শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় (২৫ মার্চ, ১৯৩৩ - ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০১) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সম্পাদক ছিলেন। ছদ্মনাম- বৈকুন্ঠ পাঠক।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]সাহিত্যিক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম অবিভক্ত ভারতের খুলনা্তে(অধুনা বাংলাদেশ)। তার পিতার নাম মতিলাল ও মাতা কিরনবালা। খুলনা জিলা স্কুলে তার প্রাথমিক শিক্ষা। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তার পরিবার কলকাতায় চলে আসে। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ছাত্রাবস্থায় রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং বেলুড়ে ইস্পাত কারখানার কাজে যোগ দেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৫৬ সালে স্নাতক পাশ করে কলকাতার দক্ষিণে সাহাপুর মথুরানাথ বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে এবং ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পড়িয়েছিলেন।
সাহিত্য
[সম্পাদনা]শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন, ১৯৬১ সালে আনন্দবাজারে যোগ দেওয়ার পর তার ছোটগল্প হাজরা নস্করের যাত্রাসঙ্গী, ধানকেউটে ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। তার প্রথম উপন্যাস বৃহন্নলা, কিন্তু দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে কুবেরের বিষয় আশয় প্রকাশিত হওয়ার পরেই শ্যামলের লেখনী বাংলা পাঠকমহলে সমাদৃত হয়। ব্যক্তিজীবনে বোহেমিয়ান, সুরসিক ও আড্ডাবাজ ছিলেন তিনি। আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তা সন্তোষকুমার ঘোষের সাথে তার মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি যুগান্তরে যোগ দেন। যুগান্তরের সাহিত্য পত্রিকা অমৃত সম্পাদনা করতেন। দেশভাগের ওপর রচিত তার উপন্যাস আলো নেই। তার শেষ উপন্যাস হল গঙ্গা একটি নদীর নাম। ১৯৯০ সালে অবসরের পরে আজকাল পত্রিকা ও সাপ্তাহিক বর্তমানে নিয়মিত লিখতেন তিনি। গ্রামীণ জীবন, চাষবাস, সম্পর্কের জটিলতা ইত্যাদি শ্যামলের রচনার বৈশিষ্ট্য। ছোটদের জন্যে সাধু কালাচাদের গল্প, ভাস্কো ডা গামার ভাইপো, ক্লাস সেভেনের মিস্টার ব্লেক ইত্যাদি বই লিখেছেন। ১৯৯৩ সালে শ্যামল সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন তার বিখ্যাত উপন্যাস শাহজাদা দারাশিকোহ বইটির জন্যে।[১][২] তার সম্পাদিত গ্রন্থ বাংলা নামে দেশ। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দেশ বিদেশের নানা ভাষাতে অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।[৩]
গ্রন্থ তালিকা
[সম্পাদনা]- কুবেরের বিষয় আশয়
- ঈশ্বরীতলার রূপকথা
- কঠীন সময়
- কন্দর্প দর্পন
- কামিনীকাঞ্চন
- ক্ষমতার বারান্দা
- গত জন্মের রাস্তায়
- সাধু কালাচাঁদ সমগ্র
- সিদ্ধকামিনী
- সুধাময়ীর দিনলিপি
- তারসানাই
- দশ লক্ষ বছর আগে
- বেঁছে থাকার স্বাদ
- ভালবাসিব না আর
- মহাজীবন
- যতীন দারোগার বেদান্ত
- শাহজাদা দারাশুকো(২ খণ্ড)
- আলো নেই (১ ও ২ খণ্ড)
- নির্বান্ধব
- ক্লাস সেভেনের মিস্টার ব্লেক
- হিম পড়ে এল
- মহাকাল মেলের প্যাসেঞ্জার
- বাজার সফর
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সাদৃশ্যের সন্ধানে"। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৫, ২০১৮।
- ↑ "শ্যামলদার বিষয় আশয়"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৮।
- ↑ দ্বিতীয় খন্ডের সংযোজন, অঞ্জলি বসু (২০০৪)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৬৫।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- বাঙালি লেখক
- বাঙালি ঔপন্যাসিক
- বাংলা ভাষায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় ঔপন্যাসিক
- ভারতীয় ম্যাগাজিন সম্পাদক
- বাংলা ভাষার লেখক
- ১৯৩৩-এ জন্ম
- ২০০১-এ মৃত্যু
- বাঙালি হিন্দু
- ২০শ শতাব্দীর বাঙালি
- ভারতীয় ঔপন্যাসিক
- ভারতীয় পুরুষ ঔপন্যাসিক
- কলকাতার লেখক
- ভারতীয় সম্পাদক
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- খুলনার ব্যক্তি
- পশ্চিমবঙ্গের ঔপন্যাসিক
- ভারতীয় লেখক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখক
- ভারতীয় পুরুষ লেখক
- ভারতীয় ছোটগল্পকার
- ভারতীয় পুরুষ ছোটগল্পকার
- ভারতীয় সাংবাদিক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় সাংবাদিক
- ভারতীয় পুরুষ সাংবাদিক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় ছোটগল্পকার