কুষ্টিয়া জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′১১″ উত্তর ৮৯°১৩′১২″ পূর্ব / ২৩.৯১৯৭২° উত্তর ৮৯.২২০০০° পূর্ব / 23.91972; 89.22000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুষ্টিয়া জেলা
জেলা
ডাকনাম: সাংস্কৃতিক রাজধানী
মানচিত্রে কুষ্টিয়া জেলা
মানচিত্রে কুষ্টিয়া জেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′১১″ উত্তর ৮৯°১৩′১২″ পূর্ব / ২৩.৯১৯৭২° উত্তর ৮৯.২২০০০° পূর্ব / 23.91972; 89.22000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
ইউনিয়ন৬৭টি
সদরদপ্তরকুষ্টিয়া সদর উপজেলা
জেলা প্রতিষ্ঠা১৯৪৭
জাতীয় সংসদ আসন৪টি
সরকার
 • ধরনজেলা পরিষদ
 • শাসকমোঃ এহেতেশাম রেজা
আয়তন
 • মোট১,৬০৮.৮০ বর্গকিমি (৬২১.১৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০২২)
 • মোট২১,৪৯,৬৯২
 • জনঘনত্ব১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬৮.৮৮%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৭০০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৫০
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। কুষ্টিয়া পৌরসভা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা ও দেশের ১২তম বৃহত্তম শহর। লালন শাহের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িমীর মশাররফ হোসেনের বসতভিটা। এ জেলাতে রয়েছে ইসলাম বিষয়ক বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পকলা একাডেমি কুষ্টিয়াতে অবস্থিত। শিল্প প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে এ-জেলা দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুষ্টিয়া শহর ছাড়াও এ জেলায় কুমারখালীভেড়ামারা পৌরসভায় বিসিক শিল্প গড়ে উঠেছে৷ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাংলাদেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর হলো এ জেলার প্রশাসনিক সদর এবং প্রধান শহর। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা এ জেলা থেকেই। নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার প্রথম জীবন ও কবিতার স্বর্নযুগ কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কাটিয়েছিলেন।

ইতিহাস ও ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

বহুপূর্বে কুষ্টিয়া অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও পাবনা জেলার মহকুমা ও থানা হিসেবেও রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল এ জেলাটি। কোম্পানি আমলে কুষ্টিয়া যশোর জেলার অধীনে ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে।

অবশ্য কুষ্টিয়া কোনো প্রাচীন নগর নয়। সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এখানে একটি নদীবন্দর স্থাপিত হয়। যদিও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ বন্দর বেশি ব্যবহার করত, তবুও নীলচাষী ও নীলকরদের আগমনের পরেই নগরায়ন শুরু হয়। ১৮৬০ সালে কলকাতার তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রাজধানী সাথে সরাসরি রেললাইন স্থাপিত হয়। একারণে এ অঞ্চল শিল্প-কারখানার জন্য আদর্শ স্থান বলে তখন বিবেচিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড(১৮৯৬), মোহিনী মিল (১৯০৮) প্রতিষ্ঠিত হয়। [১]

১৯৪৭-এ ভারতবর্ষ ভাগের সময় কুষ্টিয়া পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। [২] এর মহকুমাসমূহ ছিল কুষ্টিয়া জেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলামেহেরপুর জেলা। তৎকালীন এস ডি ও মৌলভি আব্দুল বারী বিশ্বাস কে প্রধান করে ১৯৫৪ সালে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু সরকারি অফিস কুষ্টিয়ায় স্থাপনের পরে শহরটিতে পুনরায় উন্নয়ন শুরু হয়। কুষ্টিয়া জেলায় বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রেলস্টেশন জগতি রেলওয়ে স্টেশন, বাংলাদেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।

নামকরণের ইতিহাস[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া বহুপূর্ব থেকেই বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে এর অবিসংবাদিত পরিচিতি রয়েছে। তবে কুষ্টিয়া নামটি কীভাবে এলো, তা নিয়ে ইতিহাসকারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সবচেয়ে সমর্থিত মতটি ১৮২০ প্রকাশিত হেমিলটনস-এর গেজেট-এর সূত্রে পাওয়া। সেটি হলো, কুষ্টিয়াতে এক সময় প্রচুর পরিমাণে পাট উৎপাদিত হতো। পাটকে স্থানীয় ভাষায় কোষ্টা (এখনো বলা হয়) বা কুষ্টি বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ ‘কুশতহ’ থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি হয় বলেও একটি মত রয়েছে।[৩][৪]

স্থানীয় সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত।কুষ্টিয়ার শিল্পী পরিবারের তীর্থস্থান জেলা শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন কুষ্টিয়ার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে গতিশীল করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।[৫] কুষ্টিয়া পৌরসভা কর্তৃক প্রতিবছর বসন্ত উৎসব, নবান্ন উৎসব , পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্প পরিসরে পিঠা উৎসব ও লোকজ মেলার আয়োজন করে। লালন শাহের মাজারে প্রতিবছর লালন মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর জেলা পরিষদ কর্তৃকপক্ষ গড়াই নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।[৬][৭] প্রতিবছর বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন লাঠি খেলা উৎসবের আয়োজন করে থাকে।[৮]

উল্লেখযোগ্য খাদ্যদ্রব্য[সম্পাদনা]

সাংস্কৃতির পাশাপাশি এ জেলার রয়েছে নিজস্ব মিষ্টিদ্রব্য। এর মধ্যে তিলের খাজাকুলফি মালাই উল্লেখযোগ্য। দই, ঘি ও হরেক রকমের মিষ্টিরও খ্যাতি রয়েছে। কুষ্টিয়া শহরে রয়েছে বেশকিছু নতুন-পুরনো প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান। এসব দোকানে বিক্রিও হয় প্রচুর। এদের মধ্যে জগদীশ মিষ্টান্ন ভান্ডার, অশোক দধি মিষ্টান্ন ভান্ডার, মৌবন সুইটস, কুমারখালী উপজেলার রমেশ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারর, মিরপুর উপজেলার আশীষ সুইটস অন্যতম।[৯]

নং নাম বৈশিষ্ট্য
০১ তিলের খাজা
  • জিআই কর্তৃক স্বীকৃত
  • কুষ্টিয়া জেলায় উৎপন্ন তিল দিয়ে তৈরি এক প্রকার মিষ্টান্ন
  • কুষ্টিয়াসহ সারাদেশেই খুবই জনপ্রিয়
  • দুই’শ বছরের ঐতিহ্য কুষ্টিয়ার তিলের খাজা
০২ কুলফি মালাই
  • মুঘল সাম্রাজ্যের হাত ধরেই দুই বাংলায় মালাই কুলফির আগমন
  • কুষ্টিয়ায় আগমনকৃত পর্যটক এই মালাই খুব পছন্দ করেন

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া জেলা ০৮ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।‌

২০০৪ সালের প্রদত্ত গেজেট অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলায় ০৮ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।

নং গেজেট নম্বর (২০০৪) নাম গ্রাম উপজেলা প্রতীক
০১ খেতাবপ্রাপ্ত-৫৩ আবু তালেব জগতি কুষ্টিয়া বীর উত্তম
০২ খেতাবপ্রাপ্ত- শরফুদ্দীন আহমেদ সুলতানপুর কুমারখালী
০৩ খেতাপ্রাপ্ত-২৩৭ খালেদ সাইফুদ্দীন কাটদহ কুষ্টিয়া বীর বিক্রম
০৪ খেতাবপ্রাপ্ত-৬২৩ হাবিবুর রহমান শেরপুর দৌলতপুর বীর প্রতীক
০৫ খেতাবপ্রাপ্ত-৬২৮ শামসুদ্দীন আহমেদ মহিষখোলা মিরপুর
০৬ খেতাবপ্রাপ্ত-৬৩০ কে এম রফিকুল ইসলাম গোলাপনগর ভেড়ামারা
০৭ খেতাবপ্রাপ্ত-৬৩১ শেখ দিদার আলী আড়ুয়াড়া কুষ্টিয়া
০৮ খেতাবপ্রাপ্ত-৬৩৩ আবদুল আলিম সাহাপুর

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলার আয়তন ১,৬০৮.৮০ বর্গকিলোমিটার।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলা ৬টি উপজেলা, ৭টি থানা,[১০] ৫টি পৌরসভা, ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭১০টি মৌজা ও ৯৭৯টি গ্রামে বিভক্ত।

নং উপজেলা আয়তন (বর্গ কি.মি.) জনসংখ্যা (জন) গনশুমারি-২০২২ থানা নির্বাচনী আসন পৌরসভা ইউনিয়ন [১১]
০১ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ৩১৬.২৬ ৫,৬০,৯৫২ কুষ্টিয়া-৩ কুষ্টিয়া পৌরসভা
  • আয়তন ৬৯.৫৬ বর্গ কি.মি.
  • বাংলাদেশের ১২তম বড় শহর
১৪টি।
০২ কুমারখালী উপজেলা ২৫৮.৩৮ ৩,৭৩,৭৩৪ কুমারখালী থানা কুষ্টিয়া-৪ কুমারখালী পৌরসভা ১১টি
০৩ খোকসা উপজেলা ১১৫.৬০ ১,৪৩,৮২৭ খোকসা থানা কুষ্টিয়া-৪ খোকসা পৌরসভা ০৯ টি
০৪ মিরপুর উপজেলা ২৯৬.৩১ ৩,৬৩,০৮০ মিরপুর থানা কুষ্টিয়া-২ মিরপুর পৌরসভা ১৩টি
০৫ ভেড়ামারা উপজেলা ১৫৩.৭২ ২,২৫,০৪১ ভেড়ামারা থানা কুষ্টিয়া-২ ভেড়ামারা পৌরসভা ০৬টি
০৬ দৌলতপুর উপজেলা ৪৬১ ৪,৮২,৯৬৫ দৌলতপুর থানা কুষ্টিয়া-১ নাই ১৪টি

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা[সম্পাদনা]

১৭২৫ সালে কুষ্টিয়া নাটোর জমিদারীর অধীনে ছিল এবং এর পরিচিতি আসে কান্ডানগর পরগণার রাজশাহী ফৌজদারীর সিভিল প্রশাসনের অমর্ত্মভূক্তিতে। পরে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ১৭৭৬ সালে কুষ্টিয়াকে যশোর জেলার অমত্মর্ভূক্ত করে। কিন্তু ১৮২৮ সালে এটি পাবনা জেলার অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৬১ সালে নীল বিদ্রোহের কারণে কুষ্টিয়া মহকুমা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৮৭১ সালে কুমারখালী ও খোকসা থানা নিয়ে কুষ্টিয়া মহকুমা নদীয়ার অর্ন্তগত হয়। ভারত উপমহাদেশ বিভক্তির পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার আওতায় একটি মহকুমা ছিল। ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার অভ্যুদয় ঘটে। তখন কুষ্টিয়া জেলা ৩ টি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো কুষ্টিয়া , চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর।[১২] এরপর ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গামেহেরপুর আলাদা জেলা হিসেবে পৃথক হয়ে গেলে কুষ্টিয়া মহকুমার ৬ টি থানা নিয়ে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।[১৩] কিন্তু এই তিন জেলা চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে বৃহত্তর কুষ্টিয়া শুধুই একটি অতীত নয়, আরও কিছু। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে, এই অঞ্চলের ও অবিভক্ত নদীয়া জেলার আদি বাসিন্দাদের মুখের ভাষার সাথে আধুনিক প্রমিত বাংলার ঘনিষ্ঠ মিল পাওয়া যায়। [১৪] এই তিন জেলার অধিবাসীদের বৃহত্তর সমাজকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া বলা হয়। বিভিন্ন সংস্থা এই তিন জেলার জনগনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, এক্ষেত্রে বৃহত্তর কুষ্টিয়া এসোসিয়েশন উল্লেখযোগ্য।

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার উপজেলা তালিকা[সম্পাদনা]

নং উপজেলা বর্তমান জেলা
০১ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কুষ্টিয়া জেলা
০২ কুমারখালী উপজেলা
০৩ খোকসা উপজেলা
০৪ মিরপুর উপজেলা
০৫ ভেড়ামারা উপজেলা
০৬ দৌলতপুর উপজেলা
০৭ মেহেরপুর সদর উপজেলা মেহেরপুর জেলা
০৮ গাংনী উপজেলা
০৯ মুজিবনগর উপজেলা
১০ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চুয়াডাঙ্গা জেলা
১১ আলমডাঙ্গা উপজেলা
১২ দামুড়হুদা উপজেলা
১৩ জীবননগর উপজেলা

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার মুজিব নগর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী যা বর্তমানে মেহেরপুর জেলারএকটি উপজেলা। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম পোস্ট অফিস বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় তৈরি করা হয়। বর্তমানে এটি চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা জেলায় রুপান্তর হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রেলস্টেশন জগতি রেলস্টেশন কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেজর রেলসেতু গড়াই রেলসেতু, বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বালিকা বিদ্যালয় কুমারখালী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় , বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ছাপাখানা গ্রামবার্তা প্রকাশিকা এগুলো কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত।

জনসংখ্যা ও অন্যান্য উপাত্ত[সম্পাদনা]

লিঙ্গ জনসংখ্যা (জন) মোট জনসংখ্যা (জন)

গণশুমারি-২০২২

সাক্ষরতার হার মোট সাক্ষরতার হার
পুরুষ ১০,৫৫,৬৮১ ২১,৪৯,৬৯২ ৭০.০৫% ৬৮.৮৮%
নারী ১০,৯৩,৫৪৯ ৬৭.৭৭%
অন্যান্য ১২৪ ৫১.২২%

ধর্ম[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলার ধর্মসমূহ[১৫]
ধর্ম শতাংশ
মুসলমান
  
৯৭.২৩%
হিন্দু
  
২.৭৩%
খ্রিস্টান
  
০.০১%
অন্যান্য
  
০.০৩%

২০২২ সালের আদমশুমারির সময়, জেলার জনসংখ্যা ২,১৪৯,৬৯২ জন। তাদের মধ্যে ৯৭.২৩% মুসলমান, ২.৭৩% হিন্দু, ০.০১% খ্রিস্টান এবং ০.০৩% অন্যান্য।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। ২০২৪ সালে ভিত্তি স্থাপিত জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়াযর প্রথম স্থাপিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়[সম্পাদনা]

ক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উপজেলা স্থাপিত ধরণ
০১ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সদর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
০২ জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কুমারখালী ২০২৪ সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
০৩ রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় সদর ২০১৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

মেডিকেল কলেজ[সম্পাদনা]

ক্রম মেডিকেল কলেজর নাম উপজেলা স্থাপিত ধরণ
০১ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ সদর ২০১১ সরকারি
০২ সেলিমা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল (নির্মানাধীন) বেসরকারি

মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল[সম্পাদনা]

উপজেলা ক্রম প্রতিষ্ঠানের নাম ইআইআইএন স্থাপিত ধরন
কুষ্টিয়া ০১ মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল, কুষ্টিয়া ১৩৩৪৯০ ১৯৭৬ সরকারি

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

উপজেলা ক্রম প্রতিষ্ঠানের নাম ইআইআইএন স্থাপিত ধরণ
কুষ্টিয়া ০১ কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ১৩৩১৮৬ ১৯৬৪ সরকারি
০২ কুষ্টিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ১৩২৪৪৯ ১৯৮৪
ভেড়ামারা ০৩ ভেড়ামারা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ১৩৯৬৭৩ ২০২১
দৌলতপুর ০৪ হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ১৩৩১৩২ ২০২১
মিরপুর ০৫ নওদা আজমপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ১৩৩০৪৩ ২০০২ এমপিওভুক্ত
কুমারখালী ০৬ আলাউদ্দিন আহম্মেদ ফিজিক্যালি ইনস্টিটিউট ১৩৩৫৯২ ১৯৯৯
০৭ রাগীব হাসান টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ১৩৩০২৮ ১৯৯৮

সরকারি কলেজ[সম্পাদনা]

উপজেলা নং নাম ধরন
সদর ০১ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ সরকারি
০২ কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ
০৩ কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজ
মিরপুর ০৪ আমলা সরকারি কলেজ
ভেড়ামারা ০৫ ভেড়ামারা সরকারি কলেজ
০৬ ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ
খোকসা ০৭ খোকসা সরকারি কলেজ
কুমারখালী ০৮ কুমারখালী সরকারি কলেজ

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়[সম্পাদনা]

উপজেলা নং নাম ধরন
সদর ০১ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ, কুষ্টিয়া এমপিওভুক্ত
০২ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, কুষ্টিয়া
০৩ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ
০৪ আসলামপুর বালিয়াপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ
০৫ কে.এস.এম টাকা মিনাপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
০৬ বেগম হামিদা সিদ্দিক স্কুল এন্ড কলেজ
কুমারখালী ০৭ জি.ডি সামসুদ্দিন আহমেদ কলেজিয়েট স্কুল
০৮ মধুপুর স্কুল এন্ড কলেজ
খোকসা ০৯ রামনাথপুর স্কুল এন্ড কলেজ
মিরপুর ০৮ বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
দৌলতপুর ১০ নাসিরউদ্দিন বিশ্বাস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সদর ১১ হাসিব ড্রিম স্কুল কলেজ বেসরকারি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়[সম্পাদনা]

উপজেলা নং প্রতিষ্ঠানের নাম ইআইআইএন স্থাপিত
সদর ০১ কুষ্টিয়া জিলা স্কুল ১১৭৭৪৩ ১৯৬১
০২ কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১২৭৭৫৯ ১৮৭৬
ভেড়ামারা ০৩ ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ১৩৫৩১৫ ১৯১৮
০৪ ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ১১৭৪৬৯ ১৯৫৯
কুমারখালী ০৫ কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৭৬৬০ ১৮৬৩
দৌলতপুর ০৬ দৌলতপুর সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৭৫০২ ১৯৬৩

যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

প্রধান সড়কপথ সমূহ[সম্পাদনা]

নং নাম কোড
০১ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক এন৭০৪ (বাংলাদেশ)
০২ কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়ক R710 (বাংলাদেশে)
০৩ কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক R747(বাংলাদেশ)
০৪ কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়ক R745 (বাংলাদেশ)
০৫ কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়ক এন৭০৪ (বাংলাদেশ)
০৬ মিরপুর-রাফায়েতপুর সড়ক Z7461(বাংলাদেশ)
০৭ ভেড়ামারা-দৌলতপুর সড়ক Z7411 (বাংলাদেশ)
০৮ এনএস রোড NS RD (বাংলাদেশ)
০৯ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি সড়ক R713 (বাংলাদেশ)
১০ কুষ্টিয়া-আলমডাঙ্গা সড়ক R747 (বাংলাদেশ)
১১ পোড়াদড়-মিরপুর সড়ক

রেলপথ[সম্পাদনা]

নং স্টেশনের নাম প্লাটফর্ম অবস্থান পরিসেবা
০১ হালসা রেলওয়ে স্টেশন হালসা, মিরপুর চালু
০২ পোড়াদহ জংশন রেলওয়ে স্টেশন পোড়াদহ, মিরপুর উপজেলা
০৩ জগতি রেলওয়ে স্টেশন জগতি, সদর
০৪ কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন সদর
০৫ কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন সদর
০৬ চড়াইকোল রেলওয়ে স্টেশন সদর
০৭ কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন কুমারখালী
০৮ খোকসা রেলওয়ে স্টেশন মিরপুর
০৯ মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন মিরপুর
১০ গোলবাথান রেলওয়ে স্টেশন মিরপুর
১১ ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন ভেড়ামারা

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়া কেবল চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল নয়। চাষাবাদের পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। কুষ্টিয়ায় অনেক তামাকের কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে নাসির টোব্যাকো লিমিটেড, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, দি ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো, পারফেক্ট টোব্যাকো উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক তার তৈরির কারখানা বি.আর.বি. কেবলস কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। জেলার কুমারখালি উপজেলায় গড়ে উঠেছে উন্নতমানের ফ্রেব্রিকস শিল্প। এখানে উৎপাদিত ফ্রেব্রিকস সামগ্রী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় অসংখ্য চালের মিল রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম মা ভান্ডারী অটো রাইচ মিল। বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে ওঠায় এককভাবে কৃষিকাজের উপর নির্ভরতা কম।

কৃষি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত কুষ্টিয়াতেও প্রধানত ধান, পাট, আখ, ডাল, তৈলবীজ ইত্যাদি চাষ করা হয়। তবে জেলাটিতে তামাকপানের চাষও লক্ষণীয়। এছাড়াও মহিষকুন্ডির চরে স্বল্প পরিমানে বাদাম উৎপন্ন হয়

সরিষা ক্ষেত
তামাক চাষ

কুষ্টিয়ার শিল্প প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা-

  • বৃহৎ শিল্প - ১২০ টি
  • মাঝারী শিল্প -২৩০ টি
  • ক্ষুদ্র শিল্প - ৬২১২ টি
  • কুটির শিল্প - ২১৮৩৭ টি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরীতে অনেক বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কুমারখালী উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীতে রয়েছে অনেক টেক্সটাইল ও হোসিয়ারী ইন্ডাস্ট্রি। ভেড়ামারা উপজেলায় ৫০০ একর জায়গার উপর নির্মিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার ইকোনোমিক জোন, যেখানে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলায় দেশের সর্ববৃহৎ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে গড়ে উঠেছে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছে তামাক শিল্প। কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় ৪০০ অটো এবং হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে যেখান থেকে বাংলাদেশের ৭০% চাল প্রক্রিয়াজাত হয়ে থাকে। কুষ্টিয়াতে এর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অনেক আটা ময়দার মিল। এছাড়াও তামাক ও আখ শিল্প এ জেলাকে কৃষির পাশাপাশি শিল্পে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।

উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

নং নাম ঠিকানা উৎপাদিত পণ্য
০১ বি.আর.বি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কুমারগাড়া শিল্প এলাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ ক্যাবল উৎপাদনকারী
০২ কে.এন.বি. এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মাছের খাদ্য
০৩ কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ধাতু সামগ্রী
০৪ এম.আর.এস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মেলামাইন বোর্ড, অ্যালুমিনিয়াম ও কপার তারের রড, পিভিসি শীট
০৫ কিয়াম এগ্রো ফিড ভাদালিয়া, কুষ্টিয়া সদর পশু খাদ্য
০৬ নাসির গ্রুপ কুষ্টিয়া সদর গ্লাস, মেলামাইন, মুদ্রণ, প্যাকেজিং, গ্লাসওয়্যার, টিউব, এনার্জি সেভিং ল্যাম্প
০৭ রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড আইলচারা, কুষ্টিয়া সদর চাউল, ভোজ্য তেল
০৮ জাপান টোব্যাকো মিরপুর, কুষ্টিয়া তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ
০৯ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কুমারগাড়া শিল্প এলাকা
১০ দি ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো
১১ নাসির টোব্যাকো লিমিটেড
১২ পারফেক্ট টোব্যাকো
১৩ হেলথ্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস[১৬] সারজেল
১৪ বায়েজিদ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ মিরপুর, কুষ্টিয়া
১৫ মা ভান্ডারী অটো রাইচ মিল আইলচারা, কুষ্টিয়া সদর চাউল
১৬ সুবর্ণা এগ্রো ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড খাজানগর, কুষ্টিয়া সদর বহুজাত খাদ্য সামগ্রী
১৭ মোহিনী মিল মিলপাড়া, কুষ্টিয়া পৌরসভা সচল অবস্থায় মোহিনী মিল সমগ্র এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কলের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মিল

নদ-নদী[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে, নদীগুলোর তালিকা নিম্নরূপ:[১৭][১৮]

নং নাম উৎপত্তি স্থল
০১ পদ্মা নদী গঙ্গোত্রী হিমবাহ
০২ মাথাভাঙ্গা নদী গঙ্গা নদী
০৩ হিসনা নদী পদ্মা নদী
০৪ কুমার নদ পদ্মা নদী
০৫ কালীগঙ্গা নদী গড়াই নদী
০৬ গড়াই নদী পদ্মা নদী
০৭ সাগরখালী নদী

আকর্ষণীয় স্থান[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া একটি প্রাচীন জনপদ। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার একটি মহকুমা ছিল। প্রাচীন নগর হওয়ায় কুষ্টিয়া প্রচুর প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।

স্থাপত্য শিল্প[সম্পাদনা]

নং নাম বৈশিষ্ট্য ঠিকানা
০১ রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী যাদুঘর শিলাইদহ, কুমারখালী
০২ লালন শাহের মাজার আধ্যাত্মিক সাধক লালনের বাসস্থান ছিল ছেউড়িয়া, কুমারখালী
০৩ রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন একটি যন্ত্রাংশ নির্মাতা সংস্থা যা চিনির কলগুলির জন্য মেশিন এবং যন্ত্রাংশ তৈরি করে। কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৪ মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা জাদুঘর লাহিনীপাড়া, কুমারখালী
০৫ ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ মুঘল আমলে তৈরী মসজিদ ঝাউদিয়া, কুষ্টিয়া
০৬ স্বস্তিপুর শাহী মসজিদ স্বস্তিপুর, কুষ্টিয়া
০৭ কুষ্টিয়া পৌরভবন ঐতিহ্যবাহী ভবন কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৮ কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পকলা একাডেমী কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৮ টেগর লজ যাদুঘর মিলপাড়া, কুষ্টিয়া
০৯ পাকশী রেল সেতু ব্রিটিশদের তৈরি রেলবসেতু ভেড়ামারা
১০ লালন শাহ সেতু পদ্মা নদীর উপর তৈরি করা প্রথম সেতু
১১ জগতি রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন জগতি, কুষ্টিয়া
১২ মোহিনী মিল উপমহাদেশের একসময়ের বৃহত্তম বস্ত্রকল মোহিনী মিল মিলপাড়া, কুষ্টিয়া পৌরসভা
১৩ গোপীনাথ জিউর মন্দির মন্দির কুষ্টিয়া পৌরসভা
১৪ হরিপুর ব্রিজ গড়াই নদীর উপরে ব্রিজ হরিপুর, কুষ্টিয়া

উল্লেখযোগ্য পার্ক ও রিসোর্ট[সম্পাদনা]

নং নাম ঠিকানা
০১ রোজ হলিডে পার্ক এন্ড রিসোর্ট বাইপাস, কুষ্টিয়া
০২ জিয়া শিশু পার্ক হাসপাতাল রোড, কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৩ কামরুল ইসলাম সিদ্দিকি শিশু পার্ক কোর্টপাড়া, কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৪ জেলা পরিষদ রবীন্দ্র-লালন উদ্যান মিলপাড়া, কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৫ আলাউদ্দিন আহম্মেদ শিক্ষাপল্লী পার্ক আলাউদ্দিন নগর, কুমারখালী
০৬ মন ভোলানো কাঠের বাড়ি শিলাইদহ, কুমারখালী
০৭ ইউটিউব ভিলেজ খোকসা
০৮ রেনউইক পার্ক এন্ড রিসোর্ট কুষ্টিয়া পৌরসভা
০৯ কয়া ইকো পার্ক কয়া, কুমারখালী
১০ মনি পার্ক ভেড়ামারা

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলার ব্যক্তিবর্গের এই তালিকায় বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় জন্ম নিয়েছেন বা বসবাস করেছেন কিংবা পৈত্রিক নিবাস এখানে এমন ব্যক্তিদের নাম সন্নিবেশ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রিটিশ বাংলাদেশি, মার্কিন বাংলাদেশি, কানাডীয় বাংলাদেশি এবং টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী অন্যান্য অনাবাসী বাঙালিও রয়েছেন।

নং নাম বৈশিষ্ট্য জন্মস্থান
০১ লালন প্রখ্যাত বাউল ও মরমী গানের স্রষ্টা ছেউড়িয়া, কুমারখালী
০২ মীর মশাররফ হোসেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক কুমারখালী
০৩ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ইতিহাসবিদ, আইনজীবী, সাহিত্যিক এবং বাংলা ভাষায় ইতিহাস রচনায় পথিকৃৎ মিরপুর
০৪ হরিনাথ মজুমদার সাময়িক পত্রসেবী, সমাজ বিপ্লবী ও বাউল কবি কুমারখালী
০৫ কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ ও দাবাড়ু কুমারখালী
০৬ মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা বাঙ্গালী মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম সনেট ও গদ্য ছন্দে কবিতা লিখেছেন নিয়ামতবাড়ি, কুষ্টিয়া
০৭ আমীর-উল ইসলাম বিশিষ্ট আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা ঝাউদিয়া, কুষ্টিয়া
০৮ বাঘা যতীন অগ্নিযুগের প্রখ্যাত স্বদেশী নেতা ও সশস্ত্র সংগ্রামী কয়া, কুমারখালী
০৯ ড. রাধা বিনোদ পাল আইনজীবী, আইন সম্পর্কিত গ্রন্থের রচয়িতা ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের বিচারক তারাগুনিয়া, কুষ্টিয়া
১০ প্যারীসুন্দরী দেবী নীলকর টমাস আইভান কেনির কৃষকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন করেন কুমারখালী
১১ গগন হরকরা প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ শিলাইদহ, কুমারখালী
১২ শাহ আজিজুর রহমান রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দৌলতপুর
১৩ হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী মিরপাড়া, কুষ্টিয়া
১৪ হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি খোকসা
১৫ মোহিনী মোহন চক্রবর্তী প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও পূর্ববাংলার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কল চক্রবর্তী এন্ড সন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা এলাঙ্গি, কুমারখালী
১৬ মাহবুবুল আলম হানিফ বর্তমান সংসদ সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ষোলদাগ, ভেড়ামারা
১৭ এম শমশের আলী শিক্ষাবিদ ও গবেষক কুষ্টিয়া
১৮ কাজী আরেফ আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার কালিদাসপুর, কুষ্টিয়া
১৯ মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও আইনশাস্ত্রবিদ কুষ্টিয়া
২০ শিবেন্দ্রমোহন রায় ব্রিটিশ আমলের কমিউনিস্ট কর্মী এবং মানবাধিকার আন্দোলনের শহীদ কুষ্টিয়া
২১ জলধর সেন ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখক কুমারখালী
২২ শরফুদ্দীন আহমেদ বীর উত্তম কুমারখালী
২৩ হাবিবুল বাশার সুমন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাগকান্দা, কুষ্টিয়া
২৪ সালাউদ্দিন লাভলু বাংলাদেশী অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং টিভি পরিচালক কুষ্টিয়া
২৫ জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত বাংলানদেশী লেখক আমলা, মিরপুর
২৬ মিজু আহমেদ অভিনেতা কুষ্টিয়া
২৭ আহমেদ শরীফ বালিয়াপাড়া, কুষ্টিয়া
২৭ কচি খন্দকার বাংলাদেশী অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং টিভি পরিচালক কুষ্টিয়া
২৯ সালমা আক্তার সঙ্গীত শিল্পী ষকুষ্টিয়া
৩০ মোহাম্মদ কোরবান আলী সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী দৌলতপুর
৩১ এনামুল হক বিজয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার কুষ্টিয়া
৩২ বন্যা মির্জা মঞ্চ ও টিভি অভিনেত্রী কুষ্টিয়া
৩৩ মোহাম্মদ মিঠুন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য কুষ্টিয়া
৩৪ আজিজুর রহমান (গীতিকার) কবি, গীতিকার ও কুষ্টিয়ার ইতিহাস সন্ধানী হরিপুর, কুষ্টিয়া
৩৫ আবদুর রউফ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ছত্রগাছা, মিরপুর
৩৬ শফি মন্ডল জনপ্রিয় বাউল শিল্পী ফিলিপনগর, দৌলতপুর
৩৭ চমক হাসান একজন বাংলাদেশি গণিতবিদ, বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ, অনলাইন শিক্ষাবিদ, এবং প্রকৌশলী কুষ্টিয়া
৩৮ ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী কুষ্টিয়া

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "শিল্প প্রতিষ্ঠান"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪ 
  2. "ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া"। দৈনিক সংগ্রাম। ৯ জুলাই ২০১২। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪ 
  3. শাহজাহান আমান (২০২১-১০-১৫)। "ইতিহাসের পাতাজুড়ে যার গৌরব-ঐতিহ্য"বনিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৭ 
  4. "কুষ্টিয়া নামকরণ"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন-কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৭ 
  5. "কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল" 
  6. "কুষ্টিয়ায় নৌকা বাইচে লাখো মানুষের ঢল"বার্তা-২৪ 
  7. "কুষ্টিয়ায় নৌকা বাইচে লাখো মানুষের ঢল"বার্তা-২৪ 
  8. "কুষ্টিয়ায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী লাঠি খেলা উৎসব"প্রতিদিনের বাংলাদেশ 
  9. "তিন পুরুষের শ্রমে প্যাড়া সন্দেশ"দৈনিক জনকন্ঠ 
  10. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কুষ্টিয়া জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪ 
  11. কুষ্টিয়া জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহ
  12. "কুষ্টিয়া জেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org 
  13. "কুষ্টিয়া জেলার ঐতিয্য"www.kushtia.gov.bd [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  14. বৃহত্তর কুষ্টিয়ার ইতিহাস ১ম খণ্ড। গতিধারা। ২০১৭। 
  15. জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২: প্রাথমিক প্রতিবেদন [Census and Household Census 2022: Preliminary Report] (পিডিএফ)Bangladesh Bureau of Statistics 
  16. "হেলথ্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস" 
  17. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  18. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

কুষ্টিয়া জেলা- জাতীয় তথ্য বাতায়ন