কমলগঞ্জ উপজেলা
কমলগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() প্রতিক্রিয়াশীল মানচিত্রে কমলগঞ্জ উপজেলা | |
বাংলাদেশে কমলগঞ্জ উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২২′০″ উত্তর ৯১°৫২′০″ পূর্ব / ২৪.৩৬৬৬৭° উত্তর ৯১.৮৬৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | মৌলভীবাজার জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৪২৬.৭২ বর্গকিমি (১৬৪.৭৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৫৯,১৩০ |
• জনঘনত্ব | ৬১০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৮.৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ ৫৬ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
কমলগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০০ কি.মি। কমলগঞ্জ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি। এখানে রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাম হাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, সিপাহী বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর সমাধি স্হল,মো. কেরামত আলী জামে মসজিদ ও নয়নাভিরাম চা বাগান। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য কমলগঞ্জ একটি চমৎকার জায়গা।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
কমলগঞ্জ উপজেলার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ২৪°২২′০০″ উত্তর ৯১°৫২′০০″ পূর্ব / ২৪.৩৬৬৭° উত্তর ৯১.৮৬৬৭° পূর্ব। এই উপজেলার উত্তরে রাজনগর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে কুলাউড়া উপজেলা ও ভারতের আসাম, পশ্চিমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
কমলগঞ্জ থানা ১৯২২ সালে গঠিত হয় এবং উপজেলার মর্যাদা পায় ১৯৮৩ সালে। কমলগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় ২০০০ সালে।
ভানুবিল কৃষকপ্রজা আন্দোলন কমলগঞ্জের সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলা ১৩০৭ সনে সংঘটিত এই ঘটনায় মণিপুরী কৃষকরা ব্রিটিশ ও তাদের পোষ্য জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৯৪৭সালের পূর্ব অবধি ভানুগাছ সিলেট ও কমলপুরের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসাবে কাজ করতো। আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার মূল রাস্তাটি ছিলো এই ভানুগাছ পরগনার বুক চিড়ে। যুগ যুগ ধরে এলাকা পূর্ব ভারতের খাদ্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিতি ছিল,এলাকায় উৎপাদিত চায়ের কদর ছিলো মহারানী ভিক্টোরিয়ারও রন্ধন শালা পর্যন্ত।
৪৭ এ দেশ ভাগের সময় তৎকালীন দক্ষিণ সিলেট মহকুমা পূর্ববঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হলে স্বাভাবিক নিয়মেই সেই সময়ের ভানুগাছ পরগনা তথা কমলগঞ্জ থানা পূর্ববঙ্গের একটি সীমান্ত এলাকায় পরিণত হয়। আসাম থেকে ত্রিপুরা যাবার মূল রাস্তাটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই সময়ের শিল্প শহর ভানুগাছ অতি দ্রুত একটি অবহেলিত ও অনুন্নত এলাকা হয়ে উঠে। ৪৭ উত্তর সময়ে এই এলাকাটি নিষ্প্রভ হয়ে গেলে জন মানসে তীব্র একটা অসন্তোষ দানা বাধে আর এই সময়ে উক্ত এলাকার মানুষের অধিকার আদায় ও এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন আলহাজ্জ্ব মো. কেরামত আলী।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
কমলগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কমলগঞ্জ থানার আওতাধীন।[২]
- ১নং রহিমপুর
- ২নং পতনঊষার
- ৩নং মুন্সিবাজার
- ৪নং শমসেরনগর
- ৫নং কমলগঞ্জ
- ৬নং আলীনগর
- ৭নং আদমপুর
- ৮নং মাধবপুর
- ৯নং ইসলামপুর
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের ১৯৯১ সনের লোক আদমশুমারি অনুসারে কমলগঞ্জ থানার জনসংখ্যা হলো ১৯১,৬৭২ জন।[৩] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। জনসংখ্যার ৬২.৯২% মুসলিম, ৩৬.০৯% হিন্দু, ০.০৪% বৌদ্ধ, ০.৮৮% খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ০.০৭%।
জনজাতি[সম্পাদনা]
কমলগঞ্জ উপজেলায় বাঙালি ছাড়াও নানান জাতি ও আদিবাসী জনগোষ্টী বাস করেন। যেমন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, মণিপুরি বা মৈতৈ, মণিপুরি মুসলমান বা পাঙাল, ত্রিপুরা, চা শ্রমিক, শব্দকর, খাসিয়া, হালাম ইত্যাদি।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
কমলগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার হার ৪৮.৬%।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
- কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়
- সুজা মেমোরিয়াল কলেজ
- আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ
- বিএএফ শাহীন কলেজ,শমসেরনগর
- পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
- কমলগঞ্জ বহুমুখী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- কমলগঞ্জ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- আহমেদ ইকবাল মেমোরিয়াল হাইস্কুল, বনগাঁ
- তেতইগাও রশিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
- দয়াময় সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়,তিলকপুর
- মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- ভান্ডারীগাওঁ উচ্চ বিদ্যালয়
- পদ্মা মেমোরিয়াল পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
- এ.এ.টি.এম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় শমসেরনগর
- আব্দুল মছব্বির একাডেমী শমসেরনগর
- হাজী মুহাম্মদ ওস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- কামদপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- ডালুয়াছড়া জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়
- ইউনিয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- কালী প্রাসাদ উচ্চ বিদ্যালয় মুন্সীবাজার
- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা স্কুল এন্ড কলেজ
- মকবুল আলী উচ্চ বিদ্যালয়
- সফাত আলী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা
- ইসলামপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা
- উসমান আলী দাখিল মাদ্রাসা
- আহমদ নগর দাখিল মাদ্রাসা
- চিতলীয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়
- নাজির হাসান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,চিতলীয়া
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
মূলত কৃৃৃৃষিনির্ভর। চা শিল্প এখানের অর্থনীতির এক বিশাল চালিকা শক্তি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০০ কি.মি। সড়ক ও রেল দুই ভাবেই কমলগঞ্জ এ পৌছানো যায়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- মো. কেরামত আলী, রাজনীতিবিদ
- মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান, রাজনীতিবিদ
- মোহাম্মদ ইলিয়াস, ভাষাসৈনিক ও সাবেক সাংসদ
- ইসহাক কাজল, সাংবাদিক
- সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা
- সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ
*কর্নেল (অবঃ)সালেহ আহমদ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- মেজর(অবঃ)বশির,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- খাজা উসমান,মুঘল প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বারো ভূঁইয়া সর্দার
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
- মণিপুরি ললিতকলা একাডেমী: ১টি
- মণিপুরি কালচারেল কমপ্লেক্স ১টি
- মণিপুরি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র: ১টি
- পাবলিক লাইব্রেরী : ২টি
- সিনেমা হল : ৩টি
- ক্লাব: ৩৫টি
মেলা ও উৎসব[সম্পাদনা]
- ঈদুল ফিতর
- ঈদুল আযহা
- শ্রী শ্রী ঠাকুরবাণী গুরুজী গোঁসাই র জন্ম মহোৎসব ( ঠাকুরবাণীর শ্রীধাম, মুন্সীবাজার )
- মনিপুরী রাস উৎসব (রাস মান্ডব ও মনিপুরী কালচারেল কমপ্লেক্স তেতই গাঁও)
- মণিপুরীদের রাস পূর্ণিমা (মাধবপুর জোড়া মান্ডব, শিববাজার)।
- শারদীয় দূর্গোৎসব (আদমপুর বাজার,সর্বজনীন দূর্গা মন্দির)
- শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী মহোৎসব(পাত্রখোলা চা বাগান)
- বারুনির মেলা (ভানুগাছ বাজার, রানীবাজার, আদমপুর বাজার, পাত্রখোলা, ইত্যাদি) ।
- পতনঊষার এর বৈশাখী মেলা
- শমসেরনগর মোকামবাজার বার্ষিক ওরস
- ছয়সিড়ি চরক পূজা
- মুন্সিবাজার ১০০ হাত বাসন্তি পূজা
- শমসেরনগর পিঠা মেলা
বিবিধ[সম্পাদনা]
কমলগন্জ পোস্টকোডঃ ৩২২০
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "এক নজরে কমলগঞ্জ"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ইউনিয়নসমূহ - কমলগঞ্জ উপজেলা"। kamolganj.moulvibazar.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশের ১৯৯১ সালের আদমশুমারি"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১০, ২০০৬।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |