রকাশনী। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৯৪৪৩৫-০-৬।
- আনোয়ার আলী। সার্ধশতবর্শ স্মারকগ্রন্থ ১৮৬৯-২০১৯ (পিডিএফ)। কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া পৌরসভা। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৩৪৬০৮-১-৩। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত।
- কুমুদনাথ মল্লিক (১৯১২)। নদীয়া-কাহিনী (পিডিএফ)। রানাঘাট: পুস্তক বিপণি।
- কুমুদনাথ মল্লিক (১৯৮৮) [১৯১২]। মোহিত রায় (সম্পাদক)। নদীয়া-কাহিনী (পিডিএফ) (দ্বিতীয় সংস্করণ)। রানাঘাট: পুস্তক বিপণি।
- বিষ্ণু বসু, সম্পাদক (১৫ আগস্ট ১৯৫৭)। মীর মশার্রফ হোসেন রচনাসংগ্রহ (পিডিএফ)। কলকাতা: কমলা সাহিত্য ভবন।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বছর (লিঙ্ক)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ আফরা নাওমি (৩ জুলাই ২০২৪)। "A day through the artistic heart of Kushtia" [কুষ্টিয়ার শৈল্পিক হৃদয়ের মধ্য দিয়ে একটি দিন]। দ্যা ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জুন ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- 1 2 আবুল আহসান চৌধুরী (১৯৯০)। লালন শাহ (১৭৭৪–১৮৯০) (পিডিএফ)। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ সাজেদুর আবেদীন শান্ত (২ ডিসেম্বর ২০২৩)। "কুষ্টিয়ার এই ৫ স্থান ঘুরে দেখেছেন কি"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "বিশেষ অর্জন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ তৌহিদী হাসান (৭ আগস্ট ২০১৫)। "ডিজিটাল সেবায় অন্যতম সেরা কুষ্টিয়া"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কুষ্টিয়ার তিলের খাজা" (পিডিএফ)। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) জার্নাল। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কুমারখালীর বেডশিট" (পিডিএফ)। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) জার্নাল। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ কুমুদনাথ মল্লিক (১৯১২)। নদীয়া-কাহিনী (পিডিএফ)। রানাঘাট: পুস্তক বিপণি। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ ড. মুহাম্মদ এমদাদ হাসনায়েন; সারিয়া সুলতানা (২০১৮)। কুষ্টিয়ার ইতিহাস। ঢাকা: বর্ণ প্রকাশ লিমিটেড। আইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৩১১০২৭।
- ↑ গওহার নঈম ওয়ারা (২৯ মার্চ ২০২৫)। "'দ্য ব্যাটেল অব কুষ্টিয়ার' সামাজিক ইতিহাস"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কুষ্টিয়া জেলার নদ-নদী সম্পর্কিত তথ্য" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২৫।
- ↑ তামীম আদনান (২৬ জানুয়ারি ২০১৯)। "পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরবাসী"। আমার সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (২০২৩–২০২৪ অর্থবছর)" (পিডিএফ)। পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কুষ্টিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "পূর্ববর্তী পুলিশ সুপারগণ (প্র্রাক্তন অফিস প্রধান)"। জেলা পুলিশ, কুষ্টিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৫।
- 1 2 "সাংগঠনিক কাঠামো"। পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কুষ্টিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "নবসৃষ্ট কর অঞ্চলসমূহে সংযুক্তিতে পদায়নের অফিস আদেশ" (পিডিএফ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ৯ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "আয়কর অনুবিভাগের সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের কার্যক্রম" (পিডিএফ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কর অঞ্চল-কুষ্টিয়া" (পিডিএফ)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কর অঞ্চল- কুষ্টিয়া এ আপনাকে স্বাগতম"। কর অঞ্চল-কুষ্টিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯-২০" (পিডিএফ)। বন অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "সামাজিক বন বিভাগ, কুষ্টিয়া"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Nadia District : statistics, 1911-1912 to 1920-21" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Nadia District : statistics, 1900-1901 to 1911-1912" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২৫।
- 1 2 3 4 5 "Population and Housing Census 2022 COMMUNITY REPORT: KUSHTIA" [জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ কমিউনিটি রিপোর্ট: কুষ্টিয়া] (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২৫।
- 1 2 "Population and Housing Census 2011 Zila Report: Kushtia" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৫।
- ↑ "কুষ্টিয়ায় অনুমোদন পেল 'জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী' বিশ্ববিদ্যালয়"। ঢাকা পোস্ট। ৮ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "College list"। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ মিজানুর রহমান মিজান (২৯ নভেম্বর ২০২২)। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ বছর"। প্রতিদিনের সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "কুমারখালী এমএন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের দাবীতে মানববন্ধন"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ৩ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ তৌহিদী হাসান (২৪ ডিসেম্বর ২০২২)। "আজও আলো ছড়াচ্ছে দেশের প্রাচীন বালিকা বিদ্যালয়টি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কুষ্টিয়ায় শীর্ষে জিলা স্কুল, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৯ জন"। আন্দোলনের বাজার। ১০ জুলাই ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কুষ্টিয়ায় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়"। দৈনিক দেশ তথ্য। ২৯ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "কৃষি -পরিবেশগত অঞ্চল- এইজেড মানচিত্র"। বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "এক নজরে কুষ্টিয়া জেলার কৃষি পরিসংখ্যান" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ শুভব্রত আমান (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫)। "কুষ্টিয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে তামাক চাষ"। বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "তামাক এবং তামাকের বিকল্প ফসল চাষ:কুষ্টিয়ার একটি চিত্র" (পিডিএফ)। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "ঐতিহ্য ধরে রেখে কুষ্টিয়ার মিঠা পাতার পান যাচ্ছে বিদেশে"। বণিক বার্তা। ৩১ আগস্ট ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ আহমেদ রাজু (২৮ জানুয়ারি ২০২৩)। "কুষ্টিয়ার পান যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ জে.এম. প্রিঙ্গেল; এ.এইচ. কেইএমএম (১৯২৮)। Final Report on the Survey and Settlement Operations on the District of Nadia 1918–1926 [১৯১৮-১৯২৬ সালে নদীয়া জেলার জরিপ ও বসতি স্থাপন কার্যক্রমের চূড়ান্ত প্রতিবেদন] (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা: বেঙ্গল সেকেটেইয়েট বুক ডিপো। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ এস.পি. চট্টোপাধ্যায় (১০৪৯)। Bengal In Maps [মানচিত্রে বঙ্গ] (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। কলকাতা: ওরিয়েন্ট লংম্যানস লিমিটেড। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে কুষ্টিয়া জেলা সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
উইকিঅভিধানে কুষ্টিয়া জেলা-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।- "কুষ্টিয়া জেলা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
- "বাংলাদেশ জিওকোড কুষ্টিয়া জেলা" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যানে ব্যুরো। ১৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত।



