বাংলাদেশের জেলা পরিষদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জেলা পরিষদ হল বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি একক,[১] যা রাষ্ট্রে বিদ্যমান তিন ধরনের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জেলা পর্যায়ে কাজ করে। এর প্রধান হলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং এ সংস্থা ৮টি খাত নিয়ে কাজ করে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জেলা পরিষদ বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন ১৯৮৮ অনুযায়ী মনোনীত ও নিয়োগকৃত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। পরিষদের অর্ধেক সদস্য হল নির্বাচিত (এর মধ্যে রয়েছে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান) এবং অর্ধেক সরকার কর্তৃক মনোনীত সরকারী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালের ৬ জুলাই জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ প্রবর্তন করে এবং এর অধীনে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা ব্যতীত অন্যান্য জেলায় জেলা পরিষদ গঠনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সাংগঠনিক কাঠামো[সম্পাদনা]

একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের ৫ জন মহিলা সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত। একটি নবগঠিত জেলা পরিষদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর। জেলা পরিষদের নির্বাহী একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরকারের উপ সচিব পদমর্যাদার হয়ে থাকেন।

কার্যাবলি[সম্পাদনা]

জেলা পরিষদের কার্যাবলি দুই ধরনের -

  • আবশ্যিক
  • ঐচ্ছিক

আবশ্যিক[সম্পাদনা]

  • জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা।
  • সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ।
  • জনপথ, কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ,রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন
  • রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
  • উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা, সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান।
  • সরকার কর্তৃক অর্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা ও বাস্তবায়নকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা।
  • উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃক প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা।

ঐচ্ছিক[সম্পাদনা]

  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত কার্যক্রম
  • সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম
  • সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ ও সালাশী কার্যক্রম
  • অর্থনৈতিক কল্যাণমূলক কার্য

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "স্থানীয় সরকার"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৮