বেনাপোল
| বেনাপোল | |
|---|---|
| স্থল বন্দর | |
| স্থানাঙ্ক: ২৩°২′৩১″ উত্তর ৮৮°৫৩′৪৪″ পূর্ব / ২৩.০৪১৯৪° উত্তর ৮৮.৮৯৫৫৬° পূর্ব | |
| দেশ | বাংলাদেশ |
| বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
| জেলা | যশোর জেলা |
| উপজেলা | শার্শা উপজেলা |
| সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
বেনাপোল ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের একটি পোর্ট থানা। বেনাপোল পোর্ট থানার অধীন তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলো যথাক্রমে বেনাপোল পৌরসভা, ইউনিয়ন, পুটখালী ইউনিয়ন ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন। বেনাপোলে বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর অবস্থিত। এই স্থলবন্দরের শুল্ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ। স্থলবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বন্দরনগরী বেনাপোল যশোর জেলার শার্শা উপজেলার অন্তর্গত। বেনাপোল ৮৫ যশোর-১ এলাকার অধীন।
বেনাপোল বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি পৌরশহর। এই পৌরশহর বর্তমানে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। শার্শা উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. কাজী নাজিব হাসান।[১] বেনাপোল রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার রেল চলাচল করে। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের দিকের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত। বেনাপোল থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। বেনাপোলে দুটি বাস টার্মিনাল আছে, যার একটি আন্তর্জাতিক মানের। একটি ট্রাক টার্মিনাল আছে। একটি কমিউনিটি সেন্টার আছে। হাই স্কুল মাঠ নামে একটি বড় খেলার মাঠ আছে। একটি ডিগ্রী কলেজ আছে যার নাম বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ। বেনাপোলে একটি বড় পৌর প্রবেশদ্বার আছে। বেনাপোল পৌর ভবন ৩ নং বেনাপোল ওয়ার্ডে অবস্থিত।
অবস্থান
[সম্পাদনা]বেনাপোল যশোর জেলার, শার্শা উপজেলার অন্তর্গত একটি পৌরশহর। এর নিজস্ব একটি থানা আছে। এই থানাটি বেনাপোল পোর্ট থানা নামে পরিচিত।
গুরুত্ব
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহৃত হয়। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং প্রধান স্থল বন্দর। বেনাপোল হতে কলকাতা মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[২] মোট স্থলবাণিজ্যের ৯০% এই বেনাপোলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে।[৩] ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে এখানে ৫০০ কোটি টাকার পণ্য বাণিজ্য সংঘটিত হয়। প্রতি বছর সরকার বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব অর্জন করে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে স্থল পথে গমনের প্রধান পথ যশোর-বেনাপোল-বনগাঁ-কোলকাতা গ্র্যান্ডট্রাংক রোড। এই পথে প্রতিদিন শত শত ভ্রমণকারী চলাচল করে থাকে। সকাল ৮টায় কার্যক্রম শুরু হয়।[৪]। এছাড়া রাজধানী ঢাকার সাথে সহজ যোগাযোগ এর জন্য, বেনাপোল থেকে নিয়মিত চলাচল করে "বেনাপোল এক্সপ্রেস" এবং "রুপসী বাংলা" নামে দুইটি ট্রেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://www.dailysokalersomoy.com/news/113613
- ↑ Padmanabhan, Mohan (১১ ডিসেম্বর ২০০৩)। "Petrapole, Benapole Customs points to get facelift soon"। The Hindu Business Line। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০০৯।
- ↑ "বেনাপোল স্থল বন্দর"। jashore.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "যাতায়াত ও বাণিজ্যের জন্য যশোরের গুরুত্ব অনেক"। প্রথম আলো। ১২ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।