দেবহাটা উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′৮″ উত্তর ৮৮°৫৭′৪৫″ পূর্ব / ২২.৫৬৮৮৯° উত্তর ৮৮.৯৬২৫০° পূর্ব / 22.56889; 88.96250
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেবহাটা
উপজেলা
দেবহাটা খুলনা বিভাগ-এ অবস্থিত
দেবহাটা
দেবহাটা
দেবহাটা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
দেবহাটা
দেবহাটা
বাংলাদেশে দেবহাটা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′৮″ উত্তর ৮৮°৫৭′৪৫″ পূর্ব / ২২.৫৬৮৮৯° উত্তর ৮৮.৯৬২৫০° পূর্ব / 22.56889; 88.96250 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাসাতক্ষীরা জেলা
আয়তন
 • মোট১৭৬ বর্গকিমি (৬৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা [১]
 • মোট১,৫১,৭১৭
 • জনঘনত্ব৮৬০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬৫.০০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৮৭ ২৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

দেবহাটা উপজেলা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তজুড়ে দেবহাটা উপজেলার অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে আশাশুনি উপজেলাসাতক্ষীরা সদর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। দেবহাটা ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

এই উপজেলার ইউনিয়নসমূহ -

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রায় ১৫০ বছর আগে দেবাটার টাউন শ্রীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেবহাটা পৌরসভা। ব্রিটিশ শাসনামলে টাউন শ্রীপুরকে বলা হতো এ আঞ্চলের বধি‌ষ্ণু অঞ্চল। ১৮ জমিদারের বাস ছিল এই গ্রামে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সব কিছু হারিয়ে গেছে। ভারত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা ইছামতি নদী সাতক্ষীরা উপজেলার সীমান্ত ঘেষা হাড়দ্দার পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে। ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে মানুষের আনাগোনা ছিল কলকাতায়। ইছামতি নদীর তীর ঘেষা টাউন শ্রীপুর, সুশীলগাঁতী ও দেবহাটা পাশাপাশি তিনটি গ্রাম। ইছামতির ওপারে ভারতের হাসনাবাদ রেল স্টেশন। যার কারণে ব্রিটিশ শাসনামলে এ অঞ্চলে মানুষের দ্বিতীয় ঠিকানা ছিল কলকাতা। একসময়ের দেবহাটা গ্রাম এখন উপজেলা সদর। কিন্তু টাউন শ্রীপুর এখন পৌরসভা থেকে এক অনুন্নত গ্রামে রুপ নিয়েছে। সাতক্ষীরা শহর খেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ইছামতি নদীর তীর ঘেষা গ্রামটির নাম টাউন শ্রীপুর। ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মের আগেই ব্রিটিশ সরকার ১৮৬৭ সালে দেবহাটাকে পৌরসাভা ঘোষণা করে। আর এই পৌরসভার কার্যালয় ছিল দেবহাটা টাউন শ্রীপুর গ্রামে। ঐ সময় বিভাগীয় শহর খুলনাতেও পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভারতের সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান শঙ্কর রায় চৌধুরী ভারতের সেনাপ্রধানের দ্বায়ীত্ব পালনকালেই ১৯৯৭ সালে শঙ্কর রায় চৌধুরী তার জন্ম ভিটা টাউন শ্রীপুর গ্রামে এসেছিলেন। পাকিস্তান সরকার সম্ভবত ১৯৫০-১৯৫১ সালে টাউন শ্রীপুর পৌরসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করে। পাকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন জমিদার অনীল স্বর্ণকার। কিন্তু দেবহাটা টাউন শ্রীপু্রে আর পৌরসাভা ফিরে আসেনি। ১৮ জমিদারের বাস দেবহাটা টাউন শ্রীপু্র ও সুশীলগাঁতী গ্রামে। জমিদারদের কেউ কেউ ছিলেন অত্যচারী, আবার কেউ কেউ ছিলেন মানবদরদী। আবার কোনো কোনো জমিদার সমাজে কিছু অবদানও রেখে গেছেন। দেবহাটার টাউন শ্রীপুরে জমিদারদের বিশাল অট্টালিকা, পূঁজা, মুন্দির ও থিয়েটার রুমের এখন আর কনো অস্তীত্ব নেই। ব্রিটিশ আমলের আধাপাঁকা রাস্তা এখন পিচঢালা পথ। দেবহাটা খেকে এই রাস্তা চলে গেছে পারুলিয়া বাজারে।

অর্থনৈতিক অবস্থা[সম্পাদনা]

সাদা সোনা নামে পরিচিত বাগদা চিংড়ি ও বিভিন্ন ধরনের নোনা পানির মাছ দেবহাটার প্রধান অর্থনৈতিক সম্পদ।

ঐতিহাসিক স্থান[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে দেবহাটা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]