জুড়ী উপজেলা
জুড়ী | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে জুড়ী উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩৪′৪৮.২১৬″ উত্তর ৯২°৯′৫২.৮১৯″ পূর্ব / ২৪.৫৮০০৬০০০° উত্তর ৯২.১৬৪৬৭১৯৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | মৌলভীবাজার জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২২২.৯১ বর্গকিমি (৮৬.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১)[১] | |
• মোট | ১,৪৮,৯৫৮ |
• জনঘনত্ব | ৬৭০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩২৫১ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ ৩৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
জুড়ী উপজেলা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকা)-র ৯০তম বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৪৭১তম প্রশাসনিক উপজেলা হিসেবে জুড়ীর আত্মপ্রকাশ ঘটে ২৬ আগস্ট ২০০৪ খ্রিঃ। এটি বিভাগীয় শহর সিলেট হতে ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[২]
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]এই উপজেলার উত্তরে বড়লেখা উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা ও ভারতের আসাম, পশ্চিমে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]জুড়ী উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম জুড়ী থানার আওতাধীন।[৩][৪]
- ১নং জায়ফরনগর ইউনিয়ন
- ২নং পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন
- ৩নং পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন
- ৪নং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন
- ৫নং সাগরনাল ইউনিয়ন
- ৬নং ফুলতলা ইউনিয়ন
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কোনপাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা ছোট একটি স্রোত ধারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জুড়ী শহরকে দুইভাগে বিভক্ত করে। উল্লেখ্য, উক্ত নদীই ছিল পূর্বে ও কুলাউড়া বড়লেখা উপজেলার সীমানা প্রকাশ থাকা আবশ্যক লংলা পরগনার কালেক্টর কামিনীবাবু নাম অনুসারে কামিনীগঞ্জ এবং পাথারিয়া পরগনার কালেক্টর ভবানী বাবুর নাম অনুসারে ভবানী গঞ্জ নামে জুড়ী শহর আজও বিভক্ত। হকালুকি হাওর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এ স্রোত ধারাটি সূচনার দিকে জুড়ী নদী নামে পরিচিত। এই জুড়ী নদীর কোল ঘেষে মানুষ বসবাস শুরু করে, গড়ে উঠে লোকালয়, জনপথ। আর ঐ জুড়ী নদীর কিনারায় গড়ে উঠা জনপদকেই জুড়ী অঞ্চল বলে চিহ্নিত হয়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বেশ কিছু আদিবাসী এবং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের বাইরের মানুষেরা জুড়ী উপজেলায় এসে বসতি স্থাপন করেন। তবে জুড়ী উপজেলার বেলাগাঁও গ্রামে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বহিরাগত মানুষ এসে বসবাস শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় জুড়ী উপজেলা ৪ নং সেক্টরের আওতাধীন ছিল। সেক্টর কমান্ডার সি. আর. দত্তের নেতৃত্বে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭১ সালের ২ ও ৩ ডিসেম্বর ফুলতলা, সাগরনাল ও কাপনাপাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর প্রচন্ড লড়াই সংঘটিত হয়, ৪ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন সুখ লালের সাহসী ভূমিকায় জুড়ি উপজেলা হানাদার মুক্ত হয় তখন ক্যাপ্টেন সুখ লাল কিছু সৈন্য নিয়ে সাগরনাল ইউনিয়নে রয়ে যান। ৫ ডিসেম্বর সকালে জয় বাংলা স্লোগানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন লাল-সবুজ পতাকা হাতে।[৫]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]জুড়ি উপজেলার শিক্ষার হার : 68%
কৃষি
[সম্পাদনা]প্রধান ফসল ধান, পাট, চা, কমলা। জুড়ি উপজেলার শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ বিভিন্ন ধরনের কৃষিকাজের সাথে জড়িত। কৃষিকাজ এই উপজেলার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। এই এলাকার বেশিরভাগ দরিদ্র কৃষক অন্যের জমিতে বর্গা চাষ করে। আরেক শ্রেণী অন্যের জমিতে, ক্ষেতে দিনমজুরের কাজ করে জীবন যাপন করছে।
স্বাস্থ্য
[সম্পাদনা]উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জুড়ী আধুনিক হসপিটাল[৬]
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]
- হযরত শাহ নিমাত্রা মাজার
- কমলা বাগান
- চম্পকটিলা
- নয়াবাজার চা বাগান
- কাপনা পাহাড়[৭]
- হাকালুকি হাওর
- কাস্মীর টিলা[৮]
- জামকান্দি জলপ্রপাত [৯]
- মায়াবন,মায়াকানন, সন্ধানী | [১০]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "এক নজরে"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "জুড়ী উপজেলার পটভূমী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪।
- ↑ "ইউনিয়নসমূহ - জুড়ী উপজেলা"। juri.moulvibazar.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "জুড়ী উপজেলার গ্রামের তালিকা"। probangla.com। জুয়েল আহমেদ লিটন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "জুড়ী উপজেলার পটভূমী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ juri.moulvibazar.gov.bd https://juri.moulvibazar.gov.bd/bn/site/hospital_clinic/%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-০৫।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ https://sagornalup.moulvibazar.gov.bd/bn/site/religious_institutes/rccF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9C-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9C-%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8
- ↑ https://dailysylhetmirror.com/news/43370
- ↑ "পর্যটকদের নতুন ঠিকানা বড়লেখার 'জামকান্দি জলপ্রপাত'"। Sylhet Diary || সিলেট ডায়রি (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-০১T২১:৪১:৩১+০৬:০০। সংগ্রহের তারিখ 2025-04-05। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "ঘুরে আসুন জুড়ীর দৃষ্টিনন্দন ৩ ঝর্ণা থেকে"। Sangbad Sarabela (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-৩০।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধে জুড়ী উপজেলা (মৌলভীবাজার) | সংগ্রামের নোটবুক" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-০৫।