পাকুন্দিয়া উপজেলা
পাকুন্দিয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ | |
বাংলাদেশে পাকুন্দিয়া উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′৫৫″ উত্তর ৯০°৪০′৫৯″ পূর্ব / ২৪.৩৩১৯৪° উত্তর ৯০.৬৮৩০৬° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′৫৫″ উত্তর ৯০°৪০′৫৯″ পূর্ব / ২৪.৩৩১৯৪° উত্তর ৯০.৬৮৩০৬° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | কিশোরগঞ্জ জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮০.৫২ বর্গকিমি (৬৯.৭০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১ [১]) | |
• মোট | ২,৩৭,২১৮ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৪০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ২৩২৬ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৪৮ ৭৯ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
পাকুন্দিয়া বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান[সম্পাদনা]
পাকুন্দিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা। এর আয়তন ১৮০.৫২ বর্গ-কিলোমিটার। পাকুন্দিয়াকে ঘিরে, পশ্চিমে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা, দক্ষিণ পশ্চিমে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা, দক্ষিণে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা, পূর্ব-দক্ষিণে কটিয়াদি উপজেলা, উত্তর দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে হোসেনপুর উপজেলা। প্রধান নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী। উপজেলার অভ্যন্তরে সিংগুয়া নামে আর একটি নদী বিল মইসবের থেকে কালিয়াচাপড়া হয়ে জেলার ভাটি এলাকা নিকলীর সাথে ঘোড়াউত্রা নদীতে মিশেছে।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলা কিশোরগঞ্জ শহর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার।
একটি পৌরসভা হচ্ছে:
ইউনিয়নগুলো হচ্ছে:[২]
- জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন, পাকুন্দিয়া
- চন্ডিপাশা ইউনিয়ন
- চরফরাদি ইউনিয়ন
- এগারসিন্দুর ইউনিয়ন
- হোসেন্দী ইউনিয়ন, পাকুন্দিয়া
- বুরুদিয়া ইউনিয়ন
- নারান্দী ইউনিয়ন
- পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন
- সুখিয়া ইউনিয়ন
যোগাযোগ[সম্পাদনা]
সড়কপথই যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এ উপজেলায় কোন রেল যোগাযোগ নেই।
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
পাকুন্দিয়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩৭,২১৮ (প্রায়)। এর মধ্যে পুরুষ ৫১.২৬ শতাংশ এবং মহিলা ৪৮.৭৪ শতাংশ (ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ৯৫.৭৫ শতাংশ মুসলমান ও ৪.২৫ শতাংশ হিন্দু)।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
পাকুন্দিয়া উপজেলায় মোট কলেজের সংখ্যা ৮ টি:
১। পাকুন্দিয়া ডিগ্রী কলেজ, পাকুন্দিয়া
২। পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ, পাকুন্দিয়া[৩]
৩। হোসেন্দী আদর্শ কলেজ, হোসেন্দী, পাকুন্দিয়া
৪। হাজী জাফর আলী কলেজ, মঠখোলা, পাকুন্দিয়া
৫। শিমুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, শিমুলিয়া, পাকুন্দিয়া
৬। জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, জাঙ্গালিয়া, পাকুন্দিয়া
৭। চর আদর্শ কলেজ ,চরকাওনা,পাকুন্দিয়া
৮। চরটেকী গার্লস কলেজ, পাকুন্দিয়া
পাকুন্দিয়া উপজেলায় মোট স্কুলের সংখ্যা ১২ টি:
১। কালিয়া চাপড়া চিনি কল উচ্চ বিদ্যালয়
২। শহীদ আলাউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাপুর, পাকুন্দিয়া
৩। বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বুরুদিয়া, পাকুন্দিয়া
৪। চরকাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া
শিল্প প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
কালিয়া চাপড়া চিনিকল (বিলুপ্ত) বর্তমানে নিটল-নিলয় চিনিকল হিসেবে বেসরকারী পর্যায়ে চালু আছে। পাকুন্দিয়ায় একটি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান আছে যার নাম ডেল্টা ফার্মাসিটিক্যাল। একটি কোল্ড স্টোরেজ আছে যার নাম এগারসিন্দুর কোল্ডস্টোরেজ। এছাড়া সরকারি বিএডিসি স্টোরেজ, একটি ময়দা ফ্যাক্টরি, এবং অটোরাইসমিল আছে।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
এ উপজেলা সবজির জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর এখানে অনেক সবজি ও ফল উৎপাদিত হয়। এখানের সবজি ও ফল বিশেষ করে সিলেট, ঢাকা সহ সারা দেশে সারা বছর সরবরাহ করা হয়। মংগলবাড়িয়ার লিচুর ঐতিহাসিক খ্যাতি এ উপজেলাতেই। তাছাড়া এখানে প্রচুর ধানও উৎপাদিত হয়, যা এখানের খাবারের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]
- আবুল কাসেম ফজলুল হক (জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪), বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ
- জীবন রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক
- মোহাম্মদ মতিউর রহমান (১০ মার্চ, ১৮৯২ - ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৫), বাংলাদেশের শিক্ষক, গবেষক ও লেখক[৪]
নদ নদী[সম্পাদনা]
পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪টি নদী রয়েছে। এগুলো হচ্ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, বানার লোয়ার নদী, ঘোড়াউত্রা নদী, এবং নরসুন্দা নদী।[৫][৬]
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- বারভূইয়াঁদের অন্যতম সোনার গাঁর শাসক ঈসা খাঁর দুর্গ হিসাবে পরিচিত এগারসিন্দুর পাকুন্দিয়ার ঐতিহাসিক স্থান।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাপিডিয়া (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "পাকুন্দিয়া উপজেলা"। http://bn.banglapedia.org/। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৬।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৭।
- ↑ "Institute Basic Information" [প্রতিষ্ঠানের মৌলিক তথ্য] (এক্সএলএস)। বাংলাদেশ উন্মুক্ত তথ্য বাতায়ন (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত; অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সম্পাদকগণ (নভেম্বর ২০১৩)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড (দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ৫৩৬। আইএসবিএন 978-81-7955-135-6।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০১, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৮। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |