ভেড়ামারা উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°০′৫৮″ উত্তর ৮৮°৫৯′৩৫″ পূর্ব / ২৪.০১৬১১° উত্তর ৮৮.৯৯৩০৬° পূর্ব / 24.01611; 88.99306
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভেড়ামারা
উপজেলা
মানচিত্রে ভেড়ামারা উপজেলা
মানচিত্রে ভেড়ামারা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°০′৫৮″ উত্তর ৮৮°৫৯′৩৫″ পূর্ব / ২৪.০১৬১১° উত্তর ৮৮.৯৯৩০৬° পূর্ব / 24.01611; 88.99306 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাকুষ্টিয়া জেলা
জাতীয় সংসদ আসনবাংলাদেশ-৭৬,কুষ্টিয়া-২
সরকার
 • সংসদ সদস্যহাসানুল হক ইনু (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ))
আয়তন
 • মোট১৫৩.৭২ বর্গকিমি (৫৯.৩৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,৪৫,৪৮০
 • জনঘনত্ব১,৬০০/বর্গকিমি (৪,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৭০৪০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৫০ ১৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ভেড়ামারা উপজেলা কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

ভেড়ামারা উপজেলার উত্তরে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা, দক্ষিণে মিরপুর উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা, পশ্চিমে দৌলতপুর উপজেলা। ভেড়ামারা ২৪.০১৬৭° উত্তর ও ৮৮.৯৯১৭° পূর্বে অবস্থিত ও আয়তন ১৫৩.৭২ বর্গকিলোমিটার।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নামকরণ

ভেড়ামারার নামকরণ নিয়ে তেমন কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লোকমুখে প্রচলিত আছে অতীতে ভেড়ামারায় প্রচুর ভেড়া পালন করা হত।

মুক্তিযুদ্ধে

ভৌগোলিক উপাত্ত[সম্পাদনা]

ভেড়ামারা।
ভূপ্রকৃতি
মৃত্তিকা

অত্র উপজেলার মৃত্তিকা স্তরে নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বালি পাতলা ও মোটা মিশানো পলি, কাঁদা, নূড়িও কাঁকড় মিশানো দো’আঁশ মাটি, আর মাত্র কয়েক জায়গায় রয়েছে এঁটেল মাটির প্রলেপ। অত্র উপজেলার মাটি প্রকৃতিগত ভাবে অত্যন্ত উর্বর এবং ফসল উপযোগী।

নদ-নদী[সম্পাদনা]

পদ্মা নদী ভেড়ামারা উপজেলার সীমানার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ভেড়ামারা উপজেলায় ২টি নদী আছে; এগুলো হচ্ছে হিশনা-ঝাঞ্চা নদী]।[২][৩] মূল্যবান বালি এবং পদ্মা নদীর মাছ গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।

সাংষ্কৃতিক বৈশিষ্ঠ্য[সম্পাদনা]

ভাষা
উৎসব
খেলাধুলা

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

৫৯টি মৌজা ও ৭৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ভেড়ামারাতে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে; এগুলো হলোঃ

নির্বাচনী এলাকা ও জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

ভেড়ামারা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৮০ জন; এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ৯০ হাজার ৭০০ জন এবং মহিলা রয়েছে ৮৪ হাজার ৭৮০ জন॥

ধর্ম

স্বাস্থ্য[সম্পাদনা]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

শিক্ষায় ভেড়ামারা কুষ্টিয়ার অন্যান্য উপজেলা থেকে যথেষ্ট এগিয়ে। এখানে আছে ৬০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যার মধ্যে ভেড়ামারা সাতবাড়ীয়া মডেল সপ্রাবি, ভেড়ামারা বোর্ড সপ্রাবি, বাহিরচর সপ্রাবি, জগশ্বর সপ্রাবি অন্যতম। আছে শতাধিক কিন্ডার গার্টেন স্কুল। ভেড়ামারায় আছে কুষ্টিয়ার অন্যতম সেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৮ সালে। এছাড়াও আছে ভেড়ামারা পাইলট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়,হালিমা বেগম একাডেমি,তাহের মাধ্যমিক বিদ্যালয়,হাজি আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পি ডি বি স্কুল সহ আরও কয়েকটা ভালো মানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কলেজ গুলোর মধ্যে আছে ভেড়ামারা সরকারি কলেজ,ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ,আদর্শ ডিগ্রি কলেজ,বি জি এম কলেজ। গত কয়েক বছর ধরে ভেড়ামারা কলেজ এর শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষায় কৃতিত্বমুলক সাফল্য দেখাচ্ছে। ভেড়ামারা উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ও এই ভেড়ামারা কলেজ। . ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ স্কুল কুষ্টিয়ার একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কৃষি[সম্পাদনা]

এখানে প্রচুর কৃষিজ ফসল উৎপন্ন হয়। প্রধান ফসলের মধ্যে পাট, তামাক, আখ, ধান,গম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ভূট্টা, মটর, মসুর, মাসকালাই, খেসারি,সরিষা ইত্যাদি ফসলও চাষ করা হয়। তাছাড়া এখানে উল্লেখযোগ্য হারে পান চাষ করা হয়।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

ভেড়ামারার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক।

শিল্প-প্রতিষ্ঠান

যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন। ভেড়ামারা উপজেলা সারাদেশের সাথে সড়কপথের মাধ্যমে এবং ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের মাধ্যমে রেলপথ দিয়ে সংযুক্ত।

কৃতি ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা[সম্পাদনা]

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
লালনশাহ সেতু
  • হার্ডিঞ্জ ব্রীজ
  • লালন শাহ সেতু
  • তিন গম্বুজ মসজিদঃ উপজেলা ধরমপুর ইউনিয়ন ।
  • গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প ( জি-কে প্রকল্প])।
  • ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ
  • ঘোড়েশাহ মাজারঃ
  • সোলেমান শাহ মাজারঃ ভেড়ামারা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ভেড়ামারা-রায়টা রোডের গোলাপনগর বাজার থেকে ১ কিলোমিটার ভেতরে পদ্মা নদীর কোলঘেঁষে অবস্হিত। মাজার কমিটির তথ্যানুযায়ী জানা যায় হযরত সোলাইমান শাহ নামক ইসলাম প্রচারক ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এখানে বাসস্হান গড়েন। তার মৃত্যুর পর অনুসারীরা তার কবরের পাশে মাজার গড়ে তোলেন। প্রতি বছর চৈত্র মাসের ২৮-৩০ তারিখ এখানে ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। ওরশ মোবারকে আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৫-৬ লক্ষ লোক এখানে আসে বলে মাজার কর্তৃপক্ষ জানান।

বিবিধ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (জুন ২০১৪)। "ভেড়ামারা এক নজরে"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। ২৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৫ 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]