বাহুবল উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°২১′২২″ উত্তর ৯১°৩২′১৪″ পূর্ব / ২৪.৩৫৬১১° উত্তর ৯১.৫৩৭২২° পূর্ব / 24.35611; 91.53722
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাহুবল
উপজেলা
মানচিত্রে বাহুবল উপজেলা
মানচিত্রে বাহুবল উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°২১′২২″ উত্তর ৯১°৩২′১৪″ পূর্ব / ২৪.৩৫৬১১° উত্তর ৯১.৫৩৭২২° পূর্ব / 24.35611; 91.53722 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাহবিগঞ্জ জেলা
জাতীয় সংসদ আসন২৩৯ হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল)
সরকার
 • সংসদ সদস্যগাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)
আয়তন
 • মোট২৫০.৬৬ বর্গকিমি (৯৬.৭৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৯৭,৯৯৭
 • জনঘনত্ব৭৯০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৩৯.৪%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৩৬ ০৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

বাহুবল উপজেলা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

এই উপজেলার উত্তরে নবীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে চুনারুঘাট উপজেলা, পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পশ্চিমে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রশাসন বাহুবল থানা গঠিত হয় ১৯২১ সালে। বর্তমানে এটি উপজেলা।

নামকরণ[সম্পাদনা]

জনশ্রুতি এবং প্রাচীন লোকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা হতে জানা যায় প্রাচীনকালে কুদরত মাল নামক জনৈক পালোয়ান বাহুবল এলাকায় বাস করতেন। মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ বাগ থেকে পালোয়ান এসেছিলেন কুদরত মালের সঙ্গে মল্ল যুদ্ধ করতে। দুই পালোয়ানের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ মল্ল যুদ্ধের পর কুদরত মাল বিজয়ী হয়ে বীর দর্পে বলেছিলেন ‘‘বাহুকা বল দেখ বেটা’’। এ ঘটনাটি একটি প্রবাদ প্রবচনে প্রকাশ করা হয়েছে। ‘‘দক্ষিণ বাগ থেকে আইলো মাল মিরমিরাইয়া চায়, কুদরত মালের ঘুষি খাইয়া গড়াগড়ি যায়’’। কিংবদন্তীর মল্ল যুদ্ধে ‘‘দেখ বাহুকাবল’’ থেকে বাহুবল নাম হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

আবার, শত বর্ষের প্রাচীন লোকদের মুখ থেকে শুনা যায়, এক কালে অত্র এলাকার লোকজন ছিল খুবই শক্তিশালী ও বীরযোদ্ধা। তখনকার কেউ কোনোরূপ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করত না বা ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার ছিল না। মারামারিতে ৩/৪ হাত লম্বা বড় একটি বাঁশের টুকরাই লাঠি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। সে বাঁশের লাঠি যার হাত থেকে পরে যেত বা ভেঙে যেত সে হত পরাজিত। তার উপর আর কেউ আঘাত করত না। এছাড়া পাহাড়ের হিংস্র বাঘের সঙ্গে অনেক সময় মানুষের হাতাহাতি যুদ্ধ হত। বাঘের হাত থেকে হরিণ ছিনিয়ে আনতেও লোকজন মোটেও ভয় পেত না। তাই এলাকার নির্ভীক মানুষের সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় হিসাবে ‘‘বাহুবল’’ নামের উদ্ভব হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে বাহুবল[সম্পাদনা]

ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ঢাকা সিলেট রোডের পাশে প্রায় ৪০ ফুট পাহাড়ের উপরে ফয়েজাবাদ হিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

বাহুবল উপজেলায় বর্তমানে ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বাহুবল থানার আওতাধীন।[২]

ইউনিয়নসমূহ:

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

ভূপ্রকৃতি[সম্পাদনা]

মৃত্তিকা[সম্পাদনা]

নদ-নদী[সম্পাদনা]

জলাশয় কোরাংগী, খোয়াই ও বরাক নদী উল্লেখযোগ্য।

সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

ভাষা[সম্পাদনা]

বাংলা, সিলেটি, হবিগঞ্জী আঞ্চলিক কথ্য ভাষা, এছাড়াও মনিপুরী নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নিজস্ব বিষ্ণুপুরি মনিপুরী

উৎসব[সম্পাদনা]

ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ, নবান্ন

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, হা-ডু-ডু, গাফলা, লুডু, কেরাম।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১,৯৭,৯৯৭ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৯৮,১০১ জন এবং মহিলা ৯৯,৮৯৬ জন। এ উপজেলায় খাসিয়া, টিপরা, মণিপুরি প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

বাহুবল অনার্স কলেজ
বাহুবল অনার্স কলেজ
প্রতিষ্ঠান সংখ্যা
কলেজ ২টি (উচ্চমাধ্যমিক), ২টি (অনার্স), ১ টি (সরকারি)
উচ্চবিদ্যালয় ১০টি
মাদ্রাসা ৪টি (দাখিল)
কওমি মাদ্রাসা ১০টি (দাওরায়ে হাদিস)

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিবরণ[সম্পাদনা]

কলেজ[সম্পাদনা]

নাম প্রতিষ্ঠার সন অধক্ষ্য ঠিকানা
বাহুবল কলেজ ২০০৩ মোহাম্মদ আব্দুর রব শাহিন বাহুবল
আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ ১৯৯৩ মাহবুবুর রহমান মিরপুর

চা বাগান[সম্পাদনা]

বাহুবল উপজেলার পুটিজুরীতে স্পা রিসোর্ট সড়কের পাশে একটি চা বাগান। (আগস্ট ২০১৯)

বাংদেশের ১৫৩টি চা বাগানের মধ্যে বাহুবল উপজেলায় ৫ টি চা বাগান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে রশিদপুর চা-বাগান, কেদারপুর চা বাগান, বৃন্দাবন চা বাগান, ফয়জাবাদ চা বাগান  ও আমতলী চা বাগান।[৩]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

  • কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী - রাজনীতিবিদ;
  • সৈয়দ মুজতবা আলী -সাহিত্যিক
  • সৈয়দ মুর্তজা আলী -জাতীয় ইতিহাসবিদ
  • আফজাল চৌধুরী - কবি ও শিক্ষাবিদ
  • আমাতুন কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী - রাজনীতিবিদ।
  • তরফরত্ন সৈয়দ আবদুল্লাহ - ইতিহাসবিদ

বিবিধ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বাহুবল"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫ 
  2. "ইউনিয়নসমূহ - বাহুবল উপজেলা"bahubal.habiganj.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০২০ 
  3. "বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন"। ৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]