আলমডাঙ্গা উপজেলা
আলমডাঙ্গা | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে আলমডাঙ্গা উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৫′৪৩″ উত্তর ৮৮°৫৭′১০″ পূর্ব / ২৩.৭৬১৯৪° উত্তর ৮৮.৯৫২৭৮° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | চুয়াডাঙ্গা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৬৫ বর্গকিমি (১৪১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,৪৫,৯২২ |
• জনঘনত্ব | ৯৫০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪৯.৪% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ১৮ ০৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
আলমডাঙ্গা উপজেলা বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা ।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের আলমডাঙ্গা উপজেলাটি খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্ভুক্ত। আলমডাঙ্গা উপজেলা ২৩°৩৭' উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°৫০' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৭' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°০০' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এর উত্তর পার্শ্বে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা ও মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ও ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা, পশ্চিমে দামুড়হুদা উপজেলা ও মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
নামকরণ[সম্পাদনা]
জনশ্রুতি আছে, এক বানভাসি বৃদ্ধা নান্দায় ভাসতে ভাসতে আলমডাঙ্গার কোন এক স্থানে উঠে এসে বলেছিলেন, ‘আলাম ডেঙায়!’ আর সেই থেকে এই জনপদের নাম হয়েছিল ‘আলামডেঙা’, যা কালক্রমে আলমডাঙ্গা নামে পরিচিত পাই। তবে এটা অনেকটাই কিম্বদন্তী। আরেকটি মত আছে যেটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। কথিত আছে আলমডাঙ্গার উপকণ্ঠে আসাননগর এলাকায় আলম ফকির নামে এক সাধক বাস করতেন। তাঁর নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয় আলমডাঙ্গা। আসাননগরের কিছু অংশ পার আলমডাঙ্গা নামে পরিচিত, যা আলম ফকির সম্পর্কীয় জনশ্রুতিকে কিছুটা হলেও সমর্থন করে। তবে আলম ফকিরের কোনো কবর বা মাজারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি।
মুক্তিযুদ্ধে আলমডাঙ্গা[সম্পাদনা]
মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তৎকালীন নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী ঘোষণা করে সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করলে এ অঞ্চলটি পাকিস্তানি বাহিনীর টার্গেট পয়েন্টে রুপান্তরিত হয়। ফলে এ অঞ্চলে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুহুর্মুহু প্রতিরোধ ও সম্মুখ যুদ্ধ লেগেই থাকে। আলমডাঙ্গায় সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্ধগুলো হচ্ছে- ১. হাড়গাড়ী সুকচা, বাজিদপুর যুদ্ধ- ১৩ আগস্ট, ১৯৭১। এ যুদ্ধে ১জন শহীদ হন, ২. আলমডাঙ্গা সদরে সংঘটিত যুদ্ধ- ১২ নভেম্বর, ১৯৭১। এ যুদ্ধে ৪জন শহীদ হন।
মুক্তিবার্তা (লাল কভার) অনুযায়ী বর্তমানে আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাঃ ৪৪৮ জন।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১টি পৌরসভা এবং ১৫ টি ইউনিয়ন রয়েছে ।
পৌরসভা[সম্পাদনা]
ইউনিয়ন[সম্পাদনা]
- আইলহাস ইউনিয়ন
- ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন
- হারদী ইউনিয়ন
- কুমারী ইউনিয়ন
- বাড়াদী ইউনিয়ন
- গাংনী ইউনিয়ন
- খাদিমপুর ইউনিয়ন
- জেহালা ইউনিয়ন
- বেলগাছি ইউনিয়ন
- ডাউকী ইউনিয়ন
- জামজামী ইউনিয়ন
- নাগদাহ ইউনিয়ন
- খাসকররা ইউনিয়ন
- কালিদাসপুর ইউনিয়ন এবং
- চিৎলা ইউনিয়ন
নদ-নদী[সম্পাদনা]
আলমডাঙ্গা উপজেলার অন্যতম নদীঃ মাথাভাঙ্গা নদী, কুমার নদ, নবগঙ্গা নদী[২][৩] ভাটুই নদী ও মরা নদী। এছাড়াও এখানে রয়েছে ওয়াবদার খাল, জহুরুলনগর খাল, অণুপনগর খাল প্রভৃতি। এখানকার অন্যতম বিলগুলো হলোঃ গাড়িয়াল বিল, বোয়ালিয়া বিল, বলেশ্বরপুর-হাড়োকান্দি বিল, রাযশাবিল, বেলসাদপুর কাঁঠালিয়া বিল, মনিদহ বিল, চাকিলার বিল, খড়কাটি বিল প্রভৃতি। এছাড়া ঘোলদাড়ী বাজারে অবস্থিত নীলকুটিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুটির নদী অন্যতম।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
আলমডাঙ্গা উপজেলায় শিক্ষার হার ৫৫.১৪%। আলমডাঙ্গা উপজেলায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো:
- আলমডাঙ্গা একাডেমী
- এরশাদপুর একাডেমী
- আলমডাঙ্গা আলিম মাদ্রাসা
- আলমডাঙ্গা পাইলট গাল্স হাই স্কুল
- আলমডাঙ্গা পাইলট হাই স্কুল
- আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ
- আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ
- এম.এস.জোহা কৃষি কলেজ
- এম.এস. জোহা ডিগ্রি কলেজ, হারদী
- নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজ
- হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সেবাবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
১৮৬২ সালে কলকাতার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে রেল পথে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে আলমডাঙ্গার যোগাযোগ সুবিধাজনক থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩৫টি হাট-বাজার রয়েছে। এ সকল হাটে বিভিন্ন ধরনের পশু, কৃষি পণ্য, তামাক, ভুট্টা প্রভৃতি ব্যাপক আমদানী ঘটে থাকে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ১৫০টি চালের মিল রয়েছে। মিলগুলো থেকে উৎপাদিত চাল উপজেলার অভ্যন্তরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রায় ২৫% লোক ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথে জড়িত।
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- কুমারী সাহা জমিদার বাড়ি
- আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি
- আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]
- খোদা বক্স - একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউল সাধক ও গীতিকার।
- আহাদ আলী মোল্লা - কাজী হায়দার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত
- মকবুলার রহমান
- কবি গোলাম রহমান
- আ ফ ম সিরাজ শামজী
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে আলমডাঙ্গা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৩। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- বাংলাপিডিয়ায় আলমডাঙ্গা উপজেলা
- আলমডাঙ্গা উপজেলা - জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
![]() |
খুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |