সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের
সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের | |
---|---|
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব | |
কাজের মেয়াদ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ – ২৫ মার্চ ২০০৯ | |
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব | |
কাজের মেয়াদ ৮ জানুয়ারি ২০০৬ – ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ মার্চ ১৯৫৫ |
মৃত্যু | ২৪ মার্চ ২০০৯ ইউনাইটেড হাসপাতাল | (বয়স ৫৪)
পিতামাতা | সৈয়দ আব্দুল বারী (পিতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডেলফট বিশ্ববিদ্যালয় |
সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের (১ মার্চ ১৯৫৫ - ২৪ মার্চ ২০০৯) সর্বোচ্চ সরকারি কর্মকর্তা[১] ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। পৈতৃক নিবাস সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার, লস্করপুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক মশাজান গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ হাবেলী। সৈয়দ জোবায়ের ছিলেন কুমিল্লা জেলার ভূতপূর্ব জেলাপ্রশাসক সৈয়দ আব্দুল বারী (ই,পি,সি,এস)[১] সাহেবের জ্যেষ্ঠ সন্তান।[২] উল্যেখ্য যে কুমিল্লা জেলাপ্রশাসনের এস, এ বারী কনভেনশন হলটি অদ্যাবধি যার স্মৃতি ধারণ করে আছে।[৩]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে বি,এ (অনার্স) এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে এম,এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮২ সালে নেদারল্যান্ডসের ডেলফট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ক থেকে টেলিযোগাযোগ, প্রাইভেতাইজেশন ও ডি-রেজুলেশন, ভুমিকম্প ও সুনামি প্রতিরোধ, বিশ্ববাণিজ্য আইন, প্রকল্প পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিষয়ে বিভিন্ন মেয়াদে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের ১৯৭৯ সালে বি,সি,এস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করে বিভিন্ন সময়ে শিল্প, স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বাণিজ্য, অর্থ, পানিসম্পদ, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক দায়িত্বও পালন করেন।[৫] সবশেষে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।[৬][৭][৮][৯]
জনকল্যাণকর উদ্যোগ
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের তার পেশাগত ও সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নীতকরণ এবং সামাজিক কল্যাণ প্রচারের লক্ষ্যে জনহিতকর কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সারা জীবন ধরে, তিনি অভাবীদের জীবন উন্নত করার জন্য গভীর সহানুভূতি প্রদর্শন করেছেন। জোবায়ের সারা বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা প্রদানের জন্য অসংখ্য উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার পরোপকারী প্রচেষ্টা অগণিত ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।[২][৫]
সংস্কৃতি চর্চা
[সম্পাদনা]তার আমলাতান্ত্রিক কর্মজীবনের বাইরেও জোবায়ের বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি সাহিত্য, চিত্রকলা, সঙ্গীত এবং আবৃত্তিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন এবং একজন ইংরেজি সংবাদপাঠক হিসেবে রেডিও ও টেলিভিশনে পরিচিত ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি গানের অ্যালবামও প্রকাশ করেন, যা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার বহুমুখীতা এবং অবদানকে তুলে ধরে।[২][৩][৪]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের ২০০৯ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তাকে টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, হৃদরোগ ও কিডনি রোগের জটিলতার কারণে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ http://www.dpp.gov.bd/upload_file/gazettes/041-042-Law-1982.pdf
- ↑ ক খ গ ছাপাকৃত মশাজান সৈয়দ হাবেলীর হালনাগাদ নসবনামার পুস্তক। প্রকাশকাল জুন ২০০১।
- ↑ ক খ প্রসঙ্গ বিচিত্রা (প্রকাশিত প্রবন্ধের গ্রন্থসংকলন) চতুর্থ পল্লব, লেখকঃ সৈয়দ মস্তফা কামাল। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ ৫. প্রসঙ্গ বিচিত্রা (প্রকাশিত প্রবন্ধের গ্রন্থসংকলন) চতুর্থ পল্লব, লেখকঃ সৈয়দ মস্তফা কামাল। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ ৬. প্রসঙ্গ বিচিত্রা (প্রকাশিত প্রবন্ধের গ্রন্থসংকলন) চতুর্থ পল্লব, লেখকঃ সৈয়দ মস্তফা কামাল। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "সৈয়দ মোহাম্মদ জোবায়ের"। mocat.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়"। mowr.portal.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৮।
- ↑ ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "বিমান সচিব সৈয়দ জোবায়ের 'ক্লিনিক্যালি ডেড'"। bdnews24। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৩।