নরসিংদী সদর উপজেলা
নরসিংদী সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে নরসিংদী সদর উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′৮″ উত্তর ৯০°৪৩′২০″ পূর্ব / ২৩.৯১৮৮৯° উত্তর ৯০.৭২২২২° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′৮″ উত্তর ৯০°৪৩′২০″ পূর্ব / ২৩.৯১৮৮৯° উত্তর ৯০.৭২২২২° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | নরসিংদী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২১৩.৪৪ বর্গকিমি (৮২.৪১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৫,৭৮,৫৬৩ |
• জনঘনত্ব | ২,৭০০/বর্গকিমি (৭,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৬৮ ৬০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নরসিংদী সদর বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান[সম্পাদনা]
মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীরবর্তি এ জেলা ২৩° ৪৬’ হতে ২৪° ১৪’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০°৩৫’ ও ৯০°৬০’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাএবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীর বিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলাটির নাম নরসিংদী। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবস্থানগত কারণে এ জেলা কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে এক সমৃদ্ধ জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ জেলা ২৩° ৪৬’ হতে ২৪° ১৪’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০°৩৫’ ও ৯০°৬০’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত।
ইউনিয়ন সমুহ[সম্পাদনা]
- চিনিশপুর ইউনিয়ন
- হাজীপুর ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর
- শিলমান্দি ইউনিয়ন
- মেহের পাড়া ইউনিয়ন
- পাঁচদোনা ইউনিয়ন
- আমাদিয়া ইউনিয়ন
- নূরালাপুর ইউনিয়ন
- কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর
- পাইকারচর ইউনিয়ন
- মহিষাশুরা ইউনিয়ন
- করিমপুর ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর
- নজরপুর ইউনিয়ন
- আলোকবালী ইউনিয়ন
- চরদিঘলদী ইউনিয়ন
ইতিহাস[সম্পাদনা]
এর রয়েছে এক গৌরবময় প্রাচীন ইতিহাস। সম্প্রতি জেলার বেলাব উপজেলাধীন উয়ারী-বটেশ্বর এলাকায় অসম রাজার গড় নামক স্থানে প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া এ জেলার রয়েছে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ঢাকার বাইরে প্রথম হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে এ জেলার পাঁচদোনা নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবলভাবে প্রতিরোধ করে এবং শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আহত হন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর একটি সাজোয়া যান ধ্বংস হয়। হতাহত হয় বেশ কিছু পাকিস্তানি সৈন্য। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদ, মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান, বরেণ্য কবি শামসুর রাহমান, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক ড.আলাউদ্দি আল আজাদ, পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেন এ জেলারই সন্তান।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
আধুনিক শিল্প ও বাণিজ্যে সমৃদ্ধ বর্তমান নরসিংদী জেলার রয়েছে ক্ষুদ্র তাঁত শিল্পের গৌরবময় অতীত ইতিহাস। প্রায় একশত বছর পূর্বে এ অঞ্চলে ছোট ছোট তাঁত শিল্প গড়ে উঠে। স্বাধীনতা লাভের পর এই তাঁত শিল্প আধুনিকতার ধারায় অগ্রসর হয়ে বর্তমানে (টেক্সটাইল, ডাইং ও প্রিন্টিং, নিটিং) পোষাক শিল্পে অত্যন্ত সমৃদ্ধ জেলা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প কারখানা যথা: পাটকল, সার কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কাগজ কল, চিনি কল, শুকনা ও তরল খাদ্য দ্রব্যের কারখানা (প্রাণ ফুডস) ইত্যাদিতে এ জেলা বহু পূর্ব হতেই সমৃদ্ধ। পাকিস্তানের গোড়ার দিকে এ অঞ্চলে ০৬ টি পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জেলায় ০২ টি ইউরিয়া সার কারখানা রয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ এ জেলার ঘোড়াশালে উৎপন্ন হচ্ছে। এ জেলায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য স্থানীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য রাজধানীসহ সারা দেশের চাহিদার অংশ বিশেষ জোগান দিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে এ জেলা উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মাধ্যমে কৃষিশিল্প বিকাশের সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৯৮৫-৯০ সালে বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক শিল্পনগরী উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর গ্রামে প্রায় ১৫ একর ভূমির উপর স্থাপিত হয় বিসিক শিল্পনগরী। এখানে মোট শিল্প কারখানার সংখ্যা ৭০টি। আরও ২০ টি শিল্প কারখানা নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নরসিংদী জেলার সুপরিচিতি রয়েছে। প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার হিসাবে খ্যাত কাপড়ের প্রাচীন পাইকারী বাজার "বাবুরহাট" নরসিংদী সদরে অবস্থিত। কালের বিবর্তনে বর্তমানে গ্রামের নাম অনুসারে সেকেরচর বাজার নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন ধরনের শাড়ী, থান কাপড়, বেড সীট/বেড কভার, লেপ তোষকের কাপড়, চাদর ইত্যাদি প্রস্তুত, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাইকারী বিক্রয় ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় | ১৩১ টি |
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় | ২ টি |
মাধ্যমিক বিদ্যালয় | ৩৫ টি |
কলেজ | ১৩ টি |
মাদ্রাসা | ১৯ টি |
শিক্ষার হার | ৬০% |
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- কবি শামসুর রাহমান
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে নরসিংদী সদর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১২ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |