বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারত

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৮′ উত্তর ৮৩°০′ পূর্ব / ২২.৮০০° উত্তর ৮৩.০০০° পূর্ব / 22.800; 83.000
এই পাতাটি অর্ধ-সুরক্ষিত। শুধুমাত্র নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরাই সম্পাদনা করতে পারবেন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভারতীয় প্রজাতন্ত্র

নীতিবাক্য: "সত্যমেব জয়তে" (সংস্কৃত)
"সত্যই জয়লাভ করে"[]
জাতীয় সঙ্গীত: জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে
"জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা"[][]
ভারতের অবস্থান
ভারতের অবস্থান
রাজধানীনয়াদিল্লি
২২°৪৮′ উত্তর ৮৩°০′ পূর্ব / ২২.৮০০° উত্তর ৮৩.০০০° পূর্ব / 22.800; 83.000
বৃহত্তম নগরীমুম্বই (পৌরসভা)
দিল্লি (মহানগর এলাকা)
সরকারি ভাষাকেন্দ্রীয় স্তরে:
স্বীকৃত জাতীয় ভাষানেই
স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা
ধর্ম
(২০১১)
জাতীয়তাসূচক বিশেষণভারতীয়
সরকারযুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র
দ্রৌপদী মুর্মু
জগদীপ ধনখড়
নরেন্দ্র মোদী
সঞ্জীব খান্না
• লোকসভা অধ্যক্ষ
ওম বিড়লা
আইন-সভাসংসদ
রাজ্যসভা
লোকসভা
স্বাধীনতা 
• ঘোষিত
১৫ আগস্ট ১৯৪৭
২৬ জানুয়ারী ১৯৫০
আয়তন
• মোট
১২,৬৯,৩৪৬ মা (৩২,৮৭,৫৯০ কিমি) (৭ম)
• পানি (%)
জনসংখ্যা
• ২০২২ আনুমানিক
১৩৭,৫৫,৮৬,০০০ [১১] (১ম)
• ২০১১ আদমশুমারি
১২১,০৮,৫৪,৯৭৭ [১২][১৩] (২য়)
জিডিপি (পিপিপি)২০২২ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি $১১.৭৪৫ ট্রিলিয়ন[১৪] (৩য়)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $৮,৩৫৮[১৫] (১২৮তম)
জিডিপি (মনোনীত)২০২২ আনুমানিক
• মোট
বৃদ্ধি $৩.৫৩৫ ট্রিলিয়ন[১৪] (৫ম)
• মাথাপিছু
বৃদ্ধি $২,৫১৫[১৫] (১৪২তম)
জিনি (২০১০)৩৩.৯[১৬]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০২১)০.৬৩৩[১৭]
মধ্যম · ১৩২তম
মুদ্রাভারতীয় টাকা
প্রতীক: (INR)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৫:৩০ (ভারতীয় প্রমাণ সময়)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
প্রচলিত নয়
তারিখ বিন্যাস
গাড়ী চালনার দিকবাম [১৮]
কলিং কোড+৯১
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN
ইন্টারনেট টিএলডি.in

ভারত (শুনুন), যার সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র[২০] ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান[২১] উত্তর-পূর্বে চীন, নেপালভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশমিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপইন্দোনেশিয়া হল ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মা)।[২২]

সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈনশিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুস্ত্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্মইসলাম এ দেশে প্রবেশ করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়ে ওঠে। অতঃপর, এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

বর্তমানে ভারত ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিশিষ্ট একটি সংসদীয় সাধারণতন্ত্র। ভারতীয় অর্থব্যবস্থা বাজারি বিনিময় হারের বিচারে বিশ্বে দ্বাদশ ও ক্রয়ক্ষমতা সমতার বিচারে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম। ১৯৯১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক গৃহীত আর্থিক সংস্কার নীতির ফলশ্রুতিতে আজ আর্থিক বৃদ্ধিহারের বিচারে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির মধ্যে দ্বিতীয়।[২৩]

ভারত ১৯৫০ সাল থেকে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র, এবং গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসিত একটি রাষ্ট্র। এটি একটি বহুত্ববাদী, বহুভাষিক এবং বহু-জাতিগত সমাজ। ভারতের জনসংখ্যা ১৯৫১ সালে ৩৬১ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে প্রায় ১.৪ বিলিয়নে বেড়েছে।[২৪] একই সময়ে, এর নামমাত্র মাথাপিছু আয় বার্ষিক US$৬৪ থেকে US$২,৬০১ বেড়েছে এবং এর সাক্ষরতার হার ১৬.৬% থেকে ৭৪% হয়েছে।[২৫] ভারত একটি দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং একটি বিস্তৃত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাথে তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবার একটি কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।[২৬] ভারতের বেশ কয়েকটি পরিকল্পিত বা সম্পূর্ণ বহির্জাগতিক মিশন সহ একটি মহাকাশ কর্মসূচি রয়েছে। এটি চতুর্থ দেশ যেটি চাঁদে একটি নৈপুণ্য অবতরণ করেছে এবং চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুর লুনার পয়েন্টে ৬০০ কিলোমিটার (৩৭০ মা.) যার মধ্যে এটি করা প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।[২৭] ভারতীয় চলচ্চিত্র, সঙ্গীত এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা বিশ্ব সংস্কৃতিতে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা পালন করে।[২৮] ভারত তার দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে, যদিও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মূল্যে।[২৯] ভারত একটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র, যেটি সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় দেশ গুলোর মধ্যে একটি। কাশ্মীর নিয়ে তার প্রতিবেশী পাকিস্তানচীনের সাথে বিরোধ রয়েছে, যা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এখনো অমীমাংসিত।[৩০] আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে লিঙ্গ বৈষম্য, শিশুর অপুষ্টি, এবং ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ।[৩১][৩২] চারটি জীববৈচিত্র্যের হটস্পট সহ ভারতের ভূমি মেগাবৈচিত্র্যময়।[৩৩] এর মোট আয়তনের ২১.৭% বনভূমি[৩৪] ভারতের বন্যপ্রাণী, যা ঐতিহ্যগতভাবে ভারতের সংস্কৃতিতে সহনশীলতার সাথে দেখা হয়, এই বনের মধ্যে এবং অন্যত্র সুরক্ষিত আবাসস্থলে সমর্থিত।[৩৫]

উৎপত্তি

ভরত; রবি বর্মা অঙ্কিত

ভারত (হিন্দি: भारत, প্রতিবর্ণীকৃত: ভারৎ উচ্চারিত [ˈbʱaːɾət] (শুনুন)) নামটির উৎপত্তি চন্দ্রবংশীয় পৌরাণিক রাজা ভরতের নামানুসারে হয়েছিল। কথিত আছে এই বর্ষ বা অঞ্চলটি রাজা ভরতকে দান করা হয়েছিল বলে এর নাম ভারতবর্ষভারত শব্দটি, ভারতীয় মহাকাব্য ও ভারতের সংবিধান উভয়েই উল্লিখিত,[৩৬][৩৭] অনেক ভারতীয় ভাষায় শব্দটি ভিন্নতর উচ্চারণে ব্যবহৃত হয়। এটি ঐতিহাসিক নাম ভারতবর্ষ-এর একটি আধুনিক উপস্থাপনা, যা মূলত উত্তর ভারতে প্রযোজ্য,[৩৮][৩৯] ভারত ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ভারতের একটি স্থানীয় নাম হিসেবে বর্ধিত প্রচলন অর্জন করে।[৩৬][৪০]

অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান (তৃতীয় সংস্করণ, ২০০৯) অনুসারে ইংরেজি "ইন্ডিয়া" (India ইন্ডিঅ্য) নামটি ধ্রুপদী লাতিন শব্দ ইন্দিআ (India) থেকে নেওয়া হয়েছে, এটি দক্ষিণ এশিয়া এবং এর পূর্ব দিকের একটি অনিশ্চিত অঞ্চলকে উল্লেখ করে। শব্দটি ধারাবাহিকভাবে হেলেনিস্টিক গ্রিক ভাষায় ইন্দিআ (Ἰνδία), প্রাচীন গ্রিক ভাষায় ইন্দোস্ (Ἰνδός), ফার্সি ভাষা ভাষায় আকিমিনীয় সাম্রাজ্যের একটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হিসাবে হিন্দুশ এবং শেষ পর্যন্ত সগোত্রীয় সংস্কৃত শব্দ সিন্ধু থেকে উদ্ভূত হয়, সিন্ধু শব্দটি দ্বারা বিশেষত সিন্ধু নদ ও এর জনবসতি যুক্ত দক্ষিণ অববাহিকাকে উল্লেখ করা হয়।[৪১][৪২] প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের ইন্দোই (Ἰνδοί) হিসাবে উল্লেখ করেছিল, যার বঙ্গানুবাদ হল "সিন্ধু অঞ্চলের মানুষ"।[৪৩]

"হিন্দুস্তান" (হিন্দি: हिन्दुस्तान, প্রতিবর্ণীকৃত: হিন্দুস্তান্) মুঘল সাম্রাজ্যের সময় প্রবর্তিত ভারতের একটি মধ্য ফার্সি নাম, এবং তখন থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শব্দটির অর্থ বৈচিত্র্যময়, বর্তমানের উত্তর ভারত এবং পাকিস্তান বা তার নিকটবর্তী ভারতের সমগ্র অঞ্চলকে বোঝায়।[৩৬][৪০][৪৪]

ইতিহাস

প্রাচীন ভারত

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভীমবেটকা প্রস্তর ক্ষেত্র ভারতে মানববসতির প্রাচীনতম নিদর্শন। এক লক্ষ বছর আগেও এখানে মানুষের বসবাস ছিল।[৪৫][৪৬] প্রায় ৯০০০ বছর আগে এদেশে স্থায়ী মানববসতি গড়ে উঠে; যা কালক্রমে পশ্চিম ভারতের ইতিহাস-প্রসিদ্ধ সিন্ধু সভ্যতার রূপ ধারণ করে।[৪৭] এই সভ্যতার আনুমানিক সময়কাল ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এরপর ভারতে বৈদিক যুগের সূত্রপাত হয়। এই যুগেই হিন্দুধর্ম তথা প্রাচীন ভারতীয় সমাজের অন্যান্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলির আবির্ভাব ঘটে। বৈদিক যুগের সমাপ্তিকাল আনুমানিক ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। আনুমানিক ৫৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় মহাজনপদ নামে অনেকগুলি স্বাধীন রাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজ্য।[৪৮]

অজন্তা গুহাচিত্র;ঔরঙ্গাবাদ, মহারাষ্ট্র; খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতক

খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য প্রতিষ্ঠিত ও মহামতি অশোকের শাসিত মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে দক্ষিণ এশিয়ার সিংহভাগ অঞ্চল একত্রিত হয়।[৪৯]

মধ্যযুগীয় ভারত

খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে গুপ্ত সম্রাটদের শাসনকাল প্রাচীন ভারতের সুবর্ণ যুগ নামে আখ্যাত হয়।[৫০] এছাড়া পূর্ব ভারতে পাল এবং দাক্ষিণাত্যে চালুক্য, চোলবিজয়নগর প্রভৃতি সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। এই সকল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলা, সাহিত্য, জ্যোতির্বিদ্যাদর্শন সমৃদ্ধি লাভ করে।

খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে ইসলামের অনুপ্রবেশ ঘটে। এর ফলে সমগ্র উত্তর ভারত প্রথমে সুলতানি ও পরে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। মহামতি আকবরের রাজত্বকালে দেশে একাধারে যেমন সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচনা হয়, তেমনই প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দু-মুসলমানের ধর্মীয় সম্প্রীতি।[৫১][৫২] ক্রমে ক্রমে মুঘল সম্রাটগণ উপমহাদেশের এক বৃহৎ অংশে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনে সক্ষম হন। যদিও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাধান্যকারী অসমের অহোম রাজশক্তি এবং আরও কয়েকটি রাজ্য মুঘল আগ্রাসন সফলভাবে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল।

প্রারম্ভিক আধুনিক ভারত

ষোড়শ শতক থেকে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্সব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মতো ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করতে শুরু করে। পরবর্তীকালে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গোলযোগের সুযোগ নিয়ে তারা ভারতে উপনিবেশ স্থাপন করতেও সক্ষম হয়।

আধুনিক ভারত

১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল।[৫৩] এর এক বছর পরেই ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে।

মহাত্মা গান্ধীর (ডানদিকে) সঙ্গে জওহরলাল নেহেরু, ১৯৩৭। ১৯৪৭ সালে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।

বিংশ শতকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী লক্ষাধিক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস গণ-আইন অমান্য জাতীয় আন্দোলন শুরু করেন।[৫৪] স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষলগ্নে সুভাষচন্দ্র বসু ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র।[৫৫] ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়।[৫৬]

স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশাল আন্দোলন, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাবউত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের ফলে চীনের সঙ্গে এবং ১৯৪৭, ১৯৬৫, ১৯৭১১৯৯৯ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ তীব্র হয়। ভারত রাষ্ট্রসংঘ (ব্রিটিশ ভারত হিসাবে) ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৭৪ সালে একটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষণ[৫৭] ও ১৯৯৮ সালে আরও পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে ভারত নিজেদের একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে প্রকাশ করে।[৫৭] ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে[৫৮] বর্তমানে পৃথিবীর অতিদ্রুত-বর্ধনশীল এক অর্থব্যবস্থা হিসাবে ভারত সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছে।[২৩]

ভূগোল

হিমালয় পর্বতমালা, উত্তর সিক্কিমের ক্রো'স হ্রদ

ভারতীয় উপমহাদেশের সিংহভাগ নিয়ে গঠিত ভারতীয় ভূখণ্ডটি ভারতীয় টেকটোনিক পাতইন্দো-অস্ট্রেলীয় পাতের মধ্যস্থিত একটি গৌণ পাতের উপর অবস্থিত।[৫৯] এই ভূখণ্ড গঠনের প্রধান ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয় আজ থেকে ৭৫ কোটি বছর পূর্বে, যখন দক্ষিণের অতিমহাদেশ গন্ডোয়ানার অংশ হিসাবে ভারতীয় উপমহাদেশ উত্তর-পূর্ব দিকে সরতে শুরু করে। তৎকালীন অসংগঠিত ভারত মহাসাগরব্যাপী এই সরণ স্থায়ী হয় ৫০ কোটি বছর।[৫৯] এর পরে উপমহাদেশটির সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষ ঘটে এবং উপমহাদেশের পাতটি ইউরেশীয় পাতের তলায় অবনমিত হয়ে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালা হিমালয়ের উত্থান ঘটায়। এই পর্বতমালা বর্তমানে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক বেষ্টন করে আছে।[৫৯] উত্থানশীল হিমালয়ের দক্ষিণ পাদদেশে অবস্থিত সমুদ্রে পাতসঞ্চরণের ফলে একটি বৃহৎ খাত সৃষ্টি হয়, এবং কালক্রমে নদীর পলি জমে[৬০] এই খাতটি গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়।[৬১] এই সমভূমির পশ্চিমে আরাবল্লী পর্বতশ্রেণী কর্তৃক বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে থর মরুভূমি[৬২] মূল ভারতীয় পাতটি আজ ভারতীয় উপদ্বীপ রূপে অবস্থান করছে। এটিই ভারতের প্রাচীনতম ও ভৌগোলিকভাবে সর্বাপেক্ষা দৃঢ় অংশ। উত্তরদিকে মধ্য ভারতে অবস্থিত সাতপুরাবিন্ধ্য পর্বতমালা পর্যন্ত এই উপদ্বীপ বিস্তৃত। এই সমান্তরাল পর্বতমালাদুটি পশ্চিমে গুজরাটের আরব সাগর উপকূল থেকে পূর্বে ঝাড়খণ্ডের কয়লা-সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর মালভূমি পর্যন্ত ব্যাপ্ত।[৬৩] দক্ষিণে উপদ্বীপীয় ভূখণ্ডে দাক্ষিণাত্য মালভূমি বামে ও ডানে যথাক্রমে পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালাদ্বয় দ্বারা উপকূলীয় সমভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন।[৬৪] এই মালভূমিতেই ভারতের প্রাচীনতম প্রস্তরগঠনটি পরিলক্ষিত হয়; যার কিয়দংশের বয়স ১০০ কোটি বছরেরও বেশি। এইভাবে ভারত বিষুবরেখার উত্তরে ৬°৪৪' ও ৩৫°৩০' উত্তর অক্ষাংশ[৬৫] ও ৬৮°৭' ও ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।[৬৬]

লাক্ষাদ্বীপ

ভারতীয় উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)। এর মধ্যে ৫,৪২৩ কিলোমিটার (৩,৩৭০ মাইল) ভারতীয় উপদ্বীপের এবং ২,০৯৪ কিলোমিটার (১,৩০১ মাইল) আন্দামান, নিকোবর ও লাক্ষাদ্বীপের অন্তর্গত।[২২] ভারতীয় নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট অনুসারে মূল অঞ্চলের উপকূলভূমি ৪৩% বালুকাময় সৈকত, ১১% পাথুরে উপকূল ও ভৃগু (উঁচু খাড়া পাড় বা ক্লিফ), ৪৬% জলাজমিপূর্ণ উপকূল দ্বারা গঠিত।[২২]

সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান; বিশ্বের বৃহত্তম নদী-বদ্বীপ গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত এই বনাঞ্চলটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রসারিত

হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদনদীগুলির মধ্যে প্রধান গঙ্গাব্রহ্মপুত্র। উভয়েই বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।[৬৭] গঙ্গার প্রধান উপনদীগুলি হল যমুনা ও কোশী নদী। কোশী নদীতে নাব্যতা অত্যন্ত কম থাকায় প্রতি বছর ভয়াল বন্যা দেখা দেয়। উপদ্বীপের প্রধান নদীগুলি হল গোদাবরী, মহানদী, কৃষ্ণা, ও কাবেরী। এই নদীগুলির খাত অত্যন্ত নাব্য হওয়ায় বন্যা কম হয়ে থাকে। এই নদীগুলিও বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।[৬৮] অন্যদিকে নর্মদাতাপ্তি পতিত হয়েছে আরব সাগরে।[৬৯] ভারতীয় উপকূলভূমির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল পশ্চিম ভারতে কচ্ছের রাণ ও পূর্বভারতে সুন্দরবনের পলিগঠিত বদ্বীপ অঞ্চল, যা ভারত ও বাংলাদেশে বিস্তৃত।[৭০] ভারতে দুটি দ্বীপপুঞ্জ দেখা যায়: ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলভাগের নিকটে প্রবালদ্বীপ লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামান সাগরের আগ্নেয় দ্বীপমালা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ[৭১]

জলবায়ু

ভারতের বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিকভূতাত্ত্বিক উপাদানগুলি দেশের জলবায়ুকে অনেকাংশেই প্রভাবিত করে। কর্কটক্রান্তি রেখা ভারতের মাঝবরাবর প্রসারিত। কিন্তু দেশের উত্তর সীমান্ত বরাবর অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালা মধ্য এশিয়া থেকে আগত ক্যাটাবেটিক বায়ুপ্রবাহকে প্রতিরোধ করে দেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বজায় রাখতে সহায়তা করে।[৭২][৭৩] হিমালয় পর্বতমালা ও থর মরুভূমি দেশে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহকেও নিয়ন্ত্রণ করে।[৭৪] থর মরুভূমি গ্রীষ্মকালীন আর্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ুকে আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জুন থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যবর্তী সময়ে আগত এই বায়ুপ্রবাহই ভারতে বর্ষার মূল কারণ।[৭৪] ভারতে চারটি প্রধান ঋতু দেখা যায়: শীত (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি), গ্রীষ্ম (মার্চ থেকে মে), বর্ষা (জুন থেকে সেপ্টেম্বর), এবং শরৎহেমন্ত (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর)।

ক্রান্তীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য অনুসারে বর্ষা ও অন্যান্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি দেশে খরা, বন্যা, সাইক্লোন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। এর ফলে প্রতি বছর দেশটির লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ও সম্পত্তি হানি হয়। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের ফলে ভারতের জলবায়ুতে নানাপ্রকার অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।

জীববৈচিত্র্য

বাঘ, ভারতের জাতীয় পশু

ইন্দোমালয় পরিবেশক্ষেত্রে অবস্থিত ভারত জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। ১৮টি মহাবৈচিত্র্যপূর্ণ রাষ্ট্রের একটি এই দেশ পৃথিবীর ৭.৬% স্তন্যপায়ী, ১২.৬% পাখি, ৬.২% সরীসৃপ, ৪.৪% উভচর, ১১.৭% মাছ ও ৬.০% সপুষ্পক উদ্ভিদের বাসস্থান।[৭৫] পশ্চিমঘাট পর্বতমালার শোলা বর্ষণারণ্যের মতো ভারতের অনেক অঞ্চলেই স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রাচুর্য দেখা যায়। ৩৩% ভারতীয় বৃক্ষপ্রজাতি স্বাভাবিক উদ্ভিদশ্রেণীর অন্তর্গত।[৭৬][৭৭] ভারতের প্রধান অরণ্যক্ষেত্রগুলি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিমঘাট পর্বতমালাউত্তর-পূর্ব ভারতের বিষুবীয় বর্ষণারণ্য থেকে হিমালয়ের চিরহরিৎ অরণ্যক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া পূর্ব ভারতের শাল-অধ্যুষিত, মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের টিক-অধ্যুষিত ও মধ্য দাক্ষিণাত্য ও গাঙ্গেয় সমভূমির বাবুল অধ্যুষিত বনাঞ্চলও উল্লেখযোগ্য।[৭৮] গ্রামীণ ভারতে নিম গাছ ওষধি রূপে ব্যবহৃত হয়। পিপল গাছ মহেঞ্জোদাড়োর প্রতীকচিহ্নে দেখা গেছে। এই গাছের তলাতেই গৌতম বুদ্ধ সিদ্ধি বা বোধিলাভ করেছিলেন ও তার নাম হয়েছিল 'গৌতম বুদ্ধ'। তাই বু্দ্ধগয়ায় অবস্থিত ওই বৃক্ষটিকে বলা হয় 'বোধিবৃক্ষ'।

ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর

বহু ভারতীয় প্রজাতি গন্ডোয়ানায় জাত টেক্সা থেকে উদ্ভূত। উপদ্বীপীয় ভারতের ক্রমসরণ ও ইউরেশীয় ভূমিভাগের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে প্রজাতিগুলির মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়। যদিও অগ্ন্যুৎপাত ও অন্যান্য জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে বিগত ২ কোটি বছরে বহু দেশজ প্রজাতিই অবলুপ্ত হয়ে যায়।[৭৯] এর ঠিক পরেই দুটি প্রাণীভৌগোলিক পথে উত্থানশীল হিমালয়ের দুই পাশ দিয়ে ভারতে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা প্রবেশ করে।[৭৮] প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের মোট স্তন্যপায়ী ও পাখিদের যথাক্রমে মাত্র ১২.৬% ও ৪.৫% দেশজ; যেখানে দেশের সরীসৃপ ও উভচরদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫.৮% ও ৫৫.৮%।[৭৫] উল্লেখযোগ্য দেশীয় প্রাণী হল নীলগিরি লেঙ্গুর, পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বাদামি ও গাঢ় লাল রঙের বেডোমি ব্যাঙ। ভারত ১৭২টি (২.৯%) প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন-গণিত লুপ্তপ্রায় প্রাণীর আবাসস্থল।[৮০] এর মধ্যে রয়েছে এশীয় সিংহ, বাংলা বাঘ, ভারতীয় শ্বেতপৃষ্ঠ শকুন (বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত)।

বিগত দশকগুলিতে মানুষের অরণ্য আগ্রাসন বন্যপ্রাণী অবলুপ্তির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে ১৯৩৫ সালে চালু হওয়া জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত স্থানের ব্যবস্থাটিকে ব্যাপ্ত করা হয়। ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন[৮১] ও বাঘ সংরক্ষণের জন্য ব্যাঘ্র প্রকল্প চালু হয়। এর সঙ্গে ১৯৮০ সালে প্রবর্তিত হয় অরণ্য সংরক্ষণ আইন[৮২] ভারতে অভয়ারণ্যের সংখ্যা পাঁচশোর অধিক। সঙ্গে দেশে ১৩টি জৈবক্ষেত্র সংরক্ষণও করা হয়।[৮৩] এর মধ্যে চারটি বিশ্ব জৈবক্ষেত্র সংরক্ষণ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত। রামসর কনভেনশন অনুসারে ভারতে পঁচিশটি জলাভূমি আছে; যার একটি কলকাতা মহানগরীর পূর্বভাগে অবস্থিত।[৮৪]

রাজনীতি ও সরকার

রাজনীতি

নর্থ ব্লক, নয়াদিল্লি; ভারত সরকারের প্রধান কার্যালয়
বিধানসভা ভবন, কলকাতা। এখানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতীয় প্রজাতন্ত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।[৮৫][৮৬] স্বাধীনোত্তর কালে অধিকাংশ সময় জুড়েই এদেশের শাসনকর্তৃত্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের আওতাধীন।[৮৭] অন্যদিকে ভারতের রাজ্য-রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করেছে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সংক্ষেপে "কংগ্রেস"), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিআই(এম)) প্রভৃতি জাতীয় দল ও একাধিক আঞ্চলিক পার্টি। দুটি সংক্ষিপ্ত পর্যায় বাদে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল অবধি জাতীয় কংগ্রেস সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা ভোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষিত জরুরি অবস্থা-জনিত গণঅসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনতা পার্টি সরকার গঠন করে। ১৯৮৯ সালে জনতা দলের নেতৃত্বে জাতীয় ফ্রন্ট বামফ্রন্টের সহযোগিতায় নির্বাচনে জয়লাভ করে দু-বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে।[৮৮] ১৯৯১ সালে কোনও পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ না করতে পারায় কংগ্রেস পি ভি নরসিমা রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। এই সরকার অবশ্য পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সক্ষম হয়।[৮৯]

১৯৯৬-১৯৯৮ সালটি কেন্দ্রীয় সরকারের অস্থিরতার যুগ। এই সময় একাধিক স্বল্পকালীন জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়কালের জন্য বিজেপি সরকার গঠন করে। তারপর কংগ্রেস ও বিজেপি-বিরোধী যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ক্ষমতা দখল করে। এই সরকারই ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়কালের অকংগ্রেসি সরকার।[৯০] ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) লোকসভায় বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করেছিল এবং বিজেপি-বিরোধী বাম সাংসদদের সহায়তায় সরকার গঠন করেছিল। ইউপিএ ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছিল। তবে বামদলগুলি আর এই জোটের সমর্থক নয়।[৯১]

২০১৪-এ বিজেপি-র নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) পুনরায় কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় এসেছে এবং এর ফলে নরেন্দ্র মোদী ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।[৯২] ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন।[৯৩]

সরকার

রাষ্ট্রপতি ভবন, ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন

১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রবর্তিত ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের বৃহত্তম ও সর্বাধিক বিস্তারিত ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ সংবিধান।[৯৪] সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রূপে বর্ণিত হয়েছে।[৯৫] ভারতে প্রচলিত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ওয়েস্টমিনিস্টার-ধাঁচের একটি সংসদ ব্যবস্থা। এদেশের সরকার প্রথাগতভাবে ‘আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয়’ সরকার ব্যবস্থা হিসাবে বর্ণিত হয়; যার বৈশিষ্ট্য হল একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল একাধিক রাজ্য সরকারের সহাবস্থান।[৯৬] যদিও ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগ থেকে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক সংস্কার ও পরিবর্তনের ফলে রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি দেশকে চালিত করছে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার দিকে।[৯৭]

রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান।[৯৮] তিনি পরোক্ষভাবে একটি নির্বাচক মণ্ডলী কর্তৃক পাঁচ বছরের সময়কালের ব্যবধানে[৯৯][১০০] নির্বাচিত হন।[১০১] অন্যদিকে ভারতের সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। অধিকাংশ শাসনক্ষমতা ন্যস্ত থাকে তার হাতেই।[৯৮] রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত[১০২] প্রধানমন্ত্রীকে প্রথাগতভাবে সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ট আসনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল বা জোটের সমর্থন লাভ করতে হয়[৯৮]। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ (যার কার্যনির্বাহী সমিতি হল ক্যাবিনেট)—এই নিয়ে গঠিত ভারতের শাসনবিভাগ। দপ্তরযুক্ত মন্ত্রীদের সকলকেই সংসদের কোনও না কোনও কক্ষের সদস্য হতে হয়। ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় শাসনবিভাগ আইনবিভাগের অধস্তন। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদকে সংসদের নিম্নকক্ষের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হয়।[১০৩]

ভারতীয় সংসদ

ভারতের আইনবিভাগ হল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ। এটি গঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নামক একটি উচ্চকক্ষ ও লোকসভা নামক একটি নিম্নকক্ষ নিয়ে।[১০৪] রাজ্যসভার সদস্যসংখ্যা ২৪৫; এঁদের দপ্তরকাল ছয় বছর।[১০৫] এঁদের অধিকাংশই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভা থেকে রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়ে আসেন।[১০৫] অন্যদিকে লোকসভার ৫৪৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪৩ জন পাঁচ বছরের মেয়াদে নিজ নিজ নির্বাচন কেন্দ্র থেকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।[১০৫] এছাড়া রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে সংসদে ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায় এর যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধি নেই, তবে তিনি দুই জন সদস্যকে উক্ত সম্প্রদায় থেকে সাংসদ মনোনীত করতে পারেন।[১০৫]

ভারতে এককেন্দ্রিক ত্রি-স্তর বিচারব্যবস্থা প্রচলিত। এই বিচারব্যবস্থা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সর্বোচ্চ আদালত, ২১টি উচ্চ আদালত ও অসংখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের সমন্বয়ে গঠিত।[১০৬] মৌলিক অধিকার, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিবাদ ও উচ্চ আদালতের আপিল বিচার এক্তিয়ার সংক্রান্ত মামলাগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের মূল বিচার এক্তিয়ারের অন্তর্গত।[১০৭] এই বিচারব্যবস্থা স্বতন্ত্র[১০৬] এবং আইন ঘোষণা এবং সংবিধান-বিরোধী কেন্দ্রীয় বা রাজ্য আইন প্রতিহত করার ক্ষমতাযুক্ত।[১০৮] সংবিধানের অভিভাবকত্ব ও ব্যাখ্যাদান সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অন্তর্গত।[১০৯]

রাজনৈতিক বিভাগ

ভারত ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলবিশিষ্ট একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সাধারণতন্ত্র। ভারতে প্রত্যেক রাজ্যে নির্বাচিত রাজ্য সরকার অধিষ্ঠিত রয়েছে; পুদুচেরিদিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও নির্বাচিত সরকার রয়েছে। অপর পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ শাসনাধীন; এই অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকার উপরাজ্যপাল বা প্রশাসক নিয়োগ করে থাকেন। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইন বলে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলি স্থাপিত হয়।[১১০] তারপর থেকে এই কাঠামোটি মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। গ্রাসরুট স্তরে শাসন ও প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মোট ৭৩৯টি জেলায় বিভক্ত।[১১১] জেলাগুলি আবার তহশিল, তালুক বা মহকুমায় বিভক্ত, যা আবার পৌরসভাপঞ্চায়েতে বিভক্ত।

আফগানিস্তানমিয়ানমারগণচীনতাজিকিস্তানভারত মহাসাগরবঙ্গোপসাগরআন্দামান সাগরআরব সাগরলক্ষদ্বীপ সাগরআন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জচণ্ডীগড়দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউদিল্লিলক্ষদ্বীপপুদুচেরিপুদুচেরিগোয়াকেরলমণিপুরমেঘালয়মিজোরামনাগাল্যান্ডসিকিমত্রিপুরাপাকিস্তাননেপালভুটানবাংলাদেশশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাশ্রীলঙ্কাসিয়াচেন হিমবাহজম্মু ও কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলজম্মু ও কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলজম্মু ও কাশ্মীর (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল)লাদাখচণ্ডীগড়দিল্লিদাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউদাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউপুদুচেরিপুদুচেরিপুদুচেরিপুদুচেরিগোয়াগুজরাতকর্ণাটককেরলমধ্যপ্রদেশমহারাষ্ট্ররাজস্থানতামিলনাড়ুআসামমেঘালয়অন্ধ্রপ্রদেশঅরুণাচল প্রদেশনাগাল্যান্ডমণিপুরমিজোরামতেলেঙ্গানাত্রিপুরাপশ্চিমবঙ্গসিকিমবিহারঝাড়খণ্ডওড়িশাছত্তিশগড়উত্তরপ্রদেশউত্তরাখণ্ডহরিয়ানাপাঞ্জাবহিমাচল প্রদেশ
ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটি ক্লিকযোগ্য মানচিত্র


রাজ্য (১–২৮) ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (ক-জ)
১. অন্ধ্রপ্রদেশ ১৯. বিহার
২. অরুণাচল প্রদেশ ২০. মণিপুর
৩. আসাম ২১. মধ্যপ্রদেশ
৪. উত্তরপ্রদেশ ২২. মহারাষ্ট্র
৫. উত্তরাখণ্ড ২৩. মিজোরাম
৬. ওড়িশা ২৪. মেঘালয়
৭. কর্ণাটক ২৫. রাজস্থান
৮. কেরল ২৬. সিকিম
৯. গোয়া ২৭. হরিয়ানা
১০. গুজরাত ২৮. হিমাচল প্রদেশ
১১. ছত্তিশগড় ক. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
১২. ঝাড়খণ্ড খ. চণ্ডীগড়
১৩. তামিলনাড়ু গ. জম্মু ও কাশ্মীর
১৪. তেলেঙ্গানা ঘ. দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ
১৫. ত্রিপুরা ঙ. দিল্লি জাতীয় রাজধানী রাজ্যক্ষেত্র
১৬. নাগাল্যান্ড চ. পুদুচেরি
১৭. পশ্চিমবঙ্গ ছ. লাক্ষাদ্বীপ
১৮. পাঞ্জাব জ. লাদাখ

বৈদেশিক সম্পর্ক ও সামরিক বাহিনী

সুখোই-৩০ এমকেআই, ভারতীয় বায়ুসেনার একটি অঙ্গ।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক। ১৯৫০-এর দশকে ভারত আফ্রিকাএশিয়ার ইউরোপীয় উপনিবেশগুলির স্বাধীনতার স্বপক্ষে সওয়াল করে।[১১২] শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ ও মালদ্বীপে অপারেশন ক্যাকটাস—এই দুই ক্ষেত্রে ভারত তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সামরিক মধ্যস্থতায় অংশ নেয়। কমনওয়েলথের এক সদস্য ভারত, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[১১৩] ভারত-চীন যুদ্ধ ও ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আন্তরিক হয়ে ওঠে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়। ঠান্ডা যুদ্ধের সমাপ্তি পর্যন্ত সেই সম্পর্ক একই রকম থাকে। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বাহিনী বাংলাদেশকে সহায়তা করে।[১১৪] এছাড়াও ১৯৮৪ সালে সিয়াচেন হিমবাহ ও ১৯৯৯ সালে কার্গিলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বর্তমানকালে, ভারত যে সকল প্রতিষ্ঠানে নিজ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে সেগুলি হল অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান),[১১৫] সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওন্যাল কো-অপারেশন (সার্ক) ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।[১১৬] ভারত চারটি মহাদেশে রাষ্ট্রসংঘের ৩৫টি শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রায় ৫৫,০০০ সেনা ও পুলিশ প্রেরণ করেছে।[১১৭] ব্যাপক সমালোচনা ও সামরিক অনুমোদন সত্ত্বেও পরমাণু কর্মসূচির উপর সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরে ভারত সর্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সিটিবিটি) ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি (এনপিটি)-তে সই করতে উপর্যুপরি অস্বীকার করছে। ভারত সরকারের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়াআফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।

পাঁচটি রাষ্ট্রের নৌবহর, মালাবার ২০০৭, ভারত আয়োজিত বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধক্রীড়া।[১১৮]

স্থলসেনা, বায়ুসেনানৌসেনা নিয়ে গঠিত ভারতের সামরিক বাহিনী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনী।[৫৬] এই সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে থাকে একাধিক সহকারী বাহিনী; যথা: আধাসামরিক বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনীস্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ডরাষ্ট্রপতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। রাশিয়া, ফ্রান্সইসরায়েল ভারতের প্রধান অস্ত্রসরবরাহকারী রাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সহকারী দেশ। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশন বা ডিআরডিও) ব্যালিস্টিক মিসাইল, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধট্যাঙ্ক সহ দেশজ অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কাজ তত্ত্ববধান করে, যাতে সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ভারতকে অধিক মাত্রায় বিদেশি আমদানির উপর নির্ভর করতে না হয়। ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ ও ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ নামে মোট ছয়টি প্রাথমিক পরমাণু পরীক্ষণের মাধ্যমে ভারত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। যদিও ভারতের ঘোষিত পরমাণু নীতি হল “প্রথম প্রয়োগ নয়”।[১১৯] ১০ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখে ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তার পূর্বেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাপরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী ভারতের উপর থেকে পরমাণু প্রযুক্তি ক্রয়বিক্রয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ফলে ভারত কার্যত পরিণত হয় বিশ্বের ষষ্ঠ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে।[১২০]

অর্থনীতি

ড. অমর্ত্য সেন, নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ তথা জনকল্যাণ অর্থনীতির প্রবক্তা

১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত ভারত সমাজতান্ত্রিক-ধাঁচের অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণ করে চলে। স্বাধীনতা-উত্তর যুগের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারতে যে আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল, তাতে বেসরকারি উদ্যোগ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ওপর কঠোর সরকারি বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ভারত তার বাজার উন্মুক্ত করে দেয়। বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর সরকারি কর্তৃত্ব শিথিল করা হয়।[৫৮] এর ধনাত্মক প্রভাবে মার্চ ১৯৯১ সালে ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।[১২১] ঘাটতি কমে আসে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বাজেটগুলিতে।[১২২] যদিও সরকারি মালিকানাধীন সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ এবং কোনও কোনও সরকারি খাত বেসরকারি ও বৈদেশিক অংশীদারদের নিকট মুক্ত করে দেওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়।[১২৩][১২৪]

ভারতের মোট স্থুল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি $১.২৪৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার[১৫] যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) পরিমাপে $৪.৭২৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতূল্য। জিডিপি'র মানদণ্ডে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি মূল্যে ভারতের মাথাপিছু আয় $৯৭৭ মার্কিন ডলার (বিশ্বে ১২৮তম) যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) ভিত্তিক পরিমাপে $২,৭০০ মার্কিন ডলারের সমতূল্য (বিশ্বে ১১৮তম)। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতের বর্তমান জিডিপিতে পরিষেবা খাতের অবদান ৫৪ শতাংশ; ইতোমধ্যে কৃষিখাতের অবদান হ্রাস পেয়ে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং শিল্পখাতের অবদান মাত্র ১৮ শতাংশ। বিগত দুই দশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের গড় বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭ শতাংশ।[১২৫]

বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ, মুম্বই, ভারতের বৃহত্তম তথা এশিয়ার প্রাচীনতম স্টক এক্সচেঞ্জ।

৫১ কোটি ৬৩ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমশক্তির দেশ। এই শক্তির ৬০ শতাংশ নিয়োজিত কৃষিখাতে ও কৃষিসংক্রান্ত শিল্পগুলিতে, ২৮ শতাংশ পরিষেবা ও পরিষেবা-সংক্রান্ত শিল্পে এবং ১২ শতাংশ নিযুক্ত শিল্পখাতে।[৫৬] প্রধান কৃষিজ ফসলগুলি হল ধান, গম, তৈলবীজ, তুলা, পাট, চা, আখআলু। প্রধান শিল্পগুলি হল অটোমোবাইল, সিমেন্ট, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, যন্ত্রশিল্প, খনি, পেট্রোলিয়াম, ভেষজ, ইস্পাত, পরিবহন উপকরণ ও বস্ত্রশিল্প। ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদগুলি হল আবাদি জমি, বক্সাইট, ক্রোমাইট, কয়লা, হীরক, আকরিক লোহা, চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ, অভ্র, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেলটাইটানিয়াম আকরিক।[৮৭] ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শক্তির চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ভারত খনিজ তেলজাত পণ্যের ষষ্ঠ বৃহত্তম ও কয়লার তৃতীয় বৃহত্তম ভোক্তা।[১২৬]

বিগত দুই দশকের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও ভারত বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দারিদ্র্যপীড়িত রাষ্ট্র। শিশু-অপুষ্টির হারও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে সর্বাধিক: ২০০৭ সালের হিসেব অনুযায়ী ৪৬ শতাংশ)।[১২৭][১২৮][হালনাগাদ প্রয়োজন] তবে বিশ্বব্যাঙ্ক নির্ধারিত দৈনিক ১.২৫ মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখার (২০০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, ক্রয়ক্ষমতা সমতা নামমাত্র হিসেবে নগরাঞ্চলে দৈনিক ২১.৬ টাকা ও গ্রামাঞ্চলে দৈনিক ১৪.৩ টাকা) নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ১৯৮১ সালে ৬০ শতাংশ থেকে ২০০৫ সালে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।[১২৯] সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ভারত মন্বন্তর প্রতিরোধ করতে পারলেও, দেশের অর্ধেক শিশু ওজন ঘাটতিতে ভুগছে। এই হার সারা বিশ্বের নিরিখে কেবল উচ্চই নয়, এমনকী সাব-সাহারান আফ্রিকার হারের প্রায় দ্বিগুণ।[১৩০][হালনাগাদ প্রয়োজন]

সাম্প্রতিককালে, ভারতের বহুসংখ্যক শিক্ষিত ইংরেজি-পটু প্রশিক্ষিত পেশাদারগণ বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা, মেডিক্যাল পর্যটন ও বিজ্ঞাপনের কাজে নিযুক্ত হয়েছেন।[১৩১] বর্তমানে ভারত সফটওয়্যার ও অর্থসংক্রান্ত, গবেষণাসংক্রান্ত ও প্রকৌশলগত পরিষেবার এক বৃহৎ রপ্তানিকারক।

২০০৭ সালে রফতানি ও আমদানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে $১৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও $২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১৩২] বস্ত্র, রত্ন, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্যাদি ও সফটওয়্যার ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্য। প্রধান প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত তেল, যন্ত্রপাতি, সার ও রাসায়নিক দ্রব্য। ভারতের প্রধানতম বাণিজ্য সহযোগী হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নচীন। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সদরদপ্তর দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত মুম্বই মহানগরীতে অবস্থিত।

জনপরিসংখ্যান

দাক্ষিণাত্যের তোডা উপজাতির কুটির

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র। ২০১৮ সালে দেশটির আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা পৃথিবীর মোট জন সংখ্যার প্রায় ১৭.৭৪ শতাংশ। সাম্প্রতিক কালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি হাজার জনে ১১.১০ জন বা ১.১১ শতাংশ। গড়ে প্রতি দুই সেকেন্ডে জনসংখ্যা একজন করে বাড়ে। যদিও সাম্প্রতিক দশকগুলিতে গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে শহরাঞ্চলীয় জনসংখ্যা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তথাপি প্রায় ৬৬.৮০ শতাংশ ভারতবাসী গ্রামাঞ্চলে বাস করেন। জনসংখ্যার ৩৩.২০ শতাংশ শহরে বসবাস করে। এ দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনবসতি ৪৫৫ জন।[১৩৩] ভারতের বৃহত্তম মহানগরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মুম্বই (পূর্বনাম বম্বে বা বোম্বাই), নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু (পূর্বনাম ব্যাঙ্গালোর), কলকাতা, হায়দ্রাবাদআহমেদাবাদ[৮৭]

২০১৩-১৫ কালপর্বে জাতীয় পর্যায়ে লিঙ্গানুপাত প্রতি হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯০০ জন নারী।[১৩৪] ২০১১-এর জনমিতি অনুযায়ী ভারতে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ, যা পুরুষদের মধ্যে ৮২.১৪ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৬৫.৪৬ শতাংশ। সাক্ষরতার সর্বনিম্ন হার বিহার রাজ্যে: ৬৩.৮২ শতাংশ।[১৩৫] শহর-গ্রাম স্বা‌ক্ষরতার পার্থ‌ক্য ২০০১ সালে ছিল ২১.২ শতাংশ, যা ২০১১ সালে নেমে আসে ১৬.১ শতাংশে। গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে স্বা‌ক্ষরতা বৃদ্ধির হার শহর এলাকার তুলনায় দ্বিগুণ।[১৩৬] সাক্ষরতার হার সর্বাধিক কেরল রাজ্যে (৯১%)।[১৩৭]

ভাষা

ভারতের দুটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠী হল ইন্দো-আর্য (মোট জনসংখ্যার ৭৪%) ও দ্রাবিড় (মোট জনসংখ্যার ২৪%)। অপরাপর ভাষাগোষ্ঠীগুলি হল অস্ট্রো-এশিয়াটিকতিব্বতি-বর্মী ভাষাগোষ্ঠী। ভারতের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীয় ভাষা হিন্দি[১৩৮] যা কি-না কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে নির্ধারিত।[১৩৯] "সহকারী সরকারি ভাষা" ইংরেজি প্রশাসন ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত।[১৪০] উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ইংরেজির প্রাধান্য প্রশ্নাতীত। ভারতের সংবিধান বাংলা-সহ ২২টি ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। এগুলি হয় প্রচলিত, নয় ধ্রুপদি ভাষা। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা পেয়ে আসা তামিলসংস্কৃত[১৪১] এবং কন্নড়তেলুগু ভাষাকে ভারত সরকার নিজস্ব একটি যোগ্যতাসূচকবলে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দান করেছে।[১৪২] ভারতে উপ-ভাষার সংখ্যা ১,৬৫২টি।[১৪৩]

ধর্ম‌

ভারতের ধর্মীয় বিশ্বাস

  হিন্দু (৭৯.৮%)
  ইসলাম (১৪.২%)
  খ্রিস্টান (২.৩%)
  জৈন (০.৪%)
  বৌদ্ধ (০.৭%)
  শিখ (১.৭%)
  অন্যান্য (০.৯%)

১১০ কোটিরও বেশি (৭৯.৮%) ভারতবাসী হিন্দু, যদিও হিন্দু বলতে সিন্ধু নদের অববাহিকায় বসবাসরত সকলকেই বোঝায়। অন্যান্য ধর্মসম্প্রদায়গুলোর মধ্যে রয়েছে মুসলমান (১৪.২%), খ্রিস্টান (২.৩%), শিখ (১.৭%), বৌদ্ধ (০.৭%), জৈন (০.৪%), বাকি (০.৯%) ইহুদি, পারসিবাহাই, আদিবাসী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষ। [১৪৪][১৪৫] উল্লেখ্য, ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু, শিখ, জৈন, জরাথ্রুষ্টবাদী ও বাহাই ধর্মা‌বলম্বী জনসংখ্যা রয়েছে এবং ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয়-বৃহত্তম এবং অ-মুসলমান প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। দেশে আদিবাসী জনসংখ্যা ৮.১%, যার মধ্যে ৯৮% আদিবাসীরা হিন্দুধর্ম পালন করে থাকে।[১৪৬][১৪৭][১৪৮]

সংস্কৃতি

আগ্রার তাজমহল, শাহজাহান কর্তৃক পত্নী মুমতাজ মহলের স্মৃতিতে নির্মিত। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা এর অসামান্য বিশ্বজনীন মূল্য বিচার করে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য ভবন ঘোষণা করেছে।[১৪৯]

আফ্রিকা মহাদেশের পরেই ভারত সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগতভাবে বিশ্বে সর্বাধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল।[৮৭] "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের[১৫০] মধ্যে ঐক্য"[১৫১] ভারতীয় সংস্কৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই সংস্কৃতি স্বকীয় ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বৈদেশিক আক্রমণকারী ও বহিরাগত জাতিগুলির থেকে গ্রহণ করা রীতিনীতির সমন্বয়, সংস্কৃতি ,ঐতিহ্য ও ধারণা অঙ্গীভূত হয়ে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কৃতির ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

স্থাপত্য

ভারতীয় স্থাপত্য এমন একটি বিষয় যার মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির এই বৈচিত্র্যময় রূপটি ধরা পড়ে। তাজমহল ও অন্যান্য মুঘল স্থাপত্য নিদর্শন তথা দ্রাবিড় স্থাপত্য নিদর্শনগুলির মধ্যে ভারত ও বহির্ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচীন ও স্থানীয় ঐতিহ্যের সম্মিলন লক্ষ করা যায়। ভারতের স্থানীয় স্থাপত্যশৈলিগুলিও দেশের এক-একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক স্থাপত্য-বৈচিত্র্যের সাক্ষী।

পরিবেশন শিল্পকলা

ভারতীয় সঙ্গীতের জগৎটি গঠিত হয়েছে ধ্রুপদি ও আঞ্চলিক সঙ্গীত ধারার সংমিশ্রণে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দুটি ধারায় বিভক্ত – উত্তর ভারতের হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকী সঙ্গীত। এই দুই প্রধান সঙ্গীত ধারা থেকে আবার উৎসারিত হয়েছে অনেক উপধারা। আঞ্চলিক জনপ্রিয় সঙ্গীতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দি ফিল্মি গান ও ইন্ডি-পপ এবং বাউল ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রকার লোকসঙ্গীত।

ভারতীয় নৃত্যকলাও "লোক" ও "ধ্রুপদী" — এই দুই প্রধান ভাগে বিভক্ত। ভারতের বিখ্যাত লোকনৃত্যগুলি হল পাঞ্জাবের ভাংড়া, আসাম বিহু নৃত্য, পশ্চিমবঙ্গের ছৌ নাচ এবং রাজস্থানের ঘুমার। ভারতের সঙ্গীত নাটক অকাদেমি দেশের আটটি নৃত্যকলাকে ধ্রুপদি ভারতীয় নৃত্য আখ্যা দিয়েছে। এগুলি হল তামিলনাড়ুর ভরতনাট্যম, উত্তর প্রদেশের কত্থক, কেরলের কথাকলিমোহিনীআট্টম, অন্ধ্রপ্রদেশের কুচিপুড়ি, মণিপুরের মণিপুরি, ওড়িশার ওড়িশি এবং আসামের সত্রিয় নাচ।[১৫২] এই নৃত্যশৈলিগুলি বর্ণনাত্মক ও পৌরাণিক ঘটনাকেন্দ্রিক।

সাহিত্য

ভারত ভারতের জাতীয় প্রতীকসমূহ[১৫৩]
পতাকা তিরঙ্গা
প্রতীক অশোক স্তম্ভ
সংগীত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে
স্তোত্র বন্দে মাতরম্‌
পশু বাংলার বাঘ
ঐতিহ্যবাহী পশু ভারতীয় হাতি
পাখি ভারতীয় ময়ূর
জলচর প্রাণী গাঙ্গেয় ডলফিন
ফুল পদ্ম
গাছ বট
ফল আম
খেলা অঘোষিত[১৫৪]
সন শকাব্দ
নদী গঙ্গা[১৫৫]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - এশিয়ার প্রথম[১৫৬] সাহিত্যে নোবেল বিজেতা[১৫৭] এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। মণিপুরী নৃত্য সহ বহু শিল্পকলার পুনরুজ্জীবনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।[১৫৮]

ভারতীয় নাটকের বৈশিষ্ট্য হল সঙ্গীত, নৃত্য ও তাৎক্ষণিক বা লিখিত সংলাপের যুগলবণ্দি।[১৫৯] এর বিষয়বস্তু কখনও পুরাণ থেকে, কখনো মধ্যযুগীয় প্রেমকাহিনিগুলি থেকে, কখনো আবার একালের সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলি থেকে গৃহীত। ভারতের লোকনাট্যের মধ্যে গুজরাটের ভাবাই, পশ্চিমবঙ্গের যাত্রা, উত্তর ভারতের নৌটঙ্কিরামলীলা, মহারাষ্ট্রের তামাশা, অন্ধ্রপ্রদেশের বুরাকথা, তামিলনাড়ুর তেরুককুত্তুকর্ণাটকের যক্ষগণ উল্লেখযোগ্য।[১৬০]

ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রথমে মৌখিকভাবে ও পরে লিখিত আকারে প্রচলিত হয়।[১৬১] এই রচনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেদ, ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণমহাভারত, নাটক অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ইত্যাদি সংস্কৃত সাহিত্যের ধ্রুপদী কীর্তিসমূহ[১৬২] এবং তামিলে রচিত সঙ্গম সাহিত্য[১৬৩] আধুনিক কালের ভারতীয় সাহিত্যিকদের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্য হলেন ১৯১৩ সালে দেশের প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়াও ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যরচনার জন্য ভারতীয় অথবা ভারতীয় বংশোদ্ভুত যেসকল লেখকগণ সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন তারা হলেন অমিতাভ ঘোষ, সালমান রুসদি, মার্কিন-প্রবাসী বাঙালি সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ী, নোবেলজয়ী ব্রিটিশ-ভারতীয় সাহিত্যিক ভি এস নাইপল প্রমুখ।

চলচ্চিত্র

ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম চলচ্চিত্র শিল্প।[১৬৪] বাণিজ্যিক হিন্দি সিনেমা প্রস্তুতকারক বলিউড বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।[১৬৫] এছাড়াও বাংলা, কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি, তামিলতেলুগু ভাষায় ঐতিহ্যবাহী চলচ্চিত্র শিল্পের আছে।[১৬৬] ভারতের প্রথম সারির চলচ্চিত্র শিল্প কেন্দ্রগুলি হল বলিউড (হিন্দি),[১৬৭] টলিউড (বাংলা[১৬৮] ও তেলুগু[১৬৯]), কলিউড (তামিল),[১৭০][১৭১][১৭২] মলিউড (মালয়ালম),[১৭৩] স্যান্ডেলউড বা চন্দনবন (কন্নড়),[১৭৪] ও ভোজিউড (ভোজপুরি)।[১৭৫]

রন্ধনশৈলী

ভারতীয় রন্ধনশৈলীর বিশেষত্ব হল বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ আঞ্চলিক রন্ধনপ্রণালী এবং ভেষজ ও মশলার অভিজাত প্রয়োগ। দেশের প্রধান খাদ্য ভাত (পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে) ও রুটি (মূলত উত্তর ভারতে)।[১৭৬]

পোশাক

ভারতে পোশাকের ঐতিহ্য রং, ধরন ও জলবায়ুর মতো বিভিন্ন কারণে অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন। থানকাপড়ের পোশাক হিসাবে মহিলাদের ক্ষেত্রে শাড়ি ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ধুতি বা লুঙ্গি বিশেষ জনপ্রিয়। এছাড়া সেলাই-করা পোশাকের মধ্যে মহিলাদের সালোয়ার-কামিজ ও পুরুষদের কুর্তা-পাজামা বা ইউরোপীয়-ধাঁচে ট্রাউজার্সশার্ট বিশেষভাবে প্রচলিত।

উৎসব

ভারতে উৎসব প্রকৃতিগতভাবে ধর্মীয়। যদিও অনেক ধর্ম ও জাতি নিরপেক্ষ উৎসবও পালিত হয়ে থাকে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব এবং পূজা-পার্বণ গুলোর মধ‍্যে দীপাবলি, গণেশ চতুর্থী, হোলি, ওণম্, দুর্গাপূজা, রথযাত্রা, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, মকরসংক্রান্তি, শিবরাত্রি, রামনবমী; মুসলমান সম্প্রদায়ের ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা; খ্রিষ্টানদের বড়দিন, বুদ্ধজয়ন্তী, বৈশাখী প্রভৃতি কয়েকটি জনপ্রিয় উৎসব।[১৭৭] ভারতে তিনটি জাতীয় উৎসব পালিত হয়; এগুলি হল স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবস ও গান্ধী জয়ন্তী। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক উৎসবও যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। ধর্মাচরণও দৈনন্দিন ও গণজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে গণ্য হয়।

সমাজ-ব্যবস্থা

ভারতে সনাতন পারিবারিক মূল্য বিশেষ সম্মানের অধিকারী। একাধিক প্রজন্মের মিলনক্ষেত্র পিতৃতান্ত্রিক যৌথ পরিবারগুলিই ভারতীয় পরিবারতন্ত্রের আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। যদিও আজকাল নগরাঞ্চলগুলিতে ছোটো ছোটো নিউক্লিয়ার পরিবারের উদ্ভব ঘটতে দেখা যায়।[১৭৮] ভারতে বিবাহ আয়োজিত হয় পাত্র ও পাত্রীর পিতামাতা ও অন্যান্য গুরুজনস্থানীয় আত্মীয়বর্গের সম্মতিক্রমে। আয়োজিত বিবাহ ভারতে এক অতিমাত্রায় লক্ষিত বিবাহরীতি।[১৭৯] বিবাহবন্ধন সারাজীবনের বন্ধন বলে বিবেচিত হয়।[১৭৯] তাই এদেশে বিবাহবিচ্ছেদের হারও অত্যন্ত কম।[১৮০] ভারতে বাল্যবিবাহ প্রথা আজও প্রচলিত যদিও বাল্যবিবাহের হার ক্রমহাসমান। ইউনিসেফের স্যাম্পেল সার্ভে এবং ভারতের জনগণনা অনুযায়ী ২০০৬-এ যেখানে ৪৭% নারীর বিবাহ হত ১৮ বছর বয়সের আগে, ২০১৬ সালে সেই স্ংখ্যা ২৭%।[১৮১][১৮২]

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

যন্তরমন্তর, দিল্লি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভারত তার নিজস্ব স্বাক্ষর রেখে এসেছে। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে ভারতীয় ধাতুবিদগণ দিল্লির লৌহস্তম্ভটি নির্মাণ করেন। বেদাঙ্গ জ্যোতিষ গ্রন্থে সেযুগের মহাকাশ পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিকতাবাদ প্রস্তাবনার ১০০০ বছর আগেই ভারতীয় গণিতবিদ তথা জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট প্রাচীন বিশ্বধারণার ভ্রান্ততা প্রমাণ করেছিলেন। প্রাচীন বিশ্বে একমাত্র ভারতেই গড়ে উঠেছিল হীরের খনি। ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদদের অন্যতম বলে বিবেচিত হন। ১৯২৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন ভারতীয় পদার্থবিদ চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন

ইনফোসিস, বেঙ্গালুরু। বেঙ্গালুরু ভারতের তথ্য প্রযুক্তির রাজধানী হিসাবে পরিচিত।

স্বাধীনোত্তর ভারতকে একটি দরিদ্র রাষ্ট্র বলে বিবেচনা করা হলেও, স্বাধীনতা অর্জনের পাঁচ দশকের মধ্যেই এই দেশ প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ার এক মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সাক্ষরতার হার ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নগরকেন্দ্রের উদ্ভব ভারতের এই প্রযুক্তিগত উত্থানের কারণ। ১৯৭৫ সালে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টের উৎক্ষেপণ, তার পূর্ববর্তী বছরে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে এক ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষণ, দূরসংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পারমাণবিক চুল্লি ও হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা পরিচালিত ভাভা পরমাণু অনুসন্ধান কেন্দ্রের মতো গবেষণা কেন্দ্রের বিকাশ ভারতের উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক সাফল্য বলে বিবেচিত হয়।[১৮৩] লো-আর্থ, মেরু ও জিওস্টেশনারি কক্ষপথে উপগ্রহ উৎক্ষেপণের এক দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ভারত। এএসএলভি, পিএসএলভি, জিএসএলভি ও সর্বোপরি ভারতীয় জাতীয় উপগ্রহ ব্যবস্থা কৃত্রিম উপগ্রহ সিরিজগুলি ভারতের সফল মহাকাশ-কর্মসূচির স্বাক্ষর। ২০০৮ সালে চাঁদের মাটিতে অবতীর্ণ হয় প্রথম ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-১। চন্দ্রযান-১-এর পাঠানো তথ্য থেকে নাসার তত্ত্বাবধানে ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে মুন মিনারেলজি ম্যাপার যন্ত্রে বিস্ময়করভাবে প্রভূত পরিমাণ হাইড্রক্সিল আয়ন এবং বরফের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।[১৮৪] দেশীয় বিমানশক্তির ক্ষেত্রে বৈকল্পিক শক্তি হিসেবে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ও এলসিএ তেজস-এর নাম করা যায়। লারসেন অ্যান্ড টাব্রো, ডিএফএল-এর মতো কোম্পানিগুলির সাহায্যে আবাসন ও পরিকাঠামো শিল্পেও ভারত আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রসর।

২০০৩ সালে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং তৈরি করে ভারতের প্রথম সুপারকম্পিউটার পরম পদ্ম। এটি পৃথিবীর দ্রুততম সুপারকম্পিউটারগুলির অন্যতম।[১৮৫] ১৯৯০-এর দশকে অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় এক অগ্রণী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে বিশ্বের মঞ্চে উপস্থাপিত করে। বর্তমানে আইবিএম, মাইক্রোসফট, সিসকো সিস্টেমস, ইনফোসিস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস, উইপ্রো ও অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলি ভারতের বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই প্রভৃতি শহরে তাদের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছে।

খেলাধুলা

বার্লিন অলিম্পিকে সোনা জয়ী ভারতীয় হকি দল
কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুটবল মাঠ

ভারতের সুনির্দিষ্ট জাতীয় খেলা নেই। আনেকে একে কাবাডি কিংবা ফিল্ড হকি মনে করেন। কিন্তু বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়।

কাবাডি বিশ্বকাপে ভারত জয়ের হ্যাটট্রিকও করেছে।

ইন্ডিয়ান হকি ফেডারেশনের উপর এদেশের হকি পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত। ভারতীয় হকি দল ১৯৭৫ সালের পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ এবং পুরুষদের অলিম্পিক গেমসে পাঁচবার স্বর্ণপদক বিজয়ী। ফুটবল খেলা ভারতে জনপ্রিয়। ২০১৮-তে কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলায় ইংল্যান্ড বিজয়ী হয়। আয়োজক দেশ হিসেবে ভারত খেলতে পেয়েও উল্লেখযোগ্য ফল পায়নি। ভারতের ফুটবল প্রতিযোগিতাগুলো হল: জাতীয় ফুটবল সন্তোষ ট্রফি, নেহেরু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, ফেডারেশন কাপ, নেহেরু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, ডুরান্ড কাপ এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। ভারতে ফুটবল খেলা পরিচালনা করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। যদিও ভারতে সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হল ক্রিকেটভারত জাতীয় ক্রিকেট দল ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি-২০ এবং ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী। এছাড়াও ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালে আইসিসি বিশ্ব টোয়েন্টি-২০ তে ফাইনালে পরাজিত হয়। ভারতে ক্রিকেট পরিচালিত হয় ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) কর্তৃক। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রঞ্জি ট্রফি, দিলীপ ট্রফি, দেওধর ট্রফি, ইরানি কাপ ও চ্যালেঞ্জার সিরিজ। ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা দেশে প্রভূত জনপ্রিয়তা ও নানাবিধ বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী।

ভারতীয় দলের ডেভিস কাপ বিজয়ের পর থেকে ভারতে টেনিসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে ফুটবল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত, গোয়াকেরলে বেশ জনপ্রিয়।[১৮৬] ভারত জাতীয় ফুটবল দল বহুবার সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কাপ জিতেছে। ভারত ১৯৫১ ও ১৯৮২ সালে এশিয়ান গেমস আয়োজন করেছিল। এছাড়াও ভারত ছিল ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ ছিল; ভারত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ। দাবা খেলার উদ্ভবও হয়েছিল ভারতে। দেশে গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ দাবা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খেলা।[১৮৭] এছাড়াও দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেলা হল কাবাডি, খো খো, ও গুলি ডান্ডা ইত্যাদি। ভারতে প্রাচীন যোগব্যয়াম এবং বিভিন্ন ভারতীয় মার্শাল আর্ট, কালারিপ্পায়াত্তু, বার্মা কলাই ইত্যাদি আজও জনপ্রিয়। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক ক্রীড়া পুরস্কার হল রাজীব গান্ধী খেলরত্নঅর্জুন পুরস্কার (খেলোয়াড়দের জন্য) এব দ্রোণাচার্য পুরস্কার (কোচিং-এর জন্য)।

আরও দেখুন

টীকা

  1. দেবনাগরী লিপিতে লিখিত হিন্দি কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষা এবং ইংরেজি ভাষা হল "সহকারী সরকারি ভাষা"[][][] রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারি ভাসা হিসাবে হিন্দি বা ইংরেজি ব্যতীত অন্য কোনো ভাষা গ্রহণ করতে পারে।
  2. ভারতে তারিখ ও সময়ের অঙ্কপাতন দেখুন।

গ্রন্থপঞ্জি

ইতিহাস
রাজনীতি ও সমাজ
ভূগোল
  • Dikshit, K.R. (২০০৭)। "India: The Land"Encyclopædia Britannica। পৃষ্ঠা 1–29। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-২৯  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  • Government of India (২০০৭)। India Yearbook 2007। Publications Division, Ministry of Information & Broadcasting। আইএসবিএন 81-230-1423-6 
  • Heitzman, J. (১৯৯৬)। India: A Country Study। Library of Congress (Area Handbook Series)। আইএসবিএন 0-8444-0833-6  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  • Posey, C.A (১৯৯৪)। The Living Earth Book of Wind and Weather। Reader's Digest Association। আইএসবিএন 0-8957-7625-1 
উদ্ভিদ ও প্রাণী
  • Ali, Salim; Ripley, S. Dillon (১৯৯৫), A Pictorial Guide to the Birds of the Indian Subcontinent, Mumbai: Bombay Natural History Society and Oxford University Press. Pp. 183, 106 colour plates by John Henry Dick, আইএসবিএন 0-19-563732-1 
  • Blatter, E.; Millard, Walter S. (১৯৯৭), Some Beautiful Indian Trees, Mumbai: Bombay Natural History Society and Oxford University Press. Pp. xvii, 165, 30 colour plates, আইএসবিএন 0-19-562162-X 
  • Israel, Samuel; Sinclair (editors), Toby (২০০১), Indian Wildlife, Discovery Channel and APA Publications., আইএসবিএন 9812345558 
  • Prater, S. H. (১৯৭১), The book of Indian Animals, Mumbai: Bombay Natural History Society and Oxford University Press. Pp. xxiii, 324, 28 colour plates by Paul Barruel., আইএসবিএন 0-19-562169-7. |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  • Rangarajan, Mahesh (editor) (১৯৯৯), Oxford Anthology of Indian Wildlife: Volume 1, Hunting and Shooting, New Delhi: Oxford University Press. Pp. xi, 439, আইএসবিএন 0-19-564592-8 
  • Rangarajan, Mahesh (editor) (১৯৯৯), Oxford Anthology of Indian Wildlife: Volume 2, Watching and Conserving, New Delhi: Oxford University Press. Pp. xi, 303, আইএসবিএন 0-19-564593-6 
  • Tritsch, Mark F. (২০০১), Wildlife of India, London: Harper Collins Publishers. Pp. 192, আইএসবিএন 0-00-711062-6 
সংস্কৃতি
  • Dissanayake, Wimal K.; Gokulsing, Moti (২০০৪), Indian Popular Cinema: A Narrative of Cultural Change, Trentham Books, Pp. 161, আইএসবিএন 1-85856-329-1 . |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  • Johnson, W. J. (translator and editor) (১৯৯৮), The Sauptikaparvan of the Mahabharata: The Massacre at Night, Oxford and New York: Oxford University Press (Oxford World's Classics). Pp. 192, আইএসবিএন 0-19-282361-8. |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য), ৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  • Kalidasa; Johnson (editor), W. J. (২০০১), The Recognition of Śakuntalā: A Play in Seven Acts, Oxford and New York: Oxford University Press (Oxford World's Classics). Pp. 192, আইএসবিএন 0-19-283911-4. |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য), ১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  • Karanth, K. Shivarama (১৯৯৭), Yakṣagāna, (Forward by H. Y. Sharada Prasad). Abhinav Publications. Pp. 252, আইএসবিএন 8170173574. |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য) 
  • Kiple, Kenneth F.; Ornelas, Kriemhild Coneè, সম্পাদকগণ (২০০০), The Cambridge World History of Food, Cambridge: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0-521-40216-6 
  • Lal, Ananda (১৯৯৮), Oxford Companion to Indian Theatre, Oxford and New York: Oxford University Press. Pp. 600, আইএসবিএন 0-19-564446-8 
  • MacDonell, Arthur Anthony (২০০৪), A History of Sanskrit Literature, Kessinger Publishing, আইএসবিএন 1-4179-0619-7 .
  • Majumdar, Boria; Bandyopadhyay, Kausik (২০০৬), A Social History Of Indian Football: Striving To Score, Routledge, আইএসবিএন 0-415-34835-8 
  • Massey, Reginald (২০০৬), India's Dances, Abhinav Publications, আইএসবিএন 8170174341 
  • Ramanujan, A. K. (১৯৮৫), Poems of Love and War: From the Eight Anthologies and the Ten Long Poems of Classical Tamil, New York: Columbia University Press. Pp. 329, আইএসবিএন 0-231-05107-7 
  • Rajadhyaksha, Ashish; Willemen (editors), Paul (১৯৯৯), Encyclopedia of Indian Cinema, 2nd revised edition, University of California Press and British Film Institute, Pp. 652, আইএসবিএন 0-85170-669-6 . |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য), ২০০৭-০৮-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০২ 
  • Vilanilam, John V. (২০০৫), Mass Communication in India: A Sociological Perspective, Sage Publications, আইএসবিএন 0-7619-3372-7 
  • Yves Thoraval: The Cinemas of India (1896–2000). MacMillan, 2000, আইএসবিএন ০-৩৩৩-৯৩৪১০-৫

তথ্যসূত্র

  1. "State Emblem -inscription"National Informatics Centre (NIC)। ২০০৯-১২-২৭ তারিখে মূল (HTML) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৭ 
  2. Wolpert 2003, পৃ. 1।
  3. "National Symbols | National Portal of India"। India.gov.in। ৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩ 
  4. "National Song – Know India portal"। National Informatics Centre(NIC)। ২০০৭। ২০০৮-০৩-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-৩০ 
  5. "CONSTITUENT ASSEMBLY OF INDIA — VOLUME XII"Constituent Assembly of India: Debates। parliamentofindia.nic.in, National Informatics Centre। ১৯৫০-০১-২৪। ২০১১-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২৯The composition consisting of the words and music known as Jana Gana Mana is the National Anthem of India, subject to such alterations in the words as the Government may authorise as occasion arises, and the song Vande Mataram, which has played a historic part in the struggle for Indian freedom, shall be honoured equally with Jana Gana Mana and shall have equal status with it. 
  6. Ministry of Home Affairs 1960
  7. National Informatics Centre 2005
  8. "Profile | National Portal of India"। India.gov.in। ৩০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৩ 
  9. "Constitutional Provisions – Official Language Related Part-17 Of The Constitution Of India"জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র (Hindi ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Census2011religion নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. Population Projections for India and States, 2011-2036 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-০১। 
  12. "Population Enumeration Data (Final Population)"2011 Census DataOffice of the Registrar General & Census Commissioner, India। ২২ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৬ 
  13. "A – 2 Decadal Variation in Population Since 1901" (পিডিএফ)2011 Census DataOffice of the Registrar General & Census Commissioner, India। ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৬ 
  14. "World Economic Outlook Database: April 2022"Imfআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২২ 
  15. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; imf.org নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  16. "Income Gini coefficient"United Nations Development Program। ২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ 
  17. "Human Development Report 2021/2022" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  18. "List of all left- & right-driving countries around the world"worldstandards.eu। ১৩ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২০ 
  19. "Profile"india.gov.in। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  20. The Essential Desk Reference, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০২, পৃষ্ঠা 76, আইএসবিএন 978-0-19-512873-4  "Official name: Republic of India.";
    John Da Graça (২০১৭), Heads of State and Government, London: Macmillan, পৃষ্ঠা 421, আইএসবিএন 978-1-349-65771-1  "Official name: Republic of India; Bharat Ganarajya (Hindi)";
    Graham Rhind (২০১৭), Global Sourcebook of Address Data Management: A Guide to Address Formats and Data in 194 Countries, Taylor & Francis, পৃষ্ঠা 302, আইএসবিএন 978-1-351-93326-1  "Official name: Republic of India; Bharat.";
    Bradnock, Robert W. (২০১৫), The Routledge Atlas of South Asian Affairs, Routledge, পৃষ্ঠা 108, আইএসবিএন 978-1-317-40511-5  "Official name: English: Republic of India; Hindi:Bharat Ganarajya";
    Penguin Compact Atlas of the World, Penguin, ২০১২, পৃষ্ঠা 140, আইএসবিএন 978-0-7566-9859-1  "Official name: Republic of India";
    Merriam-Webster's Geographical Dictionary (3rd সংস্করণ), Merriam-Webster, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা 515–516, আইএসবিএন 978-0-87779-546-9  "Officially, Republic of India";
    Complete Atlas of the World: The Definitive View of the Earth (3rd সংস্করণ), DK Publishing, ২০১৬, পৃষ্ঠা 54, আইএসবিএন 978-1-4654-5528-4  "Official name: Republic of India";
    Worldwide Government Directory with Intergovernmental Organizations 2013, CQ Press, ২০১৩, পৃষ্ঠা 726, আইএসবিএন 978-1-4522-9937-2  "India (Republic of India; Bharat Ganarajya)"
  21. টীকা: ভারত সরকার আফগানিস্তানকেও ভারতের সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র মনে করে। এর কারণ, আফগানিস্তান-সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিসহ সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত সরকার ভারতের অংশ মনে করে। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি উক্ত রাজ্যটির ভারতীয় ও পাকিস্তানি অংশের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। এরপর থেকেই আফগানিস্তান-সীমান্তবর্তী অঞ্চলটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্গত।
  22. Kumar এবং অন্যান্য 2006, পৃ. 531
  23. "India is the second fastest growing economy"Economic Research Service (ERS)। United States Department of Agriculture (USDA)। ২০১১-০৫-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-০৫ 
  24. Dyson 2018, পৃ. 219, 262
  25. Fisher 2018, পৃ. 8
  26. Metcalf ও Metcalf 2012, পৃ. 265–266
  27. Kumar, Hari; Travelli, Alex; Mashal, Mujib; Chang, Kenneth (আগস্ট ২৩, ২০২৩), "'India Is on the Moon': Lander's Success Moves Nation to Next Space Chapter", The New York Times, Two visitors from India — a lander named Vikram and a rover named Pragyan — landed in the southern polar region of the moon on Wednesday. The two robots, from a mission named Chandrayaan-3, make India the first country to ever reach this part of the lunar surface in one piece — and only the fourth country ever to land on the moon. ... The spacecraft stopped to hover about 150 yards above the surface for a few seconds, then resumed its downward journey until it settled gently on the surface, about 370 miles from the south pole. 
  28. Metcalf ও Metcalf 2012, পৃ. 266
  29. Dyson 2018, পৃ. 216
  30. (a) "Kashmir, region Indian subcontinent"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ১৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯, Kashmir, region of the northwestern Indian subcontinent ... has been the subject of dispute between India and Pakistan since the partition of the Indian subcontinent in 1947. ; (b) Pletcher, Kenneth, "Aksai Chin, Plateau Region, Asia"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, ২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯, Aksai Chin, Chinese (Pinyin) Aksayqin, portion of the Kashmir region, ... constitutes nearly all the territory of the Chinese-administered sector of Kashmir that is claimed by India ; (c) Bosworth, C. E (২০০৬)। "Kashmir"Encyclopedia Americana: Jefferson to LatinScholastic Library Publishing। পৃষ্ঠা 328। আইএসবিএন 978-0-7172-0139-6KASHMIR, kash'mer, the northernmost region of the Indian subcontinent, administered partly by India, partly by Pakistan, and partly by China. The region has been the subject of a bitter dispute between India and Pakistan since they became independent in 1947 
  31. Narayan, Jitendra; John, Denny; Ramadas, Nirupama (২০১৮)। "Malnutrition in India: status and government initiatives"। Journal of Public Health Policy40 (1): 126–141। আইএসএসএন 0197-5897এসটুসিআইডি 53032234ডিওআই:10.1057/s41271-018-0149-5পিএমআইডি 30353132 
  32. Balakrishnan, Kalpana; Dey, Sagnik; ও অন্যান্য (২০১৯)। "The impact of air pollution on deaths, disease burden, and life expectancy across the states of India: the Global Burden of Disease Study 2017"The Lancet Planetary Health3 (1): e26–e39। আইএসএসএন 2542-5196ডিওআই:10.1016/S2542-5196(18)30261-4পিএমআইডি 30528905পিএমসি 6358127অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  33. India, প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (IUCN), ২০১৯, ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৯ 
  34. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ISFR নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  35. Karanth ও Gopal 2005, পৃ. 374।
  36. Clémentin-Ojha 2014
  37. The Constitution of India (পিডিএফ), Ministry of Law and Justice, ১ ডিসেম্বর ২০০৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১২, Article 1(1): India, that is Bharat, shall be a Union of States. 
  38. Jha, Dwijendra Narayan (২০১৪), Rethinking Hindu Identity, Routledge, পৃষ্ঠা 11, আইএসবিএন 978-1-317-49034-0 
  39. Singh 2017, পৃ. 253
  40. Barrow 2003
  41. "India (noun)", অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধান (3rd সংস্করণ), ২০০৯  (subscription required)
  42. Thieme 1970, পৃ. 447–450।
  43. Kuiper 2010, পৃ. 86।
  44. "Hindustan"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, Inc.। ২০০৭। ২০০৭-১০-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৮ 
  45. Javid, Ali and Javeed, Tabassum. World Heritage Monuments and Related Edifices in India. 2008, page 19
  46. "Bhimbetka, Auditorium Cave, Madhya Pradesh: Acheulian Petroglyph Site, c. >100,000 – 500,000 BP"originsnet.org। ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  47. "Introduction to the Ancient Indus Valley"। Harappa। ১৯৯৬। ২০১১-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৮ 
  48. Krishna Reddy (২০০৩)। Indian History। New Delhi: Tata McGraw Hill। পৃষ্ঠা A107। আইএসবিএন 0070483698 
  49. Jona Lendering। "Maurya dynasty"। ২০১১-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৭ 
  50. The Age of Guptas and After ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে Washington State University website.
  51. "The Mughal Legacy"। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  52. "The Mughal World : Life in India's Last Golden Age"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  53. "History : Indian Freedom Struggle (1857–1947)"National Informatics Centre (NIC)। ২০০৯-১২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-০৩And by 1856, the British conquest and its authority were firmly established. 
  54. Concise Encyclopedia। Dorling Kindersley Limited। ১৯৯৭। পৃষ্ঠা 455। আইএসবিএন 0-7513-5911-4 
  55. Concise Encyclopedia। Dorling Kindersley Limited। ১৯৯৭। পৃষ্ঠা 322। আইএসবিএন 0-7513-5911-4 
  56. "CIA Factbook: India"CIA Factbook। ২০০৮-০৬-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-১০ 
  57. "India Profile"। Nuclear Threat Initiative (NTI)। ২০০৩। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২০ 
  58. Montek Singh Ahluwalia. "Economic Reforms in India since 1991: Has Gradualism Worked?" (MS Word). Journal of Economic Perspectives. Retrieved on 2007-06-13. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। Archived from the original on ২০১০-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৩ 
  59. Ali, Jason R. (২০০৫)। "Greater India"Earth-Science Reviews72 (3-4): 170–173। ডিওআই:10.1016/j.earscirev.2005.07.005  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  60. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 7
  61. Prakash, B. (২০০০)। "Holocene tectonic movements and stress field in the western Gangetic plains" (PDF)Current Science79 (4): 438–449।  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  62. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 11
  63. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 8
  64. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 9-10
  65. India's northernmost point is the region of the disputed সিয়াচেন হিমবাহ in Jammu and Kashmir; however, the Government of India regards the entire region of the former princely state of জম্মু ও কাশ্মীর (including the Northern Areas currently administered by Pakistan) to be its territory, and therefore assigns the longitude 37° 6' to its northernmost point.
  66. (Government of India 2007, পৃ. 1)
  67. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 15
  68. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 16
  69. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 17
  70. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 12
  71. Dikshit ও Schwartzberg 2007, পৃ. 13
  72. Posey 1994, পৃ. 118
  73. Wolpert 2003, পৃ. 4
  74. Chang 1967, পৃ. 391-394
  75. Dr S.K.Puri। "Biodiversity Profile of India (Text Only)"। ২০১১-১১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২০ 
  76. Botanical Survey of India. 1983. Flora and Vegetation of India — An Outline. Botanical Survey of India, Howrah. p. 24.
  77. Valmik Thapar, Land of the Tiger: A Natural History of the Indian Subcontinent, 1997. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২০-২১৪৭০-৫
  78. Tritsch, M.E. 2001. Wildlife of India Harper Collins, London. 192 pages. আইএসবিএন ০-০০-৭১১০৬২-৬
  79. K. Praveen Karanth. (2006). Out-of-India Gondwanan origin of some tropical Asian biota ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে
  80. Groombridge, B. (ed). 1993. The 1994 IUCN Red List of Threatened Animals প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন, Gland, Switzerland and Cambridge, UK. lvi + 286 pp.
  81. "The Wildlife Protection Act, 1972"। Helplinelaw.com। ২০০০। ২০১৩-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৬ 
  82. "The Forest Conservation Act, 1980"। AdvocateKhoj.com। ২০০৭। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-২৯ 
  83. "Biosphere Reserves of India"। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১৭ 
  84. "The List of Wetlands of International Importance" (পিডিএফ)। The Secretariat of the Convention of on Wetlands। জুন ৪, ২০০৭। পৃষ্ঠা p. 18। আগস্ট ১৯, ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২০ 
  85. "Country profile: India"। BBC। ৯ জানুয়ারি ২০০৭। ২০১২-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-২১ 
  86. "World's Largest Democracy to Reach One Billion Persons on Independence Day"United Nations Department of Economic and Social Affairsজাতিসংঘ: Population Division। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০৬ 
  87. "Country Profile: India" (পিডিএফ)লাইব্রেরি অব কংগ্রেসFederal Research Division। ২০০৪। ২০০৯-০৩-২৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-২৪  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  88. Bhambhri, Chandra Prakash (১৯৯২)। Politics in India 1991–92। Shipra Publications। পৃষ্ঠা 118, 143। আইএসবিএন 978-8185402178 
  89. "Narasimha Rao passes away"দ্য হিন্দু। ২০০৯-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০২ 
  90. Patrick Dunleavy, Rekha Diwakar, Christopher Dunleavy। "The effective space of party competition" (পিডিএফ)London School of Economics and Political Science। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-০১ 
  91. Hermann, Kulke (২০০৪)। A History of India। Routledge। পৃষ্ঠা 384। আইএসবিএন 978-0415329194  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  92. "Narendra Modi appointed Prime Minister, swearing in on May 26"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০ মে ২০১৪। ২ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪ 
  93. "Modi Swearing-in Highlights: New team blend of youthful energy, experience: PM"Live Mint (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৫-৩০। ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১০ 
  94. Pylee, Moolamattom Varkey (২০০৪)। "The Longest Constitutional Document"। Constitutional Government in India (2nd edition সংস্করণ)। S. Chand। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 8121922038। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-৩১ 
  95. Dutt, Sagarika (১৯৯৮)। "Identities and the Indian state: An overview"Third World Quarterly19 (3): 411–434। ডিওআই:10.1080/01436599814325  at p. 421
  96. Wheare, K.C. (১৯৬৪)। Federal Government (4th edition সংস্করণ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 28 
  97. Echeverri-Gent, John (২০০২), "Politics in India's Decentred Polity", Ayres, Alyssa; Oldenburg, Philip, Quickening the Pace of Change, India Briefing, London: M.E. Sharpe, পৃষ্ঠা 19–53, আইএসবিএন 0-7656-0812-X  at pp. 19-20; Sinha, Aseema (২০০৪), "The Changing Political Economy of Federalism in India", India Review, 3 (1): 25–63, আইএসএসএন 1473-6489, ডিওআই:10.1080/14736480490443085  at pp 25-33
  98. Sharma, Ram (১৯৫০)। "Cabinet Government in India"Parliamentary Affairs4 (1): 116–126। 
  99. Gledhill, Alan (১৯৬৪)। The Republic of India: The Development of Its Laws and Constitution (2nd edition সংস্করণ)। Stevens and Sons। পৃষ্ঠা 112 
  100. "Tenure of President's office"The Constitution Of India। Constitution Society। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০২The President shall hold office for a term of five years from the date on which he enters upon his office 
  101. "Election of President"The Constitution Of India। Constitution Society। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০২The President shall be elected by the members of an electoral college 
  102. "Appointment of Prime Minister and Council of Ministers"The Constitution Of India। Constitution Society। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০২The Prime Minister shall be appointed by the President and the other Ministers shall be appointed by the President on the advice of the Prime Minister. 
  103. Matthew, K.M.। Manorama Yearbook 2003Malayala Manorama। পৃষ্ঠা pg 524। আইএসবিএন 8190046187 
  104. Gledhill, Alan (১৯৬৪)। The Republic of India: The Development of Its Laws and Constitution (2nd edition সংস্করণ)। Stevens and Sons। পৃষ্ঠা 127 
  105. "Parliament of India"http://parliamentofindia.nic.in/। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  106. Neuborne, Burt (২০০৩)। "The Supreme Court of India"। International Journal of Constitutional Law1 (1): 476–510। ডিওআই:10.1093/icon/1.3.476  at p. 478.
  107. Supreme Court of India। "Jurisdiction of the Supreme Court"। National Informatics Centre। ২০০৮-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২১ 
  108. Sripati, Vuayashri (১৯৯৮)। "Toward Fifty Years of Constitutionalism and Fundamental Rights in India: Looking Back to See Ahead (1950–2000)"। American University International Law Review14 (2): 413–496।  at pp. 423-424
  109. Pylee, Moolamattom Varkey (২০০৪)। "The Union Judiciary: The Supreme Court"। Constitutional Government in India (2nd edition সংস্করণ)। S. Chand। পৃষ্ঠা 314। আইএসবিএন 8121922038। ২০১১-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০২ 
  110. "States Reorganisation Act, 1956"Constitution of India। Commonwealth Legal Information Institute। ২০০৮-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-৩১ ; See also: Political integration of India
  111. "Districts of India"Government of IndiaNational Informatics Centre (NIC)। ২০০৭-১০-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-২৫ 
  112. "Significance of the Contribution of India to the Struggle Against Apartheid1 by M. Moolla"। ১১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  113. "History of Non Aligned Movement"। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-২৩ 
  114. Martin Gilbert (২০০২)। A History of the Twentieth Century। পৃষ্ঠা 486–87। আইএসবিএন 006050594X। ২০১১-০৭-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০৩ 
  115. "India's Expanding Role in Asia: Adapting to Rising Power Status"। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  116. "India's negotiation positions at the WTO" (পিডিএফ)। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  117. "India and the United Nations"। ২০০৬-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৪-২২ 
  118. "Largest Navy War Game"। ১২ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০০৯ 
  119. Brig. Vijai K. Nair (ভারতীয় সেনাবাহিনী)। "No More Ambiguity: India's Nuclear Policy" (পিডিএফ)। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৭ 
  120. Times of India (অক্টোবর ১১, ২০০৮), India, US seal 123 Agreement, Times of India 
  121. "Weekly Statistical Supplement"ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জুন ১, ২০০৭। আগস্ট ২১, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-১১ 
  122. ""Revenue surge boosts fiscal health""বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২০০৮-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১২-২৮ 
  123. Mohan, T.T.Ram. "Privatization in India: Issues and Evidence" (PDF). Indian Institute of Management, Ahmedabad. Retrieved on 2007-08-03. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৭-০৮-০৭ তারিখে "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২০০৭-০৮-০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৫ 
  124. "Quarterly estimates of gross domestic product, 2006-07"ভারত সরকার। ২০০৭-০৬-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-৩১ 
  125. "The Puzzle of India's Growth"। ২০০৬-০৬-২৬। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-১৫ 
  126. "EIA Country Profiles: India"। ২০০৮-০৬-১৬। ২০০৯-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৫ 
  127. "Inclusive Growth and Service delivery: Building on India's Success" (পিডিএফ), World Bank, মে ২৯, ২০০৬, আগস্ট ২১, ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০০৯ 
  128. Page, Jeremy (ফেব্রুয়ারি ২২, ২০০৭), "Indian children suffer more malnutrition than in Ethiopia", The Times, মে ২৫, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০০৯ 
  129. "New Global Poverty Estimates — What it means for India"। World Bank। ৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  130. "India: Undernourished Children: A Call for Reform and Action", World Bank, ৭ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  131. Mudur, Ganapati (২০০৪)। "Hospitals in India woo foreign patients"। British Medical Journal328: 1338। ডিওআই:10.1136/bmj.328.7452.1338পিএমআইডি 15178611  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  132. G. Srinivasan (২০০৮-০৪-১৮)। "Rise in Indian services exports less than global average: WTO"The Hindu Business Line। ২০২১-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৬ 
  133. "India Population (2019) – Worldometers"www.worldometers.info। ৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  134. "Sex Ratio (Females/ 1000 Males) – NITI Aayog"niti.gov.in। ৩০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  135. "World Population Review"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  136. Chandramouli 2011
  137. "Kerala's literacy rate"kerala.gov.inGovernment of Kerala। ২০০৮-০৪-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৩ 
  138. "Languages by number of speakers according to 1991 census"। Central Institute of Indian Languages। ২৯ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  139. Mallikarjun, B. (Nov., 2004), Fifty Years of Language Planning for Modern Hindi–The Official Language of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে, Language in India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে, Volume 4, Number 11. ISSN 1930-2940.
  140. "Notification No. 2/8/60-O.L. (Ministry of Home Affairs), dated 27 April, 1960"। ৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  141. Seaver, Sanford B. (১৯৯৮), The Dravidian Languages, Taylor and Francis. Pp. 436, আইএসবিএন 0-415-10023-2, ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ . Quote: "Tamil … It is therefore one of India's two classical languages, alongside the more widely known Indo-Aryan language Sanskrit." 2. Ramanujan, A. K. (১৯৮৫), Poems of Love and War: From the Eight Anthologies and the Ten Long Poems of Classical Tamil, New York: Columbia University Press. Pp. 329, আইএসবিএন 0-231-05107-7, ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮  Quote: "Tamil, one of the two classical languages of India, is a Dravidian language spoken today by 50 million Indians, ..."
  142. "Declaration of Telugu and Kannada as classical languages"Press Information Bureau। Ministry of Tourism and Culture, Government of India। ২০০৮-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৯ 
  143. Matthew, K.M. (২০০৬)। Manorama Yearbook 2003Malayala Manorama। পৃষ্ঠা pg 524। আইএসবিএন 81-89004-07-7 
  144. "5 facts about religion in India"Pew Research Center (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৯ 
  145. "The Global Religious Landscape" (পিডিএফ)Boston College। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৩ 
  146. "Tribes: Introduction"জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র। Ministry of Tribal Affairs, ভারত সরকার। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  147. Global Muslim population estimated at 1.57 billion ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুন ২০১৩ তারিখে. The Hindu (8 October 2009)
  148. "India Chapter Summary 2012" (পিডিএফ)। ৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  149. "Taj Mahal"World Heritage List। UNESCO World Heritage Centre। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮The World Heritage List includes 851 properties forming part of the cultural and natural heritage which the World Heritage Committee considers as having outstanding universal value.  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  150. Baidyanath, Saraswati (২০০৬)। "Cultural Pluralism, National Identity and Development"। Interface of Cultural Identity Development (1stEdition সংস্করণ)। xxi+290pp। আইএসবিএন 81-246-0054-6। ২০০৭-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮ 
  151. Das, N.K. (২০০৬)। "Cultural Diversity, Religious Syncretism and People of India: An Anthropological Interpretation"Bangladesh e-Journal of Sociology3 (2nd)। ISSN 1819-8465। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-২৭The pan-Indian, civilizational dimension of cultural pluralism and syncretism encompasses ethnic diversity and admixture, linguistic heterogeneity as well as fusion, and variations as well as synthesis in customs, behavioural patterns, beliefs and rituals.  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  152. 1. "South Asian arts: Techniques and Types of Classical Dance" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে From: Encyclopædia Britannica Online. 12 Oct. 2007. 2. Sangeet Natak Academi (National Academy of Music, Dance, and Drama, New Delhi, India). 2007. Dance Programmes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুলাই ২০০৭ তারিখে. 3. Kothari, Sunil. 2007. Sattriya dance of the celibate monks of Assam, India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে. Royal Holloway College, University of London.
  153. "National Symbols of India"। High Commission of India, London। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-০৩ 
  154. "In RTI reply, Centre says India has no national game". deccanherald.com. 2 August 2012. Archived from the original on 4 August 2012. Retrieved 4 August 2012.
  155. জাতীয় নদী গঙ্গা
  156. "Rabindanath Tagore: Asia's First Nobel laureate..."। Time Asia। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  157. "The Nobel Prize in Literature 1913"Nobel Prize Winners। Nobel Foundation। ১৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |accessmonthday= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  158. Massey 2006, পৃ. 186
  159. Lal 1998
  160. (Karanth 1997, পৃ. 26). Quote: "The Yakṣagāna folk-theatre is no isolated theatrical form in India. We have a number of such theatrical traditions all around Karnataka... In far off Assam we have similar plays going on by the name of Ankia Nat, in neighouring Bengal we have the very popular Jatra plays. Maharashtra has Tamasa. (p. 26)
  161. MacDonell 2004, পৃ. 1-40
  162. Johnson 1998, MacDonell 2004, পৃ. 1-40, and Kalidasa ও Johnson (editor) 2001
  163. 1. Encyclopaedia Britannica (2008), "Tamil Literature." ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে Quote: "Apart from literature written in classical (Indo-Aryan) Sanskrit, Tamil is the oldest literature in India. Some inscriptions on stone have been dated to the 3rd century BC, but Tamil literature proper begins around the 1st century AD. Much early poetry was religious or epic; an exception was the secular court poetry written by members of the sangam, or literary academy (see Sangam literature)." 2. Ramanujan 1985, পৃ. ix-x Quote ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মে ২০১১ তারিখে: "These poems are 'classical,' i.e. early, ancient; they are also 'classics,' i.e. works that have stood the test of time, the founding works of a whole tradition. Not to know them is not to know a unique and major poetic achievement of Indian civilization. Early classical Tamil literature (c. 100 BC–AD 250) consists of the Eight Anthologies (Eţţuttokai), the Ten Long Poems (Pattuppāţţu), and a grammar called the Tolkāppiyam or the 'Old Composition.' ... The literature of classical Tamil later came to be known as Cankam (pronounced Sangam) literature. (pp. ix-x)"
  164. "Country profile: India"। BBC। ১৯ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৮  অজানা প্যারামিটার |accessyear= উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  165. Dissanayake ও Gokulsing 2004
  166. Rajadhyaksha ও Willemen (editors) 1999
  167. "When Bollywood's ex-lovers reunited to work together"মিড ডে (Mid-Day.com)। ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৫ 
  168. Sarkar, Bhaskar (২০০৮)। "The Melodramas of Globalization"। Cultural Dynamics20: 31–51 [34]। ডিওআই:10.1177/0921374007088054 
  169. "Tollywood loses to Bollywood on numbers"The Times of India। ২ অক্টোবর ২০১০। ২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  170. Bureau, Our Regional (২৫ জানুয়ারি ২০০৬)। "Tamil, Telugu film industries outshine Bollywood"Business Standard। ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  171. "China's Film Industry and Its Bollywood Future"। ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০ 
  172. "Tamil films give Bollywood a run for its money"। ৩ জানুয়ারি ২০১৩। ৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২০ 
  173. Kumar, K.G. (১৮ মে ২০০৯)। "What Mollywood can learn from Nollywood"Business Line (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮ 
  174. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে Link referring rechristening of sandalwod as chandanavana at world kannada summit
  175. "Bhojiwood Losing Its Lustre"। ২০১৭-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৫ 
  176. Delphine, Roger, "The History and Culture of Food in Asia", in Kiple ও Kriemhild 2000, পৃ. 1140-1151
  177. "18 Popular India Festivals"। ২০১১-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২৩ 
  178. Eugene M. Makar (২০০৭)। An American's Guide to Doing Business in India 
  179. Medora, Nilufer (২০০৩)। "Mate selection in contemporary India: Love marriages versus arranged marriages"। Hamon, Raeann R. and Ingoldsby, Bron B.। Mate Selection Across Cultures। SAGE। পৃষ্ঠা 209–230। আইএসবিএন 0761925929 
  180. "Divorce Rate In India"। ১২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০০৯ 
  181. "Child-Marriage"। ২৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮ 
  182. "A statistical analysis of child marriage of india"। ৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৮ 
  183. "Indian Atomic Research Program"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  184. [মনোরমা ইয়ারবুক ২০১৮|ISSN 0975-2250]
  185. "United States/India hosts worlds fourth fastest supercomputer/articleshow/2538928.cms Param Padma Supercomputer unveiled"indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  186. Majumdar ও Bandyopadhyay 2006, পৃ. 1-5
  187. "Anand crowned World champion"। Rediff। 10-29-2008। ২০০৮-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2008-10-29  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ