রূপসা নদী
রূপসা নদী | |
রূপসা নদীর দৃশ্য, খুলনা
| |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ![]() |
---|---|
অঞ্চল | খুলনা বিভাগ |
জেলা | খুলনা জেলা |
নগর | খুলনা |
উৎস | ভৈরব নদ |
মোহনা | কাজিবাছা নদী |
দৈর্ঘ্য | ৯ কিলোমিটার (৬ মাইল) |
রূপসা নদী;বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৮৬ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক রূপসা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৮১।[১] নদীটি পদ্মার একটি শাখা নদী। এটি ভৈরব নদ থেকে উৎপত্তি হয়েছে এবং পরবর্তিতে পশুর নামে প্রবাহিত হয়েছে।[২] খুলনা তথা দক্ষিন অঞ্চলের লাইটার জাহাজ চলাচলের অন্যততম মাধ্যম। খুলনা অঞ্চলের বানিজ্যর বেশীর ভাগ রুপসা নদী কেন্দ্রিক। রুপসার তীরে আছে
বানৌজা তিতুমীর ও খুলনা শিপইয়ার্ড।
শিল্পের মধ্য নদীর তীরে জেলখানা ফেরিঘাটের বীপরীত পাড়ে আছে(সেনের বাজার) রাজাপুর সল্ট ররিফাইনারি লি:।
যেটা সৈয়দ জলিল এন্ড কোং লি: একটি প্রতিষ্ঠান এবং সারা দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবন সরবরাহের অন্যতম সেরা প্রতিষ্টান।
প্রবাহ[সম্পাদনা]
রূপসা নদীটি খুলনা শহরের জেলখানা ঘাট এলাকায় প্রবহমান ভৈরব নদ হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই উপজেলার জলমা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে কাজিবাছা নদীতে নিপতিত হয়েছে। নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ পরিদৃষ্ট হয় এবং ছোটবড় নৌযান চলাচল করে। তবে বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এ সময় নদীর তীরবর্তী অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। নদীটি জোয়ার ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত। এই নদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রথম শ্রেণির নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত।[১]
নদীর উৎপত্তি ও ইতিহাস[সম্পাদনা]
কথিত আছে যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নড়াইল জেলার ধোন্দা গ্রামের রূপচাঁদ সাহা নামক জনৈক লবণ ব্যবসায়ী নৌকায় যাতায়াতের জন্য ভৈরব নদের সঙ্গে কাজীবাছা নদীর সংযোগ করার জন্য একটি খাল খনন করেছিলেন। রূপচাঁদ সাহার নাম অনুসারে ঐ খালের নাম হয়েছিল রূপসা। পরবর্তীকালে ভৈরব নদের প্রচন্ড প্লাবনে এই ছোট খাল বিরাট ও ভয়ংকর নদীতে পরিণত হয়। রূপসা শুধু নিজেই নদীতে পরিণত হয়ে ক্ষান্ত হয়নি, কাজীবাছা নদীকেও প্রচন্ড ভাঙনের মুখে ফেলেছে।
রুপসা-পশুর সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বড় নদী। রূপসা মূলত দক্ষিণে মংলা বন্দরের কাছে পশুর নামে প্রবাহিত হয়ে ত্রিকোন ও দুবলা দ্বীপ দুটির ডান দিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। রূপসা নদীর তীরে ফুলতলা বাজার, গিলাতলা, দৌলতপুর ইত্যাদি অবস্থিত। রূপসা ও ভৈরব নদীর সঙ্গমস্থলে খুলনা শহর অবস্থিত। ভৈরব নদের দক্ষিণ তীরে রেণীগঞ্জ নামক স্থানে পুরাতন খুলনা অবস্থিত ছিল। অত্যাচারী নীলকর রেণী সাহেবের নামে এই স্থান রেণীগঞ্জ হয়।
অন্যান্য তথ্য[সম্পাদনা]
রূপসা নদী ১২ মাস সচল। বর্ষা মৌসুমে এর গভীরতা ১৭ মিটার এবং শুকনো মৌসুমে গভীরতা ১২ মিটারের মতো হয়। বর্ষা মৌসুমে পানিপ্রবাহ ১০ হাজার ৫০০ ঘনমিটার/সেকেন্ড। এই নদীতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব আছে। খুলনা সদর, ফুলতলা বাজার রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত।
সাহিত্যে রূপসা নদী[সম্পাদনা]
সাহিত্যের নানা শাখায় রূপসা নদীর প্রসঙ্গ এসেছে। জীবনানন্দ দাশ তার কবিতায়ও রূপসার কথা বলেছেন-
“ | হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে; হয়তো শুনিবে এক লক্ষীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে; |
” |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে রূপসা নদী সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ Masud Hasan Chowdhury (২০১২)। "Rupsa-Pasur River"। Sirajul Islam and Ahmed A. Jamal। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh। ১৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ বাংলাদেশের নদীঃ মোকাররম হোসেন; পৃষ্ঠা ৯২ ও ৯৩; কথাপ্রকাশ; দ্বিতীয় সংস্করণঃ আগস্ট ২০১৪
![]() |
বাংলাদেশের নদী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |