নটর ডেম কলেজ, ঢাকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৩′৪৮″ উত্তর ৯০°২৫′১৬″ পূর্ব / ২৩.৭৩০০° উত্তর ৯০.৪২১১° পূর্ব / 23.7300; 90.4211
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Mrb Rafi (আলোচনা | অবদান)
→‎শিক্ষা পরিবেশ: সম্প্রসারণ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১৫২ নং লাইন: ১৫২ নং লাইন:
প্রতিষ্ঠানে প্রতি সপ্তাহে এক ঘন্টা কিংবা তারও বেশি সময় শুধুমাত্র সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়। প্রায় সপ্তাহেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠানে কোনো না কোনো সহশিক্ষা সংগঠনের উৎসব আয়োজিত হয়। প্রতি মাসে অন্তত একবার প্রতিষ্ঠানের আদর্শ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের সময় ব্যবহার করে নৈতিক পাঠ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। <ref name="NDCIntro" />
প্রতিষ্ঠানে প্রতি সপ্তাহে এক ঘন্টা কিংবা তারও বেশি সময় শুধুমাত্র সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়। প্রায় সপ্তাহেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠানে কোনো না কোনো সহশিক্ষা সংগঠনের উৎসব আয়োজিত হয়। প্রতি মাসে অন্তত একবার প্রতিষ্ঠানের আদর্শ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের সময় ব্যবহার করে নৈতিক পাঠ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। <ref name="NDCIntro" />


১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত একটানা সাতবার প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে। <ref name="Banglapedia" /> শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতস্বরূপ ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানের পদার্থবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সুশান্ত কুমার সরকার জাতীয়ভাবে কলেজ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মাননা পান।<ref name="bandg" />
১৯৫৯ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষায় প্রশংসনীয় সাফল্য লাভের জন্য প্রতিষ্ঠানটি তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান]]ের শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত একটানা সাতবার প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে। <ref name="Banglapedia" /> শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতস্বরূপ ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানের পদার্থবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সুশান্ত কুমার সরকার জাতীয়ভাবে কলেজ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মাননা পান।<ref name="bandg" />


===ভর্তি প্রক্রিয়া===
===ভর্তি প্রক্রিয়া===

১২:১৪, ১৬ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নটর ডেম কলেজ
নটর ডেম কলেজের প্রবেশমুখ
লাতিন: Notre Dame College
প্রাক্তন নামসমূহ
সেন্ট গ্রেগরী কলেজ
নীতিবাক্য
ধরনউচ্চ মাধ্যমিক
স্থাপিত১৯৪৯ (1949)
ধর্মীয় অধিভুক্তি
খ্রিস্টান ক্যাথলিক গির্জা
অধ্যক্ষহেমন্ত পিউস রোজারিও, সিএসসি[১]
সহ-অধ্যক্ষলেনার্ড শংকর রোজারিও
শিক্ষার্থী৬০০০+
অবস্থান, ,
শিক্ষাঙ্গনশহর
ভাষাবাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম
সংক্ষিপ্ত নামএনডিসি
ওয়েবসাইটnotredamecollege-dhaka.com
চিত্র:Logo of Notre Dame College.jpg
মানচিত্র

নটর ডেম কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হলি ক্রস সংঘের খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের দ্বারা নটর ডেম কলেজ প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। বর্তমানে এটি কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছাকাছি মতিঝিল থানার আরামবাগে অবস্থিত।

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠাকালীন ইতিহাস

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর সদ্য স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানে সরকার তৎকালীন ক্যাথলিক গির্জা প্রধানকে কয়েকটি কলেজ চালু করার অনুরোধ জানান। সরকারের আমন্ত্রণ পেয়ে তৎকালীন আর্চবিশপ লরেন্স গ্রেনার ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের যাজক-যাজিকাদেরকে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে কলেজ স্থাপনের নির্দেশ দেন। [২]১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের[৩] নভেম্বর মাসে ঢাকার ৮২ মিউনিসিপ্যাল অফিস স্ট্রিট, লক্ষ্মীবাজারে হলি ক্রসের সিদ্ধান্ত অনুসারে রোমান ক্যাথলিক পাদ্রি সম্প্রদায় কর্তৃক সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলের পরিবর্ধন। পরবর্তীতে ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে ৬১/১ সুভাষ বোস এভিনিউ, লক্ষ্মীবাজারে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হয়। [৩] ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি আরামবাগে স্থানান্তর করা হয়। তখন এটির নামকরণ করা হয় নটর ডেম কলেজ[৪]১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে কার্ডিনাল ভ্যালেরিয়ান গ্রাসিয়াস নটর ডেম কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কলেজটি প্রথমে কলা ও বাণিজ্য বিষয়ে পড়ালেখা চালু করলেও পরবর্তীতে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ এবং ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে বি.এস.সি চালু করে। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে নটর ডেম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়ে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সেরা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[৩] বর্তমানে এটি দেশের প্রথম সারির কলেজের মধ্যে পরিগণিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রারম্ভিক ইতিহাস

১৯৪৯ সালের ৩রা নভেম্বর কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ১৯ জন ছাত্র নিয়ে নটর ডেম কলেজ যাত্রা শুরু করে। ১৯৫০ শিক্ষাবর্ষে যেসব ছাত্র ভর্তি হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন। তিনি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[৫] সে বছর যে ৮ জন ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তাদের ৫ জন প্রথম বিভাগ লাভ করে। ১৯৫১ সালে ছাত্রসংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ তে। সে বছরই তিন রাত্রি কলেজের ছাত্ররা সেন্ট গ্রেগরি স্কুল প্রাঙ্গনে উইলিয়াম শেকসপিয়রের নাটক 'দি টেম্পেস্ট' মঞ্চস্থ করে, যাতে প্রচুর দর্শক পাওয়া যায়। ১৯৫২ সালের ছাত্রদের মধ্যে ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আইএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২]

মুক্তিযুদ্ধ ও তৎপরবর্তী ইতিহাস

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন রিচার্ড উইলিয়াম টিম। যুদ্ধকালীন সময়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে বলে অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো নটর ডেম কলেজেও নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সরকার থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ছাত্র অনুপস্থিতির জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ছাড়া পথ ছিলনা।[৬] এদিকে অধ্যক্ষের প্রাণনাশের জন্য বেনামি হুমকি পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ছাত্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখায় এ হুমকি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারকেই এর জন্য সন্দেহ করা হয়। যুদ্ধকালীন শেষ কয়েক সপ্তাহ প্রতিষ্ঠান অঙ্গন রেডক্রস-জাতিসংঘের সুরক্ষিত স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং জাতিসংঘের ৪৪ জন কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানটিকে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেন। প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সংগঠক। [৭] মুক্তিযুদ্ধে কলেজের সাবেক ছাত্র লে.আশফাকুস সামাদ ও মোহাম্মদ নাসিম মোহসিন জীবন দান করেন। [২] ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুণ দু'জন চিকিৎসক ডা. আজহারুল হক এবং ডা. হুমায়ূন কবিরকে আল বদর বাহিনীর সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করে এবং নটর ডেম কলেজের পাশে লাশ ফেলে রাখে। [৮]

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অধ্যক্ষ রিচার্ড উইলিয়াম টিম শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে দেশ পুনর্গঠনের কাজে অংশ নেন। তিনি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে দেশের ত্রাণ, পুনর্বাসন, মানবাধিকার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন। নটর ডেম কলেজের ছাত্ররাও তখন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের সাথে প্রান্তিক এলাকাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তার জন্য গমন করে।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। তখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিষ্ঠানের জনশক্তি ত্রাণকাজে নিয়োগ করা হয়। দিনে প্রায় পনেরোশো মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে খাবার ব্যবস্থা করা হতো। ১৯৭৪ সালের বন্যা ও দূর্ভিক্ষেও ও প্রশাসন দূর্যোগ মোকাবিলায় সরকারকে সাহায্য করে। [৬]

নামকরণ, মূলনীতি ও প্রতীক

নটর ডেম কলেজের 'নটর ডেম' শব্দ দুটো ফরাসি ভাষা থেকে নেয়া হয়েছে। ইংরেজিতে যার অনুবাদ হলো Our Lady। রোমান ক্যাথলিকগণ 'আওয়ার লেডি' বলতে যিশুখ্রিষ্টের মা মারিয়া বা ম্যারিকে বুঝিয়ে থাকেন। তাই ক্যাথলিকদের দ্বারা পরিচালিত এই কলেজটির নাম সেই মহীয়সী নারীকে উৎসর্গ করে রাখা হয়।[৯]

মাতা মেরির মোজাইক করা চিত্র

কলেজের মূলনীতি হলো: Diligite Lumen Sapientiae, যার অর্থ জ্ঞানের আলোকে ভালোবাসো। ক্যাথলিক ধর্মমতে, যিশুখ্রিস্টের মা ম্যারি হলেন জ্ঞানের প্রতীক। "জ্ঞান" (Sapientiae) শব্দটি কলেজের মুখ্য উদ্দেশ্য একাধারে জ্ঞানার্জন ও জ্ঞানের উৎস স্রষ্টাকে লাভ করার প্রতি ইঙ্গিত করে। "আলো" (Lumen) শব্দটি দ্বারা অন্ধকারকে দূরীভূত করা ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করতে পারার প্রতি ইঙ্গিত করে। আর "ভালোবাসো" (Diligite) শব্দটি দ্বারা ভালোবাসার সাথে জ্ঞান আহরণের প্রতি ইঙ্গিত করে।

নটর ডেম কলেজের প্রবেশদ্বারে মোজাইক করা লোগো

নটর ডেম কলেজের প্রতীকের সবচেয়ে উপরে রয়েছে একটি খোলা বই, যার বাম পাতায় বড় ছাদের গ্রিক অক্ষর 'আলফা' (Α) এবং ডান পাতায় বড় ছাদের 'ওমেগা' (Ω) রয়েছে। আলফা-ওমেগা হলো গ্রিক বর্ণমালার, যথাক্রমে প্রথম ও শেষ অক্ষর। এর দ্বারা একই সাথে সমগ্র জ্ঞান এবং বাইবেলের রহস্যোদ্ঘাটন অধ্যায়ের যিশুর একটি উক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে। এছাড়া বই হচ্ছে জ্ঞানের বাহন। সম্মিলিতভাবে এই প্রতীকগুলো প্রকাশ করছে: যুগ যুগ ধরে আহরিত যাবতীয় জ্ঞান বইয়ের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে আছে এবং তা অর্জন করতে পারলেই জীবন আলোকময় হয়ে উঠবে। এই প্রতীকটির নিচের অংশে তিনটি ক্ষেত্র রয়েছে। বাম দিকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৭টি 'পদ্মফুল'। পদ্ম হলো বিশুদ্ধতার প্রতীক। যিশুর মা ম্যারি ছিলেন পদ্মের ন্যায় শুচি এবং পবিত্র। প্রতীকে, ৭টি পদ্ম দ্বারা ম্যারির জীবনের সাতটি শোককে প্রকাশ করা হয়েছে। তার জীবনের সাতটি দুঃখময় ঘটনার স্মরণে তাকে "সপ্তশোকের জননী" বলা হয়ে থাকে। এই প্রতীকগুলো একত্রে কষ্টসাধ্য জ্ঞানার্জনকে ইঙ্গিত করে। ডানদিকের ক্ষেত্রটির জলময় নদী, চলমান নৌকা, সোনালি ধানক্ষেত আর সীমাহীন নীলাকাশ-শোভিত দৃশ্যটি সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের বুকে কলেজটির অবস্থান প্রতিকায়িত করে। নিচের ক্ষেত্রটিতে আড়াআড়িভাবে স্থাপিত দুটি নোঙরের বুকে স্থাপিত ক্রুশ পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস-সংঘের প্রতীক। এই প্রতীক দ্বারা প্রতিকায়িত করা হয়: ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে যিশুখ্রিস্টের মৃত্যু যেমন মানব জাতিকে মুক্তি এনে দিয়েছিলেন, তেমনি ক্রুশার্পিত সেই যিশুকে নোঙরের ন্যায় আঁকড়ে ধরে পরিত্রাণ লাভ সম্ভব। নোঙর আশার প্রতীক। ক্রুশ থেকে চারদিকে যে আলো ছড়িয়ে পড়েছে, তা যিশুখ্রিস্টের আলো ও মহানুভবতার প্রতীক। [৯]

বিবরণ

নটর ডেম কলেজ, রোমান ক্যাথলিকদের দ্বারা পরিচালিত হলেও সকল ধর্মাবলম্বী ছাত্ররাই এখানে অধ্যয়নের সুযোগ পান। কলেজটিতে শুধুমাত্র ছাত্ররা পড়তে পারে। কলেজটি পরিচালিত হয় পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের ধর্মযাজক দ্বারা পরিচালিত হয়। কলেজে সন্ন্যাসব্রতী ধর্মযাজক ছাড়াও অযাজকীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।[৯]

শিক্ষা ভবন

নটর ডেম কলেজে মোট ৪টি শিক্ষা ভবন, একটি ছাত্রাবাস, একটি মসজিদ, একটি ক্যান্টিন ও একটি ফাদারদের আবাস রয়েছে। সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালে তিন তলা বিশিষ্ট হ্যারিংটন ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

হ্যারিংটন ভবন

পরবর্তীতে ৯০ দশকে ছাত্র সংকুলান না হওয়ার কারণে ৬তলা বিশিষ্ট গাঙ্গুলি ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে হ্যারিংটন ভবন ও গাঙ্গুলি ভবনে বিজ্ঞান শাখার সকল গ্রুপের ক্লাস পরিচালিত হয় এবং ব্যবহারিক ক্লাস পরিচালনা করা হয়।

গাঙ্গুলি ভবন

২০১২ সালে পরিসর বাড়ানোর জন্য ৬তলা বিশিষ্ট টিম ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিম ভবনে ব্যবসায় শাখা ও মানবিক শাখার সকল গ্রুপের ক্লাস পরিচালিত হয়।

ফাদার টিম ভবন

সম্প্রতি ২০১৯ সালে টিম ভবনের পাশেই আরও একটি ৬তলা বিশিষ্ট পিশোতো ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার নিচ তলার পুরোটা জুড়ে ক্যান্টিন স্থাপন করে ছাত্রদের ক্যান্টিন সংকট দূর করা হয়েছে।

পিশোতো ভবন

শিক্ষাঙ্গন

নটর ডেম কলেজকে সুদীর্ঘ সময় নিয়ে বিরল প্রজাতির গাছের এক সংগ্রহশালা হিসেবেও তৈরি করা হয়েছে। বিস্তৃত ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে পরিকল্পনা করে লাগানো হয়েছে গাছগুলো।

হ্যারিংটন ভবনের সামনে পানি ফোটা আকৃতির বাগান

কলেজ ক্যাম্পাসে গাছ লাগানো শুরু হয় প্রখ্যাত পরিবেশবিদ অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার হাত ধরে ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৬২ সালে তিনি নটর ডেম কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। প্রথমে শুধুমাত্র ছাত্রদের ব্যবহারিক পাঠের জন্য সীমিত আকারে বৃক্ষরোপণ করা হলেও পরবর্তীতে কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ফাদার টিম ও ফাদার বেনাসের উৎসাহে কলেজে বিস্তৃত পরিসরে সবুজায়ন করা হয়। এমনকি এর রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন মালিকে নিয়ে আসা হয়।[১০][১১]নটর ডেম কলেজের বিরল গাছগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নাগলিঙ্গম গাছ। কলেজ ক্যাম্পাসের মিলনায়তনের পাশে সীমানাপ্রাচীর সংলগ্ন এলাকায় গাছদ্বয়ের দেখা মেলে। সমগ্র বাংলাদেশে থাকা মাত্র ৫২ টি নাগলিঙ্গম গাছের মধ্যে দুইটিই এখানে রয়েছে[১২][১৩]

গাঙ্গুলি ভবনের পেছনে ফুল বাগান

২০১০ সালে নটর ডেম নেচার স্টাডি ক্লাবের উদ্যোগে কলেজ প্রাঙ্গনে তিনটি তালিপাম গাছের চারা রোপণ করা হয়। এগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবীর সর্বশেষ প্রাকৃতিক তালিপাম গাছটির বংশধর। [১৪]নটর ডেম কলেজ ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটি প্রজাতির গাছের পেছনেই আলাদা গল্প রয়েছে। তবে কাঠগোলাপ গাছটি ছাত্রদের কাছে বিশেষভাবে বিখ্যাত। এখানকার মোটামুটিভাবে পরিচিত ফুলগাছের মধ্যে রয়েছে কদম, রাজ অশোক, শিমুল, পলাশ, সোনালু বা বাঁদর লাঠি, কনকচাঁপা, বকুল প্রভৃতি। বকুলতলা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় স্থান।‌ আর বিরল প্রজাতির ফুল জাতীয় গাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কান্তিবাবলা, রক্তকাঞ্চন, বোতল ব্রাশ, পারিজাত বা মান্দার, পরশপিপুল, নাগেশ্বর, উদয়পদ্ম, শিবজটা, রক্তচিতা, লাল গুলাচি, কুরচি ফুল বা ইন্দ্রযব প্রভৃতি।
বৃহদাকৃতির বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে লক্ষ পাকুর, মহাকর্পূর, কর্পূর, হিজল,ছাতিম, গগনশিরীষ, ইপিল ইপিল প্রভৃতি। সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির ভেতর আছে বিলাতি ঝাউ, সাইকাস, কয়েক প্রজাতির পাতাবাহার, লালপাতা, পান্থপাদপ, দেবদারু প্রভৃতি। [১৫]

বাস্কেটবল মাঠে ঝরে পড়া কাঠগোলাপ ফুল

শুধু নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণই নয়, প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ২০১৫ সালের ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি নটর ডেম কলেজে বিশ্বের ১৭ টি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যাতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।[১৬][১৭]

পোশাক বিবরণী

নটর ডেম কলেজে সকল ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরা আবশ্যক। ছাত্রদের ক্রিমসন রঙের শার্ট এবং কালো রঙের প্যান্ট এবং এবং কালো রঙের শ্যু পরা বাধ্যতামূলক। তবে ডিগ্রি অধ্যায়নরত ছাত্রদের জন্য আকাশি রঙের শার্ট প্রযোজ্য।

গ্রুপ বিভাজন

নটর ডেম কলেজে বর্তমানে মোট ২৫টি গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি বিজ্ঞান শাখার, ৬টি ব্যবসায় শিক্ষা, ৩টি মানবিক বিভাগের গ্রুপ রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম চালু আছে।

কলেজের সময়সূচি

প্রতি সপ্তাহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা হতে ১২:৪০ পর্যন্ত প্রথম বর্ষ এবং দুপুর ১টা হতে বিকেল ৫:৪৫ পর্যন্ত দ্বিতীয় বর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। তবে কলেজের ক্লাব কর্মসূচির বেশিরভাগই শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় কলেজ খোলা থাকে। কলেজটিতে ব্যবহারিক কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং সকল বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ল্যাব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা আবশ্যক।

গ্রন্থাগার

কলেজের সূচনালগ্নেই ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে কলেজের অভ্যন্তরে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়, কলেজের প্রাক্তন নামেই যার প্রাক্তন নাম ছিল, "সেন্ট গ্রেগরিজ কলেজ লাইব্রেরি"। পরবর্তীতে ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে, কলেজের নাম পরিবর্তন করে নটর ডেম কলেজ রাখা হলে গ্রন্থাগারের নামও পরিবর্তন করে রাখা হয় "নটর ডেম কলেজ লাইব্রেরি"। কলেজের নতুন ভবনের (গাঙ্গুলী ভবন) নির্মাণ কাজ শুরু হলে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট গ্রন্থাগারটি, কলেজের যুক্তিবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক ফাদার রিচার্ড নোভাককে উৎসর্গ করে রাখা হয় "ফাদার রিচার্ড নোভাক মেমোরিয়াল লাইব্রেরি"। ফাদার রিচার্ড নোভাক ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকালীন একটি অসহায় পরিবারকে দেখতে সাইকেল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাবার পথে শীতলক্ষ্মা নদী পার হবার সময় উগ্রবাদীদের হাতে পড়েন এবং তাঁকে মির্মমভাবে হত্যা করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

রিচার্ড নোভাকের বড় ভাই মাইকেল নোভাক তার সংগ্রহের অনেক বই এই গ্রন্থাগারে দান করেছেন এবং গ্রন্থাগারের জন্য নিয়মিত অর্থ অনুদান দিয়ে আসছেন। নতুন গ্রন্থাগার-কক্ষ নির্মাণের জন্যও তিনি অনুদান দিয়েছেন। আর্চবিশপ গাঙ্গুলি ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত লাইব্রেরিটির মোট ১৩০ আসনবিশিষ্ট দুটি পাঠকক্ষ রয়েছে। কলেজে ভর্তির সাথে সাথে ছাত্ররা গ্রন্থাগারের সদস্য হয়ে যায় এবং লাইব্রেরি কার্ড পেয়ে যান। গ্রন্থাগারে নিয়মিত ৬টি দৈনিক পত্রিকা, ৪টি সাপ্তাহিক ও ৪টি মাসিক ম্যাগাজিন রাখা হয়। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ জার্নাল ও ম্যাগাজিন অনিয়মিতভাবে রাখা হয়। বইসমূহ লাইব্রেরি কার্ডের প্রেক্ষিতে ধার নেয়া যায়, তবে অভিধান, বিশ্বকোষ, পাঠ্যবই ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য বইসমূহ কেবল গ্রন্থাগারেই ব্যবহার্য। গ্রন্থাগারে ফটোকপিরও ব্যবস্থা আছে।[৯]

খেলাধুলা

হ্যারিংটন ভবনের সামনে অবস্থিত বাস্কেটবল মাঠ

কলেজ প্রাঙ্গণে ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি বহিরাঙ্গন খেলার সুবিধা দিতে বিশাল মাঠ রয়েছে। এছাড়া আছে বাস্কেটবল মাঠ। কলেজের ছাত্রদেরকে খেলাধুলার সুবিধা দিতে রয়েছে একটি খেলার সরঞ্জাম ধার দেয়ার অফিস। সেখানে ছাত্ররা নিজেদের কলেজ আইডি কার্ড প্রদর্শনপূর্বক বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলার সামগ্রী বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন।

ধর্মচর্চা

বাস্কেটবল মাঠের পাশে পাঞ্জেগানা মসজিদ

ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় কলেজের খ্রিষ্টান ছাত্রদেরকে প্রতি রবিবার বিশেষ প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে হয়। তবে সকল ধর্মাবলম্বী ছাত্রদেরই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা কলেজে রয়েছে। কলেজ প্রাঙ্গণে বাস্কেটবল মাঠের পাশেই বাগানের মধ্যে একটি একতলা পাঞ্জেগানা মসজিদ এবং ওজুখানা রয়েছে। এছাড়া, কলেজের গাঙ্গুলি ভবন-এর নিচতলায় একটি ধর্মবিষয়ক পাঠাগার রয়েছে। সেখানে সকল ধর্মের পুস্তকাদি সংরক্ষিত রয়েছে।

শিক্ষা পরিবেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ কর্মীরাই ঢাকার নটর ডেম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁরাই দীর্ঘ সময় ধরে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে নটর ডেম কলেজ গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা থেকে নটর ডেম কলেজের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য "ডিরেক্টর অব স্টাডিজ" ও "ডিরেক্টর অব স্পোর্টস" নামে পূর্বের দুটি পদ সৃষ্টির কথা পাওয়া যায়।[৬] তবে বর্তমানে "ডিরেক্টর অব গাইডেন্স" বা "ছাত্র পরিচালক" তাঁর দপ্তর থেকে নিয়মিত পাঠ কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিষয় তত্ত্বাবধান করে থাকেন। [৯] কলেজে উপস্থিতি আশি শতাংশের কম হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রতি সপ্তাহে দুটি বাধ্যতামূলক কুইজ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে হয় এবং এর ফলাফল শিক্ষার্থীর সার্বিক ফলাফলে যুক্ত হয়। নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান গবেষণাগারগুলো সমস্থানীয় অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণাগারগুলোর তুলনায় সমৃদ্ধ বলে বিবেচনা করা হয়।[৬] বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য সপ্তাহে গড়ে সাড়ে তিন ঘন্টা চারটি বিষয়ের ব্যবহারিক কার্যক্রম বাধ্যতামূলকভাবে সম্পাদন করতে হয়। ব্যবহারিক পাঠে সামান্যতম ত্রুটি কিংবা অবহেলা দৃষ্টিগোচর হলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের অনুমোদন স্থগিত করে দেয়া হয়।[৯] এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতেও এসব কার্যক্রমে সামান্যতম ছাড় দেয়া হয়নি। পাঠ্যক্রম, সংক্ষিপ্ত সময়, আয় সংকোচন, ছাত্রসংখ্যার মাত্রাতিরিক্ত স্ফীতি ও অনৈতিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মতো সমস্যা মোকাবেলা করেও সেরকম পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণিতে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যারা অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। [২]

প্রতিষ্ঠানে প্রতি সপ্তাহে এক ঘন্টা কিংবা তারও বেশি সময় শুধুমাত্র সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়। প্রায় সপ্তাহেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠানে কোনো না কোনো সহশিক্ষা সংগঠনের উৎসব আয়োজিত হয়। প্রতি মাসে অন্তত একবার প্রতিষ্ঠানের আদর্শ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের সময় ব্যবহার করে নৈতিক পাঠ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। [৯]

১৯৫৯ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষায় প্রশংসনীয় সাফল্য লাভের জন্য প্রতিষ্ঠানটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত একটানা সাতবার প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে। [৩] শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতস্বরূপ ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানের পদার্থবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সুশান্ত কুমার সরকার জাতীয়ভাবে কলেজ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মাননা পান।[২]

ভর্তি প্রক্রিয়া

প্রথম থেকেই নটর ডেম কলেজে নিজস্ব মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১০ মে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে, যাতে ভর্তি পরীক্ষার কোনো উল্লেখ নেই।[১৮] [১৯]বিভিন্ন সময়ের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কলেজের শিক্ষার পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং "নটর ডেম শিক্ষা ঐতিহ্য রক্ষা কমিটি" নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[২০] অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের বিপরীতে গিয়ে হাইকোর্টে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য অ্যাডভোকেট কদম আলী মল্লিক উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন [১৮] এবং ফলাফল হিসেবে প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। [২১][২২] নটর ডেম কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ও নটর ডেম শিক্ষা ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির পক্ষে আইনি লড়াই ও নৈতিক সমর্থন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পাশে দাঁড়ান প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সময়ের শিক্ষার্থী ১১৫ জন ব্যারিস্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৩০০ অধ্যাপক। [২৩]পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়।[২৪] শুধুমাত্র পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা প্রতিষ্ঠানের আদর্শ পরিপন্থী বলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়। [৯]

প্রশাসন

ঢাকা হলি ক্রসের আদেশ অনুসারে খ্রিষ্টধর্মের ক্যাথলিক সন্ন্যাসী ও ধর্মপ্রচারকদের দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। স্থাপনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন সন্ন্যাসী এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

  1. জন হ্যারিংটন, ১৯৪৯-৫৪
  2. জেমস মার্টিন, ১৯৫৪-৬০
  3. থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী, মার্চ ১৯৬০ - অক্টোবর ১৯৬০
  4. উইলিয়াম গ্রাহাম, ১৯৬০-৬৭
  5. জন ভ্যান্ডেন বোস, ১৯৬৭-৬৯
  6. জোসেফ পিশোতো, ১৯৬৯-৭০
  7. রিচার্ড উইলিয়াম টিম, ১৯৭০-৭১
  8. অ্যামব্রোস হুইলার, ১৯৭১-৭৬
  9. জোসেফ পিশোতো, ১৯৭৬-৯৮
  10. বেঞ্জামিন কস্তা, ১৯৯৮-২০১২
  11. হেমন্ত পিউস রোজারিও, ২০১২-বর্তমান

শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম

নটর ডেম কলেজে শুরু থেকেই শিক্ষা সহায়ক কর্মকান্ডে বাড়তি গুরুত্বারোপ করা হয়। পাঠ্য বহির্ভূত বিষয়ের নিয়মিত অনুশীলন, গবেষণা ও প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিতভাবে বেশ কিছু বিশেষায়িত সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। এরা প্রতিষ্ঠানে স্বীয় বিষয়ের চর্চা ও প্রচারে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানচর্চা ছাড়াও সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ববোধ, আনুগত্য ও সাংগঠনিক দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করে থাকে।

ছাত্র রাজনীতি

শুরু থেকেই নটর ডেম কলেজে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল। পরিবর্তে সহশিক্ষা সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য সবরকম প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকলে এ প্রতিষ্ঠানেও ছাত্র ইউনিয়ন-এর কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের ওপর চাপ তৈরি হতে থাকে। একপর্যায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে সুস্পষ্ট নীতিমালা ও গঠনতন্ত্র তৈরি করে ছাত্র ইউনিয়ন তৈরির অনুমতি দেয়। এমনকি কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের দায়িত্বও দেয়া হয়। কিন্তু প্রত্যাশানুযায়ী আচরণের বদলে সংগঠনটি ধ্বংসাত্মক প্রবণতা দেখাতে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ১৯৭২ শিক্ষাবর্ষে যেসব ছাত্র মুক্তিযুদ্ধের কারণে স্কুল থেকে পরীক্ষা না দিয়েই কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল, তারা কলেজের নিয়ম অনুযায়ী সন্তোষজনক ফলাফল করে এইচএসসি পরীক্ষা দেবার সুযোগ পাবে না বুঝতে পেরে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ছাত্র ইউনিয়নের সহায়তায় পরীক্ষা দেবার অনুমতি আদায়ের চেষ্টা করে। ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেয়া হয়।[কখন?] কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কারণে তারা সরে যায়। [কখন?]একপর্যায়ে কলেজ ক্যাম্পাস লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়।[কখন?] তবে কিছুদিনের মধ্যেই সাধারণ ছাত্ররা প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন বর্জন করে।[কখন?] এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নয় বছরের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটে।[২]

পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানে যেকোনো ধরণের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।[কখন?]

সহশিক্ষা সংগঠনসমূহ

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর কলেজের ক্লাব কার্যক্রম আরো সুসংগঠিত করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির যেকোনো ধরণের সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষ নিজে এবং ক্লাব সমন্বয়ক হিসেবে সহশিক্ষা সংগঠনগুলোর মূল তত্ত্বাবধানের কাজ করেন উপাধ্যক্ষ। প্রতিটি সংগঠনে কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক/শিক্ষিকা পরিচালক অথবা মডারেটর পদে বিশেষভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অধিকার ও ক্ষমতা দ্বারা স্বীয় সংগঠনে প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। তবে যেকোনো ধরণের ইতিবাচক ও সৃষ্টিশীল কাজে সংগঠনগুলোর সদস্যরা মাত্রাহীন স্বাধীনতা ও সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকে। প্রতিটি সংগঠনে মনোনীত অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদ পরিচালক অথবা মডারেটরের নির্দেশনানুযায়ী সংগঠন পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক সংগঠনগুলোর মৌলিক বৈশিষ্ট্য।[৯] নটর ডেম কলেজে বর্তমানে (২০১৮) ২৪ টি সহশিক্ষা সংগঠন (ক্লাব) রয়েছে।[২৫] প্রতিষ্ঠানটিতে শুধু সহশিক্ষা সংগঠনের প্রাচুর্যই নেই, বরং এগুলোর অধিকাংশই স্বীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। সারা বছর জুড়ে এই সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে কলেজের ছাত্রদের উৎকর্ষ সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। এসব সংগঠনের আয়োজিত অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান হিসাবে মর্যাদা লাভ করেছে। সারা দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এ কার্যক্রমগুলোকে ভিন্নমাত্রা দান করে।[৯]

ক্লাবের তালিকা

ক্রমিক ক্লাবের নাম প্রতিষ্ঠাকাল প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর স্লোগান প্রকাশনা উদ্দেশ্য টীকা
০১ ডিবেটিং ক্লাব ১৯৫৩ আর. ডব্লিউ. টিম শহীদুল হাসান পাঠান ও শুভাশীষ সাহা - দ্বৈরথ - -
০২ বিজ্ঞান ক্লাব ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ আর. ডব্লিউ. টিম মি. ভিনসেন্ট তিতাস রোজারিও মানুষের জন্য বিজ্ঞান অদ্রি - -
০৩ আউটওয়ার্ড বাউন্ড অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব ১১ অক্টোবর, ১৯৬৬ আর. ডব্লিউ. টিম স্টিফেন ডন সরকার - - - -
০৪ রোভার দল ১৯৭২ - শেখ আবু মো. নূরুল হুদা - উন্মেষ, সেবাব্রতী, মাধবীলতা, ইমপিমা - -
০৫ বিজনেস ক্লাব ১৯৭৩ - ফারজানা হোসেন কারবারই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি বিজনেস হরাইজন - -
০৬ চেস ক্লাব ২৮ মার্চ,১৯৮৪ এরিক ফ্রান্সিস স্বপন হালদার - যুধিষ্ঠির - -
০৭ মানবিক সংঘ ২৯ আগস্ট, ১৯৮৪ গোপীনাথ কর্মকার নিখিলেশ ঘোষ - মানববার্তা, প্রদাহ - -
০৮ নেচার স্টাডি ক্লাব ২৯ আগস্ট, ১৯৮৪ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বিপ্লব কুমার দেব প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসো নিসর্গ, প্রকৃতি - -
০৯ ডিগ্রি ক্লাব ২০ এপ্রিল, ১৯৮৬ জে এস পিশেতো আর্নিশ রিছিল ও শেলী রোজমেরী ডস্ - সপ্তডিঙ্গা - -
১০ যুব রেড ক্রিসেন্ট দল ২৬ নভেম্বর, ১৯৮৬ - রণজিৎ কুমার নাথ - কল্যাণ - -
১১ রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব নটর ডেম কলেজ ১৪ মার্চ, ১৯৯০ সুব্রত কুমার দেবনাথ বাঁধন প্লাসিড রোজারিও - - - -
১২ নটর ডেম নাট্যদল ১৯৯১ - মো. আক্তারুজ্জামান সৃজনশীল নাট্যচর্চায় একত্রিত হই মঞ্চ - -
১৩ নটর ডেম আবৃত্তি দল ১৮ আগস্ট, ১৯৯২ মারলিন ক্লারা পিনেরু মারলিন ক্লারা পিনেরু - বৃন্দ - -
১৪ নটর ডেম ইতিহাস ক্লাব ২৬ আগস্ট, ১৯৯২ - রুবি ইমেল্ডা গমেজ - প্রজ্ঞা - -
১৫ নটর ডেম ইকো এন্ড স্পেস ক্লাব (পূর্বনাম: এনভায়রনমেন্টাল প্রমোশন ক্লাব) ২৮অক্টোবর, ১৯৯২ - মো. নাজমুল হাসান Know your world (বাংলা: তোমার বিশ্বকে জানো) লাইকেন - -
১৬ ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড রিলেশন ক্লাব ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ - রীটা যোসফিন রোজারিও - যোগাযোগ - -
১৭ নটর ডেম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৬ - মোঃ আজিজুর রহমান (ফয়সাল আজিজ) - - - -
১৮ নটর ডেম লেখককুঞ্জ ২৯ জুলাই, ২০০১ - মিজানুর রহমান অক্ষরে আঁকি সৃষ্টির সৌন্দর্য ঢাক-ঢোল/Chit-Chat - -
১৯ নটর ডেম ইংলিশ ক্লাব ১৯ নভেম্বর, ২০০৫ - সুরঞ্জিতা বড়ুয়া ও হুমায়ূন কবির Whole universe in one soul, Learn English to reach the goal দ্য গ্লোয়িঙ উইক, অডিস্যেই - -
২০ নটর ডেম আর্ট ক্লাব ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ - নাদিরা আক্তার - - - -
২১ নটর ডেম ম্যাথ ক্লাব ১৪ মার্চ ২০১৭ - রেজাউল করিম Mighty Math to feel Almighty and His Creation (বাংলা: স্রষ্টার সৃষ্টির অনুভবে গণিত) দ্য প্লেন,
দ্য নাম্বার,
দ্য ফাংশন
- -
২২ নটর ডেম এথিকস্ ক্লাব ৩ এপ্রিল ২০১৭ - ফেসিলিতা রোজারিও - - - -
২৩ নটর ডেম ফটোগ্রাফি ক্লাব ৯ আগস্ট ২০১৭ - মো. মঈন উদ্দিন আহসান হাবীব Frame Your Dreams (বাংলা: তোমার স্বপ্নকে আবদ্ধ কর) অ্যাপারচার, পিক্সেল - -
২৪ নটর ডেম আইটি ক্লাব ২৭ জুন ২০১৮ - সৈকত লরেন্স রোজারিও Inovate and encode your ideas (বাংলা: তোমার ধারণাকে সৃষ্টি ও এনকোড করো) - - -

নটর ডেম ডিবেটিং ক্লাব

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর ছিলেন কলেজের তৎকালীন জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রিচার্ড উইলিয়াম টিম, সিএসসি।[২৬][২৭]ক্লাবটির বর্তমান মডারেটর হলেন বাংলা বিভাগের শহীদুল হাসান পাঠান ও ইংরেজি বিভাগের শুভাশীষ সাহা।

ক্লাবের বার্ষিক মুখপত্র দ্বৈরথ। ক্লাবের দ্বৈমাসিক দেয়ালিকা সুবচন। এছাড়া ক্লাব প্রতিবছর দ্রোহ নামে একটি বিতর্ক কড়চা প্রকাশ করে। ক্লাব প্রতিবছর ডিবেটার'স লীগ, মিক্স-আপ, ইন্টার গ্রুপ ডিবেট, পালাবদলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।[২৮]

নটর ডেম বিজ্ঞান ক্লাব

১৯৫৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জীববিজ্ঞানী রিচার্ড উইলিয়াম টিম সিএসসি নটর ডেম বিজ্ঞান ক্লাবের উদ্বোধন করেন। "মানুষের সেবায় বিজ্ঞান" এটি এই ক্লাবের মূল লক্ষ্য। এটি বাংলাদেশের তথা উপমহাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ক্লাব। ক্লাবটির বর্তমান মডারেটর হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মি. ভিনসেন্ট তিতাস রোজারিও।

ক্লাবের প্রকাশনাগুলো হল অদ্রি (বার্ষিক), কসমস (সাময়িকী; প্রথম প্রকাশ ১৯৭০), স্পুটনিক, আবিষ্কার (দেয়ালিকা)। অত্র কলেজের ৩টি কুইজ টিম - এনডিসি গোল্ড, এনডিসি ব্লু ও এনডিসি গ্রিন নটর ডেম বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমেই পরিচালনা করা হয়।[২৯]

নটর ডেম আউটওয়ার্ড বাউন্ড অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব (অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব)

অজানাকে জানা,অচেনাকে চেনার আকাঙ্খা মানুষের মধ্যে চিরন্তন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নটরডেম অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৬৬ সালের ১১ই অক্টোবর। শুরুতে এই ক্লাবের সাথে ছিলেন উপমহাদেশের প্রতীথযশা বিজ্ঞানী রিচার্ড উইলিয়াম টিম, সিএসসি। এরপর ক্লাবের মডারেটর হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেন ভূগোল বিভাগের শিক্ষক মি. নির্মল সরকার আর পরবর্তীতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও, সিএসসি। ক্লাবটির বর্তমান মডারেটর হিসেবে দায়িত্বে আছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষক মি. স্টিফেন ডন সরকার। ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক জায়গায় শিক্ষা সফরের আয়োজন, বৃক্ষরোপন ক্লাবের, রোমাঞ্চকর নানাবিধ ইভেন্ট আয়োজন ইত্যাদি ক্লাবটির উল্লেখযোগ্য কাজ। এছাড়া ক্লাবটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়োজন করে "National Adventure Festival"। ক্লাবের বার্ষিক প্রকাশনা অ্যাডভেঞ্চার এবং ত্রৈমাসিক দেয়ালিকা টুকটাক[২৮]

নটর ডেম রোভার দল

বাংলাদেশ স্কাউটস এর রোভার অঞ্চল গঠনের পর ঢাকা জেলা রোভার ১ ও ২ নামে দুটি ইউনিট গঠন করে এবং রোভার অঞ্চলের দ্বিতীয় ইউনিট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে 'নটর ডেম রোভার দল' পথচলা আরম্ভ করে।

ক্লাবের প্রকাশনা উন্মেষ, সেবাব্রতী, মাধবীলতা, ইমপিমা ইত্যাদি।[২৮]

নটর ডেম বিজনেস ক্লাব

'কারবারই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি' -এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কলেজের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা এবং সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক স্টিফেন গোমেজ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ বেঞ্জামিন কস্তা এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রাক্তন শিক্ষক ম. নূরন্নবীর ঐকান্তিক চেষ্টায় 'নটর ডেম বিজনেস ক্লাব' প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ক্লাবটির মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফারজানা হোসেন।

ক্লাবটি প্রতি বছর বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ[৩০] আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার ও শিক্ষা সফরের আয়োজন করে। নবীনবরণ উপলক্ষে দেয়ালিকা বিপণন এবং ক্লাব দিবস উপলক্ষে বিজনেস হরাইজন প্রকাশ করা হয়।[২৮]

নটর ডেম চেস ক্লাব

ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের তৎকালীন শিক্ষক এরিক ফ্রান্সিস। বর্তমান মডারেটর হলেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক স্বপন হালদার। ক্লাবটির বার্ষিক আয়োজন "ইন্টার স্কুল এন্ড কলেজ চেস ফেস্টিভ্যাল"। এছাড়া প্রতি বছর ক্লাবটি কলেজের ছাত্রদের নিয়ে 'ইন্ট্রা কলেজ চেস ফেস্টিভ্যাল', নবীন ছাত্রদের জন্য ফ্রেশার'স চেস টুর্নামেন্ট এবং বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে। ক্লাবের বার্ষিক প্রকাশনা যুধিষ্ঠির ও দেয়ালিকা দুর্দান্ত[২৮]

নটর ডেম মানবিক সংঘ

এ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর ছিলেন গোপীনাথ কর্মকার।[৩১] এরপর ২০২০ সালের মে মাস পর্যন্ত ক্লাবটির মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক প্রয়াত নিখিলেশ ঘোষ। ক্লাবের মুখপত্র মানববার্তা, বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রদাহ এবং দেয়ালিকা অনির্বাণ[২৮]

নটর ডেম নেচার স্টাডি ক্লাব (নটর ডেম প্রকৃতি নিরীক্ষণ সংঘ)

ক্লাবের স্লোগান Diligite Naturae Pul-chritudincem (প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসো)।

দেশের প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক বিভিন্ন তত্ত্ব ও তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার করা এবং এ বিষয়ে দেশের ছাত্র ও জনগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালের ২৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় নটর ডেম নেচার স্টাডি ক্লাব (নটর ডেম প্রকৃতি নিরীক্ষণ সংঘ)। নটর ডেম কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, তৎকালীন মাত্র ২০ জন ছাত্র নিয়ে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে, এই ক্লাবটিকেই এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রথম ক্লাব হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এই ক্লাব থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৈরি হয়েছে আরো বিভিন্ন নেচার স্টাডি ক্লাব, ঢাকার বিভিন্ন কলেজে।[২৮]

নিয়মিতভাবে ক্লাবের তরফ থেকে বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ছাত্র সদস্যদের মাঝে গঠনমূলক মনোবৃত্তির বিকাশই এসব কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য। এ ক্লাবের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে দৈনিক সংবাদ সংগ্রহ, সাপ্তাহিক ক্লাস ও সভা, পাক্ষিক ন্যাচার স্টাডি স্থান পরিদর্শন, মাসিক দেয়ালিকা, ত্রৈমাসিক পত্রিকা "নিসর্গ" প্রকাশ, মাসিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, মাসিক সভা ও মাসিক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, বার্ষিক সভা ও সেমিনার, বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশ। ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগে প্রকাশিত বার্ষিক পত্রিকা "প্রকৃতি" সারা বছরের ক্লাব কার্যক্রমের বহিঃপ্রকাশ।[৯] এছাড়া ক্লাবটি ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী করে তোলার জন্য প্রায়ই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে, যেমন: গ্রাউন্ড ট্রেনিং প্রোগ্রাম (GTP), ফটোগ্রাফি ট্রেনিং প্রোগ্রাম (PTP), অফিস ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম (OMTP), ফিল্ড ওয়ার্ক ট্রেনিং প্রোগ্রাম (FWTP), নিউজলেটার পাবলিকেশন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (NPTP), ন্যাচার জার্নালিজম ট্রেনিং প্রোগ্রাম (NJTP), কম্পিউটার ট্রেনিং প্রোগ্রাম (CTP), ক্লাব ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম (CMTP), সায়েন্টিফিক রিসার্চ প্রিপেয়ার্ডনেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম (SRPTP) ইত্যাদি। প্রকৃতি সংরক্ষণে নটর ডেম নেচার স্টাডি ক্লাব শুধু নটর ডেম কলেজ ক্যাম্পাসেই নয়, এ ক্লাবের চেতনা ছড়িয়ে দিয়েছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। এই ক্লাবের আজীবন সদস্যরা মিলিত হয়ে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ আগস্ট গড়ে তুলেছেন "নেচার স্টাডি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ" (NSSB) নামে একটি সংগঠন, যা নটর ডেম নেচার স্টাডি ক্লাবকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে।[৩২]

নটর ডেম ডিগ্রি ক্লাব

কলেজের ডিগ্রি (বি.এ ও বি.এস.এস) পর্যায়ের ছাত্রদের নিয়ে গড়ে ওঠা এ ক্লাবটির দেয়ালিকা ও বার্ষিক মুখপত্র সপ্তডিঙ্গা[২৮]

নটর ডেম যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্লাব

রেড ক্রিসেন্ট প্রতি বছর রক্ত দান কর্মসূচি, বিভিন্ন সেমিনার ও শিক্ষা সফরের আয়োজন করে। ক্লাবটির বর্তমান মডারেটর রণজিত কুমার নাথ। দ্বিমাসিক দেয়ালিকা কল্যাণ[২৮]

রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব নটর ডেম কলেজ

এটি বাংলাদেশে কলেজ পর্যায়ের প্রথম রোটার‌্যাক্ট ক্লাব। ক্লাবটির মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাঁধন প্লাসিড রোজারিও। ক্লাবটি বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতা, কর্মশালা, সেমিনার আয়োজন এবং দেয়ালিকা প্রকাশ করে।[২৮]

নটর ডেম নাট্য দল

অভিনয় দক্ষতাকে শিল্পে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় 'নটর ডেম নাট্যদল'। ২০০৬ সালের নভেম্বরে নাট্যদলের সাথে যুক্ত হয় নতুন স্লোগান 'সৃজনশীল নাট্যচর্চায় একত্রিত হই'। ২০০৭ থেকে কলেজে, কলেজের বাইরে ও বিটিভিতে প্রায় ৯০টি নাটক মঞ্চস্থ করে। ২০০৯ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত হয় 'জাতীয় নাট্যোৎসব ও নাট্যকর্মশালা ২০০৯'। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত আয়োজন করা হয় ৭টি জাতীয় নাট্যকর্মশালা ও উৎসব।

ক্লাবের ম্যাগাজিন মঞ্চ, দেয়ালিকা থার্ড থিয়েটার ও ছবির অ্যালবাম নাটুয়া[২৮]

নটর ডেম আবৃত্তি দল

১৯৯২ সালের ১৮ আগস্ট বাংলা বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক মিসেস মারলিন ক্লারা পিনেরো-র নেতৃত্বে ছাত্রদের আবৃত্তি ও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার উদ্দেশ্যে গঠিত হয় নটর ডেম আবৃত্তি দল। তখন থেকেই ছাত্রদের সৃজনশীলতা, মনন ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। নিয়মিত সভা, কর্মশালা, প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রদের মাঝে বাংলা সাহিত্যকে ছড়িয়ে দেয়াই নটর ডেম আবৃত্তি দলের প্রধান লক্ষ্য। অন্তঃকলেজ ও আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আবৃত্তিচর্চা-কে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য নটর ডেম আবৃত্তি দল বদ্ধপরিকর। জাতীয় আবৃত্তি উৎসব দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিভবান আবৃত্তিকার খুঁজে পেতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়া ছাত্রদের মাঝে বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্য-কে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য-ও জাতীয় আবৃত্তি উৎসব-এর জুড়ি নেই। ক্লাবের বার্ষিক মুখপত্র বৃন্দ ও দেয়ালিকা নৈবেদ্য[২৮]

নটর ডেম ইতিহাস ক্লাব

ক্লাবের বার্ষিক প্রকাশনা প্রজ্ঞা ও দেয়ালিকা ঐতিহ্য[২৮]

নটর ডেম ইকো এন্ড স্পেস ক্লাব ক্লাব

পূর্ব নাম: নটর ডেম এনভায়রনমেন্টাল প্রমোশন ক্লাব ক্লাবের স্লোগান Know the World। বার্ষিক প্রকাশনা লাইকেন এবং দেয়ালিকা অবণী। ক্লাবটির বর্তমান মডারেটর জীববিজ্ঞানের প্রভাষক মোঃ নাজমুল হোসেন। ক্লাবটি 'ন্যাশনাল স্পেস ক্যাম্প','ইকো এন্ড ওশান কার্নিভাল','ফ্রুট ফেস্টা' ছাড়াও বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, শিক্ষা সফর, আকাশ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প, প্ল্যান্ট আইডেন্টিফিকেশন, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদির আয়োজন করে।[২৮]

ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এন্ড রিলেশন্স ক্লাব

ক্লাবের বার্ষিক প্রকাশনা যোগাযোগ এবং দেয়ালিকা বন্ধন। মডারেটর ইংরেজি বিভাগের মিসেস রিটা যোসেফিন রোজারিও।[২৮]

নটর ডেম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী

ক্লাব মডারেটর হলেন গণিতের প্রভাষক মোঃ আজিজুর রহমান।[২৮]

নটর ডেম লেখককুঞ্জ

২০০৯ সাল থেকে ক্লাবের স্লোগান 'অক্ষরে আঁকি সৃষ্টির সৌন্দর্য'। ক্লাবের ত্রৈমাসিক প্রকাশনা ঢাক-ঢোলChit-Chat, দেয়াল পত্রিকা A2Z Campus, অক্ষরছবিয়াল। ক্লাব মডারেটর বাংলা বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ড. মিজানুর রহমান।[২৮]

নটর ডেম ইংলিশ ক্লাব

২০০৫ সালের ১৯ নভেম্বর 'নটর ডেম ইংলিশ ক্লাব' ইংরেজি ভাষা নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের প্রথম ও কলেজের ১৯ তম সহশিক্ষা সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
সংগঠনটির শ্লোগান হলো - Whole universe in one soul, Learn English to reach the goal. শুরুতেই এর সাংগঠনিক প্রতীক নির্ধারণের জন্য সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৩০০ প্রতিযোগীর ভেতর থেকে কলেজের তৎকালীন ছাত্র শুভাশিষ রায়ের নকশাটি এর তাৎপর্যপূর্ণতার জন্য নির্বাচিত হয়। প্রতীকটির চারদিকের চারটি রেখা ভাষাশিক্ষার চারটি স্তরকে নির্দেশ করে। ভেতরে সরলরেখা দ্বারা কৌশলে সংগঠনটির সংক্ষিপ্তরূপ লেখা হয়েছে। পুরো প্রতীকটি রংধনুর সাতটি রঙে রাঙানো হয়েছে, যা বিশ্বের সাতটি মহাদেশ এবং ইংরেজি ভাষার বিশ্বজনীনতার প্রতিনিধিত্ব করে।
সংগঠনটির বার্ষিক প্রকাশনা হলো The Glowing Wick। এছাড়া Odyssey নামে আরেকটি ম্যাগাজিন ও Insight নামে একটি দেয়ালপত্রিকা রয়েছে।
২০১৬ সালে কলেজের নবীনতম সহশিক্ষা সংগঠন হয়েও এটি কলেজের প্রথম ক্লাব হিসেবে সহস্রাধিক সদস্যের মাইলফলক অতিক্রম করে। সর্বশেষ ২০১৯ সাল পর্যন্ত সদস্যসংখ্যার বিচারে এটি নটর ডেম কলেজের সর্ববৃহৎ সহশিক্ষা সংগঠন। ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের মধ্যে ক্লাবটির সদস্যসংখ্যা ছিল তেরোশতাধিক। ইতোমধ্যে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংগঠনটি ছয়টি জাতীয় উৎসব আয়োজন করেছে, যেগুলোতে সারাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অংশগ্রহণকারীর সমাগম দেখা গেছে। [৩৩]

চিত্র:Crowd at 6th nec.jpg
২০২০ সালে নটর ডেম ইংলিশ ক্লাব আয়োজিত ৬ষ্ঠ জাতীয় ইংরেজি উৎসবে কলেজের মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন মাঠে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

২০১৮ সালে সংগঠনটির আয়োজিত ৪র্থ জাতীয় ইংরেজি উৎসবে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং প্রতিবছর সংগঠনটি কতৃক আয়োজিত উৎসবগুলো ইংরেজি ভাষাকে কেন্দ্র করে হওয়া দেশের সবথেকে বড় উৎসব হিসেবে স্বীকৃত। [৩৪][৩৫][৩৬][৩৭] বর্তমানে সংগঠনটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুরঞ্জিতা বড়ুয়া এবং সহ-মডারেটর হিসেবে রয়েছেন ইংরেজি বিভাগের জনাব হুমায়ুন কবির। [৯][২৮]

নটর ডেম আর্ট ক্লাব

'রং তুলিতে স্বপ্ন আঁকি' এই স্লোগান নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 'নটর ডেম আর্ট ক্লাব' এর যাত্রা শুরু হয়। ক্লাবের মডারেটর কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মিসেস নাদিরা আক্তার। ক্লাবের দেয়ালিকা স্বপ্ন ও স্বাধীনতা[২৮]

নটর ডেম ম্যাথ ক্লাব

২০১৭ সালের ১৪ মার্চ বিশ্ব পাই দিবসে শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও ঠিক দুপুর ১:৫৯ মিনিটে ম্যাথ ক্লাবের উদ্বোধন করেন। ক্লাব মডারেটর হলেন গণিত বিভাগের জনপ্রিয় শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম। ক্লাবের স্লোগান 'Mighty Math to feel Almighty and His Creation'। ক্লাবের হাতে লেখা সাময়িকী The Number, দেয়ালিকা The Plane এবং বার্ষিক প্রকাশনা The Function[২৮]

নটর ডেম এথিক্স ক্লাব

ক্লাবটি বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং দেয়ালিকা প্রকাশ করে।ক্লাবটির বর্তমান মডারেটর দর্শনের শিক্ষিকা মিস আতিকা। [২৮]

নটর ডেম ফটোগ্রাফি ক্লাব

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন ও বর্তমান মডারেটর হলেন কলেজটির জীববিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক মঈন উদ্দীন আহসান হাবীব। ক্লাবটি ফটোগ্রাফি বিষয়ক কর্মশালা, ফটোওয়াক, সফর ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ক্লাবটির বার্ষিক উৎসব 'অ্যাপারচার'।[৩৮]

নটর ডেম আইটি ক্লাব

ক্লাবের স্লোগান ‘‘ইনোভেটিভ এন্ড এনকোড ইয়োর আইডিয়াস’’। ক্লাবটির মডারেটর কলেজের আইসিটি বিভাগের প্রভাষক সৈকত লরেন্স রোজারিও।[৯]। ক্লাবটি NDITC_init নামক আন্তঃকলেজ আইটি উৎসবের আয়োজন করে থাকে[৩৯][২৮]

সামাজিক কার্যক্রম

কাজের বিনিময়ে অধ্যয়ন কর্মসূচি

নটর ডেম কলেজে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য "কাজের বিনিময়ে অধ্যয়ন" বা "নটর ডেম কলেজ ওয়র্ক প্রোগ্রাম" নামে ভিন্নধর্মী ব্যবস্থা রয়েছে। অন্যান্য সামাজিক কর্মসূচির মতো এটিও ১৯৭২ সালের দিকে শুরু হয়। কর্মসূচিটি শুরু করেন ফাদার জে এস পিশেতো। সঙ্গে সহায়তা করেছিলেন ফাদার জিম বেনাস ও ফাদার স্টিভ গোমেজ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা খ্রিষ্ঠান ধর্মযাজক ও বিদ্যালয়গুলোর সুপারিশ এ প্রতি বছর মে অথবা জুন মাসে নয় দিনের শ্রমসাধ্য "পরীক্ষামূলক কর্ম-অধিবেশন" বা "ট্রায়াল ওয়র্ক সেশন" এর মাধ্যমে এই প্রকল্পের জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। নির্বাচনকালে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্ব, মেধা, প্রয়োজন, কর্মীসুলভ মনোভাব প্রভৃতি যাচাই করা হয়। এই কর্মসূচির একজন পরিচালক, তত্ত্বাবধান ও বাস্তবায়নের জন্য কয়েকজন সহকারী নিয়োজিত থাকেন। কর্মসূচিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা গবেষণাগার সহকারী, অফিসের হিসাবরক্ষক, নিরাপত্তারক্ষী, টেলিফোন অপারেটর, বাগান পরিচর্যা এমনকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দায়িত্বও পালন করে থাকে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কারিতাস সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থায় গিয়ে প্রতি সপ্তাহে তাদের কাজে সাহায্যও করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ বর্তমান কর্মচারী এই প্রকল্পের মাধ্যমেই নির্বাচিত। [৯][৬]

নটর ডেম লিটারেসি স্কুল

লিটারেসি স্কুল

নটর ডেম কলেজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয় এরকম একটি সেবামূলক উদ্যোগ হলো নটর ডেম লিটারেসি স্কুল, যা মূলত একটি নৈশ স্কুল। প্রকল্পটি নটর ডেম কলেজের 'স্টুডেন্ট ওয়ার্কিং প্রোগ্রাম'-এর অংশ। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখানে চলছে কর্মজীবী এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষাদান। সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুরোহিতদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই স্কুল। প্রথম দিকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার সুযোগ থাকলেও পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তা উন্নীত করা হয়। বর্তমানে (২০১২) প্রায় ৪৫০জন শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করছে। এখান থেকে পাশ করে অনেকে নটর ডেম কলেজেও পড়ার মতো যোগ্যতাও অর্জন করে থাকে। মূলত নটর ডেম কলেজের ছাত্ররাই স্বেচ্ছায় শিক্ষাদান করছেন এখানে। তবে নটর ডেম কলেজ ছাড়াও পড়ান বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক শিক্ষকও। কলেজশিক্ষক, ছাত্র এবং বিভিন্ন অনুদান থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন-ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এই স্কুলে রয়েছে মর্নিং শিফ্‌ট, ডে শিফ্‌ট ও ইভনিং শিফ্‌ট। এছাড়াও এই উদ্যোগের সাথে রয়েছে নটর ডেম জাগরণী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড, নটর ডেম ন্যাভিন সিক শেল্টার, নটর ডেম ফিডিং প্রোগ্রাম, নটর ডেম সিউইং সেন্টার, এবং নটর ডেম বয়েজ' হোম[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

নটর ডেম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে নটর ডেম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সংক্ষেপে এনডিএএ। অবশ্য নটর ডেমের প্রাক্তন ছাত্ররা ওল্ড বয়েজ কলেজের আদর্শের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিপ্রায়ে এরকম একটি সংগঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে। তারই প্রেক্ষিতে তৎকালীন অধ্যক্ষ জে. এল. মার্টিন এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি করেন। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে কলেজের ৫০ বছর (সুবর্ণ জয়ন্তী) এবং ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ৬০ বছর (হীরক জয়ন্তী) উদযাপনের সময় ছাত্ররা এ ব্যাপারে পুনরায় উৎসাহ প্রকাশ করলে তৎকালীন অধ্যক্ষ বেঞ্জামিন কস্তা ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি কলেজের প্রাক্তন ১৬ জন ছাত্রের সাথে একটি সভা করত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এরপর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র কামাল হোসেনকে সাম্মানিক সভাপতি, বেঞ্জামিন কস্তাকে সভাপতি, অধ্যাপক রাশিদউদ্দিন আহমেদকে সহসভাপতি (১ম), ড. আব্দুল মঈন খানকে সহসভাপতি (২য়), ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গোমেজকে সাধারণ সম্পাদক, বকুল এস. রোজারিও, সিএসসি-কে কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক এবং অ্যাডাম এস. পেরেরা, সিএসসি-কে কোষাধ্যক্ষ করে সর্বমোট ১৯জন সদস্য নিয়ে গঠিত অ্যাড-হক কমিটি দিয়ে যাত্রা শুরু হয় সংগঠনের।[৪০] এরপর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর কলেজ প্রাঙ্গণে বার্ষিক সাধারণ সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের যাত্রার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা করা হয়।[৪] সংগঠনের গঠনতন্ত্র হিসেবে জে. এল. মার্টিন, সিএসসি কর্তৃক ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর প্রণিত গঠনতন্ত্রের ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুনের পরিমার্জিত সংস্করণ গ্রহণ করা হয়।[৪১][৪২]

কৃতী শিক্ষার্থী

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. নটর ডেম কলেজের নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে, দৈনিক সংগ্রাম, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। প্রকাশকাল: ১৩ ডিসেম্বর ২০১২।
  2. "ব্লু অ্যান্ড গোল্ড"। ব্লু অ্যান্ড গোল্ড। ২০১৭–২০১৮। 
  3. কস্তা, বেঞ্জামিন। "নটর ডেম কলেজ"বাংলাপিডিয়াবাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  4. "নটরডেম কলেজে ছাত্রদের পুনর্মিলনী"ঢাকানিউজ২৪.কম 
  5. [১]
  6. "'গ্রাম-শহরের জন্য আলাদা প্রশ্ন থাকা প্রয়োজন'"দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  7. "তাঁর কর্মময় জীবন আমাদের অনুপ্রেরণা"দৈনিক যুগান্তর 
  8. "মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং বিচার"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০ 
  9. "পরিচয়"। নবীনবরণ ও ছাত্র-অভিভাবক নির্দেশিকা। নটর ডেম কলেজ। 
  10. "অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার সাক্ষাৎকার"নেচার স্টাডি সোসাইটি অব বাংলাদেশ। ২০১৩-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  11. "আমি ঢাকার প্রায় সব গাছপালাই চিনি : দ্বিজেন শর্মা"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  12. "মৃদু সুগন্ধিযুক্ত দুর্লভ ফুল 'নাগলিঙ্গম'"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  13. "নাগলিঙ্গমের টানে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  14. "তালিপাম : জীবন যেখানে মৃত্যুর গল্প শোনায়"এনভারনমেন্টমুভ। ২০১৪-০৯-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  15. বেনাস, জেমস টি; বণিক, অমল কৃষ্ণ (২০১৭)। ফাদার জেমস টি. বেনাস ও অধ্যাপক অমল কৃষ্ণ বণিক সংকলিত কলেজের উদ্ভিদরাজির চার্টজীববিজ্ঞান গবেষণাগার সহায়িকা (মূদ্রিত)। ১ম। ঢাকা: নটর ডেম কলেজ (প্রকাশিত হয় জুলাই ২০১৭)। 
  16. "নটর ডেম কলেজে প্রকৃতি সম্মেলন"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  17. "সবুজ পৃথিবীর জন্য"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  18. "নটর ডেম কলেজে ভর্তি ঢাকা বোর্ডের জারি করা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  19. "নটরডেমসহ তিন কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  20. "নটর ডেম কলেজ অধিকার পাবে কবে"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  21. "নটর ডেম কলেজ বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি লাভ কার?"দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  22. "নটরডেম কলেজকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে"দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  23. "মিশনারী কলেজ নটর ডেম-এর ব্যাপারে সরকারকে উদারনীতি গ্রহণ করতে হবে"দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  24. "নটরডেমসহ তিন কলেজে ভর্তি পরীক্ষার আদেশ বহাল"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  25. "নটর ডেম কলেজের ক্লাব দিবস ও পঞ্চম যুগপূর্তি উৎসব"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  26. "Biography of Rechard Timm" (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৪, ২০১৩ 
  27. "CITATION for Fr. Richard William Timm, CSC"। ১৯ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  28. নটর ডেম কলেজ নবীন বরণ ও ছাত্র-অভিভাবক নির্দেশিকা (ক্লাব পরিচিতি অংশ) ২০১৮ সালের সংস্করণ
  29. নবীন বরণ ও ছাত্র-অভিভাবক নির্দেশিকা, নটর ডেম কলেজ, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা। পৃ.৩৬,৩৭,৩৮
  30. http://epaper.thedailystar.net/all.php?opt=view&page=39&date=2018-12-27[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  31. আনন্দলোকে, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা।
  32. চারদিক: নটর ডেমের প্রকৃতি উৎসবে[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], শেখর রায়, দৈনিক প্রথম আলো; প্রকাশকাল: ২৯ অক্টোবর ২০০৯ খ্রি.। পরিদর্শনের তারিখ: ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রি.।
  33. নটর ডেম ইংলিশ ক্লাব প্রকাশিত 'Odyssey 4th Edition' , শেষ পৃষ্ঠা
  34. "The biggest english carnival in the country", The Daily Star, February 15 2018.
  35. "Notre Dame College 6th National English Carnival Jan 30-31"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১১ 
  36. "5th National English Carnival at Notre Dame College"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১১ 
  37. "5th National English Carnival to kick off Feb 7"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১১ 
  38. "Aperture F/1: The Beginning;Photography Competition,Notre Dame College,Dhaka 2018."। ২৭ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০ 
  39. "NDITC_init - NDITC"www.nditc.org। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২০ 
  40. "গঠিত হলো নটর ডেম কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন"প্রথম আলো। ঢাকা। ৭ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৩ 
  41. স্মরণিকা। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা: নটর ডেম এ্যালামনাই এসোসিয়েশন (এনডিএএ) (প্রকাশিত হয় ২২ ডিসেম্বর ২০১২)। ২০১২। 
  42. মার্টিন, জে. এল. (ডিসেম্বর ৮, ১৯৫৯)। নটর ডেম অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র। ঢাকা: নটর ডেম অ্যালুমনাই অ্যাসোসিয়েশন (প্রকাশিত হয় জুন ৩০, ২০১২)। 

বহিঃসংযোগ