যশোর জেলা
যশোর | |
---|---|
জেলা | |
ডাকনাম: বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী, প্রথম ডিজিটাল জেলা, দক্ষিণ পশ্চিমের প্রবেশদ্বার | |
বাংলাদেশে যশোর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১০′১২″ উত্তর ৮৯°১২′০″ পূর্ব / ২৩.১৭০০০° উত্তর ৮৯.২০০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
যশোর | ১৭৮১ |
সরকার | |
• জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট | মোঃ আজাহারুল ইসলাম (১৫৯১৩) |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬০৬.৯৪ বর্গকিমি (১,০০৬.৫৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৭ মিটার (২৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারি)[১] | |
• মোট | ২৭,৬৪,৫৪৭ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার[২] | |
• মোট | ৭৭.০৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭৪০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
যশোর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে যশোর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[৩] এর অন্য একটি প্রচলিত বানান যশোহর। এটি প্রথম বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত জেলা। ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত এই যশোরকে ফুলের রাজধানীও বলা হয়। বাংলাদেশের প্রাচীন এবং বৃহত্তর জেলাসমূহের মধ্যে যশোর অন্যতম যা ১৭৮১ খ্রি: প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]যশোর একটি অতি প্রাচীন জনপদ। আনুমানিক ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পীর খান জাহান আলীসহ বারজন আউলিয়া যশোরের মুড়লীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। ক্রমে এ স্থানে মুড়লী কসবা নামে একটি নতুন শহর গড়ে উঠে । ১৫৫৫ খ্রীস্টাব্দের দিকে যশোর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যশোর-খুলনা-বনগাঁ এবং কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের অংশ বিশেষ যশোর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ১৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে যশোর নাটোরের রানী ভবানীর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । ১৮৬৪ সালে ঘোষিত হয় যশোর পৌরসভা। ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোর জিলা স্কুল, ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর পাবলিক লাইব্রেরি, বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় ও চতুর্থ দশকে যশোর বিমান বন্দর এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে কলকাতা ও খুলনার সাথে যশোরের রেল-যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলাটি যশোর।[৪]
নামের উৎপত্তি
[সম্পাদনা]যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত মেলে। ঐতিহাসিকদের মধ্যে এই জেলার নামকরণ সম্পর্কে মতবিরোধ দেখা যায়। আরবি ‘জসর’ থেকে যশোর শব্দের উৎপত্তি বলে মনে করেন অনেকে। এর অর্থ সাঁকো। এককালে যশোরের সর্বত্র নদীনালায় পরিপূর্ণ ছিল। নদী বা খালের ওপর সাঁকো বানানো হতো। পীর খানজাহান আলী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে ভৈরব নদী পেরিয়ে মুড়লীতে আসেন বলে জানা যায়। এই আরবি শব্দ 'জসর' (বাংলায় যার অর্থ বাঁশের সাঁকো) থেকে যশোর নামের উৎপত্তি। অনুমান করা হয় কসবা নামটি পীর খানজাহান আলীরই দেওয়া (১৩৯৮ খৃঃ)। তবে অনেকের অভিমত, খানজাহান আলী আসার আগে থেকেই ‘যশোর’ নামটি ছিল।
আবার অন্য একটি সূত্র হতে জানা যায় যে- মহারাজ প্রতাপাদিত্যের পিতা বিক্রমাদিত্য ও তার এক সহযোগি বসন্ত রায় গৌড়ের এক চরম অরাজকতার সময় সুলতানের অপরিমিত ধনরত্ন নৌকা বোঝাই করে গোপনে এই এলাকায় প্রেরণ করেন। গৌড়ের ধনরত্ন বোঝাই অসংখ্য নৌকা এখানে পৌঁছানোর পর ধীরে ধীরে বন জঙ্গলে আবৃত্ত এলাকাটির খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। প্রতিষ্ঠিত হলো একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। নবপ্রতিষ্ঠিত রাজ্যের নামকরণ হল যশোহর। প্রবাদ আছে, গৌড়ের যশ হরণ করে এই এলাকার শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় নবপ্রতিষ্ঠিত রাজ্যের নাম যশোহর রাখা হয়। স্থানীয় পুরাতন নাম যশোর পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নামকরণ হয় যশোহর। 'যশোর' শব্দটি 'যশোহর' শব্দের অপভ্রংশ।[৫][৬]
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]উত্তরে ঝিনাইদহ জেলা ও মাগুরা জেলা, দক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলা ও খুলনা জেলা, পূর্বে নড়াইল জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
প্রাশাসনিক দপ্তরসমূহ
[সম্পাদনা]যশোর জেলার উল্লেখযোগ্য প্রশাসনিক দপ্তর গুলো হল:
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
[সম্পাদনা]এ জেলায় ৮টি উপজেলা রয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি পুলিশ থানা রয়েছে এবং একটি বন্দর থানা রয়েছে।
- যশোর সদর উপজেলা
- বাঘারপাড়া উপজেলা
- অভয়নগর উপজেলা
- কেশবপুর উপজেলা
- চৌগাছা উপজেলা
- ঝিকরগাছা উপজেলা
- মনিরামপুর উপজেলা
- শার্শা উপজেলা
- বেনাপোল বন্দর থানা
শিক্ষা
[সম্পাদনা]অতীতে শিক্ষার হার কম থাকলেও দিনেদিনে এই হার ক্রমশ বাড়তেছে । ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সময় হতেই যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠান আছে এ জেলায়। যশোরে নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের সর্ববৃহৎ আইটি প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এছাড়া উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
- ৫১নং হালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সেকেন্দারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- আজমপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা
- রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পাকশিয়া আইডিয়াল কলেজ
- নিজামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- নিজামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজ, শাড়াতলা
- সুবর্ণখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শার্শা]-১৮৩১
- উপশহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, যশোর
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- উপশহর ডিগ্রী কলেজ, যশোর
- এসএন গাতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শার্শা১৯৩৮
- সোনানদীয়া গাতিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা
- যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-১৯৬৪ খৃস্টাব্দ
- গোড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,শার্শা১৯৯৬
- বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- এফ,জে,ইউ,বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বেনেয়ালী, ঝিকরগাছা
- জামিয়া আরাবিয়া মুহিউল ইসলাম
- জামিয়া এজাজিয়া দারুল উলুম যশোর
- যশোর সরকারি মহিলা কলেজ
- ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, যশোর
- যশোর মেডিকেল কলেজ
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ
- গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রী কলেজ
- বি এ এফ শাহীন কলেজ,
- সরকারী এম. এম. কলেজ-১৯৪১
- ২৯ নং উপশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
- নব-নগরী বালিকা বিদ্যালয়, উপশহর, যশোর
- উপশহর মহাবিদ্যালয়, যশোর
- বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইন্সটিটিউট, উপশহর, যশোর
- বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইন্সটিটিউট, ঈদগাহ, যশোর
- উপশহর শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়,যশোর
- সরকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, যশোর
- সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মাদ কলেজ,শার্শা১৯৯৫
- যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- যশোর জিলা স্কুল-১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে
- যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন যশোর-১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে
- দাউদ পাবলিক স্কুল
- যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
- মুসলিম একাডেমি যশোর
- বিমান বাহিনী একাডেমী, বাংলাদেশের একমাত্র বিমান বাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- যশোর জামিয়া ইসলামিয়া
- দারুল আরকাম মাদ্রাসা যশোর
- মুনসেফপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় -১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে
- গঙ্গানন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে
- হামিদপুর আল-হেরা কলেজ,যশোর
- আমদাবাদ কলেজ
- যশোর আমিনিয়া কামিল মাদরাসা
- যশোর সরকারি সিটি কলেজ
- কেশবপুর সরকারি কলেজ
- কেশবপুর সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ
- সাগরদাঁড়ী মাইকেল মধুসূদন ইনস্টিটিউশন
- সাগরদাড়ী আবু সরাফ সাদেক সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল
- মশিয়াহাটী ডিগ্রী কলেজ
- মশিয়াহাটী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়
- নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজ
- নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নওয়াপাড়া শংকরপাশা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নওয়াপাড়া ডিগ্রী কলেজ
- আকিজ কলেজিয়েট স্কুল
- মণিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়
- কাশিমনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কুয়াদা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- মনিরামপুর কারিগরি ভোকেশনাল ইন্সটিটিউ,
- রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজ, বাঘারপাড়া
- কয়ালখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালপাড়া
- মনিরামপুর কলেজ,
- মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ,
- বরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বাঘারপাড়া
- বাঘারপাড়া পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়,বাঘারপাড়া
- ঝিকরগাছা এম.এল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঝিকরগাছা, যশোর ১৮৮৮ সালে
- ঝিকরগাছা বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চৌগাছা কামিল মাদ্রাসা
- বুরুজ বাগান এম এল হাই স্কুল,শার্শা
- চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চৌগাছা হাজী সরদার মর্ত্তজ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
- চৌগাছা সরকারী কলেজ,
- চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ,
- এবিসিডি কলেজ,
- এস এম হাবিব কলেজ,
- ভবদহ মহাবিদ্যালয়
- পদ্মবিলা ফাযিল(ডিগ্ৰি)মাদরাসা, ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ
- ঝিকরগাছা দারুল উলুম কামিল মাদরাসা
- বাগআঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শার্শা, যশোর। (১২১৪৪৭)
- মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর
- ঢাকুরিয়া প্রতাপকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনিরামপুর, যশোর।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]যশোর-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২২.৯ (৭৩.২) |
২৭.০ (৮০.৬) |
৩৩.৪ (৯২.১) |
৪১.০ (১০৫.৮) |
৩৮.১ (১০০.৬) |
৩২.৬ (৯০.৭) |
৩১.৪ (৮৮.৫) |
৩১.৬ (৮৮.৯) |
৩২.১ (৮৯.৮) |
৩১.৫ (৮৮.৭) |
২৯.২ (৮৪.৬) |
২৪.৯ (৭৬.৮) |
৩১.৩ (৮৮.৪) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ১৫.৪ (৫৯.৭) |
১৯.৩ (৬৬.৭) |
২৬.১ (৭৯.০) |
৩৪.৬ (৯৪.৩) |
৩৩.০ (৯১.৪) |
২৯.২ (৮৪.৬) |
২৮.৪ (৮৩.১) |
২৮.৬ (৮৩.৫) |
২৮.৭ (৮৩.৭) |
২৭.২ (৮১.০) |
২৩.১ (৭৩.৬) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
২৬.০ (৭৮.৭) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ৯.০ (৪৮.২) |
১১.৭ (৫৩.১) |
১৮.৯ (৬৬.০) |
২৮.৩ (৮২.৯) |
২৭.৯ (৮২.২) |
২৫.৮ (৭৮.৪) |
২৫.৫ (৭৭.৯) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
১৭.০ (৬২.৬) |
১০.৬ (৫১.১) |
২০.৭ (৬৯.৩) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১১ (০.৪) |
১৯ (০.৭) |
৪০ (১.৬) |
৭৭ (৩.০) |
১৬৮ (৬.৬) |
৩১৪ (১২.৪) |
৩০৪ (১২.০) |
২৯৩ (১১.৫) |
২৪৫ (৯.৬) |
১৩৩ (৫.২) |
২৮ (১.১) |
৮ (০.৩) |
১,৬৪০ (৬৪.৪) |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৪৬ | ৩৫ | ৩৬ | ৪৪ | ৬০ | ৭৬ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৪ | ৭০ | ৫১ | ৪৪ | ৫৭ |
উৎস: climate-data.org |
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]যশোরের সাথে এর কাছাকাছি জেলাগুলির শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। পশ্চিম ও পূর্ব বাংলায় পরিবহনের জন্য এখানে সংযোজক আন্তর্জাতিক মহাসড়ক আছে।
যশোর বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় ব্রডগেজ-ভিত্তিক নেটওয়ার্কের একটি জংশন। নেটওয়ার্কটি ভারত পর্যন্ত প্রসারিত। রাজধানী ঢাকা এবং ভারতের কলকাতাকে সংযুক্ত করে পরিষেবাটি ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে চালু করা হয়েছিল। যশোর জংশন রুটটির মাঝখানে পড়েছে।
নগরীর কাছাকাছি যশোর বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানঘাঁটি। এটিই দেশের একমাত্র বিমানবন্দর যেখানে বিমান বাহিনীর সকল বৈমানিকদের বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটির রানওয়ে দিয়ে সামরিক বিমানসহ অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল করে। দৈনিক চলাচল করা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক বিমানের মধ্যে রয়েছে ইউএস-বাংলা, রিজেন্ট , নভো এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]চিংড়ি চাষ
[সম্পাদনা]যশোরের অথনীতিকে বেগবান করেছে মাছ চাষ। যশোরের অর্থনীতির সিংহভাগই আসে মাছ চাষ তথা চিংড়ি রফতানি করে।
বেনাপোল স্থল বন্দর
[সম্পাদনা]যশোরের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক দেশের প্রধান এবং সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থল বন্দর যা শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী বেনাপোল পৌরশহরে অবস্থিত। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের সিংহভাগ এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়। ওপারে আছে পেট্রাপোল। সরকারি আমদানী শুল্ক আহরণে বেনাপোল স্থল বন্দরটির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম সূত্র আমদানি-রপ্তানি এবং বেনাপোল স্থল বন্দরের কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এজেন্টের কাজ।
নওয়াপাড়া
[সম্পাদনা]যশোরের ব্যবসা বাণিজ্যর প্রাণ কেন্দ্র বলা যায় নওয়াপাড়াকে। এখানকার এবং আশেপাশের উদ্যোক্তাদের কারণে এখানে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এছাড়া নৌপথে আমদানি রপ্তানি হয়ে থাকে। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
গদখালি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী যশোর। বাংলাদেশের অধিকাংশ ফুল মূলত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালিতে চাষ হয়। এখানে উৎপাদিত ফুল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।[৭]
চিত্তাকর্ষক স্থান ও স্থাপনা
[সম্পাদনা]কেশবপুর উপজেলা
[সম্পাদনা]- মাইকেল মধুসূদন দত্ত এঁর বাড়ি "মধুপল্লী"
- শেখপুরা জামে মসজিদ
- ভরত রাজার দেউল (ভরত ভায়না)
- মীর্জা নগর নবাব বাড়ি
- হজরত পীর মেহের উদ্দিনের মাজার
- কপোতাক্ষ নদ
- বিদায় ঘাট, সাগরদাঁড়ি
- বাপাউবো কপোতাক্ষ ইকো পার্ক, সাগরদাঁড়ি
- নির্বাক যুগের টালিগঞ্জ চলচিত্রকর ধীরাজ ভট্টাচার্য্যের বাড়ী-পাজিয়া, কেশবপুর
- মাইকেল বংশভ্রাতৃদুহিতা মানকুমারী বসুর বাড়ি
- বিপ্লবী অরবিন্দ ও বারিণ ঘোষ সহোদারের মামা বাড়ি, সাগরদাড়ি যশোর
যশোর সদর উপজেলা
[সম্পাদনা]- চাঁচড়া জমিদার বাড়ি
- যশোর কালেক্টরেট ভবন ও পার্ক
- যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী
- যশোর পৌর পার্ক
- তাপস কুটির (কাস্টমস অফিস)
- যশোর বিমানবন্দর
- যশোর সেনানিবাস
- মনিহার সিনেমা হল
- লালদীঘির পাড়
- বিনোদিয়া পার্ক
- উপশহর পার্ক
- যশোর বোট ক্লাব
- জেস গার্ডেন পার্ক
- যশোর আইটি পার্ক
- বৈদ্যনথ তলা মন্দির, পাঁচবাড়িয়া, সদর, যশোর
শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মনিরামপুর, বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা
[সম্পাদনা]- বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দির, খেদাপাড়া
- ফুলের হাট গদখালি
- বেনাপোল স্থল বন্দর
- শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি
- এগারো শীব মন্দির
- আকিজ সিটি
- বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধি
- ঝাঁপা ভাসমান সেতু
- জগদীশপুর তুলার ফার্ম
- চিত্র পরিচালক নওরেশ মিত্রের বাড়ি
- বাংলা উপন্যাসিক নিমায় ভট্টাচার্য্যের বাড়ি
- তালখড়ি জমিদার বাড়ি
- ঝাঁপা বাওড়
- হরিহর পীরের দিভি
- নোয়াপাড়া নদী বন্দর, অভয়নগর
- ঐতিহাসিক যশোর রোড
- বেনাপোল পৌর গেট
নদী
[সম্পাদনা]- ভৈরব নদ
- কপোতাক্ষ নদ
- বেতনা নদী
- চিত্রা নদী
- মুক্তেশ্বরী
- হরিহর নদ
- মযুদখালী নদী
- ঝাঁপা বাওড়
- ভবদহ বিল
- শার্শা কন্যাদাহের আশ্চর্য বাওড়
- কুটিবাড়ি বিল, মাটিপুকুর
- পদ্ম বিল চাকলা
- কালিয়ানীর বিল বা বাহাদুরপুর বাওড়
- বুকভরা বাওড়
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
[সম্পাদনা]- আনোয়ারা সৈয়দ হক - অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক
- কেরামত মওলা - অভিনেতা
- ফারজানা রিক্তা - অভিনেত্রী
- হামিদা রহমান - নারী ভাষা সৈনিক
- হাজারীলাল তরফদার - বীর প্রতীক
- রশিদ আলী - বীর প্রতীক
- মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান - সাহিত্যিক ও ভাষাবিজ্ঞানী
- শেখ আকিজ উদ্দীন - শিল্পপতি
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত - কবি ও নাট্যকার
- কিরণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় - বাঙালি বিপ্লবী
- সরোজ দত্ত - ভারতীয় বামপন্থী রাজনীতিবিদ
- গোলাম মোস্তফা - মুসলিম রেঁনেসার কবি;
- আবুল হোসেন - কবি
- ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান - সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী
- বাঘা যতীন - শহীদ বিপ্লবী
- ইলা মিত্র - বিপ্লবী ও কৃষক নেতা
- রাধাগোবিন্দ চন্দ্র - জ্যোতির্বিজ্ঞানী
- রাজা প্রতাপাদিত্য - যশোর সম্রাট
- কোহিনূর আক্তার সুচন্দা - অভিনেত্ৰী
- ফরিদা আক্তার ববিতা - অভিনেত্ৰী
- গুলশান আরা চম্পা - অভিনেত্ৰী
- রিয়াজ - অভিনেতা
- শাবনূর- অভিনেত্ৰী।
- মুনিয়া ইসলাম- অভিনেত্রী।
- শাহ মোহাম্মদ ফারুক - বৈজ্ঞানিক
- শফিকুর রহমান
- এস এম আরিফ-উর-রহমান
- এএফএম মহিতুল ইসলাম
- দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক
- অবনীভূষণ চট্টোপাধ্যায় - গণিতজ্ঞ ও লেখক
- হাসিবুর রেজা কল্লোল - চলচ্চিত্র পরিচালক
- ইকবাল কাদির - গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাতা
- রসিকলাল চক্রবর্তী - সাধক সঙ্গীতজ্ঞ
- এহসানুল মাহবুব জুবায়ের - গ্রাফিক্স ডিজাইনার
- অরুণ মিত্র
- আকরাম আহমেদ
- আহমদ আলী এনায়েতপুরী
- আব্দুল্লাহ আল মামুন - ক্রিকেটার
- অমিত কুমার নয়ন
- সরলা বসু
- অরুণাচল বসু
- তরিকুল ইসলাম
- শিশির কুমার ঘোষ
- কাজী কামরুল হাসান
- কাজী হাসান হাবিব
- খালেদুর রহমান টিটো
- আলী কদর
- আলী রেজা রাজু
- শেখ আফিল উদ্দিন
- শেখ আব্দুল ওহাব
- রওশন আলী
- স্বপন ভট্টাচার্য্য
- পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য
- ইসমত আরা সাদেক
- আবু শারাফ হিজবুল কাদের সাদেক
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
যশোর কালেক্টরেট ভবন
-
যশোর সদর
-
রেলপথ
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে যশোর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন - বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। পৃষ্ঠা ৪০০। ২০২৪-০৯-২৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১১।
- ↑ "জেলাগুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার"। বাংলানিউজ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "জেলার পটভূমি"। jessore.gov.bd। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৪।
- ↑ জার্নি রিপোর্ট (২০১৮-১২-২৯)। "সাঁকো থেকে যেভাবে 'যশোর' নামের উৎপত্তি"। বাংলা ট্রিবিউন। ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৫।
- ↑ "৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস"। ১২ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ হাসনাত, রাকিব (২০১৯-০১-১৫)। "যেভাবে ফুলের রাজ্যে পরিণত হলো যশোরের গদখালী"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বাংলাপিডিয়ায় যশোর জেলা
- জেলা তথ্য বাতায়ন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে