ধনবাড়ী উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৪০′৫০.০৮১″ উত্তর ৮৯°৫৬′২১.০৬২″ পূর্ব / ২৪.৬৮০৫৭৮০৬° উত্তর ৮৯.৯৩৯১৮৩৮৯° পূর্ব / 24.68057806; 89.93918389
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধনবাড়ী উপজেলা
মানচিত্রে ধনবাড়ী উপজেলা
মানচিত্রে ধনবাড়ী উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪০′৫০.০৮১″ উত্তর ৮৯°৫৬′২১.০৬২″ পূর্ব / ২৪.৬৮০৫৭৮০৬° উত্তর ৮৯.৯৩৯১৮৩৮৯° পূর্ব / 24.68057806; 89.93918389 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাটাঙ্গাইল জেলা
আয়তন
 • মোট১৩০.৫০ বর্গকিমি (৫০.৩৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২,০৩,২৮৪
 • জনঘনত্ব১,৬০০/বর্গকিমি (৪,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৯৩ ২৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ধনবাড়ী উপজেলা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা যা ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি ঢাকা বিভাগের অধীন টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে সর্বশেষে গঠিত হয়। ধনবাড়ী উপজেলার উত্তরে জামালপুর জেলার জামালপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালপুর উপজেলামধুপুর উপজেলা, পূর্বে মধুপুর উপজেলা, পশ্চিমে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলামধুপুর গড়ের শেষ পশ্চিম অংশ থেকে ধনবাড়ী উপজেলার সীমানা শুরু হয়ে টাঙ্গাইল জেলার উত্তর প্রান্তে শেষ হয়।

এ উপজেলার অবস্থান টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে মধুপুর উপজেলা ও জামালপুর জেলার সংযোগ সড়কের দুপাশে অবস্থিত। উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪°৪০′৫০″ উত্তর ৮৯°৫৬′২১″ পূর্ব / ২৪.৬৮০৫৭৮৪° উত্তর ৮৯.৯৩৯১৮৪১° পূর্ব / 24.6805784; 89.9391841 অর্থাৎ ২৩°৩৭´ থেকে ২৪°৪৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১০´ থেকে ৯০°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ এবং আয়তন ১৩০.৫০ বর্গকিলোমিটার। মধুপুর কর্দম নামক অতিমাত্রায় বিচূর্ণিত ও জারিত লালচে বাদামি অবক্ষেপ দ্বারা গঠিত অঞ্চলটি ০.৯৭ থেকে ০.৯০ মিলিয়ন বছর পূর্বে গঠিত হয়েছে। এটি একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। বর্তমানে এখানে গার্মেন্টস কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানা গড়ে উঠেছে। ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, ধনবাড়ী উপজেলার গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৪ ভাগ (পুরুষ ৪৫.৯%, মহিলা ৪২.২%)। টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ ধনবাড়ি জমিদার বাড়ি এ উপজেলায় অবস্থিত।

ধনবাড়ী উপজেলা ২০০৬ সাল পর্যন্ত মধুপুর উপজেলার অধীন ছিলো। ১৮৯৮ সালে মধুপুর উপজেলায় থানা স্থাপনের পর ১৯৮৩ সালে মধুপুরকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই মধুপুর উপজেলাকে বিভক্ত করে মধুপুর ও ধনবাড়ী নামে দুটি পৃথক উপজেলার সৃষ্টি হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের উদ্বোধন করেন।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯৯৬ সালের ১২ আগস্ট মধুপুর উপজেলার দ্বিতীয় পৌরসভা হিসেবে ধনবাড়ীতে তৃতীয় শ্রেণীর (গ-শ্রেণী) পৌরসভা গঠন করে। উপজেলাটি মোট ১১২টি মৌজা ও ১৬৮টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধনবাড়ীর সংসদীয় আসন টাঙ্গাইল-১ যা মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত। এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১৩০ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত।

পটভূমি[সম্পাদনা]

ধনবাড়ি জমিদার বাড়ি

ধনবাড়ী উপজেলা টাঙ্গাইল জেলার ১২তম ও সৃষ্ট সর্বশেষ উপজেলা। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলটি আসামের কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল। মধ্যযুগে ১৪শ শতাব্দীর শেষভাবে অঞ্চলটি খেন্ রাজবংশের অন্তর্গত ছিল।[১] পরবর্তীতে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ কামতা রাজ্য জয় করার পর অঞ্চলটি মুসলমানদের দখলে চলে আসে। হোসেকামতা রাজ্যন শাহর পুত্র নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ পরবর্তীতে এ অঞ্চলটি শাসন করেন এবং সে সময় এটি নাসিরাবাদের (বর্তমান ময়মনসিংহ) অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে নাসিরাবাদের নাম পরিবর্তন করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ রাখা হয়। ১৮৬৯ সালের ১লা ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইলেকে আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়[২] এবং ধনবাড়ীকে মধুপুর উপজেলার অধীন টাঙ্গাইল জেলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলটি রাজা ও জমিদাররা শসন করতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে এ এলাকাটি প্রথমে সরাসরি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধীন, এরপর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের অধীন থাকলেও মূলত ধনবাড়ীর জমিদারগণ শাসন করতেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৫০ সালে জমিদারি উচ্ছেদ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হয়। এ আইন অনুসারে ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হওয়ার পর ধনবাড়ী স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ হয়।

ধনবাড়ী নবাব বাড়ি মসজিদ।

ব্রিটিশদের অধীন প্রথমে মধুপুরে ১৮৯৮ সালে থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় ধনবাড়ী মধুপুর থানার অধীনে ছিল। ১৯৯৬ সালে প্রথমে ধনবাড়ীতে পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে থানা গঠিত হয়।[৩] পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ৬ জুন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় মধুপুর উপজেলাকে বিভক্ত করে ধনবাড়ীতে নতুন উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৪] একই বছরের ১১ জুলাই মধুপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ধনবাড়ী পৌরসভা নিয়ে নতুন ধনবাড়ী উপজেলা সৃষ্টির সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর সেপ্টেম্বরে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।[৪]

জনশ্রুতি অনুসারে, সুলতানী আমলের স্থানীয় ধনপতি সিংহের নাম অনুসারে এ উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে।[৫] আবার কারো কারো মতে, ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা নামক স্থানের রাজা যশোধরের মৃত্যুর পর তার সেনাপতি ধনুয়ার খাঁ ধনবাড়ীতে একটি স্বাধীন জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন।[৫] তার নাম অনুসারেই পরবর্তীতে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। অনেকে মনে করেন, সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ধনপতি ঠাকুর (ধনাই সাধু) নামক একজন ব্রাহ্মণ পুখুরিয়া পরগণায় জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তার নাম অনুসারে এই উপজেলাকে ধনবাড়ী নামে নামকরণ করা হয়।[৫]

ভূগোল[সম্পাদনা]

ধনবাড়ী উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪°৪০′৫০″ উত্তর ৮৯°৫৬′২১″ পূর্ব / ২৪.৬৮০৫৭৮৪° উত্তর ৮৯.৯৩৯১৮৪১° পূর্ব / 24.6805784; 89.9391841 অর্থাৎ ২৩°৩৭´ থেকে ২৪°৪৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১০´ থেকে ৯০°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এটি মধুপুর উপজেলা ও জামালপুর জেলার সংযোগ সড়কের দুপাশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ১৩০.৫০ বর্গকিলোমিটার।[৬] ভৌগোলিকভাবে ধনবাড়ীর মাটি মধুপুর কর্দম দিয়ে গঠিত। ধনবাড়ী উপজেলার কেন্দ্র থেকে উত্তরে জামালপুর জেলার জামালপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালপুর উপজেলামধুপুর উপজেলা, পূর্বে মধুপুর উপজেলা, পশ্চিমে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা[৬] মধুপুর উপজেলার মধুপুর গড়ের শেষ পশ্চিম অংশ থেকে ধনবাড়ী উপজেলার সীমানা শুরু হয়ে টাঙ্গাইল জেলার উত্তর প্রান্তে শেষ হয়েছে।[৭] এ উপজেলার উপর দিয়ে ঝিনাই নদী প্রবাহিত হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে সড়কপথে ধনবাড়ীর দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটার।

কেদারনাথ মজুমদার লিখিত ময়মনসিংহের বিবরণ গ্রন্থ অনুসারে মধুপুর গাড়াঞ্চলে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন লৌহ, কয়লাতেল মজুদ রয়েছে বলে মনে করা হয়। ১৮৭৭ সালে দীননাথ সেন মধুপুর গড়ের মাটি পরীক্ষা করে তিনিও লৌহ খনি থাকার কথা বলেন। পরবর্তীতে সরকারিভাবে এ বনাঞ্চলে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়।

ভূ-প্রকৃতি[সম্পাদনা]

ভূতাত্ত্বিকভাবে ধনবাড়ী উপজেলাসহ আশেপাশের অঞ্চলের ভূমি মধুপুর কর্দম নামক অতিমাত্রায় বিচূর্ণিত ও জারিত লালচে বাদামি অবক্ষেপ বা আদিম প্রস্তর দ্বারা গঠিত।[৮] এই অবক্ষেপটি নতুন প্লাইসটোসিন যুগে জলবায়ুগত কারণে সৃষ্ট ও এটি বিভক্ত কয়েকটি প্লাইসটোসিন সোপানের সমন্বয়ে গঠিত। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্লাইসটোসিন চত্বর। একই কর্দমের মধ্যে মধুপুর গড় অঞ্চলসহ লালমাই পাহাড়বরেন্দ্র ভূমি সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতী সভ্যতাও এই অবক্ষেপের স্তরসমষ্টি বেষ্টিত অঞ্চলের অন্তর্গত।[৮] এ অঞ্চলের ভূমি সঞ্চয়ন সংলগ্ন প্লাবনভূমি থেকে সামান্য উঁচু যা হ্যালোইসাইট ও ইলাইটের সমন্বয়ে সৃষ্ট। এগুলো মিলে উত্তর-দক্ষিণে এটি প্রলম্বিত ভূভাগ গঠন করেছে যা স্মারক প্রত্নমৃত্তিকার অন্তর্গত। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ০.৯৭ থেকে ০.৯০ মিলিয়ন বছর পূর্বে এটি গঠিত হয়েছে।[৮] হাওর সৃষ্টির সাথে মধুপুর কর্দমের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়।[৯] উত্তর-প্লাইসটোসিন যুগে এ অঞ্চলটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বিভিন্নভাবে ক্ষয়ের কারণে বেশকিছু প্লাইসটোসিন সোপান আলাদা হয়ে গিয়েছে। পরে, এই সোপানগুলোই একটি অপরটির সাথে যুক্ত হয়ে ও খোলা স্থানে উর্বর পলিমাটিতে পূর্ণ হয়ে প্লাবনভূমির তৈরি হয়েছে।[১০]

এ অঞ্চলের মাটি অ্যালুমিনা (১৯.৯৫% থেকে ২১.০৭%) ও লৌহ অক্সাইডে (৮.১২% থেকে ৯.৮২%) সমৃদ্ধ।[১১] এছাড়াও এতে যৌগ পদার্থ, দ্রবণীয় লবণ ও উদ্ভিজ্জ পদার্থ রয়েছে।[১১] এর প্রসারণ ক্ষমতা হলোসিন যুগের মাটির চেয়ে সামান্য বেশি।[১১] ধনবাড়ীতে মূলত তিন ধরনের মৃত্তিকা বেশি দেখা যায়: গাঢ়-লাল বাদামি রঙের সোপান-মৃত্তিকা, অম্লীয় অববাহিকা এঁটেল মাটি ও অগভীর লাল-বাদামি সোপান-মৃত্তিকা।[১২]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

ধনবাড়ীর নবাব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী

২০০৬ সাল পর্যন্ত ধনবাড়ী উপজেলা, মধুপুর উপজেলার অধীন ছিল। ১৮৯৮ সালে মধুপুর উপজেলায় থানা স্থাপনের পর ১৯৮৩ সালে মধুপুরকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই মধুপুর উপজেলাকে বিভক্ত করে মধুপুর ও ধনবাড়ী নামে দুটি পৃথক উপজেলার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯৯৬ সালের ১২ আগস্ট মধুপুর উপজেলার দ্বিতীয় পৌরসভা হিসেবে ধনবাড়ীতে তৃতীয় শ্রেণীর (গ-শ্রেণী) পৌরসভায় গঠন করে। ২০১১ সালের ২৬ মে সরকার ধনবাড়ী পৌররসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণীর (খ-শ্রেণী) পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[১৩] পৌরসভার মোট আয়তন ২৪.৮৯ বর্গকিলোমিটার এবং এটি ৯টি ওয়ার্ড, ১১টি মৌজা ও ৩৫টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত। সব ইউনিয়ন মিলিয়ে উপজেলাটি মোট ১১২টি মৌজা ও ১৬৮টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হলেন খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন এবং মোঃ হারুনার রশিদ ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১টি পৌরসভা ছাড়াও ধনবাড়ী উপজেলা মোট ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নগুলো হলো, বীরতারা, বানিয়াজান, পাইস্কা, ধোপাখালী, যদুনাথপুর, মুশুদ্দিবলিভদ্র

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধনবাড়ীর সংসদীয় আসন টাঙ্গাইল-১। মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১৩০ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই মধুপুরের সংসদীয় আসনটি তৈরি করা হয়। প্রথম নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আব্দুস সাত্তার১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের নিজামুল ইসলাম, ১৯৮৮ সালে সতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক বিজয়ী হন।

১৯৯১ সালে পঞ্চম ও জুন ১৯৯৬ তারিখের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসান চৌধুরী সংসদ সদস্য হন। তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রীসভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৯১ সালে গঠিত সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সালাম তালুকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপির মহাসচিবস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৮ সালের সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১ সালে অষ্টম, ২০০৮ সালে নবম এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন। রাজ্জাক আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রীসভায় তাকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

সংখ্যাগত উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ধনবাড়ী উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১৮৩২৮৩ জন।[৬] এদের মধ্যে পুরুষ ৮৯৩৬২ জন এবং মহিলা ৯৩৯২১ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩১৬ জন, মোট ভোটার সংখ্যা ১৪২১৪০ জন, পুরুষ ভোটার ৬৯৬৪৮ জন, মহিলা ভোটার ৭২৪৯২ জন। ইসলাম ধর্মের অনুসারী ১৭৮৩৪৪ জন, হিন্দু ধর্মের অনুসারী ৪৮৫৩ জন এবং অন্যান্য ৮৬ জন।[৬] এ উপজেলায় গারোকোচ জাতির বসবাস রয়েছে।[১৪]

উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩৫১৪০ জন যার মধ্যে পুরুষ ১৭৮১৩ জন ও মহিলা ১৭৩২৭ জন, পাইস্কা ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২১৯৫৯ জন যার মধ্যে পুরুষ ১০৯০৩ জন ও মহিলা ১১০৫৬ জন, মুশুদ্দি ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২২৩০৫ জন, বলিভদ্র ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৩৯৯৫ জন, বীরতারা ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৭৭৫৬ জন, বানিয়াজান ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৩৩৭৯ জন যার মধ্যে পুরুষ ১১৪৫৬ জন ও মহিলা ১১৯২৩ জন এবং যদুনাথপুর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৪০০৪০ জন যার মধ্যে পুরুষ ১৯৩৯০ জন ও মহিলা ২০৬৫০ জন।[১৫]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন

২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী, ধনবাড়ী উপজেলার গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৪ ভাগ (পুরুষ ৪৫.৯%, মহিলা ৪২.২%)।[১৬] উপজেলায় ১১টি কলেজ, ২৭টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ২টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফাজিল পর্যায়ে ১টি মাদ্রাসা, ১৩টি দাখিল মাদ্রাসা, ২টি আলিম মাদ্রাসা এবং ২টি স্বতন্ত্র ভোকেশনাল সেন্টার রয়েছে।[৬] এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন (১৯১০), ধনবাড়ী ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), পানকাতা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৩), পাইশকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬০), ফকির আফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯) এবং ধনবাড়ী কলেজিয়েট মডেল স্কুল (১৯৮৫)।[১৪] বাজিতপুর আমির হেসেন উচ্চ বিদ্যালয়

ধনবাড়ী উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের অন্য সব শহরের মতই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রধানত পাঁচটি ধাপ রয়েছে: প্রাথমিক (১ থেকে ৫), নিম্ন মাধ্যমিক (৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (৯ থেকে ১০), উচ্চ মাধ্যমিক (১১ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদী হয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়, ৩ বছর মেয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক শিক্ষা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়। মূলত বাংলা ভাষায় পাঠদান করা হয় তবে ইংরেজি ব্যাপকভাবে পাঠদান ও ব্যবহৃত হয়। অনেক মুসলমান পরিবার তাদের সন্তানদের বিশেষায়িত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন মাদ্রাসাতে প্রেরণ করেন। মাদ্রাসাগুলোতেও প্রায় একই ধরনের ধাপ উত্তীর্ণ হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী সাধারণত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে।

ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জমি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ১৯১০ সালে ধনবাড়ীতে নওয়াব ইনস্টিটিউ নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।[১৭]

ভাষা ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

আদিকাল থেকেই বৃহত্তর ময়মনসিংহের পাহাড়ী এ অঞ্চলটিতে মুসলিম, হিন্দু, গারো সম্প্রদায়, কচি, বামনসহ বিভিন্ন জাতির বসবাস। ধনবাড়ীতে গারো ও কচি সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে তাই ভাষা ও সংস্কৃতি বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। ধনবাড়ী উপজেলার প্রধান ভাষা বাংলা। তবে গারো সম্প্রদায়ের লোকজন গারো ভাষায় কথা বলে। গারো ভাষার আঞ্চলিক আবেং উপভাষাটি এখানে বেশি ব্যবহার দেখা যায়। তবে এ ভাষার লিখিত কোনো বর্ণমালা নেই। ধনবাড়ীতে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজ নিজ রীতি-নীতি মনে চলে। বাংলাদেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মত বিয়ের অনুষ্ঠানে ডুলি এবং পালকির প্রচলন ছিল। পূর্বে ধনবাড়ীতে অতিথি আপ্যায়নের পর বস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উপঢৌকনস্বরূপ দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। এ উপজেলায় ১টি পাবলিক লাইব্রেরী, ৬টি সিনেমা হলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে।[১৪]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

ধনবাড়ী মূলত কৃষিপ্রধান অঞ্চল।[১৪] এ অঞ্চলের ৭৭.৩৭% জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি।[১৪] প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট, আখ, আলু এবং শাকসবজি। পূর্বে এ অঞ্চলে খেসারি, মটর, মিষ্টিআলু, মাষকলাই ডাল, তিল, তিসি ও গমের আবাদ করা হত। এছাড়াও এখানে কলা, কাঁঠাল, আনারস, আম, পেঁপে এবং জাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। ২০০১ সালের ভূমিজরিপ অনুসারে উপজেলার শহরে ৩২.২৭% এবং গ্রামে ৫০.৭৪% পরিবার কৃষিজমির মালিক।[১৪] কৃষি নির্ভর অর্থনীতির বাইরে মৎস্য, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগির খামার, আসবাবপত্রের কারখানা, কুটিরশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প ও ইটভাটাসহ প্রভৃতি এ উপজেলার অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।[১৪]

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

সড়কপথ ধনবাড়ী উপজেলার প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক এন৪ (জয়দেবপুর (এন৩, আর৩১০) - কাড্ডা (এন১০৫) - টাঙ্গাইল (এন৪০৪) - এলেঙ্গা (এন৪০৫) - মধুপুর (এন৪০১) - জামালপুর) ধনবাড়ী শহরকে জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে জামালপুরের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এন৪ সড়কটি মধুপুর উপজেলা থেকে এন৪০১ নাম্বার সড়ক হিসেবে ময়মনসিংহকে (এন৩) ধনবাড়ীর সাথে সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ টাঙ্গাইল-জামালপুর সড়কের মধুপুর উপজেলার পর এবং জামালপুর সদর উপজেলার পূর্বে ধনবাড়ীর অবস্থান। ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী অধিকাংশ বাস মহাখালী বাস টার্মিনালে এসে থামে। ধনবাড়ী জিরো পয়েন্ট থেকে সড়ক পথে টাঙ্গাইল জেলা সদরের দূরুত্ব ৬৩ কিলোমিটার, ময়মনসিংহের দূরত্ব ৬৭ কিলোমিটার, রাজধানী ঢাকার দূরত্ব ১৩৯ কিলোমিটার। এ উপজেলায় মোট রাস্তার পরিমাণ ৫১৭.১৮ কিলোমিটার যার মধ্যে ১০৫.৫৩ কিলোমিটার পাকারাস্তা ও ৪২১.২৫ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা।[৬]

স্বাস্থ্য[সম্পাদনা]

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য হার তুলনামূলক কম হলেও এটি মূলত দারিদ্র্যতার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এর উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধনবাড়ী অঞ্চলে অপুষ্টি, পরিবেশগত স্যানিটেশন সমস্যা, ডায়াবেটিস, সংক্রামক রোগ প্রভৃতি বেশি দেখা যায়। উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতালের সাথে সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৩টি ক্লিনিক, ১টি দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র এবং ১টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে।[১৮] বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ৯৩.৮৩% মানুষ নলকূপ থেকে, ০.১৮% পুকুরের, ০.৪৫% ট্যাপ থেকে ও ৫.৫৪% অন্যান্য উৎস থেকে পানি পান করেন।[১৯] ৫১.২৬% পরিবারে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থার মধ্যে গ্রামে ২৫.৪৬% ও শহরে ৬৫.১৩% এবং ৪৯.৩৬% পরিবারের স্যানিটেশন ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর।[১৯] এছাড়া, ১২.১৭% পরিবারের কোন স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই।[১৯]

উল্লেখযোগ্য স্থান[সম্পাদনা]

ধনবাড়ীতে বেশ কয়েকটি পর্যটন আকর্ষণ ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. (Sarkar 1992:44)
  2. D. Shamsul Haque Mia (মার্চ ১৯৯৯)। Education in Tangail। Tangail Forum। পৃষ্ঠা 26–27। 
  3. "ধনবাড়ী উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  4. "ধনবাড়ী উপজেলার পটভূমি"ধনবাড়ী উপজেলা (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  5. বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : টাঙ্গাইলবাংলা একাডেমি। ২০১৩। পৃষ্ঠা ২৭। আইএসবিএন 9840753347 
  6. "এক নজরে ধনবাড়ী"ধনবাড়ী উপজেলা। ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  7. "ধনবাড়ী উপজেলার পটভূমি"ধনবাড়ী উপজেলা। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  8. "মধুপুর কর্দম"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  9. "হাওর"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  10. "প্লাইসটোসিন সোপান"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  11. "ইটের মাটি"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  12. "কৃষি প্রতিবেশ এলাকা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  13. "নাগরিকদের উন্নত সুবিধা দিতে কাজ করছি: ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  14. "ধনবাড়ী উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  15. "এক নজরে যদুনাথপুর ইউনিয়ন"যদুনাথপুর ইউনিয়ন। ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  16. "Tangail Table C-06 : Distribution of Population aged 7 years and above by Literacy, Sex, Residence and Community" (পিডিএফ)bbs.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-১১-১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৫ 
  17. "University of Dhaka || the highest echelon of academic excellence"www.du.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১৮ 
  18. "এক নজরে ধনবাড়ী"ধনবাড়ী উপজেলা। ১১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২০ 
  19. "ধনবাড়ী উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২০ 
  20. "নবাব জমিদার বাড়ী"ধনবাড়ী উপজেলা (ইংরেজি ভাষায়)। ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 
  21. "নবাব বাড়ী মসজিদ"ধনবাড়ী উপজেলা (ইংরেজি ভাষায়)। ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]