রাজশাহী বিভাগ

স্থানাঙ্ক: ২৫°০০′ উত্তর ৮৯°০০′ পূর্ব / ২৫.০০০° উত্তর ৮৯.০০০° পূর্ব / 25.000; 89.000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৪১, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগ
বিভাগ
রাজশাহী বিভাগ এর মানচিত্র
রাজশাহী বিভাগ এর মানচিত্র
স্থানাঙ্ক: ২৫°০০′ উত্তর ৮৯°০০′ পূর্ব / ২৫.০০০° উত্তর ৮৯.০০০° পূর্ব / 25.000; 89.000
দেশ বাংলাদেশ
সদর দপ্তররাজশাহী
আয়তন
 • মোট১৮,১৫৩.০৮ বর্গকিমি (৭,০০৮.৯৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশূমারী)
 • মোট১,৮৪,৮৪,৮৫৮
 • জনঘনত্ব১,০০০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬)
আইএসও ৩১৬৬ কোডBD-E

রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর জনসংখ‍্যা প্রায় ২ কোটি এবং আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার। রাজশাহী বিভাগ আটটি জেলা, ৬৬টি উপজেলা, ৫৯টি পৌরসভার এবং ৫৬৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।[১] রাজশাহী, বগুড়া,পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ রাজশাহী বিভাগের চারটি প্রধান ব্যবসায়ীক এলাকা এবং বড় শহর। নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবয়াবগঞ্জ, জয়পুরহাট প্রধান কৃষি এলাকা। রাজশাহী হল এ বিভাগের রাজধানী।

পটভূমি

১৮২৯ সালে উত্তরবঙ্গের বিশাল অংশ নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত হয়েছিল। সে সময় এর সদর দফতর ছিল ভারতের মুর্শিদাবাদ। ৮টি জেলা নিয়ে এই বিভাগটি গঠিত হয়েছিল। জেলাগুলো ছিলঃ মুর্শিদাবাদ, মালদহ, জলপাইগুড়ি, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনারাজশাহী। কয়েক বছর পর বিভাগীয় সদর দপ্তর বর্তমান রাজশাহী শহরের রামপুর-বোয়ালিয়া মৌজায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮৮৮ সালে বিভাগীয় সদর দপ্তর ভারতের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সালের পাক-ভারত বিভাজনের পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বিভাগে পরিণত করা হয় রাজশাহীকে এবং এই বিভাগের সদর দফতর রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো ছিলঃ কুষ্টিয়া, খুলনা, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা, যশোর, রংপুর ও রাজশাহী। ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিভাগের খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর এবং ঢাকা বিভাগের বরিশাল জেলা কর্তন করে খুলনা বিভাগ গঠন করা হয়। ফলে রাজশাহী বিভাগের জেলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ এবং জেলগুলো ছিলঃ দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহী। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, ৫ টি জেলা নিয়ে রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে এই বিভাগের প্রতিটি জেলার মহকুমা জেলাতে পরিণত হয়। তখন এই বিভাগের মোট জেলার সংখ্যা ছিল ১৬টি। যে ৫ জেলাকে ভেঙে যে নতুন জেলাগুলো হয়ঃ

২০১০ সালে রংপুর অঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে রংপুর বিভাগ গঠন করা হয় এবং রাজশাহী অঞ্চলের ৮টি জেলা নিয়ে বর্তমান রাজশাহী বিভাগ পুনঃগঠিত হয়।

নদ-নদী

বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত রাজশাহী বিভাগেও নদ-নদীর অভাব নেই। রাজশাহী বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীসমূহ হচ্ছে পদ্মা, যমুনা, মহানন্দা, আত্রাই, ইছামতি , নাগর , বাঙ্গালী প্রধান। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট নদ-নদী রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

উচ্চ শিক্ষার জন্য বর্তমানে রাজশাহী বিভাগে পাঁচটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল

এছাড়াও এই বিভাগে পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। কলেজগুলো হল

বগুড়া সেনানিবাসে একটি স্বায়ত্বশাসিত আর্মি মেডিকেলও রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য কলেজ সমূহ হল

  1. পলিটেকনিক সমূহ
  • সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • নাটোর পপলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • নাঁওগা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

জেলাসমূহ

৮টি জেলা নিয়ে এই বিভাগটি গঠিত; এগুলো হলোঃ

কৃতি ব্যক্তিত্ব

শস্য

রাজশাহী সাধারনত ফলের জন্য সুপরিচিত, বিশেষ করে আমলিচু। এছাড়াও রাজশাহীতে অনেক ধরনের শস্য এবং সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে, এর মধ্যে আলু, গাজর, পটল, পেঁয়াজ, আখ, কলা, ধান ,গমমরিচ প্রভৃতি অন্যতম। বাংলাদেশে জয়পুরহাট খাদ্য সংরক্ষণ এলাকা হিসাবে সুপরিচিত। বাংলাদেশের মধ্যে বগুড়ার লাল মরিচ বিখ্যাত।এছাড়া কাহালুর কল্যাণপুর গ্রাম মরিচ চাষের এবং নাটোর গম চাষের জন্য বিখ্যাত।

  • জেলা ভিত্তিক কৃষজ উৎপাদন।
  1. রাজশাহী জেলা →আম,লিচু,ধান,পাট
  2. চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা →আম, লিচু,ধান,গম,সবজি
  3. বগুড়া জেলা→মরিচ,আলু,গম,সরিষা,ধান,কলা,

পেঁপে,মাছ।

  1. পাবনা জেলা→ডাল,গম,পেয়ারা,কাঁঠাল, মাছ
  2. নাটোর জেলা →আখ,গম,রসুন,পাট,মাছ,ধনিয়া,মরিচ,বেগুন।
  3. নওগাঁ জেলা →মাছ,সবজি,ধান,পাট,ভুট্টা ,গম,পাট
  4. ) সিরাজগঞ্জ →গম,ধান,ভুট্টা ,মাছ,তিল,গরুর দুধ।
  5. জয়পুরহাট জেলা →আলু,গম,তুলা,পাট,সবজি

দর্শনীয় স্থানসমূহ

রাজশাহী বাংলাদেশের অন্যতম ভ্রমন অঞ্চল হিসাবে সুপরিচিত। এখানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

অন্তর্ভূক্ত দর্শনীয় স্থানসমূহঃ

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ