বটিয়াঘাটা উপজেলা
বটিয়াঘাটা | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে বটিয়াঘাটা উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৪′৩৮″ উত্তর ৮৯°৩০′৫১″ পূর্ব / ২২.৭৪৩৮৯° উত্তর ৮৯.৫১৪১৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | খুলনা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৩৫.৩২ বর্গকিমি (৯০.৮৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৭১,৬৯১ |
• জনঘনত্ব | ৭৩০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪৭ ১২ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
বটিয়াঘাটা বাংলাদেশের খুলনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
বটিয়াঘাটা খুলনা জেলার একটি উপজেলা যা ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। জানা যায়, ১৮৬০ সালে নৌ পুলিশ ক্যাম্প ছিল। পরে ১৮৯২ সালে পুলিশ ক্যাম্পটি থানায় রুপান্তরিত হয়।
নামকরণ[সম্পাদনা]
সাধারণভাবে জানা যায় যে, খুলনা থেকে কলকাতায় স্টীমার যোগে যাওয়ার পথে বর্তমানে বটিয়াঘাটা একটি ঘাট ছিল এবং সুন্দরবন এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুন্দরবনের সুন্দরী কাঠের তৈরি সুন্দর সুন্দর বৈঠা বিখ্যাত ছিল। পরবর্তীতে ঐ নাম অনুসারে বৈঠাঘাটা নাম হয়। যার পরবর্তী নামকরণ হয় বটিয়াঘাটা।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
বটিয়াঘাটার ভৌগোলিক অবস্থান হল ২২°৪৪′৩০″ উত্তর ৮৯°৩১′০০″ পূর্ব / ২২.৭৪১৭° উত্তর ৮৯.৫১৬৭° পূর্ব। এখানে ২৩৬৯৮টি পরিবারের সদস্য রয়েছে মোট এলাকা ২৪৮.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তরে কোতোয়ালী ও সোনাডাঙ্গা থানা ও ডুমুরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে দাকোপ উপজেলা, পাইকগাছা উপজেলা ও বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলা, পূর্বে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলা ও রামপাল উপজেলা, রূপসা উপজেলা, পশ্চিমে ডুমুরিয়া উপজেলা ও পাইকগাছা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
বটিয়াঘাটার ৭টি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড, ১৩টি মৌজা/মহল্লা ১৫৮টি গ্রাম রয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -
- জলমা ইউনিয়ন
- বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন
- গংগারামপুর ইউনিয়ন
- সুরখালী ইউনিয়ন
- ভান্ডারকোট ইউনিয়ন
- বালিয়াডাংগা ইউনিয়ন
- আমিরপুর ইউনিয়ন
নদ-নদী[সম্পাদনা]
বটিয়াঘাটা উপজেলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে জলমা নদী, রূপসা নদী, শিবসা নদী, পশুর নদী, শৈলমারী নদী, কাজিবাছা নদী, ঝপঝপিয়া নদী, নলুয়া নদী। ভদ্রা নদী। গ্যাং রাইল নদী।[২][৩]
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
এই উপজেলার জনসংখ্যা ১,৭১,৭৫২ জন। যার মধ্যে ৮৬,৬৮৫ জন পুরুষ ও ৮৫,০৬৭ জন জন মহিলা। লোক সংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭৩০ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ৪০,৭৭৯টি।
[৪] শিক্ষা[সম্পাদনা]
প্রাথমিক বিদ্যালয়[সম্পাদনা]
- ৪৪নং কে বাইনতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- মোহাম্মাদ নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গাওঘরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বটিয়াঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বায়ারভাঙ্গা পশ্চিম পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গুপ্তামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- চকরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ৫৪নং তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- দক্ষিণ শোলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
এই এলাকার শিক্ষা বর্তমানে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়[সম্পাদনা]
- খারাবাদ বাইনতলা উচ্চ বিদ্যালয়
- চক্রাখালী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
- বটিয়াঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়
- বায়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর উচ্চ বিদ্যালয়
- হালিয়া বিনোদ বিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মহাবিদ্যালয়[সম্পাদনা]
- খারাবাদ বাইনতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
- খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজ
- বটিয়াঘাটা মহাবিদ্যালয়
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
নদী ভাঙ্গন এলাকা তাই অর্থনীতিতে দুর্বল,
কিন্তু প্রযুক্তি উন্নতির ফলে মানবিক ও সচেতনতায় ধীরে ধীরে অনেক অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে এই উপজেলার মানুষ। এছাড়াও এখানে চিংড়ি মাছের প্রচুর চাষ হয় যাকে হোয়াইট গোল্ড বলা হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]
পূনেন্দু গাইন (জলমা)
অসীম গোলদার (জলমা)
বিজয় ঢালী (জলমা)
মরহুমঃ আমীর আজম খাঁন (আমিরপুর)
শ্রী পঞ্চানন বিশ্বাস
শ্রী মনোরঞ্জন বিশ্বাস
অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস
দর্শনীয় স্থান এবং মন্দির[সম্পাদনা]
- শ্রী শ্রী নরনারায়ণ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম মঠ,(ফুলতলা)
- জলমাস্বরী কালী মন্দির(জলমা)
- জলমা নদী কূল
- রাধা-গোবিন্দ মন্দির (জলমা)
- জলমা মহাশস্মান
- চার নদীর মোহনা (বারোআড়িয়া,কুদলা,সুন্দর মহল)
- রানা রিসোর্ট, গোপালখালি
- ওয়াইসি পার্ক, গোপালখালি
- শোলমারি নদীর ব্রিজ
- বুনারাবাদ রাধাগোবিন্দ মন্দির
- দক্ষিণ শৈলমারী শ্মশান ঘাট কালী মন্দির
- দক্ষিণ শৈলমারী খলসি বুনিয়া মঠ
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বটিয়াঘাটা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারী ২০১৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ যাইয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসা।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
খুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |