নড়িয়া উপজেলা
নড়িয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে নড়িয়া উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৮′ উত্তর ৯০°২৪′ পূর্ব / ২৩.৩০০° উত্তর ৯০.৪০০° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°১৮′ উত্তর ৯০°২৪′ পূর্ব / ২৩.৩০০° উত্তর ৯০.৪০০° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | শরিয়তপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৪০.০২ কিমি২ (৯২.৬৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৩১,৬৪৪ |
• জনঘনত্ব | ৯৭০/কিমি২ (২৫০০/বর্গমাইল) |
স্বাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪১.৫৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮০২১–৮০২৩ ![]() |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নড়িয়া বাংলাদেশের শরিয়তপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
পরিচ্ছেদসমূহ
অবস্থান[সম্পাদনা]
এ উপজেলার মোট আয়তন ২০৩.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। নড়িয়া উপজেলার উত্তরে জাজিরা উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা, দক্ষিণে শরীয়তপুর সদর উপজেলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে জাজিরা উপজেলা অবস্থিত। ।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
নড়িয়া উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত।
পৌরসভা:
ইউনিয়ন সমূহ:
- মোত্তারেরচর ইউনিয়ন
- রাজনগর ইউিনয়ন
- নশাসন ইউনিয়ন
- ভােজেশ্বর ইউনিয়ন
- জপসা ইউনিয়ন
- ফতেজংপুর ইউিনয়ন
- বিঝারি ইউনিয়ন
- ভূমখাড়া ইউনিয়ন
- ডিংগামানিক ইউনিয়ন
- কেদারপুর ইউনিয়ন
- চরআএা ইউনিয়ন
- নওপাড়া ইউনিয়ন
- ঘরিষাড় ইউনিয়ন
- চামটা ইউনিয়ন
ইতিহাস[সম্পাদনা]
নড়িয়া উপজেলার নাম “নড়িয়া” নামকরণের ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায় নাই। তবে কথিত আছে যে, অত্র এলাকার সবচেয়ে বড় মৌজা নড়িয়া কে ১৯৩০ সালে নড়িয়া থানায় রুপান্তর করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়িয়া উপজেলা গঠিত হয়।
নড়িয়া থানার কেদারপুর নামক স্থান পূর্বে পদ্মা নদী-বিধৌত অঞ্চল ছিল। বারো ভূইঁয়াদের দু‘জন ভূইঁয়া চাদঁ রায় ও কেদার রায় এ অঞ্চলের শাসক ছিলেন। কেদার রায় মানসিংহের সেনাপতির সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন। ইহার ফলে তিনি নিহত হন। মসনদ ই আলা ঈশা খানই অন্যান্য রাজাদের প্রধান ছিলেন যার রাজত্ব ভাটি’ অর্থাৎ বক্ষ্মপুত্র, মেঘনা ও সুন্দরবনের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
বহুবারই দিল্লীর মুগল সম্রাট আকবর বাংলার এ অঞ্চল দখল করার জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। তথাপি তার পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীরের বাংলার গভর্ণর ইসলাম খার (১৬০৮-১৬১৩) সময়েই মূলতঃ এ দেশে মুগল রাজত্বের ভিত্তি হয়। তখন হতেই শরীয়তপুর অঞ্চলসহ বাংলার এ এলাকা মুগলদের পতন পর্যন্তই তাদের দখলে ছিল। ইসলাম খানের পর একুশজন গভর্ণর ১৬১৩ হতে ১৭৫৭ পর্যন্ত এ অঞ্চল শাসন করেন। এ সময়কাল ইতিহাসে শান্তি ও সমৃদ্ধির সময় হিসেবেই পরিচিত। তবুও এ সময়ে এ অঞ্চলের মানুষ পর্তুগীজ জলদস্যুদের সহায়তা প্রাপ্ত মগ ও আরাকানদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। নওয়াব শায়েস্তা খার আমলে (১৬৬৩-৭৮) ও (১৬৭৯-৮৮) মগ ও পর্তুগীজগন শায়েস্তা খানের এক অভিযানে নির্মুল হয় , যার ফলে তাদের শক্ত ঘাঁটি চট্টগ্রাম ও সন্ধীপের পতন হয়।
শায়েস্তা খাঁর সময়ে এদেশ খুবই শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অতিবাহিত হয়। তার সময় টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেতো।শায়েস্তা খাঁর পর ১৭০৩ হতে ১৭১৬ সাল পর্যন্ত নওয়াব মুর্শিদ খান অত্যন্ত দক্ষ মুগল গভর্ণর হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি এ জেলাসহ নিকটবর্তী অঞ্চলের ভূমি প্রশাসনের পুনর্গঠন করেন এবং জায়গীর প্রথা প্রবর্তনের মাধ্যমে অর্থ ও কর সংগ্রহের ব্যাপারে উন্নত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৭৫৭ সালের সেই পলাশির মর্মান্তিক পরিণতির পূর্ব পর্যন্ত নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা এ জেলা সহ বাংলার স্বাধীন নওয়াব হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা: ২,৩১৬৪৪ জন(প্রায়) পুরুষ: ১,০৯৯৬৭ জন(প্রায়) ২০১১ সালের আদমসুমারী গনর্না অনুযায়ী মহিলা: ১,২১৬৭৭ জন(প্রায়) লোক সংখ্যার ঘনত্ব: ৯৩৯ (প্রতি বঃ কিঃমিঃ)
শিক্ষা[সম্পাদনা]
- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৮৮টি
- বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৬১টি
- কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১২টি
- উচ্চ বিদ্যালয়: ৫টি
- দাখিল মাদ্রাসা: ০৪টি
- আলিম মাদ্রাসা:০১টি
- ফাজিল মাদ্রাসা: ০১টি
- কামিল মাদ্রাসা: ০০টি
- কলেজ(সহপাঠ): ০৫টি
- কলেজ(বালিকা): ০০টি
শিক্ষার হার: ৪১.৫৫%[সম্পাদনা]
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
নড়িয়া উপজেলা মূলত কৃষি এবং বৈদেশিক রেমিটেন্সের উপর নির্ভরশীল ।এছাড়াও বর্তমানে কিছু ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ উপজেলার ভোজেশ্বর বাজার ও ঘড়িষার বাজার প্রাচীন বাণিজ্যিক কেন্দ্র । এখান থেকে ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী একসময় কলিকাতা ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী পথে বাণিজ্যিকভাবে আনা নেয়া হতো। এছাড়া সুরেশ্বর ঘাট ও কার্তিকপুর লঞ্চঘাট থেকে কলিকাতা ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ ও স্টীমার চলাচল করত। বতমানে ভোজেশ্বর হাট-বাজার, ঘড়িষার হাট-বাজার , নড়িয়া বাজার ও মূলফত গঞ্জ বাজার প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র । এছাড়া ওয়াপদা ঘাট, চন্ডীপুর ঘাট, সুরেশ্বরঘাট, নড়িয়া, ভোজেশ্বরঘাট দিয়ে নদী পথে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হয় ।এখন সড়গ পথে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে ।
কৃতী ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, পতঙ্গবিশারদ, উদ্ভিদবিদ
- অতুলপ্রসাদ সেন, আইন ব্যবসা ও গানের গীতিকার
- গোলাম মওলা- চিকিৎসক ও ভাষা সৈনিক
- Col. Shawkat Ali - রাজনীতিবিদ ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার;
- আবু ইসহাক- কবি ও সাহিত্যিক।
- আবুল বাশার মুন্সী,গ্রাম-ভূমখাড়া- বীর মুক্তিযোদ্ধা ।
দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]
★সুরেশ্বর দরবার শরীফ - শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরে মাওলানা জান শরীফের মাজার অবস্থিত। এখানে প্রতি বছর শীতের শেষে তিন দিনের ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং বহু ভক্তের সমাগম হয়
★চিশতিনগর-পন্ডিতসারে শ্যামপুরি হুজুরের মাজার শরীফ অবস্থিত। পৃথিবীর বহুস্থান থেকে এখানে লোক সমাগম হয়ে থাকে। প্রতি বছর ১১ পৌষ হতে তিন দিনের ওরস হয়। এ ছাড়া পহেলা জ্যৈষ্ঠ তারিখে হযরত শাহ্ সূফি সৈয়দ গোলাম মাওলা হোসায়নী চিশতী শ্যামপুরী (র:) বা শ্যামপুরী হুজুর এর আবির্ভাব দিবস হিসেবে রোজে মোকাদ্দাস দিবস হিসাবে পালিত হয়।
★শিবলিঙ্গ- শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ কষ্ঠিপাথরের শিবলিঙ্গটি পাওয়া গেছে
★রাম সাধুর আশ্রম-শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানে শত বছরের পুরানো এই আশ্রমটি এই ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নই গোলক চন্দ্র সার্বভৌম ও শ্রীযুক্ত কালি কিশোর স্মৃতি রত্ন মহাশয়ের বাসস্থান। প্রতি বছর শীতের শেষে এই আশ্রমকে কেন্দ্র করে তিন দিনের মেলা বসে।
★মানসিংহের বাড়ী-নড়িয়া উপজেলায় ফতেজংগপুর ঐতিহাসিক মানসিংহের দুর্গের ভগ্নাবশেষ রয়েছে।
★মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম-নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের কলুকাঠি নামক গ্রামে এটি আবস্তিত।এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাছের একুরিয়াম ।তাছারা এখানে চিড়িয়াখানা সহ শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।শরীয়তপুর জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
পত্র পত্রিকা[সম্পাদনা]
নদ নদী[সম্পাদনা]
- পদ্মা নদী: এ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে প্রমত্তা পদ্মা নদী । এ উপজেলার ঘড়িষার, কেদারপুর, চরআত্রা, নওপাড়া, মোক্তারের চর এবং রাজনগর ইউনিয়নের উপর দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে । এছাড়া এ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত কীর্তিনাশা নদী পদ্মা নদীর থেকে উৎপন্ন হয়েছে । এছাড়া ঘড়িষার ইউনিয়ন ও ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের উপর দিয়ে পদ্মা নদীর একটি শাখা নদী প্রবাহিত হয়েছে । বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি এ অঞ্চলের কৃষি কাজ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে । এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের মৎস্য চাহিদার বিরাট একটা অংশ এ নদী থেকে পূরণ করা হয় ।
বিবিধ[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে নড়িয়া"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |