যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
এই নিবন্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে অনেকেই নিবন্ধটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অপরিচিত। (এপ্রিল ২০১৮) |
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। (এপ্রিল ২০১৮) |
| ধরন | সরকারি বিদ্যালয় |
|---|---|
| স্থাপিত | ২০০৭ |
| শিক্ষার্থী | প্রায় ১,৬০০ |
| অবস্থান | , |
| শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
| সংক্ষিপ্ত নাম | যশিমশক |
| ওয়েবসাইট | যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ |
সূচনা
যশোর জেলা সদরের উপশহরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ। শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত ভূমিকা পালন করে চলেছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ঐতিহ্য, সাফল্য ও সম্ভাবনার চারণভূমি। প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক অবকাঠামো সুবিধা, নান্দনিক সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও শিক্ষার গুণগত মান একজন শিক্ষার্থীর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। প্রতিষ্ঠানটি আজ বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ।
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সমূহের ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরের বাজেটে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের আওতাধীন এলাকায় কমপক্ষে একটি করে মডেল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করার সংস্থান রাখা হয়। উপরিউক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে 'যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর নিজস্ব অর্থায়নে ১০ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (পদাধিকার বলে) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের সচিব প্রফেসর নূরুল ইসলাম সরদার। গত ২৭/১২/২০১০ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন। ন্যায় ও জ্ঞানভিত্তিক এবং আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এক নতুন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর ২.৩৬ একর নিজস্ব জমির উপর যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি স্থাপিত হয়। দৃষ্টি নন্দন আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা বান্ধব স্থাপত্য নকশা প্রনয়ণ করেন। শুরু থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব। বাস্তবভিত্তিক ও আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর অনুমতিক্রমে ২০০৭ সালে মো: আব্দুল মজিদ (সহযোগী অধ্যাপক, উদ্ভিদবিদ্যা), প্রতিষ্ঠাতা উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ২০০৮ সালে প্রফেসর হয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে ৪ (চার) জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। তারা হলেন, ১. মধু কুমার সাহা (প্রভাষক, গণিত), ২. লাভলু হীরা মন্ডল (প্রভাষক, ইংরেজি), ৩. মো: জামাল হোসেন (প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ৪. মুহা: সাইফ উদ্দীন (প্রভাষক, ইসলাম শিক্ষা)। প্রথমে একাদশ শ্রেণির তিনটি শাখায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করে, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৮ সালে মাধ্যমিকের ৩য় (৪০ জন), ষষ্ঠ (৪০ জন) ও নবম শ্রেণির (বিজ্ঞান শাখায় ৫০ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৫০ জন) এই ৩টি শ্রেণিতে সর্বমোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তারপর ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে নার্সারি (৩০ জন) ও কেজি (৩০ জন) এই ২টি শ্রেণিতে ইংরেজি ভার্সন এ পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। এই শিক্ষার্থীরাই পরবর্তী সময়ে ১ম ও ২য় শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি ভার্সনে পড়ার সুযোগ পায়। অতঃপর ৩য় থেকে ১২শ শ্রেণিতে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত থাকে। ২০১৮ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয়।
প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ব্যয় ও প্রাজ্ঞ ভাবনা
যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ৯৮২.০০ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে জুলাই, ২০০৪ থেকে জুন, ২০০৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ইতোপূর্বে প্রকল্পের পিপি পাওয়া গেলে পরীক্ষান্তে মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০.০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে ডিপিপি আকারে প্রণয়নের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ড কে অনুরোধ করে এবং অর্থ বিভাগকে লিকুইডিটি সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। অর্থবিভাগ থেকে প্রকল্পের অনুকূলে ১৪৪৫.০০ লক্ষ টাকার লিকুইডিটি সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে মডেল স্কুল এন্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় এবং বোর্ডের বাজেট বিবরণীতে ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে প্রকল্পের জন্য ৩.০০ (তিন) কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্তের আলোকে মডেল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এরপর বিধি। মোতাবেক কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর প্রায় ৭৫.০০ লক্ষ টাকার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়। ২০শে জুন ২০০৫ ডিপিপির এক সভায় পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ অভিমত ব্যক্ত করেন, ছাত্র হোস্টেলের আয়তন হ্রাস করে একটি ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ অর্থাৎ ৫০ বেডের একটি ছাত্র হোস্টেল এবং ৫০ বেডের একটি ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের প্রভিশন রাখা হয়। একটি ৫২ সিটের বাসের পরিবর্তে ২৫/৩০ সিটের দুইটি মিনিবাস, (তখন বাস্তবায়ন না হলেও পরবর্তীতে ২০২০ সালে সরকার কর্তৃক একটি ৫২ সিটের বিআরটিসি বাসগাড়ি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করেন)। একাডেমিক ভবনের ফাউন্ডেশন চারতলার পরিবর্তে পাঁচতলা নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও বর্তমান ভবনটি চারতলা নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়, ভবিষ্যতে লিফট সংযোজনের জন্য লিফট বক্স এর পজিশন রাখা এবং লাইব্রেরির ব্যয় প্রাক্কলন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ ৩টি যানবাহন (২টি মিনিবাস+১টি মাইক্রোবাস) ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উক্ত প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য ১০ কোটি টাকার মধ্যে সংকুলান না হলে আরো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা যাবে। তবে এ ব্যয় লিকুইডিটি সার্টিফিকেট প্রদত্ত অর্থের মধ্যে (১৮৮৫,০০ লক্ষ টাকা) সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি প্রাথমিক অবস্থায় পাঁচ বছরের জন্য এমপিওভুক্ত হবে এবং পরবর্তীতে নিজস্ব তহবিল দ্বারা পরিচালিত হবে। মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম বছরের জন্য একটি স্টার্টআপ ফান্ড/সীড মানির প্রভিশন রাখা যেতে পারে। মডেল স্কুল ও কলেজের জনবল নিয়োগ বিদ্যমান সহকারী নীতিমালা অনুসরণ পূর্বক করা হবে এবং ডিপিপি হতে নিয়োগ নীতিমালা বাদ দিতে হবে। যুগ্ম-সচিব (মাধ্যমিক) প্রস্তাবিত মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্ণিং বডির সভাপতি হবেন এবং তিনি নিয়োগ কমিটির ও সভাপতি হবেন। সকল কনটেনজেন্সি একটি আইটেমের আওতায় প্রদর্শন করতে হবে এবং এর বিস্তারিত ব্যয় বিভাজন প্রদান করতে হবে। প্রকল্পটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে বিধায় যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী
কর্তৃপক্ষ হবে। ডিপিপিতে সকল আর্থিক ফিগার মিলিয়ন টাকায় প্রদর্শন করতে হবে। প্রকল্পটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে বিধায় যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ হবে। ডিপিপিতে সকল আর্থিক ফিগার মিলিয়ন টাকায় প্রদর্শন করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের নিজস্ব অর্থে ১৪.৪৫ (চৌদ্দ কোটি পঁয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা) কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত 'যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ লিকুইডিটি সার্টিফিকেট প্রদানে সম্মতি জ্ঞাপন করে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোরের ২০০৪-২০০৫,২০০৫-২০০৬ ও ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছরের বাজেটে প্রস্তাবিত প্রকল্পের অনুকূলে যথাক্রমে ৪ কোটি, ৫ কোটি ও ৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে। পূর্বল্লিখিত যা বাস্তবায়ন হয়েছে, সেসব তথ্যাবলী ছক আকারে প্রদত্ত হয়েছে।
নামকরণ
A beautiful name is better than a lot of wealth' নামকরণ কখনো ব্যক্তি বা স্থানকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য করা হয়। তেমনী একটা প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিয়েই এ প্রতিষ্ঠানের নাম করণ করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের প্রকল্পের আওতায় এবং বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ করা হয়। একজন শিক্ষার্থীর সাফল্য তার ফলাফলের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পায় তাই সে সাফল্য প্রকাশ করে শিক্ষাবোর্ড অর্থাৎ Model শিক্ষার্থী হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষাবোর্ডের আওতাভুক্ত ছিল সেহেতু শিক্ষাবোর্ডের নামানুসারে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়। যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এবং ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ হলে এই নামের সাথে নতুন করে সরকারি কথাটা লাগানো হয়। যে নামকরণটি সার্থক এবং অর্থবহ করে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
অবস্থান ও যোগাযোগ
কলেজের দক্ষিণ দিকে মহাসড়কের পাশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর উত্তরে হাউজিং আবাসিক এলাকা (ই ব্লক), পশ্চিমে ঢাকা- খুলনা মহাসড়ক ও খাজুরা বাস স্ট্যান্ড এবং পূর্বে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন। ২০০৭সালে সেক্টর নং-৭, ই ব্লক নতুন উপশহর, যশোর-৭৪০১। (মারকাস মসজিদের উত্তর পার্শ্বে) প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয় ২.৩৬ একর জায়গার উপর এক মনোরম পরিবেশে ৪ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক স্কুল এবং কলেজ ভবন যা সকলের এক নজরেই দৃষ্টি কাড়ে। ভবনের সামনেই দ্বিতলা বিশিষ্ট ২টি হোস্টেল ভবন রয়েছে। এছাড়া চার তলা বিশিষ্ট অধ্যক্ষের বাসভবন যেটা কলেজের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। কলেজটির ২টি প্রধান ফটক এবং সুউচ্চ প্রাচীর আছে।
পাঠদান কর্মসূচি
[সম্পাদনা]বর্তমানে এখানে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ
