ধামরাই উপজেলা
ধামরাই | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে ধামরাই উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৬′২৪.০০০″ উত্তর ৯০°৯′০.০০০″ পূর্ব / ২৩.৯৪০০০০০০° উত্তর ৯০.১৫০০০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ঢাকা জেলা |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | বেনজীর আহমদ |
আয়তন | |
• মোট | ৩০৬.৩৩ বর্গকিমি (১১৮.২৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৪,১২,৪১৮ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০.০৮০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৩৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ২৬ ১৪ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ধামরাই উপজেলা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
নামকরণ[সম্পাদনা]
ইতিহাসের প্রাচীন ও সমৃদ্ধশালী এলাকা ধামরাই বিদ্যা, বুদ্ধি, টাকা এই তিনে ঢাকা। আজকের এ ধামরাই কোন একদিন আয়তনে ও অবস্থানে এমন ছিলনা। কালের বিবর্তনে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ গ্রাম শহরের আদল পেয়েছে। তখনও আর্যগণ এদেশে আসেনি। এ জনপদটি ছিল সমতল ও উর্বর। মাটির এই টানে দ্রাবিড়গণ এখানে আসে এবং বসতি স্থাপন করে। গড়ে তাদের সভ্যতা, বৌদ্ধ যুগে এই সভ্যতার আরও অগ্রগতি হয়। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর সম্রাট অশোক ছুড়ে ফেলেন তার রক্ত বসন। পরলেন পীতবাস শরণ নিলেন বুদ্ধের দীক্ষিত হলেন অহিংস ধর্মে। অতঃপর তিনি বুদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য বেছে নিলেন ৮৪ হাজার গ্রাম। এই প্রচার কেন্দ্রগুলোকে বলা হত ধর্ম রাজিকা/ধর্ম রাজিয়া। ধামরাই ছিল তন্মধ্যে অন্যতম প্রধান ধর্ম রাজিয়া বা প্রচারকেন্দ্র। ধর্ম রাজিয়া শব্দের অর্থ ধর্মরথ। এই ধর্ম রাজিয়া হতে ধর্মরাজি বা ধর্মপুর এবং এ থেকেই ধামরাই নামের উৎপত্তি।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে উত্তর-পশ্চিম দিকে ধামরাই উপজেলার অবস্থান। এর উত্তরে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলা, দক্ষিণে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে সাভার উপজেলা, পশ্চিমে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা ও টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলা।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ধামরাই উপজেলার ইতিহাস অনেক পুরোনো। ধামরাই থানা ১৯১৪ সালে গঠিত হয় এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৫ সালে।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
ধামরাই উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত;
- পৌরসভা - ধামরাই।
- ইউনিয়ন - আমতা, কুশুরা, গাংগুটিয়া, সূতিপাড়া, ভাড়ারিয়া, ধামরাই, বালিয়া, নান্নার, কুল্লা, যাদবপুর, সূয়াপুর, সানোড়া, চৌহাট, বাইশাকান্দা, সোমভাগ এবং রোয়াইল।
উপজেলা সদর ধামরাই পৌরসভায় অবস্থিত। ধামরাই পৌর কার্য্যালয় পৌর এলাকার উত্তরপাতায় অবস্থিত। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ কার্য্যালয় রয়েছে।
আয়তন | ৩০৬.৩৩ বর্গ কিলোমিটার |
জনসংখ্যা | ৪,১২,৪১৮ জন |
পৌরসভা | ০১ টি |
ইউনিয়ন | ১৬ টি |
মৌজা | ৩০৫ টি |
গ্রাম | ৪০৮ টি |
শিক্ষা[সম্পাদনা]
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
- ধামরাই সরকারি কলেজ।
- ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রী কলেজ।
- ধামরাই সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, রাজাপুর, ধামরাই।
- সূয়াপুর নান্নার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
- বেরশ শীবনাথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
- ওয়াদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়।
- আমতা হরলাল উচ্চ বিদ্যালয়।
- ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়।
- রোয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র।
- যশোমাধব মন্দির।
- সাইট্ট বট গাছ।
- বঙ্গবন্ধু কলেজ।
- বালিয়া জমিদার বাড়ী।
নদ-নদী[সম্পাদনা]
- বংশী।
- গাজীখালী।
- ধলেশ্বরী।
- কাকিলাজানি।
- কাজীগাং।
- হিরানদী।
এসব নদীগুলো ধামরাই’র সাথে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, সিলেট ইত্যাদি অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ধামরাই"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |