সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম | |
|---|---|
২০১১ সালে মনজুরুল ইসলাম | |
| জন্ম | ১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ সিলেট, বাংলাদেশ |
| মৃত্যু | ১০ অক্টোবর ২০২৫ (বয়স ৭৪) ঢাকা, বাংলাদেশ |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
| মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
| পেশা | অধ্যাপক, লেখক |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | প্রেম ও প্রার্থনার গল্প, আধখানা মানুষ, তিন পর্বের জীবন |
| পুরস্কার |
|
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ - ১০ অক্টোবর ২০২৫)[১][২] ছিলেন একজন বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্যসমালোচক। তিনি ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদক লাভ করেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমানের উপর তার উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্ম রয়েছে।[৩]
শৈশব ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]তিনি সিলেট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ আমীরুল ইসলাম এবং মাতা রাবেয়া খাতুন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সিলেট এমসি কলেজ থেকে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়েটস-এর কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনা শেষে ২০১৭ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০২৩ সালের ২৭শে অগাস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে 'ইমেরিটাস অধ্যাপক' ঘোষণা করে। [৪]
সাহিত্য জীবন
[সম্পাদনা]তার কয়েকটি গ্রন্থের নাম হলো :
গল্পগ্রন্থসমূহ
[সম্পাদনা]- স্বনিরবাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯৪),
- থাকা না থাকার গল্প (১৯৯৫),
- কাচ ভাঙ্গা রাতের গল্প (১৯৯৮),
- অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প (২০০১),
- প্রেম ও প্রার্থনার গল্প (২০০৫)।
- সুখদুঃখের গল্প,
- বেলা অবেলার গল্প
উপন্যাসসমূহ
[সম্পাদনা]- আধখানা মানুষ্য (২০০৬)
- দিনরাত্রিগুলি,
- আজগুবি রাত,
- তিন পর্বের জীবন
- যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক, ব্রাত্য রাইসু সহযোগে
- কানাগলির মানুষেরা
প্রবন্ধ ও গবেষণাগ্রন্থ :
[সম্পাদনা]- নন্দনতত্ত্ব (১৯৮৬),
- কতিপয় প্রবন্ধ (১৯৯২)।
- অলস দিনের হাওয়া,
- মোহাম্মদ কিবরিয়া, সুবীর চৌধুরীর সহযোগে
- রবীন্দ্রানাথের জ্যামিতি ও অন্যান্য শিল্পপ্রসঙ্গ
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৬)
- একুশে পদক (২০১৮)[৫] ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই"। প্রথম আলো। ১০ অক্টোবর ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৫।
- ↑ "সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জীবনাবসান"। বিডিনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৫।
- ↑ সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ ও অন্যান্য সম্পাদিত; বাংলা একাডেমি লেখক অভিধান; বাংলা একাডেমি, ঢাকা; সেপ্টেম্বর, ২০০৮; পৃষ্ঠা- ৪৩০
- ↑ "সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের খ্যাতি ছিল একাধারে শিক্ষক, লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে"। বিবিসি বাংলা। ১০-১০-২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭-১০-২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|সংগ্রহের-তারিখ=এবং|তারিখ=এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) - ↑ "একুশে পদক বিজয়ীদের তালিকা (২০১০–১৯)"। উইকিপিডিয়া। ২৭ জানুয়ারি ২০২২।
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ১৯৫১-এ জন্ম
- ২০২৫-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশী সাহিত্যিক
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- সামগ্রিক অবদানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
- সিলেট জেলার ব্যক্তি
- মুরারিচাঁদ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- বাংলাদেশী পুরুষ ঔপন্যাসিক
- বাংলাদেশী শিক্ষায়তনিক
- বাঙালি লেখক
- সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক
- বাংলা-ইংরেজি অনুবাদক
- একুশে পদক বিজয়ী
- ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক বিজয়ী
- জেমকন সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
- সিলেটের ব্যক্তি
- বাংলাদেশী কলাম লেখক
- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী